রবিবার, ৫ মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

শান্তির জন্য সুশিক্ষার বিকল্প নাই

আসন্ন ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ আমাদের জন্য নতুন আশা, শান্তি,সমৃদ্ধি বয়ে নিয়ে আসুক আজকের দিনে এটিই আমাদের কামনা। বর্তমান সময়টিতে যে সংকটের মাঝে দিয়ে আমরা অতিক্রম করছি, বিশেষ করে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ, সারা পৃথিবীর মুদ্রাস্ফীতি, জলবায়ুর নানা পরিবর্তন কাটিয়ে উঠার জন্য সারা পৃথিবী জুড়ে নেতাদেরকে একযোগে কাজ করতে হবে এবং পৃথিবীবাসীর ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন প্রয়োজন।

বাংলাদেশের সরকার প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের ২২তম সম্মেলন উদ্বোধনকালে এই বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারে তার নেতা-কর্মীদের বলেছেন। আজকের পৃথিবীকে শান্তির পৃথিবী হিসেবে আমরা দেখতে চাই। শান্তির জন্য সুশিক্ষার কোনো বিকল্প নাই। “Education breeds confidence. Confidence breeds hope. Hope breeds peace.”

আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭৫ তারিখে জাতিসংঘ সদস্যপদ গ্রহণ করতে যে ভাষণ দিয়েছিলেন, তাতেও তিনি বড় দেশগুলোকে অস্ত্রপাচার বন্ধ করে শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছিলেন। আজকের পৃথিবীকে শান্তির পৃথিবী হিসেবে আমরা দেখতে চাই। শান্তির জন্য শিক্ষার কোনো বিকল্প নাই।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ সারাজীবনই বিশ্বশান্তির জন্য কাজ করে গেছেন এবং সেখানে শিক্ষাকে প্রধান হাতিয়ার হিসেবে দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। শান্তি নিকেতনের সার্বিক কার্যক্রম তারই প্রমাণ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশের রূপান্তরের যে ঘোষণা দিয়েছেন, সেই স্মার্ট বাংলাদেশ একজনের জন্য আমাদের অতিদ্রুত স্মার্ট এডুকেশন সিস্টেম প্রবর্তন করা জরুরি।

একটি স্মার্ট এডুকেশন সিস্টেমের মাঝে দিয়ে যে শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে উঠবে তারাই হবে ভবিষ্যতের স্মার্ট এডুকেশন সিস্টেম। একটি স্মার্ট এডুকেশন সিস্টেমের মাঝে দিয়ে যে শিক্ষার্থীরা গড়ে উঠবে তারাই হবে ভবিষ্যতের স্মার্ট সিটিজেন। এই স্মার্ট সিটিজেনের মাঝে থেকেই আমরা পাবো জনপ্রতিনিধি, আমলা বিভিন্ন পেশার মানুষ যারা স্মার্ট নাগরিক গড়ে তুলবেন। এই স্মার্ট নাগরিকদের থেকেই কেউ কেউ উদ্যোক্তা হবেন, শিক্ষক হবেন, শিল্পপতি হবেন এবং তারা স্মার্ট অর্থনীতি গড়ে তুলবেন।

কৃষিক্ষেত্রে কার্যক্রম যখন সুন্দরভাবে পরিচালিত হবে তখন আমাদের সমাজ আরও সুন্দর হবে, এতে কোনো সন্দেহ নাই। আমার মনে হয়, সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু যে সোনার মানুষের কথা বলেছিলেন, আমাদের আজ সেই সোনার মানুষ গড়ার প্রয়োজন। যারা সত্যিকার অর্থেই সৎ, দেশপ্রেমিক, স্মার্ট নাগরিক অর্থই হবে, তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ একজন দেশপ্রেমিক এবং বাংলাদেশের সংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক একজন নাগরিক। যিনি প্রকৃত অর্থে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে জীবন যাপন করবেন এবং দেশবাসীর কল্যাণে নিয়োজিত থাকবেন। উৎসর্গচিত্তে কখনো পিছু পা হবেন না। সময়ের বিবর্তনে, সমাজের নানা পরিবর্তনে এটি অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু পরিবর্তনকে মানবকল্যাণে যুক্ত করাই হচ্ছে, একজন স্মার্ট নাগরিকের দায়িত্ব।

মানুষ সবসময়ই সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অভিযোজন প্রক্রিয়ায় নিজেকে যুক্ত করতে চায়। আজকের বাংলাদেশে নানামুখি চ্যালেঞ্জ আমরা লক্ষ্য করি। আমরা সাড়ে ষোল কোটি মানুষ ঐক্যবদ্ধ থাকলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা অসম্ভব কিছু হবে না। ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ শুধু বাংলাদেশের জনগণকে নয়, সারা পৃথিবীর মানুষকে একই পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ করবে এটিই হলো নতুন বছরে আমার প্রত্যয় ও বাসনা।

আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক: সাবেক উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

Header Ad

নীলক্ষেতে দুই রেস্টুরেন্টে আগুন

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর নীলক্ষেত মোড়ে ২টি রেস্টেুরেন্টে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৫ মে) দিবাগত রাত ১টা ৫ মিনিটের দিকে এই আগুনের সূত্রপাত হয়।

পরে খবর পেয়ে পার্শ্ববর্তী ফায়ার সার্ভিসের পলাশী ব্যারাকের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পলাশী ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার জিহান রহমান নাবিল বলেন, রাত ১টার পর নীলক্ষেতে আগুনের খবর পেয়েছি। আমরা সাথে সাথে ঘটনাস্থলে আসি।

তিনি আরও বলেন, প্রথমে ২টি দোকানে আগুন দেখতে পাই। যার একটি বড় এবং আরেকটি ছোট দোকান। তবে দুটি দোকানই ছিল খবারের দোকান। এখন আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।

অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানা গেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্ত করা ছাড়া তাৎক্ষণিক বলা সম্ভব না। তবে ধারণা করছি বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে। তবে দোকান দুটির তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি এবং আগুনে কোনও হতাহতের ঘটনাও ঘটেনি বলে জানান তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, গভীর রাতে হঠাৎ করেই নীলক্ষেত মোড়ের সুলতানী ভোজ ও সিপি ফাইভ স্টার নামের দুইটি হোটেলে আগুন দেখা যায়। পরে নিরাপত্তা কর্মীরা সাথে সাথেই ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়।

 

খাগড়াছড়িতে টিনের চালে বজ্রপাত, ঘরসহ পুড়ে ছাই মা-ছেলে

ছবি: সংগৃহীত

খাগড়াছড়ির দীঘিনালাতে ঘরের চালে বজ্রপাতে ঘরে থাকা মা ও শিশুসহ দুজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৫ মে) ভোরে উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের মধ্যবেতছড়ি গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- হাসিনা বেগম (৩০) ও তার ছেলে হানিফ মিয়া (৮)। দীঘিনালা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিভিয়ে লাশ দুটি উদ্বার করে।

মেরুং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকি জানান, বজ্রপাতে টিনের ঘরটি পুড়ে নিহতদের লাশ অঙ্গার হয়ে গেছে। ঘটনার সময় হাসিনা বেগমের গাড়িচালক স্বামী ছাদেক আলী বাড়িতে ছিলেন না।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দীঘিনালা থানার ওসি মো. নুরুল হক জানিয়েছেন, লাশগুলো আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

 

যুদ্ধে বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রকেও পাত্তা দিচ্ছে না দখলদার ইসরায়েল

ছবি: সংগৃহীত

সাত মাসের বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নৃশংস হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। এর মধ্যে বিশ্বের বেশির ভাগ দেশই যুদ্ধে বন্ধে ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তবে সে দিকে মনোযোগ না দিয়েই গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইল। ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি চুক্তি করতে ইসরায়েলকে চাপ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও। তবে এই চাপকেও উপেক্ষা করেছে দখলদার ইসরায়েল।

গতকাল শনিবার (৪ মে) মিসরের রাজধানী কায়রোতে হামাসের একটি প্রতিনিধি দল যায়। সেখানে তারা যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করে। তবে হামাসের এক কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানান, কোনো ফলাফল ছাড়াই আলোচনা শেষ হয়েছে। কিন্তু এটি পুরোপুরি ভেস্তে যায়নি। তাই আজ রোববার আবারও আলোচনায় বসবেন তারা।

আরব বিশ্ব ও ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র হামাসকে নিশ্চয়তা দিয়েছে— যদি তারা ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে রাজি হয় তাহলে গাজায় যুদ্ধের অবসান ঘটানো হবে।

এমন খবর প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয় তারা স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধ করতে রাজি হয়নি।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম কান এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, হামাসের সঙ্গে আলোচনার জন্য গতকাল মিসরের কায়রোতে ইসরায়েলকে প্রতিনিধি দল পাঠাতে চাপ দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তাদের কথা শোনেননি। তিনি কায়রোতে প্রতিনিধি দল পাঠাতে অস্বীকৃতি জানান।

গতকাল হামাসের এক কর্মকর্তা জানান, তারা ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ কার্যকরে রাজি হয়েছিলেন। মূলত যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ বন্ধের নিশ্চয়তা দেওয়ার পর তারা এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছিলেন।

কিন্তু এরপর যখন ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে তারা যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ করতে রাজি হয়নি তখন হামাস জানায়, যুদ্ধ বন্ধ করা ছাড়া অন্য কোনো চুক্তিতে তারা রাজি হবেন না।

দখলদার ইসরায়েলের উগ্রপন্থি জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গিভির এবং অর্থমন্ত্রী বাজায়েল স্মোরিচ হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির চুক্তি না করতে হুমকি দিয়েছেন। তারা সতর্কতা দিয়ে বলেছেন, রাফাহতে হামলা ছাড়া যদি যুদ্ধবিরতি করা হয় তাহলে সরকার ভেঙে দেওয়া হবে।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল

সর্বশেষ সংবাদ

নীলক্ষেতে দুই রেস্টুরেন্টে আগুন
খাগড়াছড়িতে টিনের চালে বজ্রপাত, ঘরসহ পুড়ে ছাই মা-ছেলে
যুদ্ধে বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রকেও পাত্তা দিচ্ছে না দখলদার ইসরায়েল
সুন্দরবনে আগুন নেভানোর কাজ শুরু
ঢাকা সফরে আসছেন আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপ
কেমন থাকবে আজকের আবহাওয়া, যা জানাল আবহাওয়া অফিস
আজ থেকে খুলছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
মিল্টন সমাদ্দারের মানবিকতার আড়ালে প্রতারণা, যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন
যুক্তরাষ্ট্রের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে: ইরান
নিজের মান ইজ্জত রক্ষা করুন, মন্ত্রী-এমপিদের প্রতি ইসি রাশেদা
উদ্যোক্তারাই দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারী : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
টানা ৬ দিন হতে পারে ঝড়বৃষ্টি জানাল আবহাওয়া অফিস
সেই ভাইরাল নেতা পাকিস্তান জামায়াতের আমির নির্বাচিত
টানা ৮ দফা কমার পর বাড়ল স্বর্ণের দাম
দিয়াবাড়ির লেক থেকে ২ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীবাসীর জন্য সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস
মক্কায় প্রবেশে আজ থেকে কঠোর বিধি-নিষেধ
‘দাদাসাহেব ফালকে’ পুরস্কার জিতলেন মিথিলা
ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো বগুড়ার আলু ঘাঁটি উৎসব
টাঙ্গাইলে পাগলা কুকুরের কামড়ে শিশুসহ ২২ জন আহত