শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
Dhaka Prokash

নির্বাচনে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পক্ষপাতদুষ্ট

সুষ্ঠু নির্বাচনের সবচেয়ে বড় বাধা হলো সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষপাতদুষ্টতা। একটি নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশীজন থাকে। এখন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি হবে না তা নির্ভর করছে এ সব অংশীজন অথবা স্টেক হোল্ডারের উপর। জনগণের ভোটেই নির্বাচন হওয়া উচিত। জনগণের মতামতই প্রতিফলিত হওয়া উচিত। আমাদের আশা সেটিই। একইসঙ্গে এই নির্বাচনকে ঘিরে আমাদের হতাশাও আছে।

জনগণের মতামত প্রতিফলিত হওয়ার ক্ষেত্রে কতগুলো প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে কিংবা বাধা সৃষ্টি করতে পারে। তার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারের একটি হলো নির্বাচন কমিশন অন্যটি হলো সরকার। সরকার মানে প্রশাসন অর্থাৎ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সরকার ও নির্বাচন কমিশন স্বার্থপর হয়ে নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করতে পারে। নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ না হয়ে যদি পক্ষপাতদুষ্ট হয়, যদি কোনো দলের প্রতি অনুগত হয়, তখন নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী ফলাফলকে ভণ্ডুল করতে পারে। আমরা দেখেছি নির্বাচন কমিশন ইভিএম ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনমনীয়তা দেখাচ্ছে। সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য বাধা সৃষ্টি করতে পারে এবং করছেন। আমার কথা হচ্ছে যে, নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যারা আছেন, তারা সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন যেমন নিশ্চিত করতে পারে, আবার সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথে বাধাও সৃষ্টি করতে পারে।

জনগণের মতামত বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করতে পারে নাগরিক সমাজ। গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজ তাদের সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারে। তারা জেনে শুনে বুঝে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আমার কথা হচ্ছে, নির্বাচন কমিশন যদি নিরপেক্ষ না হয়, তারা যদি পক্ষপাতদুষ্ট হয়, কোনো দলের পক্ষে যদি তাদের অবস্থান হয়, তাহলে কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। তেমনিভাবে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি পক্ষপাতদুষ্ট হয়, তাহলে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভবপর হবে না। সেক্ষত্রে জনগণের মতামত কার্যকর হবে না।

আমাদের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল হওয়ার অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল হওয়ার পর থেকে নির্বাচন কমিশনে দলীয়করণ হয়েছে। নির্বাচন কমিশনে পক্ষপাতদুষ্ট ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, বিভিন্ন রকম কৌশলের মাধ্যমে। সেই কৌশলের মাধ্যমে পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ বহু কথা বলা যায়। তারা সম্প্রতি যে ধরনের কর্মকাণ্ড করছে সেটি দুঃখজনক। ইভিএম নিয়ে যদিও ব্যাপক জন অসন্তোষ আছে। তাদের ভাষা এরকম যে, সবার অংশগ্রহণে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন তাদের দায়িত্ব নয়। তাদের দায়িত্ব হল, ইচ্ছুক দলগুলোকে নিয়ে নির্বাচন করা। এটিতো কোনো নির্বাচন হতে পারে না। নির্বাচন মানেই হচ্ছে বেছে নেওয়া। নির্বাচন কমিশন তাদের রোডম্যাপের মাধ্যমেই তারা যে সবার অংশগ্রহণে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন করতে চায় না, এটি সুস্পষ্ট। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চরম পক্ষপাতদুষ্ট এবং আমাদের ২০১৮ সালের নির্বাচনে মধ্যরাতে যে ভোট হয়েছে, এই মধ্যরাতের ভোটের সবচেয়ে মূল ভূমিকা পালন করেছে নির্বাচন কমিশন। যেগুলো হচ্ছে আমাদের পরবর্তী নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার পথে বাধা। এইসব বাধা দূর করতে না পারলে সমস্যা হবে এবং এ ধরনের পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে কখনো দেশ ও জাতি এগিয়ে যেতে পারে না।

বদিউল আলম মজুমদার: সম্পাদক, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)

আরএ/

Header Ad

সরকার পতনের দাবি নিয়ে জাতীয় ঐক্যের ডাক বিএনপির

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

সরকার পতনের একদফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা বিরোধী সমমনা রাজনৈতিক দলসহ বাম-ডান রাজনৈতিক দল; সব ঘরানার রাজনৈতিক দল ও সামাজিক-সংস্কৃতিক সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছে বিএনপি।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে জাতীয় বৃহত্তর স্বার্থে লুণ্ঠিত গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার অধিকারহীন জনগণের ও জাতির মুক্তির লক্ষ্যে আমরা উপরোক্ত ন্যূনতম একদফার ভিত্তিতে এবং দাবিতে দেশের সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, ব্যক্তি ও শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি ‘জাতীয় ঐক্য’ গঠনের আহ্বান জানাচ্ছি।

বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা বিএনপির নেতৃত্বে যুগপৎ আন্দোলনের সব শরিকদল ও জোট, বাম-ডান সব রাজনৈতিক দল, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য ধর্মভিত্তিক ও সব ইসলামী রাজনৈতিক দল এবং সংগঠনের প্রতিও জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানাচ্ছি।

রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো সময় ও যোগাযোগের প্রতিবন্ধকতার কারণে বিবৃতির মাধ্যমে এই ঐক্যের ডাকে সম্মতি প্রদান করতে পারবে বলে বিএনপির বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, শিগগির সম্মতিপ্রাপ্ত সবার স্বাক্ষরে যৌথ বিবৃতি দেয়া হবে। তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্যের এই ঐতিহাসিক ঘোষণা ও দলিল দেশ ও জাতির মুক্তি ত্বরান্বিত করবে ইনশাআল্লাহ।

কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়কারীকে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়কারীকে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ছবি: সংগৃহীত

কোটা সংস্কার আন্দোলনের তিন সমন্বয়কারীকে ডিবি হেফাজতে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, কারা তাদের আক্রমণ করতে চায় সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে দুর্বৃত্তদের দ্বারা সংঘটিত নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একটি মহল সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। ছাত্র আন্দোলনের নেতারা নতুন যে ৮ দফা দাবি দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তার মধ্যে যৌক্তিক দাবিগুলো পর্যায়ক্রমে মেনে নেওয়া হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন, স্থানীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি নূরুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল হক, পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেলসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

নাহিদ ইসলামসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ককে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ডিবিতে নেওয়া অপর দুই সমন্বয়ক হলেন আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার। শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে ডিবির একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করে।

মালয়েশিয়ায় ২২ বাংলাদেশিসহ ৫৯ অভিবাসী আটক

ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর ও সেলাঙ্গরে পৃথক অভিযানে ২২ বাংলাদেশিসহ ৫৯ জনকে আটক করেছে অভিবাসন বিভাগ।

কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশন ডিরেক্টর ওয়ান মোহাম্মদ সাউপি ওয়ান ইউসুফ এক বিবৃতিতে জানান, অনুমতিপত্র ও পরিচয়নথি ছাড়া কাজ করার অপরাধে শুক্রবার (২৬ জুলাই) কুয়ালালামপুরের কমপ্লেক্স দামাই এলাকা থেকে ৩৪ অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়।

তিনি বলেন, এছাড়া বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সেলাঙ্গরের ক্লাং উপত্যকায় অভিযানে ২৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে ২২ বাংলাদেশি, নেপালি, ভারতীয়, পাকিস্তানি এবং ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক রয়েছেন।

আটককৃতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, মালয়েশিয়ায় বসবাসের বৈধ পাসপোর্ট, পারমিট না থাকা ও অতিবাহিত হওয়া এবং পাসপোর্টের শর্ত মেনে চলতে ব্যর্থ হওয়া।

জানা গেছে, আটক ৩০ থেকে ৬০ বয়সীদের ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট অনুযায়ী আরো তদন্তের জন্য ইমিগ্রেশন ডিপোতে তাদের রাখা হয়েছে।

আটক অবৈধ অভিবাসীরা হকার, মুদি দোকানের কর্মী, রেস্তোরাঁর কর্মী, নাপিত, বিনোদন কেন্দ্রে ওয়েটার এবং গাড়ির ওয়ার্কশপের কর্মী হিসেবে কাজ করতেন।

সর্বশেষ সংবাদ

সরকার পতনের দাবি নিয়ে জাতীয় ঐক্যের ডাক বিএনপির
কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়কারীকে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মালয়েশিয়ায় ২২ বাংলাদেশিসহ ৫৯ অভিবাসী আটক
দেশবিরোধী জামায়াত, বিএনপি, ইউনূস গঙকে রুখে দিতে হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
অলিম্পিক ইতিহাসে ভিন্নধর্মী উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপহার দিল ফ্রান্স
ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে কারাগারে আশ্রয় ফিলিস্তিনিদের
ইসরায়েল নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত যুক্তরাজ্যের, চাপে নেতানিয়াহু
সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৪তম জন্মদিন আজ
বাংলাদেশে নতুন নির্বাচনের দাবি ড. ইউনূসের
জালিমদের ব্যাপারে ইসলাম যা বলে
ডিবি হেফাজতে নাহিদসহ কোটা আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক
আগামীকাল চালু হতে পারে মোবাইল ইন্টারনেট
'আমাকে নিয়ম শেখানোর দরকার নেই, ওরাই শিখে নিক'
‘দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে এ সহিংসতা’
দুর্নীতির দায়ে রাশিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী গ্রেপ্তার
আজও ঢাকাসহ চার জেলায় কারফিউ শিথিল
আবু সাঈদের পরিবারকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা দিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন
সহিংসতার অভিযোগে ঢাকায় ২০৯ মামলায় গ্রেপ্তার ২৩৫৭
‘মুক্তিযোদ্ধা কোটার বাইরে বাকি ৯৫ শতাংশ নিয়ে আদালতে বোঝাপড়া করব’
কোটা আন্দোলনে নিহত রুদ্রের নামে শাবিপ্রবির প্রধান ফটকের নামকরণ