রবিবার, ৫ মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

মুক্তি? ওরে, মুক্তি কোথায় পাবি, মুক্তি কোথায় আছে?

বঙ্গবন্ধুর ন্যায় মুক্তমনা, উদার ও স্বাধীনতার চেতনা ও স্বপ্নে প্রোজ্জ্বল একজন অবসংবাদিত নেতা বাঙালি জাতি পেয়েছিল বলেই পৃথিবীর মানচিত্রে আজ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অবস্থান নিশ্চিত হয়েছে। বাঙালি জাতি পেয়েছে স্বতন্ত্র পরিচয়। বঙ্গবন্ধুর জীবনকৃতি র্পযালোচনা করলে বোঝা যায় সংক্ষিপ্ত ৫৫ বছরের জীবনে কতটা চিরস্থায়ী প্রভাব রেখে গেছেন। বাঙালির মুক্তির এই মহানায়কের মস্তিষ্ক ও শিরা-ধমনীতে প্রবাহিত হচ্ছে দীপ্তিমান দ্বীপশিখা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের শেষ প্রান্তে এসে বঙ্গবন্ধুর জীবনভর মুক্তি ও সত্যের আন্দোলন ও অনুসন্ধানের প্রতি আমাদের অন্তহীন বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালবাসা। শিরোনামে উদ্ধৃত একশত এগারো বছর পূর্বে রচিত রবীন্দ্র পঙক্তি বঙ্গবন্ধুর মুক্তি, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা অনুসন্ধান, আন্দোলন ও অর্জনের যথাযথ প্রতিফলন।

জীবনের শৈশব, কৈশোর, যৌবনের পুরোটা সময় সকল মানুষের সার্বিক মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধুর যে অতুলনীয় ঔদার্যময় চিন্তাশীলতা ও কর্মকুশলতা আমরা লক্ষ্য করি তাতে সহজেই উপলব্ধি করা যায় যে তিনি ছিলেন মানবমুক্তির অগ্রদূত।

মানবমুক্তির পথ পরিক্রমায় সদা ব্যাপৃত বঙ্গবন্ধুর ৩০৫৩ দিনের কারাজীবনের অতি অল্পই প্রকাশ পেয়েছে বঙ্গবন্ধু রচিত ‘কারাগারের রোজনামচা’ নামক ২০১৭ সালের মার্চ মাসে প্রকাশিত গ্রন্থে। কিন্তু পাকিস্তানের ঔপনিবেশিক আমলের পুরোটা সময় তিনি কীভাবে শাসকদের নজরবন্দীতে ছিলেন তার প্রমাণ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার নথিপত্র থেকে মূল্যবান দলিলের একটি সংস্করণ প্রকাশ করেছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা লন্ডনে অনুষ্ঠিত এ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বলেছেন, বাংলা ভাষা আন্দোলনের প্রথম পর্যায় অর্থাৎ ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত পাকিস্তানিদের সংগৃহীত সকল তথ্য এ গ্রন্থে সন্নিবেশিত আছে।

বাঙালির প্রধান মিত্র হওয়ার কারণেই তরুণ ছাত্রনেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে ঔপনিবেশিক শাসকরা পাকিস্তানের প্রধান শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করে ও মুক্ত মানুষ হিসেবে প্রাপ্য সকল মৌলিক অধিকার থেকেও দশকের পর দশক তাঁকে বঞ্চিত রাখে।

বঙ্গবন্ধুর জীবন থেকে শিক্ষাগ্রহণ করলে, বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু রচিত, ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’ ও ‘আমার দেখা নয় চীন’ গ্রন্থত্রয় পাঠ করলে পাঠকরা নিশ্চয়ই উপলব্ধি করতে পারবেন— ১১১ বছর পূর্বে রবীন্দ্রনাথ কেন লিখেছিলেন ‘মুক্ত করো হে মুক্ত করো আমারে’।

স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম রবীন্দ্র জন্মোৎসবে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘রক্ত দিয়ে আমরা রবীন্দ্র অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে লক্ষ লক্ষ প্রাণ ও অপরিমেয় ত্যাগের বিনিময়ে। কিন্তু সত্য, শ্রেয়, ন্যায় ও স্বজাত্যের যে চেতনা বাঙালি কবিগুরুর কাছ থেকে লাভ করেছে আমাদের স্বাধিকার সংগ্রামে তারও অবদান অনেকখানি। বাঙালির সংগ্রাম আজ সার্থক হয়েছে বাঙালি তার বুকের রক্ত দিয়ে রবীন্দ্র অধিকারকে বাংলাদেশের পুন:প্রতিষ্ঠিত করেছে। (দৈনিক বাংলা, ৮ মে, ১৯৭২)

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জাতির উদ্দেশে বঙ্গবন্ধুর প্রথম বাণী ছিল—
‘উদয়ের পথে শুনি কার বাণী,
ভয় নাই, ওরে ভয় নাই-
নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান
ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।’

১২ জানুয়ারি, ১৯৭২ অপরাহ্নে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীরূপে শপথ গ্রহণের পরপরই বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার প্রতিনিধির প্রশ্ন স্যার, ‘আজকের দিনে জাতিকে আপনি কি বাণী শুনাবেন?’
জবাবে বঙ্গবন্ধু তার চোখে-মুখে স্বভাবসুলভ উদার হাসি মাখা সঙ্গে সঙ্গে আবৃত্তি করেন (ইত্তেফাক, ১৩ জানুয়ারি ১৯৭২) রবীন্দ্রনাথের ১১৪ বৎসর পূর্বে রচিত ‘সুপ্রভাত’ কবিতাটির একাংশ যা উপরে উদ্ধৃত। বাংলাদেশ প্রজাতন্ত্ররে প্রভাতক্ষণে ‘সুপ্রভাত’ কবিতার মাধ্যমে জাতির প্রতি বঙ্গবন্ধুর অভয় বাণী গভীর তাৎপর্যবহ। অধিকারহীন, বঞ্চিত ও দরিদ্র মানুষের মুক্তি ও স্বার্থরক্ষায় বঙ্গবন্ধু তরুণ বয়স থেকেই যে কীভাবে অদম্য প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছেন তার বহু প্রমাণ পাওয়া যায় ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’ গ্রন্থদ্বয়ের পাতায় পাতায়।

১৯৪৯ সালে ২৬শে র্মাচ তরুণ ছাত্রনতো শেখ মুজবিুর রহমানকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ থেকে কতিপয় শর্তাধীনে বহষ্কিার করা হয় কিন্তু আপসহীনতার প্রতিজ্ঞায় সুদৃঢ় শেখ মুজিব সেদিন পেছনে ফিরে তাকাননি। ইতিহাসের কি অদ্ভুত মিল যে, বাংলাদেশ নামক প্রজাতন্ত্রের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

ইউনেস্কো মহাপরিচালকরে ঘোষণা-সনদ

গত ১১ নভম্বের, ২০২১ তারিখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউনেস্কোর প্যারিস সদর দপ্তরে ৪১তম সাধারণ অধিবেশনে বঙ্গবন্ধুর নামে গত বৎসর প্রর্বর্তিত ‘ইউনেস্কো বাংলাদেশ শেখ মুজিবুর রহমান আর্ন্তজাতিক সৃজনশীল অর্থনীতি পুরস্কার’ প্রদান অনুষ্ঠানে বিশ্বের র্আথ-সামজিক-বৈজ্ঞানিক উন্নয়নে বাংলাদেশের অবদান ও আগ্রহের কথা উল্লেখ করেন।

ভাষা হচ্ছে শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান, বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, প্রশাসনসহ সকল ক্ষেত্রের মূল চালিকাশক্তি। মায়ের ভাষাতেই আমরা খুঁজে পাই জীবন জীবিকার প্রাণশক্তি। পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরপরই গর্ভনর জেনারেল জিন্নাহর অযৌক্তিক ঘোষণার কারণেই ভাষা আন্দোলন শুরু হয়ে যায়। পাকিস্তানিরা বাংলা ভাষার গুরুত্ব অস্বীকার করে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের অধ্যায়নরত তরুণ ছাত্রনেতা শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের প্রথম পর্বে ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ গ্রেফতার হন। গ্রেফতারের পূর্বেই তিনি বলেছিলেন, ‘পাকিস্তানের এই অদ্ভুত কাঠামোতে আর যাই হোক বাঙালির মুক্তি সম্ভব নয়। বাঙালির মুক্তির জন্য প্রয়োজন তাদের স্বাধীন মাতৃভূমি।’

স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ৬ই মে তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের আমন্ত্রণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘স্বাধীনতা আন্দোলনের সূচনা হয় ১৯৪৮ সালের ১১ই মার্চ।’’ (দৈনিক বাংলা, ৭ মে ১৯৭২)

পৃথিবীর প্রতিটি মাতৃভাষাই যে গুরুত্বপূর্ণ সেই বোধটি এসেছে আমাদের একুশে ফেব্রুয়ারি থেকে। ইউনেস্কোর সাধারণ অধিবেশনে ১৯৯৯ সালে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০০০ সাল থেকে সমগ্র বিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপিত হয়ে আসছে।

গত বছর ১১ ডিসেম্বর ইউনেস্কোর ২১০তম নির্বাহী বোর্ডের সভায় 'ইউনস্কেো-বাংলাদেশ বিজয়ের অগ্রদূত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর্ন্তজাতিক সৃজনশীল অর্থনীতি পুরস্কার' প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। মুজিব শতবর্ষের এই সময়ে বিশ্ব সংস্থা কর্তৃক তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য এ পুরস্কার ঘোষণা বিশ্বের যুবসমাজকে দারুণভাবে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করবে।

লেখক: সাবেক উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

আরএ/

Header Ad

জিম্বাবুয়ে-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজের ফলাফল কোনো কাজে আসবে না : সাকিব

ফাইল ছবি

জিম্বাবুয়ে সিরিজ এবং তার পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজের ফলাফল আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের জন্য কোনো কাজেই আসবে না বলে জানিয়েছেন সাকিব আল হাসান।

গতকাল বিকালে সাবেক জাতীয় দলের সতীর্থ পেসার রুবেল হোসেনের বাইকের শো রুম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে একথা জানান তিনি। সেই সাথে এই গরমে ডিপিএলের সুপার লিগ পর্বের খেলা চালানোকে অমানবিক বলেও আখ্যা দেন সাকিব।

নবম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে টাইগারদের প্রস্তুতির প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সাকিব বলেন, ‘দেখুন জিম্বাবুয়ে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খেলা বিবেচনা করে আমরা যদি বিশ্বকাপ চিন্তা করি, সেটা আমার কাছে মনে হয় ভুল হবে। বিশ্বকাপ সম্পূণ ভিন্ন একটা জায়গা। সেখানে আমরা যতবেশী চাপ নিতে পারব তত বেশি ভালো খেলার সম্ভাবনা থাকবে। সর্বশেষ আমরা যখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছি, আমার কাছে মনে হয় আমরা মোটামুটি একটা পারফরম্যান্স করেছিলাম। সেটা খুব ভালো না হলেও কেউ বলবে না যে খুব একটা খারাপ ছিল। আমি আশা করব সেখান থেকে যদি আমাদের শুরু হয় তাহলে এই বিশ্বকাপটা হবে আমাদের সেটাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার। সেটা যদি করতে হয় তাহলে আমাদের অবশ্যই প্রথম রাউন্ডের (বিশ্বকাপে) তিনটা ম্যাচে জিততে হবে, তা যদি করতে পারি তাহলে সেটা আমাদের জন্য মোটামোটি ভালো একটা অর্জন হবে সেখান থেকে পরবর্তীতে চিন্তা করলে আমার মনে হয় ভালো হবে।’

জিম্বাবুয়ে সিরিজ শেষেই চলতি মাসেই বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে যাবেন টাইগাররা। বিশ্বকাপের আগে এই সিরিজ খেলার প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে আমাদের খেলার বড় কারণ হলো কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো। সেইসঙ্গে সেই জায়গাটা সম্পর্কে জানা। আমাদের খুব বেশি খেলোয়াড় নেই যারা সেখানে খেলেছে। ফ্লোরিডাতে হয়তো আমাদের কয়েক জন খেলোয়াড়ের খেলার অভিজ্ঞতা আছে। আমাদের ঐ জিনিসটা কাজে লাগবে যে আমরা কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারব। তবে অবশ্যই এটা আদর্শ প্রস্তুতি না। আমি আগে যেটা বললাম যে আপনি যখন একটা কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলে যাবেন... যখন নিউজিল্যান্ড এবং পাকিস্তানের মতো দলের সঙ্গে খেলে বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিলাম স্বাভাবিকভাবে আমরা ভালো একটি প্রস্তুতি নিয়ে খেলতে গিয়েছিলাম। সেই দিক দিয়ে চিন্তা করলে অবশ্যই এটা আদর্শ নয় তবে মনে হয় এটাই আমাদের কাছে সেরা সুযোগ ছিল প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য।’

১৫ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

গত ১৫ বছরে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি। তিনি বলেন, ‌‌‌‌‌‌‌ এই অর্জনকে ধরে রাখতে হবে। মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মিত হচ্ছে, চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শীঘ্রই শুরু হবে।

আজ (রবিবার, ০৫ মে) চট্টগ্রামে ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউটে চট্টগ্রামের স্পেশাল ব্যাচ-২০২৩ এর শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক নৌ-সংস্থায় (আইএমও)-তে 'সি' ক্যাটাগরির সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। পায়রা বন্দর নির্মিত হচ্ছে, মংলা বন্দর, চট্টগ্রাম বন্দরের আপগ্রেডেশন হচ্ছে। বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন ছয়টি জাহাজ সংগ্রহ করেছে। আরো জাহাজ সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে। বাংলাদেশে একটি মাত্র মেরিন একাডেমি ছিল। শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে চারটি নতুন মেরিন একাডেমী প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আরো তিনটি মেরিন একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হবে। বিশ্বের অন্যতম মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়' শেখ হাসিনার সরকারের সময় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউটের (এনএমআই) প্রশিক্ষণের গুণগতমান, আন্তর্জাতিক নৌ-সংস্থা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মেরিটাইম সেফটি এজেন্সী কর্তৃক স্বীকৃতি প্রাপ্ত। এ গুণগতমান অব্যাহত রাখতে হবে। চট্টগ্রামের ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউট এর পর মাদারীপুরে ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউট, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, রাজশাহী এবং মেহেরপুর স্থাপনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ডিজিটালাইজেশনের কারণে বিশ্বনৌবহর দ্রুতগতিতে উন্নত থেকে উন্নতর হচ্ছে। সে সাথে তাল মিলিয়ে জাহাজী অফিসার ও নাবিকদেরকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। আমাদের ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউট আন্তর্জাতিক নৌ-সংস্থার এসটিসিডব্লিউ কনভেনশন যথাযথভাবে অনুসরণ করে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে আসছে। দিনবদলের পালায় বর্তমান সরকারের ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার নিমিত্তে দেশের সকল সেক্টর একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। সে প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ নিম্নমধ্য আয়ের দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল (ডেভেলপিং) দেশে এবং উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার পথে এগিয়ে চলছে। আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট দেশে পরিণত হবে। এরই অংশীদার হিসাবে শিপিং সেক্টরও জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সরকারের নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে। শিপিং সেক্টরে দক্ষ মানব সম্পদ সৃষ্টির লক্ষ্যে ট্রেনিং ইন্সটিটিউটসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তোমরা দেশপ্রেমকে বুকে ধারণ করে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে তোমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে যাতে করে আমাদের দেশের ভাবমূর্তি সমুজ্জল থাকে। তোমরা দেশের এম্বাসেডর হিসেবে কাজ করবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ দিয়ে গেছেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। আমরা বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ পরিশোধ করতে পারবোনা। কিন্তু তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারবো। দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারলেই বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে।

এবারের স্পেশাল ব্যাচে ১৭৭ জন প্রশিক্ষণার্থী প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এর মধ্যে ডেক- ৮৮, ইঞ্জিন- ৭৯ এবং স্টুয়ার্ড- ১০। তাদের মধ্যে কেউ কেউ এস.এস.সি পাশ। আবার কেউ বহি:নোঙ্গরে মার্চেন্ট জাহাজে ক্যাজুয়েল বেসিসে কাজ করছেন। কেউ শোর রিপেয়ার টিমের সাথে, কেউ শিপ রিপেয়ার ওয়ার্কশপ/শিপইয়ার্ড/ড্রাইডকে ক্যাজুয়েল অথবা স্থায়ীভাবে কাজ করছেন। কেউ পানামা সিডিসিধারী, কেউ দেশে/বিদেশে নন কনভেনশনাল জাহাজে টাগ বোট/সাপ্লাই বোট/বার্জ ইত্যাদিতে চাকরি করছেন। কারো কারো অভ্যন্তরীণ জাহাজে নাবিক হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা আছে। প্রতিমন্ত্রী প্রশিক্ষণার্থীদের মার্চপাস্ট পরিদর্শন করেন এবং শ্রেষ্ঠ প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের চিফ নটিক্যাল সার্ভিয়ার মোঃ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউট চট্টগ্রামের অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন আতাউর রহমান বক্তব্য রাখেন। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল এসময় উপস্থিত ছিলেন।

সুন্দরবনের আগুন নেভাতে যোগ দিয়েছে নৌ ও বিমান বাহিনী

ছবি: সংগৃহীত

প্রায় ১৫ ঘন্টা পর আজ (রবিবার) সকালে সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়া ছিলা এলাকায় লাগা আগুন নেভাতে কাজ শুরু ফায়ার সার্ভিস। আজ সকাল ৯টা থেকে আগুন নেভাতে বনরক্ষী-ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি এ কাজে যোগ দিয়েছে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার।

শুরুতেই নৌবাহিনীর মোংলা ঘাঁটির লেফটেনেন্ট কমান্ডার আরফাতুল আরেফিনের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি ফায়ার ফাইটিং টিম আগুন নেভানোর কাজে নেমে পড়েন। এরপর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা পাশের ভোলা নদী থেকে পানি ওঠানোর জন্য পাইপ সংযোগ দেন। তবে নদীতে জোয়ার না থাকায় পানি সরবরাহে বিলম্ব হচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বাগেরহাটের উপ-পরিচালক মামুন আহমেদ জানান, সকালেই সুন্দরবনের আগুন নেভাতে তাদের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসেছে। এর মধ্যে মোংলা, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলার তিনটি ইউনিট কাজ শুরু করেছে। বাকি দুটি ইউনিট স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে। তবে বনের পাশে ভোলা নদীতে এখন ভাটা থাকায় আগুন নেভানোর কাজে পাইপসহ অন্যান্য সরঞ্জাম নেওয়া যাচ্ছে না। জোয়ার হলে এগুলো পার করা হবে। তবে আগুন অল্প অল্প করে জ্বলছে। শুকনো পাতা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলেও আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করার শঙ্কা নেই।

শনিবার সন্ধ্যায় ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করতে পারেনি। এর আগে শনিবার দুপুরে স্থানীয় গ্রামবাসী ও বনরক্ষীরা বনের আমুরবুনিয়া টহল ফাঁড়ি এলাকায় আগুনের কুণ্ডলী ও ধোঁয়া দেখতে পায়।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মোহাম্মদ নূরুল করিম বলেন, ‘রোববার সকাল ৮টা থেকে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট সুন্দরবনের ভোলা নদী থেকে পানি ছিটিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেছে। যে সব স্থানে আগুনের ধোঁয়া ও কুণ্ডলী দেখছে সেখানে পানি ছেটানো হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি বনবিভাগ ও গ্রামবাসী আগুন নেভাতে কাজ করছে। কাছাকাছি পানির উৎস না থাকায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে। প্রায় দুই কিলোমিটার দূর থেকে পানি আনতে হচ্ছে। আগুন পুরোপুরি না নির্বাপণ পর্যন্ত তারা কাজ করবে।’

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শনিবার (৪ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের জিউধারা স্টেশনের আমোরবুনিয়া টহল ফাঁড়ি-সংলগ্ন বনাঞ্চলে ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখতে পান তারা। পরে বন বিভাগ ও স্থানীয় বাসিন্দারা মিলে বালতি ও কলসি নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন।

এদিকে আজ সকাল সাড়ে সাতটার দিকে হেলিকপ্টার এসে সুন্দরবনে আগুনের ঘটনাস্থলের উপরে চক্কর দিয়ে চলে গেছে বলে নিশানবাড়িয়া ইউপি সদস্য আবু তাহের মিনা জানিয়েছেন।

এদিকে, আগুন লাগার কারণ, কী পরিমাণ এলাকায় আগুন লেগেছে ও ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বনবিভাগ। চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক রানা দেবকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুজন সদস্য হলেন জিউধারা স্টেশন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান ও ধানসাগর স্টেশন কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম।। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

 

সর্বশেষ সংবাদ

জিম্বাবুয়ে-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজের ফলাফল কোনো কাজে আসবে না : সাকিব
১৫ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সুন্দরবনের আগুন নেভাতে যোগ দিয়েছে নৌ ও বিমান বাহিনী
গাজায় দেড় লাখের বেশি অন্তঃসত্ত্বা নারী পানিশূন্যতায় ভুগছেন
স্বামীর সঙ্গে অভিমানে নববধূর আত্মহত্যা
নারী এমপিকে মাদক খাইয়ে যৌন হেনস্তা
নীলক্ষেতে দুই রেস্টুরেন্টে আগুন
খাগড়াছড়িতে টিনের চালে বজ্রপাত, ঘরসহ পুড়ে ছাই মা-ছেলে
যুদ্ধে বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রকেও পাত্তা দিচ্ছে না দখলদার ইসরায়েল
সুন্দরবনে আগুন নেভানোর কাজ শুরু
ঢাকা সফরে আসছেন আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপ
কেমন থাকবে আজকের আবহাওয়া, যা জানাল আবহাওয়া অফিস
আজ থেকে খুলছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
মিল্টন সমাদ্দারের মানবিকতার আড়ালে প্রতারণা, যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন
যুক্তরাষ্ট্রের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে: ইরান
নিজের মান ইজ্জত রক্ষা করুন, মন্ত্রী-এমপিদের প্রতি ইসি রাশেদা
উদ্যোক্তারাই দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারী : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
টানা ৬ দিন হতে পারে ঝড়বৃষ্টি জানাল আবহাওয়া অফিস
সেই ভাইরাল নেতা পাকিস্তান জামায়াতের আমির নির্বাচিত
টানা ৮ দফা কমার পর বাড়ল স্বর্ণের দাম