বাংলাদেশ সফরে আসছে না ভারত, অনিশ্চিত এশিয়া কাপ

ছবি: সংগৃহীত
চলতি বছরের আগস্টে বাংলাদেশ সফরে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে আসার কথা ছিল ভারতের। পাশাপাশি সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠেয় এশিয়া কাপ নিয়েও ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রত্যাশা ছিল তুঙ্গে। কিন্তু হঠাৎ করে বদলে যাওয়া ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) এই সফর এবং এশিয়া কাপ উভয় ইভেন্টেই অনাগ্রহ প্রকাশ করেছে।
ভারতীয় দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, বিসিসিআই স্পষ্টতই জানিয়েছে—ভারত বাংলাদেশ সফর করবে না এবং এশিয়া কাপেও অংশ নেবে না। এ সময়টিতে বরং স্থগিত হয়ে যাওয়া আইপিএলের বাকি ম্যাচ আয়োজন করার পরিকল্পনা করছে তারা।
গতকাল (৮ মে) ধর্মশালায় পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যকার ম্যাচ চলাকালে হঠাৎ নিরাপত্তাজনিত কারণে ফ্লাডলাইট নিভিয়ে খেলা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে জানানো হয়, ম্যাচটি স্থগিত করা হয়েছে। এর আগে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান সামরিক উত্তেজনা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলে। ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বন্দুকধারীদের হামলার জবাবে ভারত পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যার পর পাকিস্তানও পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখায় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ধর্মশালার ঘটনার পর আইপিএলের সব ক্রিকেটার ও স্টাফরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং ম্যাচ শেষে তারা তড়িঘড়ি করে সেখান থেকে বেরিয়ে যান। বিসিসিআই তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাকেই এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

সূচি অনুযায়ী, আইপিএল চলতি মে মাসেই শেষ হওয়ার কথা ছিল। এরপর জুনের শুরুতে ইংল্যান্ডে পাঁচ টেস্টের সিরিজ খেলতে যাওয়ার কথা রয়েছে ভারতীয় দলের। কিন্তু ধর্মশালার ঘটনার জেরে বিসিসিআই আইপিএলের অবশিষ্ট ১৬টি ম্যাচ পিছিয়ে দিয়ে পরে আয়োজনের চিন্তা করছে। এর ফলে জুন-সেপ্টেম্বর সময়টায় আন্তর্জাতিক সফর কিংবা এশিয়া কাপ আয়োজন সম্ভব নয় বলেই জানানো হয়েছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, বিসিসিআই এমনকি বাংলাদেশ সফর ও এশিয়া কাপ বাতিলের সিদ্ধান্তে নমনীয় হওয়ার কোনো ইঙ্গিতও দিচ্ছে না।
এ সিদ্ধান্ত দক্ষিণ এশিয়ার ক্রিকেটের জন্য একটি বড় ধাক্কা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এবং এসিসি (এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল) হয়তো ভারত ছাড়া বিকল্প ব্যবস্থার চিন্তা করতে পারে, কিন্তু টুর্নামেন্টের আকর্ষণ ও বাণিজ্যিক গুরুত্ব ভারত ছাড়া অনেকটাই কমে যাবে।
