সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

জ্বালানি খাতে টেকসই উন্নয়ন জরুরি

বাংলাদেশে জ্বালানি সংকট দ্বিমুখী। একদিকে জ্বালানি ভোক্তাদের সামর্থ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে। অন্যদিকে সরকারের ভর্তুকি বেড়ে গেছে। সংকটটা চলে আসছিল আগে থেকেই। কয়েক মাস আগে গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব নিয়ে যখন বিইআরসি (বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন) গণশুনানির আহ্বান করল, আমরা সেখানে এর প্রতিবাদ করেছি। আমরা বলেছি, সংকট সমাধানে সরকার চাইলে সীমিত পর্যায়ে লোডশেডিং করতে পারে। ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে চলতি বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৮ হাজার ৪১৬ কোটি ইউনিট নির্ধারিত হয়েছে। এর মধ্যে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ উৎপাদন কমালেও তরল জ্বালানি ব্যয়ের একটি বড় সাশ্রয় হবে। আমরা বলেছি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি হবে আত্মঘাতী।

জ্বালানি সংকট বর্তমান সময়ে অনেক বড় সংকট হিসেবে বিবেচিত। এর একটি বড় কারণ হচ্ছে বেসরকারিকরণ। এটি বর্তমানে বেসরকারি খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। যে কারণে মাত্রাতিরিক্ত মুনাফা দিতে হচ্ছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে মানসম্মত জ্বালানি উন্নয়ন হচ্ছে না। যেন তেন নন প্রফেশনাল ব্যবসায়ীরা এখন এসব জায়গায় ঢুকে পড়েছেন। উন্নয়নের নামে লুণ্ঠন হচ্ছে। সুতরাং এইসব প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে সেখান থেকে বেরিয়ে আসা কঠিন হবে।

সরকারের পক্ষ থেকে বলার চেষ্টা হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারে তেল ও এলএনজির মূল্যবৃদ্ধির কারণেই এ সংকট হয়েছে। কিন্তু আমরা মনে করি, সরকারের ভুল নীতির কারণেই এটি হয়েছে। সরকার ইচ্ছা করেই দেশের গ্যাসসম্পদ নতুন করে অনুসন্ধান ও আহরণের চেষ্টা করেনি। এক সময় বলা হতো দেশ গ্যাসের ওপর ভাসছে। ২০১৬ সালের পর সরকারের নীতিনির্ধারকেরা বলতে শুরু করলেন, মাটির নিচে গ্যাস নেই। দুটোই অসত্য। এখনো আমাদের বিদ্যুতের ৬০ শতাংশের বেশি আসে দেশীয় উৎস থেকে। সরকার যদি বিচক্ষণতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হবে না। দুর্ভাগ্য হলো সরকার পুরো বিষয়টি দেখছে রাজস্ব ঘাটতির দৃষ্টিভঙ্গিতে। ভোক্তার স্বার্থের কথা তারা ভাবছে না।

জ্বালানি খাতে এখন যে উন্নয়ন হচ্ছে, সেটি অসম এবং সামঞ্জস্যহীন। কিন্তু আমরা বলেছি, টেকসই উন্নয়ন হতে হবে। টেকসই উন্নয়ন হলে ভোক্তা ও উৎপাদক উভয়ই লাভবান হবে। রাষ্ট্রমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো ইচ্ছেমতো ব্যয় বাড়াল। আবার এসব প্রতিষ্ঠানকে বলে দেওয়া হলো এত ভাগ লাভ করতে হবে। ফলে সেই লাভ ধরে উৎপাদিত পণ্যের দামও বাড়ানো হলো। ভোক্তা দুই দিক থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হলো।

গ্যাস উত্তোলনের চেষ্টা না করার বিষয়টি মানুষের কাছে স্পষ্ট। কিন্তু এর বাইরে কিছু অস্পষ্ট বিষয় আছে, যেগুলো সাধারণ মানুষ দেখছে না। সিঙ্গেল সাইকেলের বিদ্যুৎকেন্দ্রের সক্ষমতা কম, গ্যাস খরচ হয় বেশি, বিদ্যুৎ কম দেয় আর কম্বাইন্ড সাইকেলে গ্যাস কম খরচ হয়, বিদ্যুৎ বেশি দেয়। সিঙ্গেল সাইকেলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসে ব্যয় হয় দেড় টাকা করে, আর কম্বাইন্ড সাইকেলে সেই খরচ ১ টাকা ১০ পয়সা। যে গ্যাস সিঙ্গেল সাইকেলে ব্যয় করা হচ্ছে, তা যদি কম্বাইন্ড সাইকেলে ব্যয় করা হত, তাহলে দেড় গুণ বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হত। এখন পিডিবির যে কম্বাইন্ড সাইকেলের বিদ্যুৎকেন্দ্র, যার খরচ অনেক কম, সেগুলোর সক্ষমতার মাত্র ৩৬ শতাংশ ব্যবহার করা হয়। ভোলার বিদ্যুৎকেন্দ্র চালাতে সবচেয়ে কম খরচ হয়, অথচ সেটির ক্ষমতা ব্যবহার হয় মাত্র ৩৮ শতাংশ। এখন সেটি যদি ৭৪-৭৫ শতাংশ করা যায়, তাহলে গ্যাসে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় ২ টাকার নিচে নেমে আসে। ভোলার কম্বাইন্ড সাইকেলের সেই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নাকি গ্যাসের অভাবে বন্ধ হয়ে আছে। এভাবে নানা ধরনের সমীকরণ এখানে ঘটেছে।

কারণ, সরকার ব্যবসা করার মডেলে ঢুকে গেছে, যাতে মানুষেরই সর্বনাশ ঘটছে। এখানে সরকারের ব্যবসা করা, করপোরেট কালচার তৈরি করে কর্মকর্তাদের সুবিধা গ্রহণ আর কিছু মানুষের পকেট ভারী করা--এ তিন কারণেই মূলত বর্তমান জ্বালানি সংকট। কিন্তু সরকার তো ইউক্রেন যুদ্ধকে এর জন্য দায়ী করছে। অবশ্যই ইউক্রেন যুদ্ধ এখানে মুখ্য নয়। সেটির প্রভাবও অস্বীকার করা যাবে না। তারপরও আমাদের যে নিজস্ব জ্বালানি আছে, তা দিয়ে এখনো আমরা এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারি। জ্বালানি খাতের বিশৃঙ্খলার জন্য যে কারণগুলোর কথা আমি বললাম, সেগুলো না থাকলে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব আমরা এড়াতে সক্ষম হব।

লেখক: জ্বালানি উপদেষ্টা, ক্যাব

 

Header Ad

রাত ১১ টার পর চা-বিড়ির দোকান বন্ধের নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীতে রাত ১১টার পর রাস্তার পাশের বিড়ি, পান ও চায়ের দোকান বন্ধ করে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। গতকাল রোববার (২৮ এপ্রিল) রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়ামে মার্চ মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের এ নির্দেশ দেন তিনি।

সভায় ডিএমপি কমিশনার বলেন, ছিনতাই ও অপরাধ প্রতিরোধে রাতে রাস্তার মোড়ের দোকানগুলো বন্ধ করে দিতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় এসব অস্থায়ী দোকানে অপরাধীরা সারারাত আড্ডা দেয়, আর সুযোগ পেলেই ছিনতাই করে। রাস্তার পাশের বিড়ি, পান ও চায়ের দোকান রাত ১১টার পর বন্ধ করে দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, কোনো সন্ত্রাসী ও জঙ্গিগোষ্ঠী যেন কোনো প্রকার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে না পারে সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। এই ধরনের অপরাধ চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর থাকারও নির্দেশ দেন ডিএমপি কমিশনার।

ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান জানান, এবার রমজানে রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের সাথে ক্রাইম বিভাগও আন্তরিকতার সাথে কাজ করেছে।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে শিক্ষকদের উপর হামলার অভিযোগ উপাচার্যের বিরুদ্ধে

ছবি:সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ছাত্রলীগ ও সাবেক শিক্ষার্থীদের নিয়ে শিক্ষকদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে উপাচার্য, ট্রেজারার ও প্রক্টরসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে। এই হামলার জেরে উপাচার্যের অপসারণ চেয়ে এক দফা দাবি ঘোষণা করেছে কুবি শিক্ষক সমিতি।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে গতকাল রোববার মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবু তাহের বাদী হয়ে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

এতে বিবাদী হিসেবে রয়েছেন উপাচার্য এ এফ এম আবদুল মঈন, কোষাধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান ও প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী। ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের মধ্যে রয়েছেন আমিনুর রহমান বিশ্বাস, রেজা-ই-এলাহী, মাসুদ আলম, ইকবাল হোসাইন খান, পার্থ সরকার, বিপ্লব চন্দ্র দাস, ইমরান হোসাইন, মুশফিকুর রহমান খান তানিম, রকিবুল হাসান রকি, মেহেদী হৃদয়, ফয়সাল হাসান, এম নুর উদ্দিন হোসাইন, অনুপম দাস বাঁধন, আরিফুল হাসান খান বাপ্পী, ইমাম হোসাইন মাসুম, রাকিব ও দ্বীপ চৌধুরী।

লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ২৮ এপ্রিল (গতকাল রোববার) বেলা একটায় প্রশাসনিক ভবনের ফটকের সামনে শিক্ষক সমিতির অবস্থান কর্মসূচি চলছিল। এ সময় উপাচার্য এ এফ এম আবদুল মঈন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মুর্শেদ রায়হানের পেটে ঘুষি মারেন এবং পেছন দিক থেকে কনুই দিয়ে আঘাত করেন। এরপর তাঁর (উপাচার্যের) সঙ্গে থাকা সন্ত্রাসীরা উপর্যুপরি মুর্শেদ রায়হানের পেটে ঘুষি মেরে প্রশাসনিক ভবনের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। একই সময়ে প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোকাদ্দেস উল ইসলামের মুখে সজোরে ঘুষি মারেন। এরপর মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমানকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে শারীরিক আঘাত করেন। এ সময় অন্তত ২০ জন শিক্ষক হামলার শিকার হন। উপাচার্যের কার্যালয়ে বসে কোষাধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান বহিরাগতদের (সাবেক ছাত্রলীগ নেতা) শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে হামলা ও তালা দেওয়ার নির্দেশ দেন।

এ প্রসঙ্গে শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আবু তাহের বলেন, ‘১৯ ফেব্রুয়ারি শিক্ষকদের ওপর উপাচার্যের দপ্তরে হামলা হয়। আমরা থানায় জিডি করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। দুই মাস পর জরুরি সিন্ডিকেট ডেকে তদন্ত কমিটি করে। সেটির কোনো কার্যকারিতা নেই। রোববার আবার বহিরাগত এনে শিক্ষকদের গায়ে হাত তোলা হয়। উপাচার্য নিজে হামলায় অংশ নেন, ফুটেজ আছে। প্রক্টর এক শিক্ষককে ঘুষি মারেন। কোষাধ্যক্ষ শিক্ষক সমিতির কার্যালয় ভাঙতে বহিরাগতদের পাঠান। ২০ জন শিক্ষকের গায়ে হাত তোলা হয়। তাই আমরা মামলা করেছি।’

ওই ঘটনার পর গতকাল বিকেল পাঁচটায় প্রশাসনিক ভবনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন উপাচার্য এ এফ এম আবদুল মঈন। সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুর্শেদ রায়হানসহ শিক্ষক সমিতির ৮-১০ জন তিনিসহ অন্য সাধারণ শিক্ষকদের ওপর হামলা করেন। এ সময় সেখানে কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী আহত হন। সংবাদ সম্মেলনে আহত ব্যক্তিদের পরিচয় জানতে চাইলে উপাচার্য কারও নাম বলতে পারেননি।

সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, রোববার মধ্যরাতে থানায় অভিযোগ করেছেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আবু তাহের। এতে ভিসি, কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টরসহ ২০ জনের নাম অভিযোগে আছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোনাইমুড়ীতে নতুন গ্যাস কূপের সন্ধান, আজ থেকে খনন

ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে সন্ধান পাওয়া নতুন গ্যাস কূপে আজ থেকে খনন কাজ শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। খনন কাজের জন্য ১২০ দিনের কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সংস্থাটি।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে বাপেক্স এ খনন কাজ শুরু করবে বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলার অম্বরনগর ইউনিয়নের ওয়াসেকপুর গ্রামে অবস্থিত কূপটির ড্রিলিং ইনচার্জ মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘গত ২২ এপ্রিল দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে কূপ খননের জন্য ‘ড্রিলিং রিগ’ স্থাপন করা হয়। সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে খনন কাজের উদ্বোধন করা হবে সকাল ১১টায়। প্রাথমিকভাবে কূপটি মাটির নিচে ৩২০০ মিটার পর্যন্ত খননের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ৪টি জোনে প্রাকৃতিক গ্যাস মিলতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, খনন শেষে প্রতিটি জোনে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। যা বাখরাবাদ এর মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত করা হবে।

খনন প্রকল্পটির নাম দেওয়া হয়েছে বেগমগঞ্জ-৪ (ওয়েস্ট) মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপ খনন প্রকল্প। আগামী ১২০ দিন চলবে খনন কাজ। দুই শতাধিক প্রকৌশলী ও শ্রমিক এ কর্মযজ্ঞে অংশগ্রহণ করছেন জানিয়ে মো. আসাদুজ্জামান আরও বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি ও শিল্পায়নকে আরও গতিশীল করতে আমাদের বাড়তি গ্যাস প্রয়োজন- এ প্রতিপাদ্যে মানুষের চাহিদা পূরণে দেশীয় জ্বালানি অনুসন্ধান ও উৎপাদনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার। ২০২৫ সালের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ৪৬টি নতুন অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও ওয়ার্কওভার কূপ খনন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, নোয়াখালীর এ বেগমগঞ্জ জোনে প্রথম কূপের সন্ধান মিলে ১৯৭৬ সালে। এরপর ১৯৭৮ সালে মিলে আরেকটি কূপের সন্ধান। কিন্তু ড্রিলিং করার পর কোনো গ্যাস মেলেনি ওই দুটি কূপে। পরবর্তীতে একই অঞ্চলে ২০১৩ সালে তৃতীয় কূপের সন্ধান মিললে ড্রিলিং শেষে ওই কূপ থেকে গ্যাস উৎপাদনে সফলতা মেলে এবং ২০১৮ সালে একই কূপে ওয়ার্কওভার করে এখন প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রেডে সরবরাহ করা হচ্ছে।

 

সর্বশেষ সংবাদ

রাত ১১ টার পর চা-বিড়ির দোকান বন্ধের নির্দেশ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে শিক্ষকদের উপর হামলার অভিযোগ উপাচার্যের বিরুদ্ধে
সোনাইমুড়ীতে নতুন গ্যাস কূপের সন্ধান, আজ থেকে খনন
আজ দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী
পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী হলেন ইসহাক দার
বিয়ের দাবি নিয়ে আসা তরুণীকে নিয়ে পালালেন ছাত্রলীগ নেতা
তীব্র গরমে ৫ জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে আজ
হিটস্ট্রোকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মৃত্যু, নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা
ডাক্তার পাত্রীকে বিয়ে করছেন শাকিব খান !
পদত্যাগ করলেন থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গুদামে মিলল পুলিশের রেশনের ৩০০ বস্তা চাল, ব্যবসায়ীকে লাখ টাকা জরিমানা
নওগাঁয় মাদক মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
ইরাকে সমকামিতায় জড়ালেই ১৫ বছরের জেল
আবারও বিএসইসির চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পেলেন শিবলী রুবাইয়াত
কোরবানির জন্য গরু আমদানি করবে না সরকার
আবু ধাবিতে উদ্বোধন হচ্ছে ৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত গির্জা
পাপ লুকাতে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার : রিজভী
রিকশাচালকদের মাঝে ডিএনসিসির ৩৩ হাজার ছাতা বিতরণ
নির্বাচনী গণসংযোগে গিয়ে হিটস্ট্রোকে আ.লীগ নেতার মৃত্যু
মালয়েশিয়ায় ১৩২ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার