
রাজনৈতিক দলগুলোর অনাগ্রহেও থেমে নেই ইসির নির্বাচনী প্রস্তুতি
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০১:৪০ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৫:১০ এএম

রাজনীতির মাঠ এখন সরগরম। একদিকে নির্বাচনী হাওয়া শুরু হয়েছে, অপরদিকে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। ঠিক সেই সময়েই আগামী নির্বাচনের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে ব্যস্ত সময় পার করছে নির্বাচন কমিশন।
ইসির ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে ভোট গ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেজন্য ভোটার তালিকা হালনাগাদ, সীমানা পুনঃনির্ধারণসহ নিজেদের কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে।
তবে নির্বাচন কমিশন নিজেদের ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী কাজ শুরু করলেও কমিশনের উপর অনাস্থা জানিয়ে নির্বাচনে যেতে নিজেদের অনাগ্রহের কথা জানিয়ে দিয়েছে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল। বিএনপিসহ তাদের মিত্রদের জোট বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো ভোটে যেতে চায় না।
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ইস্যুতে বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল অনাস্থা জানিয়েছে। তারপরও ভোটে ইভিএম ব্যবহারে জোর দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তারা আগামী সংসদ নির্বাচনে অনধিক দেড়শ আসনে ইভিএম ব্যবহারের টার্গেটের কথা জানিয়েছে। নিজেদের চাওয়াকে বাস্তবে রূপ দিতে ইভিএম কেনার অনুমোদনও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
কিন্তু ইসির এই সিদ্ধান্তকে একগুয়েমি বলে মনে করছে অনেক রাজনৈতিক দল। বিএনপিসহ সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো তো বটে, সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টিও মনে করছে, যাদের জন্য ভোটের আয়োজন তাদের সবার কথা উপেক্ষিত রেখেই নিজেদের মতো পথচলা শুরু করেছে কমিশন। এতেই তাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে অবগত সাধারণ ভোটাররা।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছে, নির্বাচন কমিশনের রোডম্যাপ মূল্যহীন। তাদের সুষ্ঠু নির্বাচন করার ক্ষমতা নেই। শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশন স্ববিরোধী কথা বলছে।
একই অভিযোগে ইসিকে জনতার কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে বিএনপিসহ তাদের মিত্র দলগুলো। আওয়ামী লীগ ও তাদের ঘনিষ্ঠ শরিক দলগুলো ছাড়া সব রাজনৈতিক দল যখন ইসির কাজে আস্থাহীন তখনও নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় কমিশন।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশন যে সংলাপ করেছিল সেখানে নিবন্ধিত ৩৯টি দলের মধ্যে ২৯টি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে। সেই সংলাপে নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে ১২টি দল সরাসরি মতামত দিয়েছে। আর ইভিএম এর বিপক্ষে মতামত দিয়েছে ৬টি দল। শর্ত সাপেক্ষে ইভিএমের পক্ষে ১১টি দল।
অথচ নির্বাচন কমিশন বলছে, ১৭টি রাজনৈতিক দল ইভিএমের পক্ষে তাদের মতামত দিয়েছে। যা মোটেই সঠিক নয় বলে দাবি করছে রাজনৈতিক দলগুলো। তারা বলছে, নির্বাচন কমিশনের এই বক্তব্য অগ্রহণযোগ্য।
নির্বাচন কমিশনের প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, ৩৯টি দলের মধ্যে ১২টি দল যদি সরাসরি ইভিএম এর পক্ষে মতামত দেয় বাকি ২৭টি দলই তাদের সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে। অর্থাৎ এক তৃতীয়াংশ দলই ‘না’ অবস্থানে। তারপরও কর্ণপাত করছে না নির্বাচন কমিশন।
এত কিছুর পরেও নির্বাচন কমিশন যখন ভোটের পথে তখন সেটাকে সন্দেহের চোখে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। এবিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও তাদের অতি ঘনিষ্ঠ শরিক ছাড়া সবাই ইভিএম এর বিপক্ষে মতামত দিয়েছে। শুধু তাই না বিশিষ্টজনেরাও ইভিএম এর বিপক্ষে মতামত দিয়েছে। সবার মতামতকে উপেক্ষা করে নির্বাচন কমিশন কার স্বার্থে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করল? এখানে নিরপেক্ষ নির্বাচনের সন্দেহটা বাড়িয়ে দিল।’
তিনি বলেন, রোডম্যাপ বা ইভিএম মেশিন কেনার আগে তাদের নিজেদের প্রতি ভোটার ও রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা ফেরাতে উদ্যোগী হওয়া জরুরি।
নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা ব্রতির সিইও শারমিন মুরশীদ ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, নির্বাচন কমিশন দেড়শ আসনে ইভিএম ব্যবহারের কথা জানিয়েছে। এটা অযৌক্তিক। এটা যুক্তিসঙ্গত একটা সিদ্ধান্ত নয়। এই সিদ্ধান্তটা সন্দেহের জায়গাটা আরও সুদৃঢ় করবে। মানুষ এটাকে গ্রহণ করতে চাইবে না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নির্বাচন কমিশনের নির্বাচনী ট্রেন দলমতের মতামতের বিপক্ষে। এ কারণে কমিশনের জন্য কঠিন কাজ হবে গন্তব্যে পৌঁছানো। রোডম্যাপ বা নির্বাচনী প্রস্তুতির আগে নিজেদের নিরপেক্ষতা প্রমাণের ওপর জোর দিলেন বিশ্লেষকরা।
এনএইচবি/এসএন

মোটরসাইকেল তল্লাশিতে বেরিয়ে এল ১৬ কোটি টাকার সোনা
২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১২:২১ পিএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৫৩ এএম

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা সীমান্ত থেকে ১৬ কেজি ওজনের ৯৬টি সোনার বার জব্দ করেছে বিজিবি। এসময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে নাজমুল ইসলাম (৩১) নামের এক পাচারকারীকে।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকালে দামুড়হুদার সীমান্তবর্তী রুদ্রনগর গ্রামে এ অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তার নাজমুল দর্শনার শ্যামপুরের আসাদুল হকের ছেলে।
চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের (বিজিবি) পারচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান জানান, অভিযানের সময় চোরাকারবারী নাজমুল ইসলাম মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু বিজিবি সশস্ত্র টহলদল তাকে আটক করতে সক্ষম হয়। এসময় তল্লাশি চালিয়ে ৯৬টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়, যার ওজন ১৬ কেজি ১৪ গ্রাম। এর আনুমানিক মূল্য ১৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এ ঘটনায় দর্শনা থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

‘ভোটার আইডি হ্যাক করে বিএনপি নেতাদের মনোনয়নপত্র তোলা হচ্ছে’
২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৪৭ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৫৫ এএম

ভোটার আইডি হ্যাক করে বিএনপির নেতাদের নামে মনোনয়নপত্র তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে সরকার প্রতারণা করার চেষ্টা করছে। নেতারা জানেনও না, এরপরও তাদের নামে মনোনয়নপত্র কেনা হচ্ছে। যেহেতু পরিচয়পত্রের সব তথ্য সরকারের হাতে, অতএব এটার মাধ্যমে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নামে মনোনয়ন ফরম কিনছে। এখন সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্রকেও ব্যবহার করা হচ্ছে মহাজালিয়াতির জন্য।
রিজভী বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন জানেন না, তার নাম দিয়ে, হ্যাক করা ন্যাশনাল আইডি কার্ড নিয়ে তার ফরম তোলা হয়েছে। পরে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশ এখন এক দীর্ঘ মেয়াদি সংকটের দিকে যাচ্ছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকারের মাস্টারপ্ল্যানের অংশ হিসেবে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর তাণ্ডব শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সোমবার ডিবি প্রধান ২৮ অক্টোবরে ঘটনার পেছনে যুব দলের নেতাকর্মীরা জড়িত বলে আটকদের স্বীকারোক্তি দিয়ে যেসব বক্তব্য রেখেছেন তাকে মিথ্যাচার বলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন রিজভী।
তিনি আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৩৩৫ জনের বেশি নেতাকর্মী গ্রেপ্তার ও ৯ মিথ্যা মামলায় ১ হাজার ১৩৫ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। বিএনপির এ নেতা বলেন বলেন, দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর ফেনীর গ্রামের বাড়িতে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বোমা নিক্ষেপ করে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ব্যাপক ক্ষতি করেছে। এ ঘটনায় তিনি নিন্দা জানান।
বিভাগ : জাতীয়
বিষয় : বিএনপি , মনোনয়নপত্র , অভিযোগ , সংবাদ-সম্মেলন , ভোটার-আইডি-হ্যাক , রুহুল-কবির-রিজভী , জাতীয়-পরিচয়পত্র , জাতীয়-নির্বাচন

খাবারের ব্যবসায় নামছেন আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা
২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৩০ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১১:০৩ এএম

এবার খাবারের ব্যবসায় নামছেন আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা। 'হ্যাংজু মা'স কিচেন ফুড' নামের একটি স্টার্টআপ কোম্পানি শুরু করেছেন চীনা এই ধনকুবের। চীনের পাবলিক রেকর্ডের তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটি গত বুধবার পূর্ব চীনে, মা-এর নিজ শহর হ্যাংজুতে নথিভুক্ত হয়েছে।
দেশটির ন্যাশনাল এন্টারপ্রাইজ ক্রেডিট ইনফরমেশন পাবলিসিটি সিস্টেমের তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটি খাদ্য আমদানি-রপ্তানি, ভোজ্য কৃষিপণ্য ও প্রি-প্যাকেজ খাদ্যের ব্যবসা করবে। কোম্পানিটি নিবন্ধনের সময় প্রায় ১.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণের মূলধন দেখিয়েছে। আর এর মালিকানাতে যে প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেটির ৯৯.৯ ভাগ মালিকানা জ্যাক মা-এর দখলে।
যদিও নতুন এই কোম্পানিটির পক্ষ থেকে বিজনেস মডেল সম্পর্কে জনসম্মুখে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। এমনকি ঠিক কোন ধরণের খাবার বিক্রি করবে সেটিও নিশ্চিত করা হয়নি। অন্যদিকে গত সোমবার জ্যাক মা ফাউন্ডেশনের সাথে সিএনএন-এর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলেও তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ধারণা করা হচ্ছে যে, মা-এর প্রতিষ্ঠানটি সম্ভাবনাময়ী রেডিমেইড খাবারের বাজার দখল করতে মাঠে নামছেন। ইউরোমনিটর ইন্টারন্যাশনালের হিসেব মতে, চীনে রেডিমেইড খাবারের বাজার গত বছর ছিল ৯.৯ বিলিয়ন ডলারের। যা ২০১৮ সালের তুলনায় শতকরা ২৮ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
যদিও জ্যাক মা-এর কোম্পানিটি ঠিক কী উদ্দেশ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে সেটি পরিষ্কার নয়। তবে এক্ষেত্রে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন চায়না মার্কেট রিসার্চ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেন ক্যাভেন্ডার।
তিনি বলেন, "এটি এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে উদ্ভাবনের প্রচুর সুযোগ রয়েছে। প্যাকেটজাত খাবার ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ক্ষেত্রবিশেষে ভোক্তারা এই খাবারগুলি বেছে নিচ্ছে কারণ তারা ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যস্ত থাকায় ডাইনিং আকারে খাবার খাওয়ার জন্য আলাদা করে সময় পাচ্ছে না। আর তাই সময় স্বল্পতার জন্য তারা এই ধরণের খাবার বেছে নিচ্ছে।"
বেন ক্যাভেন্ডার আরও বলেন, "জ্যাক মা-এর কোম্পানি যদি ফলের মতো তাজা খাবার বিক্রিও শুরু করে তবে সেটিরও মার্কেটে বেশ বৈচিত্র্যপূর্ণ চাহিদা থাকবে। এছাড়াও এটি এমন একটি ক্ষেত্র যেটি ই-কমার্সের সাথে যুক্তের ফলে ভিন্ন মাত্রা যোগ হবে।"
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে জ্যাক মা আলিবাবা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ২০১৯ সালে তিনি কোম্পানিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এর আগে চীনের আর্থিক নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থার সমালোচনা করার দেশটির সরকারের রোষানলে পড়েছিলেন তিনি। এরপর দীর্ঘদিন নিজেকে অনেকটা আত্মগোপনেও রেখেছিলেন এই ধনকুবের।