শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

দুর্নীতি রোধে শক্ত অবস্থান জরুরি

সম্প্রতি ডিসি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো। সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প বাস্তবায়ন অথবা প্রকল্প তদারকির দায়িত্ব ডিসিদের দিয়েছেন। পরিকল্পনামন্ত্রীও বলেছেন, আপনারা সুপারভাইজ করেন এবং আপনাদের জানিয়েই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। তবে মেকানিজম যা আছে, তাতে কোথাও কোনো ত্রুটি হলে অথবা দুর্নীতি হলে ডিসিরা রিপোর্ট করতে পারেন। মন্ত্রণালয় তখন সেভাবেই অ্যাকশনে যায়। প্রকল্প পরিচালনা অথবা কমিটিতে ডিসিদের রাখা না রাখা সরাসরি সরকারের সিদ্ধান্তের ব্যাপার।

তবে আমার মনে হয়, যে মেকানিজম আছে, এটি ঠিকই আছে। প্রকল্পগুলো ডিসিদের আয়ত্বেই থাকে। কোথাও গণ্ডগোল হলে তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আইনগতভাবে সে ক্ষমতা তাদের দেওয়াই আছে।
জনপ্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা করে প্রকল্পগুলি নেয়া হয়। তবে জনপ্রতিনিধিরা কিন্তু সরাসরি প্রকল্পগুলো চালনা করে না। ডেভেলপমেন্ট প্রসেসটা কিন্তু স্থানীয় সরকারে যারা আছে, ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট, রোডস এন্ড হাইওয়েস, এলজিইডি–তারাই করে। জনপ্রতিনিধিদের এভাবে সরাসরি ইনভলব হওয়া ঠিক না।

বরং ব্যুরোক্রেসির মাধমেই সব দেশে কাজ করা হয়। এ ক্ষেত্রে বড় প্রকল্প হলে সেটি সরাসরি সরকার পরিচালনা করে। ছোট প্রকল্পের ক্ষেত্রে স্থানীয় পর্যায়ে ডিসিদের হাতে ক্ষমতা থাকে। তবে যেটির অভাব মনে হয়, সেটি হলো–সুপারভাইজ ঠিকমতো হয় না। যারা সুপারভাইজ করবে তারাই আবার প্রকল্প অনুমোদন দেয় এবং তারাই আবার পেমেন্ট করে। অথচ সুপারভিশন করা এবং পেমেন্ট করা এগুলো আলাদা করা উচিত। যেমন–ইঞ্জিনিয়ার সাহেব সুপারভিশনও করছে, আবার পে অর্ডারও লিখছে, এটি তো ঠিক হচ্ছে না। এজন্য কাজ শেষ হওয়ার আগেই পে করে দেয় অনেকে।

দুর্নীতিবাজ কারা, এটি ডিসিদেরও জানার কথা। কে সৎ অফিসার আর কে দুর্নীতিবাজ অফিসার সবাই সবটা জানে। প্রকল্প নেয়ার সময় এগুলি দেখে নেয়া উচিত। স্থানীয় সরকারের অধীনে প্রকল্পগুলোর টাকা-পয়সা নয়-ছয় হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সঠিকভাবে কাজ হচ্ছে না কিন্তু ঠিকই বিল নিচ্ছে। এখানে রাজনৈতিক একটা প্রভাবও জড়িত থাকে আমি দেখি। যারা দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা, তারা রাজনৈতিক নেতাদের খুশি করে। পলিটিক্যালি একটা শেল্টার নেয়। আমার মনে হয় সৎ ও পরিশ্রমী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া উচিত। জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে কি না হচ্ছে? হরিলুট হচ্ছে। যারা এগুলোতে এপ্রোভাল দেন তারাও নিশ্চয় জানেন। এগুলো কিভাবে এপ্রোভাল দেওয়া হয়!

দুর্নীতি রোধে শক্ত একটি অবস্থানের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। একটা বালিশের দাম কিভাবে পাঁচ হাজার টাকা হয়? এই যে একটা লুটতরাজের উৎসব শুরু হয়েছে, সেদিকে নজর দেওয়া উচিত। ডিসিদের ক্ষমতা নেই, সেটি আমি বলছি না, ডিসিদের পাওয়ার আছে। তবে একসময় যেটি ছিল, সেটি হয়তো নেই। এরপরও সার্বিক তত্ত্বাবধান ডিসিরাই করে। পরিকল্পনামন্ত্রী নিজেও বললেন, আপনারা রিপোর্ট করেন এবং আপনাদের কনসাল্ট করেই প্রকল্পগুলো নেওয়া হয় এবং এটিও বাধ্যতামূলক।

লেখক: অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

এসএ/

Header Ad

ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের ভেতরে আগুন

ঢাকায় অবস্থিত সৌদি আরবের দূতাবাসের ভেতরে একটি তাঁবুতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত সৌদি আরবের দূতাবাসের ভেতরে একটি তাঁবুতে আগুন লাগার ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে নতুন বাজারে অবস্থিত সৌদি দূতাবাসে ৫টা ৫৩ মিনিটে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার লিমা খানম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সৌদি দূতাবাসের ভেতরে একটি তাঁবুতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। পরে আমাদের খবর দিলে, ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভায়।

তবে আগুন কীভাবে লেগেছিল তা জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা।

৭৬ বছরের তাপপ্রবাহের রেকর্ড ভাঙল, জানা গেল বৃষ্টির তারিখ

ফাইল ছবি

এপ্রিল মাসের শুরু থেকেই টানা তাপপ্রবাহে পুড়ছে সমগ্রদেশ। দিন যত যাচ্ছে তাপমাত্রার পারদ ততই উপরে উঠছে। এমন টানা তাপপ্রবাহ গত ৭৬ বছরে দেখেনি বাংলাদেশ। যা এপ্রিল মাসের দীর্ঘব্যপ্তিকাল বলছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, ১৯৪৮ সাল থেকে দেশের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এরপর থেকে গত ৭৬ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম দীর্ঘ সময় ধরে তাপপ্রবাহ বইছে বাংলাদেশে।

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানান, ১৯৪৮ সাল থেকে দেশের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত চলমান তাপপ্রবাহ একটানা সবথেকে বেশিদিন স্থায়ী রয়েছে। গতবছর এপ্রিল থেকে মে পর্যন্ত ২৩ দিন তাপপ্রবাহ বজায় ছিল যা আগের সব রেকর্ড ভেঙ্গে দেয়।

তিনি জানান, চলতি বছর গতকাল পর্যন্ত ২৩ দিন তাপপ্রবাহ বজায় ছিল। আজ তা রেকর্ড ভেঙ্গেছে এবং আরও কিছুদিন তা বজায় থাকবে। তাছাড়া এবারের তাপমাত্রা বলতে গেলে সারা দেশের উপরেই বিরাজ করছে যা এর আগে দেখা যায়নি।

বৃষ্টির পূর্বাভাস সম্পর্কে তিনি বলেন, ২ মে’র পর থেকে সারাদেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এসময় কালবৈশাখী হতে পারে। টানা ২ থেকে ৩ দিন বা তার বেশিও বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির ফলে সারাদেশের তাপমাত্রা কমে আসবে।

ফিলিস্তিনি মৃত মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া শিশুটি আর বেঁচে নেই

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দক্ষিণে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত এক মায়ের গর্ভ থেকে জীবিত জন্ম নেওয়া সেই মেয়ে শিশুটি আর বেঁচে নেই। বৃহস্পতিবার শিশুটি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে এবং তাকে তার মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে।

গত রোববার মধ্যরাতের পর দক্ষিণ গাজার রাফাহ হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে মৃত ফিলিস্তিনি মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেয় শিশু সাবরিন আল-সাকানি।

পরে তাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করেন চিকিৎসকরা। শিশুটিকে বাঁচিয়ে রাখতে হ্যান্ড পাম্প ব্যবহার করে তার ফুসফুসে বাতাস সরবরাহ করা হয়। তবে শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো গেল না। তার নাম রাখা হয়েছিল মৃত মায়ের নামেই। মৃত্যুর পর শিশু সাবরিনকে তার মায়ের পাশেই সমাহিত করা হয়েছে।

গত শনিবার রাতে রাফাহ’য় ভয়াবহ হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। এই হামলায় নিহত ১৯ জনের মধ্যে একই পরিবারের স্বামী, স্ত্রী ছাড়াও মেয়েও ছিল।

মৃত মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেয়া শিশুটির দেখভাল করছিলেন চিকিৎসক মোহাম্মদ সালামা। তিনি বলেন, ‘জরুরি সি-সেকশনের বা সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে জন্ম নেয়া শিশুটির প্রসবের সময় ওজন ছিল ১ দশমিক ৪ কেজি। এই সময় শিশুটির মাতৃগর্ভে থাকার কথা ছিল। কিন্তু শিশুটির সেই অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে।’ শিশুটির ভূমিষ্ঠের সময় চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, নির্ধারিত সময়ের আগেই জন্ম গ্রহণের কারণে গুরুতর শ্বাসকষ্টে ভুগছিল শিশু সাবরিন।

শিশুটির মা, সাবরিন আল-সাকানি ৩০ সপ্তাহের গর্ভবতী ছিলেন। ইসরায়েলি হামলার পর উদ্ধারকর্মীরা দ্রুত সাবরিনকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকেরা প্রসবের জন্য জরুরি ভিত্তিতে তার সিজারিয়ান অপারেশন করেন।

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের ভেতরে আগুন
৭৬ বছরের তাপপ্রবাহের রেকর্ড ভাঙল, জানা গেল বৃষ্টির তারিখ
ফিলিস্তিনি মৃত মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া শিশুটি আর বেঁচে নেই
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি শ্রীময়ী, দুশ্চিন্তায় কাঞ্চন মল্লিক
প্রথমবার এশিয়া কাপে আম্পায়ারিং করবেন বাংলাদেশের জেসি
বিয়ে না দেওয়ায় মাকে জবাই করলো ছেলে
রেকর্ড তাপপ্রবাহের জন্য সরকার দায়ী: রিজভী
চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪২.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড, জনজীবনে অস্বস্তি
বিএনপির আরও ৭৫ নেতা বহিষ্কার
প্রেমিকার আত্মহত্যা, শোক সইতে না পেরে প্রেমিকও বেছে নিলেন সে পথ
দুই বিভাগে ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস
অভিষেকেই শূন্য রানে ৭ উইকেট নিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন রোহমালিয়া
ফিলিস্তিন স্বাধীন হলে অস্ত্র ত্যাগ করবে হামাস
দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না: ওবায়দুল কাদের
কয়েক মিনিটের দেরিতে বিসিএসের স্বপ্ন ভঙ্গ ২০ পরীক্ষার্থীর
লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
থাই প্রধানমন্ত্রীর গভর্নমেন্ট হাউসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে শেখ হাসিনা
আগুন নেভাতে দেরি হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, ২ ফায়ারম্যান আহত
পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১০ কোটি টাকা আত্নসাৎ, গ্রেপ্তার ৩
মৃত্যুর দু’বছর পর ব্রুনাই থেকে দেশে ফিরছে দুই প্রবাসীর লাশ