রবিবার, ৫ মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণে সিন্ডিকেট কার স্বার্থে?

গত ১৫ মে দৈনিক আমাদের সময় ‘মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার-হাজার কোটি টাকার বিনিময়ে সিন্ডিকেট’ শিরোনামের একটি সংবাদ প্রকাশ করে। তাতে বলা হয় যে, একটি সিন্ডিকেটের অপতৎপরতায় মালিয়েশিয়ায় বাংলাদেশ থেকে কর্মী প্রেরণ ঝুলে গেছে। এর মূল হোতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ‘জিটুজি প্লাস’ পদ্ধতিতে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর জন্য নির্ধারিত একমাত্র প্রতিষ্ঠান বেস্টিনেটকে। মূলত ১০টি বাংলাদেশি এজেন্সির সিন্ডিকেট ছিল সেটি। আগের সেই সিন্ডিকেটের মতো এবারও সিন্ডিকেট গঠনের পেছনে কাজ করছে মালয়েশিয়ায় বাসরত আমিন নামের এক বাংলাদেশি।

প্রকাশিত ওই সংবাদটি মূলত ভাইরাল হওয়া একটি অডিও রেকর্ডের ভিত্তিতে করা হয়েছে যেখানে সিন্ডিকেটের একজন মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণের বিষয়টি অন্য একজনকে টেলিফোনে বর্ণনা করছিলেন। ২৫টি লাইসেন্সধারী এজেন্টকে নিয়ে গঠিত ওই সিন্ডিকেটকে নাকি এজন্য হাজার কোটি টাকা ব্যয় করতে হয়েছে। বাংলাদেশের হাজারের অধিক এজেন্সির মধ্যে মাত্র ২৫ এজেন্সির সিন্ডিকেটের সদস্যরাই মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণ করতে পারবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অবশ্য বায়রার পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপকে নিন্দা জানানো হয়। তবে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের সম্পৃক্ততার কথা ওই কথোপকথনে প্রকাশ করার পেছনে কি কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে? হয়তো ইতোমধ্যে বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

মালয়েশিয়ায় আমাদের কর্মী প্রেরণের নানা জটিলতার কথা জানতে হলে একটু পেছনে ফিরতে হবে। ১৯৮৯ সাল থেকে নিয়মিতভাবে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ থেকে কর্মী প্রেরণ করা হলেও প্রায়শই তা হোঁচট খেতে থাকে। কর্মীদের শোষণ, প্রতারণা ও বিভিন্নভাবে হয়রানির কারণে মালয়েশিয়া সরকার বেশ কয়েকবারই বাংলাদেশ থেকে কর্মী প্রেরণের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। প্রথম নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়েছিল ১৯৯৬ সালে, দ্বিতীয়বার ২০০১ সালে, তৃতীয়বার ২০০৯ সালে এবং শেষটি ২০১৮ সালে (যা এখনও অব্যাহত)। ২০০৯ সালে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রেক্ষিতে দুদেশের মধ্যে ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে ‘জিটুজি’ পদ্ধতিতে কর্মী নিয়োগসংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয় এবং বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী যাওয়া শুরু করে। ওই প্রক্রিয়ায় ন্যূনতম অভিবাসন ব্যয়ে (সর্বসাকুল্যে ৩৫,০০০ টাকারও কম) আমাদের কর্মীরা মালয়েশিয়া যেতে সক্ষম হয়েছিল। আমাদের স্বার্থান্বেষী মহল এতোটাই শক্তিশালী যে একটি ভালো উদ্যোগকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আত্মাহুতি দিতে বাধ্য করা হলো। ২০১৬ সালে ওই স্মারকটি বাতিল করে ‘জিটুজি প্লাস’ নামে নতুন একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে মাত্র ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সির একটি সিন্ডিকেটকে বাংলাদেশ থেকে কর্মী প্রেরণের একচ্ছত্র সুবিধা প্রদান করা হয়। বাকি এক হাজারের বেশি বায়রা সদস্যকে সম্পূর্ণভাবে বঞ্চিত রাখা হয়। সেদিন ওই সিন্ডিকেটটির মূল নায়কও ছিল উল্লেখিত আমিন নামের বাংলাদেশি। দুর্ভাগ্যবশত ২০১৮ সালের মে মাসে ডা. মাহাথিরের নেতৃত্বে মালয়েশিয়ায় সরকারের পরিবর্তন হলে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অসদাচরণের ব্যাপক অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই বছরের সেপ্টেম্বরে সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞাটি নেমে আসে।

হয়তো অনেকেরই মনে আছে, ২০১৮ সালের জুলাই মাসে মালয়েশিয়ার নতুন সরকারের মানবসম্পদ মন্ত্রী এম কুলাসেগারন বলেছিলেন, ‘আমরা জিটুজি প্লাস চাই না। যে কোনো ব্যবস্থাই হতে হবে সরকার থেকে সরকার।’ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘জিটুজি চলাকালীন কোনো মাথাব্যথা ছিল না এবং আমরা সেদিকেই ফিরে যেতে চাই।’ তখন আরও উল্লেখ করা হয়েছিল যে, আমিনের নেতৃত্বে একটি সংগঠিত সিন্ডিকেট জিটুজি প্লাস সিস্টেম পরিচালনার দায়িত্বে ছিল এবং মাত্র দুবছরের ওই সিন্ডিকেট দরিদ্র কর্মীদের থেকে বিলিয়ন বিলিয়ন মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত হাতিয়ে নেয়। দুদেশের সরকারের সম্মতি ছাড়া ওই সিন্ডিকেটটি যে এ ধরনের অপকর্ম করতে পারেনি তা বুঝতে কারো কষ্ট হওয়ার কথা নয়। দরিদ্র কর্মীদের শোষণ করার ওই ব্যবস্থাকে বাস্তবায়নের জন্য বিশেষ কোনো পথে যে সিন্ডিকেটটির হাঁটতে হয়নি তা শুধু তারাই জানে।

আমরা মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক অগ্রগতি লক্ষ্য করি যখন ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর কুয়ালালামপুরে দুদেশের মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। আমাদের স্মরণে আছে যে সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষরের দুদিন পর অর্থাৎ ২১ ডিসেম্বর ঢাকায় ফিরে এসে আমাদের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সময় বলেছিলেন, স্বাক্ষরিত ওই সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী আমাদের কর্মীদের জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ডাটাবেস থেকে নির্বাচন করে পাঠানো হবে এবং অভিবাসন ব্যয় একজন শ্রমিকের ২/৩ মাসের বেতনের (ন্যুনতম মাসিক বেতন প্রায় ২৪,০০০ টাকা) বেশি হবে না। তিনি আরও উল্লেখ করেছিলেন যে, কর্মীদের বিমান ভাড়া (ঢাকা-কুয়ালালামপুর) ও মালয়েশিয়ায় পৌঁছানোর পর সব খরচ নিয়োগকর্তারা বহন করবেন। তবে একজন কর্মীকে ডাটাবেস থেকে নির্বাচনের পর তার বাড়ি বা কর্মস্থল থেকে ঢাকায় আসার জন্য যাতায়াতসহ থাকা ও খাওয়ার খরচ, পাসপোর্ট ফি, বিএমইটি ফি, কল্যাণ বোর্ডের সদস্য ফি, চিকিৎসা ফি বহন করা ছাড়াও এজেন্সিগুলোকে সরকার নির্ধারিত পরিষেবা চার্জ বা কমিশন (যদিও তখন নির্ধারণ করা হয়নি) দিতে হবে। সেদিন তিনি আরও ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, তারা ওই প্রক্রিয়ায় কাকেও কোনো সিন্ডিকেট বা গ্রুপিং করতে দেবেন না। না বললেই নয় যে, মন্ত্রীর সেদিনের বক্তব্য আমাদের কর্মীদের যেমন আশ্বস্ত করেছিল, তেমনি আশ্বস্ত করেছিল এক্ষেত্রে সেবা প্রদানকারী বায়রার সব রিক্রুটিং এজেন্সিকে।

মাননীয় মন্ত্রীর ওই বক্তব্য ছাড়া সমঝোতা স্মারকে উল্লেখিত অন্যান্য অনেক তথ্যই, বিশেষ করে কর্মী প্রেরণে বায়রা সদস্যদের ভূমিকা, সবার অজানাই রয়ে যায়। যেহেতু ইচ্ছুক কর্মীদের বিএমইটির ডাটাবেস থেকে বাছাই করে পাঠানো হবে, তাহলে কোন পরিষেবার জন্য এজেন্সিকে চার্জ বা কমিশন দিতে হবে? তারা কি বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মালয়েশিয়া পাঠানোর উদ্দেশে কর্মীদের সংগ্রহ করে ডাটাবেসে নাম অন্তর্ভুক্তির পর তাদেরকেই মালয়েশিয়ায় পাঠাবে এবং পরবর্তীতে সে বাবদ পরিষেবা চার্জ নেবে? নাকি তাদের কাজ হবে মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তাদের কাছ থেকে চাহিদাপত্র সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া, যার বিপরীতে ডাটাবেস থেকে কর্মী নির্বাচন করে মালয়েশিয়ায় প্রেরণ করা হবে? যদি তাই হয়, তাহলে তাদের চাহিদাপত্র অনুযায়ী কর্মী পাঠানো হলে তারা অবশ্যই সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পরিষেবা চার্জ বা কমিশন পাওয়ার দাবি রাখে। এছাড়া পরিষেবা চার্জ পাওয়ার অন্য কোনো উপায় আছে কি? আমাদের বিশ্বাস সমঝোতা স্মারকে এ ধরনের গোপনীয় কিছু নেই যা কর্মীদের উপর বোঝা হয়ে দাঁড়াবে বা নিয়োগ প্রক্রিয়াটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে।

এখন আমাদের কানে আসছে যে মালয়েশিয়ায় যেতে ইচ্ছুক দরিদ্র কর্মীদের রক্ত চোষার উদ্দেশে গুটিকয়েক এজেন্সির স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে আবার সিন্ডিকেট তৈরি হচ্ছে। আমাদের বিশ্বাস, এই সিন্ডিকেটের সদস্যরা শক্তিশালী না হলে এটি তৈরি করার কথা ভাবতো না। বাংলাদেশেই হোক বা মালয়েশিয়ায়, এই সিন্ডিকেটের, তাদের পরিকল্পনা ও কর্মসূচি অনুযায়ী, দুদেশের সংশ্লিষ্টদের সম্মত করানোর জন্য যথাযথ সংশ্রয় (নেটওয়ার্ক) রয়েছে বলেই মনে হয়। দুঃখজনক হলো, দরিদ্র বিদেশগামী কর্মীদের স্বার্থের কথা কেউ ভাবেন না। তাহলে কি কর্মী ও রিক্রুটিং এজেন্সির স্বার্থ রক্ষায় অভিবাসী-বান্ধব নিয়োগ ব্যবস্থার স্বপ্ন কোনোদিনই বাস্তবায়িত হবে না?

একটি দেশের অভ্যন্তরীণ বা বৈদেশিক, যে কোনো ক্ষেত্রের উন্নয়নসাধন, জনকল্যাণমুখীকরণ এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণের দায়িত্ব বর্তায় সেই দেশের নেতৃত্বের উপর। আমরা জানি, ইতোমধ্যেই ডা. মাহাথির মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীত্ব থেকে বিদায় নিয়েছেন। মালয়েশিয়ার বর্তমান সরকার পূর্বেকার নীতি থেকে সরে আসতেই পারে। তবে আমরা সেই সরে আসাকে কি গ্রহণ করবো যদি তা আমাদের কর্মীদের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায়, তাদের জন্য অনুচিত হয়? এর উত্তর কিন্তু আমাদের অংশেই রয়েছে। যা কিছুই শোনা যাক না কেন, আমাদেরকে সিদ্ধান্তে অটল থেকে সঠিক লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদেরকে, মন্ত্রী মহোদয় যেমনটি বলেছিলেন, কর্মী-বান্ধব নিয়োগ প্রক্রিয়াকেই বাস্তবায়ন করতে হবে- দেশের অর্থনীতির স্বার্থে, কর্মীদের নিয়োগ প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ রাখা এবং তাদের পরিবারগুলোর জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য ফিরিয়ে আনার স্বার্থে।

আমরা খুবই আশাবাদী হয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর দিনের অপেক্ষা করছি। আমরা আমাদের সরকারের উপর আমাদের আস্থা ও বিশ্বাসকে অটুট রাখতে চাই। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীর কথাই বাস্তবায়িত হবে- কোনো সিন্ডিকেট থাকবে না এবং কর্মী নেওয়া হবে বিএমইটি’র ডাটাবেস থেকেই। প্রকৃতপক্ষে, আমরা একটি কর্মী-বান্ধব, শোষণমুক্ত এবং আরও মানবিক নিয়োগ ব্যবস্থার বাস্তবায়ন দেখতে চাই যা মালয়েশিয়ায় যেতে ইচ্ছুক আমাদের কর্মীদের স্বার্থের পাশাপাশি পরিষেবা প্রদানকারী বায়রার সদস্যদের স্বার্থকেও রক্ষা করবে। ইতোমধ্যে বর্তমান নিষেধাজ্ঞা আরোপের চার বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। এদিকে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির বেশ উন্নতিও ঘটেছে। আমাদের প্রত্যাশা, অতি শিগগিরই আমাদের কর্মীরা একটি সুরক্ষিত ব্যবস্থায় নির্বিঘ্নে মালয়েশিয়া যেতে সক্ষম হবেন।

লেখক: সাবেক রাষ্ট্রদূত

আরএ/

Header Ad

সুন্দরবনে আগুন নেভানোর কাজ শুরু

ছবি: সংগৃহীত

বাগেরহাটের সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়া টহল ফাঁড়ি-সংলগ্ন লতিফের ছিলা নামক এলাকায় আগুন লাগার প্রায় ১৫ ঘন্টা নির্বপণে কাজ শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস। আজ সকালে (রোববার ৫ মে) সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তারা আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। তবে এই আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে কত সময় লাগবে তা জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিস।

এর আগে শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পূর্ব সুন্দরবনের এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে গতকাল আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিস বলছে, ফায়ার ফাইটিংয়ের মেশিন ও যন্ত্রপাতি নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছানো যায়নি। এ ছাড়া যেখানে আগুন লেগেছে, সেখান থেকে পানির দূরত্ব প্রায় দুই কিলোমিটার। যে কারণে আগুন নির্বাপণের কাজ শুরু করতে পারেনি তারা।

ফায়ার সার্ভিসের মোংলার স্টেশন কর্মকর্তা মোহাম্মদ কায়মুজ্জামান জানান, রোববার সকালে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করা হয়েছে।

এদিকে আগুন লাগার কারণ, কী পরিমাণ এলাকায় আগুন লেগেছে ও ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বনবিভাগ। চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক রানা দেবকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

 

ঢাকা সফরে আসছেন আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপ

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সাথে জাতিসংঘের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ঢাকা সফরে আসছেন জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপকে দিয়ে শুরু হতে হচ্ছে এ সফর।

আইওএম মহাপরিচালক আজ রোববার (৫ মে) বাংলাদেশ সফরে আসছেন। অ্যামির সফরে অভিবাসন এবং রোহিঙ্গা ইস্যু গুরুত্ব পাবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আইওএম মহাপরিচালক ৫-৯ মে পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করবেন। অ্যামি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে তার সফরের কর্মসূচী শুরু করবেন।

ঢাকার এক কূটনীতিক জানান, জাতিসংঘের সঙ্গে আমরা কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করছি। তারই অংশ হিসেবে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রধানকে বাংলাদেশে যতটা সম্ভব আনা যায় সেই প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। সংস্থাটির সব প্রধানকে হয়তো আনা সম্ভব হবে না। তবে যতটা আনা যায় বা তারা বাংলাদেশ সফর করেন (সেই চেষ্টা করা হচ্ছে)। আইওএম ডিজি (মহাপরিচালক) দিয়ে সফরটা শুরু হচ্ছে। এ মাসের মাঝামাঝি এবং শেষের দিকেও কারও কারও আসার কথা রয়েছে। আমরা চেষ্টা করব, সারা বছর কাউকে না কাউকে আনতে।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, চলতি মাসের মাঝামাঝিতে ঢাকা সফরে আসবেন জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) নির্বাহী পরিচালক ড. নাতালিয়া কানেম। এছাড়া এ মাসের শেষের দিকে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) সেক্রেটারি জেনারেল আর্সেনিও ডমিঙ্গুয়েজের।

আইওএম মহাপরিচালকের সফরে কোন বিষয়গুলো গুরত্ব পাবে জানতে চাইলে এক জ্যৈষ্ঠ কূটনীতিক বলেন, অভিবাসন নিয়ে তারা কাজ করেন। তার মানে (সফরে) অভিবাসন ইস্যুতে ফোকাস থাকবে। আমাদের সঙ্গে তারা মূলত কাজ করছে, রিটার্ন এবং ইন্টিগ্রেশানের ওপর। এক্ষেত্রে এখানে ওদের কাজের ফোকাসটা হয়ে গেছে আমাদের লিবিয়া বা বিভিন্ন জায়গায় যেসব লোকজন আটকা পড়ছে তাদের ফিরিয়ে আনা। আইওএম বলকান থেকেও বাংলাদেশিদের আনার চেষ্টা করছে। তাদের কাজ হচ্ছে বাংলাদেশিদের ফেরাতে সহায়তা করা, এ বিষয়টাতে তারা বেশি এনগেজ। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠকে অভিবাসন ইস্যুতে আলোচনার সুযোগ রয়েছে।

অভিবাসনের বাইরে অ্যামির সফরে রোহিঙ্গাদের অর্থায়ন প্রসঙ্গটি গুরত্ব পাবে জানিয়ে এ কূটনীতিক বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু তো তাদের ফোকাসে থাকবে। আইওএম ডিজি কক্সবাজার যাবেন। উনি আসলে সঙ্গে করে কিছু দাতা নিয়ে আসার কথা রয়েছে। রোহিঙ্গাদের তহবিলের ব্যাপারটা আছে।

বাংলাদেশ যে ডায়াসপোরা নীতি নিয়ে কাজ করছে তাতে সহায়তা করছে আইওএম। অ্যামির সফরে ডায়াসপোরা ইস্যু নিয়ে আলোচনা আসতে পারে। এছাড়া এবারের ওয়ার্ল্ড মাইগ্রেশন রিপোর্ট ঢাকা থেকে প্রকাশ করার পরিকল্পনা আছে আইওএম প্রধানের।

জানা গেছে, ঢাকা সফরকালে আইওএম মহাপরিচালক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। অ্যামি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীর সঙ্গেও বৈঠক করবেন।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১ অক্টোবর আইওএম মহাপরিচালকের দায়িত্ব পান অ্যামি পোপ। সংস্থাটির ৭৩ বছরের ইতিহাসে প্রথম নারী মহাপরিচালক হন তিনি। অ্যামি আইওএমে যোগ দেওয়ার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভিবাসনবিষয়ক জ্যৈষ্ঠ উপদেষ্টা ছিলেন।

এর আগে, তি‌নি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ডেপুটি হোমল্যান্ড সিকিউরিটিবিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার তৎকালীন মহাপরিচালক উইলিয়াম ল্যাসি সুইং বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।

কেমন থাকবে আজকের আবহাওয়া, যা জানাল আবহাওয়া অফিস

ছবি: সংগৃহীত

গোটা এপ্রিল জুড়ে তীব্র দাবদাহের পর দেশের ৮ বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া দেশের পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া রোববারের পূর্বাভাসে এসব কথা জানানো হয়।

পূর্বাভাসে বলা হয়, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

দেশের পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে।

এর আগে শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার জন্য দেশে আবারও ২৪ ঘণ্টার ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এসময়ের মধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের আরও কিছু অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে।

আবহাওয়াবিদ খোন্দকার হাফিজুর রহমানের সই করা ওই সতর্ক বার্তায় বলা হয়, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে চলমান মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। একইসঙ্গে জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিও অব্যাহত থাকতে পারে।

সোমবার যেমন থাকবে আবহাওয়া পরিস্থিতি

ওইদিন ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এর ফলে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আগামী চারদিনের মধ্যে সারাদেশে বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা আরও হ্রাস পেতে পারে।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ এপ্রিল দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে প্রথমবারের মতো তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করেছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। এরপর কয়েক ধাপে তা বাড়ানো হয়। সবশেষ গত বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার তাপপ্রবাহের সতর্কতা বা হিট অ্যালার্ট জারি করেছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর।

 

সর্বশেষ সংবাদ

সুন্দরবনে আগুন নেভানোর কাজ শুরু
ঢাকা সফরে আসছেন আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপ
কেমন থাকবে আজকের আবহাওয়া, যা জানাল আবহাওয়া অফিস
আজ থেকে খুলছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
মিল্টন সমাদ্দারের মানবিকতার আড়ালে প্রতারণা, যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন
যুক্তরাষ্ট্রের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে: ইরান
নিজের মান ইজ্জত রক্ষা করুন, মন্ত্রী-এমপিদের প্রতি ইসি রাশেদা
উদ্যোক্তারাই দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারী : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
টানা ৬ দিন হতে পারে ঝড়বৃষ্টি জানাল আবহাওয়া অফিস
সেই ভাইরাল নেতা পাকিস্তান জামায়াতের আমির নির্বাচিত
টানা ৮ দফা কমার পর বাড়ল স্বর্ণের দাম
দিয়াবাড়ির লেক থেকে ২ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীবাসীর জন্য সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস
মক্কায় প্রবেশে আজ থেকে কঠোর বিধি-নিষেধ
‘দাদাসাহেব ফালকে’ পুরস্কার জিতলেন মিথিলা
ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো বগুড়ার আলু ঘাঁটি উৎসব
টাঙ্গাইলে পাগলা কুকুরের কামড়ে শিশুসহ ২২ জন আহত
১৭ রোগীকে হত্যার দায়ে মার্কিন নার্সের ৭৬০ বছর কারাদণ্ড
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে ছাত্রলীগের কর্মসূচি ঘোষণা
দুবাইয়ের ‘গোল্ডেন ভিসা’ পেলেন শাকিব খান