মশার গানে উধাও হাতিরঝিলে বিনোদন

১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০১:৩১ এএম | আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ০৪:০৩ এএম


মশার গানে উধাও হাতিরঝিলে বিনোদন

দেয়ালে আবদ্ধ জীবনের ক্লান্তি দূর করতে সামান্য খোলা হাওয়া খেতে ছুটির দিনগুলোতে আশপাশের বাসিন্দারা হাজির হন হাতিরঝিলে। কখনো কখনো অন্য এলাকা থেকেও আসেন লোকজন। কিন্তু সেখানে হাওয়ার সঙ্গে উপরি হিসেবে খেতে হয় মশার কামড়। মন ভালো করতে গিয়ে শরীর খারাপ করে ফিরতে হয় ঘরে। তারপর দৌড়াতে হয় হাসপাতালে। খোলা জায়গায় ছোট বাচ্চাদের খেলাধুলার সুযোগ দিতে গিয়ে মশার কামড়ে বরং ক্ষতির সম্মুখীন হন বেশি। তবুও কর্মক্লান্তি ও বদ্ধজীবন থেকে সাময়িক মুক্তির জন্য তো আসতেই হয়। ঘুরতে আসা লোকজন জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই মশার উৎপাত বাড়লেও, তা নিধনে তেমন কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ে না।

তারা বলেন, শুধু হাতিরঝিল নয় মশার উপদ্রব ছড়িয়ে আছে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়। তবে হাতিরঝিলে একটু বেশি। এসব মশার কারণে নগরবাসী ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বাড়ার শঙ্কায় আছেন। হাতিরঝিলে মশার যন্ত্রণা এতটাই বেড়ে গেছে যে, পরিস্থিতি অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক খারাপ। মশার এমন উপদ্রব এর আগে কখনো দেখা যায়নি।

শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সরেজমিনে রাজধানীর দর্শনীয় স্থান ও বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত হাতিরঝিলে মশার উপদ্রব দেখা যায়।

রাজধানীর শনির আখড়া এলাকা থেকে হাতিরঝিলে ঘুরতে এসেছেন আবির রহমান। তিনি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, মাঝে মাঝে আমি পরিবার নিয়ে এখানে ঘুরতে আসি। যেভাবে মশার উপদ্রব বেড়েছে তাতে আর হাতিরঝিলে আসা যাবে না।

হাতিরঝিল এলাকায় বসবাসরত মো. বজলুর ক্ষোভ প্রকাশ করে ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, গত নভেম্বর থেকে ঝিল এলাকায় মশার উপদ্রব চরম আকার ধারণ করেছে। যা নিধনে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেই। কয়েক মাস ধরে মশার কামড়ে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। মশা এত বেশি বেড়েছে যে দলবেঁধে কামড়ায়।

রাব্বি হোসেন নমে আরেক দর্শনার্থী ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, বেশ কয়েকমাস ধরে হাতিরঝিলে মশার উপদ্রব ব্যাপক হারে বেড়েছে। মশার যন্ত্রণায় এখানকার মানুষ অতিষ্ঠ। ঝাঁক বেঁধে মশা কামড়ায়, থাপ্পড় দিলে একসঙ্গে অনেকগুলো মশা মারা পড়ে। তা ছাড়া এখানকার মশাগুলো আকারে অনেক বড় মনে হচ্ছে।

ঝিল এলাকায় ভাসমান চা বিক্রেতা মাহফুজ মিয়া ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, মশার কারণে এক জায়গায় বেশি সময় ধরে দাঁড়াতে পারি না। হাতিরঝিলে প্রচুর মশা বেড়েছে। হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মশা এলোমেলোভাবে কামড় দেয় আর সারা শরীর জ্বলে। এখানে মশার জন্য টেকা যায় না! এখানে মশা দমনে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেই বললেই চলে।

বনশ্রীর বাসিন্দা লক্ষ্মী রায় বলেন, বাসার পাশে হওয়ায় ছুটির দিনগুলোতে এখানে আসি প্রকৃতির সান্নিধ্য পেতে। কিন্তু এখানে বসা যায় না। ঝাঁক ধরে মাথার উপর মশা ঘুরে আর কোরাস গায়। শরীরের যেখানে কামড়ায় লাল হয়ে ফুলে যায়। কখনো চামড়া কালো হয়ে যায়। বাচ্চাদের অবস্থা আরও খারাপ হয়। ইট-পাথরের এই শহরে মন ফ্রেশ করতে এসে অসুস্থ হতে হয়। কোনো উদ্যোগও দেখা যায় না মশা দমন করতে। শুধু মশাই নয় হাতিরঝিলের পরিবেশ ঋতু অনুযায়ী পরিবর্তন হয়। কখনো কখনো দুর্গন্ধে পাঁচ মিনিটও বসা যায় না। বর্ষাকালেও হাতিরঝিলের পানি পরিষ্কার থাকে না। হাতিরঝিলে মলমূত্রের গন্ধও তীব্র আকার ধারণ করে গ্রীষ্মকালে।

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কোটি কোটি টাকার প্রকল্প যদি জনগণের কাজে না লাগে, শুধু দৃশ্যমানই থাকে তাহলে কী লাভ? শুধু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এসব বিনোদনকেন্দ্র থেকে বঞ্চিত হবে মানুষ? কর্তৃপক্ষকে জবাবদিহির আওতায় এনে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মশার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি মেনে নেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমান। তিনি বলেন, শীতে মৌসুমে ঋতুগত কারণে মশা একটু বেড়ে যায়। কারণ এডিস যেমন পরিষ্কার জমা পানিতে হয় তেমনি কিউলেক্স মশা নোংরা, অপরিষ্কার পানিতে হয়। শীতকালে এখন যে মশা সেটি মূলত কিউলেক্স মশা। অনেক জলাশয় শীতকালে শুকিয়ে যাওয়ায় সেখানে কিউলেক্স মশা হচ্ছে। আবার বর্ষাকালে জলাশয়ের পানি যেমন চলমান থাকে শীতকালে কিন্তু তেমন না। তাই এই সময়টাতে একটু মশা বেশি হয়ে থাকে। তবে আমরা এটি নিধনে প্রতিনিয়তই কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, সম্প্রতি ঢাকার খালগুলো আমরা পরিষ্কার করছি। এসব খাল থেকে কচুরিপানাও পরিষ্কার করা হয়েছে। খাল ও কচুরিপানায় যেসব মশা থাকত তার একটি অংশ উড়ে লোকালয়ে যাচ্ছে বা হয়তো হাতিরঝিলে তারা বিস্তার করছে।

কেএম/এসএন


মোটরসাইকেল তল্লাশিতে বেরিয়ে এল ১৬ কোটি টাকার সোনা

২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১২:২১ পিএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৫৩ এএম


মোটরসাইকেল তল্লাশিতে বেরিয়ে এল ১৬ কোটি টাকার সোনা
মোটরসাইকেল তল্লাশিতে বেরিয়ে এল ১৬ কোটি টাকার সোনা। ছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা সীমান্ত থেকে ১৬ কেজি ওজনের ৯৬টি সোনার বার জব্দ করেছে বিজিবি। এসময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে নাজমুল ইসলাম (৩১) নামের এক পাচারকারীকে।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকালে দামুড়হুদার সীমান্তবর্তী রুদ্রনগর গ্রামে এ অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তার নাজমুল দর্শনার শ্যামপুরের আসাদুল হকের ছেলে।

চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের (বিজিবি) পারচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান জানান, অভিযানের সময় চোরাকারবারী নাজমুল ইসলাম মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু বিজিবি সশস্ত্র টহলদল তাকে আটক করতে সক্ষম হয়। এসময় তল্লাশি চালিয়ে ৯৬টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়, যার ওজন ১৬ কেজি ১৪ গ্রাম। এর আনুমানিক মূল্য ১৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এ ঘটনায় দর্শনা থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।


‘ভোটার আইডি হ্যাক করে বিএনপি নেতাদের মনোনয়নপত্র তোলা হচ্ছে’

২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৪৭ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১১:১১ এএম


‘ভোটার আইডি হ্যাক করে বিএনপি নেতাদের মনোনয়নপত্র তোলা হচ্ছে’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

ভোটার আইডি হ্যাক করে বিএনপির নেতাদের নামে মনোনয়নপত্র তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে সরকার প্রতারণা করার চেষ্টা করছে। নেতারা জানেনও না, এরপরও তাদের নামে মনোনয়নপত্র কেনা হচ্ছে। যেহেতু পরিচয়পত্রের সব তথ্য সরকারের হাতে, অতএব এটার মাধ্যমে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নামে মনোনয়ন ফরম কিনছে। এখন সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্রকেও ব্যবহার করা হচ্ছে মহাজালিয়াতির জন্য।

রিজভী বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন জানেন না, তার নাম দিয়ে, হ্যাক করা ন্যাশনাল আইডি কার্ড নিয়ে তার ফরম তোলা হয়েছে। পরে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশ এখন এক দীর্ঘ মেয়াদি সংকটের দিকে যাচ্ছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকারের মাস্টারপ্ল্যানের অংশ হিসেবে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর তাণ্ডব শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

সোমবার ডিবি প্রধান ২৮ অক্টোবরে ঘটনার পেছনে যুব দলের নেতাকর্মীরা জড়িত বলে আটকদের স্বীকারোক্তি দিয়ে যেসব বক্তব্য রেখেছেন তাকে মিথ্যাচার বলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন রিজভী।

তিনি আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৩৩৫ জনের বেশি নেতাকর্মী গ্রেপ্তার ও ৯ মিথ্যা মামলায় ১ হাজার ১৩৫ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। বিএনপির এ নেতা বলেন বলেন, দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর ফেনীর গ্রামের বাড়িতে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বোমা নিক্ষেপ করে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ব্যাপক ক্ষতি করেছে। এ ঘটনায় তিনি নিন্দা জানান।


খাবারের ব্যবসায় নামছেন আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা

২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৩০ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১১:১২ এএম


খাবারের ব্যবসায় নামছেন আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা
আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা। ছবি: সংগৃহীত

এবার খাবারের ব্যবসায় নামছেন আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা। 'হ্যাংজু মা'স কিচেন ফুড' নামের একটি স্টার্টআপ কোম্পানি শুরু করেছেন চীনা এই ধনকুবের। চীনের পাবলিক রেকর্ডের তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটি গত বুধবার পূর্ব চীনে, মা-এর নিজ শহর হ্যাংজুতে নথিভুক্ত হয়েছে।

দেশটির ন্যাশনাল এন্টারপ্রাইজ ক্রেডিট ইনফরমেশন পাবলিসিটি সিস্টেমের তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটি খাদ্য আমদানি-রপ্তানি, ভোজ্য কৃষিপণ্য ও প্রি-প্যাকেজ খাদ্যের ব্যবসা করবে। কোম্পানিটি নিবন্ধনের সময় প্রায় ১.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণের মূলধন দেখিয়েছে। আর এর মালিকানাতে যে প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেটির ৯৯.৯ ভাগ মালিকানা জ্যাক মা-এর দখলে।

যদিও নতুন এই কোম্পানিটির পক্ষ থেকে বিজনেস মডেল সম্পর্কে জনসম্মুখে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। এমনকি ঠিক কোন ধরণের খাবার বিক্রি করবে সেটিও নিশ্চিত করা হয়নি। অন্যদিকে গত সোমবার জ্যাক মা ফাউন্ডেশনের সাথে সিএনএন-এর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলেও তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

ধারণা করা হচ্ছে যে, মা-এর প্রতিষ্ঠানটি সম্ভাবনাময়ী রেডিমেইড খাবারের বাজার দখল করতে মাঠে নামছেন। ইউরোমনিটর ইন্টারন্যাশনালের হিসেব মতে, চীনে রেডিমেইড খাবারের বাজার গত বছর ছিল ৯.৯ বিলিয়ন ডলারের। যা ২০১৮ সালের তুলনায় শতকরা ২৮ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে।

যদিও জ্যাক মা-এর কোম্পানিটি ঠিক কী উদ্দেশ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে সেটি পরিষ্কার নয়। তবে এক্ষেত্রে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন চায়না মার্কেট রিসার্চ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেন ক্যাভেন্ডার।

তিনি বলেন, "এটি এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে উদ্ভাবনের প্রচুর সুযোগ রয়েছে। প্যাকেটজাত খাবার ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ক্ষেত্রবিশেষে ভোক্তারা এই খাবারগুলি বেছে নিচ্ছে কারণ তারা ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যস্ত থাকায় ডাইনিং আকারে খাবার খাওয়ার জন্য আলাদা করে সময় পাচ্ছে না। আর তাই সময় স্বল্পতার জন্য তারা এই ধরণের খাবার বেছে নিচ্ছে।"

বেন ক্যাভেন্ডার আরও বলেন, "জ্যাক মা-এর কোম্পানি যদি ফলের মতো তাজা খাবার বিক্রিও শুরু করে তবে সেটিরও মার্কেটে বেশ বৈচিত্র্যপূর্ণ চাহিদা থাকবে। এছাড়াও এটি এমন একটি ক্ষেত্র যেটি ই-কমার্সের সাথে যুক্তের ফলে ভিন্ন মাত্রা যোগ হবে।"

উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে জ্যাক মা আলিবাবা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ২০১৯ সালে তিনি কোম্পানিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এর আগে চীনের আর্থিক নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থার সমালোচনা করার দেশটির সরকারের রোষানলে পড়েছিলেন তিনি। এরপর দীর্ঘদিন নিজেকে অনেকটা আত্মগোপনেও রেখেছিলেন এই ধনকুবের।

অনুসরণ করুন