
মূল্যস্ফীতির দুর্বিষহ অবস্থা থেকে মানুষকে মুক্ত করতে হবে
২৫ মে ২০২৩, ১২:৫১ পিএম | আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:৫১ পিএম

দ্রব্যমূল্যস্ফীতি জনমানুষের জন্য কোনোভাবেই সংকুলান নয়। বর্তমানে বাজারে খুবই নাজুক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যে হারে বাজারে দ্রব্যমূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পাচ্ছে তা কোনোভাবেই সঠিক নয়। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম হু হু করে বাড়ছে। সাধারণ ভোক্তা যারা আছেন বিশেষ করে মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণি, তাদের দৈনন্দিন চাহিদাকে অনেক বেশি কাটছাঁট করতে হচ্ছে। এমনকি অতি প্রয়োজনীয় ব্যয়ভারও অনেকে বহন করতে পারছেন না। এভাবে সবকিছুকে কাট ছাঁট করে ন্যূনতম জীবন যাপনের যে প্রয়োজনীয়তাটুকু মিটানোর চেষ্টা করছেন সেটিও হয়ে উঠছে না।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, খাদ্য তালিকায় গরুর মাংস নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে একেবারে শূন্যের কোঠায় চলে গেছে। সাধারণ মানুষ মাসে দুই মাসে এক আধবার যদি গরুর মাংসের চেহারা দেখে তাহলে মনে করে যে আমরা ভালো আছি। এমনকি ছোটমাছগুলোও সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। কাজেই বর্তমান বাজারে খুবই নাজুক পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
বৈশ্বিক বাজারে একটি মুদ্রাস্ফীতির পরিবেশে আছি আমরা। জিনিসপত্রের আমদানি মূল্য যেহেতু বেড়ে যাচ্ছে, টাকার অবমূল্যায়ন হচ্ছে, একইসঙ্গে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। আমদানিকৃত পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দেশীয় একই ধরনের যেসব পণ্য বাজারে রয়েছে সেসবেরও দাম বাড়ছে। ব্যবসায়ীরা এসব দাম বাড়াচ্ছে কারণ তাদেরও জীবন ধারণ করতে হয়। বিশেষ করে খুচরা ব্যবসায়ীরা বাড়তি মুনাফার জন্য জিনিসপত্রের দাম বাড়ায়।
আমি বলব, এখন মূল্যবৃদ্ধির সময় নয়। সরকারকে ভর্তুকি দিয়ে হোক, ভর্তুকি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সরকারি বিভিন্ন সংস্থায় যে অপচয় হয়, অব্যবস্থাপনার জন্যে, দুর্নীতির জন্যে, অদক্ষতার জন্যে এবং অবশ্যই ভুল সিদ্ধান্তের জন্য। তাই সাশ্রয়ী উপায় অবলম্বন করে ভর্তুকির পরিমাণ কমাতে হবে এবং কোনো অবস্থাতেই পণ্যের মূল্য বাড়ানো সঠিক হবে না।
যেকোনো নিত্য প্রয়োজনীয় যেকোনো জিনিসের দাম সহনশীল রাখার উদ্দেশ্য হলো,সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নয়ন। তবে কেউ যদি সরবরাহ বিঘ্নিত করার জন্য অপচেষ্টা করে, দ্রব্য সামগ্রী মজুদ করে, পন্য পরিবহনে বাধার সৃষ্টি করে, তাদের আইনের আওতায় আনা উচিত। কোনো অবস্থাতেই সাপ্লাই চেঞ্জ যেন ব্যাহত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সেক্ষত্রে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।
দেশের মানুষ আসলে শান্তিতে নেই। সেটি আমরা আজ হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছি। বিশেষ করে নিম্নবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত যাদের আয় খুবই সীমিত অথবা নির্দিস্ট আয়, তাদের জন্য খুব সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। সীমিত আয় দিয়ে তাদের জীবন যাত্রা সুস্থভাবে পরিচালনা করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় সরকার নিম্নবিত্তদের স্বস্তি দেওয়ার জন্য সচেষ্ট হবেন বলে আমি আশা করি। টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি পরিবারকে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিতরণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা সেটিকে সাধুবাদ জানাই। এই কার্যক্রমকে যদি আরও সম্প্রসারিত করা যায়, যেটি বাণিজ্যমন্ত্রী বলছেন, আরও কিছু প্রান্তিক মানুষকে এর আওতায় নিয়ে আসা যায়, সবচেয়ে অসুবিধায় আছে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার, তারা না পারে টিসিবির লাইনে দাঁড়াতে, না পারে সাশ্রয়ী মূল্যে কার্ডের অংশী হতে, এরাই সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় আছে।
সেক্ষত্রে তাদের দুর্ভোগ লাঘবে চেষ্টা থাকতে হবে। ব্যক্তি পর্যায়ে যেমন প্রচেষ্টা চালাতে হবে, সরকারি পর্যায়ে জাতীয় পর্যায়ে উদ্যোগ নিতে হবে। যাতে করে মানুষের আয় রোজগার বাড়ে। মানুষের আয় রোজগার বৃদ্ধি যাতে ব্যয়ের চেয়ে বেশি হয়। মূল্যস্ফীতির দুর্বিষহ অবস্থা থেকে মুক্ত করে সাধারণ মানুষের জীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে হবে।
গোলাম রহমান, সভাপতি, ক্যাব।
এসএন

এবার দেশের সকল ইউএনওকে বদলির নির্দেশ
০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:২৪ পিএম | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:৫১ এএম

দেশের সকল ওসিকে বদলির নির্দেশের পর এবার দেশের সব উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের (ইউএনও) বদলির নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে এ নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।
গতকাল ইসির উপ-সচিব মো. মিজানুর রহমান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে নির্দেশনাটি পাঠান।
চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের নিমিত্ত সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে পর্যায়ক্রমে বদলি করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছে। এ লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে যেসব উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের বর্তমান কর্মস্থলে ১ বছরের অধিক চাকরিকাল সম্পন্ন হয়েছে তাদের অন্য জেলায় বদলির প্রস্তাব আগামী ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে প্রেরণ করা প্রয়োজন।
চিঠিতে আরও জানানো হয়, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশিত হয়ে বিনীত অনুরোধ করা হলো।
এর আগে দেশের সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদলি করতে নির্দেশনা দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে উদ্দেশ্য করে এ নির্দেশনা দেয় সাংবিধানিক সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) ইসির উপ-সচিব মো. মিজানুর রহমান এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা পাঠান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে।
চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) পর্যায়ক্রমে বদলি করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এ লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে যেসব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বর্তমান কর্মস্থলে ছয় মাসের অধিক চাকরিকাল সম্পন্ন হয়েছে তাদের অন্য জেলায়/অন্যত্র বদলির প্রস্তাব আগামী ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে প্রেরণ করা প্রয়োজন। এ অবস্থায় উল্লিখিত সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশিত হয়ে বিনীত অনুরোধ করা হলো।

ঢাকাপ্রকাশ-এর ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:২০ পিএম | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:৫৭ এএম

‘পুরাতনকে ভুলে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা’ এই স্লোগান ধারণ করে ঢাকাপ্রকাশ-এর এবারের ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) উদযাপিত হয়েছে। রাজধানীর ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার-এর নিজ কার্যালয়ে দিনটি উদযাপিত হয়।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এদিন সকাল থেকেই ঢাকাপ্রকাশ-এর ভবনে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। বিভিন্ন বিভাগের কর্মীরা নিজেদের মধ্যে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি উৎসবে আগতদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিয়েছেন।

শুক্রবার (০১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কেক কেটে ঢাকাপ্রকাশ-এর বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন অত্র প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শাহাদৎ জামান সাইফ। এ সময় অন্যান্য অতিথির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকাপ্রকাশ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রবিউল ইসলাম, ঢাকাপ্রকাশ-এর সাংবাদিক ও কলাকুশলীরা।

কেক কাটার পর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে শাহাদৎ জামান সাইফ বলেন, ঢাকাপ্রকাশ তার দ্বিতীয় বছর অতিক্রম করল। দুইটি বছর গণমাধ্যমের জন্য বড় কিছু নয়। কিন্তু এই দুই বছরে বোঝা যায়; এই মাধ্যমটির সম্ভাবনা কতটুকু। এই অল্প সময়েই ঢাকাপ্রকাশকে পাঠকরা যতটা গ্রহণ করেছে তা সত্যি অভাবনীয়। ‘পুরাতনকে ভুলে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে আমরা আরও সামনে এগিয়ে যেতে বদ্ধ পরিকর। তারুণ্য নির্ভর এই গণমাধ্যম পাঠকদের ভালোবাসায় সাফল্যের সর্বোচ্চ শিখরে ছড়িয়ে পড়বে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
এসময় ঢাকাপ্রকাশ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রবিউল ইসলাম বলেন, আজ ঢাকাপ্রকাশের জন্মদিন। সাফল্যের দুই বছর অতিক্রম করে ৩য় বর্ষে পা রাখল তারুণ্য নির্ভর এই গণমাধ্যমটি। মাল্টিমিডিয়া নিউজপোর্টালটি বর্তমান যুগের সাথে তাল মিলিয়ে পাঠকদের মাঝে ইতিধ্যে সাড়া জাগিয়েছে। তারুণ্যের অদম্য শক্তিতে ঢাকাপ্রকাশ তার গন্তব্যে পৌঁছে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।
তিনি আরও বলেন, দুই বছর সময়টি কম হলেও আমরা পাঠকদের কাছে এই অল্প সময়ের মধ্যে যে জায়গা করে নিয়েছি তা সত্যিই অনেক বড় অর্জন। আমাদের এই অর্জনের পেছনে পাঠকদের ভূমিকা সব থেকে বেশি। তাদের গ্রহণযোগ্যতাই আমাদের সব থেকে বড় সম্পদ। তারাই আমাদের শক্তি, আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা। পাঠকদের এই ভালোবাসাই ঢাকাপ্রকাশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে সফলতার সর্বোচ্চ শিখরে।

বর্ষপূর্তিতে ঢাকাপ্রকাশের মফস্বল বিভাগের জাহিদুল ইসলাম তার অনুভতি ব্যক্ত করে জানান, নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। ঢাকাপ্রকাশ তরুণ নির্ভর একটি প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন বিভাগের বিজ্ঞ ব্যক্তিদের নিয়ে সাজানো হয়েছে এই পরিবার। ঢাকাপ্রকাশ অল্প সময়ের মধ্যে জনপ্রিয় স্থান দখল করে নিয়েছে। এর জন্য ব্যতিক্রমী উদ্যোগ ও কাঠামোগুলোর প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।
স্পোর্টস বিভাগের আশিক মোহাম্মদ রিয়াদ বলেন, সাফল্যের দুটি বছর শেষ করলাম আমরা। এবার সামনে এসেছে নতুন সম্ভাবনার দিন। ঢাকাপ্রকাশ পরিবার আরও সামনে এগিয়ে যাবে এই প্রত্যাশাই ব্যক্ত করছি। শুভ জন্মদিন ঢাকাপ্রকাশ।

কথা হয় ঢাকাপ্রকাশের ক্যাম্পাস বিভাগের একরামুজ্জামানের সাথে। তিনি বলেন, আজ ঢাকাপ্রকাশ তার ২ বছরের সাফল্যমাখা সময় অতিক্রম করে তৃতীয় বর্ষে পা রাখল। গণমাধ্যমে সত্যতা ও সচ্ছ্বতা বিদ্যমান রাখা সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ। ঢাকাপ্রকাশ সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে ‘পুরাতনকে ভুলে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা’ এই স্লোগানকে ধারণ করে এগিয়ে চলেছে তার নিজস্ব গতিতে। পাঠকদের ভালোবাসায় পুরাতনকে ভুলে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যেতে চাই আমরা।
জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে ঢাকাপ্রকাশের বিনোদন বিভাগের আরিফ হাসান বলেন, ঢাকা প্রকাশ এগিয়ে যাক অদম্য গতিতে। ছুটে চলুক সত্যের সন্ধানে। শুভ জন্মদিন ঢাকাপ্রকাশ।

ঢাকাপ্রকাশের ওয়েব ডেভেলপার পার্থদেব জানান, প্রতিদিনই আমরা পাঠকদের মন্তব্য বিশ্লেষণ করে তাদের চাহিদা অনুযায়ী আমাদের ওয়েবসাইটকে সাজিয়ে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছি। পাঠকদের বিভিন্ন মতামতের উপর ভিত্তি করে ঢাকাপ্রকাশকে নতুন রূপে সাজানো হচ্ছে।
এদিকে সারাদেশ থেকে প্রতিনিধি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং শোবিজ অঙ্গণের অনেকের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিরা এসে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ঢাকাপ্রকাশ-কে।
বিভাগ : গণমাধ্যম
বিষয় : ঢাকাপ্রকাশ , তয়-বর্ষে-ঢাকাপ্রকাশ , বর্ষপূর্তি , উদযাপিত , উদযাপন , পুরাতনকে-ভুলে-নতুন-উদ্যমে-এগিয়ে-যাচ্ছি-আমরা , জন্মদিন

ইসি’র শোকজের জবাব দিলেন সাকিব
০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:০০ পিএম | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:৫০ এএম

মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান তার বিরুদ্ধে করা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে করা শোকজের জবাব দিয়েছেন । শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে মাগুরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে উপস্থিত হয়ে শোকজের ব্যাখ্যা দেন তিনি। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
সাকিব আল হাসান বলেন, সব কিছু সব সময় ক্যামেরাতে বলা সম্ভব না। দেখুন আমি তো গতকালই বললাম প্রথমবার আমি ইলেকশনে অংশগ্রহণ করতেছি। স্বাভাবিকভাবেই ভুলত্রুটি আমার হতে পারে, আমার অজান্তে। সেগুলো সংশোধন করা আমার দায়িত্ব। যখন আমি সব নিয়ম কানুন জানব, পড়ব, বুঝব, তারপর যদি হয় তখন আমার দোষ হতে পারে। কিন্তু এখন যেটা হয়েছে এটা নিতান্তই অনাকাঙ্ক্ষিত একটা বিষয়। নেক্সট টাইম যাতে এমন না হয় সে বিষয়ে আমি খেয়াল রাখব।
সাকিবের আইনজীবী সাজেদুর রহমান সংগ্রাম জানান, ২৯ নভেম্বর সাকিব আল হাসান মাগুরায় আসেন। তখন কামারখালী এলাকায় লোকজন জমা হয়। সেখানে ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। সেখানে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না কিংবা দলীয় কাউকে তিনি রাখেননি। সুতরাং এতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়নি। ভবিষ্যতে আমরা এ বিষয়ে সতর্ক থাকব। আইন মেনে চলব।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) মাগুরা-১ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধানী কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ সত্যব্রত শিকদার আচরণবিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগে সাকিব আল হাসানকে তলব করেন। তাকে আজ শুক্রবার অনুসন্ধান কমিটির কাছে সশরীরে হাজির হয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।