শনিবার, ১০ মে ২০২৫ | ২৭ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

আন্দোলনের বিকল্প দেখছে না বিএনপি

২০০৬ সালের পর থেকে বিএনপির সময় ভালো যাচ্ছে না, শত চেষ্টা করেও ঘুরে দাঁড়াতে হিমশিম খাচ্ছে দলটি। শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পাওয়া বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রাজনীতে সক্রিয় হতে পারছেন না। আর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দণ্ড মাথায় নিয়ে লন্ডনে বসবাস করছেন।

এই পরিস্থিতিতে ও বর্তমান প্রেক্ষাপটে আলাপ-আলোচনায় সংকট সমাধানের কোনো পথ দেখছেন না বিএনপি নেতারা। তারা বলছেন, আলোচনার পথ একবারেই সংকীর্ণ হয়ে গেছে। এখন আন্দোলনের আর কোনো বিকল্প নেই। রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমেই বর্তমান সরকারের পতন ঘটানোই হচ্ছে এখন বিএনপির ধ্যান-জ্ঞান।

২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে দলীয় ও জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইস্যুতে রাজপথের আন্দোলনে ছিল বিএনপি। ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনের আগে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতেও টানা কঠোর আন্দোলনে ছিল দলটি। ওই নির্বাচন বর্জনের পরেও লাগাতার অবরোধে ছিল দলটি যা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়ে প্রত্যাহার করা হয়নি। কিন্তু সেই আন্দোলন সফলতার মুখ দেখেনি। তারপরও একই দাবিতে সোচ্চার থেকেও শেষ পর্যন্ত ২০১৮ সালে দলীয় সরকারের অধীনেই একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয় বিএনপি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।

দলটিকে তাদের নির্বাচনী ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ফল বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হয়েছে। এরপরেও স্থানীয় নির্বাচনগুলোতেও বিএনপি অংশ নেয়। কিন্তু ‘ফলবিহীন’ এসব নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে দলের অভ্যন্তরে ভিন্নমত ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় দলীয়ভাবে স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। এখন রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমেই নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে চায় দলটি।

সংশ্লিষ্ট নেতারা বলছে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সোচ্চার হলেও সরকারের বিরুদ্ধে মাঠের আন্দোলনে অনেকাংশে সতর্ক বিএনপি। এবার কিছুটা ভিন্ন পদ্ধতিতে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পরিকল্পনার ছক করা হচ্ছে। বিএনপির চলমান আন্দোলন কর্মসূচি দমনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগ আগেভাগেই হামলা ও মামলার পথে হাঁটছে, তাতে মাঠপর্যায়ে শক্ত অবস্থান নেওয়া ক্ষেত্রে কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না। বিএনপি হাইকমান্ডও এটাও মনে করছে, রাজপথের আন্দোলনের মধ্য দিয়েই সব সমস্যার সমাধান হবে। সেটা মাথায় রেখেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন দলের নেতা-কর্মীরা।

বিএন‌পির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘দেশব্যাপী বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি যেভাবে হামলা চালানো হচ্ছে, গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। তারপরও নেতা-কর্মীরা কর্মসূচি বাস্তবায়নে কতটা কমিটেড; যেভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলছে এতে করে আমরা অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব বলে আশাবাদী। কারণ, অতীতে এই দেশে ন্যায্য দাবি আদায়ে কোনো আন্দোলন-সংগ্রামের রক্ত বৃথা যায় নাই। রক্ত কখনো বৃথা যায় না। আগামী দিনে এই রক্তের হিসাব বর্তমান সরকারের কাছ থেকে এদেশের জনগণ আদায় করে নেবে।’

তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে আলাপ-আলোচনায় যেমন অনেক কিছুর সমাধান হয়; তেমনিভাবে আলাপ আলোচনায় যা সম্ভব হয় না তা আন্দোলনেই সম্ভব হয়। দেশের অতীত ইতিহাস তাই বলে; অনেক অসাধ্য কাজ আন্দোলনের মাধ্যমেই সফলতার মুখ দেখেছে।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বিএনপিকে কোণঠাসা করে রাখার নানা কৌশল নিয়ে এগোচ্ছে। বিশেষ করে নির্বাচন কেন্দ্রিক বিকল্প জোট দাঁড় করানো, বিএনপির মধ্যে ভাঙন ধরানো, দলটির মিত্রদের কাছে টানার কৌশল নিয়েছে। এ ছাড়া, সরকার ও সরকারি দল বিরোধী নেতা-কর্মীদের ভয় দেখাতে হামলা-মামলার পথে হাঁটা, বিএনপিকে আর্থিকভাবে সহায়তা করে এমন নেতাদের নানানভাবে হয়রানি করা, প্রয়োজনে শারীরিকভাবে আঘাত করতেও পিছপা হবে না। মূলত কর্মসূচিতে এই মুহূর্তে বাধা তৈরি করার মধ্য দিয়ে বিএনপিকে দুর্বল অবস্থায় রাখতে চায় ক্ষমতাসীনরা। এসব কারণে মাঠের আন্দোলনে যেমন সতর্ক বিএনপি, তেমনি ঐক্যবদ্ধতা অটুট রেখে যুগপৎ আন্দোলনে যেতে সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে পাশে রাখতে চেষ্টা অব্যাহত আছে।

বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন, রাজনীতিতে সমঝোতার লক্ষণ দেখছে না বিএনপি। তাই দাবি আদায়ে রা আন্দোলনের পথেই হাঁটতেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। রাজপথ আন্দোলনেই দাবি আদায় করা হবে। নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। আন্দোলন সফল করতে যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা। আন্দোলন করতে ছাড় দেওয়ার প্রশ্নই উঠে না; প্রশ্নই উঠে না শেখ হাসিনাকে সরকার প্রধান রেখে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার।’

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘বিগত সংসদ নির্বাচনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তখন সে নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলেও এবার আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবে না। শুধু তা-ই নয়, আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার বিষয়ে বিএনপিসহ সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এর আগে ঐক্যবদ্ধভাবে ঘোষণা দিয়েছে।
আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আগামী দিনে দেশ কীভাবে এগোবে তার ফয়সালা হবে রাজপথে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা শুরু করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। একইভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দিয়ে পুরনো মামলায় সারা দেশের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করতে শুরু করেছে। হামলা-মামলা করে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। এলাকার নেতা-কর্মীদের নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মোকাবিলা করার যথেষ্ট শক্তি আমাদের রয়েছে। আমরা সর্বশক্তি দিয়ে সারাদেশে আওয়ামী লীগকে শক্তভাবে মোকাবিলা করব।’

এনএইচবি/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

যমুনা ও সচিবালয়সহ বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

ছবি: সংগৃহীত

পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সচিবালয়, প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল এবং শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

আজ শনিবার দুপুরে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সই করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা জারি করা হয়।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‌‘সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, জনশৃঙ্খলা এবং প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং-III/৭৬) এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে ১০ মে থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সচিবালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় (হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়, কাকরাইল মসজিদ মোড়, অফিসার্স ক্লাব মোড়, মিন্টো রোড) যে কোনো প্রকার সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হলো।’

এর আগেও দুইবার যমুনা ও সচিবালয়কে কেন্দ্র করে সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করেছিল ডিএমপি।

Header Ad
Header Ad

বরেণ্য সংগীতশিল্পী মুস্তাফা জামান আব্বাসী মারা গেছেন

ছবি: সংগৃহীত

বরেণ্য সংগীতশিল্পী, গবেষক ও লেখক মুস্তাফা জামান আব্বাসী আর নেই। আজ শনিবার সকালে বনানীর একটি হাসপাতালে তিনি মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তাঁর মেয়ে শারমিনী আব্বাসী। মুস্তাফা জামানের বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। মৃত্যুকালে তিনি দুই কন্যা এবং বহু ভক্ত, অনুরাগী রেখে গেছেন।

মেয়ে শারমিনী আব্বাসী জানান, বেশ কিছুদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন মুস্তাফা জামান আব্বাসী। সর্বশেষ গতকাল শুক্রবার শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। আজ ভোর সাড়ে পাঁচটায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।

বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী মুস্তাফা জামান আব্বাসী উপমহাদেশের খ্যাতনামা সংগীত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর পিতা আব্বাসউদ্দীন আহমেদ ছিলেন পল্লিগীতির অগ্রপথিক। এ দেশের পল্লিসংগীতকে তিনিই প্রথম বিশ্বের দেশে দেশে জনপ্রিয় করেছেন। চাচা আবদুল করিম ছিলেন পল্লিগীতি ও ভাওয়াইয়া-ভাটিয়ালির জনপ্রিয় শিল্পী। মুস্তাফা জামান আব্বাসীর বড় ভাই মোস্তফা কামাল ছিলেন প্রধান বিচারপতি। বোন ফেরদৌসী রহমান ও ভাতিজি নাশিদ কামালও সংগীতাঙ্গনে সুপ্রতিষ্ঠিত। তাঁর স্ত্রী আসমা আব্বাসী একজন প্রথিতযশা শিক্ষক ও লেখিকা। তিনি গত বছর মারা গেছেন।

১৯৩৬ সালের ৮ ডিসেম্বর ভারতের কোচবিহারের বলরামপুর গ্রামে জন্ম নেওয়া আব্বাসী শৈশব কাটিয়েছেন কলকাতায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ, এমএ ডিগ্রি অর্জনের পর হার্ভার্ড গ্রুপ থেকে মার্কেটিং বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।

লোকসংগীত গবেষণা ও সংগ্রহে তাঁর অবদান অনন্য। তিনি দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে ফোক মিউজিক রিসার্চ গ্রুপের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর সংগ্রহে আছে কয়েক হাজার লোকগান। তিনি ২৫টির বেশি দেশে ভাটিয়ালি, ভাওয়াইয়া, নজরুলগীতি পরিবেশন করে বাংলাদেশের সংগীতকে পৌঁছে দিয়েছেন বিশ্বদরবারে। তিনি ছিলেন ইউনেসকোর বাংলাদেশ ন্যাশনাল কমিটি অব মিউজিকের সভাপতি, নজরুল ও আব্বাসউদ্দীনের ইংরেজি জীবনী লেখার দায়িত্বপ্রাপ্ত গবেষক। তাঁর উপস্থাপনায় বিটিভির ‘ভরা নদীর বাঁকে’, ‘আমার ঠিকানা’, ‘আপন ভুবন’ প্রভৃতি অনুষ্ঠান জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বাংলাদেশ টেলিভিশনে তাঁর ‘ভরা নদীর বাঁকে’ অনুষ্ঠানটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। সমাজসেবায়ও তিনি ছিলেন সক্রিয়, রোটারি ক্লাবের গভর্নর হিসেবে বহু উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

মুস্তাফা জামান আব্বাসী রচিত অসংখ্য গ্রন্থের মধ্যে অন্যতম ‘লোকসঙ্গীতের ইতিহাস’, ‘ভাটির দ্যাশের ভাটিয়ালি’, ‘রুমির অলৌকিক বাগান’, উপন্যাস ‘হরিণাক্ষি’, স্মৃতিকথা ‘স্বপ্নরা থাকে স্বপ্নের ওধারে’ এবং ইংরেজি জীবনী। বাংলা সংস্কৃতিতে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি একুশে পদকসহ অসংখ্য সম্মাননা লাভ করেছেন।

Header Ad
Header Ad

মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা

ছবি: সংগৃহীত

দেশের দক্ষিন-পশ্চিমের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ শনিবার (১০ মে) দুপুর ১২ টায় চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগার কেন্দ্র এ তাপমাত্রা রেকর্ড করে।

এরআগে, শুক্রবার (৯ মে) চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা লিপিবদ্ধ হয়েছে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত কয়েকদিন ধরে তীব্র দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে এ জেলায়। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জেলার মানুষ। রোদের তেজ আর গরমে স্বাভাবিক জীবন যাত্রা মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
প্রখর রোদের তাপদাহে তেঁতে উঠেছে প্রকৃতি। ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকা তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে পুরো জেলা। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।

অস্ত যাওয়ার আগ পর্যন্ত সুর্যের তীব্র তেঁজে পুড়ছে প্রকৃতি। দুপুরের রোদে যেন আগুনের ফুলকি ঝরছে। দুপুর ১২ টার রাস্তাঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে। দিনে পাশাপাশি রাতের তাপমাত্রাও বাড়ছে।

এর আগে চলতি গ্ৰীষ্ম মৌসুমে ২৩ ও ২৪ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যথাক্রমে ৩৬ দশমিক ৬ এবং ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান,  আগামী কয়েকদিন  এ জেলার তাপমাত্রা আরো বাড়তে পারে।   ১৪ মে'র পর বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে। তারপর তাপমাত্রা কমতে পারে। 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

যমুনা ও সচিবালয়সহ বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
বরেণ্য সংগীতশিল্পী মুস্তাফা জামান আব্বাসী মারা গেছেন
মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা
সালিসে নারীর চুল কাটলেন ‘বিচারকরা’
আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগে অবরোধ
সৌদি পৌঁছেছেন ৩৭১১৫ হজযাত্রী, ৫ জনের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মালবাহী ট্রেন উদ্ধারের পর কক্সবাজার এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত
পাপুলের স্ত্রী সাবেক এমপি সেলিনা ইসলাম গ্রেফতার
ভারতে বিরুদ্ধে ‘অপারেশন বুনিয়ান উল মারসুস’ শুরু করল পাকিস্তান
শাহবাগ ছাড়া অন্য কোথাও ‘ব্লকেড’ দিবেন না: হাসনাত আবদুল্লাহ
চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি নির্বাচনে জয়ী হলেন যারা
ছয়টি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়েছে ভারত, পড়েছে নিজেদের রাজ্যেই
শাহবাগে বিক্ষোভে উত্তাল জনতা, খালেদা জিয়ার উপস্থিতি চায় ইনকিলাব মঞ্চ
১৭ বছর পর দেশে ফিরে মসজিদে জুমার নামাজ পড়লেন জোবাইদা রহমান
ভারতে ইউটিউবে বন্ধ যমুনা-বাংলাভিশনসহ ৪ বাংলাদেশি টিভি চ্যানেল
আটকের পরও যে ফোনে ছেড়ে দেওয়া হয় আবদুল হামিদকে
নওগাঁয় দুলাভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে গ্রেপ্তার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা
বাংলাদেশ সফরে আসছে না ভারত, অনিশ্চিত এশিয়া কাপ
আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল শাহবাগ, জনস্রোতে ভরপুর রাজপথ
বিএনপি ছাড়া সব রাজনৈতিক দল এখন শাহবাগে: সারজিস আলম