বুধবার, ১৪ মে ২০২৫ | ৩১ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

পঞ্চদশ সংশোধনীর রায়ে বাতিল হলো যেসব বিধান

হাইকোর্ট। ছবি: সংগৃহীত

২০১১ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের সময় সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে অন্তত ৫৪টি বিষয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছিল। পরবর্তীতে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে দুটি রিট আবেদন করা হয়।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ওই রিটের ওপর জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করেছেন।

রায়ে গণভোট, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্ত করে দেওয়া বিধান অবৈধ ও বাতিল করেন হাইকোর্ট। বাকি বিধানগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার আগামী জাতীয় সংসদের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন আদালত। রায়ে আদালত বলেন, সংসদ আইন অনুসারে জনগণের মতামত নিয়ে বিধানগুলো সংশোধন, পরিমার্জন ও পরিবর্তন করতে পারবে।

এ বিষয়ে নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ আবেদনকারীর আইনজীবী ড. শরীফ ভুঁইয়া বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করার বিধান বাতিল হলো; সংবিধান বাতিল, স্থগিতকরণ এবং সংবিধানের মৌলিক বিধানাবলি সংশোধন অযোগ্য সংক্রান্ত ৭ক এবং ৭খ বাতিল হলো, মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নের বিধান নিয়ে হাইকোর্টের ক্ষমতা কমানো বিষয়ক ৪৪ (২) বাতিল করা হলো। এছাড়া ১৪২ অনুচ্ছেদে গণভোটের বিধান বাতিল করাকে বাতিল করা হয়েছে। ফলে সংবিধানের প্রস্তাবনা ও কিছু অনুচ্ছেদ সংশোধনে আজ রায়ে গণভোটের বিধান ফিরে আসছে।

তিনি বলেন, ৭ক এবং খ , ৪৪ (২) ও ১৪২ অনুচ্ছেদ বিষয় আজকের রায়ের ফলে বাস্তবায়িত হলো। তবে সংসদের মাধ্যমে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল হলো— সেটার প্রতিবন্ধকতা আজকে পার হলাম। বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বে যে রায় (তত্ত্ববধায়ক অবৈধ) সেটার পুনর্বিবেচনা পরে হতে হবে ব্যবস্থাটা ফিরে আসার জন্য। সেটা জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে শুনানি হবে। যদি রিভিউ আমাদের পক্ষে আসে তাহলে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ফিরবে।

যেসব বিষয় বাতিল করা হলো:

১. সংবিধান বাতিল, স্থগিতকরণ, ইত্যাদি অপরাধ সংক্রান্ত ৭ক অনুচ্ছেদে (১) বলা হয়েছে। কোনো ব্যক্তি শক্তি প্রদর্শন বা শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে বা অন্য কোনো অসাংবিধানিক পন্থায়-

(ক) এ সংবিধান বা ইহার কোনো অনুচ্ছেদ রদ, রহিত বা বাতিল বা স্থগিত করিলে কিংবা উহা করিবার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ বা ষড়যন্ত্র করিলে; কিংবা (খ) এ সংবিধান বা ইহার কোনো বিধানের প্রতি নাগরিকের আস্থা, বিশ্বাস বা প্রত্যয় পরাহত করিলে কিংবা উহা করিবার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ বা ষড়যন্ত্র করিলে— এ কার্য রাষ্ট্রদ্রোহিতা হইবে এবং ওই ব্যক্তি রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে দোষী হইবে।

(২) কোনো ব্যক্তি (১) দফায় বর্ণিত— (ক) কোনো কার্য করিতে সহযোগিতা বা উসকানি প্রদান করিলে; কিংবা (খ) কার্য অনুমোদন, মার্জনা, সমর্থন বা অনুসমর্থন করিলে— এইরূপ কার্যও একই অপরাধ হইবে।

(৩) এ অনুচ্ছেদে বর্ণিত অপরাধে দোষী ব্যক্তি প্রচলিত আইনে অন্যান্য অপরাধের জন্য নির্ধারিত দণ্ডের মধ্যে সর্বোচ্চ দণ্ডে দণ্ডিত হইবে।

সংবিধানের মৌলিক বিধানাবলি সংশোধন অযোগ্য সংক্রান্ত ৭ ‘খ’তে বলা হয়েছে, সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সংবিধানের প্রস্তাবনা, প্রথম ভাগের সব অনুচ্ছেদ, দ্বিতীয় ভাগের সব অনুচ্ছেদ, নবম-ক ভাগে বর্ণিত অনুচ্ছেদসমূহের বিধানাবলি সাপেক্ষে তৃতীয় ভাগের সব অনুচ্ছেদ এবং একাদশ ভাগের ১৫০ অনুচ্ছেদসহ সংবিধানের অন্যান্য মৌলিক কাঠামো সংক্রান্ত অনুচ্ছেদগুলোর বিধানাবলি সংযোজন, পরিবর্তন, প্রতিস্থাপন, রহিতকরণ কিংবা অন্য কোনো পন্থায় সংশোধনের অযোগ্য হইবে।

২. মৌলিক অধিকার বলবৎকরণ সংক্রান্ত ৪৪ (২) এ বলা হয়েছে, এই সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদের অধীন হাইকোর্ট বিভাগের ক্ষমতার হানি না ঘটাইয়া সংসদ আইনের দ্বারা অন্য কোন আদালতকে তাহার এখতিয়ারের স্থানীয় সীমার মধ্যে ওই সকল বা উহার যে কোনো ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষমতা দান করিতে পারিবেন।

৩. তত্ত্বাবধায়ক সংক্রান্ত ৫৮ক অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত এবং ক পরিচ্ছেদ এ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলুপ্ত।

৪. সংবিধানের বিধান সংশোধনের ক্ষমতা সংক্রান্ত গণভোটের বিধান বাতিল সংক্রান্ত ১৪২ এর অনুচ্ছেদ। আদালত বলেছেন, গণভোট সংক্রান্ত ১২তম সংশোধনী এখানে বহাল হবে।

এর আগে ৪ ডিসেম্বর পৃথক রিটে জারি করা রুলের ওপর শুনানি শেষ হয়।

২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী পাস হয় এবং রাষ্ট্রপতি ২০১১ সালের ৩ জুলাই তাতে অনুমোদন দেন। ওই সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

এছাড়া জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন সংখ্যা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করা হয়; সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা পুনর্বহাল এবং রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি সংযোজন করা হয়।

অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকে রাষ্ট্রদ্রোহ অপরাধ বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে দোষী করে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধানও যুক্ত করা হয়। আগে মেয়াদ শেষ হওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনে নির্বাচন করার বিধান থাকলেও ওই সংশোধনীতে পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বিষয়টি সংযোজন করা হয়।

এই সংশোধনী বাতিলের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি। গত ১৯ আগস্ট হাইকোর্ট রুল জারি করেন। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আইন কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, জানতে চাওয়া হয় রুলে।

পরে এ রুল সমর্থন করে সহায়তাকারী (ইন্টারভেনার) হিসেবে যুক্ত হন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, গণফোরাম, বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থা। তাদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এছাড়া নওগাঁর রানীনগরের নারায়ণপাড়ার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনও রিট করেন।

Header Ad
Header Ad

আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

দেশের স্বর্ণ বাজারে আবারও ঊর্ধ্বগতি দেখা দিয়েছে। এবার ভরিপ্রতি ১ হাজার ৫৬৩ টাকা বাড়িয়ে নতুন করে স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

মঙ্গলবার (১৩ মে) রাতে বাজুসের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে তেজাবি স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব দেশের বাজারেও পড়েছে। ফলে সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে নতুন মূল্যহার নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আগামীকাল বুধবার (১৪ মে) থেকে সারা দেশে কার্যকর হবে।

নতুন দামে ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৬৯ হাজার ১৮৬ টাকা। পাশাপাশি ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ বিক্রি হবে ভরিপ্রতি ১ লাখ ৬১ হাজার ৫০০ টাকায়। ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম নির্ধারিত হয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৪২৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণ বিক্রি হবে প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৪৩৬ টাকায়।

বাজুস জানিয়েছে, এই মূল্য তালিকা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। তবে এই দামের সঙ্গে সরকার নির্ধারিত ৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং সংগঠন নির্ধারিত ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি যোগ করতে হবে। গহনার ডিজাইন ও মান অনুযায়ী মজুরি ভিন্ন হতে পারে।

উল্লেখ্য, এর মাত্র একদিন আগেই, ১২ মে, বাজুস স্বর্ণের দাম সামান্য কমিয়ে ২২ ক্যারেটের ভরিপ্রতি মূল্য নির্ধারণ করেছিল ১ লাখ ৬৭ হাজার ৬৮০ টাকা।

Header Ad
Header Ad

নওগাঁ জেলা যুবদলের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন

নওগাঁ জেলা যুবদলের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন। ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ জেলা যুবদলের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন পেয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মাসুদ হায়দার টিপুকে আহ্বায়ক এবং রুহুল আমিন মুক্তারকে সদস্য সচিব করে গঠিত হয়েছে ৫১ সদস্যের এই কমিটি।

মঙ্গলবার (১৩ মে) রাতে যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়নের যৌথ স্বাক্ষরে কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে কেন্দ্রীয় দপ্তর সেল থেকে সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়ার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে কমিটির তালিকা প্রকাশ করা হয়।

নবগঠিত কমিটিতে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন এ. কে. এম রওশন উল ইসলাম। যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন দেওয়ান মোস্তাকিম আহমেদ নিপু, মো. রুবেল হোসেন, মো. ময়নুল হক লিটন (দপ্তরে সংযুক্ত), মো. কহিনুল ইসলাম মিলি এবং মো. নাসিম ইকবাল পলাশ।

কমিটির সদস্য হিসেবে যুক্ত হয়েছেন- মো. এনামুল হক পাতি, মো. শফিকুল ইসলাম মিছিল, জুলহাজ উর রশিদ অপু, মো. জুয়েল হক, শেখ তুহিন, মো. রাশিকুজ্জামান উজ্জল, মোজাফফর রহমান, আলম খান, রিপন কুমার মন্ডল, মো. মাহমুদ হোসেন খন্দকার, সঞ্জয় কুমার দাস, মো. জাহিদুর রহমান বাবু, মো. আবু হাসান তৌফিক ইমাম, মো. শাহানুর রহমান গোলাম, মো. সাইদুল হক বাঘা, এস. এম. সাহারাজ আলম সনি, মো. মামুনুর রশিদ মামুন, জাহাঙ্গীর আলম লিটন, মো. এহতেশামুল হক নোমান, মো. শামীনুর রহমান শামীম, মো. আবিদুর রেজা সাবু, মো. শাকিব ইসলাম কাজল, মো. শহীদুল, খন্দকার মো. রাসেলুজ্জামান সিম, মঞ্জুরুল ইসলাম সনি, আবদুল কাদের, মো. আশিকুর রশিদ মোল্লা, মো. আশিকুর আজাদ আশিক, মো. এমদাদুল হক, মো. রাসেল খান, মো. এমরান হোসেন (দপ্তরে সংযুক্ত), জিএম সালেহ (জেমস), মিজানুর রহমান, মো. আবু সালেহ স্নেহ, সোহেল রানা, মো. আসাদুল ইসলাম নিশান, মো. সামিউল ইসলাম পারভেজ, তৌফিক ওমর সজল, মো. মেহেদী হাসান, মো. সৌরভ খান, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. গোলাম রব্বানী এবং মো. সোহেল রানা।

নতুন এ কমিটির মাধ্যমে সংগঠনের কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

Header Ad
Header Ad

কৃষি সচিবের সঙ্গে বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি, বাকৃবিতে ফের রেলপথ অবরোধ

রেলপথ অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

কৃষিবিদদের অধিকার রক্ষা ও পেশাগত বৈষম্য দূরীকরণে উত্থাপিত ছয় দফা দাবির বাস্তবায়ন না হওয়ায় ফের আন্দোলনে নেমেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা। কৃষি সচিবের সঙ্গে বৈঠক ফলপ্রসূ না হওয়ায় মঙ্গলবার (১৩ মে) সন্ধ্যায় ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থীরা।

সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে জব্বারের মোড়ে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা রেললাইন অবরোধ শুরু করেন। তবে এতে কোনো ট্রেন আটকে না পড়লেও সাময়িক সময়ের জন্য রেল যোগাযোগ ব্যাহত হয়। আন্দোলনে অংশ নেন কয়েকশ শিক্ষার্থী, যারা ‘তুমি কে আমি কে – কৃষিবিদ কৃষিবিদ’, ‘কৃষিবিদের একশন – ডাইরেক্ট একশন’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

রাত ৮টা ৫০ মিনিটে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম প্রিন্স এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুরোধে শিক্ষার্থীরা অবরোধ প্রত্যাহার করেন, ফলে রেলপথে চলাচল স্বাভাবিক হয়।

বাকৃবির কৃষি অনুষদের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ওয়াসিম আকরাম বলেন, “এ দেশে ডিপ্লোমা পাস করলেই কেউ ইঞ্জিনিয়ার, নার্স ডাক্তার, আর কৃষি ডিপ্লোমাধারীও নিজেকে কৃষিবিদ দাবি করে। আমরা এই পেশাগত অনিয়ম ও অপমানের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি। দাবি না মানলে দেশের সব কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণাঙ্গ শাটডাউনের দিকে যাব।”

এর আগে, ‘কৃষিবিদ ঐক্য পরিষদ’ নামে একটি প্রতিনিধিদল কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ানের সঙ্গে বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বৈঠক করেন। বৈঠকে অংশ নেওয়া বাকৃবির শিক্ষার্থী ও সংগঠক নাজমুল আলম বলেন, “আলোচনা মোটেও ফলপ্রসূ হয়নি। আমরা সচিব বরাবর স্মারকলিপি জমা দিয়েছি। তিনি পরামর্শ দিয়েছেন কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি)-এর সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে দাবি উত্থাপন করলে আলোচনা এগোতে পারে।”

শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবি-
১. কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই), বিএডিসিসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে ১০ম গ্রেডের পদগুলো কৃষিবিদদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।
২. কৃষি অফিসে ৯ম গ্রেডসহ অন্যান্য উচ্চ পদে নিয়মিত পদোন্নতি ও পুনর্বিবেচনা নিশ্চিত করতে হবে।
৩. শুধুমাত্র নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ৯ম গ্রেডে উন্নীত করার সুযোগ থাকতে হবে; বিএডিসি কোটা বাতিলের দাবি।
৪. ডিপ্লোমাধারীদের জন্য আলাদা কোনো কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা যাবে না।
৫. শুধুমাত্র কৃষি বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীরাই “কৃষিবিদ” পদবি ব্যবহার করতে পারবেন; সরকারি প্রজ্ঞাপন চাই।
৬. কৃষি ডিপ্লোমা বা কারিগরি শিক্ষাকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতায় রাখতে হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
নওগাঁ জেলা যুবদলের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন
কৃষি সচিবের সঙ্গে বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি, বাকৃবিতে ফের রেলপথ অবরোধ
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে আবারও বন্দুকযুদ্ধ, নিহত ৩
জাপান যেতে আগ্রহীদের জন্য সুখবর, জেনেন নিন খুঁটিনাটি
জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জুলাই ঐক্যের
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় উদ্বিগ্ন ভারত, দ্রুত নির্বাচনের তাগিদ
খাদ্য অধিদপ্তরে ১৭৯১ পদে বিশাল নিয়োগ, আবেদন অনলাইনে
চুয়াডাঙ্গায় ভুট্টাখেত থেকে নিখোঁজ যুবকের মরদেহ উদ্ধার
চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’, বাংলাদেশে আঘাত হানবে কবে?
ভারতের পেট্রাপোলে বিজিবি-বিএসএফের সীমান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত
এনবিআর বিলুপ্ত প্রসঙ্গে যা জানালেন অর্থ উপদেষ্টা
বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের ধাওয়া, দৌড়ে গারদে আশ্রয় নিলেন মমতাজ
দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে বিএনপির ২ নেতা বহিষ্কার
ব্রাজিল কোচ হিসেবে বছরে ১২১ কোটি টাকা বেতন, প্রাইভেট জেট পাচ্ছেন আনচেলত্তি
পাকিস্তান-বাংলাদেশ সিরিজের নতুন সূচি প্রকাশ
যশোরের শার্শায় ৩০ মামলার আসামি আইনাল গ্রেফতার
রমনা বোমা হামলা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন, ৯ জনের ১০ বছরের কারাদণ্ড
সাবিলা নূরকে নায়িকা মনে হয় না: মারিয়া মিম
জুলাইয়ে বাংলাদেশে হত‍্যাযজ্ঞ হয়েছে, জেনোসাইড হয়নি: চিফ প্রসিকিউটর (ভিডিও)