শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫ | ১৪ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

গ্রামীণ ব্যাংকের মালিকানা ৫ শতাংশ করার পরিকল্পনা সরকারের

গ্রামীণ ব্যাংকের মালিকানা ৫ শতাংশ করার পরিকল্পনা সরকারের। ছবি: সংগৃহীত

১৯৮৩ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের শেয়ার ছিল ২৫ শতাংশ। তবে শেয়ার ৫ শতাংশে নামিয়ে মালিকানা কমিয়ে আনার পরিকল্পনা করেছে সরকার। এসব পরিবর্তন বাস্তবায়নের জন্য সরকার ইতোমধ্যে গ্রামীণ ব্যাংক আইন, ২০১৩ সংশোধনের একটি খসড়া প্রণয়ন করেছে।

খসড়াটি অংশীজনদের মতামত নেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, খসড়াটি প্রণয়নের আগে বিভাগের পক্ষ থেকে গ্রামীণ ব্যাংকের আইন উপদেষ্টাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এ পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যাংকে সরকারের অংশীদারিত্ব এবং বোর্ডের প্রতিনিধিত্বকে ২০১১ সালের আগের কাঠামোতে ফিরিয়ে আনা।

১৯৮৩ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী, গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের শেয়ার ছিল ২৫ শতাংশ। তবে, পরবর্তী সরকারগুলো পরিশোধিত মূলধনে অবদান না রাখায় এ অংশীদারি ধীরে ধীরে ৫-৮ শতাংশে নেমে আসে বলে তিনি জানান।

২০১১ সালে মুহাম্মদ ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে অপসারণের সময় সরকার ২৫ শতাংশ শেয়ারহোল্ডিং পুনঃস্থাপনের জন্য মূলধন বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছিল।

নতুন খসড়া অনুযায়ী, ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ৩০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হবে। ঋণগ্রহীতারা ধীরে ধীরে মূলধনে অবদান বাড়িয়ে ৯৫ শতাংশ মালিকানা অর্জন করবেন। বোর্ড ঘোষিত যেকোনো লভ্যাংশ মূলধনের ভিত্তিতে আনুপাতিকভাবে বিতরণ করা হবে।

সূচনালগ্ন থেকেই গ্রামীণ ব্যাংকের ১২ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদে চেয়ারম্যানসহ সরকারের মনোনীত তিনজন পরিচালক এবং ঋণগ্রহীতাদের নির্বাচিত নয়জন পরিচালক রয়েছেন। নতুন প্রস্তাবে ঋণগ্রহীতারা বোর্ডে ১১ জন পরিচালক নির্বাচনের সুযোগ পাবেন।

বর্তমান আইনে বোর্ডের চেয়ারম্যান নিয়োগের ক্ষমতা সরকারের হাতে রয়েছে। কিন্তু প্রস্তাবিত খসড়ায় চেয়ারম্যান নির্বাচন বোর্ডের সদস্যদের মধ্য থেকেই করার বিধান রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।

এছাড়া, বর্তমানে আইনে বলা হয়েছে, চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হলে বা তিনি দায়িত্ব পালনে অক্ষম হলে, সরকার তার মনোনীত দুই পরিচালকের মধ্যে একজনকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিতে পারে।

প্রস্তাবিত খসড়ায় এ বিধানটি বাদ দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, চেয়ারম্যান অক্ষম হলে, বোর্ডের সদস্যরা অন্য কোনো পরিচালককে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের অনুমোদন দিতে পারবেন।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, গ্রামীণ ব্যাংকের বোর্ডে চেয়ারম্যান এবং তিনজন পরিচালক নিয়োগের ক্ষমতা সরকারের হাতে রয়েছে। তবে, ড. ইউনূসের অপসারণের আগে সরকার সাধারণত কেবল চেয়ারম্যান নিয়োগের ক্ষমতা ব্যবহার করত।

তিনি বলেন, "২০১১ সালের পর থেকে সরকার চেয়ারম্যানের পাশাপাশি তিনজন পরিচালকও নিয়োগ দিতে শুরু করে।"

বর্তমান আইনের অধীনে, গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সর্বোচ্চ ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করতে পারেন। প্রস্তাবিত খসড়ায় এ বিধান বহাল রাখা হয়েছে। তবে এতে নতুন একটি শর্ত যুক্ত করা হয়েছে—বোর্ডের অনুমোদনের ভিত্তিতে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের মেয়াদ সর্বোচ্চ ৬৫ বছর পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে, যদি ব্যাংকের কার্যক্রমে তা প্রয়োজনীয় মনে হয়।

বর্তমান আইনে পরিচালকদের মেয়াদ তিন বছর নির্ধারিত রয়েছে, এবং খসড়া অধ্যাদেশেও এটি অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। তবে নতুন একটি সংযোজন করা হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, "নবনির্বাচিত পরিচালকেরা তাদের দায়িত্ব গ্রহণ না করার আগ পর্যন্ত নির্বাচিত পরিচালকেরা তাদের পদে থাকবেন।"

এছাড়া, বর্তমানে গ্রামীণ ব্যাংকের নতুন আঞ্চলিক অফিস খোলার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু খসড়া অধ্যাদেশে এ শর্তটি তুলে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বর্তমান আইনে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠার সঙ্গে জোবরা গ্রামে ড. ইউনূসের ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের কোনো উল্লেখ নেই। তবে খসড়া অধ্যাদেশে আইনের ধারা ৪-এ একটি ব্যাখ্যা যুক্ত করে এটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

নতুন ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, গ্রামীণ ব্যাংক প্রকল্প বলতে ১৯৭৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধীনে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার জোবরা গ্রামে পরিচালিত ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমকে বোঝায়। এ প্রকল্প পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন পায় এবং বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংক এতে অংশগ্রহণ করে।

২০১১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়, গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। সরকার জানিয়েছিল, ড. ইউনূস পদের জন্য নির্ধারিত ৬০ বছরের বয়সসীমা অতিক্রম করেছেন। তিনি এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করলেও আদালত তা খারিজ করেন।

ড. ইউনূসের পদত্যাগের পর ২০১৩ সালে সরকার গ্রামীণ ব্যাংক আইনে সংশোধনী আনে। তবে এ সংশোধনীতে ব্যাংকের মালিকানা ও পরিচালনা পর্ষদে সরকারের অংশীদারিত্ব বজায় রাখা হয়।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অর্থ মন্ত্রণালয় ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ করে। এছাড়া, অন্তর্বর্তী সরকার ব্যাংকটিকে কর মওকুফের সুবিধাও দেয়।

Header Ad
Header Ad

ফিলিস্তিনের মতো সাইপ্রাসও দখলে নিচ্ছে ইসরায়েল!

ছবি: সংগৃহীত

বহু বছর ধরে ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড একটু একটু করে দখল করে নেয় ইসরাইল। একসময়ের সেই ‘নিরাপদ আশ্রয়’ই রূপ নেয় অবরোধ, চেকপয়েন্ট আর সামরিক দখলে।

সম্প্রতি সেই একই চিত্র ধরা পড়ছে ভূমধ্যসাগরের ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্র সাইপ্রাসেও। গাজা ও লেবাননে আগ্রাসনের জের ধরে ইতিমধ্যেই হাজার হাজার ইসরাইলি পাড়ি জমিয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রটিতে। সম্প্রতি ইসরাইল-ইরান সংঘর্ষের পর সেই সংখ্যা আরও বেড়েই চলেছে। ফিলিস্তিনের মতোই সাইপ্রাসেও ইসরাইলি বসতি স্থাপনের হিড়িক পড়েছে।

গুঞ্জন আছে, কয়েকদিনের জন্য সাইপ্রাসে ছিলেন স্বয়ং ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুও।

তথ্য বলছে, গত পাঁচ বছরে সাইপ্রাসে আড়াই হাজারের বেশি সম্পত্তি কিনেছেন ইসরাইলিরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, এসব এলাকাকে ‘মিনি ইসরাইল’ বানানো হচ্ছে। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ তাদের।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলি নাগরিকরা ব্যাপকহারে বিনিয়োগ করছেন সাইপ্রাসে। এমন খবর সামনে আসতেই ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দেশটির বামপন্থি রাজনৈতিক দল আকেল।

তাদের দাবি, সেনা স্থাপনা, ঘাঁটি ও স্পর্শকাতর অবকাঠামোর কাছাকাছি জায়গায় ইচ্ছাকৃতভাবে জমি কেনা হচ্ছে। এসব এস্টেটকে সংরক্ষিত এলাকার মতো তৈরি করা হচ্ছে যেখানে কেবল ইসরাইলিরাই প্রবেশ করতে পারবেন। স্থানীয়দের সেখানে যাতায়াতের অনুমতি থাকবে না।

আকেল আরও দাবি করেছে, এসব এলাকায় নির্মাণ হচ্ছে জায়নবাদী স্কুল ও উপাসনালয়। যেটিকে সাংস্কৃতিক ও ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের লক্ষণ হিসেবে দেখছে বামপন্থি রাজনৈতিক দলটি।

ইসরাইলের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোও বলছে, সাইপ্রাসকে ‘দ্বিতীয় ঘর’ হিসেবে ব্যবহারের পরিকল্পনা করছেন ইসরাইলিরা। সাইপ্রাসের সরকারি তথ্য বলছে, ২০২১ থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত লারনাকায় ১ হাজার ৪০০’র বেশি আর লিমাসোলে ১ হাজার ১৫০টির বেশি সম্পত্তি কিনেছেন ইসরাইলিরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, এসব এলাকাকে মিনি ইসরাইল’ বানানো হচ্ছে।

এই পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে পার্লামেন্টে দুটি বিল উত্থাপন করেছে আকেল। ‘গোল্ডেন ভিসা’ নীতিমালার সংস্কার এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের নাগরিকদের জমি কেনার বিকল্প পদ্ধতিগুলো কঠোর নজরদারির আওতায় আনার দাবি দলটির। দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে সাইপ্রাসের নিজস্ব ভূখণ্ড নিয়েই টানাপোড়েন শুরু হবে বলে আশঙ্কা আকেলের।

Header Ad
Header Ad

কালও চলবে এনবিআরের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ও ‘মার্চ টু এনবিআর’

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সংস্কার দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজকের মতো আগামীকাল রবিবার (২৯ জুন) দিনভর ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ এবং ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচিও চলবে বলে ঘোষণা দিয়েছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। শনিবার দুপুরে আন্দোলনরত সংগঠনটির নেতারা এই ঘোষণা দেন।

দিনভর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন কাস্টমস, ভ্যাট ও আয়কর বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ও ‘মার্চ টু এনবিআর’ পালিত হয়। সকাল থেকে এনবিআরের ঢাকাস্থ কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত কর্মকর্তারাও অংশ নেন।

উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ে প্রবেশ গেট বন্ধ করে আন্দোলনকারীদের বাধা দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। তার পরদিন অর্থ উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কর্মসূচি প্রত্যাহারের বার্তা দেওয়া হয়। কিন্তু এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ সেই বিবৃতিকে প্রত্যাখ্যান করে জানায়— ঐক্য পরিষদকে কোনো আলোচনায় আমন্ত্রণ জানানো হয়নি এবং সংশ্লিষ্ট বৈঠকে তাদের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না।

পরিস্থিতি বিবেচনায় এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ ২৮ জুন থেকে লাগাতার ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। এই কর্মসূচির আওতায় দেশের সব ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট দফতরে রাজস্ব আদায়ের যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সব দফতর থেকে ‘শান্তিপূর্ণ মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচিও পালিত হচ্ছে।

তবে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা এই শাটডাউন কর্মসূচির আওতাভুক্ত নয়। সাধারণ যাত্রীসেবা এবং আন্তর্জাতিক চলাচল বিঘ্নিত হবে না।

প্রসঙ্গত, সরকার গত ১২ মে এনবিআরকে দুই ভাগ করে নতুন কাঠামোর একটি অধ্যাদেশ জারি করে। এর পর থেকেই এনবিআরের আওতাধীন কর্মকর্তাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। এর প্রতিবাদে ২১ জুন এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হয় এবং ২৩ জুন থেকে অবস্থান কর্মসূচি ও কলম বিরতি শুরু করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

এর আগে, গত মে মাসেও একই দাবিতে ২৬ মে পর্যন্ত লাগাতার কর্মসূচি পালন করেন কাস্টমস, ভ্যাট ও আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারা। তারা মনে করছেন, এনবিআরকে বিভক্ত করার উদ্যোগ প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা তৈরি করবে এবং রাজস্ব খাতে দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সরকার যদি আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে না আসে, তবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। শান্তিপূর্ণ উপায়ে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এই কর্মসূচি চলছে এবং আগামীতেও চলবে বলে জানানো হয়।

Header Ad
Header Ad

‘এনবিআরের প্রশাসনিক আন্দোলনের সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই’

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কিছু কর্মকর্তার চলমান প্রশাসনিক দাবি ও আন্দোলনের সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি অভিযোগ করেন, সরকার নিজেদের প্রশাসনিক ব্যর্থতা ঢাকতে এ আন্দোলনের পেছনে বিএনপির সংশ্লিষ্টতার মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে।

রবিবার এক বিবৃতিতে রিজভী বলেন, “সরকারের ব্যর্থতা ও প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলা থেকে জনদৃষ্টি সরাতে প্রতিনিয়ত বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এনবিআরের কিছু কর্মকর্তা প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত ও নীতিমালায় অসন্তুষ্ট হওয়ায় তারা কর্মসূচি পালন করছেন। এটি সম্পূর্ণভাবে তাদের প্রশাসনিক ইস্যু—এর সঙ্গে বিএনপির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।”

তিনি আরও বলেন, “এই ধরনের প্রশাসনিক বিষয়কে রাজনৈতিক রঙ দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো অত্যন্ত দুঃখজনক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সরকার চায়—মূল সমস্যা চাপা পড়ে যাক এবং মানুষ বিভ্রান্ত হোক।”

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এনবিআরের কিছু কর্মকর্তা নানাবিধ প্রশাসনিক দাবি তুলে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন। এসব দাবির মধ্যে রয়েছে নিয়োগ, পদায়ন ও প্রশাসনিক সংস্কার সংক্রান্ত নানা বিষয়। আন্দোলনকারীদের ভাষ্যমতে, তাদের দাবিগুলো আত্মরক্ষামূলক এবং স্বতঃস্ফূর্ত, এতে রাজনৈতিক প্ররোচনার কোনো স্থান নেই।

এদিকে সরকারি পর্যায় থেকে একাধিকবার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, এই আন্দোলনের পেছনে রাজনৈতিক মদদ থাকতে পারে। সেই প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, “সরকার প্রশাসনের অভ্যন্তরীণ সংকট ও অসন্তোষের দায় বিরোধী দলের ঘাড়ে চাপাতে চাচ্ছে—এটি সত্যের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।”

বিএনপির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, এই অস্থিরতা সরকারের প্রশাসনিক ব্যর্থতারই বহিঃপ্রকাশ। চলমান সংকট নিরসনে দমনমূলক পদক্ষেপ না নিয়ে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খোঁজা উচিত।

রিজভী তাঁর বক্তব্যে শেষবারের মতো স্পষ্ট করে বলেন, “এটি কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়। বিএনপি এই আন্দোলনের সঙ্গে কোনোভাবে যুক্ত নয়। সরকার শুধুমাত্র ভুল বার্তা ছড়িয়ে জনগণের দৃষ্টি ঘোরাতে চাচ্ছে, অথচ বাস্তব সংকট থেকেই যাচ্ছে অনসুলভ।”

এই অবস্থায় বিএনপির পক্ষ থেকে সরকারকে দায়িত্বশীল ভূমিকা গ্রহণ এবং প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ফিলিস্তিনের মতো সাইপ্রাসও দখলে নিচ্ছে ইসরায়েল!
কালও চলবে এনবিআরের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ও ‘মার্চ টু এনবিআর’
‘এনবিআরের প্রশাসনিক আন্দোলনের সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই’
সিইসির সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব
নওগাঁয় ছাত্রদলের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নব গঠিত কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত
করোনায় আরও দুইজনের মৃত্যু,  শনাক্ত ৭
এক সপ্তাহের মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে: ট্রাম্প
ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশে ১৬ দফা ঘোষণা
নতুন রক্তের গ্রুপের সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা
গোলাপ জলে গোসল করে রাজনীতি ছাড়লেন আওয়ামী লীগ নেতা
সাগরতীরে বিলাসবহুল রিসোর্ট উদ্বোধন করলেন কিম জং উন
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৬২
কূটনৈতিক অস্ত্র পানি নিয়ে ভারতের কঠোর অবস্থান, শঙ্কায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তান
পশ্চিমবঙ্গে পদ্মশ্রীপ্রাপ্ত সন্ন্যাসীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও প্রতারণার অভিযোগে তোলপাড়
দুধ আমদানি করা লজ্জার বিষয়: উপদেষ্টা ফরিদা
পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১৩ সেনা নিহত
ছায়ানটের সভাপতি হলেন ডা. সারওয়ার আলী, কার্যনির্বাহী কমিটিতে নতুন মুখ
জুলাই যোদ্ধাদের যথাযথ মর্যাদা দিতে চাই: রিজভী
৮ অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস, নদীবন্দরে সতর্কতা
সিন্ধু পানি চুক্তি নিয়ে হেগে পাকিস্তানের আইনি জয়, রায় প্রত্যাখ্যান করল ভারত