শনিবার, ১০ মে ২০২৫ | ২৭ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

জব্দ গাড়ি থানায় থাকে অযত্নে, গায়েব হয় মূল্যবান যন্ত্রাংশ

রাজধানী ঢাকার প্রায় প্রত্যেকটি থানা কম্পাউন্ড ও থানা সংলগ্ন এলাকায় গেলেই দেখা যায় শত শত গাড়ি, মোটরসাইকেল, রিকশাসহ বিভিন্ন রকম যানবাহনের ভাগাড়। লাখ লাখ টাকা দামের যানবাহনগুলো পড়ে আছে অযত্ন অবহেলায়। ডাম্পিং স্টেশন নামে পরিচিত ভাগাড়গুলোতে নেই কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা কিংবা কঠোর নজরদারি। ফলে হরদম গায়েব হচ্ছে এ সব যানবাহনের মূল্যবান যন্ত্রণাংশ।

দুর্ঘটনা, চুরি, মাদকসহ বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমায় আটক ভালো ভালো যানবাহনগুলোর স্থান হয় থানার ডাম্পিং এলাকায়। একবার থানায় ঢুকলে সেটি আর সহজে বের হতে পারে না। খোলা আকাশের নিচে দীর্ঘ সময় অযত্ন-অবহেলায় পড়ে থাকার কারণে এক সময় দামি এ সব যানবাহন ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। নষ্ট হয়। সরজমিন রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকা ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে।

যানবাহন মালিকদের অভিযোগ, নগরীর বিভিন্ন থানায়, থানার পাশে সড়কে বছরের পর বছর গাড়ি পড়ে থাকায় শুধু নষ্ট হচ্ছে না, বিভিন্ন মামলায় জব্দ হওয়া গাড়ির মূল্যবান মালামালও চুরি হয়ে যায়।

অবশ্য পুলিশ বলছে, ডাম্পিংয়ে অনেক গাড়ি রয়েছে, যেগুলোর মামলা এখনো চলছে। তা ছাড়া বিভিন্ন মামলার আলামতের গাড়িও এ সব স্থানে রাখা হয়।

রমনা বিভাগের শাহাবাগ থানার পেছনের ডাম্পিংয়ে তিন মাস ধরে পড়ে আছে একটি মোটরসাইকেল। মোটরসাইকেলের মালিক মো. মাহাবুব বলেন, ডাম্পিং থেকে মোটরসাইকেলটি আনতে গিয়ে দেখি গাড়ির হর্ন ও লুকিং গ্লাস নেই। ট্রাফিক পুলিশ মোমিনকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘আমি কিছু জানি না।’ তিনি অভিযোগ করে বলেন, ডাম্পিং এ হাজার হাজার টাকার গাড়ি নষ্ট হচ্ছে এবং অনেক গাড়ির যন্ত্রপাতি চুরিও হচ্ছে ।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ডাম্পিংয়ে নাইনটি মডেলের একটি গাড়ি দুই মাস ধরে পড়ে ছিল। গাড়িটি বের করার পর গাড়ির মালিক শরিফুল ইসলাম বলেন, ডাম্পিং থেকে নিয়ে আসার সময় আমার গাড়ির দুইটা গ্লাসই ভাঙা পেয়েছি? ভালো গাড়ি রাখলাম আর গ্লাস ভাঙা গাড়ি বের করলাম।

রাজধানীর শেরেবাংলানগরের আগারগাঁও ও তালতলায় ডাম্পিংয়ে মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, বাস, মাইক্রোবাস, পিকআপ ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা বছরের পর বছর খোলা আকাশের নিচে পড়ে রয়েছে। রোদে পুড়ছে, বৃষ্টিতে ভিজছে। চুরি হচ্ছে যন্ত্রাংশ। হারাচ্ছে ব্যবহারের উপযোগিতা। নষ্ট হচ্ছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ। একই চিত্র রাজধানীর প্রতিটি থানা ও আদালত প্রাঙ্গণে। হাজার কোটি টাকার যানবাহন অযত্ন-অবহেলায় খোলা আকাশের নিচে পড়ে রয়েছে।

সরেজমিন দেখা যায়, ডাম্পিংয়ের ভেতরে বছরের পর বছর খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকায় যানবাহনগুলোর উপর লতাপাতা গজিয়েছে। প্রতিটি যানবাহনে মরিচা ধরেছে।

গাড়ি মালিকদের অভিযোগ, একটি গাড়ি যদি ১০-১৫ বছরে ফাঁকা জায়গায় পড়ে থাকে তাহলে সেই গাড়ির কিছুই থাকে না, এজন্য গাড়ির মালিকরা গাড়ি নিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।

সরেজমিন দেখা গেছে, ঢাকা মহানগর মালখানা পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর ও দক্ষিণ এ চার ভাগে বিভক্ত। জেলা মালখানা ঢাকার কালেক্টরেট ভবনের নিচতলায় এবং মহানগর মালখানা মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের ভিতরে রয়েছে ছোট বড় অনেকগুলো যানবাহন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব যানবাহন রাখা হয়েছে আলামত হিসেবে। আলামত জমতে জমতে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে বিচারিক হাকিম আদালতের সামনের চত্বর পর্যন্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের গাড়ি।

পুলিশের ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তা বলেছেন, লাইসেন্সবিহীন, চোরাই, দুর্ঘটনাকবলিত, মাদক বহনকারী, অবৈধ মালপত্রসহ বিভিন্ন কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেসব যানবাহন জব্দ করে, সেগুলো আইনি প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত পুলিশের নির্ধারিত ডাম্পিংয়ে রাখা হয়।

সংশ্লিষ্ট ট্রাফিক পুলিশ বলছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মামলা হওয়ার পর আলামত হিসেবে যানবাহন আটকে রাখা হয়। এর মধ্যে কিছু যানবাহন আদালতের নির্দেশে মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে অপেক্ষা করতে হয় মামলা নিষ্পত্তি পর্যন্ত। আর মামলার দীর্ঘসূত্রতাই আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা। মামলা নিষ্পত্তি হতে ১০ থেকে ১২ বছর লেগে যায়। এরপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আদালত হয় গাড়ি মালিকের কাছে ফিরিয়ে দিতে বলে, না হয় নিলামে বিক্রির আদেশ দেয়। কিন্তু নিলাম প্রক্রিয়া অনেক জটিল এবং সময়সাপেক্ষ। তা ছাড়া দীর্ঘদিন নিলাম না হওয়ায় এগুলো বিক্রিও করা যায় না।

পুলিশ বলছে, শুধু মোটরসাইকেল বাদে দিনে ২৫ থেকে ৩০টি গাড়ি আসে ডাম্পিং স্টেশনে। প্রচুর পরিমাণে মোটরসাইকেল রয়েছে যার হিসেব করা কঠিন। বিশেষ অভিযানের সময় ডাম্পিং স্টেশনে গাড়ি আসার পরিমাণও বেড়ে যায়। মামলার আলামতের পাশাপাশি বেওয়ারিশ গাড়িরও জায়গা হয় এখানে। দীর্ঘসময় পড়ে থাকায় একদিকে যেমন গাড়ি নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে রাস্তার ওপরে গাড়ি রাখায় ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল। তা ছাড়া ডাম্পিং স্টেশনে গাড়ি আসামাত্র অল্প টাকায় বেহাত হতে থাকে এসব গাড়ির মূল্যবান যন্ত্রাংশ। এ ছাড়া ঘন লতাগুল্মের কারণে মশা প্রজননের কেন্দ্রবিন্দুও এ সব যানবাহন। নগর পরিকল্পনাবিদদের ধারণা, এই ডাম্পিং স্টেশনগুলো এডিস মশার অভয়ারণ্য।

এ সব বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ট্রাফিক) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মুনিবুর রহমান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ডাম্পিং ব্যবস্থার বিষয়টি হলো আদালতের বিষয়। ট্রাফিক পুলিশের কাজ হলো অবৈধ গাড়ি ধরে ডাম্পিংয়ে রাখা। পরে যে সব যানবাহনের নামে মামলা হয় সেগুলোর মামলা নিষ্পতি হলে ও আদালতের অনুমতিপত্র পেলে আমরা ওই সব যানবাহন ছেড়ে দেই।

তিনি বলেন, অনেক গাড়ির মালিক মামলা নিষ্পত্তি হলেও তাদের যানবাহন নিতে আসে না। অনেক মালিককে পাওয়া যায় না। সেই ক্ষেত্রে আমরা ওই সব গাড়ির বিষয়টি আদালতে জানাই। আদালত একটি নিয়মে নিলামের জন্যে আদেশ দেন। আদালতের নির্দেশ মোতাবেক আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করি। এরপরও এমন কিছু গাড়ি আছে যা নিলামে উঠলেও কেউ নিতে চায় না। যে কারণে ওই সব গাড়ি ডাম্পিংয়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে। তিনি বলেন,যেসব গাড়ি নিলামে বিক্রি হয় সেগুলোর টাকা সরকারের রাজস্বখাতে জমা হয়।

পুলিশ সূত্র বলছে, মাদক বা চুরির মামলার কারণে যেসব গাড়ি আটক হয় এ সব গাড়ি কেউ নিতে আসে না।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুদ হাওলাদার বলেন, আমাদের থানায় বেশ কিছু যানবাহন পড়ে আছে এগুলোর বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। মামলা শেষ হলে গাড়ির মালিকরা এসে গাড়ি নিয়ে যাবেন।

ডাম্পিংয়ে থেকে অনেক গাড়ি নষ্ট হচ্ছে এবং গাড়ির বিভিন্ন মালামাল চুরি হচ্ছে— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, থানায় আটক হওয়া গাড়ির মালামাল চুরি হওয়ার কোনো অপশন নেই। হয়ত চোখের আড়ালে কিছু বিছিন্ন ঘটনা ঘটে।

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad
Header Ad

যমুনা ও সচিবালয়সহ বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

ছবি: সংগৃহীত

পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সচিবালয়, প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল এবং শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

আজ শনিবার দুপুরে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সই করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা জারি করা হয়।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‌‘সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, জনশৃঙ্খলা এবং প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং-III/৭৬) এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে ১০ মে থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সচিবালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় (হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়, কাকরাইল মসজিদ মোড়, অফিসার্স ক্লাব মোড়, মিন্টো রোড) যে কোনো প্রকার সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হলো।’

এর আগেও দুইবার যমুনা ও সচিবালয়কে কেন্দ্র করে সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করেছিল ডিএমপি।

Header Ad
Header Ad

বরেণ্য সংগীতশিল্পী মুস্তাফা জামান আব্বাসী মারা গেছেন

ছবি: সংগৃহীত

বরেণ্য সংগীতশিল্পী, গবেষক ও লেখক মুস্তাফা জামান আব্বাসী আর নেই। আজ শনিবার সকালে বনানীর একটি হাসপাতালে তিনি মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তাঁর মেয়ে শারমিনী আব্বাসী। মুস্তাফা জামানের বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। মৃত্যুকালে তিনি দুই কন্যা এবং বহু ভক্ত, অনুরাগী রেখে গেছেন।

মেয়ে শারমিনী আব্বাসী জানান, বেশ কিছুদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন মুস্তাফা জামান আব্বাসী। সর্বশেষ গতকাল শুক্রবার শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। আজ ভোর সাড়ে পাঁচটায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।

বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী মুস্তাফা জামান আব্বাসী উপমহাদেশের খ্যাতনামা সংগীত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর পিতা আব্বাসউদ্দীন আহমেদ ছিলেন পল্লিগীতির অগ্রপথিক। এ দেশের পল্লিসংগীতকে তিনিই প্রথম বিশ্বের দেশে দেশে জনপ্রিয় করেছেন। চাচা আবদুল করিম ছিলেন পল্লিগীতি ও ভাওয়াইয়া-ভাটিয়ালির জনপ্রিয় শিল্পী। মুস্তাফা জামান আব্বাসীর বড় ভাই মোস্তফা কামাল ছিলেন প্রধান বিচারপতি। বোন ফেরদৌসী রহমান ও ভাতিজি নাশিদ কামালও সংগীতাঙ্গনে সুপ্রতিষ্ঠিত। তাঁর স্ত্রী আসমা আব্বাসী একজন প্রথিতযশা শিক্ষক ও লেখিকা। তিনি গত বছর মারা গেছেন।

১৯৩৬ সালের ৮ ডিসেম্বর ভারতের কোচবিহারের বলরামপুর গ্রামে জন্ম নেওয়া আব্বাসী শৈশব কাটিয়েছেন কলকাতায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ, এমএ ডিগ্রি অর্জনের পর হার্ভার্ড গ্রুপ থেকে মার্কেটিং বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।

লোকসংগীত গবেষণা ও সংগ্রহে তাঁর অবদান অনন্য। তিনি দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে ফোক মিউজিক রিসার্চ গ্রুপের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর সংগ্রহে আছে কয়েক হাজার লোকগান। তিনি ২৫টির বেশি দেশে ভাটিয়ালি, ভাওয়াইয়া, নজরুলগীতি পরিবেশন করে বাংলাদেশের সংগীতকে পৌঁছে দিয়েছেন বিশ্বদরবারে। তিনি ছিলেন ইউনেসকোর বাংলাদেশ ন্যাশনাল কমিটি অব মিউজিকের সভাপতি, নজরুল ও আব্বাসউদ্দীনের ইংরেজি জীবনী লেখার দায়িত্বপ্রাপ্ত গবেষক। তাঁর উপস্থাপনায় বিটিভির ‘ভরা নদীর বাঁকে’, ‘আমার ঠিকানা’, ‘আপন ভুবন’ প্রভৃতি অনুষ্ঠান জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বাংলাদেশ টেলিভিশনে তাঁর ‘ভরা নদীর বাঁকে’ অনুষ্ঠানটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। সমাজসেবায়ও তিনি ছিলেন সক্রিয়, রোটারি ক্লাবের গভর্নর হিসেবে বহু উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

মুস্তাফা জামান আব্বাসী রচিত অসংখ্য গ্রন্থের মধ্যে অন্যতম ‘লোকসঙ্গীতের ইতিহাস’, ‘ভাটির দ্যাশের ভাটিয়ালি’, ‘রুমির অলৌকিক বাগান’, উপন্যাস ‘হরিণাক্ষি’, স্মৃতিকথা ‘স্বপ্নরা থাকে স্বপ্নের ওধারে’ এবং ইংরেজি জীবনী। বাংলা সংস্কৃতিতে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি একুশে পদকসহ অসংখ্য সম্মাননা লাভ করেছেন।

Header Ad
Header Ad

মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা

ছবি: সংগৃহীত

দেশের দক্ষিন-পশ্চিমের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ শনিবার (১০ মে) দুপুর ১২ টায় চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগার কেন্দ্র এ তাপমাত্রা রেকর্ড করে।

এরআগে, শুক্রবার (৯ মে) চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা লিপিবদ্ধ হয়েছে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত কয়েকদিন ধরে তীব্র দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে এ জেলায়। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জেলার মানুষ। রোদের তেজ আর গরমে স্বাভাবিক জীবন যাত্রা মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
প্রখর রোদের তাপদাহে তেঁতে উঠেছে প্রকৃতি। ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকা তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে পুরো জেলা। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।

অস্ত যাওয়ার আগ পর্যন্ত সুর্যের তীব্র তেঁজে পুড়ছে প্রকৃতি। দুপুরের রোদে যেন আগুনের ফুলকি ঝরছে। দুপুর ১২ টার রাস্তাঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে। দিনে পাশাপাশি রাতের তাপমাত্রাও বাড়ছে।

এর আগে চলতি গ্ৰীষ্ম মৌসুমে ২৩ ও ২৪ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যথাক্রমে ৩৬ দশমিক ৬ এবং ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান,  আগামী কয়েকদিন  এ জেলার তাপমাত্রা আরো বাড়তে পারে।   ১৪ মে'র পর বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে। তারপর তাপমাত্রা কমতে পারে। 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

যমুনা ও সচিবালয়সহ বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
বরেণ্য সংগীতশিল্পী মুস্তাফা জামান আব্বাসী মারা গেছেন
মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা
সালিসে নারীর চুল কাটলেন ‘বিচারকরা’
আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগে অবরোধ
সৌদি পৌঁছেছেন ৩৭১১৫ হজযাত্রী, ৫ জনের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মালবাহী ট্রেন উদ্ধারের পর কক্সবাজার এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত
পাপুলের স্ত্রী সাবেক এমপি সেলিনা ইসলাম গ্রেফতার
ভারতের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন বুনিয়ান উল মারসুস’ শুরু করল পাকিস্তান
শাহবাগ ছাড়া অন্য কোথাও ‘ব্লকেড’ দিবেন না: হাসনাত আবদুল্লাহ
চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি নির্বাচনে জয়ী হলেন যারা
ছয়টি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়েছে ভারত, পড়েছে নিজেদের রাজ্যেই
শাহবাগে বিক্ষোভে উত্তাল জনতা, খালেদা জিয়ার উপস্থিতি চায় ইনকিলাব মঞ্চ
১৭ বছর পর দেশে ফিরে মসজিদে জুমার নামাজ পড়লেন জোবাইদা রহমান
ভারতে ইউটিউবে বন্ধ যমুনা-বাংলাভিশনসহ ৪ বাংলাদেশি টিভি চ্যানেল
আটকের পরও যে ফোনে ছেড়ে দেওয়া হয় আবদুল হামিদকে
নওগাঁয় দুলাভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে গ্রেপ্তার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা
বাংলাদেশ সফরে আসছে না ভারত, অনিশ্চিত এশিয়া কাপ
আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল শাহবাগ, জনস্রোতে ভরপুর রাজপথ
বিএনপি ছাড়া সব রাজনৈতিক দল এখন শাহবাগে: সারজিস আলম