বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫ | ১২ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

হরমুজ প্রণালি ইস্যুতে চীনের সাহায্য চায় যুক্তরাষ্ট্র

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি পরিবহন পথ হরমুজ প্রণালি বন্ধের হুমকির প্রেক্ষিতে ইরানকে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রোববার (২২ জুন) ফক্স নিউজ-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এই আহ্বান জানান।

রুবিও বলেন, “যারা হরমুজ প্রণালির ওপর জ্বালানি পরিবহনের ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল, বিশেষ করে চীন— তাদের প্রতি আহ্বান জানাই যেন তারা ইরানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে এই হুমকি প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেয়।”

সম্প্রতি ইরানের একটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় হরমুজ প্রণালি বন্ধের হুঁশিয়ারি দেন ইরানের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন কর্মকর্তা। এই প্রণালির মাধ্যমেই প্রতিদিন গড়ে ২০ মিলিয়নেরও বেশি ব্যারেল তেল মধ্যপ্রাচ্য থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সরবরাহ হয়। ফলে এটি বন্ধ হলে বৈশ্বিক জ্বালানি সরবরাহে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।

মার্কো রুবিও হুঁশিয়ার করে বলেন, “হরমুজ প্রণালি বন্ধ করা ইরানের জন্য হবে একটি বড় ভুল। এমন পদক্ষেপ শুধু আঞ্চলিক উত্তেজনাই বাড়াবে না, বরং এটি ইরানের অর্থনীতির জন্য আত্মঘাতী হবে।”

তিনি আরও বলেন, ইরান যদি আন্তর্জাতিক জ্বালানি সরবরাহের এই প্রধান পথ বন্ধ করে দেয়, তাহলে এর প্রভাব শুধু মধ্যপ্রাচ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না; বরং এটি বিশ্ব অর্থনীতিকে মারাত্মক ঝুঁকিতে ফেলবে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, চীন যেহেতু জ্বালানি আমদানিতে হরমুজ প্রণালির ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল, তাই তারা চাইবে না এই রুট বন্ধ হোক। এ কারণেই চীনের কূটনৈতিক তৎপরতা ও প্রভাব ইরানের ওপর প্রয়োগ করলে সংকটের সমাধানে সহায়ক হতে পারে।

বিশ্বজুড়ে নজর এখন হরমুজ প্রণালির দিকেই। পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, তা নির্ভর করছে কূটনৈতিক আলাপ ও চীনের সম্ভাব্য মধ্যস্থতামূলক ভূমিকায়।

Header Ad
Header Ad

পার্বত্য চট্টগ্রামের গহীন অরণ্যে চিতা বাঘের অস্তিত্বের নতুন প্রমাণ

ছবি: সংগৃহীত

পার্বত্য চট্টগ্রামের গহীন অরণ্যে আবারও দেখা মিলেছে চিতা বাঘের। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে কাজ করা সংস্থা ক্রিয়েটিভ কনজারভেশন অ্যালায়েন্স (সিসিএ) সম্প্রতি বান্দরবানের একটি সংরক্ষিত বনে ক্যামেরা ট্র্যাপের মাধ্যমে এশিয়াটিক প্রজাতির একটি চিতাবাঘের ছবি ধারণ করেছে। চলতি জুন মাসেই স্থাপিত ক্যামেরায় এই বিরল প্রাণীটি ধরা পড়ে, যা দীর্ঘদিনের ধারণার বাস্তব ভিত্তি দিল।

এই আবিষ্কার প্রমাণ করে যে, পার্বত্য চট্টগ্রামের বনভূমিতে এখনও চিতা বাঘের অস্তিত্ব রয়েছে। ঐতিহাসিকভাবে ১৯০৬ সালের একটি রেকর্ডে সাঙ্গু ও মাতামুহুরী অববাহিকার বনে চিতা বাঘের উপস্থিতির তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়েও এই বিরল প্রাণীকে ক্যামেরায় ধরা পড়তে দেখা গেছে।

সিসিএ প্রধান নির্বাহী শাহরিয়ার সিজার জানিয়েছেন, প্রাণীটির নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সঠিক অবস্থান গোপন রাখা হয়েছে, যাতে কোনো শিকারি এর ক্ষতি করতে না পারে। তিনি আরও জানান, ২০১৫ সালেও পার্বত্য চট্টগ্রামে একটি চিতা বাঘের উপস্থিতি রেকর্ড করা হয়েছিল, তবে বর্তমানে সংখ্যাটি আরও হ্রাস পেয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এবং বাঘ বিশেষজ্ঞ ড. মনিরুল এইচ খান এই আবিষ্কারকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, অঞ্চলটি চিতাবাঘের প্রজনন ও বিচরণের জন্য উপযুক্ত হলেও শিকারি ও বন উজাড়ের মতো হুমকিগুলো এর অস্তিত্বের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে গবেষকরা ধারণকৃত চিতাবাঘটির লিঙ্গ ও অন্যান্য বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণে কাজ করছেন।

এই আবিষ্কার বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের দিক থেকে নতুন আশার আলো দেখাচ্ছে, বলেও মনে করছেন গবেষকরা।

Header Ad
Header Ad

আজ থেকে শুরু এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা

ছবি: সংগৃহীত

আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) থেকে শুরু হলো ২০২৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। সকাল ১০টায় বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষার মাধ্যমে শুরু হয় লিখিত পরীক্ষা, যা চলবে আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত। এরপর ১১ থেকে ২১ আগস্টের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।

এ বছর নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন। তবে গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থী কমেছে প্রায় ৮১ হাজার।

উল্লেখযোগ্যভাবে, দুই বছর আগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কলেজে ভর্তি হলেও রেজিস্ট্রেশন করা চার লাখের বেশি শিক্ষার্থী এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন না।

চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন ১০ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। মাদ্রাসা বোর্ডের অধীন আলিম পরীক্ষার্থী ৮৬ হাজার এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে রয়েছে ১ লাখ ৯ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী।

সারা দেশে মোট ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শিক্ষা বোর্ডগুলোর পক্ষ থেকে প্রশ্ন ফাঁস রোধসহ নকলমুক্ত পরীক্ষা নিশ্চিত করতে নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ।

 
 
Header Ad
Header Ad

২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে বাংলাদেশ!

ছবি: সংগৃহীত

২০২৬ সালের নভেম্বরে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উত্তীর্ণ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘ ইতোমধ্যে এই উত্তরণের চূড়ান্ত ছাড়পত্র দিয়েছে। এটি দেশের জন্য নিঃসন্দেহে একটি ঐতিহাসিক অর্জন। তবে অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা বলছেন, এই অর্জন শুধু কাগজে-কলমে মর্যাদা হলেও বাস্তবে মানুষের জীবনে বড় সুবিধা নাও আনতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের কাঠামোগত দুর্বলতা, আয় বৈষম্য, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এবং প্রস্তুতির ঘাটতি রয়েছে। এই মর্যাদার সঙ্গে সঙ্গে কিছু বড় ধরনের আন্তর্জাতিক সুবিধাও হারাতে চলেছে বাংলাদেশ। যেমন— ইউরোপ, কানাডা ও জাপানে রপ্তানিতে যে শুল্কমুক্ত সুবিধা ছিল, তা আর থাকবে না। এতে তৈরি পোশাক খাতসহ অন্যান্য রপ্তানিতে প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশের মোট রপ্তানির ৮০ শতাংশই তৈরি পোশাক খাতনির্ভর। এই একমুখী নির্ভরতা, অনির্দিষ্ট শুল্কনীতি, শিল্প খাতে উৎপাদনশীলতার ঘাটতি, দক্ষ শ্রমিকের অভাব, দুর্নীতি ও অবকাঠামোগত দুর্বলতা ভবিষ্যতে বড় ঝুঁকির কারণ হতে পারে।

অন্যদিকে, মানুষের জীবনমান নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। যদিও মাথাপিছু আয় বেড়ে ২৮২০ ডলারে পৌঁছেছে, বাস্তবে উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে আয় ও ব্যয়ের ব্যবধান অনেক বেড়েছে। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতি মানুষের জীবনকে কঠিন করে তুলেছে।

তবে সরকার বলছে, ‘সুশৃঙ্খল উত্তরণ কৌশল’ গ্রহণ করা হয়েছে। এর আওতায় নতুন বাজার খোঁজা, রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণ, রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি, ব্যবসার পরিবেশ সহজীকরণসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসও সম্প্রতি একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে পাঁচটি অগ্রাধিকারমূলক পদক্ষেপ বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন। এর মধ্যে রয়েছে জাতীয় সিঙ্গেল উইন্ডোর বাস্তবায়ন, শুল্ক নীতি কার্যকর করা, সাভারের ট্যানারি ভিলেজে ইটিপি স্থাপন, গজারিয়ায় এপিআই পার্ক চালু এবং অবকাঠামো উন্নয়ন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন সবচেয়ে জরুরি হলো এই পরিকল্পনাগুলোর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা। না হলে বাংলাদেশের এই উত্তরণ কেবল একটি ‘মর্যাদার সার্টিফিকেট’ হয়েই থাকবে। মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে হলে এখনই কার্যকর ও সমন্বিত প্রস্তুতি দরকার।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পার্বত্য চট্টগ্রামের গহীন অরণ্যে চিতা বাঘের অস্তিত্বের নতুন প্রমাণ
আজ থেকে শুরু এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা
২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে বাংলাদেশ!
১৬ জুলাই ‘শহীদ আবু সাঈদ’, ৮ আগস্ট ‘নতুন বাংলাদেশ’ দিবস ঘোষণা
জার্মানি বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশীদার: প্রধান উপদেষ্টা
ইসরায়েলে আবারও ড্রোন হামলা
এবার ‘জুলাই যোদ্ধা’ তালিকায় ছাত্রলীগ নেতার নাম!
দেশে আজ ২৬ জনের করোনা শনাক্ত
ইরান-ইসরায়েল বাচ্চাদের মতো মারামারি করছিল, আমি থামিয়েছি : ট্রাম্প
স্ত্রীকে হত্যা: ‘অপারেশন সিঁদুরে’ অংশ নেয়ায় দায়মুক্তি চান ভারতীয় কমান্ডো!
মুক্তিযুদ্ধসহ অতীতের সব ভুলের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন জামায়াতের আমির
নীলফামারীতে বিএনপির সদস্য সংগ্রহের দায়িত্বে সাইদুর রহমান রয়েল
হাসিনার সেই ‘৪০০ কোটি টাকার’ পিয়নের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট-সঞ্চয়পত্র ফ্রিজ
আশুরা ও রথযাত্রা উপলক্ষে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে: ডিএমপি কমিশনার
যমুনা সেতু মহাসড়কে ৫৯ লাখ টাকার মালামালসহ ট্রাক ডাকাতি, গ্রেফতার ২
‘প্রজাপতি ২’ থেকে ফারিণকে বাদ, দেবের বিপরীতে নতুন মুখ
ডেঙ্গুতে একদিনে আরও দুইজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩২৬ জন
সাবেক গভর্নর কুমোর হার, নিউইয়র্কের সম্ভাব্য মেয়র মুসলিম তরুণ মামদানি
ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগে ওসি মাসুদ এখন এসআই
চিত্রনায়ক নাঈমের দাবি মেনে নিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ