রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪ | ২৫ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

দেশে ব্যবসার পরিবেশ থাকলে আগ্রহী হবে বিনিয়োগকারীরা

পৃথিবী জুড়ে একটি অস্থির অবস্থা বিরাজ করছে। আমি মনে করি, প্রথমত আমাদের অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক ভারসাম্য ঠিক রাখা দরকার। অর্থনৈতিক সুযোগ সুবিধা বিষয়ে যত কথা বলা হোক না কেন আসলে বাস্তবতা ঠিক সেরকম নয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, দেশের শেয়ার বাজারে কিছু লিস্টেড বিদেশি কোম্পানি আছে। এসব কোম্পানি যদি তাদের মুনাফা না পায় তারা এখানে কেন আসবে? আরও একটি দুঃখের বিষয় হলো, বাংলাদেশে সবচেয়ে কম ফরেন কারেন্সি ইনভেস্টমেন্ট হয় । কাজেই সবকিছু মিলিয়ে আমাদের ইকোনোমিক অবস্থা কিন্তু ভাল বলা যাবে না। সেটি থেকে উত্তরণের লক্ষ্যেই বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সামনে বাংলাদেশের সম্ভাবনার গল্পগুলো তুলে ধরতে হবে অর্থাৎ সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিতে হবে।

তবে আমি মনে করি যে, আমাদের পলিসি তৈরিতেও অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। আগে নিজের ঘর ঠিক করতে হবে। আমার কথা হচ্ছে, ব্যবসা বান্ধব কাগজে কলমে যথেষ্ট আছে কিন্তু বাস্তবে এর প্রতিফলন নেই। আমাদের দেশে বড় ব্যবসায়ীরা ভালো সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে ঠিকই কিন্তু সেটিই যথেষ্ট নয়। কারণ আমাদের এখানে সুষ্ঠু নীতিমালা নেই। তাছাড়া এখানে ঘন ঘন নীতি বদল হয়। যে কারণে বিদেশিরা অসন্তুষ্ট হয় এবং বিনিয়োগে আগ্রহী হয় না। এখানে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একটি এলে আরেকটি তাকে অনুসরণ করে।

সে অর্থে আমি মনে করি যে, আমাদের এখানে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নেই। আমাদের পথে পথে দুর্নীতি। তাছাড়া এখানে ব্যবসার সংস্কৃতিও ক্ষতিকারক। কারণ ব্যবসা যারা করবেন, তাদের সে বিষয়ে জ্ঞান নেই। আজকাল ব্যবসার নামে সবই চাঁদাবাজি চলে। চাঁদাবাজিই হয়ে গেছে বড় ব্যবসার অনুষঙ্গ এবং নিয়ম বহির্ভূতভাবে এগুলো করা হচ্ছে। যে কারণে এদেশে স্বাভাবিকভাবেই ব্যবসা করা দিন দিন কঠিন হয়ে পড়েছে ।

এখন বলতে হবে দুর্যোগগুলো সারা বিশ্বব্যাপী। বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে ডলার বাইরে চলে যাচ্ছে। অর্থ পাচার যদি কিছুটা রোধ করা যেত সেটি হলেও আমাদের এতটা চাপের মধ্যে থাকতে হত না। কথা হচ্ছে যদি সুস্থিরতা না আসে, সেখানে কিন্তু বিপদ আমাদের তাড়া করবে। বিশ্বাসের ঘাটতি হলে আরও বেশি অসুবিধা হবে। অর্থনীতি ও ম্যানেজমেন্টের মধ্য দিয়ে যদি বিশ্বাসের ঘাটতি শুরু হয়ে যায়, তখন তাড়াহুড়ো হতে থাকবে। চারিদিকে নাই নাই দুর্যোগ আসছে। তখন খুব ক্ষতি হয়ে যায়।

বাংলাদেশের প্রকল্প যেগুলো সম্পন্ন হওয়ার পথে, সেগুলো সম্পন্ন করে ফেলা উচিত। এমন কিছু ঘটে নাই যে লোড নেওয়া উচিত। আইএমএফ থেকে লোন নিতে গেলে আইএমএফ অনেকগুলো শর্ত দেয়, বাংলাদেশ সরকারের জন্য সেটি এতটা সহজ হবে না। বাংলাদেশ অপ্রয়োজনীয় ভর্তুকি দিচ্ছে। তখন ঘাটতি বাজেট বাড়তে থাকে, তখন বিদেশ থেকে ঋণ নেয়, ভেতর থেকেও ঋণ নেয়। বিদেশ থেকে ঋণ নিলে সেটি সমস্যা সৃষ্টি করে বেশি। চলতি হিসেবে ঘাটতি যেন ধারাবাহিকভাবে না চলে, এটি দেখতে হবে। আমরা যতটা এক্সপোর্ট করতে পারি ততটা যদি ইমপোর্ট করতে পারি তাহলে ঠিক আছে । এর বাইরে গেলে আমরা বিপদে পড়ব ।

কাজেই আমি মনে করি, আমাদের মেধায় মননে অনেক বেশি পরিশুদ্ধ হতে হবে। কাজেই সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ছাড়া ব্যবসার পরিবেশ কোনোভাবেই ফলপ্রসূ হবে না। দেশে ব্যবসার পরিবেশ থাকলে এমনিতেই ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগে আগ্রহী হবে।

আবু আহমেদ: অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

আরএ/

Header Ad

দেশের সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের কমিটি গঠনের জন্য টিম গঠন

ছবি: সংগৃহীত

দেশের সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের সাংগঠনিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। সংগঠনটির পরিকল্পনা ও র্কমসূচির সেতুবন্ধন স্থাপনের লক্ষ্যে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিকনির্দেশনায় এ কমিটি করা হয়।

শনিবার জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসিরের পরামর্শে এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে থাকা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ও পদবি-

সহ-সভাপতি মো. আরিফুল হাসান প্রান্ত (ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান হাবিব (ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. জাহদিুল ইসলাম শামীম (কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ), সহ-সভাপতি মো. মেহেদী হাসান (ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. জুবায়ের হোসেন (ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জিন্নাতুল ইসলাম (ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস), সহ-সভাপতি মো. ফেরদৌস মাহমুদ (নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন (আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক-চৌধুরী মো. নওশীন পাশা দীপু (ইন্ডিপেন্ডেট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ), সহ-সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন (ইউনিভার্সিটি অব স্কলাসর), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক- ইয়াসিন ইবনে জাবির (প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটি), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক-সেলিম মাহমুদ (ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি), সহ-সভাপতি পারভেজ হোসেন (নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আরাফাত সিদ্দিকী (উত্তরা ইউনিভার্সিটি), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. সজল (বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি) সহ-সভাপতি মো. পলাশ মিয়া (শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি) যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. হামীম আল হাসান তালুকদার (ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ) যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক- জিহাদ হোসাইন (অতীশ দ্বীপঙ্কর ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি), সহ-সভাপতি এম আরিফুর রহমান (ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজী), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. ওয়াহিদুজ্জামান শুভ (আনোয়ার খান মডার্ন ইউনিভার্সিটি), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম (রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়), সহ-সভাপতি- মো. দিনার হোসেন (জেডএনআরএফ ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস)।

এছাড়াও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক-এ কে এম জাহিদুল ইসলাম তালুকদার (সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক-শরিফুল ইসলাম (প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি), সহ-সভাপতি ফয়সাল আহমেদ আকন (আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক- মো. মশিউর রহমান মহান (সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. হেলালুর রহমান সংগ্রাম (রয়্যাল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা), সহ-সভাপতি মো. আল মামুন (স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. মুশফিকুর রহমান মাহিন (নটরডেম ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক- মো. ফিরোজ হাসান (দ্য মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি), সহ-সভাপতি মো. রাসেল (আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক- মো. জাকির হাসান (নাঈম) (বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. মিনার হোসেন (পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ), সহ-সভাপতি মো. তারেকুল ইসলাম খান তারেক (ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. আল আমিন বাবলু (বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক- রাশেদ খান মিলন (প্রাইম ইউনিভার্সিটি), সহ-সভাপতি- মো. মনোয়ার হোসেন (ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মীর মাহমুদুল হাসান আকাশ (ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক- খালিদ হোসেন হৃদয় (ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক), সহ-সভাপতি কাজী শাহ নিয়াজ রাহান (ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক- রায়হান উল ইসলাম (ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক- মো. ইয়াসির আরাফাত সারজু (সিটি ইউনিভার্সিটি), সহ-সভাপতি- মো. নাজমুল হাসান লাভলু (মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা শুভ (গণবিশ্ববিদ্যালয়), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন বাবু (এশিয়ান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ), সহ-সভাপতি মো. ফরহাদুল আজম (গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক- মো. জাহিদ হাসান (রাকিব) (স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক- মো. জিয়াউল হক জিয়া (কুইন্স ইউনিভার্সিটি), সহ-সভাপতি- মো. নুর আলম জিকু (ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক- মো. রাকিব হাসান (ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া)।

যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক- শামসুজ্জামান পাঠান (বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেস), সহ-সভাপতি- মো. জাহিদুল ইসলাম দীপু (বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, মুগ্ধা), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক- এনামুল হক রাবিন (হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ), রণদা প্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয় (নারায়নগঞ্জ)।

যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক- এস টি শাকিল (ইউনিভার্সিটি অব স্কিল এনরিচমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজী, (নারায়ণগঞ্জ), সহ-সভাপতি মো. জারিফ আহমেদ (ঈষাখাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, কিশোরগঞ্জ), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক- মেহেদী হাসান পিয়াল (জার্মান বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. মোকারিম হাসান সাঈদ, সহ-সভাপতি মুন্নী খাতুন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক-লাবণ্য আক্তার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক- মনজিলা রিমি (সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটি), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক- আনিকা আজাদ।

পদধারী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সব নেতাদের তাদের স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয় সাংগঠনিক টিমের সঙ্গে সমন্বয় করার জন্য বলা হয়েছে।

Header Ad

দেশ ধ্বংস করে পালিয়ে গিয়ে এখন নিরীহ নেতাকর্মীদের উস্কে দিচ্ছে: সোহেল তাজ

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদের ছেলে সোহেল তাজ। ছবি: সংগৃহীত

শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের তিন মাস পর আওয়ামী লীগ ঢাকায় একটি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। দলটির পক্ষ থেকে নেতাকর্মীদের আজকের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে এ কর্মসূচিকে ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করছে; পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ছাত্র-জনতা। এ নিয়ে জনমনে ছড়িয়ে পড়েছে উদ্বেগ।

রোববার দুপুরে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদের ছেলে সোহেল তাজ নিজের ফেসবুক পেজে আওয়ামী লীগকে নিয়ে একটি পোস্ট দেন। ওই পোস্টে তিনি মন্তব্য করেন, “একটি পরিবার দেশটাকে ধ্বংস করে পালিয়ে গিয়ে এখন নিরীহ নেতাকর্মীদের উস্কে দিচ্ছে, যাতে তারা আবার বাংলাদেশকে শোষণ করতে পারে।”

সোহেল তাজ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে, দুপুর ১টার দিকে একটি পোস্টে আওয়ামী লীগের কর্মসূচির বিরুদ্ধে সরব হন। রাজধানীর জিরো পয়েন্টে দুই আওয়ামী লীগ কর্মীকে আটকের একটি প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, “একটি পরিবার ও তাদের অনুসারীরা বাংলাদেশকে ধ্বংস করে হত্যা, গুম, খুন, নির্যাতন এবং গণতন্ত্র হত্যা করেছে। জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে তারা হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে, শত শত মানুষকে অন্ধ করেছে, এবং হাজার হাজার মানুষকে পঙ্গু করেছে। দুর্নীতির মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে এবং সংগঠনকে ধ্বংস করেছে। এখন সেই পরিবার বিদেশে বসে পাচারকৃত টাকার পাহাড়ে বসে খেলা দেখছে এবং নিরীহ নেতাকর্মীদের উস্কে দিচ্ছে।”

 

এদিকে, শহীদ নুর হোসেন দিবস উপলক্ষে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে ১০ নভেম্বর ঢাকার গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তাদের এই কর্মসূচির পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একই স্থানে গণজমায়েতের ডাক দেয়। কর্মসূচি ঘোষণার পর শনিবার রাতেই শিক্ষার্থীরা সেখানে বিক্ষোভ করেন, যা পরিস্থিতিকে আরও উত্তেজনাপূর্ণ করে তোলে।

আগামী দিনে এ সংঘাতমূলক পরিস্থিতি কোন দিকে গড়াবে, তা নিয়ে জনমনে উদ্বেগের পাশাপাশি নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

Header Ad

অচিরেই অনিবন্ধিত অটোরিক্সা নওগাঁ শহরে প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে: জেলা প্রশাসক

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

দেশের চলমান পরিস্থিতির পর নওগাঁয় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ভবিষ্যতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে অবনতি না হয় সে বিষয়ে সার্বক্ষণিক গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও আনসার সদস্যসহ সকল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বদা সচেষ্ট আছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়াল।

রোববার (১০ নভেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলার আইন-শৃঙ্খলার সার্বিক পরিস্থিতি বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান জেলা প্রশাসক।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নির্দেশনায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেসি থেকে ইস্যুকৃত সকল সমর্পনযোগ্য আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্সের বিপরীতে ক্রয়কৃত আগ্নেয়াস্ত্র জমা নেয়া হয়েছে। বর্তমানে জমাকৃত আগ্নেয়াস্ত্র কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাচাই করে ফেরত প্রদানের প্রক্রিয়া চলমান আছে। এছাড়াও গত দুই মাসে জেলায় ১৫২টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বিভিন্ন অপরাধের দায়ে ৪১টি মামলায় ৬ লাখ ৫৯ হাজার ৯৫০ টাকা জরিমানা ও ১৪০ জনকে কারাদন্ডের দন্ডিত করা হয়েছে। সীমান্তে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখতে এবং চোরাচালন রোধে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গত দুই মাসে ৩৩১টি অভিযান পরিচালনা করে ২১৪টি মামলায় ২৩৪ জনকে আটক করে। ২ কোটি ৬৭ লাখ ৩৯ হাজার ৯২টাকা সমমূল্যের মালামাল উদ্ধার করে।

জেলা প্রশাসক আব্দুল আউয়াল বলেন- দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ও মানুষের ক্রয় ক্ষমতার নাগালের মধ্যে রাখতে টাস্কফোর্সের মাধ্যমে বাজার মনিটরিং কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহারের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট ও সচেতনতামূলক গনসংযোগ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিভিন্ন বাজার ও চালকলে ব্যবসায়ী, বিক্রেতা ও ক্রেতাদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। একই সাথে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাবহারের জন্য ১৭টি মামলায় ১৫ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, নওগাঁ শহরের যানজট নিয়ন্ত্রণে অনিবন্ধিত অটোরিক্সা, থ্রি হুইলার পৌরসভার মাধ্যমে নিবন্ধনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। অচিরেই অনিবন্ধিত অটোরিক্সা, থ্রি হইলার নওগাঁ শহরে প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে। সকল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় এবছর শারদীয় দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হয়েছে।

নওগাঁ জেলায় বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতক কারনে দায়েরকৃত হয়রানিমূলক মামলাসমূহ প্রত্যাহারের বিষয়ে গঠিত কমিটির সভা আয়োজন ও গণবিজ্ঞপ্তি জারি করাসহ এ সংক্রান্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। শ্রেনিকক্ষে নিয়মিত পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখাসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শৃংখালা ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নওগাঁ জেলার শহিদদের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে এবং আহতদের চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুতের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

জেলার যে সমস্ত স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে জনপ্রতিনিধিদের অনুপস্থিতিতে সরকার কর্তৃক প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে, সে সমস্ত প্রতিষ্ঠান নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে যাতে জনগন তাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা পেতে পারে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।

এসময় পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনসহ সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দেশের সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের কমিটি গঠনের জন্য টিম গঠন
দেশ ধ্বংস করে পালিয়ে গিয়ে এখন নিরীহ নেতাকর্মীদের উস্কে দিচ্ছে: সোহেল তাজ
অচিরেই অনিবন্ধিত অটোরিক্সা নওগাঁ শহরে প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে: জেলা প্রশাসক
অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিচ্ছেন যারা
শিশু মুনতাহার নির্মম হত্যাকাণ্ড: গৃহশিক্ষিকা ও পরিবারের সদস্যসহ ছয়জন গ্রেপ্তার
মেডিকেল ও ডেন্টালে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ চূড়ান্ত
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আরও পাঁচজন: সন্ধ্যায় শপথ গ্রহণ
ঠিকানায় মার্কিন নির্বাচন বিশ্লেষণ: বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক কোন পথে?
এই সরকারের বৈধতা হলো গণঅভ্যুত্থান : উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
ঢাকা মহানগরে সব পোস্টার ও ব্যানার অপসারণের নির্দেশ দিলো বিএনপি
ভারতে বিএসএফ হাতে গ্রেপ্তার রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ
শহীদ নূর হোসেন দিবসে তারেক রহমানের শ্রদ্ধা নিবেদন
ফের পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের কমিটি বিলুপ্ত, নতুন কমিটি গঠন
আসিফ নজরুলকে হেনস্থাকারী সেই আ.লীগ নেতা শ্যামলের বাড়ি টাঙ্গাইল, শাস্তি চায় এলাকাবাসী
পলাতকদের ফেরাতে শেখ হাসিনাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করছে সরকার
শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে মির্জা ফখরুলের বাণী
ট্রাম্পের ছবি নিয়ে হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়নকারী ১০ জন গ্রেপ্তার
গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় নিখোঁজ মুনতাহার মরদেহ মিলল পুকুরে
আফগানিস্তানকে হারিয়ে সিরিজে ফিরল বাংলাদেশ