কোরবানির বর্জ্য অপসারণে দুই সিটি করপোরেশনের সক্ষমতা বেড়েছে। প্রতি বছর প্রায় ২৫ লাখ পশু কোরবানি হয় ঢাকায়। এর মধ্যে প্রথম দুদিনেই কোরবানি হয় অধিকাংশ পশু। ফলে বর্জ্য সরিয়ে নেওয়ার চ্যালেঞ্জটাও থাকে বেশি। তারপরও কোরবানির তিন দিনের সব বর্জ্য অপসারণের কৃতিত্ব দেখাল দুই সিটি করপোরেশন।
কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কারের সময় বেঁধে দিয়ে মূল পরিবর্তনটা নিয়ে আসেন প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক এবং সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন। ২০১৫ সালে ঢাকা উত্তরে ৪৮ ঘণ্টা আর দক্ষিণে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কারের দাবি করা হয়। পরের বছর এই সময়সীমা আরো কমে আসে, একরকম প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়েই পরিষ্কার করা হয় কোরবানির বর্জ্য। এই সময় সিটি করপোরেশনগুলোর সক্ষমতা বাড়াতেও কাজ করেন দুই মেয়র।
২০১৬ সালে নতুন এলাকা যুক্ত হয় দুই সিটি করপোরেশনে, সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে সক্ষমতাও। ২০২০ সাল থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই প্রথম দিনের কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কারের ঘোষণা দেয় দুই সিটি করপোরেশন। দুই সিটিতে কোরবানির সময় প্রায় ২০ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী কাজ করা শুরু করে একযোগে। এরপর উত্তর সিটিতে এই সময়সীমা ১২ ঘণ্টা এবং পরের বছর ৮ ঘণ্টায় নামিয়ে আনা হয় আর দক্ষিণে সরু অলিগলির কথা বিবেচনায় ২৪ ঘণ্টায় প্রথম দিনে বর্জ্য অপসারণের দাবি করা হয়। চলতি বছরও ঢাকা উত্তরের ছয় ঘণ্টা আর দক্ষিণে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করা হয় সব বর্জ্য।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম জানান, প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কাউন্সিলররা কাজ করেছেন। ফলে রাত ৮টার মধ্যেই সব এলাকার বর্জ্য অপসারণ করে ফেলার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হয়।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস জানান, সবাই সুষ্ঠুভাবে কাজ করায় ঢাকাবাসীকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই একটি পরিচ্ছন্ন পরিবেশ উপহার দেওয়া সম্ভব হয়।
কোরবানির প্রথম তিন দিনে ৪৪ হাজার টন বর্জ্য সরিয়ে নিতে সক্ষম হয় দুই সিটি করপোরেশন। এ সময় কাজ করেন ২০ হাজারেরও বেশি পরিচ্ছন্নতাকর্মী আর এতে ব্যবহার হয় প্রায় এক হাজার যন্ত্র ও যান। জনসাধারণের সচেতনতা তো আছেই, সর্বোপরি এবার প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলররা তৎপর ছিলেন বলেই নির্ধারিত সময়ে কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কার করা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
নতুন রাজনৈতিক দলের আহ্বায়ক নাহিদ, সদস্য সচিব আখতার। ছবি: সংগৃহীত
জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের উদ্যোগে নতুন রাজনৈতিক দলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসছে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে। বিশ্বস্ত সূত্রগুলো জানিয়েছে, এক দফা আন্দোলনের ঘোষক ও তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম আগামী ১৮ বা ১৯ ফেব্রুয়ারি পদত্যাগ করে নতুন দলে যোগ দেবেন। তিনি এই দলের আহ্বায়ক হচ্ছেন, যা প্রায় চূড়ান্ত। সদস্য সচিব হিসেবে থাকবেন আখতার হোসেন।
নতুন রাজনৈতিক দলের আহ্বায়ক নাহিদ, সদস্য সচিব আখতার। ছবি: সংগৃহীত
প্রাথমিকভাবে দল ঘোষণার জন্য ২৪ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ২৫ বা ২৬ ফেব্রুয়ারিতেও দল ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে। দল গঠনের পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনুষ্ঠানিকভাবে ৫১ থেকে ১০০ জন সদস্যের নাম প্রকাশ করা হবে। নাগরিক কমিটির ৭০ জন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩০ জন সদস্যকে নিয়ে এই দল গঠিত হবে, যা পরবর্তীতে আরও সম্প্রসারিত হবে।
এর আগে, ২০ ফেব্রুয়ারি ছাত্রদের একটি নতুন সংগঠনের ঘোষণা আসবে, যেখানে জুলাই অভ্যুত্থানে ভূমিকা রাখা ছাত্রদের শক্তিশালী অংশগ্রহণ থাকবে। নতুন রাজনৈতিক দলটি শহীদ পরিবারের চাওয়া ও পরামর্শকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে গঠিত হবে। একই সঙ্গে, চব্বিশের আন্দোলনে আহতদের মর্যাদাপূর্ণ স্থান দেওয়া হবে।
নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সূত্রে জানা গেছে, এখনো দলের নাম চূড়ান্ত হয়নি। আগামী দুই-এক দিনের মধ্যে দলের নাম নির্ধারণ করা হবে। ২০ ফেব্রুয়ারি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটিও ঘোষণা করা হবে, যেখানে সদস্য সচিব হিসেবে আখতার হোসেনকে চূড়ান্ত করা হয়েছে।
নতুন দলে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা চলছে। নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, প্রধান সংগঠক সারজিস আলম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, প্রধান সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ ও সমন্বয়ক মাহিন সরকার, নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন ও সমন্বয়ক উমামা ফাতেমাসহ আরও বেশ কয়েকজনকে গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণার পর জুলাই আন্দোলনের প্রথম শহীদ, রংপুরের আবু সাঈদের বাড়ি থেকে লংমার্চ শুরু হবে এবং এটি শেষ হবে চট্টগ্রামের শহীদ ওয়াসিমের বাড়িতে। ১৫ দিনের এই লংমার্চের মাধ্যমে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিক্রিয়াও বোঝা যাবে।
যদিও নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করা হচ্ছে, তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটি অরাজনৈতিক সংগঠন হিসেবেই কাজ করবে। এই প্ল্যাটফর্মগুলো পূর্বের ন্যায় রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগকারী গোষ্ঠী হিসেবে থাকবে এবং চব্বিশের আন্দোলনে নিহতদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য কাজ করবে।
নতুন দলটির গঠনতন্ত্র বিশেষজ্ঞদের দ্বারা তৈরি করা হচ্ছে। ১৯৪৭, ১৯৭১ এবং ২০২৪-এর চেতনার ওপর ভিত্তি করেই এটি নির্মিত হচ্ছে। সংবিধান বিশেষজ্ঞ, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, কূটনীতিবিদ এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতির অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে দলে তরুণদের অংশগ্রহণকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
নেতৃত্বের দায়িত্বে থাকা একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক দলগুলোর সংস্কারের অভাবে জনগণের আস্থা হারিয়েছে। বর্তমান দুটি প্রধান রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ডে জনগণ বিরক্ত ও হতাশ। যেখানে অবৈধ সম্পদ ও পেশিশক্তির মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্ধারিত হয়, সেখানে তরুণদের মতামত ও অংশগ্রহণ উপেক্ষিত। নতুন রাজনৈতিক দলটি এই সমস্যাগুলোর সমাধান করতে চায়।
নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব জানিয়েছেন, "আমরা প্রত্যাশা করছি নাহিদ ভাই পদত্যাগ করে নতুন দলের আহ্বায়ক হবেন এবং সদস্য সচিব হিসেবে আখতার হোসেন দায়িত্ব নেবেন। পাশাপাশি নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, সারজিস ভাই, হাসনাত ভাইসহ আরও অনেকে গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকবেন।"
নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বলেন, "আমরা একটি সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করেছি এবং একটি প্রস্তুতি কমিটি গঠন করছি। জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী, অভ্যুত্থানের পক্ষে শুধুমাত্র একটি দল থাকবে, যা নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থার সূচনা করবে।"
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, "আমরা পূর্ববর্তী রাজনৈতিক দলগুলোর মতো কোনো আদর্শ চাপিয়ে দিতে চাই না। জনগণের মতামত নিয়ে নিজেদের আদর্শ গঠন করব। ২৪-এর আন্দোলনের পর মানুষের যে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে, সেটিকে ধারণ করেই আমরা এগোতে চাই।"
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। তরুণ নেতৃত্ব, শহীদ পরিবারের মতামত এবং জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেই দলটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে। ২৪-এর ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে গঠিত এই দলটি কীভাবে দেশের রাজনৈতিক গতিধারাকে প্রভাবিত করবে, তা সময়ই বলে দেবে।
সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদের স্ত্রী মোনালিসা গ্রেপ্তার। ছবি: সংগৃহীত
সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের স্ত্রী ও যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সৈয়দা মোনালিসা হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানী ঢাকার ইস্কাটন রোডের একটি বাড়ি থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। রাতেই মেহেরপুর জেলা পুলিশের কাছে তাকে সোপর্দ করা হয়।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ রবিউল হোসেন ভূঁইয়া সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, মেহেরপুর জেলা পুলিশের অধিযাচনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মেহেরপুর সদর থানায় গত ১৯ আগস্ট দায়ের করা মামলার আসামি সৈয়দা মোনালিসা হোসেন। পৃথক আরেকটি মামলা আছে তার নামে। সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।
তিনি আরও বলেন, প্রশাসনসহ এলাকার মানুষ এতোদিন জানতেন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পরপরই মোনালিসা ইসলাম কানাডাতে পালিয়ে গেছেন। কানাডাতে পালিয়ে যাওয়ার এমন ভূঁয়া তথ্য মন্ত্রীর পরিবার সমাজে ছড়িয়ে দিয়েছিল।
গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে রাজধানী ইস্কাটন এলাকা থেকেই সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন ছাত্র জনতার ওপর গুলিবর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
তৃতীয় দফায় আরও ১১২ জন অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র । রোববার পাঞ্জাবের অমৃতসরের শ্রী গুরু রাম দাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভিবাসীদের নিয়ে একটি মার্কিন সামরিক বিমান অবতরণ করে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের ফেরত পাঠানো ১১২ জন অভিবাসীর মধ্যে ৪৪ জন হরিয়ানার বাসিন্দা, ৩৩ জন গুজরাটের, ৩১ জন পাঞ্জাবের, ২ জন উত্তর প্রদেশের এবং ১ জন করে হিমাচল ও উত্তরাখন্ডের নাগরিক।
এর আগে গত শনিবার রাতেও একটি মার্কিন সামরিক বিমানে ১১৯ জন ভারতীয় অভিবাসীকে ফেরত পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে ৬৭ জন পাঞ্জাবের, ৩৩ জন হরিয়ানার, ৮ জন গুজরাটের, ৩ জন উত্তর প্রদেশের। আর ২ জন করে গোয়া, মহারাষ্ট্র ও রাজস্থানের এবং ১ জন করে হিমাচল প্রদেশ ও জম্মু-কাশ্মীরের নাগরিক।
ফেরত পাঠানো এসব অভিবাসীদের কয়েকজন অভিযোগ করেছেন, ভ্রমণকালে তাদের হাতকড়া ও পায়ে শিকল পরানো হয়েছিল। অমৃতসরে পৌঁছানোর পর খোলা হয়।
তবে দেশে ফেরত পাঠানো ভারতীয়দের সঙ্গে যে ধরনের আচরণ করা হয়েছে, তা নিয়ে দেশটিতে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের বর্ডার প্যাট্রল কর্মকর্তারা ভারতীয়দের হাতকড়া পরিয়ে এবং পা শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছেন। বিমান থেকে নামানোর সময় দেখে মনে হচ্ছিল, কোনো কুখ্যাত অপরাধীকে আনা হচ্ছে।
এই ঘটনার পর ভারতের বিরোধী দলগুলো কেন্দ্রের তীব্র সমালোচনা শুরু করেছে। বিরোধীদের সমালোচনার জবাবে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগকারী সংস্থা (আইসিই) এই প্রক্রিয়া পরিচালনা করছে এবং এই সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী নিরাপত্তার জন্য বন্দীদের হাতকড়া পরানো হয়। তবে নারী ও শিশুদের ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।
এমন ঘটনা নতুন নয়। ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১৫ হাজার ৭৫৬ ভারতীয়কে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ছিল ২০১৯ সালে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৪২ জন এবং ২০২০ সালে ১ হাজার ৮৮৯ জন।
যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসরত ভারতীয়দের ফেরত পাঠানোর এই প্রক্রিয়া আগামী সপ্তাহগুলোতেও চলবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। প্রতি ১৫ দিন পর সামরিক বিমানের ফ্লাইটে ভারতীয় অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো হবে, যত দিন পর্যন্ত না সবাই দেশে ফিরে আসে।
পিউ রিসার্চ সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সাল থেকে প্রায় ৭ লাখ ২৫ হাজার ভারতীয় নাগরিক অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। তাই আরও অনেককে ফেরত পাঠানো হতে পারে।
এর আগে ৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক বিমান ১০৪ ভারতীয়কে নিয়ে অবতরণ করে। তাদের মধ্যে ৩৩ জন করে ছিলেন হরিয়ানা ও গুজরাটের, ৩০ জন পাঞ্জাবের, ৩ জন করে মহারাষ্ট্র ও উত্তর প্রদেশের এবং ২ জন চণ্ডীগড়ের।