রবিবার, ৪ মে ২০২৫ | ২১ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

দাম বৃদ্ধি পেয়ে বাজারে আটা

সরকার বলছে দেশে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খাদ্য মজুতি রয়েছে, শঙ্কার কোনো কারণ নেই। তারপরও কয়েক দিন থেকে বাজারে আটা পাওয়া যাচ্ছে না। খুচরা ব্যবসায়ীরা নেই নেই বলার পর দাম একেবারে লাগামহীন হয়ে গেছে। এক লাফেই পুষ্টিসহ কয়েকটি কোম্পানির ২ কেজির ১২৬ টাকার আটা ১৪৪ টাকা হয়ে গেছে। বেড়েছে ১৮ টাকা বা ১৪ শতাংশ। এক বছরের ব্যবধানে আটার দাম বেড়েছে ৭৯ শতাংশ।

বিভিন্ন বাজার ও সরকারি সংস্থা টিসিবি সূত্রে এ সব তথ্য জানা গেছে।

রাজধানীতে খাদ্যপণ্যের পাইকারি বাজার কৃষিমার্কেট। বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সিটি এন্টারপ্রাইজের আবু তাহেরসহ অনেক বিক্রেতার কাছে আটার দাম কত— জানতে চাইলে তারা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আটা নেই। কয়েকদিন থেকে পাওয়া যাচ্ছে না। ২ কেজি আগে ১২৬ টাকা বিক্রি করা হলেও পৃষ্টি, এসিআইসহ অন্যান্য কোম্পানির আটা পাওয়া যাচ্ছে না। কেন নেই এমন প্রশ্নের জবাবে সেদিন তারা বলেছিলেন, সয়াবিন তেল, চিনির দশা আটাতেও। দাম বৃদ্ধির কারণে পাওয়া যাচ্ছে না। ডিলাররা শুধু দিব দিচ্ছি করে দিচ্ছে না। তাই বিক্রি করতে পারছি না।

তবে শনিবার (১২ নভেম্বর) থেকে পাওয়া যাচ্ছে ২ কেজি ১৪৪ টাকা দরে। দাম বেড়েছে ১৮ টাকা বা ১৪ শতাংশ।

এদিকে রাজধানীর অপর পাইকারি বাজার কারওয়ান বাজারেও একই দশা। গত কয়েক দিন থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, আটা নেই। কোম্পানি থেকে না দিলে আমরা কীভাবে বিক্রি করব। চিনির মতো হয়ে গেছে, বাজারে নেই।

এ সব দোকানে শনিবার সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, ভিন্ন চিত্র। কিচেন মার্কেটের নিচতলার ভাই ভাই জেনারেল স্টোরের মালিক আবুল কাদের ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন ‘২ কেজির পুষ্টি আটা ১৪৪ টাকা। এত দাম কেন? উত্তরে বলেন, কয়েক দিন থেকে ছিল না আটা। আজ সকালে কোম্পানি থেকে দিয়েছে। তারা দাম বৃদ্ধি করেছে। আমাদেরও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে আগের দামের কয়েক প্যাকেট এসিআই আটা আছে ১৩২ টাকা। কালকে থেকে হয়ত তাদের নতুন রেটের ১৪৪ টাকার আটা আসবে।

এদিকে একই মার্কেটের জব্বার জেনারেল স্টোরের জব্বারও বলেন, ২ কেজির পুষ্টি আটা ১৪৪ টাকা। এরচেয়ে কম দামেরটা নেই। কয়েক দিন আগেই শেষ হয়ে গেছে।

উল্লেখ্য, গত ২ নভেম্বর জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খাদ্য মজুদ আছে।’

শনিবার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, সর্বশেষ ৯ নভেম্বর খাদ্য মজুদ ছিল ১৫ লাখ ৮৪ হাজার ৩২২ টন। এরমধ্যে চালের মজুদ ছিল প্রায় ১৩ লাখ ৬৪ হাজার টন। ধান ১৩ হাজার টন। আর গমের মজুদ ছিল দুই লাখ ১৩ হাজার টন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে গমের বার্ষিক চাহিদা ৭০ থেকে ৭৫ লাখ টন। ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে গমের উৎপাদন হয়েছে প্রায় ১৪ লাখ টন। বাকি গম বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করে চাহিদা মেটানো হয়। গত ২০২১-২২ অর্থবছরে ৬২ লাখ টন গম আমদানি হয়েছে। এই গম থেকে আটা-ময়দা তৈরি করে কয়েকটি কর্পোরেট শিল্প। এরমধ্যে বসুন্ধরা, সিটি, মেঘনা, টিকে, আকিজ এবং এসিআই। তারাই বেশি করে বিক্রি করছে বাজারে।

এদিকে আটার বাজারের অস্থিরতা সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর ওয়েবসাইডেও দেখা যায়।

টিসিবির তথ্য বলছে, এক বছরের ব্যবধানে প্রতি কেজি খোলা আটার দাম বেড়েছে ৭৯ শতাংশের বেশি। কারণ গত বছরের ১২ নভেম্বর এক কেজি খোলা আটার দাম ছিল ৩৩ থেকে ৬৫ টাকা। বর্তমানে তা ৬০ থেকে ৭২ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর এক বছর আগের ৩৮ টাকা থেকে ৪৫ টাকার প্যাকেট আটা শনিবার বিক্রি করা হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। যেখানে চিকন চাল মিনিকেট ও নাজিরশাইল বিক্রি করা হচ্ছে ৭২ টাকা।

কিন্তু বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে দুই কেজির আটা বিক্রি করা হচ্ছে ১৪৪ টাকা বা এক কেজির দাম ৭২ টাকা। অর্থাৎ বর্তমানে চাল ও আটার দাম এক হয়ে গেছে।

তবে আটার চেয়ে ময়দা কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান। সেই চিত্র টিসিবিও বলছে। খোলা ময়দা ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি ও প্যাকেট ময়দা ৭৮ থেকে ৮০ টাকা কেজি। এক বছর আগে খোলা ময়দা ছিল ৪২ থেকে ৫৫ টাকা ও প্যাকেট ময়দার কেজি ৪৮ থেকে ৫২ টাকা। বছরের ব্যবধানে ময়দার কেজিতে বেড়েছে ৭৯ শতাংশ।

খুচরা ব্যবসায়ীরা এই প্রতিবেদককে জানান, সয়াবিন তেল ও চিনির দশা হয়ে গেছে আটা ও ময়দায়। প্রথমে তারা বিভিন্ন অজুহাতে দিব দিচ্ছি বলে দিচ্ছে না। তারপরও দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। এতে আমাদেরও খারাপ লাগছে।

সার্বিক ব্যাপারে জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ভোক্তাদের স্বার্থে বাজারে কাজ করছি। তাই প্রতিনিয়ত সারাদেশে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০টি বাজার অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অভিযানে গেলেই বিচিত্র চেহারা দেখা যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা যে যার মতো করে দাম আদায় করছেন। অভিযানে তারা ধরা পড়ছেন। তাদের জরিমানা করা হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের প্রভাবে পণ্যের আমদানি ব্যয় বেড়ে গেছে। এই অজুহাতে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অতি মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছে।

আর সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিত সাহা বলেন, আমরা প্রয়োজন মতো বাজারে আটা-ময়দা বিক্রি করছি। যে যা চাচ্ছে তা দেওয়া হচ্ছে। কারওয়ানবাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, হয়ত স্টক কমে গেছে। ডিলাররা চাইলে সরবরাহ করা হচ্ছে।

জেডএ/আরএ/

Header Ad
Header Ad

একদিন পেছাল খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে দুই পুত্রবধূকে সঙ্গে নিয়ে লন্ডন থেকে ঢাকায় ফিরছেন। তবে দেশে ফেরার তারিখ একদিন পিছিয়ে গেছে। আগামী ৫ মে’র পরিবর্তে ৬ মে (মঙ্গলবার) দেশে ফিরবেন তিনি ।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বিএনপি মহাসচিবের নির্দেশে আমাদেরকে জানিয়েছেন, খালেদা জিয়া ৫ মে লন্ডন থেকে রওয়ানা হয়ে ৬ মে ঢাকায় পৌঁছাবেন।

তিনি আরও জানান, কাতারের আমিরের দেওয়া একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে খালেদা জিয়া লন্ডন ত্যাগ করবেন এবং পরদিন বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবেন।

খালেদা জিয়া ২০১৮ সালে তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকারের আমলে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার হয়ে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। করোনা মহামারির সময় সরকার তাকে বিশেষ বিবেচনায় কারামুক্তি দেয়। তবে তিনি কার্যত গৃহবন্দি ছিলেন।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের এক আদেশে খালেদা জিয়া মুক্তি পান। এরপর দুর্নীতির যে দুটি মামলায় তিনি কারাবন্দি ছিলেন, সেগুলোর রায় বাতিল করেন আদালত।

এরপর এ বছরের ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে টানা ১৭ দিন লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন তিনি। এরপর গত ২৫ জানুয়ারি তাকে তারেক রহমানের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। অর্ধযুগের বেশি সময় পর এবার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

Header Ad
Header Ad

ইসরাইলের অবরোধ, গাজায় ৫৭ ফিলিস্তিনির অনাহারে মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

ইসরাইলের দুই মাসেরও বেশি সময় সম্পূর্ণ অবরোধের কারণে গাজা উপত্যকায় ছিটমহলে কমপক্ষে ৫৭ ফিলিস্তিনি অনাহারে মারা গেছেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সাহায্য পৌঁছানোর জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে কাতার।

কাতার বলেছে, ইসরাইলের মন্তব্যে 'রাজনৈতিক ও নৈতিক দায়িত্ববোধের অভাব' রয়েছে। খবর আলজাজিরার।

কাতার উপসাগরীয় দেশটিকে একটি পক্ষ বেছে নেওয়ার এবং সভ্যতার পক্ষে নাকি হামাসের বর্বরতার পক্ষে তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে এবং ইসরাইল পূর্ববর্তী বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, গাজার বিরুদ্ধে চলমান আগ্রাসনকে ‘সভ্যতার’ প্রতিরক্ষা হিসেবে চিত্রিত করা ইতিহাসজুড়ে সেই শাসকগোষ্ঠীর বক্তব্যের প্রতিধ্বনি, যারা নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে অপরাধকে ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য মিথ্যা বর্ণনা ব্যবহার করেছে।

তিনি লেখেন, এদিকে, গাজার ফিলিস্তিনি জনগণ আধুনিক সময়ের সবচেয়ে খারাপ মানবিক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। এটি কি সত্যিই ‘সভ্যতার’ মডেল প্রচার করা হচ্ছে?

ফ্রিডম ফ্লোটিলা বলছে, ‘কেউ সাহায্য করছে না’ কারণ আক্রান্ত জাহাজটি সমুদ্রে আটকে আছে। তাতে গাজার জন্যে ত্রাণ পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না।

মাল্টার কাছে ড্রোনের আঘাতে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন পরিচালিত জাহাজটি বর্তমানে নিরাপদ বন্দরে নোঙর করতে পারছে না, যেখানে চারজন স্বেচ্ছাসেবক সামান্য আহত হয়েছেন।

জোটের এক অভিনেত্রী এবং কর্মী নিকোল জেনেস বলেছেন, কেউ সাহায্য করছেন না।

তিনি আরও বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আমাদের ক্রুদের বাঁচানোর জন্য অনুরোধ করছি, যাতে জাহাজটি বন্দরে আসতে পারে।

জেনেস বলেন, শুক্রবার এবং শনিবার জাহাজে পৌঁছানোর চেষ্টা করা একদল স্বেচ্ছাসেবককে মাল্টিজ কর্তৃপক্ষ থামিয়ে দেয় এবং গ্রেফতারের হুমকি দেয়। যারা জাহাজে রয়ে গেছেন তাদের বিদ্যুৎ নেই এবং আরেকটি আক্রমণের ভয় করছেন। আমরা জাহাজটি চালিয়ে যেতে ইচ্ছুক। আমরা কল্পনাও করতে পারি না যে গাজার জনগণের কাছে সাহায্য পৌঁছে দেওয়া আমাদের বিশ্বের খলনায়ক করে তুলতে পারে।

সাহায্য গোষ্ঠীগুলো সতর্ক করেছে যে, গাজার বেসামরিক জনগণ অনাহারের মুখোমুখি হচ্ছেন, এবং উদ্বেগ রয়েছে যে এই মরিয়াতা আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়তে পারে। যুদ্ধে সশস্ত্র গোষ্ঠী দ্বারা লুটপাটের ঘটনা ঘটলেও, সাহায্য কর্মীরা বলছেন যে, এই সপ্তাহের ঘটনাগুলো আরও তীব্রতর হওয়ার লক্ষণ, কারণ এটি কম সংগঠিত এবং শহরাঞ্চলে পৌঁছাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মার্চ মাসে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি শেষ করার পর থেকে ইসরাইল এই অঞ্চলে যে কোনো মানবিক সাহায্য প্রবেশে বাধা দিয়েছে।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, বুধবার হাজার হাজার ফিলিস্তিনি তাদের গাজা সিটি ফিল্ড অফিসে প্রবেশ করে ওষুধ খাওয়ার পর তাদের কর্মীদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ইউএনআরডব্লিউএ-এর একজন জ্যেষ্ঠ জরুরি কর্মকর্তা লুইস ওয়াটারিজ এই লুটপাটকে অসহনীয় এবং দীর্ঘস্থায়ী বঞ্চনার প্রত্যক্ষ ফলাফল বলে অভিহিত করেছেন।

 

Header Ad
Header Ad

শরীরে আত্মঘাতী বোমা বেঁধে পাকিস্তানে হামলা চালাতে যাবেন ভারতীয় মন্ত্রী

বিজেড জামির আহমেদ খান। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকের মন্ত্রী বিজেড জামির আহমেদ খানের এক বিস্ফোরক মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। শুক্রবার (৩ মে) রাজ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, প্রয়োজন হলে তিনি শরীরে আত্মঘাতী বোমা বেঁধে পাকিস্তানে যেতে প্রস্তুত।

এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এলো, যখন জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক বন্দুকধারীদের হামলা ঘিরে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে উত্তেজনা বিরাজ করছে। হামলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার ‘যুদ্ধ নয়, শান্তি’পন্থী অবস্থান দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্কের জন্ম দেয়। তার রেশ না কাটতেই কংগ্রেসের মন্ত্রী জামির খানের এই ‘যুদ্ধমুখী’ বক্তব্য পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে বিজেড জামির খান বলেন, “আমরা ভারতীয়, আমাদের পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। যদি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামার প্রয়োজন হয়, আমি সবার আগে যাব। প্রয়োজনে আত্মঘাতী বোমা বেঁধেই পাকিস্তানে যুদ্ধে অংশ নিতে রাজি আছি।”

তিনি আরও বলেন, “আমি কৌতুক করছি না। আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অনুরোধ করবো, যদি দেশের প্রয়োজন হয়, তাহলে আমাকে একটি আত্মঘাতী বোমা দিন। আমি পাকিস্তানে গিয়ে আমার দায়িত্ব পালন করবো।”

বিজেড জামির খানের এই মন্তব্য কংগ্রেসের অভ্যন্তরেই বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে বলে ধারণা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। কারণ এর আগে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে না গিয়ে কাশ্মিরে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পক্ষে মত দিয়েছিলেন, যা দেশটির ডানপন্থী শিবিরের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে।

বিজেড জামির খানের বক্তব্যের পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকে তার বক্তব্যকে উস্কানিমূলক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে অভিহিত করেছেন। অন্যদিকে, কিছু সমর্থক তাকে ‘দেশপ্রেমিক’ বলেও প্রশংসা করেছেন।

এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার বা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে মন্ত্রীর এই বক্তব্যের বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

একদিন পেছাল খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা
ইসরাইলের অবরোধ, গাজায় ৫৭ ফিলিস্তিনির অনাহারে মৃত্যু
শরীরে আত্মঘাতী বোমা বেঁধে পাকিস্তানে হামলা চালাতে যাবেন ভারতীয় মন্ত্রী
টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতাকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
নেইমারের ‘বিশেষ উপহার’ পেলেন ব্রাজিল-ভক্ত অভিনেতা পলাশ
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ হ্যাক
কাউকে যদি করিডোর ব্যবহার করতে দেন তাহলে জনগণের অনুমতি লাগবে: টুকু
রাজধানীর পুরানা পল্টনে বাণিজ্যিক ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট
পদত্যাগ করলেন ইয়েমেনের প্রধানমন্ত্রী
নওগাঁয় আসামিদের নিয়মিত আদালতে উপস্থাপন না করায় ওসিকে শোকজ
মাদক সেবনের দায়ে নিষিদ্ধ রাবাদা
দুই পুত্রবধূসহ ফিরছেন খালেদা জিয়া, অভ্যর্থনা দিতে সবাই প্রস্তুত: মির্জা ফখরুল
চুয়াডাঙ্গায় প্রণোদনার সার মিলল গোডাউনে, অতঃপর...
মালয়েশিয়ায় পামওয়েল কারখানায় বিস্ফোরণ, বাংলাদেশিসহ দগ্ধ ৪
কুবিতে আন্তঃবিভাগ ক্রিকেট প্রতিযোগিতা শুরু ৭ মে
উত্তেজনার মধ্যেই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালালো পাকিস্তান
রাতেই ঢাকাসহ ৮ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা
এবার পাকিস্তান থেকে সব ধরনের পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করল ভারত
মধ্যরাতে সরিয়ে দেওয়া হলো খালেদা জিয়ার ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে
ফেরেশতা এলেও কয়েক মাসে এ দেশকে ঠিক করতে পারবে না: সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা