আবাসন পরিকল্পনায় স্বল্প আয়ের মানুষ বরাবরই উপেক্ষিত

০৩ অক্টোবর ২০২২, ০৮:৩৭ এএম | আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২৩, ১১:২১ পিএম


আবাসন পরিকল্পনায় স্বল্প আয়ের মানুষ বরাবরই উপেক্ষিত

সরকারের আবাসন পরিকল্পনায় স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য তেমন কোনো উদ্যোগ নেই। অথচ এই শ্রেণির মানুষই সংখ্যাগরিষ্ঠ। এ অবস্থায় আজ সোামবার (৩ অক্টোবর) সারাবিশ্বে পালিত হচ্ছে বিশ্ব বসতি দিবস।

সরকারের পক্ষ থেকে আবাসনের বিষয়টি দেখে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের মতো প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠান উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের আবাসনেই কাজ করে গেছে বলে অভিযোগ নগরবিদ ও পরিবেশবাদীদের।

উদহারণস্বরূপ রাজউক পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প ও উত্তর তৃতীয় পর্ব প্রকল্পে ৩ কাঠা, ৫ কাঠা, ৭.৫ কাঠা ও ১০ কাঠার প্লট দিয়েছে। এসব প্লট দেওয়া হয়েছে রাজনৈতিক নেতা, সামরিক-বেসামরিক আমলা, চিকিৎসকসহ, উচ্চ ও মধ্যবিত্তসহ বিভিন্ন পেশাজীবীদের। অথচ ৩ থেকে ৪টি কিস্তিতে সামান্য কিছু টাকা পরিশোধ করে এসব জমির কাঠা কোটি টাকা করে বিক্রি করে দিয়েছেন বরাদ্দপ্রাপ্ত অনেকে।

অথচ স্বল্প আয়ের মানুষের জমি তো দূরের কথা ছোট আকারের ফ্ল্যাটের ব্যবস্থাও করা হয়নি। শুধু পূর্বাচল বা উত্তরা তৃতীয় পর্ব প্রকেল্পই নয়, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষসহ প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই এমন করেছে। তাদের পরিকল্পনায় স্বল্প আয়ের মানুষ কখনোই স্থান পায়নি। অথচ এসব বিত্তবান প্লট নেওয়ার ক্ষেত্রে হলফনামা দিয়েছে যে, তাদের মাথা গোঁজার কোনো ঠাঁই নেই।

পরিবেশবাদীদের অভিযোগ, এসব প্রকল্প করাও হয়েছে পরিবেশ-প্রতিবেশ ধ্বংস করে। প্রত্যেকটি প্রকল্প শুরুর সময়ই পরিবেশবাদী ও নাগরিক সংগঠনগুলো এর বিরোধীতা করেছে। কিন্তু সরকার পক্ষ কর্ণপাত করেনি।

পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাসের খান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, জরুরি উন্নয়ন পরিকল্পনা অংশগ্রহণমূলক করতে হবে। উন্নয়ন পরিকল্পনায় ধনীদের প্লট-ফ্ল্যাট দেওয়া হচ্ছে। ধনীদের জন্য রাস্তা-ফ্লাইওভার তৈরি করা হচ্ছে। অথচ দরিদ্রদের জন্য কোন ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে না। রাজউকের উত্তরা, পূর্বাচলসহ বিভিন্ন প্রকল্পে মন্ত্রী, এমপি, নেতাসহ ধনী পেশাজীবীদের প্লট দেওয়া হয়েছে।

পবা চেয়ারম্যান বলেন, অথচ এই শহরে দরিদ্র মানুষের সংখ্যাই বেশি। তাদের জন্যও ছোট ছোট বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে পারত সরকার। তাহলেই উন্নয়নটা টেকসই হতো। এই বিষয়টি নীতিনির্ধারকরা মাথায় না নিলে ঢাকা শহরের বিপদ আরও বাড়বে।

এ প্রসঙ্গে রাজউকের বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার (ড্যাপ) পরিচালক আশরাফুল ইসলাম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, এবারের ড্যাপে রাজধানীর ৫৫টি স্থানে সাশ্রয়ী মূল্যের ফ্ল্যাট নির্মাণের পরিকল্পনা আছে। প্রথমে চারটি এলাকায় পাইলট প্রকল্প হবে। এই চারটি এলাকা হলো-মোহাম্মদপুর, কেরানীগঞ্জ, মিরপুর ও শ্যামপুরের কদমতলী।

বিশ্ব বসতি দিবস উপলক্ষে নগর পরিকল্পনাবিদদের সংগঠন ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) এক পরিকল্পনা সংলাপেও পরিকল্পনাবিদরা স্বল্প আয়ের আবাসনকে নীতি প্রণোদনা দেওয়ার পাশাপাশি নাগরিক সুবিধা প্রদান করে সবার জন্য মানসম্মত আবাসন নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে মত দেন।

তারা বলেন, ঢাকা মহানগরীর আবাসনের সংকট মূলত নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য অত্যন্ত তীব্র হওয়াতে আবাসন পরিকল্পনায় স্বল্প আয়ের আবাসনকে বিশেষ প্রণোদনা ও প্রাধান্য দেয়া উচিত। ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা ও কাঠামোগত পরিকল্পনায় প্রস্তাবিত কৌশল ও প্রণোদনা স্বল্প আয়ের আবাসনের জোগানে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

এনএইচবি/এমএমএ/

 


মালয়েশিয়ায় ভবন ধসে ৩ বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু

২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৫৭ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০২ পিএম


মালয়েশিয়ায় ভবন ধসে ৩  বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু
ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ার পেনাংয়ে নির্মাণাধীন ভবন ধসে ৩ জন নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া দুর্ঘটনার পর বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন।

ধসে পড়া এই নির্মাণাধীন ভবনের সকল শ্রমিকই বাংলাদেশি ছিলেন বলে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাতে ভবন ধসে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্রেইট টাইমস এবং ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৯.৪৫ মিনিটের দিকে মালয়েশিয়ার পেনাংয়ে নির্মাণাধীন একটি ভবন ধসে পড়ে। সেই ঘটনার পর উদ্ধারকারীরা এখনও চারজন নিখোঁজ শ্রমিকের খোঁজে ধ্বংসস্তূপের নিচে সন্ধান করছেন।

পেনাংয়ের ডেপুটি পুলিশ প্রধান মোহাম্মদ ইউসুফ জান মোহাম্মাদ বলেন, এখনও পর্যন্ত উদ্ধারকারীরা আটকে পড়া ৯ শ্রমিকের মধ্যে পাঁচজনকে খুঁজে পেয়েছেন।

ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘ঘটনার সময় প্রায় ১২ মিটার লম্বা এবং প্রায় ১৪ টন ওজনের একটি বিম ভেঙে পড়ে এবং এই ঘটনায় আরও ১৪টি বিম ভেঙে পড়েছিল। নির্মাণাধীন এই সাইটে কাজের জন্য ১৮ জন শ্রমিক নিয়োগ করা হয়েছিল। এ সময় তারা কেউ নামাজের জন্য বের হননি।’

তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত, আমরা তিনজন নিহত ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছি – দুজন যারা ঘটনাস্থলে মারা গেছেন এবং অন্য একজন হাসপাতালে মারা গেছেন। গুরুতর আহত অন্য দুজনকে চিকিৎসার জন্য পেনাং হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, এখানে কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের সবাই ছিলেন বাংলাদেশি নাগরিক। আমরা বিশ্বাস করি, ধসে পড়া কাঠামোর নিচে আরও চারজন আটকা পড়ে আছেন।

যদিও ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে বলছে, দুর্ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদ ইউসুফ।

এদিকে পেনাং ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি ডিরেক্টর জুলফাহমি সুতাজি বলেছেন, ধসে পড়া কাঠামোর ওজন বেশি হওয়ায় উদ্ধার প্রচেষ্টা বেশ কঠিন হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ভারী কাঠামো অপসারণ করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে যাওয়ার জন্য আমাদের বড় যন্ত্রপাতি দরকার।’

এর আগে ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়, ধ্বংসস্তূপের নিচে অন্তত নয়জন শ্রমিক আটকা পড়েন। দুর্ঘটনার পর তল্লাশি ও উদ্ধার কাজ এখনও চলছে।

অন্যদিকে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের শাইক ইসমাইল আলাউদ্দীন বলেছেন, তারা এখনও দুর্ঘটনায় হতাহতদের বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য অপেক্ষা করছেন।

তিনি বলেছেন, ‘অফিশিয়ালি (আনুষ্ঠাসিকভাবে) কোনও তথ্য জানার আগে আমরা কোনও ধরনের বিবৃতি দিতে পারি না। আমি ঠিকাদারকে ক্ষতিগ্রস্তদের বিবরণ দিতে বলেছি। যদিও আমরা জানি, তারা বাংলাদেশ থেকে এসেছে, তবে কোনও বিবৃতি দেওয়ার আগে তাদের পরিচয় শনাক্ত করার জন্য আমাদের নথি দরকার।’

 


গাজীপুরে যাত্রীবাহী বাসে আগুন

২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৪৩ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০২ পিএম


গাজীপুরে যাত্রীবাহী বাসে আগুন
ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের উত্তর সালনা এলাকায় ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের যাত্রীবাহী একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উত্তর সালনা এলাকায় কয়েকজন দুর্বৃত্ত একটি বাসে দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ করে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আধঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, বাসে অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আধঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে বাসের সামনের অংশ পুড়ে গেছে। তবে কেউ হতাহত হয়নি।

 


মোটরসাইকেল তল্লাশিতে বেরিয়ে এল ১৬ কোটি টাকার সোনা

২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১২:২১ পিএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০১ পিএম


মোটরসাইকেল তল্লাশিতে বেরিয়ে এল ১৬ কোটি টাকার সোনা
মোটরসাইকেল তল্লাশিতে বেরিয়ে এল ১৬ কোটি টাকার সোনা। ছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা সীমান্ত থেকে ১৬ কেজি ওজনের ৯৬টি সোনার বার জব্দ করেছে বিজিবি। এসময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে নাজমুল ইসলাম (৩১) নামের এক পাচারকারীকে।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকালে দামুড়হুদার সীমান্তবর্তী রুদ্রনগর গ্রামে এ অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তার নাজমুল দর্শনার শ্যামপুরের আসাদুল হকের ছেলে।

চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের (বিজিবি) পারচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান জানান, অভিযানের সময় চোরাকারবারী নাজমুল ইসলাম মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু বিজিবি সশস্ত্র টহলদল তাকে আটক করতে সক্ষম হয়। এসময় তল্লাশি চালিয়ে ৯৬টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়, যার ওজন ১৬ কেজি ১৪ গ্রাম। এর আনুমানিক মূল্য ১৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এ ঘটনায় দর্শনা থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

অনুসরণ করুন