শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪ | ২০ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

সরকারের আচরণে সবাই অস্থির

সরকারের আচরণে সবাই খুবই অস্থির। জনগণের অবস্থা বেশ খারাপ। আমি আপনি আমরা সবাই বুঝতে পারছি। সরকার বলছেন যে, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ছে। তাই সরকারও দাম বাড়িয়েছে। সরকারের এমন আচরণ আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। সরকার তো জনগণের জন্যই। এতদিন মানুষকে তেলে ভাজা হচ্ছিল। এখন তো সরকার মানুষকে আগুনের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। নিম্ন মধ্যবিত্ত বা মধ্যবিত্তদের অবস্থা খুবই নাজুক। উচ্চ মধ্যবিত্তরা হয়তো সামলাতে পারবে। কিন্তু অবস্থাতো অত্যন্ত খারাপ।

দুই তিন মাসে অবস্থার আরও অবনতি হয়ে যাবে। বিশেষ করে অক্টোবর মাসে জিনিসপত্রের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়বে। তবে এই যে মূল্যবৃদ্ধি এটি কিন্তু আইনানুগভাবে হয়নি। একটি অসুস্থ প্রক্রিয়ায় মূল্যবৃদ্ধি করা হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে একটি রিটও করেছি। মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে সবকিছু। মানুষের মধ্যে অসন্তোষ তো আছেই। হতাশাও চরম আকার ধারণ করেছে বলে আমি মনে করি। মানুষের জীবনমানের ব্যাপক অবনতির আশঙ্কা করছি। এখন সরকার হচ্ছে মানুষের ভালাে মন্দ দেখার কথা। কেন যে ভালো মন্দ দেখে না। এদের মধ্যে দেখা যায় সীমাহীন উদ্ধত্য যা বাড়ছে। পরিণতি সম্পর্কে আমি জানি না তবে এখনই সাবধান না হলে আগামীতে ঘোর অন্ধকার।

সরকারের দিক থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার মূল দায়িত্ব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের। এ জন্য প্রায় আট বছর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একটি সেল গঠন করে। ‘দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা ও পূর্বাভাস সেল নামে সেলটি দেশে নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ২০১৪ সালের ২৪ নভেম্বর গঠিত হলেও সেলটি আছে শুধু নামেই। এটি দ্রব্যমূল্য নিয়ে পর্যালোচনাও করছে না, কোনো পূর্বাভাসও দিচ্ছে না। বোঝাই যাচ্ছে, দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা ও পূর্বাভাস দেওয়ার কাজটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সেলের পক্ষে করা প্রায় অসম্ভব। উপসচিব থেকে বাণিজ্যসচিব পর্যন্ত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ১৩ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, এ কাজ কোনো গবেষণা সংস্থাকে দিয়েই করানো উচিত।’ বাজারে এখন চাল, ডাল, তেল, চিনি, সাবান, টুথপেস্টসহ প্রায় সব পণ্যের দাম বেশি।

গত মে মাসের পর ডলারের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাওয়ায় আমদানি করা সব পণ্যের দাম বাড়ছে। এমন অবস্থায় জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি মানুষকে বড় সংকটে ফেলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আইএমএফের ঋণ পাওয়ার শর্ত ছিল ঘাটতি সমন্বয়। দাম বাড়িয়ে ঘাটতি সমন্বয় করতে গিয়ে জনগণের ওপরের যে আঘাত হানা হয়েছে, তা সিডর–আইলার মতো ঘূর্ণিঝড়কে হার মানায়। দুর্নীতি ও অপচয় বন্ধ করেও ঘাটতি সমন্বয় করা যেত। সরকার সেই পথে হাঁটেনি। জ্বালানি তেলের দাম গণশুনানি করে বাড়ালে তা সহনীয় থাকত। এখন যে ‘টর্নেডো’ চালিয়ে দেওয়া হলো, তাতে ভোক্তার অধিকার তছনছ হয়ে গেছে। যা রীতিমতো আইন ভঙ্গ করার শামিল। আমরা ইতিমধ্যে এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছি। আদালতে রিট করেছি। এর ফলাফল কী হবে জানি না। তবে সরকারকে এক সময় এর মাসুল খুব ভালোভাবেই দিতে হবে।

লেখক: সভাপতি, ক্যাব

Header Ad

সুষ্ঠু ভোটের আয়োজনে প্রার্থীদেরও ভূমিকা রয়েছে : ইসি রাশেদা

ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা বলেছেন, ‘নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে প্রার্থীকে দায়িত্বশীল এজেন্ট নিশ্চিত করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে ভোটের আয়োজন সম্পন্ন করতে চাইলে নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। তাদের অবশ্যই প্রতিটি কেন্দ্রে দায়িত্বশীল এজেন্ট দিতে হবে, যিনি ভোট কেন্দ্রে প্রার্থীর পক্ষে দায়িত্ব পালন করবেন। ভোট কেন্দ্রে অনেক সময় অনিয়ম হলেও প্রমাণের অভাবে সেটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। এক্ষেত্রে এজেন্টদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।’

আজ শুক্রবার সকালে সিরাজগঞ্জ শহরের শহীদ এম, মনসুর আলী অডিটোরিয়ামে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারন নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের সঙ্গে আয়োজিত মত বিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন তিনি।


এজেন্ট নিয়োগের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, এজেন্টরাই প্রতিটি কেন্দ্রে অন্যায়–অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষ থেকে প্রতিবাদ করবেন। এজেন্ট শেষ পর্যন্ত ভোটকেন্দ্রে অবস্থান করবেন এবং প্রিসাইডিং কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত ফলাফলের তালিকা হাতে নিয়ে তবে কেন্দ্র ত্যাগ করবেন।

রাশেদা সুলতানা বলেন, যাঁরা নির্বাচনী আইন মানবেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন আইনি ব্যবস্থা নেবে। প্রভাবশালীরা নির্বাচনে কোনো রকম প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলে তাঁদের ছাড় দেওয়া হবে না। এখন পর্যন্ত অনেকের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে।

রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবিরের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক আনিসুর রহমান ও রাজশাহী অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন।

টাঙ্গাইলে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে গণমাধ্যমকর্মীদের সমাবেশ

উত্তর টাঙ্গাইল সাংবাদিক ফোরামের উদ্যোগে গোপালপুর প্রেসক্লাব কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত। ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে টাঙ্গাইলে সমাবেশ ও আলোচনা সভা কর্মসূচি পালন করেছে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা। শুক্রবার (০৩ মে) বিকালে উত্তর টাঙ্গাইল সাংবাদিক ফোরামের উদ্যোগে জেলার গোপালপুর প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সমাবেশ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

উত্তর টাঙ্গাইল সাংবাদিক ফোরাম ও গোপালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে ও ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক সন্তোষ কুমার দত্তের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন- ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও কালিহাতী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান মিল্টন।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- ফোরামের সহ-সভাপতি আনছার আলী, ভূঞাপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক আসাদুল ইসলাম বাবুল, ঘাটাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি খান ফজলুর রহমান, মধুপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাবিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম শহীদ, গোপালপু্র প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি কে এম মিঠু,
সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, ফোরামের কোষাধ্যক্ষ অভিজিৎ ঘোষ, সাংবাদিক আনোয়ার সাদত ইমরান, মিজানুর রহমান প্রমুখ।

এছাড়াও জেলার গোপালপুর, ভূঞাপুর, ঘাটাইল, মধুপুর, ধনবাড়ী ও কালিহাতী উপজেলার বিভিন্ন মিডিয়ার প্রায় অর্ধশত গণমাধ্যমকর্মী আলোচনা সভা ও সমাবেশে অংশ নেন। এ সময় বক্তারা বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন এবং গ্রামীণ সাংবাদিকদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া উপস্থাপন করেন।

গণতন্ত্রের জন্য লড়াইকারীদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে : রিজভী

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘আজকে যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছে, ভোটাধিকার ফিরে পাবার জন্য লড়াই করছে, তাদের নাম ইতহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।’

শুক্রবার সারাদেশে চলমান তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ নগরীর পথচারীদের মাঝে ঢাকা মহানগর উত্তরের তুরাগ থানা বিএনপির পক্ষ থেকে খাবার পানি, স্যালাইন বিতরণ কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, কিয়ামত পর্যন্ত তো আপনারা ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। আপনাদের যখন বিদায় হবে। তখন যে ইতিহাস লেখা হবে সেই ইতিহাসে দেশের জনগণ আপনাদের মীরজাফর হিসেবে চিনবে। মীরজাফর যেমন নিগৃত হয়েছে আপনারা তেমন হবেন।

তিনি বলেন, বিএনপির লোকজন বিদেশে যাবে কেন? তারা জেলে যাচ্ছে। তাদের নির্যাতন করা হচ্ছে। তারপরও তারা এদেশে থেকে গণতন্ত্রের জন্য আদম্য সাহস নিয়ে লড়াই করে যাচ্ছে। এই আন্দোলনের প্রেরণা হচ্ছে খালেদা জিয়া। তিনি বিদেশে চলে যেতে পারতেন। কিন্তু জনগণকে ছেড়ে তিনি বিদেশে যাননি।

সর্বশেষ সংবাদ

সুষ্ঠু ভোটের আয়োজনে প্রার্থীদেরও ভূমিকা রয়েছে : ইসি রাশেদা
টাঙ্গাইলে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে গণমাধ্যমকর্মীদের সমাবেশ
গণতন্ত্রের জন্য লড়াইকারীদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে : রিজভী
সরকারকে যারা চাপে রাখতে চেয়েছিল তারা নিজেরাই চাপে আছে : ওবায়দুল কাদের
যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ, গ্রেপ্তার ২ হাজার
ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন পুলিশ কর্মকর্তা
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভা শনিবার
যেসব অভিযোগে ১১১০ দিন কারাগারে ছিলেন মামুনুল হক
শনিবার যেসব জেলার স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা বন্ধ থাকবে
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি!
নওগাঁয় আ.লীগ নেতার প্রচারে যাওয়া ছাত্রদলের ২ নেতাকে শোকজ
বলিউডের ছবিতে গাইলেন আসিফ আকবর
যাত্রীবাহী বাস উল্টে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ২০
১০ টাকায় টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী
এসএসসির ফল প্রকাশ ১২ মে
গাজীপুরে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ
কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক
রোমাকে হারিয়ে ইউরোপার ফাইনালে এক পা লেভারকুসেনের
অপহৃত ১২ জেলেকে ছেড়ে দিল আরাকান আর্মি
জাতিসংঘে বাংলাদেশের উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজ্যুলেশন গৃহীত