বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

অনশনে শাবিপ্রবির ১৩ শিক্ষার্থী অসুস্থ

অনশনে থাকা শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ১৩ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা ৬টা) ৩ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি ১০ জন অনশনস্থলেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এর আগে বুধবার (১৯ জানুয়ারি) উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে শুরু হয় অনশন। এ অনশন গড়িয়েছে ২৭ ঘণ্টায়। এর মধ্যে কোনো সমাধান আসেনি।

তবে বুধবার রাত থেকে এখন পর্যন্ত শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল তিন দফায় অনশনস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের বুঝানোর চেষ্টা করেন।

দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলামের নেতৃত্বে শিক্ষকরা অনশনে থাকাদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন।

এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, হল প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে একটি আন্দোলন হচ্ছিলো। কিন্তু সেখানে কী এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল যে, আমাদের ওপর গুলি চালাতে হলো?

শিক্ষকদের উদ্দেশ্য করে তারা বলেন, আপনাদের উপস্থিতিতে তখন পুলিশ আমাদের ওপর হামলা করে। চাইলে এর আগেই আপনারা আলোচনা করতে পারতেন। কিন্তু ছোট একটা ঘটনাকে আপনারা বড় করলেন। যে কারণে আজ আমরা ভিসির পদত্যাগ দাবি করছি। সুতরাং আলোচনার সময় এখন আর নাই। সহমর্মিতাও আমরা চাই না। আগে সংহতি জানান। তারপর কীভাবে উপাচার্যকে হঠানো যায় সে বিষয়ে আলোচনা হবে।’

শিক্ষার্থীদে সঙ্গে তৃতীয় বারের মতো সমঝোতায় ব্যর্থ হয়ে ফেরার পথে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা চাই, একটি আইনগত জায়গায় আসতে। আইনের ঊর্ধ্বে কেউ না। আমরা শিক্ষার্থীদের এটা বুঝানোর চেষ্টা করছি।’

শিক্ষার্থীরা আলোচনায় আসতে চাইছে না। তারা সিদ্ধান্তে অনড়, এখন কী করবেন-এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। আশা করছি, শিক্ষার্থীরা আমাদের কথা মানবে।’

এর আগে রবিবার রাতে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধারকে কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিবর্ষণ, লাঠিচার্জ সাউন্ড গ্রানেড নিক্ষেপের পর শুরু হয় উপাচার্যের পদত্যাগের আন্দোলন।

এসইউ/এমএসপি

 

Header Ad

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে ভারতকে নতুন প্রস্তাব পাকিস্তানের

ছবি: সংগৃহীত

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির এবারের আসরের আয়োজন নিয়ে দোটানায় পড়েছে পাকিস্তান। যার নেপথ্যে দেশটিতে গিয়ে ভারতের খেলতে না চাওয়া। ভারত এই টুর্নামেন্টও হাইব্রিড মডেলে খেলতে চায় বলে বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে কিছুদিন আগে জানিয়েছিল সংবাদসংস্থা আইএএনএস। তবে এর মাঝেও নতুন প্রস্তাব নিয়ে হাজির হয়েছে পাকিস্তান। তারা ভারতের সব ম্যাচ লাহোরের এক ভেন্যুতেই আয়োজন করতে চায়।

ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোর এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে।

কয়েক দিন আগেই বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংবাদসংস্থা আইএএনএস জানিয়েছিল এশিয়া কাপের মতো এই টুর্নামেন্টও হাইব্রিড মডেলে খেলতে চায় ভারত। আর এটি কিছুতেই হতে দিতে চায় না পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

কয়েকদিন আগে তারা আইসিসিকে তিনটি ভেন্যু করাচি, লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের কথা জানিয়েছিল পাকিস্তান। নিরাপত্তার স্বার্থে এবার তারা ভারতের সব ম্যাচ কেবল লাহোরেই আয়োজন করতে চায়। একই শহরে হবে টুর্নামেন্টটির ফাইনালও।

ক্রিকইনফোর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এক শহরে ভারতের ম্যাচ আয়োজন করলে, লজিস্টিকস এবং ভ্রমণকেন্দ্রিক নিরাপত্তাজনিত মাথাব্যথা কমে যায় পিসিবির।

এ ছাড়াও লাহোর শহরের অবস্থান ভারত-পাকিস্তানে ওয়াগাহ সীমান্ত ক্রসিংয়ের কাছাকাছি জায়গায়। আর এর মাধ্যমে সহজেই ভারতীয় দর্শকরা দেশটিতে প্রবেশের সুযোগ থাকছে।

পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি চলতি সপ্তাহের শুরুতে আইসিসির কাছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির একটি খসড়া পাঠিয়েছিলেন। যেখানে তিনি জানান, টুর্নামেন্টটি আগামী বছর ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে আয়োজন করা হতে পারে। তবে সিদ্ধান্ত হবে প্রতিযোগী আটটি দেশের আলোচনার ভিত্তিতে।

এর মাঝে আবার ভারত সেখানে খেলবে কি খেলবে না তারও নিশ্চয়তা চেয়েছে পিসিবি। ২০০৮ এশিয়া কাপের পর থেকে আর কোনো ভারতীয় দল পাকিস্তানে সফর করেনি। ওই বছরই মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে ক্রমাগত।

গত মঙ্গলবার করাচিতে আশাবাদী হয়ে পিসিবি সভাপতি নাকভি জানান, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে আট দলের সবাই পাকিস্তানে সফর করবে। যেখানে তিনি ভারতের খেলতে না চাওয়ার কোনো নেই বলেও উল্লেখ করেন।

পাকিস্তান এই টুর্নামেন্টটি আয়োজনে খুব মরিয়া, কারণ ১৯৯৬ বিশ্বকাপের পর আর কোনো আইসিসির ইভেন্ট আয়োজন হয়নি দেশটিতে।

এরপর ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কান দলের ওপর আরেক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপও সরিয়ে নেওয়া হয় পাকিস্তান থেকে। এরপর দেশটিতে ৬ বছর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করা হয়নি।পরবর্তীতে ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরে বাবর আজমদের দেশে।

যেখানে এরই মাঝে ভারত বাদে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে যাওয়া প্রায় দেশই আলাদাভাবে সিরিজ খেলতে গিয়েছে। এর আগে সর্বশেষ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর বসেছিল ২০১৭ সালে। যেখানে পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা

ছবি: সংগৃহীত

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদীগুলোতে দ্রুত বাড়ছে পানির স্তর। যার কারণে আকস্মিক বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আসন্ন হুমকি মোকাবিলায় স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য সতর্কতা জারি করে কিছু সুপারিশ করেছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (এফএফডব্লিউসি)।

বুধবার (১ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে এফএফডব্লিউসি জনিয়েছে যে, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর পরিচালিত এফএফডব্লিউসি পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। পাশাপাশি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুসারে, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জেলাগুলো ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীগুলোতে পানির স্তর দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার ফলে বেশ কয়েকটি অঞ্চলে আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে। নেত্রকোণা, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও মৌলভীবাজারসহ ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলোর নদীর তীরে পানি ওঠায় দ্রুতই সেসব অঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এফএফডব্লিউসি জানিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় সিলেট, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে প্রাক-বর্ষার পানি প্রবাহ বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এ অবস্থায় ওইসব এলাকার নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের তাৎক্ষণিক সতর্কতা অবলম্বন করতে এবং সম্ভাব্য ঝুঁকি থেকে সবকিছু সরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

সবশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত থাকতে বাসিন্দারা বিডব্লিউডিবি বন্যা অ্যাপ এবং এফএফডব্লিউসি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে www.fwc.gov.bd এবং www.ffwc.gov.bd/flashflood রিয়েল-টাইম আপডেট ব্যবহার করতে পারবেন। এ ছাড়াও জরুরি প্রয়োজনে সমন্বয়ের জন্য হটলাইন ১০৯০ (টোল-ফ্রি) এবং ০১৮৪১-০০২২৯৯ নম্বরে কল করতে পারবেন।

বন্যাপ্রবণ এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে এবং তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারি নির্দেশিকা অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

নাম্বার ওয়ান বলেই কি ফোন ফেলে দেবে সাকিব, বিচার দিলেন জায়েদ খান

ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত চিত্রনায়ক জায়েদ খান ও বিশ্ব ক্রিকেটের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের একটি ভিডিও। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, জায়েদ খানের মোবাইল ফোন সুইমিংপুলে ছুড়ে ফেলেন সাকিব। মাত্র ৫ সেকেন্ডের এই ভিডিও নিয়ে এখন ফেসবুক তোলপাড়।

ভিডিওতে অনেকটা বিরক্তিভাব দেখা গেছে ক্রিকেটার সাকিবের মধ্যে। তবে এ ঘটনায় এখনো দু’জনের কেউই প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি। কিন্তু তারা কথা না বললেও তাদের এই ঘটনা নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন।

এরইমধ্যে বুধবার (১ মে) ফেসবুক ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট থেকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন জায়েদ খান। এতে ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘নাম্বার ওয়ান বলেই কি ফোন ফেলে দেবে? শিগগিরই সব জানাব, তারপর আপনারাই বিচার কইরেন।’

এ চিত্রনায়কের এমন স্ট্যাটাস নিয়ে অবশ্য আগ্রহ দেখা গেছে নেটিজেনদের মধ্যে। মন্তব্যের ঘরে কেউ কেউ সাকিবের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন―কোনো প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ডিং প্রোমোশনের অংশ ভিডিওটি। তবে এ ব্যাপারে জায়েদ-সাকিব কিছু না বলা পর্যন্ত এখনই নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে বিভিন্ন শোরুম উদ্বোধন নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন জায়েদ খান। পাশাপাশি দেশ-বিদেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে স্টেজে পারফর্ম করছেন।

 

সর্বশেষ সংবাদ

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে ভারতকে নতুন প্রস্তাব পাকিস্তানের
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা
নাম্বার ওয়ান বলেই কি ফোন ফেলে দেবে সাকিব, বিচার দিলেন জায়েদ খান
যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনপন্থীদের ওপর ইসরায়েলপন্থীদের হামলা
হবিগঞ্জে ট্রাক-প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে একই পরিবারের ৪ জনসহ নিহত ৫
এলপিজির নতুন দাম নির্ধারণ আজ
সিসিইউতে ভর্তি খালেদা জিয়া
প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে আ.লীগ নেতার ফেসবুকে স্ট্যাটাস
সুখবর দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর
মিল্টন সমাদ্দারের সব অপকর্ম বিবেচনায় নিচ্ছে ডিবি
সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে আজ
বেঁকে যাওয়া রেললাইনে কচুরিপানা থেরাপি
এবারের আইপিএলে কি আউট হবেন না ধোনি?
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও বিস্তৃত করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র
মানুষ আজ ন্যূনতম অধিকার থেকেও বঞ্চিত: মির্জা ফখরুল
মিল্টন সমাদ্দার গ্রেপ্তার
নওগাঁয় মাঠে ধান কাটতে গিয়ে গরমে কৃষকের মৃত্যু
আজও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রী
মে দিবসের কর্মসূচিতে এসে গরমে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু
টাঙ্গাইলে সেনা সদস্য পরিচয়ে প্রতারণা