বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪ | ৭ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

তলে তলে সংগঠিত হচ্ছে জামায়াত

প্রকাশ্য রাজনীতিতে দেখা না গেলেও তলে তলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশব্যাপী নিজেদের সংগঠিত করছে। সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে নীরবে। গত কয়েক বছরে জামায়াতে ইসলামী প্রকাশ্যে সভা সমাবেশ করেনি। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র পিছিয়ে নেই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলটি। যদিও রাজনৈতিক দল হিসেবে সংগঠনটির নিবন্ধন বাতিল হয়েছে অনেক আগে।

জামায়াতের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সংগঠনটিকে এখন ভিন্ন কৌশলে ভিন্ন নামে রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করার উদ্যোগ নিচ্ছেন দলটির নেতারা।

জামায়াতের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকারের নানা দমন পীড়নের পরও সক্রিয় জামায়াত ইসলামী। দলটি তার নিজস্ব গতিধারা বজায় রেখেই সামনে এগিয়ে যাবে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, আপাতত তারা প্রকাশ্য রাজনীতিতে কিছুটা নিষ্ক্রিয় থাকবে। মিছিল-মিটিং বা সভা-সমাবেশের মতো কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাবে না। শুধু সংগঠন গোছানোর কাজে মনোযোগ দেবে। অস্তিত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নাম পরিবর্তনের চিন্তা করছে। তবে কোনো কিছুই চূড়ান্ত হয়নি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অতীত ভুলের জন্য প্রয়োজনে ক্ষমা চেয়ে জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধের চেতনায় রাজনীতিতে সক্রিয় থাকতে চায় জামায়াতের তরুণ নেতারা। তাদের যুক্তি হচ্ছে, তখন যুদ্ধাপরাধের তীর আর তাদের বিদ্ধ করতে পারবে না, বরং লাভবানই হবে। কারণ শত প্রতিকূলতার মাঝেও দলটির সেই সাংগঠনিক ক্ষমতা ও দক্ষতা এখনো অটুট রয়েছে।

২০ দলীয় জোট, দলের নিবন্ধন ও নতুন নামে রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘এসব বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারছি না। যখন কোনো কিছু বলার মতো হবে, তখন অবশ্যই জানানো হবে। এমন কিছু হলে তো আমরা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েই করব। এ বিষয়ে কিছু জানতে চাইলে দলের সেক্রেটারি জেনারেলের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি।’

পরবর্তীতে দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মাছুম এর সঙ্গে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

বেশকিছুদিন আগে জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, বিএনপি জোটের সঙ্গে তারা আর নেই ৷ তবে যুগপৎ আন্দোলন হতে পারে ৷ তিনি জামায়াতের এই জোটে না থাকার জন্য বিএনপিকেই দায়ী করেছেন ৷ কিন্তু কয়েকজন জামায়াত নেতা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেছেন, ‘ডা. শফিকুর রহমান এক ঘরোয়া অনুষ্ঠানে জোট প্রসঙ্গে কথা বলেছেন ৷ দলের আমীরের এটা অফিসিয়াল বক্তব্য হলে তো আমরা প্রেস রিলিজ দিয়ে সংবাদ মাধ্যমকে জানাতাম।’

জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে জোট ছাড়ার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। জোটে থাকা না থাকার বিষয়েও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। জোটে থাকলেও এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে আছি। আর জোটে না থাকলেও তো এই সরকারের বিরুদ্ধেই যুগপৎ আন্দোলন করতে রাজপথে আছি।’

জানা যায়, রাজনৈতিক দল হিসেবে আদালত কর্তৃক জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল হয় ২০১৩ সালের ১ আগস্ট। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন মহল থেকে বিভিন্ন সময়ে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হচ্ছে, যদিও এখন পর্যন্ত সরকারের তরফে তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। তাই নিবন্ধন বাতিল হলেও রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামী সক্রিয় রয়েছে। তবে নিবন্ধন না থাকায় তারা দলীয় ব্যানার ও প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। অবশ্য বেনামে বা স্বতন্ত্র পরিচয়ে বা অন্য রাজনৈতিক দলের ব্যানারে জামায়াতের নেতারা যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে সেই দিক বিবেচনায় নিয়েই জামায়াত কৌশলগত কারণেই এখন প্রকাশ্য রাজনীতিতে নেই। কিন্তু অন্য রাজনৈতিক দলের ব্যানারে দলের নেতারা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন।

মাঠ পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশের প্রত্যেকটি জেলা উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে জামায়াতে ইসলামী তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে তারা একেক এলাকায় একেক কৌশলে কাজ চালাচ্ছে। কোথাও সামাজিক কার্যক্রমের মাধ্যমে, আবার কোথাও অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রাজনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে জামাযাতে ইসলামী।

২০০৯ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের বিচার শুরু হয়। যারা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে শুধু দেশের বিরোধীতাই করেনি, পাক বাহিনীর সহযোগী হিসেবে যুদ্ধাপরাধে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল। মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর আমীর মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, কামারুজ্জামানসহ অনেকের মৃত্যুদণ্ড হয়। একই অপরাধে এখনো একাধিক জামায়াত নেতা কারাগারে বন্দি আছেন।

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াত নেতাদের বিচারের রায়ে দেওয়া পর্যবেক্ষণে আদালত জামায়াতে ইসলামীকেও যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এ কারণে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে। তবুও রাজনীতিতে জামায়াত আছে বিএনপির ছত্রছায়ায়। এটা আরও পরিষ্কার রাজনৈতিক মহলের সমালোচনা, বিভিন্ন মহলের চাপ কোনো কিছুতেই বিএনপি-জামায়াতের সম্পর্কে ফাটল ধরাতে পারেনি। বিএনপি-জামায়াত কেউ কাউকে আনুষ্ঠানিকভাবে ছাড়েনি। সমালোচনা বরং একে অপরকে কাছে টানছে। কৌশলগতভাবেও জামায়াত বিএনপির তুলনায় অনেক এগিয়ে। তাই বিএনপিকে জামায়াতীকরণ করার কাজ তারা এগিয়ে নিতে পেরেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রচারণায় থাকাও জামায়াতের আরেকটি কৌশল। ইতিবাচক-নেতিবাচক যে কোনো বিষয়েই আলোচনায় থাকতে চায় জামায়াত।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের প্রভাবশালী একজন নেতা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘ভিন্ন নামে জামায়াত ইসলামী একটি নতুন সংগঠন গড়ে তোলার বিষয়ে আজ থেকে প্রায় দুই বছর পূর্বে আলোচনা শুরু হয়েছিল। কিন্তু সিদ্ধান্তহীনতার কারণে বিষয়টি তখন আটকে যায়। তবে সম্প্রতি এই বিষয়টি নিয়ে আবারো বৈঠক করা হয়। সেই বৈঠকে বেশকিছু নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিছু কাজ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে নেতাদের।’

তিনি বলেন, ‘দলের নীতিনির্ধারকরা মনে করেন আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকলে নিবন্ধন ইস্যুতে আইনগতভাবে যত প্রকারের উদ্যোগ বলেন, পদক্ষেপ বলেন সেটা করেও কোনো কার্যকর সিদ্ধান্ত আসবে না। ফলে জামায়াতে ইসলামীকে স্বতন্ত্র কিংবা অন্য কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। আর সেক্ষেত্রে অনেকের মতে বিএনপিই জামায়াতের জন্য সেই নিরাপদ স্থান। তাই যে যাই বলুক, জামায়াতে ইসলামী জোটে আছে, ভোটে আছে এমনকি যুগপৎ আন্দোলনেও থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘সংলাপ ইস্যুতে ২০ দলীয় জোটে সৃষ্ট ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জামায়াত-বিএনপি জোটে থাকা না থাকা এটা জামায়াতের নীতিগত অবস্থান নয়, কৌশলগত। শুধু মাত্র জামায়াত কিংবা বিএনপি নয়, সম্মিলিতভাবেই উভয় দলই রাজনৈতিকভাবে কৌশল নিয়েছে। অবশ্য এটা ঠিক যে, রাজনৈতিক কৌশল হিসেবেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারও চায় বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের বিচ্ছেদ ঘটুক। দুই দলের সম্মিলিত শক্তি তাদের জন্য ভোট ও আন্দোলনের মাঠে বিপজ্জনক, আলাদা হলে ঠিক তার উল্টো। তাই অনেক ক্ষেত্রে বিএনপির চেয়ে জামায়াতকেই সরকার তাদের গলার কাঁটা হিসাবে দেখছে। এই মুহূর্তে বিএনপিকে সরকার যতটা চাপে রাখতে চায়, জামায়াতকে হয়ত ততটা নয়।’

সম্প্রতি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, ‘আমাদের কে বলা হচ্ছে বিএনপি-জামায়াত আর জামায়াতকে বলা হয় যুদ্ধাপরাধীর দল, আমিও তা স্বীকার করি। কিন্তু নিবন্ধন বাতিল করলেন অথচ বেআইনি ঘোষণা করলেন না। তার মানে হচ্ছে আওয়ামী লীগ-জামায়াত তলে তলে সম্পর্ক বজায় রাখছে। তাই এখন থেকে আওয়ামী জামায়াত হবে, বিএনপি জামায়াত হবে না।’

অবশ্য জামায়াত এক বিবৃতিতে বলেছে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে যে রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত, অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন। তার বক্তব্যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন বাধাগ্রস্ত করার ইঙ্গিত লুকিয়ে রয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও বেআইনি ঘোষণা সংক্রান্ত বিষয়ে তার কথা ও মর্মবেদনায় জনগণের মধ্যে প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে, কার স্বার্থে এবং কাকে সন্তুষ্ট করার জন্য তিনি এ বক্তব্য প্রদান করেছেন?

এদিকে জামায়াত সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, জামায়াত যদি নতুন নামে পুনর্গঠিত হওয়ার কথা ভাবে তাহলে হয়তো জামায়াতের একটি বড় অংশ বিএনপিতে বিলীন হবে। কারণ বিএনপি হলো জামায়াতের স্বাভাবিক মিত্র। তা ছাড়া জামায়াতকে নিয়ে রাজনীতি এবং জামায়াতের রাজনীতি সহজে শেষ হচ্ছে না। জামায়াত মাঠ ছাড়বে না। আর্থিকভাবে যতদিন দুর্বল না হবে ততদিন দলটি কৌশলের খেলা অব্যাহত রাখবেই। অন্য রাজনৈতিক দলগুলো ভুল বারবার করলেও জামায়াত ভুলের পুনরাবৃত্তি কম করে।

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad

আওয়ামী লীগ আর কখনোই রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না: তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগ আর কখনোই বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না। বুধবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, "আওয়ামী লীগ যে মতাদর্শ এবং প্রক্রিয়ায় রাজনীতি করেছে, তাতে তাদের আর রাজনীতিতে ফিরে আসার কোনো সুযোগ নেই। যদি আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসে, তবে তা হবে গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের সঙ্গে প্রতারণা। আমরা আমাদের জীবন থাকতে তা হতে দেব না।"

তিনি আরও বলেন, "শেখ হাসিনা নিয়মতান্ত্রিকভাবে পদত্যাগ করেননি। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে, যা স্পষ্ট। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে বাংলাদেশের ছাত্র জনতা। এ অবস্থায়, আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার অধিকার থাকবে কিনা, তা নিয়ে কোনো দ্বিধা নেই। একটি ফ্যাসিস্ট দল কখনোই গণতান্ত্রিক কাঠামোতে রাজনীতি করতে পারে না।"

নাহিদ ইসলাম দাবি করেন, "ওয়ান-ইলেভেনের সময় থেকে ফ্যাসিবাদী শাসনের সূত্রপাত হয়েছে। বিশেষ করে ২০১৮ সালের পর থেকে ছাত্র নেতৃত্বের উত্থান ঘটে। সরকার এই আন্দোলনকে রাজনৈতিকভাবে দমন করতে চেয়েছিল। পুলিশের গুলিতে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ নিহত হলে জনগণ রুখে দাঁড়ায়। আমাদের লড়াই ছিল আত্মমর্যাদা ও সম্মানের লড়াই।"

তিনি আরও বলেন, "গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে অন্তর্বর্তী সরকার এসেছে, তাকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে তুলনা করা ভুল। তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি নির্ধারিত সময়ের জন্য নির্বাচন আয়োজন করে ক্ষমতা হস্তান্তর করে। কিন্তু এবারকার সরকারকে সংস্কার করতে হবে। না হলে গণতান্ত্রিক নির্বাচন ব্যবস্থা মসৃণ হবে না।"

Header Ad

প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিবের নিয়োগ বাতিল এক দিনের ব্যবধানে

মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক। ছবি: সংগৃহীত

দিনের ব্যবধানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একান্ত সচিব হিসেবে মোহাম্মদ মোজাম্মেল হকের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ নিয়োগ শাখা থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়। এর একদিন আগে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মন্ত্রণালয়ের একটি আদেশে গুরুত্বপূর্ণ এই পদে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক (পরিচিতি নং ২০৯), মহাপরিচালক এবং মিনিস্টার ও ডেপুটি চিফ অব মিশন, বাংলাদেশ দূতাবাস, চীন-কে প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য তার চাকরি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্তকরণের সিদ্ধান্ত অনিবার্য কারণে বাতিল করা হয়েছে।

মোজাম্মেল হক বর্তমানে বেইজিংয়ের বাংলাদেশ দূতাবাসে মিনিস্টার এবং ডেপুটি চিফ অব মিশন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বিসিএস পররাষ্ট্র ক্যাডারের ২৫তম ব্যাচের সদস্য এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে শিক্ষাজীবন সম্পন্ন করেন। তার পেশাগত জীবনে চীনে উপ-রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন ছাড়াও মেক্সিকো ও যুদ্ধকবলিত লিবিয়ায় অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে।

Header Ad

সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করলো সরকার

ছবি: সংগৃহীত

আজ বুধবার (২৩ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক শাখা-২ থেকে প্রকাশিত এই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর বিভিন্ন সময় বিশেষ করে গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একাধিক হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন, গণরুমকেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নসহ বিভিন্ন জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিল। এসব ঘটনায় দেশের প্রধান গণমাধ্যমে প্রমাণ্য তথ্য প্রকাশিত হয়েছে এবং কিছু মামলায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের অপরাধ আদালতে প্রমাণিত হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ১৫ জুলাই থেকে চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সশস্ত্র হামলা চালিয়ে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ জনগণের ওপর আক্রমণ করে। এতে শতাধিক নিরপরাধ শিক্ষার্থীসহ আরও অনেকের জীবন বিপন্ন হয়। এ বিষয়ে সরকারের কাছে পর্যাপ্ত প্রমাণ রয়েছে। এছাড়াও, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও ছাত্রলীগ রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র, ধ্বংসাত্মক ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ এর ধারা ১৮ এর উপ-ধারা (১) অনুযায়ী সরকার বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে এবং আইনের তফসিল-২ এ 'বাংলাদেশ ছাত্রলীগ' নামীয় সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্ত্বা হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।

এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আওয়ামী লীগ আর কখনোই রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না: তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিবের নিয়োগ বাতিল এক দিনের ব্যবধানে
সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করলো সরকার
আলোচিত সাবেক ইসি সচিব হেলাল উদ্দিন আটক
বিরামপুরে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’: দেশের চার বন্দরের জন্য ঝুঁকি বেড়েছে
হাসপাতালেও দাপ্তরিক কাজ সম্পাদন করছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা
সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
ঢাকায় আসছে উচ্চ পর্যায়ের মার্কিন প্রতিনিধি দল
সচিবালয়ে ঢুকে পড়া অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আটক
দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ড গড়লেন কিউই ব্যাটার
সরকারকে সন্দেহের চোখে দেখছে জনগণ: রিজভী
রোমানিয়া থেকে ৯ মাসে ২৬৮ বাংলাদেশিকে ফেরত
৩০ অক্টোবর হজ প্যাকেজ ঘোষণা করবে সরকার
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
নেতানিয়াহুর বেডরুমে এবার হিজবুল্লাহর ড্রোনের আঘাত
ঢাবিতে কালো মুখোশ পরে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল
কথা দিচ্ছি ‘কেজিএফ থ্রি’ অবশ্যই হবে: যশ
১১ ঘণ্টা পর খুলনার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
দেশে নতুন করে কোনো সংকট তৈরি হোক সেটা চায় না বিএনপি: নজরুল ইসলাম