শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

বাংলাদেশের পঞ্চাশ বছরের উন্নয়ন বিস্ময়কর

আমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী যেমন উদযাপন করছি একইসাথে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছি। আমি খুব সহজভাবে যদি বলি, বাংলাদেশের পঞ্চাশ বছরের উন্নয়ন বিস্ময়কর। বাহাত্তর সালে অর্থনীতির আকার ছিল আট বিলিয়ন ডলার সেটি এসে দাঁড়িয়েছে চারশ ষোল বিলিয়ন ডলার। খুব স্বাভাবিক হিসেবে যদি ধরি, অর্থনীতি ব্যাপকভাবে প্রসারিত হয়েছে। একইসাথে বাহাত্তর সালে আমাদের দারিদ্রের হার ছিল আশি শতাংশের বেশি। সেটি এখন কোভিডের আগে দিয়ে বিশ শতাংশে নেমে এসেছে। কোভিডের কারণে এটি হয়তো সামান্য বেড়েছে, কিন্তু আমি মনে করি সেটি সাময়িকভাবে বেড়েছে। বিশের কাছাকাছিও যদি থাকে, তবুও আমি মনে করি দারিদ্রের বিচারেও কিন্তু আমাদের সফলতা কম না। বাহাত্তর সালে বিদ্যুৎ মাত্র আট দশমাংশ মানুষের ঘরে গিয়েছিল, এখন প্রায় শতভাগ মানুষের কাছে বিদ্যুৎ যাচ্ছে এই পঞ্চাশ বছরে। বাহাত্তর সালে আমাদের গড় আয়ু ছিল সাতচল্লিশ। সেটি এখন তিয়াত্তর বছর। খাদ্যে আমরা মাথাপিছু চাল উৎপাদন করতাম একশ চল্লিশ কিলোগ্রাম। এখন আমরা সেটি উৎপাদন করি প্রায় আড়াইশ কিলোগ্রাম। আমরা মাত্র ছয়টি ডিম উৎপাদন করতাম মাথাপিছু, এখন আমরা একশ'র উপরে মাথাপিছু ডিম উৎপাদন করছি। কাজেই একথা নিশ্চয় বলতে পারি যে, অংকের বিচারেও বাংলাদেশের অর্থনীতির ব্যপক প্রসার ঘটেছে। দারিদ্র নিরসনেও বাংলাদেশের সাফল্য মোটেও কম না।

এতকিছুর পরেও চ্যালেঞ্জিং বিষয় যেটি, যে চ্যালেঞ্জটি রয়ে গেছে সেটি হল, বৈষম্য। অর্থাৎ অর্থনৈতিক বৈষম্য বেশ বেড়েছে। বেড়ে যাবার একটি বড় কারণ হল, কতিপয় ধনি তারা অনেকবেশি ধনী হয়ে গেছে। সেই কারণে সম্পদের একটি বড় হিস্যা তারা পাচ্ছে। তারমানে এটিও নয় যে, যারা পিরামিডের নীচের দিকে আছে তারা না খেয়ে আছে। সেটিও ঠিক না। তাদেরও চাপ আছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে তাদের উপর যথেষ্ট চাপ আছে। জিনিসপত্রের দাম তাদের জন্য ধরা ছোয়ার বাইরে চলে গেছে। তা স্বত্তেও আমি বলব, পশ্চিমবঙ্গের সাথেও যদি মিলিয়ে দেখি, যারা একেবারেই গরীব মানুষ, থাকার মতো ঘর নাই, একখণ্ড জমি নাই, এরকম মানুষ পশ্চিমবাংলায় অনেক আছেন, কিন্তু সেই তুলনায় আমাদের এখানে কম। পায়ে একজোড়া জুতো নেই, এরকম মানুষ পশ্চিম বাংলায় আছে কিন্তু আমাদের এখানে অনেক কম। তারা হয়তো খুব ভাল নেই, কিন্তু তারা দুই বেলা খেয়ে পরে বেচে আছে। স্বাধীনতার পরে আমরা দেখেছি মানুষ না খেয়ে মারা গেছে, বলব না যে তারা না খেয়ে মারা গেছেন, অনেক রকম সামাজিক অপ্রাপ্তি ছিল, সেটি অনেকটাই কেটে গেছে। কিন্তু শাসন ব্যবস্থায় বিশেষ করে দুর্নীতি কারসাজি ইত্যাদি ইত্যাদি বিষয়ে, বঙ্গবন্ধু আসলে যেভাবে দেখতে চেয়েছিলেন, সেটি আমরা এখনও অর্জন করতে পারিনি। দুর্নীতি এখনও ব্যাপক আছে। কতিপয় মানুষের কাছে এখনও সেবা পৌঁছায়নি। যদিও সাম্প্রতিককালে ডিজিটাল সুবিধার কারণে কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছে। কিন্তু এখনও অনেকটা পথ আমাদের হাটতে হবে সেই স্বস্তিময় শাসন ব্যবস্থার দিকে।

এক্ষেত্রে যে বিষয়টি না বললেই নয়, তা হল, নারীর ক্ষমতায়ন। আগে মেয়েরা ঘরের বাইরে যেতো না, এখন চল্লিশ শতাংশ মেয়েরা আনুষ্ঠানিক কাজের সাথে যুক্ত। উন্নয়নের ধারার মধ্যে একটি ধারা হল, ম্যনুফেকচারিং খাত অর্থাৎ শিল্পখাত। বিশেষ করে গার্মেন্টস, চামড়াসহ অনেকগুলি অবকাঠামোগত খাতের উন্নয়ন হয়েছে। রপ্তানি খাতে নারীর অংশগ্রহণ উল্লেখ করার মত। ৩৮ থেকে ৪০ শতাংশ নারী এখন আনুষ্ঠানিক কাজে যুক্ত। এর প্রভাব কিন্তু সারা বাংলাদেশেই পড়েছে। নারীর এই অর্থনৈতিক সক্ষমতা বাড়ার কারণে সমাজের ভিতরেও কিন্তু এর ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।


আরেকটি খাত যেটি পঞ্চাশবছরে অনেক বেড়েছে তা হল প্রবাসী আয়। প্রবাসী আয় বাহাত্তর তিয়াত্তর সালে ছিলই না, গতবছর আমরা পচিশ বিলিয়ন ডলার পেয়েছি। এবছরও সম্ভবত বাইশ বিলিয়ন বা তার বেশিই পাব। এই যে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশ থেকে আসছে, সেটি কিন্তু সাধারণ ঘরের ছেলেমেয়রা আনছে। গ্রামে গঞ্জে তার প্রভাব পড়ছে। গ্রাম বাংলা বদলে গেছে। গ্রামে আগের মত খোরপোষের কৃষি নাই। মডার্ন কৃষি, ডাইভারসিফাইড কৃষি, কৃষির পাশাপাশি অকৃষি খাত। গ্রামে এখন নানা ধরণের কর্মকাণ্ড হচ্ছে। গ্রামেও এখন কমিউনিটি হাউজ হচ্ছে। কফিশপ হচ্ছে। গ্রাম বাংলাও বদলে যাচ্ছে। শহরের অনেক সেবা গ্রামেও যাচ্ছে। মায়েদের সেবা, শিশু সেবা, প্রসুতি সেবাসহ নারীর উন্নয়নে ব্যাপক পরিবর্তন হচ্ছে। প্রাথমিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তার সুফল কিন্তু গ্রাম বাংলাও পাচ্ছে। এমন কিছু অসুখ বিসুখ আছে যেগুলি সামাল দেওয়া গরিব মানুষের পক্ষে সম্ভব না। এছাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষনীয়। শিক্ষার প্রসার ঘটেছে। গরিব মানুষের সন্তানেরাও পড়ালেখা শিখছে। হয়তো গুণগত মানে এখনও আরও উন্নয়ন দরকার। তবে চেষ্টা তো হচ্ছে। শিশু বৃত্তি, মায়েদের আর্থিক সাহায্য প্রদানসহ অনেক কর্মসূচি গৃহীত হয়েছে।

রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, প্রাথমিক শিক্ষা হচ্ছে গ্রামের মেঠোপথ। সেই মেঠোপথের বেশ উন্নয়ন হয়েছে। সেই মেঠোপথ ধরেই আমরা সড়ক মহাসড়কে যাই। এখন সেই মহাসড়কে শহরের অনেক স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটির ছেলেমেয়রা আসছে। আশা করি খুব ভাল সাড়া পাওয়া যাবে।

 

লেখক: সাবেক গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক

 

Header Ad

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

ফাইল ছবি

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। রাজিবুল ইসলামকে (বাপ্পি) সভাপতি ও সজল কুণ্ডুকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অনুমোদন দিয়ে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান এ কমিটির অনুমোদন দেন।

কমিটি অনুমোদন দিয়ে এতে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার 'স্মার্ট বাংলাদেশ', 'স্মার্ট মহানগর' বিনির্মাণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হলো।

ঘোষিত কমিটিতে সহ-সভাপতি হয়েছেন কাউসার আহমেদ (ইমন), সৈয়দ ইমরান হোসেন, মো. নাজমুল হোসেন, উবায়দুর রহমান লিও, নিবাস মজুমদার, রেহানুল হক রাফি, রাজীব সাহা, আবু তালিম ভূইয়া, আরাফাত হোসেন মারুফ, মো. হাসিবুল আলম পুলক, শাখাওয়াত হোসেন আরেফিন, মো. শাকিল তালুকদার, আহমেদ আলী রেজওয়ান, সালমান রহমান (আশরাফ), আদনান আইয়ুব, মো. রিয়াজ মোল্লা, শাহজালাল শাহীন, ইশতেফাক হক (ইফাজ), সৈয়দ আমিনুল ইসলাম (নিবিড়), কাজী জাহিদুল ইসলাম রাজন, মাশরুফ বিন নেসার শান, মো. শাহরিয়ার শাওন, মো. আক্তার হোসেন, মো. বিপ্লব খান,নাইমুল ইসলাম নোমান, নাজমুল হাসান প্রিন্স তালুকদার, সারোয়ার হোসেন, ফারকিলিত সাফাক-ই-আরফাকসাজ, আনিসুর রহমান আনিস, জুটন চন্দ্র দাস,মাহমুদুল হাসান (ইমন)।

এছাড়াও সহ-সভাপতি হিসেবে আরও আছেন, মাজেদুল মজিদ মাহমুদ (সাদমান), সাদি মোহাম্মদ সৈকত, আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ রাজু, রাকিবুল ইসলাম শাওন, মো. ফজলে রাব্বি, সোহানুর রহমান সোহান, ওহিদুল ইসলাম অপু, মেহেদী হাসান, তানভীর আহমেদ, রুবেল মাহমুদ, সাব্বির বিন ইসলাম, মাসুদ রানা, মো. আবু ইউসুফ হৃদয়, আশিক মাহমুদ, মো. নুরুদ্দিন হাওলাদার, মাহমুদ হাসান জিল্লু, মো. ইনজামুল ইসলাম (আকিব), সোহেল রানা, আব্দুল্লাহ আল-হাসান, আহমেদ সারোয়ার স্বচ্ছ, মো. কামরুজ্জামান ইফতি, আরাফাত হোসেন রনি, মো. ইমরান হোসেন, সিফাত হোসেন, শেখ কোরবান ইসলাম, আব্দুল্লাহ আশিক, এফ এম সাইফুজ্জামান সজিব, মো. শামীম খান, বখতিয়ার শিকদার বাপ্পি, সুজন দাস, মো. তাবারক হোসেন (বিপ্লব), বাবু দাস, মো. ইমরান হোসেন পাভেল, জবিউল্লাহ শান্ত, বিশ্বজিৎ হাওলাদার জিৎ, ফেরদাউস আনসারী, নাইমুর রহমান দুর্জয়, জহিরুল ইসলাম খান তুহিন, মেহেদী হাসান রাজু, জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, আল আমিন।

যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সাগর (সানাফ), সৈয়দ মুক্তাদির সাদ, সৌরভ দেব নয়ন, মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ আবিয়াজ সাজেদ, নয়ন শিকদার, কাজী তানবীর হোসেন, মাহবুব আলম মাহিব, রফিকুল ইসলাম রাসেল, ইয়াসির আরাফাত, আক্তারুজ্জামান মান্না।

সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন, সাকিব হোসাইন, শাকিল হোসেন (জীবন), আরমান মাহমুদ তুষার, রহমান ইকবাল (ইকু), জোবায়েদ সাদাফ সাজিদ, দিপ্ত কুন্ডু, জাহিদুল ইসলাম দিপু, মো. রাকিব হোসেন, নাইমুল ইসলাম, মো. সাইদুল ইসলাম জনি, মো. রাহাত হোসেন রাব্বি।

প্রচার সম্পাদক হয়েছেন হামিম খান কাজল। উপ-প্রচার সম্পাদক করা হয়েছেন আরিফুল ইসলাম, এরশাদ হোসাইন, এম আহসানুর রহমান ইমন, এম এস আর সবুজ, মাহবুব আলম খান তনিম, মুনতাসির রাফি।

দপ্তর সম্পাদক করা হয়েছে মো. সাকিব আল হাসান (রাজিব) কে। উপ-দপ্তর সম্পাদক হয়েছেন নাঈফুজ্জামান কোতোয়াল, শিমুল রায়, জুনাইদ বোগদাদী প্রধান, রাইসুল আলম ইসতিয়াক, শফিক বেপারী, কাজী রাকিব হোসেন।

গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন মীর মোহাম্মদ সাইকুন আলী শান্ত। উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন মোকারোম হোসাইন রুদ্র, মো. জনি ইসলাম, জুয়েল রানা, মো. মারজুক হোসেন ভুবন, মারুফ বিল্লাহ ও জাফরুল ইসলাম (লিটন)।

শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক করা হয়েছে শাহাদাত মাহমুদ সাকিবকে। উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক হয়েছেন মো. জিন্নাত হোসেন, সাব্বির হাওলাদার, প্রতীম বিশ্বাস, রোহান আহমেদ, আহসান হাবিব ইমরান।

সাংস্কৃতিক সম্পাদক হয়েছেন তমাল পাল। উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক করা হয়েছেন এইচ. এম. আমিনুল, নীলপদ্ম রায় প্রান্ত, স্বপন চৌধুরী, রাহুল কুমার ভৌমিক, সোহেল জামান রাকিব।

সমাজসেবা সম্পাদক হয়েছেন শাকিল আহমেদ হৃদয়। উপ-সমাজসেবা সম্পাদক করা হয়েছে শেখ মেহেদী হাসান, মাসুম বিল্লাহ, সাদ্দাম হোসেন সাদমানকে। ক্রীড়া সম্পাদক হয়েছেন মো. আবু হোসাইন। উপ-ক্রীড়া সম্পাদক হয়েছেন নাঈম ইসলাম দুর্জয়, তারিকুল ইসলাম অপু, সজল হাওলাদার, মো. নূর নবী (রাঈদ), সাহাবুদ্দিন চুপ্পু, আব্দুল্লাহ সাবিত আনোয়ার চৌধুরী।

আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন শাহ আলম বিজয়। উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন শাহরিয়া ইসলাম জয়, মোস্তাফিজুর রহমান দিপু, শেখ মুহাম্মদ নাঈম উল ইসলাম, ওয়াহিদুল ইসলাম নিশান, সৈয়দ লামমিম হাসান নিলয়। পাঠাগার সম্পাদক হয়েছেন সাফায়েত খন্দকার সিয়াম। উপ-পাঠাগার সম্পাদক হয়েছেন ইমতিয়াজ আহমেদ ইমরান, ফয়সাল আহম্মেদ তমাল, মাহমুদুল হাসান তুষার।

তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হয়েছেন হাবিবুর রহমান শাকিল। উপ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হয়েছেন ফয়সাল আহমেদ ভুবন, সাবের হোসাইন, মুরসালিন সরকার। অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. সোহাগ রানা। উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন সুরুজ ফরাজী, গোলাম রাব্বি সিকদার শফিউদ্দিন মাহমুদ তুষার, আখিয়ারুল ইসলাম আফিক।

আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মেহেদী হাসান (নাহিদ)। উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন কাজী জার্জিস বিন এরতেজা, মো. মঈন হোসেন (সজীব), মো. জুবায়ের হোসেন শেখ রওনক আহমেদ, আরিফুর রহমান ফাহাদ, নওফেল হামিদ জয়। পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন ইরফান আহমেদ বাধন। উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. রাব্বী হোসেন, সজীব হাওলাদার, জাহিদুল ইসলাম।

স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. আরাফাত উল্লাহ। উপ-স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আহসানুল্লাহ সজীব, নিয়ামাল ওয়াকিল, নিবিড় হাসান, মো. ফয়সাল রাব্বি। বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আবরার খান তাহমিদ। উপ-বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আবু কাওসার, মো. তানভীর আহমেদ বাপ্পি, মো. জিসান হাওলাদার, মো. ওয়ালিউল।

দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু

দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের হাকিমপুরে গরুবোঝাই ভটভটির সঙ্গে মোটরসাইকেল সংঘর্ষে মোটরসাইকেলের থাকা দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। এর আগে, সকালে ঘোড়াঘাট উপজেলায় দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাকের চালক ও সহকারীর মৃত্যু হয়।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে বিরামপুর-হাকিমপুর আঞ্চলিক সড়কের ডাঙ্গাপাড়া বাজারের উত্তর পাশে হাকিমপুর - বিরামপুর উপজেলার জিরো পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে ভোরে ঘোড়াঘাট উপজেলার দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কের টিএন্ডটি মোড় এলাকায় দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহত দুই মোটরসাইকেল আরোহী হলেন- নবাবগঞ্জ উপজেলার কুমারপাড়া গ্রামের ধীরাজ কুমার ছেলে ধীমান কুমার ঘোষ (৩০) ও একই উপজেলার দাউদপুর এলাকার আনারুলের ছেলে আরিফ হোসেন (৩৫)।

হাকিমপুর থানা পুলিশ জানায়, দুপুরের দিকে মোটরসাইকেল যোগে হাকিমপুর থেকে দুই বন্ধু বিরামপুর যাবার পথে হাকিমপুর উপজেলার শেষ সীমানায় গরু বোঝাই ভটভটির সাথে মোটরসাইকেল ধাক্কা খেয়ে পাকা রাস্তায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী ছিটকে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই দুই বন্ধুর মৃত্যু হয়।

নিহত ধীমান কুমার ঘোষ এর মামা হাকিমপুর হিলি পৌরসভার বাসিন্দা স্বপন কুমার বলেন, আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে মোবাইল ফোনে আমাকে ভাগিনা ধীমান কুমার বলেন, মামা আমি জরুরি কাজে হিলি আসছিলাম তাই আপনার সাথে দেখা করতে পারলাম না। এর কিছুক্ষণ পরে দুর্ঘটনার খবর শুনতে পাই এবং হাসপাতালে এসে দেখি আমার ভাগিনা মারা গেছে।

হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. দুলাল হোসেন জানান, দুপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেলের আরোহীর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠিয়ে দেয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গরুবাহী ভটভটি জব্দ করে থানায় এবং নিহতদের হাসপাতালে আনা হয়েছে। পরবর্তীতে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি না থাকায় লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। ভটভটি চালক পলাতক রয়েছে।

এদিকে ঘোড়াঘাট উপজেলায় মালবোঝাই দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে দুজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে ঘোড়াঘাট উপজেলার দিনাজপুর -ঢাকা মহাসড়কের ঘোড়াঘাট টিএনটি মিশন মোড় এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ট্রাকচালক গোলাম রাব্বি (৪৫)। সে জয়পুরহাট জেলা সদরের আমদই এলাকার মমতাজের ছেলে। তার সহযোগী রেজোয়ান ইসলাম (২৮) একই এলাকার চৌমুহনীর বাসিন্দা।

স্থানীয়রা ও পুলিশ জানায়, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা ভুট্টাবোঝাই ট্রাকের (ঢাকা মেট্রো-ট-২০৬৬৪৯) সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা দিনাজপুর শহরমুখী সারবোঝাই ট্রাকের (ঝিনাইদহ-ট-১১১৬৪৬) মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা এসে ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় ২ জনকে উদ্ধার করে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

ঘোড়াঘাট ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, ‘আমরা সকালে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ২ জনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়েছি।’

ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. সা-আদ আস সামস বলেন, ‘সকালে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ২ জন রোগীকে মৃত অবস্থায় আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়েছে।’

ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, উপজেলার টিএনটি মোড় এলাকায় ভুট্টা ও সারবোঝাই দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা ভুট্টাবোঝাই ট্রাকটিকে দিনাজপুর শহরমুখী সারবোঝাই একটি ট্রাক সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ভুট্টাবোঝাই ট্রাকের চালক ও সহকারীর মৃত্যু হয়। ট্রাক দুটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

গাইবান্ধায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে রিকশাচালক নিহত, আটক ১

ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে এক রিকশাচালক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় স্থানীয়রা ছিনতাইকারীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে গাইবান্ধা-কুপতলা সড়কের রেলগেটে এ ঘটনা ঘটে।

গাইবান্ধা সদর থানার ওসি মাসুদ রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ছিনতাইকারী সাদেকুল যাত্রী বেশে গাইবান্ধা পৌরসভার সামন থেকে কুপতলা যাওয়ার জন্য রিকশাচালক আশরাফ আলীর রিকশা ভাড়া করে। গাইবান্ধা থেকে কুপতলা যাওয়ার পথে ৭৫ নং রেলগেটের কাছে পৌঁছালে ছিনতাইকারী সাদেকুল রিকশা থামাতে বলে। নির্জন এলাকায় জোর করে রিকশা ছিনিয়ে নিতে চাইলে রিকশাচালক আশরাফ আলী বাধা দেয়। এসময় ছিনতাইকারী সাদেকুল আশরাফ আলীর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছুরিকাঘাত করে। এসময় আশরাফ আলীর চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে সাদেকুলকে ধরে ফেলে। গুরুতর আহত আশরাফ আলীকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত আশরাফ আলী খোলাহাটী ইউনিয়নের সাহার ভিটার মৃত ফয়জার রহমানের ছেলে। আটক ছিনতাইকারী কুপতলা ইউনিয়নের রামপ্রসাদ এলাকার হোসেন আলীর ছেলে।

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু
গাইবান্ধায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে রিকশাচালক নিহত, আটক ১
ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের ভেতরে আগুন
৭৬ বছরের তাপপ্রবাহের রেকর্ড ভাঙল, জানা গেল বৃষ্টির তারিখ
ফিলিস্তিনি মৃত মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া শিশুটি আর বেঁচে নেই
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি শ্রীময়ী, দুশ্চিন্তায় কাঞ্চন মল্লিক
প্রথমবার এশিয়া কাপে আম্পায়ারিং করবেন বাংলাদেশের জেসি
বিয়ে না দেওয়ায় মাকে জবাই করলো ছেলে
রেকর্ড তাপপ্রবাহের জন্য সরকার দায়ী: রিজভী
চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪২.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড, জনজীবনে অস্বস্তি
বিএনপির আরও ৭৫ নেতা বহিষ্কার
প্রেমিকার আত্মহত্যা, শোক সইতে না পেরে প্রেমিকও বেছে নিলেন সে পথ
দুই বিভাগে ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস
অভিষেকেই শূন্য রানে ৭ উইকেট নিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন রোহমালিয়া
ফিলিস্তিন স্বাধীন হলে অস্ত্র ত্যাগ করবে হামাস
দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না: ওবায়দুল কাদের
কয়েক মিনিটের দেরিতে বিসিএসের স্বপ্ন ভঙ্গ ২০ পরীক্ষার্থীর
লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
থাই প্রধানমন্ত্রীর গভর্নমেন্ট হাউসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে শেখ হাসিনা