শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে যেসব ক্ষেত্রে সংস্কার আবশ্যক

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রতিটি ধাপই সঠিক হওয়া আবশ্যক, তা না হলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয় না। আর প্রতিটি নির্বাচনী ধাপের গ্রহণযোগ্যতা নির্ভর করে কতগুলো সুনির্দিষ্ট মানদণ্ডের উপর।

সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ডগুলো হলো— ১. সব রাজনৈতিক দলের জন্য সমসুযোগ সৃষ্টি করতে পারে, এমন একটি আইনি কাঠামো থাকা, ২. ভোটার তালিকা প্রস্তুতকরণ প্রক্রিয়ায় যারা ভোটার হওয়ার যোগ্য, তাদের ভোটার হতে পারা; ৩. যারা প্রার্থী হতে আগ্রহী, তাদের প্রার্থী হতে পারা; ৪. ভোটারদের সামনে বিশ্বাসযোগ্য বিকল্প প্রার্থী থাকা; ৫. নির্বাচনী এলাকার সীমানা কতগুলো মানদণ্ডের ভিত্তিতে সঠিকভাবে নির্ধারিত হওয়া; ৬. জেনে-শুনে-বুঝে সঠিকভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য প্রার্থীদের সম্পর্কে ভোটারদের সামনে যথাযথ তথ্য থাকা; ৭. ভোটারদের ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে উঠে স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারা; ৮. অর্থ কিংবা সহিংসতার মাধ্যমে ভোটারদের প্রভাবিত করার অপচেষ্টা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকা; ৯. ভোট গণনা সঠিকভাবে হওয়া; ১০. নির্বাচনী বিরোধ দ্রুততার সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে মীমাংসিত হওয়া; সর্বোপরি ১১. ভোট গ্রহণের প্রক্রিয়া স্বচ্ছ, কারসাজিমুক্ত ও বিশ্বাসযোগ্য হওয়া।

এ সব মানদণ্ড পূরণের জন্য গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (আরপিও)-তে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়। ড. এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বে গঠিত নির্বাচন কমিশন একগুচ্ছ সংস্কার প্রস্তাব রাজনৈতিক দল ও অন্যান্য অংশীজনের মতামত নিয়ে আইনে পরিণত করে। কিছু শর্ত সাপেক্ষে নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাজনৈতিক দলের বাধ্যতামূলক নিবন্ধন, সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের যোগ্যতার মাপকাঠিকে কঠোরতা আরোপ, প্রার্থীদের হলফনামার মাধ্যমে তথ্য প্রদানের বিধান, রাজনৈতিক দলের সর্বস্তরের কমিটিতে এক-তৃতীয়াংশ নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতকরণ ইত্যাদি ছিল উল্লেখযোগ্য সংস্কার।

গত এক দশকে নির্বাচনী আইনে আর কোনো উল্লেখযোগ্য সংস্কার হয়নি। তবে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে নির্বাচন কমিশন আরপিওর ১৭টি ধারা সংশোধনের একটি প্রস্তাবনা আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো রাজনৈতিক দলের সর্বস্তরের কমিটিতে এক-তৃতীয়াংশ নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার বিধানের নবায়ন; প্রার্থীর এজেন্টদের ভয়ভীতি দেখালে বা কেন্দ্রে যেতে বাধা দিলে শাস্তির বিধান রাখা; ভোট বন্ধে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার ক্ষমতা বাড়ানো; ভোট বাতিলে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা বৃদ্ধি; প্রার্থীদের টিন সার্টিফিকেট ও আয়কর প্রদানের প্রত্যয়নপত্র দেওয়া বাধ্যতামূলক করা; ভোট গণনার বিবরণ প্রার্থী ও প্রার্থীর এজেন্টদের দেওয়া বাধ্যতামূলক করা ইত্যাদি।

এ সব প্রস্তাবের মধ্যে মাত্র একটি, রাজনৈতিক দলের সব কমিটিতে ২০৩০ সালের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার প্রস্তাবটি গুরুত্বপূর্ণ বলে আমরা মনে করি। বাকিগুলোর বিধান আইনে বা আদালতের রায়ে রয়েছে এবং কমিশন এগুলো ব্যবহারও করে আসছে। তাই এগুলো আরপিওতে অন্তর্ভুক্ত করা আনুষ্ঠানিকতামাত্র।

স্বাধীনতার পর থেকেই নির্বাচন সুষ্ঠু করার ব্যাপারে আমাদের অপারগতা দূর করার লক্ষ্যে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী পাস করে যে ‘রাজনৈতিক বন্দোবস্ত’ প্রতিষ্ঠিত হয়, তা উচ্চ আদালতের রায়ের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে বাতিল করা হয়। এর পরিণতিতে দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত আমাদের দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচন ছিল চরমভাবে বিতর্কিত।

উদাহরণস্বরূপ, বর্তমানে আরপিওর ৪৪ক(২) ধারায় আয়কর রিটার্ন প্রদানের বিধান রয়েছে। কোনো ব্যক্তি বলপূর্বক নির্বাচনী কর্মকর্তাদের স্বাভাবিক নির্বাচনী কর্মকাল পরিচালনার ক্ষেত্রে বাধা প্রদান করলে তাৎক্ষণিকভাবে নির্দিষ্ট কেন্দ্র, এমনকি পুরো নির্বাচনী এলাকার ভোট গ্রহণ বন্ধ করার ক্ষমতা নির্বাচনী কর্মকর্তাদের রয়েছে এবং তারা তা প্রয়োগও করে আসছেন।

অনিয়মের কারণে ভোট চলাকালে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব নয় বলে প্রতীয়মান হলে তদন্ত সাপেক্ষে পুরো নির্বাচনী এলাকার নির্বাচনী ফলাফলের গেজেট প্রকাশ স্থগিত, নির্বাচনী ফলাফল বাতিল ও পুনর্নির্বাচনের নির্দেশ প্রদানের ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের রয়েছে। নূর হোসেন বনাম মো. নজরুল ইসলাম মামলার [৫ বিএলসি (এডি) (২০০০)] রায়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সুস্পষ্টভাবে কমিশনকে এ ক্ষমতা দিয়েছেন। এই রায়ে গেজেট প্রকাশের পরও নির্বাচন বাতিলের ক্ষমতা কমিশনকে দেওয়া হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়।

গত বছরের অক্টোবরে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে কমিশন এ ক্ষমতা ব্যবহার করে প্রশংসিতও হয়েছে, যদিও কমিশন সুস্পষ্টভাবে বলেনি উপনির্বাচনটি বাতিল না স্থগিত ছিল। বাতিল হলে নতুন করে তফসিল ঘোষণা করা আবশ্যক ছিল আর স্থগিত হলে আগের নির্বাচনে বাতিল করা না হয়ে থাকলে কেন্দ্রগুলোতে পুনর্নির্বাচনের আয়োজন সমীচীন ছিল না।

নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও অর্থবহ করার লক্ষ্যে সাংবিধানিক সংস্কারের পাশাপাশি নিম্নের বিষয়গুলো আরপিওতে অন্তর্ভুক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ বলে আমরা মনে করি: ১. ‘না-ভোটে’র পুনঃপ্রবর্তন করা; ২. হলফনামার ছকে পরিবর্তন এনে এটিকে যুগোপযোগী করা; ৩. হলফনামায় মিথ্যা তথ্য প্রদান বা তথ্য গোপনকারীদের মনোনয়নপত্র বাতিলের সুস্পষ্ট বিধান করা; ৪. হলফনামার তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের বিধান করা; ৫. প্রত্যেক প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব যাচাই-বাছাইয়ের বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি করা; ৬. নির্বাচনী ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রার্থী ও ভোটারদের নিয়ে প্রতিটি সংসদীয় এলাকায় ‘জনগণের মুখোমুখি অনুষ্ঠান’ আয়োজন এবং হলফনামার তথ্য ছাপিয়ে তা ভোটারদের মধ্যে বিলির বিধান করা; ৭. সংরক্ষিত নারী আসনের ক্ষেত্রে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে হলফনামা ও আয়কর বিবরণী দাখিলের বিধান করা; ৮. রাজনৈতিক দলের প্রাথমিক সদস্যদের নাম ওয়েবসাইটে প্রকাশ ও নিয়মিত আপডেটের বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি করা; ৯. নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া রাজনৈতিক দলের অডিট করা হিসাব যাচাই-বাছাইয়ের বিধান করা; ১০. বিদেশে বা নির্বাচনী এলাকার বাইরে অবস্থানরত বাংলাদেশের নাগরিকদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পোস্টাল ব্যালটের ব্যবস্থা করা; ১১. সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনী বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে, উচ্চ আদালতে আপিলের সুযোগ সাপেক্ষে, জেলা জজদের নিয়ে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল গঠন করা; ১২. রিটার্নিং কর্মকর্তার মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে দায়েরকৃত আপিল নিষ্পত্তি করার সময়সীমা তিন দিনের পরিবর্তে এক সপ্তাহ করা।

এই বিধানের কঠোর প্রয়োগ জরুরি। ২. মনোনয়নপত্র অনলাইনে জমাদানের যে পরিপত্র রয়েছে, তা পরিপূর্ণভাবে প্রয়োগ করা আবশ্যক। ৩. তৃণমূল পর্যায়ের দলীয় সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে প্রার্থী মনোনয়নের বিধান প্রয়োগে বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি আবশ্যক। ৪. ‘বিরুদ্ধ হলফনামা’ বা কাউন্টার অ্যাফিডেভিট প্রদানের বিদ্যমান পরিপত্র কার্যকর করা আবশ্যক।

স্বাধীনতার পর থেকেই নির্বাচন সুষ্ঠু করার ব্যাপারে আমাদের অপারগতা দূর করার লক্ষ্যে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী পাস করে যে ‘রাজনৈতিক বন্দোবস্ত’ প্রতিষ্ঠিত হয়, তা উচ্চ আদালতের রায়ের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে বাতিল করা হয়। এর পরিণতিতে দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত আমাদের দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচন ছিল চরমভাবে বিতর্কিত।

প্রসঙ্গত, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে আমাদের নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা প্রায় নিরঙ্কুশ এবং আইন যেখানে অসম্পূর্ণ, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে কমিশন নির্দেশনা জারির মাধ্যমে সেই অসম্পূর্ণতাও দূর করতে পারে।

ড. বদিউল আলম মজুমদার: সম্পাদক সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)

আরএ/

Header Ad

যুগ্ম সচিব মর্যাদার ৩ জনকে বদলি

ছবি: সংগৃহীত

যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার তিন কর্মকর্তাকে বদলি করে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (যুগ্মসচিব), বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, বরিশাল এর যুগ্মসচিব মো: আহসান হাবীবকে জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট (এনআইএলজি) এর পরিচালক পদে, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্মসচিব জসিম উদ্দিন হায়দারকে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক পদে পদায়ন করা হয়েছে।

 

এছাড়া কৃষি মন্ত্রণালযয়ের যুগ্মসচিব মোহাম্মদ সাঈদ-উর-রহমানকে বাংলাদেশ টেলিভিশন এর উপমহাপরিচালক করা হয়েছে। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

টিকেট নিয়ে সেনা সদস্য-টিটিই'র বাকবিতন্ডায় পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনে ভাংচুর, আহত ৫

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

টিকেট নিয়ে সেনাবাহিনীর সদস্য ও রেলওয়ের টিটিই'র মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। এতে টিটিই, গার্ড ও এক সেনা সদস্যসহ পাঁচ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া এই ঘটনায় ট্রেনের কর্তব্যরত গার্ড রুমের দরজা, জানালা ভাংচুর করার অভিযোগ উঠেছে সেনা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে। আর ঘটনার পর প্রায় ১ ঘন্টা ৫০ মিনিট বিলম্বে ট্রেনটি সান্তাহার জংশন স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়।

আর এতেই দূর্ভোগে পড়ে প্রায় দুই হাজার যাত্রী। অনেক যাত্রীকে ক্ষোভ প্রকাশ করতেও দেখা যায়। আবার প্রায় দুই শত যাত্রীকে দেখা যায় তারা ট্রেন ছাড়ার জন্য বিক্ষোভ করতে করতে স্টেশন মাস্টারের রুমের দিকে এগিয়ে যায়।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকাল ৫ টার দিকে বগুড়ার সান্তাহার জংশন রেলওয়ে স্টেশনে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনে এঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেন বৃহস্পতিবার বিকাল পৌনে ৪টায় ফুলবাড়ি স্টেশনে পৌঁছে। এ সময় ওই ট্রেনের শিতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) 'গ' বগিতে থাকা সেনা সদস্য আল আমিন সৈয়দপুর সেনানিবাস থেকে ছুটিতে নিজ বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ট্রেনে উঠে। সেই ট্রেনে আরও ১০-১২ জন সেনা সদস্য ছিল। ওই ট্রেনের দায়িত্বরত টিটিই রাসেল হোসেন টিকেট চাইলে দেখাতে ব্যর্থ হয়। এরপর টিটিই'র চাহিদামতো টিকেট বাবদ ৭ শত টাকা দিয়ে দেয় সেনা সদস্য। টাকার বিনিময়ে টিকেট চাইলে টিকিট দিতে অস্বীকৃতি জানান সেই টিটিই। আর এতেই সেখানে এক পর্যায়ে ওই টিটিইর সাথে তাদের বাকবিতন্ডা বাঁধে। ওই ট্রেনের অ্যাটেনডেন্ট আব্দুল মালেক, গার্ড আব্দুস সাত্তার বিষয়টি সমাধানের জন্য এগিয়ে আসেন।

এরপর ট্রেনটি সান্তাহার স্টেশনে পৌঁছলে ওই ট্রেনের বিভিন্ন বগিতে যাত্রা করা ১০-১২ সেনা সদস্য একত্রিত হয়ে ওই ট্রেনের গার্ড, টিটিই ও অ্যাটেনডেন্টসহ ৪-৫ জনকে কিল, ঘুষি ও চেয়ার দিয়ে মারপিট করে আহত করেন। পাশাপাশি ট্রেনের দরজা, জানালা ভাংচুর করেন।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

এ ঘটনায় এক সেনা সদস্যও আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

খবর পেয়ে রেলওয়ে থানা পুলিশ, আদমদীঘি থানা পুলিশ ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী তাদের উদ্ধার করে। আহত টিটি ও গার্ডকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ও বেশ কিছু সেনা সদস্যকে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে।

এ বিষয় নিয়ে পুলিশ বা সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে কোনো বক্তব্য দেওয়া হয়নি। তবে একাধিক সূত্রে জানা যায়, বগুড়া সহকারী পুলিশ সুপার, রেলওয়ে পুলিশ সুপার ও সেনাবাহিনীর উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে আসার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

প্রত্যক্ষদর্শী এক ট্রেন যাত্রী বলেন, টিটিই জানতোনা সে সেনাবাহিনীর সদস্য। টিকেট না থাকায় তার কাছে টিকেট চায় কর্তব্যরত টিটি। তখন সে সেনাবাহিনীর পরিচয় দিয়ে বলে আমার কাছে টিকেট নেই। টিটিই তার কাছে সাত শত টাকা চাইলে টিকেটের মূল্য বাবদ সেনাবাহিনীর ওই সদস্য টিটিকে টাকা দিয়ে দেয়। এরপর টিকেট চাইলে টিকেট দিতে গড়ি মসি করে টিটিই। মূলত টিকেট না দেওয়ায় শুরু হয় বাগবিতণ্ডা। তিনি একটু ক্ষোভ নিয়েই বললেন, প্রায় সকল ট্রেনেই কিছু দূর্নীতিবাজ টিটিই থাকে।

যাত্রীরা ক্ষোভ নিয়ে বলেন, সরকারি লোকদের গন্ডগোলের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছি আমাদের মতো প্রায় দুই হাজার সাধারণ যাত্রীরা। এই ঘটনার পর প্রায় এক থেকে দেড় ঘন্টা ট্রেন দাঁড়িয়ে আছে এই সান্তাহার স্টেশনে। কখন যে এর সমাধান হবে কিছুই বলতে পারছি না। তবে এর দ্রুত সমাধান চাই আমরা যাত্রী সাধারণেরা।

এরিপোর্ট লেখা রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সান্তাহার রেলওয়ে থানায় সেনাবাহিনীর ও পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।

সারা দেশে আরও ২ দিন হিট অ্যালার্ট জারি

নিজস্ব ছবি : ঢাকা প্রকাশ

তীব্র গরমে সারা দেশে আরও ২ দিনের জন্য সতর্কতামূলক হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। এ নিয়ে সপ্তমবার হিট অ্যালার্ট দিয়েছে সংস্থাটি।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার জন্য এই হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তায় বলেন, আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা ঢাকা বিভাগের পশ্চিমাঞ্চলসহ খুলনা, রাজশাহী এবং রংপুর বিভাগে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।

জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।

এর আগে রবিবার (২৮ এপ্রিল) আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে ‘হিট অ্যালার্ট’ বা তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তার সময় আরও ৭২ ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছিল।

সর্বশেষ সংবাদ

যুগ্ম সচিব মর্যাদার ৩ জনকে বদলি
টিকেট নিয়ে সেনা সদস্য-টিটিই'র বাকবিতন্ডায় পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনে ভাংচুর, আহত ৫
সারা দেশে আরও ২ দিন হিট অ্যালার্ট জারি
জমি নিয়ে বিরোধ: স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
কক্সবাজারে হবে উন্মুক্ত কারাগার, শিগগিরই নির্মাণ শুরু : সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
গাইবান্ধায় ট্রাকের ধাক্কায় পাওয়ার টিলার চালক নিহত
আরেক দফা কমলো স্বর্ণের দাম
জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেই আ.লীগ ক্ষমতায় এসেছে : সেতুমন্ত্রী
মে মাসে আবহাওয়া কেমন থাকবে, জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর
জায়েদ খানের উপস্থাপনায় মঞ্চ মাতাবেন জেমস
আইপিএল থেকে কত টাকা পাচ্ছেন মুস্তাফিজ?
পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যা করে ৯৯৯-এ ফোন দিলেন স্বামী
গণমাধ্যমের যে কোনো সমালোচনাকে সরকার স্বাগত জানায়: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
কংগ্রেসকে পাকিস্তানের ‘মুরিদ’ বললেন নরেন্দ্র মোদি
দেশে নির্মাণ হচ্ছে স্বর্ণ কারখানা
টাঙ্গাইলে প্রতীক পেয়েই প্রার্থীদের প্রচারণা
ওমরাহ পালন করতে সস্ত্রীক ঢাকা ছাড়লেন মির্জা ফখরুল
সরকারি খাদ্য গুদামে হয়রানির অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা: খাদ্যমন্ত্রী
মিল্টন সমাদ্দার ৩ দিনের রিমান্ডে
রোনালদোর পর সিকান্দার রাজাও সংবাদ সম্মেলনে কোমল পানীয়র বোতল সরালেন