শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
Dhaka Prokash

দেশে ব্যবসার পরিবেশ থাকলে আগ্রহী হবে বিনিয়োগকারীরা

পৃথিবী জুড়ে একটি অস্থির অবস্থা বিরাজ করছে। আমি মনে করি, প্রথমত আমাদের অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক ভারসাম্য ঠিক রাখা দরকার। অর্থনৈতিক সুযোগ সুবিধা বিষয়ে যত কথা বলা হোক না কেন আসলে বাস্তবতা ঠিক সেরকম নয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, দেশের শেয়ার বাজারে কিছু লিস্টেড বিদেশি কোম্পানি আছে। এসব কোম্পানি যদি তাদের মুনাফা না পায় তারা এখানে কেন আসবে? আরও একটি দুঃখের বিষয় হলো, বাংলাদেশে সবচেয়ে কম ফরেন কারেন্সি ইনভেস্টমেন্ট হয় । কাজেই সবকিছু মিলিয়ে আমাদের ইকোনোমিক অবস্থা কিন্তু ভাল বলা যাবে না। সেটি থেকে উত্তরণের লক্ষ্যেই বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সামনে বাংলাদেশের সম্ভাবনার গল্পগুলো তুলে ধরতে হবে অর্থাৎ সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিতে হবে।

তবে আমি মনে করি যে, আমাদের পলিসি তৈরিতেও অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। আগে নিজের ঘর ঠিক করতে হবে। আমার কথা হচ্ছে, ব্যবসা বান্ধব কাগজে কলমে যথেষ্ট আছে কিন্তু বাস্তবে এর প্রতিফলন নেই। আমাদের দেশে বড় ব্যবসায়ীরা ভালো সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে ঠিকই কিন্তু সেটিই যথেষ্ট নয়। কারণ আমাদের এখানে সুষ্ঠু নীতিমালা নেই। তাছাড়া এখানে ঘন ঘন নীতি বদল হয়। যে কারণে বিদেশিরা অসন্তুষ্ট হয় এবং বিনিয়োগে আগ্রহী হয় না। এখানে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একটি এলে আরেকটি তাকে অনুসরণ করে।

সে অর্থে আমি মনে করি যে, আমাদের এখানে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নেই। আমাদের পথে পথে দুর্নীতি। তাছাড়া এখানে ব্যবসার সংস্কৃতিও ক্ষতিকারক। কারণ ব্যবসা যারা করবেন, তাদের সে বিষয়ে জ্ঞান নেই। আজকাল ব্যবসার নামে সবই চাঁদাবাজি চলে। চাঁদাবাজিই হয়ে গেছে বড় ব্যবসার অনুষঙ্গ এবং নিয়ম বহির্ভূতভাবে এগুলো করা হচ্ছে। যে কারণে এদেশে স্বাভাবিকভাবেই ব্যবসা করা দিন দিন কঠিন হয়ে পড়েছে ।

এখন বলতে হবে দুর্যোগগুলো সারা বিশ্বব্যাপী। বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে ডলার বাইরে চলে যাচ্ছে। অর্থ পাচার যদি কিছুটা রোধ করা যেত সেটি হলেও আমাদের এতটা চাপের মধ্যে থাকতে হত না। কথা হচ্ছে যদি সুস্থিরতা না আসে, সেখানে কিন্তু বিপদ আমাদের তাড়া করবে। বিশ্বাসের ঘাটতি হলে আরও বেশি অসুবিধা হবে। অর্থনীতি ও ম্যানেজমেন্টের মধ্য দিয়ে যদি বিশ্বাসের ঘাটতি শুরু হয়ে যায়, তখন তাড়াহুড়ো হতে থাকবে। চারিদিকে নাই নাই দুর্যোগ আসছে। তখন খুব ক্ষতি হয়ে যায়।

বাংলাদেশের প্রকল্প যেগুলো সম্পন্ন হওয়ার পথে, সেগুলো সম্পন্ন করে ফেলা উচিত। এমন কিছু ঘটে নাই যে লোড নেওয়া উচিত। আইএমএফ থেকে লোন নিতে গেলে আইএমএফ অনেকগুলো শর্ত দেয়, বাংলাদেশ সরকারের জন্য সেটি এতটা সহজ হবে না। বাংলাদেশ অপ্রয়োজনীয় ভর্তুকি দিচ্ছে। তখন ঘাটতি বাজেট বাড়তে থাকে, তখন বিদেশ থেকে ঋণ নেয়, ভেতর থেকেও ঋণ নেয়। বিদেশ থেকে ঋণ নিলে সেটি সমস্যা সৃষ্টি করে বেশি। চলতি হিসেবে ঘাটতি যেন ধারাবাহিকভাবে না চলে, এটি দেখতে হবে। আমরা যতটা এক্সপোর্ট করতে পারি ততটা যদি ইমপোর্ট করতে পারি তাহলে ঠিক আছে । এর বাইরে গেলে আমরা বিপদে পড়ব ।

কাজেই আমি মনে করি, আমাদের মেধায় মননে অনেক বেশি পরিশুদ্ধ হতে হবে। কাজেই সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ছাড়া ব্যবসার পরিবেশ কোনোভাবেই ফলপ্রসূ হবে না। দেশে ব্যবসার পরিবেশ থাকলে এমনিতেই ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগে আগ্রহী হবে।

আবু আহমেদ: অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

আরএ/

Header Ad

কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

'আমাকে নিয়ম শেখানোর দরকার নেই, ওরাই শিখে নিক'

ফাইল ছবি

বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যুতে কলকাতায় গত ২১ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশে অশান্তির জেরে কেউ পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় চাইলে তাকে ফেরাবে না রাজ্য সরকার।

মমতার এমন মন্তব্যে আপত্তিও জানিয়েছিল বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সে কথা স্বীকারও করে নেওয়া হয়েছে। দিল্লি পৌঁছে অবশ্য বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে চাননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বাংলাদেশের প্রসঙ্গ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো সম্পর্কে খুব ভালোভাবে অবহিত। আমি সাতবারের সাংসদ ছিলাম, দুবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নীতি আমি অন্যদের থেকে ভালো জানি। আমাকে শেখানোর দরকার নেই। বরং সঠিক নিয়মগুলো ওরাই শিখে নিক।

একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মমতা বলেছিলেন, আমি বাংলাদেশ নিয়ে কোনও কথা বলতে পারি না। যা বলার ভারত সরকার বলবে। তবে বাংলাদেশের কোনও অসহায় মানুষ যদি বাংলার দরজা খটখটায় তাহলে আমি তাদের আশ্রয় নিশ্চয়ই দেবো। কারণ রাষ্ট্রপুঞ্জেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, উদ্বাস্তু হলে তাকে পাশের এলাকা সম্মান জানাবে। বাংলাদেশ নিয়ে আমরা যেন কোনও প্ররোচনা, উত্তেজনাতে না যাই। ছাত্রছাত্রীদের তাজা প্রাণ চলে যাচ্ছে, তার প্রতি আমাদের সহমর্মিতা রয়েছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন মন্তব্য ভালোভাবে নেয়নি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ কূটনৈতিকভাবেই বিষয়টি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আপত্তি জানায়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, এই ধরনের মন্তব্যে বিভ্রান্তি বাড়বে।

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জওসওয়াল জানিয়ে দেন, অন্য কোনও রাষ্ট্র সংক্রান্ত যে কোনও বিষয়ই কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন।

‘দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে এ সহিংসতা’

ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়ে আগের মতো ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে এমন সহিংসতা চালানো হয়েছে ।

শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে সহিংসতায় আহতদের দেখতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ট্রমাটোলজি অ্যান্ড অর্থপেডিক রিহ্যাবিলিটেশন-নিটোর (পঙ্গু হাসপাতাল) পরিদর্শনে গিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এর বিচার দেশবাসীর কাছে চাই। আন্দোলনের নামে এতোগুলো পরিবারের ক্ষতি হলো এর দায়িত্ব্য কার? আহতদের চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা করবে সরকার।’

বিস্তারিত আসছে......

দুর্নীতির দায়ে রাশিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী গ্রেপ্তার

ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতির দায়ে রাশিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী দিমিত্রি বুলগাকভকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থা ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি)। রুশ সংবাদমাধ্যম ইন্টারফ্যাক্সের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

দিমিত্রি বুলকাভ রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের রসদ বিভাগের প্রধান ছিলেন। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পদচ্যুত করা হয় তাকে। তারপর তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ইন্টারফ্যাক্সকে জানিয়েছেন এফএসবির এক কর্মকর্তা।

বস্তুত, দিমিত্রি বুলগাকভের দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ গত বেশ কয়েক বছরের মধ্যে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারিগুলোর মধ্যে একটি। এর আগে গত ২৩ এপ্রিল রুশ প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী তিমুর ইভানভের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর তাকে পদচ্যুত ও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তিমুর ইভানভ সাবেক রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুর ঘনিষ্ঠ ছিলেন।

তারপর থেকে এ পর্যন্ত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৫ জন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা-মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে সর্বশেষ গ্রেপ্তার হলেন বুলগাকভ। তার গ্রেপ্তারের পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রতিরক্ষা ও সামরিক খাতকে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে সরকার বদ্ধ পরিকর।

৬৯ বছর বয়সী বুলগাকভ রুশ সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীদের একজন ছিলেন। সেনাবাহিনীতে তার বেশ প্রভাব ছিল। সামরিক খাতে অবদানের জন্য বেশ কিছু পদক ও সম্মাননা পেয়েছেন তিনি। রাশিয়ার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘হিরো অব রাশিয়া’-ও পেয়েছেন তিনি।

 

সর্বশেষ সংবাদ

'আমাকে নিয়ম শেখানোর দরকার নেই, ওরাই শিখে নিক'
‘দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে এ সহিংসতা’
দুর্নীতির দায়ে রাশিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী গ্রেপ্তার
আজও ঢাকাসহ চার জেলায় কারফিউ শিথিল
আবু সাঈদের পরিবারকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা দিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন
সহিংসতার অভিযোগে ঢাকায় ২০৯ মামলায় গ্রেপ্তার ২৩৫৭
‘মুক্তিযোদ্ধা কোটার বাইরে বাকি ৯৫ শতাংশ নিয়ে আদালতে বোঝাপড়া করব’
কোটা আন্দোলনে নিহত রুদ্রের নামে শাবিপ্রবির প্রধান ফটকের নামকরণ
সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসা-রোজগারের ব্যবস্থা করবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
এক সপ্তাহে বঙ্গবন্ধু সেতুতে ৬ কোটি টাকা লোকসান
পাকিস্তানের ইসলামাবাদ-পাঞ্জাবে ১৪৪ ধারা জারি
রিমান্ড শেষে কারাগারে নুরুল হক নুর
ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার নেই সরকারের: মির্জা ফখরুল
নরসিংদী কারাগার থেকে লুট হওয়া ৪৫ অস্ত্র উদ্ধার
বাংলাদেশকে ১০ উইকেটে হারিয়ে নারী এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত
মোবাইল ইন্টারনেট কবে চালু হবে, জানাল বিটিআরসি
পুলিশকে দুর্বল করতেই পরিকল্পিতভাবে হামলা-ধ্বংসযজ্ঞ: ডিবি হারুন
মৃত্যুর দিনক্ষণ গোপন রাখা হয়েছে যে কারণে
অলিম্পিক উদ্বোধনের আগেই প্যারিসে উচ্চগতির রেল নেটওয়ার্কে ভয়াবহ হামলা
তারেক রহমানের নির্দেশেই রাষ্ট্রের ওপর হামলা হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী