আজ বিশ্ব গাধা দিবস, উদযাপন করবেন যেভাবে

ছবি: সংগৃহীত
‘গাধা’ শব্দটি হরহামেশাই ব্যবহার হয় মানুষের ক্ষেত্রেও। কেউ একটু বোকামি করলেই তাকে গাধার সঙ্গে তুলনা করতে ছাড়েন না অন্যরা। এমনকি যারা খুব বেশি পরিশ্রম করেন তাদের কাজকে অনেকেই বলেন গাধার খাটুনি খাটছে লোকটা।
এ থেকেই বোঝা যায় এই প্রাণীটি কতটা পরিশ্রম করে মনিবের জন্য। এই পরিশ্রমী প্রাণীটিকে তাই তো উৎসর্গ করা হয়েছে গোটা একটি দিন। এই প্রাণীটিকে আজ ভালোবাসার দিন, সম্মান জানানোর দিন। আজ ৮ মে বিশ্ব গাধা দিবস।
২০১৮ সালে প্রথম এই দিবস পালিত হয়। এরপর থেকে প্রতি বছরের ৮ মে সার্বজনীনভাবে পালন করা হচ্ছে বিশ্ব গাধা দিবস। এই দিবসের শুরু করেন বিজ্ঞানী ও মরুভূমির প্রাণী গবেষক আর্ক রাজিক। তিনি একজন বিজ্ঞানী এবং মরুভূমির প্রাণী নিয়ে কাজ করেন। এক সময় তিনি বুঝতে পারেন গাধারা মানুষের জন্য যে পরিমাণ কাজ করে, সেই পরিমাণ স্বীকৃতি পাচ্ছে না। এজন্য তিনি একটি ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করেন। তারপর সেখানে গাধাবিষয়ক বিভিন্ন তথ্য প্রচার করতে শুরু করেন।
বিশ্ব গাধা দিবস উদযাপন করার মাধ্যমে পশুর প্রতি যত্নশীল হওয়ার গুরুত্ব সম্পর্কেও সচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়ে থাকে। এই বিস্ময়কর প্রাণীটি যেন আমাদের গ্রহে বহু বছর ধরে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, সেটি নিশ্চিত করতে আমাদের সচেতন করে তোলে এ দিবস। বিশ্ব গাধা দিবস আমাদের এই প্রাণীটির বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য নিয়ে গবেষণা করতে উৎসাহিত করে। গাধার বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে একটি হলো তাদের বড় কান রয়েছে, যার মাধ্যমে তারা দূর থেকে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। এই দিনটি উদযাপন করে মানুষ গাধার বিভিন্ন আকর্ষণীয় তথ্য জানতে পারে।
বিশ্ব গাধা দিবস উদযাপনের অনেক উপায় রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি আকর্ষণীয় উপায় রয়েছে, যেগুলো আপনি দিনটি উদযাপনে চেষ্টা করতে পারেন। সেগুলো হলো—
একটি উপায় হলো গাধার ইতিহাস এবং আমাদের সমাজে এর ভূমিকা সম্পর্কে আরও জানা। এই শক্তিশালী প্রাণী সম্পর্কে কিছু গবেষণা করতে পারেন। গাধা সম্পর্কে জানতে বিভিন্ন বই পড়তে পারেন অথবা ইন্টারনেট ব্রাউজিং করেও জানতে পারেন বহু চমকপ্রদ তথ্য।
উদযাপনের আরেকটি উপায় হলো গাধায় চড়া। বহু বছর আগে গাধা ছিল পরিবহণের একটি উপযোগী মাধ্যম। এটি গাধায় ধীর যাত্রার অভিজ্ঞতা এবং তাদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আরও জানতে সাহায্য করবে।
এ ছাড়া গাধার তত্ত্বাবধানকারী দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দান করতে পারেন, যা এই বিস্ময়কর প্রাণীটির যত্নে সহায়তা করে। অনেক সংস্থা ও এনজিও গাধার খাদ্য ও পরিচর্যা করে থাকে। তাদের অর্থ সাহায্যের প্রয়োজন হয়। আপনার দান করা অর্থ প্রাণিটিকে আরও যত্নে রাখতে পারে।
