
বিদেশে অবস্থানরত অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সহজ নয়
০৬ জানুয়ারি ২০২৩, ০৫:৪১ পিএম | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:২০ পিএম

বিদেশে বসে যারা ‘অপপ্রচার’ করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সহজ নয় বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। কাজেই কমিটি গঠন বা রাষ্ট্রদূতদের নির্দেশনা দেওয়া হলেও অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সহজ হবে না।
বিদেশে বসে বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, সুইডেন, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সে বসবাসকারী কিছু বাংলাদেশি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও বক্তব্য দেন নিয়মিত। এসব ব্যক্তি বাংলাদেশে থাকাকালে সাংবাদিকতা, চিকিৎসাসহ নানা পেশায় যুক্ত ছিলেন।
ফ্রান্স প্রবাসী একজন ইউটিউবারের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। এ ছাড়া বিভিন্নভাবে তাদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিতে চেয়েছে বিভিন্ন সময়। জাতিসংঘে সাংবাদিকদের উদ্দেশে করা নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক বাংলাদেশি সাংবাদিকের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ডও বাতিল করার জন্য চেষ্টা করা হয়েছিল।
কূটনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। কারণ ওইসব দেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, মানবাধিকার ইস্যুগুলোকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়। ফলে সরকার চাইলেও ওইসব দেশ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চাইবে না।
জানতে চাইলে সাবেক রাষ্ট্রদূত এস এম আতিকুর রহমান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, যাদের কথা বলা হচ্ছে তারা মূলত বিশ্বের কয়েকটি দেশে বসবাস করছেন। এসব দেশে কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সহজ নয়। মানবাধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা প্রভৃতি বিষয়গুলোকে তারা অনেক গুরুত্ব দেয়। ফলে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হলেও সেভাবে সাড়া পাওয়া সহজ হবে না।
এক প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই রাষ্ট্রদূত বলেন, ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানাতে পারে আমাদের মিশনগুলো। সেই অনুযায়ী সেই দেশগুলো চাইলে ব্যবস্থা নিতে পারে।
জানা যায়, গত ১ জানুয়ারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ভার্চুয়াল ওই বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতদের নির্দেশনা দিয়ে বলেন, অপপ্রচার হলে ঢাকার দিকে তাকিয়ে থাকবেন না। অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।
এ ছাড়া বিদেশে বসে যারা অপপ্রচার করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে একটি কমিটিও করা হয়েছে। কমিটিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ২৫ শীর্ষ কর্মকর্তা আছেন বলে জানা যায়।
বৈঠক সূত্র জানায়, বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতদের নির্দেশনা দিয়ে বলেন, কোনো অপপ্রচার হলে আপনারা ঢাকার দিকে তাকিয়ে থাকবেন না। নিজেরাই জবাব দিন। রাষ্ট্রদূতদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনারা দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। কেউ মিথ্যাচার করলে সঙ্গে সঙ্গে জবাব দিন। মন্ত্রণালয় থেকে হুকুমের অপেক্ষায় থাকবেন না।
এতদিন যেটা হয়েছে অনেক দূতাবাস এগুলো জানানও না। এমন অনেক হয়েছে যে ঢাকা থেকেই তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যে ওখানে অপপ্রচার হচ্ছে। তারপর তারা নড়েচড়ে বসেন।
সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন রাষ্ট্রদূতদের আরও বলেন, অনেক সময় দেখা যায় যে খারাপ কিছু হলে আপনারা আমাদের জানাতে চান না। খারাপ কিছুও হতে পারে। আপনারা জানান। কারণ আমরা সবাই মিলে একটা টিম।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নির্বাচনের বছর তাই এমন একটা টেকনিক্যাল কমিটি করা হলো। যদিও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, এটা নির্বাচনের বছরকে উদ্দেশ্য করে করা হয়নি। নির্বাচনের বড়জোর এক-দুই মাস আগে এ ধরনের কাজ করা হয় অনেক দেশে। আমরা সেই কাজ এক বছর আগে করে ফেলব?
অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জনগণ এত বোকা না। তারা বকবক করার করুক। ১০ ডিসেম্বর নিয়েও কিছু পাগল বলেছিল সরকার পড়ে যাবে। কিন্তু সেইসব পাগলের কথা কেউ বিশ্বাস করেনি।
আরইউ/এসজি

তদন্তের প্রয়োজনে ড. ইউনুসকে ডাকা হয়েছে, আসা না আসা তার ব্যাপার :দুদক চেয়ারম্যান
০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:৩৫ পিএম | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৩:০১ এএম

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেছেন, তদন্ত কর্মকর্তা প্রয়োজন মনে করেছেন তাই ডেকেছেন। ড. মুহাম্মদ ইউনুস দুদকে আসবেন কি না, এটা তার ব্যাপার।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন দুদক চেয়ারম্যান।
অর্থপাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোবেলজয়ী ড. ইউনূসসহ ১৩ জনকে দুদকে তলব করা হয়েছে। আগামী ৪ ও ৫ অক্টোবর দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ চলবে।
এদিন বিকেলে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কাউকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি কমিশনের কাজ নয়। মামলা হবে কি, হবে না এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে, এখন তদন্ত কর্মকর্তা ঠিক করবেন কাকে ডাকবেন তিনি। যাকে প্রয়োজন মনে করবেন তাকে ডাকবেন। তার নিজস্ব বিষয় এটা।
তিনি আরও বলেন, তলবের বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের পর জানতে পেরেছি আমি। তদন্ত কর্মকর্তা প্রয়োজন মনে করেছেন, তাই ডেকেছেন। তিনি আসলে ভালো, আর না আসলে সেটা তার ব্যাপার।
এছাড়া ড. ইউনূসকে হয়রানি করা হচ্ছে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কেন হয়রানি করা হবে তাকে। শ্রমিকদের লভ্যাংশ আত্মসাতের অভিযোগের ভিত্তিতে কারখানা পরিদপ্তর থেকে তদন্ত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে তদন্ত করেছে দুদক এবং মামলা হয়েছে। আপনারা এটাকে কেন হয়রানি বলছেন?
এর আগে ২০২২ সালের ২৩ জুলাই নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে দুদকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দেয় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। অভিযোগে বলা হয়, ১৯৯৬ সাল থেকে গ্রামীণ টেলিকমের বেশিরভাগ লেনদেনই সন্দেহজনক। শুধু তাই নয়, আইএলওতে দেয়া শ্রমিকদের অর্থপাচারের অভিযোগেরও তদন্ত চায় সংস্থাটি।

আমেরিকার সঙ্গে আওয়ামী লীগের আপস হয়ে গেছে :ওবায়দুল কাদের
০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:৪৯ পিএম | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৩:১৩ এএম

আমেরিকার সঙ্গে আওয়ামী লীগের আপস হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, দিল্লি কিংবা আমেরিকারসহ সবার সঙ্গে আওয়ামী লীগের বন্ধুত্ব রয়েছে, কারও সঙ্গে শত্রুতা নেই।
মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নিষেধাজ্ঞা কিংবা ভিসা নীতির পরোয়া করে না, বিএনপি যতই ষড়যন্ত্র করুক বাংলাদেশের সুষ্ঠু নির্বাচন হবেই হবে। নির্বাচন নিয়ে কোনও চিন্তা নেই, এটা সঠিক সময় অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি কোনো কারণে ফাউল করলে লাল কার্ড। তারা আন্দোলনের হেরে গেছে, নির্বাচনেও হেরে যাবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খালেদা জিয়া ছাড়া ইলেকশনে না যাওয়ার হুমকি বিএনপি আর কত দেবে? বিএনপি খালেদা জিয়া ছাড়া নির্বাচন করবে না, এ কথা একেবারেই মিথ্যা। তাদের নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার জন্য একটি আন্দোলনও করতে পারলেন না।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি আবারও ক্ষমতায় গেলে দেশের সম্পদ চুরি, লুটপাট, ষড়যন্ত্র সন্ত্রাস করবে। গণতন্ত্রকেও গিলে খাবে। আবারও এই দেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানাবে। তাদের নেতা কাপুরুষের মতো লন্ডনে পালিয়ে বেড়াচ্ছে কেন, সাহস থাকলে ঢাকায় আসুক।
দেশের জনগণকে শেখ হাসিনার উপর আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ছাড়া জনপ্রিয়, বিশ্বস্ত এবং সাহসী নেতা আর নেই। জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনার রাতের ঘুম হারাম।

অবৈধ সরকারকে বিদায় করেই ঘরে ফিরব: বিএনপির আমির খসরু
০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:৪৬ পিএম | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০২:৪৮ এএম

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, অবৈধ সরকারকে বিদায় করেই তার পর আমরা ঘরে ফিরব।
মঙ্গলবার সকালে রাজবাড়ী সদর উপজেলার গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় ২ ঘণ্টাব্যাপী রোডমার্চ অনুষ্ঠিত হয়। এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন আমির খসরু মাহমুদ চৌদুরী।
তিনি বলেন, মানবতার মা বেগম খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ। তাকে চিকিৎসা করা খুবই জরুরি কিন্তু সরকার নানান রকম দোহাই দিয়ে কালক্ষেপণ করছে।
তিনি বলেন, একটি অবৈধ সরকার ক্ষমতা টেকানোর জন্যে একের পর এক অবৈধ কাজ করে যাচ্ছে। তাদের ভয়, বেগম খালেদা জিয়া যদি দেশের বাইরে যান, তবে তাদের ক্ষমতাচ্যুত হতে হবে, তবে তারেক রহমান দেশে চলে আসবেন।
বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও প্রধান বক্তা বেগম সেলিমা রহমান, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও ফরিদপুর বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান মাশুক, জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও ফরিদপুর বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক শাহাজাদা মিয়া,বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং একদফা আদায়ের লক্ষ্যে ফরিদপুর বিভাগীয় রোডমার্চের উদ্বোধনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।