শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫ | ১৪ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

এবার স্মার্টফোনের সঙ্গে জোট বাঁধতে যাচ্ছে ক্যানন

নাহ খুব একটা অবাক লাগছে না তাইতো? এ আর নতুন কি? বিশ্ববিখ্যাত প্রায় সব ক্যামেরা কোম্পানিই তো ইতোমধ্যে স্মার্টফোনের সঙ্গে জোট বেঁধেছে, সে তুলনায় ক্যানন তো বেশ দেরিই করে ফেলল। নেট দুনিয়ায় খবর ছড়িয়েছে স্মার্টফোন নির্মাণকারী অংশীদার খুঁজছে জাপানের বিখ্যাত ক্যামেরা ক্যামেরা নির্মাণকারী কোম্পানি ক্যানন। চীনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মাইক্রো ব্লগিং সাইট সিনা উইবো থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিশ্বের সবচেয়ে সেরা ক্যামেরা নির্মাণকারী কোম্পানি সুইডেনের হেসেলব্লেড, জার্মানির লেইকা ও জেসিস ইতোমধ্যেই স্মার্টফোনের জন্য ক্যামেরা ও লেন্স এর উন্নয়ন সাধন করে বাজারে হইচই ফেলে দিয়েছে এবং অংশীদার হিসেবে বেশ পাকাপোক্ত অবস্থান গড়ে নিয়েছে।

হেসেলব্লেড এর সঙ্গে অংশীদারিত্বে গিয়েছে চায়নার বিখ্যাত টেক জায়ান্ট বিবিকে ইলেক্ট্রনিক্স এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান অপ্পো ও ওয়ান প্লাস। জেসিস এর সঙ্গে অংশীদারিত্বে গিয়েছে বিবিকে'র অপর প্রতিষ্ঠান ভিভো আর লেইকার সঙ্গে শাওমি।

বাকি থাকল অ্যাপল, স্যামসাং, হুয়াওয়ে, আসুস, গুগল, রিয়েলমি, অনর, সনি, মটোরলা, নকিয়া, এইচটিসি, জেডটিই, লেনোভো আর টেকনো। যারা এখনো কোনো ক্যামেরা কোম্পানির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়নি।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে ক্যাননের সঙ্গে অংশীদারিত্বে যাবে কে। কার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। কোম্পানি গুলোর বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে একটা সংক্ষিপ্ত তালিকা করা যেতে পারে।

প্রথমত অ্যাপল, স্যামসাং, সনি আর গুগল। এ কোম্পানিগুলো আসলে কারও সঙ্গে অংশীদারিত্বে যেতে চায় না। প্রয়োজন পড়লে নিজেরা নতুনভাবে গবেষণা করবে কিন্তু দ্বিতীয় কোনো পক্ষকে দায়িত্ব দিবেনা অথবা দায়িত্ব দিলেও স্বীকৃতি দিবেনা। সেক্ষেত্রে বলাই যায় এরা ক্যাননের সঙ্গে অংশীদারিত্বে যাবে না। আবার সনির তো নিজস্ব ক্যামেরা রয়েছেই, বরং সনি পারলে ক্যাননকে কিনে নিতে চাইবে। তাই সনির কোনো সম্ভাবনাই নেই অংশীদারিত্বে যাওয়ার।

আসুস, লেনোভো আর জেডটি এরা আসলে গেমিং স্মার্টফোন হিসেবে বাজারে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে বেশি। তারা হলো গেমিং স্মার্টফোন লিজেন্ড। তাই গেমিং স্মার্টফোন প্রতিযোগিতায় তারা যতটা মনযোগী বা আগ্রহী ক্যামেরা ফোন সম্পর্কে ততটা নয়। ক্যামেরা ফোনে প্রাধান্য দিলে তারা আরও আগেই অংশীদারিত্বে যেতে পারত। তাই বলা যায় তারাও এখন ক্যাননের সঙ্গে অংশীদারিত্বে যাবে না।

ফিনল্যান্ডের বিখ্যাত কোম্পানি নকিয়া আর বিশ্বের প্রথম অ্যান্ড্রোয়েড স্মার্টফোন নির্মাতা এইচটিসি। তারা বিশ্ব বাজারের প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে কালের অতলে হারিয়ে গিয়েছিল। এইচটিসি কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা করলেও, নকিয়া এখনো পারেনি। তারা এখন যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তাতে তাদের পক্ষে নতুন কোনো অংশীদারিত্বে যাওয়া সম্ভব হবে বলে মনে হয় না।

গুগল থেকে ছিটকে যাওয়ার পর থেকে বাজারে বেশ পিছিয়ে পড়েছে চীনের বহুজাতিক কোম্পানি হুয়াওয়ে। তবে তারা যে ধরনের স্মার্টফোন বাজারজাত করছে তাতে তাদের এই অংশীদারিত্বে যাওয়ার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। অনর একসময় হুয়াওয়ের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান থাকলেও এখন আর নেই তাই অনরের বিষয়টি একেবারেই অনিশ্চিত। আর আমেরিকার মটোরলা বেশ কিছু ক্লাসিক স্মার্টফোন বাজারে ছাড়লেও খুব একটা আলোচনায় নেই। আর এসব ব্র্যান্ডিং বা অংশীদারিত্ব নিয়ে তাদের খুব একটা মাথাব্যথা আছে বলেও মনে হয় না। তবে টেকনো দক্ষিণ এশিয়ায় দিন দিন বেশ শক্তিশালী হয়ে উঠলেও এখনই তারা এমন কোনো পদক্ষেপ নিবে বলে মনে হয় না।

সবশেষে বিবিকে ইলেক্ট্রনিক্স এর রিয়েলমি। রিয়েলমি এখন বাজার কাঁপাচ্ছে। বিশেষ করে এশিয়া মহাদেশে সর্বাধিক বিক্রয় হওয়া ফোনগুলোর একটি। ক্যানন যদি প্রস্তাব দেয় তাহলে রিয়েলমি সে সুযোগ ছেড়ে দিবে বলে মনে হয় না। আর বিবিকে ইলেক্ট্রনিক্স এর অন্যান্য অঙ্গসংগঠন ভিভো, অপ্পো, ওয়ানপ্লাস এর ধারাবাহিকতার দিকে তাকালে বলা যায় তারা এ সুযোগ লুফে নিবে। আর যেহেতু ক্যাননের অংশীদার বিষয়ের খবরটার উৎপত্তি চায়না থেকে তাই ঘুরে ফিরে দৃষ্টি সবার আগে রিয়েলমির দিকেই যাচ্ছে।

তবে বাণিজ্যিক জগতে কোনো সম্ভাবনাকেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। যে কোনো মুহুর্তে গল্পের যে কোনো পটভূমি পরিবর্তন হতে পারে। তাই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। আসল খবর জানতে হলে অপেক্ষা করতে হবে ক্যাননের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা পর্যন্ত।

/এএস

Header Ad
Header Ad

ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশে ১৬ দফা ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসমাবেশে দলটির পক্ষ থেকে ১৬ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়েছে। শনিবার (২৮ জুন) আয়োজিত এ সমাবেশে হাজার হাজার নেতা-কর্মীর উপস্থিতিতে ‘মহাসমাবেশের ঘোষণাপত্র’ পাঠ করেন ইসলামী আন্দোলনের মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।

ঘোষণাপত্রে এই মহাসমাবেশকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ধিত অংশ’ এবং ‘আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে একটি গৌরবময় মাইলফলক’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। এতে বলা হয়, স্বৈরতন্ত্র রোধ, সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমাদের সংস্কারমূলক প্রস্তাবনাগুলোকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।

ঘোষণাপত্রে ইসলামী আন্দোলনের পক্ষ থেকে যে ১৬ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়েছে, তা হলো:

১. সংবিধানে ‘আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিরূপে পুনঃস্থাপন।
২. সংসদের উভয় কক্ষে সংখ্যানুপাতিক পিআর (Proportional Representation) পদ্ধতিতে নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করা।
৩. ‘জুলাই সনদের’ ঘোষণার ভিত্তিতে শোষণমুক্ত রাষ্ট্র গঠনে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা।
৪. ভবিষ্যৎ স্বৈরতন্ত্র ও দলীয় কর্তৃত্ববাদ রোধে মৌলিক রাষ্ট্রীয় সংস্কার প্রণয়ন।
৫. নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে প্রশাসনে বিদ্যমান ফ্যাসিবাদী প্রভাব দূর করে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা।
৬. পতিত ফ্যাসিবাদীদের বিচার এবং পালাতক অপরাধীদের দেশে ফিরিয়ে আনতে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করা।
৭. পাচারকৃত অর্থ দেশে ফেরত আনার জন্য দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণ।
৮. সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও খুনখারাবি রোধে প্রশাসনের কার্যকর ও নিরপেক্ষ ভূমিকা নিশ্চিত করা।
৯. ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত সব চুক্তি প্রকাশ এবং দেশের স্বার্থবিরোধী চুক্তিসমূহ বাতিল করা।
১০. জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে সব স্তরে স্থানীয় নির্বাচন সম্পন্ন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিধান নিশ্চিত করা।
১১. দুর্নীতিবাজ, ঋণখেলাপি ও সন্ত্রাসীদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা।
১২. নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পূর্বে গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন পরিবেশ গড়ে তোলা।
১৩. ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধ, রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা।
১৪. ইসলাম ও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ববিরোধী কর্মকাণ্ডে দ্রুত ও কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ।
১৫. জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে দুর্নীতিবাজ ও চাঁদাবাজদের প্রতিহত করা।
১৬. রাষ্ট্রের সর্বস্তরে ইসলামের আলোকিত আদর্শ বাস্তবায়ন করা।

নেতারা বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায়, জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় এবং ইসলাম ও দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় এই ১৬ দফা ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি।

সমাবেশের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে দুপুর ২টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই দেশজুড়ে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে আগত নেতা-কর্মীদের ঢল নামে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। অল্প সময়েই বিশাল মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। বিভিন্ন স্লোগান, দলীয় পতাকা এবং ব্যানার-প্ল্যাকার্ড হাতে উপস্থিত নেতাকর্মীরা সরকারের প্রতি পরিবর্তনের বার্তা পৌঁছে দেন।

এই মহাসমাবেশে ইসলামী আন্দোলন একটি পরিবর্তনের প্রত্যয় ব্যক্ত করে নতুন বাংলাদেশের পথে একটি বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে নিজেদের অবস্থান আরও স্পষ্ট করল।

Header Ad
Header Ad

নতুন রক্তের গ্রুপের সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা

গ্রুপটির নামকরণ করা হয়েছে—গোয়াডা নেগেটিভ। ছবি: সংগৃহীত

রক্তের নতুন একটি গ্রুপের সন্ধান পেয়েছে ফ্রান্সের জাতীয় রক্ত সঞ্চালন সংস্থা ‘দ্য ফ্রেঞ্চ ব্লাড এস্টাবলিশমেন্ট’। ফরাসি এক নারীর শরীরে থাকা রক্তের নতুন গ্রুপটির নামকরণ করা হয়েছে—গোয়াডা নেগেটিভ।

১৫ বছর আগে সংগ্রহ করা নমুনা বিশ্লেষণ করে এই রক্তের গ্রুপের খোঁজ মিলেছে। এ মাসে ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অব ব্লাড ট্রান্সফিউশন আনুষ্ঠানিকভাবে রক্তের নতুন গ্রুপটিকে স্বীকৃতি দিয়েছে।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, প্রায় ১৫ বছর আগে ক্যারিবীয় দ্বীপ গুয়াদেলুপ থেকে আসা এক ফরাসি নারীর অস্ত্রোপচারের আগে রক্ত সংগ্রহ করা হয়েছিল। সেই রক্ত পরীক্ষা করেই গোয়াডা নেগেটিভ নামের রক্তের নতুন গ্রুপের সন্ধান পাওয়া গেছে। নতুন রক্তের গ্রুপ শনাক্তের বিষয়ে দ্য ফ্রেঞ্চ ব্লাড এস্টাবলিশমেন্টের বিজ্ঞানী থিয়েরি পেয়ারার্ড জানিয়েছেন, ২০১১ সালে এক নারীর রক্তে বিরল এক অ্যান্টিবডি শনাক্ত করা হয়েছিল। সে সময় রক্তের তথ্য বিশ্লেষণ করতে বিলম্ব হয়। এরপর ২০১৯ সালে ডিএনএ সিকোয়েন্স করে বিরল জেনেটিক মিউটেশন পাওয়া যায়।

মানুষের রক্তের গ্রুপকে চারটি বিস্তৃত ভাগে ভাগ করা হয়। এসব গ্রুপের নাম এ, বি, এবি আর ও গ্রুপ। এদের পজেটিভ ও নেগেটিভ দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। যদিও মানুষের রক্তের গ্রুপ আসলে অনেক জটিল। বিজ্ঞানীদের ধারণা, বিরল কোনো রোগের কারণেই সেই নারীর শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। মা–বাবা উভয়ের কাছ থেকে পরিবর্তিত জিন বহন করছেন সেই নারী।

প্রথম রক্তের গ্রুপ প্রায় এক শতাব্দীর বেশি সময় আগে শনাক্ত করা হয়েছিল। জেনেটিক সিকোয়েন্সের সাম্প্রতিক অগ্রগতির ফলে নতুন ধরনের গ্রুপ আবিষ্কারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে অনেক বিরল রক্তের গ্রুপ সম্পর্কে জানা যাচ্ছে।

 

Header Ad
Header Ad

গোলাপ জলে গোসল করে রাজনীতি ছাড়লেন আওয়ামী লীগ নেতা

ছবি: সংগৃহীত

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বজ্রযোগিনী ইউনিয়নের চূড়াইন গ্রামে এক ব্যতিক্রমী ঘটনার সাক্ষী হলো এলাকাবাসী। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আলী হোসেন মৃধা (৪৮) গোলাপ জলে গোসল করে জনসমক্ষে ঘোষণা দিলেন— তিনি রাজনীতি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নিচ্ছেন।

শনিবার (২৮ জুন) দুপুরে নিজ বাড়ির উঠানে এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে এই ঘোষণা দেন তিনি। এই ঘোষণার মাধ্যমে একদিকে যেমন রাজনৈতিক মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন, অন্যদিকে নিজ গ্রামে নানা প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

আলী হোসেন মৃধা ছিলেন বজ্রযোগিনী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এর আগে তিনি ওই ওয়ার্ডের নির্বাচিত ইউপি সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। চূড়াইন গ্রামের প্রয়াত আব্দুল খালেক মৃধার সন্তান আলী হোসেন মূলত পেশায় একজন ডেকোরেটিং ব্যবসায়ী।

তিনি জানান, ২০১৬ সালে রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন এবং তখনই আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান।

গোলাপ জলে গোসল করে রাজনৈতিক জীবনের ইতি টেনে আলী হোসেন মৃধা বলেন, “আমি মূলত ব্যবসায়ী মানুষ। রাজনীতি আমাকে কখনো খুব টানেনি। তবে এলাকার মানুষের অনুরোধে ও সময়ের প্রেক্ষাপটে আমি যুক্ত হয়েছিলাম।”

তিনি আরও বলেন, “গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারের পতনের পর আমার ভেতরে একটি পরিবর্তন আসে। আমার মনে হয়েছে, রাজনীতি আমার পথ নয়। অনেকেই পালিয়ে গেছেন, কিন্তু আমি এলাকায় থেকে গেছি। আমি কখনো দুর্নীতি বা অনিয়মে জড়াইনি।”

আলী হোসেন মৃধার ভাষায়, এটি ছিল তাঁর ‘বোধোদয়’—একটি আত্মচিন্তার ফল। তিনি স্পষ্টভাবে জানান, “আমি আর রাজনীতি করবো না। আওয়ামী লীগও করবো না। এখন থেকে শুধু ব্যবসা নিয়েই থাকতে চাই।”

স্থানীয়ভাবে এই ঘোষণা বেশ আলোড়ন তুলেছে। কেউ কেউ বলছেন, এটি হয়তো রাজনৈতিক কৌশল, আবার কেউ বলছেন এটি একজন সাধারণ কর্মীর বিবেকের জাগরণ।

অনেকেই মনে করছেন, দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ব্যক্তি পর্যায়ে এমন অবস্থান নতুন আলোচনার জন্ম দিতে পারে। গোলাপ জলে গোসল করে রাজনীতি ছাড়ার ঘটনা হয়তো বিরল, কিন্তু তা কেবল এক ব্যক্তির সিদ্ধান্ত নয়—বরং এটি একটি সময়ের প্রতিচ্ছবি, যেখানে রাজনীতি নিয়ে মানুষের দ্বিধা, আস্থা ও প্রত্যাশার জায়গাগুলো স্পষ্টভাবে প্রকাশ পাচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশে ১৬ দফা ঘোষণা
নতুন রক্তের গ্রুপের সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা
গোলাপ জলে গোসল করে রাজনীতি ছাড়লেন আওয়ামী লীগ নেতা
সাগরতীরে বিলাসবহুল রিসোর্ট উদ্বোধন করলেন কিম জং উন
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৬২
কূটনৈতিক অস্ত্র পানি নিয়ে ভারতের কঠোর অবস্থান, শঙ্কায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তান
পশ্চিমবঙ্গে পদ্মশ্রীপ্রাপ্ত সন্ন্যাসীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও প্রতারণার অভিযোগে তোলপাড়
দুধ আমদানি করা লজ্জার বিষয়: উপদেষ্টা ফরিদা
পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১৩ সেনা নিহত
ছায়ানটের সভাপতি হলেন ডা. সারওয়ার আলী, কার্যনির্বাহী কমিটিতে নতুন মুখ
জুলাই যোদ্ধাদের যথাযথ মর্যাদা দিতে চাই: রিজভী
৮ অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস, নদীবন্দরে সতর্কতা
সিন্ধু পানি চুক্তি নিয়ে হেগে পাকিস্তানের আইনি জয়, রায় প্রত্যাখ্যান করল ভারত
আগস্টে ঢাকার ৩ এলাকায় চালু হবে ই-রিকশা
বিনিয়োগকারীদের জন্য বিডার নতুন ওয়েবসাইট চালু
টাঙ্গাইলে যৌনপল্লীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ১২টি ঘর পুড়ে ছাই
আবাসিক হোটেল থেকে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসাধারীদের খুশির খবর দিল সৌদি আরব
চীন সফর অত্যন্ত ‘সফল’ ও ‘ফলপ্রসূ’ হয়েছে: মির্জা ফখরুল
ইরানে আবারও বোমা হামলার হুমকি দিলেন ট্রাম্প