বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

বায়ুদূষণ প্রতিরোধে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত

বায়ুদূষণে বাংলাদেশ শীর্ষে। কথাটি খুবই দুঃখজনক। বায়ুদূষণ জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তার মানে কিন্তু বিষয়টি এমন নয় যে এই দূষণ হঠাৎ করে আপনাকে মেরে ফেলবে। এটি ধীরে ধীরে আপনার জীবনীশক্তি ক্ষয় করে ফেলবে।

ঢাকা শহরের মানুষের স্বাভাবিক আচরণ বদলে গেছে বায়ু ও শব্দদূষণের কারণে। মানুষের মধ্যে উচ্চ স্বরে কথা বলা, অল্পতেই মেজাজ হারানো বা ক্ষেপে যাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয় শব্দদূষণ থেকে। একইভাবে বায়ুদূষণের মতো অভিশাপ থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে পরিবেশ অধিদপ্তর—কিন্তু সেই অর্থে এরা কেউ কখনোই কোনো উদ্যোগ নিয়েছে বলে আমি অন্তত দেখিনি।

বায়ুদূষণের মতো শব্দদূষণ অর্থাৎ পরিবেশদূষণ ঢাকার মানুষের জন্য খুবই ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর হাইড্রোলিক হর্ন। এই হর্ন কিন্তু বেশি ব্যবহার করেন ‘কর্তাব্যক্তিরা’। একটা হাত তুলে এসব হর্ন বাজাতে বাধা দেওয়ার মতো কেউ যেন নেই। এই যে একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে শব্দদূষণকে প্রণোদিত করা হচ্ছে, তা বড় ক্ষতি বয়ে আনছে। কিন্তু এ নিয়ে কেউ কর্ণপাত করছেন না। হর্নের শব্দ শুনতে শুনতে হয়তো তারা এসব শোনার মতো অবস্থায় নেই।

একবার আমরা শব্দদূষণ ও কানের ক্ষমতা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছিলাম। সেই সময় আমরা ঢাকার ফার্মগেট ও তেজগাঁওয়ের চারটি স্কুলে পর্যালোচনা করি। আমরা দেখতে পাই, যদি রাস্তা দিয়ে হেঁটে বা রিকশায় করে আসে, তাহলে অধিকাংশ শিশুর মাথা ধরে যায়।

চিকিৎসকেরা মনে করেন, এর মূল কারণ শব্দদূষণ। আরও দেখা যায়, ঢাকার প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ শিশুর ফুসফুসের সক্ষমতা কম। এর কারণও বায়ুদূষণ।

বায়ুদূষণ ও শব্দদূষণের মাধ্যমে একটা বিকলাঙ্গ প্রজন্ম তৈরি করা হচ্ছে। এটা কিন্তু ভয়াবহ ঘটনা। আমি মনে করি, চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তর, ট্রাফিক পুলিশ ও সিটি করপোরেশন মিলে দূষণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে। ট্রাফিক পুলিশের উচিত, অন্তত নিজেদের সদস্যদের স্বার্থে শব্দদূষণ প্রতিরোধে পদক্ষেপ নেওয়া।

ঢাকার দূষণের চিত্র বিশ্বের অন্য বড় শহরগুলোর চেয়ে আলাদা। যানবাহনের ধোঁয়া এজন্য বড় বিষয় হলেও নির্মাণকাজ এবং রাস্তা কাটার কারণে প্রচুর ধুলো-বালি হয়। এ ছাড়া শহরের চারপাশে ইট ভাটার কারণেও পরিবেশের দূষণ বাড়ছে। নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত বায়ুদূষণ হয়ে উঠে আকাশচুম্বী।

ঢাকা শহরের বায়ুদূষণ দিনের পর দিন যে খারাপের দিকে যাচ্ছে, সেকথা সবার জানা। কিন্তু এ পরিস্থিতির শিগগিরই কোনো উন্নতি হবে এমন আশা করতে পারছেন না নগরের বাসিন্দারা। ফলশ্রুতিতে ঢাকা শহর দিন দিন নগরবাসীদের বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

ইকবাল হাবিব: স্থপতি ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক

এসএন

Header Ad

জমি নিয়ে বিরোধ: স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ

নিহত রাজিব হোসেন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে টাঙ্গাইলের নাগরপুরে বাড়ির সীমানা জটিলতা ও গাছ থেকে বেল পাড়া নিয়ে প্রতিপক্ষের আঘাতে রাজিব হোসেন (৩৫) নামে স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ভাদ্রা ইউনিয়নের পংভাদ্রা গ্রামে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। রাজিব একই ইউনিয়নের পংভাদ্রা বীর মুক্তিযোদ্ধার আলম মিয়ার ছেলে ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি। এ ঘটনায় পুলিশ ৬ জনকে আটক করেছে।

স্থানীয়রা জানায়, ভাদ্রা গ্রামের আজাহার ও রাজিবের মধ্যে জমির সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। বৃহস্পতিবার সকালে ওই বিরোধের জের ধরে বিরোধপূর্ণ জমিতে একটি বেল গাছ থেকে বেল পাড়া নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।

এরপর আজাহার ও তার পরিবারের লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রাজিবকে কোপাতে থাকে। এ সময় পরিবারের লোকজন বাধা দিতে গেলে তাদেরও কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রাজিবকে মৃত ঘোষণা করেন।

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক হোসেন বলেন, ভাদ্রা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মো. রাজিব আলম রাজিব একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই। একই সাথে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

এ ঘটনায় নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এইচএম জসিম উদ্দিন জানান, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা-ছুড়ি উদ্ধারসহ ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

কক্সবাজারে হবে উন্মুক্ত কারাগার, শিগগিরই নির্মাণ শুরু : সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

উন্নত দেশের ন্যায় বাংলাদেশে উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেন, ‘মালয়েশিয়ার কমিউনিটি রিহ্যাবিলিটেশন প্রোগামের (সিআরপি) আদলে উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের জন্য কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় ১৬০ একর জমি বন্দোবস্ত পাওয়া গেছে। উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের কার্যক্রম শিগগির শুরু হবে।’

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন হয়।
সরকারদলীয় সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে পুলিশে বর্তমান সরকারের বিগত তিন মেয়াদে ৮৩ হাজার ৫৭৭টি পদ বাড়ানো হয়েছে। স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এসব পদে জনবল নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে ও অভিযান পরিচালনার জন্য এবং বাংলাদেশ পুলিশকে ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তরের জন্য দুটি অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার সংযোজনের কার্যক্রম চলমান। পুলিশকে স্মার্ট বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে বিভিন্ন ধরনের যুগোপযোগী আগ্নেয়াস্ত্র দেওয়া হচ্ছে। পূর্বে ব্যবহৃত পয়েন্ট ৩০৩ রাইফেলের পরিবর্তে বর্তমানে ৭ পয়েন্ট ৬২ মিলিমিটার রাইফেল ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া পুলিশ সদস্যদের ৭ পয়েন্ট ৬২/৯ এমএম পিস্তল, ৯ এমএম এসএমজি, পয়েন্ট ৪৫ ইঞ্চি এসএমজি, ১২ বোর শটগান, ৩৮ মিলিমিটার টিয়ারগ্যাস, গ্যাসগান/লঞ্চারসহ প্রয়োজনীয় গোলাবারুদ সরবারাহ করা হচ্ছে।’

গাইবান্ধায় ট্রাকের ধাক্কায় পাওয়ার টিলার চালক নিহত

গাইবান্ধা সদর থানা। ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর সড়কে পাথর বোঝায় ট্রাকের ধাক্কায় শিমুল মিয়া (২০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। নিহত যুবক পাওয়ার টিলার চালক ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বেলা ১২ টার দিকে গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার নাসিম রেজা নিলু বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এরআগে রাত ৩ টার দিকে গাইবান্ধা-সাদুল্লাপুর সড়কের খোলাবাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত যুবকের বাড়ি সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের আমবাগান গ্রামের বাসিন্দা। 

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার নাসিম রেজা নিলু জানান, নিজ গ্রাম থেকে নিহত যুবক পাওয়ার টিলারে আলু নিয়ে গাইবান্ধা জেলা শহরের দিকে আসছিল। পথে খোলাবাড়ি এলাকায় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দাঁড়িয়ে ছিল। এসময় বুড়িমারী থেকে ছেড়ে আসা ফুলছড়ির ভরতখালিগামী পাথর বোঝায় একটি ট্রাক পাওয়ার টিলারকে পিছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে শিমুল মিয়া পাওয়ার টিলার থেকে ছিটকে সড়কের ওপর পরে গিয়ে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা বলেন মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে।

সর্বশেষ সংবাদ

জমি নিয়ে বিরোধ: স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
কক্সবাজারে হবে উন্মুক্ত কারাগার, শিগগিরই নির্মাণ শুরু : সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
গাইবান্ধায় ট্রাকের ধাক্কায় পাওয়ার টিলার চালক নিহত
আরেক দফা কমলো স্বর্ণের দাম
জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেই আ.লীগ ক্ষমতায় এসেছে : সেতুমন্ত্রী
মে মাসে আবহাওয়া কেমন থাকবে, জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর
জায়েদ খানের উপস্থাপনায় মঞ্চ মাতাবেন জেমস
আইপিএল থেকে কত টাকা পাচ্ছেন মুস্তাফিজ?
পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যা করে ৯৯৯-এ ফোন দিলেন স্বামী
গণমাধ্যমের যে কোনো সমালোচনাকে সরকার স্বাগত জানায়: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
কংগ্রেসকে পাকিস্তানের ‘মুরিদ’ বললেন নরেন্দ্র মোদি
দেশে নির্মাণ হচ্ছে স্বর্ণ কারখানা
টাঙ্গাইলে প্রতীক পেয়েই প্রার্থীদের প্রচারণা
ওমরাহ পালন করতে সস্ত্রীক ঢাকা ছাড়লেন মির্জা ফখরুল
সরকারি খাদ্য গুদামে হয়রানির অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা: খাদ্যমন্ত্রী
মিল্টন সমাদ্দার ৩ দিনের রিমান্ডে
রোনালদোর পর সিকান্দার রাজাও সংবাদ সম্মেলনে কোমল পানীয়র বোতল সরালেন
রাঙামাটিতে বজ্রপাতে প্রাণ গেল ৩ জনের
শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ
ঢাবির সিনেট সদস্য হলেন গাইবান্ধা-৫ আসনের এমপি মাহমুদ হাসান