সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৪ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকতে হবে

আমি মনে করি, বাংলাদেশের মানুষের পক্ষে তাদের মত প্রকাশের ক্ষেত্রে আলোচনা, পর্যালোচনা, সমালোচনা ইত্যাদির দরকার আছে। আমরা লক্ষ্য করছি এর বিরুদ্ধে একটি ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বেশ কয়েক বছর ধরে। এমনকি বইপত্র লেখালেখি নিয়েও দেখা যাচ্ছে সমস্যা হচ্ছে। বইপত্রে কী লিখল, পত্রিকায় কী লিখল, কোথায় কী বলল, এগুলো নিয়েও সারাক্ষণ আতঙ্ক ও নজরদারির মধ্যেও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা তৈরি হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

এই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে গোয়েন্দা সংস্থা আছে, পুলিশ আছে, সরকারি দলের বিভিন্ন বাহিনী আছে, যেমন— ছাত্রলীগ, যুবলীগ এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে যারা সরকারি লোকজন তারা পর্যন্ত সংক্রামকের মতো এসবের সাথে জড়িয়ে পড়েছেন। সুশীল সমাজের জন্য বিষয়টি ভাবনার বিষয়। দেশে একটি নেটওয়ার্ক তৈরি হচ্ছে যাদের কাজই হচ্ছে, স্বাধীন মতামত প্রকাশ করতে না দেওয়া। এখন দেখা যাচ্ছে, ছাত্রলীগ, যুবলীগ তারা এই মামলা করছে। পুলিশ এসব মামলা হমালায় বেশ তৎপর। এগুলো পুরোটাই কার্যত আইন হিসেবে কোনো কাজ করে না। এখানে সবই আদেশ পালনে আজ্ঞাবহ।

আমার কথা হচ্ছে, জনগণ সমালোচনা করবে, পর্যালোচনা করবে, মতামত দেবে। সেখানে মতামতের সঠিক জবাব হলো সঠিক মতামত দেওয়া। সরকার যদি মনে করে যে মতামত সঠিক হয়নি, সেক্ষেত্রে তারা সঠিক মতামত দেবে।

আমরা দেখছি সেখানে কোনো সহিষ্ণুতা নেই বরং চরম অসহিষ্ণু পরিবেশ এবং চরম একটি ভীতিকর পরিবেশ বিরাজমান। সরকারেরতো উন্নয়নের কথা বলার জন্য বহু মানুষ আছে। টিভি, রেডিও, পত্রপত্রিকা সবই আছে, প্রতিদিনই আমরা সরকারের উন্নয়নের গল্প শুনি। সেটির ফাঁকে সাধারণ মানুষের কথা থাকবে তাদের জীবন যাপনের স্বাধীনতা থাকবে।

আমি মনে করি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মূলত মানুষের ডিজিটাল নিরাপত্তাহীনতার আইন। দেশের লুণ্ঠনকারী, দখলদার আর সম্পদ পাচারকারীদের নিরাপত্তার আইন। নিরাপত্তা আইনে বিভিন্ন ধারা আছে, যেখানে পরিষ্কারভাবে বলা আছে মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না, এমপিদের বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না, প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না, উন্নয়ন প্রকল্পের বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না, বিদেশি রাষ্ট্র যদি বাংলাদেশের উপর ভয়ংকর আগ্রাসনও চালায় কিংবা ক্ষতিকর বিভিন্ন চুক্তিতে আবদ্ধ হয় তার বিরুদ্ধেও কথা বলা যাবে না।

সুতরাং নিরাপত্তা দিচ্ছে তাদের যারা বাংলাদেশের জনগণের শত্রুপক্ষ। এটা বাংলাদেশের দুর্বৃত্ত গোষ্ঠী ও লুটেরা গোষ্ঠীর দায়মুক্তির আইন। এমন দায়মুক্তির আইন আরও আছে। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে লক্ষ কোটি টাকা লুটপাট হচ্ছে, সুন্দরবনসহ প্রাণ বিনাশী একের পর এক প্রকল্প হচ্ছে, ঋণনির্ভর প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভয়াবহ বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলা হচ্ছে—সেগুলো করা হচ্ছে একটি দায়মুক্তির আইন দিয়ে।’

আমি মনে করি, আমাদের পর্যালোচনা থাকবে আমাদের কী কী অর্জন হলো, কী কী সমস্যা হয়েছে, কী কী বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে ইত্যাদি পর্যালোচনা করেইতো মানুষ অগ্রসর হবে এবং সেখান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবে।

দেশে গরিব মানুষের অবস্থা ভালো নেই। নিম্ন মধ্যবিত্তরা বেকায়দায় আছে। মধ্যবিত্তদের জীবন যাপনে অনেক কাটছাঁট করতে হচ্ছে। সেসব নিয়ে লেখালেখি হতে পারে। পাল্টা লেখালেখি হতে পারে। কিন্তু জুলুম করা বলতে এই যে অন্যায়ভাবে জনমানুষের উপর অত্যাচার এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

আনু মুহাম্মাদ: অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

আরএ/

Header Ad
Header Ad

নতুন রাজনৈতিক দলের আহ্বায়ক নাহিদ, সদস্য সচিব আখতার

নতুন রাজনৈতিক দলের আহ্বায়ক নাহিদ, সদস্য সচিব আখতার। ছবি: সংগৃহীত

জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের উদ্যোগে নতুন রাজনৈতিক দলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসছে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে। বিশ্বস্ত সূত্রগুলো জানিয়েছে, এক দফা আন্দোলনের ঘোষক ও তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম আগামী ১৮ বা ১৯ ফেব্রুয়ারি পদত্যাগ করে নতুন দলে যোগ দেবেন। তিনি এই দলের আহ্বায়ক হচ্ছেন, যা প্রায় চূড়ান্ত। সদস্য সচিব হিসেবে থাকবেন আখতার হোসেন।

 

নতুন রাজনৈতিক দলের আহ্বায়ক নাহিদ, সদস্য সচিব আখতার। ছবি: সংগৃহীত

প্রাথমিকভাবে দল ঘোষণার জন্য ২৪ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ২৫ বা ২৬ ফেব্রুয়ারিতেও দল ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে। দল গঠনের পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনুষ্ঠানিকভাবে ৫১ থেকে ১০০ জন সদস্যের নাম প্রকাশ করা হবে। নাগরিক কমিটির ৭০ জন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩০ জন সদস্যকে নিয়ে এই দল গঠিত হবে, যা পরবর্তীতে আরও সম্প্রসারিত হবে।

এর আগে, ২০ ফেব্রুয়ারি ছাত্রদের একটি নতুন সংগঠনের ঘোষণা আসবে, যেখানে জুলাই অভ্যুত্থানে ভূমিকা রাখা ছাত্রদের শক্তিশালী অংশগ্রহণ থাকবে। নতুন রাজনৈতিক দলটি শহীদ পরিবারের চাওয়া ও পরামর্শকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে গঠিত হবে। একই সঙ্গে, চব্বিশের আন্দোলনে আহতদের মর্যাদাপূর্ণ স্থান দেওয়া হবে।

নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সূত্রে জানা গেছে, এখনো দলের নাম চূড়ান্ত হয়নি। আগামী দুই-এক দিনের মধ্যে দলের নাম নির্ধারণ করা হবে। ২০ ফেব্রুয়ারি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটিও ঘোষণা করা হবে, যেখানে সদস্য সচিব হিসেবে আখতার হোসেনকে চূড়ান্ত করা হয়েছে।

নতুন দলে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা চলছে। নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, প্রধান সংগঠক সারজিস আলম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, প্রধান সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ ও সমন্বয়ক মাহিন সরকার, নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন ও সমন্বয়ক উমামা ফাতেমাসহ আরও বেশ কয়েকজনকে গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণার পর জুলাই আন্দোলনের প্রথম শহীদ, রংপুরের আবু সাঈদের বাড়ি থেকে লংমার্চ শুরু হবে এবং এটি শেষ হবে চট্টগ্রামের শহীদ ওয়াসিমের বাড়িতে। ১৫ দিনের এই লংমার্চের মাধ্যমে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিক্রিয়াও বোঝা যাবে।

যদিও নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করা হচ্ছে, তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটি অরাজনৈতিক সংগঠন হিসেবেই কাজ করবে। এই প্ল্যাটফর্মগুলো পূর্বের ন্যায় রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগকারী গোষ্ঠী হিসেবে থাকবে এবং চব্বিশের আন্দোলনে নিহতদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য কাজ করবে।

নতুন দলটির গঠনতন্ত্র বিশেষজ্ঞদের দ্বারা তৈরি করা হচ্ছে। ১৯৪৭, ১৯৭১ এবং ২০২৪-এর চেতনার ওপর ভিত্তি করেই এটি নির্মিত হচ্ছে। সংবিধান বিশেষজ্ঞ, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, কূটনীতিবিদ এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতির অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে দলে তরুণদের অংশগ্রহণকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

নেতৃত্বের দায়িত্বে থাকা একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক দলগুলোর সংস্কারের অভাবে জনগণের আস্থা হারিয়েছে। বর্তমান দুটি প্রধান রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ডে জনগণ বিরক্ত ও হতাশ। যেখানে অবৈধ সম্পদ ও পেশিশক্তির মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্ধারিত হয়, সেখানে তরুণদের মতামত ও অংশগ্রহণ উপেক্ষিত। নতুন রাজনৈতিক দলটি এই সমস্যাগুলোর সমাধান করতে চায়।

নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব জানিয়েছেন, "আমরা প্রত্যাশা করছি নাহিদ ভাই পদত্যাগ করে নতুন দলের আহ্বায়ক হবেন এবং সদস্য সচিব হিসেবে আখতার হোসেন দায়িত্ব নেবেন। পাশাপাশি নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, সারজিস ভাই, হাসনাত ভাইসহ আরও অনেকে গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকবেন।"

নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বলেন, "আমরা একটি সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করেছি এবং একটি প্রস্তুতি কমিটি গঠন করছি। জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী, অভ্যুত্থানের পক্ষে শুধুমাত্র একটি দল থাকবে, যা নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থার সূচনা করবে।"

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, "আমরা পূর্ববর্তী রাজনৈতিক দলগুলোর মতো কোনো আদর্শ চাপিয়ে দিতে চাই না। জনগণের মতামত নিয়ে নিজেদের আদর্শ গঠন করব। ২৪-এর আন্দোলনের পর মানুষের যে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে, সেটিকে ধারণ করেই আমরা এগোতে চাই।"

নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। তরুণ নেতৃত্ব, শহীদ পরিবারের মতামত এবং জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেই দলটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে। ২৪-এর ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে গঠিত এই দলটি কীভাবে দেশের রাজনৈতিক গতিধারাকে প্রভাবিত করবে, তা সময়ই বলে দেবে।

Header Ad
Header Ad

সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদের স্ত্রী মোনালিসা গ্রেপ্তার

সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদের স্ত্রী মোনালিসা গ্রেপ্তার। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের স্ত্রী ও যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সৈয়দা মোনালিসা হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানী ঢাকার ইস্কাটন রোডের একটি বাড়ি থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। রাতেই মেহেরপুর জেলা পুলিশের কাছে তাকে সোপর্দ করা হয়।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ রবিউল হোসেন ভূঁইয়া সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, মেহেরপুর জেলা পুলিশের অধিযাচনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মেহেরপুর সদর থানায় গত ১৯ আগস্ট দায়ের করা মামলার আসামি সৈয়দা মোনালিসা হোসেন। পৃথক আরেকটি মামলা আছে তার নামে। সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।

তিনি আরও বলেন, প্রশাসনসহ এলাকার মানুষ এতোদিন জানতেন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পরপরই মোনালিসা ইসলাম কানাডাতে পালিয়ে গেছেন। কানাডাতে পালিয়ে যাওয়ার এমন ভূঁয়া তথ্য মন্ত্রীর পরিবার সমাজে ছড়িয়ে দিয়েছিল।

গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে রাজধানী ইস্কাটন এলাকা থেকেই সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন ছাত্র জনতার ওপর গুলিবর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

পায়ে শিকল দিয়ে বেঁধে আরও ১১২ ভারতীয়কে ফেরত পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র

পায়ে শিকল দিয়ে বেঁধে আরও ১১২ ভারতীয়কে ফেরত পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র। ছবি: সংগৃহীত

তৃতীয় দফায় আরও ১১২ জন অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র । রোববার পাঞ্জাবের অমৃতসরের শ্রী গুরু রাম দাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভিবাসীদের নিয়ে একটি মার্কিন সামরিক বিমান অবতরণ করে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের ফেরত পাঠানো ১১২ জন অভিবাসীর মধ্যে ৪৪ জন হরিয়ানার বাসিন্দা, ৩৩ জন গুজরাটের, ৩১ জন পাঞ্জাবের, ২ জন উত্তর প্রদেশের এবং ১ জন করে হিমাচল ও উত্তরাখন্ডের নাগরিক।

এর আগে গত শনিবার রাতেও একটি মার্কিন সামরিক বিমানে ১১৯ জন ভারতীয় অভিবাসীকে ফেরত পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে ৬৭ জন পাঞ্জাবের, ৩৩ জন হরিয়ানার, ৮ জন গুজরাটের, ৩ জন উত্তর প্রদেশের। আর ২ জন করে গোয়া, মহারাষ্ট্র ও রাজস্থানের এবং ১ জন করে হিমাচল প্রদেশ ও জম্মু-কাশ্মীরের নাগরিক।

ফেরত পাঠানো এসব অভিবাসীদের কয়েকজন অভিযোগ করেছেন, ভ্রমণকালে তাদের হাতকড়া ও পায়ে শিকল পরানো হয়েছিল। অমৃতসরে পৌঁছানোর পর খোলা হয়।

তবে দেশে ফেরত পাঠানো ভারতীয়দের সঙ্গে যে ধরনের আচরণ করা হয়েছে, তা নিয়ে দেশটিতে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের বর্ডার প্যাট্রল কর্মকর্তারা ভারতীয়দের হাতকড়া পরিয়ে এবং পা শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছেন। বিমান থেকে নামানোর সময় দেখে মনে হচ্ছিল, কোনো কুখ্যাত অপরাধীকে আনা হচ্ছে।

এই ঘটনার পর ভারতের বিরোধী দলগুলো কেন্দ্রের তীব্র সমালোচনা শুরু করেছে। বিরোধীদের সমালোচনার জবাবে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগকারী সংস্থা (আইসিই) এই প্রক্রিয়া পরিচালনা করছে এবং এই সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী নিরাপত্তার জন্য বন্দীদের হাতকড়া পরানো হয়। তবে নারী ও শিশুদের ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।

এমন ঘটনা নতুন নয়। ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১৫ হাজার ৭৫৬ ভারতীয়কে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ছিল ২০১৯ সালে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৪২ জন এবং ২০২০ সালে ১ হাজার ৮৮৯ জন।

যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসরত ভারতীয়দের ফেরত পাঠানোর এই প্রক্রিয়া আগামী সপ্তাহগুলোতেও চলবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। প্রতি ১৫ দিন পর সামরিক বিমানের ফ্লাইটে ভারতীয় অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো হবে, যত দিন পর্যন্ত না সবাই দেশে ফিরে আসে।

পিউ রিসার্চ সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সাল থেকে প্রায় ৭ লাখ ২৫ হাজার ভারতীয় নাগরিক অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। তাই আরও অনেককে ফেরত পাঠানো হতে পারে।

এর আগে ৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক বিমান ১০৪ ভারতীয়কে নিয়ে অবতরণ করে। তাদের মধ্যে ৩৩ জন করে ছিলেন হরিয়ানা ও গুজরাটের, ৩০ জন পাঞ্জাবের, ৩ জন করে মহারাষ্ট্র ও উত্তর প্রদেশের এবং ২ জন চণ্ডীগড়ের।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নতুন রাজনৈতিক দলের আহ্বায়ক নাহিদ, সদস্য সচিব আখতার
সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদের স্ত্রী মোনালিসা গ্রেপ্তার
পায়ে শিকল দিয়ে বেঁধে আরও ১১২ ভারতীয়কে ফেরত পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র
গাজায় ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে প্রতিদিন উদ্ধার হচ্ছে লাশ, বাড়ছে নিহতের সংখ্যা
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি ম্যাচে বিকেলে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
রমজানে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল পাবে ৫০ লাখ পরিবার: খাদ্য উপদেষ্টা
ঢাকায় সাংবাদিকদের উপর হামলা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে : আরএসএফ
সাংবাদিক দম্পতি শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রুপা ৫ দিনের রিমান্ডে  
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ৫ গাড়ির সংঘর্ষ, আহত অন্তত ২০  
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দিল্লি  
সিলেটে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা, অন্যত্র বাড়বে তাপমাত্রা  
তরুণ অভিনেতা শাহবাজ সানী মারা গেছেন    
আর্জেন্টিনার স্বপ্ন ভেঙে ব্রাজিল চ্যাম্পিয়ন    
আজ থেকে তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার কর্মসূচি
ইউক্রেন নিয়ে জরুরি সম্মেলন আহ্বান ম্যাক্রোঁর    
বিএনপির কাউন্সিলে ভোটারের চেয়ে বেশি ভোট পড়ায় ফল স্থগিত  
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেত্রী দোলনা আক্তার গ্রেপ্তার
গঙ্গা পানি চুক্তি নবায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক পররাষ্ট্র উপদেষ্টার
মিঠাপুকুরে এক যুগেও চালু হয়নি ইকোপার্ক, শত কোটি টাকার প্রকল্প প্রশ্নবিদ্ধ
মসজিদে নববীর প্রধান ইমাম হলেন শেখ আব্দুল রহমান আল হুদাইফি