শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
Dhaka Prokash

মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকতে হবে

আমি মনে করি, বাংলাদেশের মানুষের পক্ষে তাদের মত প্রকাশের ক্ষেত্রে আলোচনা, পর্যালোচনা, সমালোচনা ইত্যাদির দরকার আছে। আমরা লক্ষ্য করছি এর বিরুদ্ধে একটি ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বেশ কয়েক বছর ধরে। এমনকি বইপত্র লেখালেখি নিয়েও দেখা যাচ্ছে সমস্যা হচ্ছে। বইপত্রে কী লিখল, পত্রিকায় কী লিখল, কোথায় কী বলল, এগুলো নিয়েও সারাক্ষণ আতঙ্ক ও নজরদারির মধ্যেও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা তৈরি হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

এই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে গোয়েন্দা সংস্থা আছে, পুলিশ আছে, সরকারি দলের বিভিন্ন বাহিনী আছে, যেমন— ছাত্রলীগ, যুবলীগ এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে যারা সরকারি লোকজন তারা পর্যন্ত সংক্রামকের মতো এসবের সাথে জড়িয়ে পড়েছেন। সুশীল সমাজের জন্য বিষয়টি ভাবনার বিষয়। দেশে একটি নেটওয়ার্ক তৈরি হচ্ছে যাদের কাজই হচ্ছে, স্বাধীন মতামত প্রকাশ করতে না দেওয়া। এখন দেখা যাচ্ছে, ছাত্রলীগ, যুবলীগ তারা এই মামলা করছে। পুলিশ এসব মামলা হমালায় বেশ তৎপর। এগুলো পুরোটাই কার্যত আইন হিসেবে কোনো কাজ করে না। এখানে সবই আদেশ পালনে আজ্ঞাবহ।

আমার কথা হচ্ছে, জনগণ সমালোচনা করবে, পর্যালোচনা করবে, মতামত দেবে। সেখানে মতামতের সঠিক জবাব হলো সঠিক মতামত দেওয়া। সরকার যদি মনে করে যে মতামত সঠিক হয়নি, সেক্ষেত্রে তারা সঠিক মতামত দেবে।

আমরা দেখছি সেখানে কোনো সহিষ্ণুতা নেই বরং চরম অসহিষ্ণু পরিবেশ এবং চরম একটি ভীতিকর পরিবেশ বিরাজমান। সরকারেরতো উন্নয়নের কথা বলার জন্য বহু মানুষ আছে। টিভি, রেডিও, পত্রপত্রিকা সবই আছে, প্রতিদিনই আমরা সরকারের উন্নয়নের গল্প শুনি। সেটির ফাঁকে সাধারণ মানুষের কথা থাকবে তাদের জীবন যাপনের স্বাধীনতা থাকবে।

আমি মনে করি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মূলত মানুষের ডিজিটাল নিরাপত্তাহীনতার আইন। দেশের লুণ্ঠনকারী, দখলদার আর সম্পদ পাচারকারীদের নিরাপত্তার আইন। নিরাপত্তা আইনে বিভিন্ন ধারা আছে, যেখানে পরিষ্কারভাবে বলা আছে মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না, এমপিদের বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না, প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না, উন্নয়ন প্রকল্পের বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না, বিদেশি রাষ্ট্র যদি বাংলাদেশের উপর ভয়ংকর আগ্রাসনও চালায় কিংবা ক্ষতিকর বিভিন্ন চুক্তিতে আবদ্ধ হয় তার বিরুদ্ধেও কথা বলা যাবে না।

সুতরাং নিরাপত্তা দিচ্ছে তাদের যারা বাংলাদেশের জনগণের শত্রুপক্ষ। এটা বাংলাদেশের দুর্বৃত্ত গোষ্ঠী ও লুটেরা গোষ্ঠীর দায়মুক্তির আইন। এমন দায়মুক্তির আইন আরও আছে। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে লক্ষ কোটি টাকা লুটপাট হচ্ছে, সুন্দরবনসহ প্রাণ বিনাশী একের পর এক প্রকল্প হচ্ছে, ঋণনির্ভর প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভয়াবহ বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলা হচ্ছে—সেগুলো করা হচ্ছে একটি দায়মুক্তির আইন দিয়ে।’

আমি মনে করি, আমাদের পর্যালোচনা থাকবে আমাদের কী কী অর্জন হলো, কী কী সমস্যা হয়েছে, কী কী বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে ইত্যাদি পর্যালোচনা করেইতো মানুষ অগ্রসর হবে এবং সেখান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবে।

দেশে গরিব মানুষের অবস্থা ভালো নেই। নিম্ন মধ্যবিত্তরা বেকায়দায় আছে। মধ্যবিত্তদের জীবন যাপনে অনেক কাটছাঁট করতে হচ্ছে। সেসব নিয়ে লেখালেখি হতে পারে। পাল্টা লেখালেখি হতে পারে। কিন্তু জুলুম করা বলতে এই যে অন্যায়ভাবে জনমানুষের উপর অত্যাচার এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

আনু মুহাম্মাদ: অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

আরএ/

Header Ad

‘দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে এ সহিংসতা’

ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়ে আগের মতো ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে এমন সহিংসতা চালানো হয়েছে ।

শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে সহিংসতায় আহতদের দেখতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ট্রমাটোলজি অ্যান্ড অর্থপেডিক রিহ্যাবিলিটেশন-নিটোর (পঙ্গু হাসপাতাল) পরিদর্শনে গিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এর বিচার দেশবাসীর কাছে চাই। আন্দোলনের নামে এতোগুলো পরিবারের ক্ষতি হলো এর দায়িত্ব্য কার? আহতদের চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা করবে সরকার।’

বিস্তারিত আসছে......

দুর্নীতির দায়ে রাশিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী গ্রেপ্তার

ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতির দায়ে রাশিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী দিমিত্রি বুলগাকভকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থা ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি)। রুশ সংবাদমাধ্যম ইন্টারফ্যাক্সের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

দিমিত্রি বুলকাভ রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের রসদ বিভাগের প্রধান ছিলেন। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পদচ্যুত করা হয় তাকে। তারপর তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ইন্টারফ্যাক্সকে জানিয়েছেন এফএসবির এক কর্মকর্তা।

বস্তুত, দিমিত্রি বুলগাকভের দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ গত বেশ কয়েক বছরের মধ্যে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারিগুলোর মধ্যে একটি। এর আগে গত ২৩ এপ্রিল রুশ প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী তিমুর ইভানভের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর তাকে পদচ্যুত ও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তিমুর ইভানভ সাবেক রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুর ঘনিষ্ঠ ছিলেন।

তারপর থেকে এ পর্যন্ত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৫ জন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা-মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে সর্বশেষ গ্রেপ্তার হলেন বুলগাকভ। তার গ্রেপ্তারের পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রতিরক্ষা ও সামরিক খাতকে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে সরকার বদ্ধ পরিকর।

৬৯ বছর বয়সী বুলগাকভ রুশ সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীদের একজন ছিলেন। সেনাবাহিনীতে তার বেশ প্রভাব ছিল। সামরিক খাতে অবদানের জন্য বেশ কিছু পদক ও সম্মাননা পেয়েছেন তিনি। রাশিয়ার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘হিরো অব রাশিয়া’-ও পেয়েছেন তিনি।

 

আজও ঢাকাসহ চার জেলায় কারফিউ শিথিল

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলা, গাজীপুর মহানগর ও গাজীপুর জেলা, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী জেলায় আজ শনিবারও সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত (৯ ঘণ্টা) কারফিউ শিথিল থাকবে।।

গতকাল শুক্রবারও এসব এলাকায় ৯ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল রাখা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল তার ধানমন্ডির বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে ছুটির দুই দিন ৯ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল রাখার ঘোষণা দেন। এর আগে ওই দিন রাত সাড়ে ১০টা থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেন।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় ধীরে ধীরে কারফিউ শিথিলের সময় বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অন্যান্য জেলায় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সমন্বয় করে কারফিউ দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলেও তিনি জানান।

গত বৃহস্পতিবার ও গত বুধবার ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলা, গাজীপুর মহানগর ও গাজীপুর জেলা, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী জেলায় সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল ছিল।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বিক্ষোভ-সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে সারা দেশে কারফিউ জারি করা হয়। একই দিনে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয়। এখনো বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী। এরপর ধাপে ধাপে কারফিউ শিথিল করছে সরকার।

গত সপ্তাহে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সারা দেশে বিক্ষোভ, সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন স্থানে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় এ পর্যন্ত অন্তত ২০৯ জন নিহত হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে এ সহিংসতা’
দুর্নীতির দায়ে রাশিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী গ্রেপ্তার
আজও ঢাকাসহ চার জেলায় কারফিউ শিথিল
আবু সাঈদের পরিবারকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা দিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন
সহিংসতার অভিযোগে ঢাকায় ২০৯ মামলায় গ্রেপ্তার ২৩৫৭
‘মুক্তিযোদ্ধা কোটার বাইরে বাকি ৯৫ শতাংশ নিয়ে আদালতে বোঝাপড়া করব’
কোটা আন্দোলনে নিহত রুদ্রের নামে শাবিপ্রবির প্রধান ফটকের নামকরণ
সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসা-রোজগারের ব্যবস্থা করবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
এক সপ্তাহে বঙ্গবন্ধু সেতুতে ৬ কোটি টাকা লোকসান
পাকিস্তানের ইসলামাবাদ-পাঞ্জাবে ১৪৪ ধারা জারি
রিমান্ড শেষে কারাগারে নুরুল হক নুর
ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার নেই সরকারের: মির্জা ফখরুল
নরসিংদী কারাগার থেকে লুট হওয়া ৪৫ অস্ত্র উদ্ধার
বাংলাদেশকে ১০ উইকেটে হারিয়ে নারী এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত
মোবাইল ইন্টারনেট কবে চালু হবে, জানাল বিটিআরসি
পুলিশকে দুর্বল করতেই পরিকল্পিতভাবে হামলা-ধ্বংসযজ্ঞ: ডিবি হারুন
মৃত্যুর দিনক্ষণ গোপন রাখা হয়েছে যে কারণে
অলিম্পিক উদ্বোধনের আগেই প্যারিসে উচ্চগতির রেল নেটওয়ার্কে ভয়াবহ হামলা
তারেক রহমানের নির্দেশেই রাষ্ট্রের ওপর হামলা হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি