মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

পবিত্র শবে বরাতে কবর জিয়ারত, আজিমপুর কবরস্থানে স্বজনদের ঢল

দেশজুড়ে ইসলাম ধর্মের পবিত্র উৎসব শবে বরাত যথানিয়মে পালিত হচ্ছে। এ রজনীতে নানা রকমের ইবাদত-বন্দেগির পাশাপাশি স্বজনদের কবর জিয়ারত করতে আজিমপুর কবরস্থানে ঢল নেমেছে সাধারণ মানুষের।

কবরের পাশে কেউ হাত তুলে মুনাজাত করছেন, কেউ পাঠ করছেন দুরুদ, আবার কেউ তেলাওয়াত করছেন পবিত্র কোরআন। তাদের মৃত স্বজনদের মাগফিরাতের জন্য‌।

কবরস্থানে আগতরা জানান, শবে বরাতের বিশেষ সময়কে কেন্দ্র করে প্রিয়জনের মাগফিরাত কামনা করতে এসেছেন তারা।

বাবার কবর জিয়ারত করতে আসা মেহেদী হাসান বলেন, আমি প্রায় প্রতি শুক্রবারই বাবার কবরে দোয়া করতে আসি। আজ শবে বরাত উপলক্ষে দিনের বেলা না এসে রাতে এসেছি।

লালবাগ থেকে মায়ের কবর জিয়ারত করতে সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে এসেছেন মো. হাসান। তিনি বলেন, আমরা মাঝে-মধ্যেই এখানে আসি কবর জিয়ারত করতে। তবে আজ তো একটি বিশেষ দিন তাই ছেলেদের নিয়ে এসেছি।

কবরস্থানের ইনচার্জ মো. নুরুল ইসলাম বলেন, শবে বরাতকে কেন্দ্র করে আজিমপুর কবরস্থানে দুপুর থেকে পরের দিন দুপুর পর্যন্ত অসংখ্য মানুষের সমাগম হয়।

তিনি বলেন, এইদিন দুপুর থেকেই মানুষের আনাগোনা শুরু হয় এবং পরদিন দুপুর পর্যন্ত থাকে। মূলত রাত ১১টা থেকে ফজর পর্যন্ত মানুষের চাপ বেশি থাকে।

করোনার কারণে গত দুই বছর কবরস্থানের কাউকে জনসমাগম করতে দেওয়া হয়নি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, সরকারের বিধিনিষেধ থাকায় গত দুই বছর এমন জনসমাগম করতে দেওয়া হয়নি।

দেখা যায়, এ বছর যেহেতু বিধিনিষেধ নেই, তাই কবরস্থানে মানুষের ঢল নেমেছে। কবরস্থানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা রয়েছেন তারা ডিউটি করছেন। এ ছাড়া তিনটি গেটে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করছেন।

ডিউটিরত পুলিশ সদস্যদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে মুসলমানদের এ উৎসব চলছে। এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার তথ্য পাওয়া যায়নি।

কেএম/টিটি

Header Ad

এক সপ্তাহে হিটস্ট্রোকে ১০ জনের মৃত্যু, ৮ জনই পুরুষ

ছবি: সংগৃহীত

তীব্র দাবদাহে পুড়ছে গোটা দেশ। প্রচন্ড গরমে হাসফাস অবস্থা জনজীবনে। হাসপাতাল গুলোতেও বাড়ছে গরমে অসুস্থ হওয়া রোগির সংখ্যা। তীব্র তাপপ্রবাহে হিটস্ট্রোকে গত এক সপ্তাহে সারা দেশে ১০ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে ৮ জন পুরুষ দুইজন নারী। এছাড়া নিহত ১০ জনের মধ্যে গতকাল সোমবার হিটস্ট্রোকে তিনজন মারা যান। তারা তিনজনই পুরুষ। এদিকে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে আরও পাঁচজন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

মঙ্গলবার সকাল ৯টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এসব তথ্য জানিয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, হিটস্ট্রোকে নতুন করে মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে মাদারীপুর জেলায়। আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রাম জেলায়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম গত ২২ এপ্রিল থেকে সারা দেশের সরকারি হাসপাতালে হিটস্ট্রোকের রোগীর তথ্য সংগ্রহ করা শুরু করেছে।

মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত সংগৃহীত তথ্যে হিটস্ট্রোকে দশজনের মৃত্যু ও পাঁচজনের হাসপাতালে ভর্তির তথ্য পাওয়া গেছে। কন্ট্রোল রুম জানায়, এ পর্যন্ত সারা দেশে হিটস্ট্রোকে মারা যাওয়া দশজনের মধ্যে ৮ জন পুরুষ ও ২ জন নারী।

মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে দুজন মাদারীপুরের। এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গা, খুলনা, হবিগঞ্জ, রাজবাড়ী, ঝিনাইদহ, লালমনিরহাট, বান্দরবান ও চট্টগ্রাম জেলায় একজন করে মারা গেছেন।

তাদের বয়স ৩২ থেকে ৭৯ বছরের মধ্যে। তাদের প্রত্যেকের বাড়ি গ্রামাঞ্চলে।

এছাড়া, হিটস্ট্রোকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া পাঁচজনের দুজন নারী। দুজনের বয়স ৪৫ বছরের বেশি। বাকি তিনজন পুরুষের একজনের বয়স ১২ বছর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকে (৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার বেশি), বমি বমি ভাব থাকে, শ্বাসপ্রশ্বাস দ্রুত হয়, হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়, ঘাম হতেও পারা আবার না–ও পারে, ত্বক গরম ও শুষ্ক অথবা স্যাঁতসেঁতে থাকতে পারে। হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তি সামঞ্জস্যহীন আচরণ করে, তার কথা জড়িয়ে যায়, এমনকি অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে।

জনস্বাস্থ্যবিদেরা ধারণা করছেন, হিটস্ট্রোকে আক্রান্তের সংখ্যা সরকারি হিসাবের চেয়ে বেশি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। প্রথমত, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এখন শুধু সরকারি হাসপাতালের হিসাব নিচ্ছে, দেশের বিপুলসংখ্যক বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে কোনো রোগী যাচ্ছে কি না, তা জানা যাচ্ছে না। দ্বিতীয়ত, রোগীর কোন লক্ষণ দেখে হিটস্ট্রোক শনাক্ত হবে সেই ধারণাও চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীর মধ্যে পরিষ্কার ছিল না। অতিসম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একটি নির্দেশিকা তৈরি করেছে এবং সেই নির্দেশিকা অনুসরণ করে সরকারি চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, ২০০৩ ও ২০০৭ সালের মধ্যে দেশে তাপপ্রবাহের দেশেগুলোয় মৃত্যু ২২ শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, হিটস্ট্রোক ছাড়াও গরমজনিত আরও কিছু সমস্যা হয়। এর মধ্যে আছে: তাপজনিত শ্রান্তি, তাপজনিত সংজ্ঞালোপ, তাপজনিত পেশিসংকোচন, তাপজনিত ফুসকুড়ি। আর হয় তাপজনিত পানিশূন্যতা। প্রচণ্ড তাপ বিশেষ প্রভাব ফেলে অন্তঃসত্ত্বা নারী, শিশু ও প্রবীণদের ওপর। এ ছাড়া যেসব মানুষ দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভুগছেন, তাঁদের ঝুঁকি বাড়ে গরমে।

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজায় প্রায় ৭ মাস ধরে নৃশংস গণহত্যা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৪ হাজারেরও বেশি নিরীহ ফিলিস্তিনি। এরই মধ্যে এবার রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে সম্মত হয়েছে ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আগামী মে মাস শেষ হওয়ার আগেই জোটের অধিকাংশ দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিভাগের প্রধান জোসেপ বরেল। খবর আল আরাবিয়া।

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে চলছে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনৈতিক জোট ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বিশেষ সম্মেলন।

ইইউ প্রতিনিধি হিসেবে সেই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন বরেল। সম্মেলনের ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বরেল বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য স্পেন, আয়ারল্যান্ড, মাল্টা এবং স্লোভেনিয়া এক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে।

গত মার্চ মাসেই এই তিনটি দেশ জানিয়েছিল, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে কাজ করছে তারা।

এই সংবাদের প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হলে তা হবে ‘সন্ত্রাসের জন্য পুরস্কার ঘোষণা’র শামিল।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের উপর প্রতিশোধস্বরূপ ফিলিস্তিনের গাজায় আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েল। হামাস নির্মূলের নামে টানা সাড়ে ছয় মাস ধরে অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে নির্বিচার হামলা ও অভিযান চালাচ্ছে দখলদার রাষ্ট্রের সেনারা। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনে সেখানে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৪ হাজার ৯৭ জন সাধারণ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৭৬ হাজার ৯৮০ জন।

সম্পত্তি ভাগাভাগির জেরে ছেলের মারধরে বাবার মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

পারিবারিক সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে ছেলে-বাবার বিবাদের সূত্রপাত। এক পর্যায়ে বাবার ওপর অসন্তুষ্ট হয়ে বেধড়ক মারতে থাকেন তার ছেলে। নির্মম মারধরে প্রাণ যায় ৬৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ুর পেরামবালুর!

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহত ব্যক্তির নাম কুলন্ধাইভেলু। তিনি একটি প্রাইভেট কোম্পানির মালিক। ছেলে সন্তোষের নির্মম মারধরের শিকার হওয়ার কয়েক দিন পর গত ১৮ এপ্রিল তিনি মারা যান। ঘটনার পর, এই মারধরের সিসিটিভি ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে অনলাইনে।

এই ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় প্রথমে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। তবে তা তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে বৃদ্ধের মৃত্যুর পর আবার সন্তোষের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পরিবারের সদস্যরা। পরে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

সর্বশেষ সংবাদ

এক সপ্তাহে হিটস্ট্রোকে ১০ জনের মৃত্যু, ৮ জনই পুরুষ
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন
সম্পত্তি ভাগাভাগির জেরে ছেলের মারধরে বাবার মৃত্যু
নারী ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে ইসির নির্দেশ
‘দেশের ৭৩ শতাংশ মানুষ পুষ্টিকর খাবার পায়না’
মঙ্গলবার আরও বাড়বে তাপমাত্রা, গরম অনুভূত হবে অনেক বেশি
নওগাঁয় ইটভাটায় অভিযানে ৯ লাখ টাকা জরিমানা
কক্সবাজারে বাস-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ, নিহত ৫
বিএনপি দিন দিন সাংগঠনিকভাবে আরও দুর্বল হচ্ছে: ওবায়দুল কাদের
পাক অভিনেত্রীর কাছে ক্ষমা চাইলেন অরিজিৎ সিং
টাঙ্গাইলে গরমে স্কুলছাত্রীর হিটস্ট্রোক, হাসপাতালে ভর্তি
বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাপের খোঁজ মিলল ভারতে!
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষামন্ত্রী, যাবেন আপিলে
যুবদল সভাপতি টুকুকে কারাগারে প্রেরণের প্রতিবাদে নয়াপল্টনে বিক্ষোভ মিছিল
নওগাঁয় তাপমাত্রার পারদ ছাড়ালো ৪০.২ ডিগ্রি
জীবন নিয়ে শঙ্কার কথা জানালেন বুয়েটের ছাত্ররাজনীতি প্রত্যাশী ১৫ শিক্ষার্থী
স্কুল-কলেজ-মাদরাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের নির্দেশ
করোনা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার করল অ্যাস্ট্রাজেনেকা
ধর্ষণ মামলায় আইডিয়ালের মুশতাক-ফাওজিয়ার স্থায়ী জামিন
ঢেঁড়শে পোকার আক্রমণ, খরচ তোলা নিয়ে সংশয়ে কৃষকরা