
অনলাইন জুয়ার রমরমা ব্যবসা, কঠোর অবস্থানে সরকার
২৫ অক্টোবর ২০২২, ০৫:৫৩ পিএম | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:০২ পিএম

দেশে অনলাইনে জুয়ার রমরমা ব্যবসা চলছে। বিষয়টি নজরে আসায় জুয়া খেলার ওয়েবসাইট ও অ্যাপগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে সরকার। ইতিমধ্যে ৬ হাজারেরও বেশি ওয়েবসাইট ও অ্যাপ ব্লক করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (বিটিআরসি)। আরও ২৪৬টি অ্যাপ ও ওয়েবসাইট লিংক ব্লক করতে আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গুগল, ফেসবুক ও ইউটিউবকে চিঠি দিয়েছে বিটিআরসি।
বাংলাদেশে অনলাইনে জুয়া খেলায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই টাকার লেনদেন হয় মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের (এমএফএস) মাধ্যমে। তাই বিকাশ, নগদ, রকেটসহ সব এমএফএস অপারেটরকে গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টস নিয়মিত মনিটরিং করতে নির্দেশনা দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এ ছাড়া, ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড সহজলভ্য হওয়ায় লেনদেনে এগুলোও ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ ব্যাংককেও চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত একটি বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব জুয়ার ওয়েবসাইট ও অ্যাপের কারণে ই-কমার্সের গ্রাহকদের আস্থা কমে যাওয়ায় এমন উদ্যোগ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বৈঠকে উপস্থিত একটি এমএফএস অপারেটরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, এমএফএস অপারেটররা সহজেই এমন ধরনের গ্রাহকদের সনাক্ত করতে পারে যারা অনলাইন ট্রান্সন্যাশনাল জুয়ার সঙ্গে জড়িত। আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থাও নিয়ে থাকি।
বিটিআরসি সূত্র জানায়, গুগল প্লে স্টোরে এমন ১৫০টি অ্যাপ রয়েছে। এর মধ্যে ১৪টি অ্যাপ বিটিআরসি’র আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গুগল মুছে ফেলেছে। বাকি ১৩৬টি অ্যাপ বন্ধেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। ফেসবুক এবং ইউটিউবও সম্প্রতি ১৭টি জুয়ার লিংক ব্লক করেছে।
জানা যায়, গত কয়েক বছরে মোট ৬ হাজার ওয়েবসাইট ও অ্যাপ ব্লক করেছে বিটিআরসি।বর্তমানে আরও ৩০০টি ওয়েবসাইট মনিটরিংয়ে রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এমএফএস অপারেটরগুলোর প্রতিনিধিরা বৈঠকে বলেছেন, গ্রাহক বা এজেন্টের ছদ্মবেশে কোনো সন্দেহজনক লেনদেন হলেই সেটি বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইউ) জানানো হয়। তারপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও তথ্য সরবরাহ করা হয় যাতে তারা পদক্ষেপ নিতে পারে। বৈঠকে এমন কিছু ঘটনার উদহারণও দেন তারা
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক ও ডিজিটাল ই-কমার্স সেলের প্রধান মো. হাফিজুর রহমান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ই-কমার্স ব্যবসায়ী ও গ্রাহকদের আস্থা ব্যপকভাবে কমে গেছে এসব বেটিং ওয়েবসাইটের কারণে। এ কারণে আমরা বিটিআরসিকে এগুলো বন্ধে সহযোগিতা করছি।
এক প্রশ্নের জবাবে হাফিজুর রহমান বলেন, ব্লক করা কিছু ওয়েবসাইট ভার্চ্যুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্কের (ভিপিএন) মাধ্যমে খোলা যেতে পারে। এ ব্যাপারে বিটিআরসি গুগল বা ফেসবুককে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলবে, যাতে এগুলোর রিয়েলটাইম অবস্থাটা জানা যায়।
এনএইচবি/এমএমএ/

তদন্তের প্রয়োজনে ড. ইউনুসকে ডাকা হয়েছে, আসা না আসা তার ব্যাপার :দুদক চেয়ারম্যান
০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:৩৫ পিএম | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০১:৩৭ এএম

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেছেন, তদন্ত কর্মকর্তা প্রয়োজন মনে করেছেন তাই ডেকেছেন। ড. মুহাম্মদ ইউনুস দুদকে আসবেন কি না, এটা তার ব্যাপার।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন দুদক চেয়ারম্যান।
অর্থপাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোবেলজয়ী ড. ইউনূসসহ ১৩ জনকে দুদকে তলব করা হয়েছে। আগামী ৪ ও ৫ অক্টোবর দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ চলবে।
এদিন বিকেলে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কাউকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি কমিশনের কাজ নয়। মামলা হবে কি, হবে না এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে, এখন তদন্ত কর্মকর্তা ঠিক করবেন কাকে ডাকবেন তিনি। যাকে প্রয়োজন মনে করবেন তাকে ডাকবেন। তার নিজস্ব বিষয় এটা।
তিনি আরও বলেন, তলবের বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের পর জানতে পেরেছি আমি। তদন্ত কর্মকর্তা প্রয়োজন মনে করেছেন, তাই ডেকেছেন। তিনি আসলে ভালো, আর না আসলে সেটা তার ব্যাপার।
এছাড়া ড. ইউনূসকে হয়রানি করা হচ্ছে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কেন হয়রানি করা হবে তাকে। শ্রমিকদের লভ্যাংশ আত্মসাতের অভিযোগের ভিত্তিতে কারখানা পরিদপ্তর থেকে তদন্ত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে তদন্ত করেছে দুদক এবং মামলা হয়েছে। আপনারা এটাকে কেন হয়রানি বলছেন?
এর আগে ২০২২ সালের ২৩ জুলাই নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে দুদকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দেয় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। অভিযোগে বলা হয়, ১৯৯৬ সাল থেকে গ্রামীণ টেলিকমের বেশিরভাগ লেনদেনই সন্দেহজনক। শুধু তাই নয়, আইএলওতে দেয়া শ্রমিকদের অর্থপাচারের অভিযোগেরও তদন্ত চায় সংস্থাটি।

আমেরিকার সঙ্গে আওয়ামী লীগের আপস হয়ে গেছে :ওবায়দুল কাদের
০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:৪৯ পিএম | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০১:৪৩ এএম

আমেরিকার সঙ্গে আওয়ামী লীগের আপস হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, দিল্লি কিংবা আমেরিকারসহ সবার সঙ্গে আওয়ামী লীগের বন্ধুত্ব রয়েছে, কারও সঙ্গে শত্রুতা নেই।
মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নিষেধাজ্ঞা কিংবা ভিসা নীতির পরোয়া করে না, বিএনপি যতই ষড়যন্ত্র করুক বাংলাদেশের সুষ্ঠু নির্বাচন হবেই হবে। নির্বাচন নিয়ে কোনও চিন্তা নেই, এটা সঠিক সময় অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি কোনো কারণে ফাউল করলে লাল কার্ড। তারা আন্দোলনের হেরে গেছে, নির্বাচনেও হেরে যাবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খালেদা জিয়া ছাড়া ইলেকশনে না যাওয়ার হুমকি বিএনপি আর কত দেবে? বিএনপি খালেদা জিয়া ছাড়া নির্বাচন করবে না, এ কথা একেবারেই মিথ্যা। তাদের নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার জন্য একটি আন্দোলনও করতে পারলেন না।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি আবারও ক্ষমতায় গেলে দেশের সম্পদ চুরি, লুটপাট, ষড়যন্ত্র সন্ত্রাস করবে। গণতন্ত্রকেও গিলে খাবে। আবারও এই দেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানাবে। তাদের নেতা কাপুরুষের মতো লন্ডনে পালিয়ে বেড়াচ্ছে কেন, সাহস থাকলে ঢাকায় আসুক।
দেশের জনগণকে শেখ হাসিনার উপর আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ছাড়া জনপ্রিয়, বিশ্বস্ত এবং সাহসী নেতা আর নেই। জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনার রাতের ঘুম হারাম।

অবৈধ সরকারকে বিদায় করেই ঘরে ফিরব: বিএনপির আমির খসরু
০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:৪৬ পিএম | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০১:৩৪ এএম

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, অবৈধ সরকারকে বিদায় করেই তার পর আমরা ঘরে ফিরব।
মঙ্গলবার সকালে রাজবাড়ী সদর উপজেলার গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় ২ ঘণ্টাব্যাপী রোডমার্চ অনুষ্ঠিত হয়। এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন আমির খসরু মাহমুদ চৌদুরী।
তিনি বলেন, মানবতার মা বেগম খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ। তাকে চিকিৎসা করা খুবই জরুরি কিন্তু সরকার নানান রকম দোহাই দিয়ে কালক্ষেপণ করছে।
তিনি বলেন, একটি অবৈধ সরকার ক্ষমতা টেকানোর জন্যে একের পর এক অবৈধ কাজ করে যাচ্ছে। তাদের ভয়, বেগম খালেদা জিয়া যদি দেশের বাইরে যান, তবে তাদের ক্ষমতাচ্যুত হতে হবে, তবে তারেক রহমান দেশে চলে আসবেন।
বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও প্রধান বক্তা বেগম সেলিমা রহমান, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও ফরিদপুর বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান মাশুক, জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও ফরিদপুর বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক শাহাজাদা মিয়া,বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং একদফা আদায়ের লক্ষ্যে ফরিদপুর বিভাগীয় রোডমার্চের উদ্বোধনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।