মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪ | ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ১১

বিষাদ বসুধা

ঘুমের ঘোরে স্বপ্ন দেখে মোহিনী হঠাৎ বিছানা থেকে লাফিয়ে ওঠেন। ভয়ঙ্কর এক স্বপ্ন। এ রকম স্বপ্ন তিনি আগে কখনো দেখেননি। তিনি স্বপ্নে দেখেন, আজব ধরনের একটি প্রাণী পৃথিবীকে গ্রাস করছে। চন্দ্রগ্রহণ সূর্যগ্রহণ যেমনিভাবে হয় ঠিক সে রকমভাবেই পৃথিবী নামক গ্রহটি আজব প্রাণীর পেটে চলে যাচ্ছে। এই দৃশ্য দেখার পর ভয়ে আতঙ্কে তিনি থরথর করে কাঁপছেন। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে ঘুমানোর পরও তার শরীর ঘামে চুপচুপে হয়ে গেছে। মুখাবয়বে ছোপ ছোপ ঘাম জমেছে।

সকালে চা দিতে এসে রহিমাবিবি থমকে দাঁড়ায়। সে মোহিনীর দিকে এক দৃষ্টে তাকিয়ে থাকে। তারপর বিস্ময়ের সঙ্গে বলে, কি হএচে আপামণি। আপনের কি হএচে? আপনেরে এই রকম বিধ্বস্ত লাগতেছে কেন আপামণি?

মোহিনী কোনো কথা বলেন না। তিনি চুপচাপ বসে আছেন। রহিমাবিবি তার কাছে এগিয়ে যায়। নরম গলায় বলে, আপামণি আপনেরে এই রকম কেন লাগতেছে। ইহ! ঘরডা তো ঠান্ডা! আপনে এমন কইরা ঘামতেছেন কেন? আপামণি আমারে কন তো!
মোহিনীর দিকে তোয়ালে এগিয়ে দিয়ে রহিমাবিবি বলে, মুখটা মোছেন আপামণি। চা নেন।
মোহিনীর মুখে কোনো কথা নেই। তিনি যেন একটা ঘোরের মধ্যে আছেন। স্বপ্নের ঘোর। ঘোরটা কিছুতেই কাটছে না। তিনি যতই ঘোর কাটানোর চেষ্টা করছেন ততই যেন ঘোরের অতলে তলিয়ে যাচ্ছেন। রহিমাবিবি খালা খালা বলে ডাকতে ডাকতে ভেতরের কক্ষের দিকে এগিয়ে যায়। মনোয়ারা বেগম কোনো একটা কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। তিনি রহিমাবিবির চিৎকার শুনে বিস্ময়ের সঙ্গে বলেন, কি রে রহিমা! কি হয়েছে? এমন করে ডাকছিস কেন?
খালামণি, আপামণির কি জানি হইচে। আপামণি কেমন জানি করতেছে।
সে কী! কি হয়েছে?
জানি না। তাড়াতাড়ি আপনে গিয়া দেহেন খালামণি।
আনোয়ারা বেগম দৌড়ে মেয়ের কক্ষের দিকে এগিয়ে যান। তার সঙ্গে রহিমাবিবিও দৌড়ায়। মোহিনী তখনো স্থির। তিনি একটুও নড়াচড়া করছেন না। আনোয়ারা বেগম মেয়ের পাশে গিয়ে বসলেন। তার দুই কাঁধে হাত রাখলেন। তারপর নরম গলায় বললেন, মা, মা মোহিনী! কি হয়েছে মা?
মোহিনী ঘাড়টা একটু বাঁকা করে আনোয়ারা বেগমের দিকে তাকালেন। আনোয়ারা বেগম মোহিনীর হাত থেকে তোয়ালে নিয়ে তার মুখ মুছে দিতে দিতে বললেন, কক্ষটা তো বেশ ঠান্ডা। তারপরও তুই ঘামছিস মা! ঘটনা কি! তোর শরীর খারাপ নাকি?
আনোয়ারা বেগম কপালে, চোয়ালের নীচে হাত দিয়ে বোঝার চেষ্টা করেন। শরীর স্বাভাবিক না অস্বাভাবিক! তার কাছে অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে না। তিনি বললেন, ঠিকই তো আছে। কি হয়েছে মা? বল তো আমাকে?
মোহিনী কোনো কথা বলছেন না। তিনি কী যেন ভাবছেন। তাকে স্বাভাবিক করার জন্য আনোয়ারা বেগম ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তিনি মগ থেকে কাপে চা ঢেলে মেয়ের হাতে দিয়ে বলেন, নে চা নে মা। স্বাভাবিক হ তো! দেখি, আমার দিকে ফিরে বস।
মোহিনী আনোয়ারা বেগমের দিকে ফিরে বসেন। তারপর চায়ের কাপ হাতে নেন। আনোয়ারা বেগম চা খাওয়ার জন্য বলেন। মোহিনী চায়ে চুমুক দেন। আনোয়ারা বেগম তৃপ্তির নিঃশ্বাস ছাড়েন। রহিমাবিবির দিকে তাকিয়ে বলেন, তুই যা। তাড়াতাড়ি নাশতা তৈরি কর। তোর আপা খাবে।
রহিমাবিবি চলে যায়। আনোয়ারা বেগম মেয়ের দিকে তাকিয়ে বলেন, এবার বল, কি হয়েছে তোর?
ধরা গলায় মোহিনী বললেন, আমি একটা খুব বাজে স্বপ্ন দেখেছি মা।
বাজে স্বপ্ন! বলিস কি! কি দেখেছিস বলবি আমাকে?
মা, আমি দেখি একটা অদ্ভুত প্রাণী পৃথিবীটাকে গিলে খাচ্ছে। ঠিক চাঁদ সূর্যের যেমন গ্রহণ লাগে তেমনি। প্রাণীটা পৃথিবীকে গিলছে আর সবকিছু ঘোর অন্ধকারে ঢেকে যাচ্ছে।
বলিস কী রে!
হ্যাঁ মা। এই স্বপ্নটা দেখে আমার এমন ঘোর লাগছে! আমি কিছুতেই আর ঘোর কাটাতে পারছি না।
আমার মনে হয়, এটা কোনো সতর্কবার্তা। গভীর কোনো সংকট আমাদের সামনে আসছে। করোনা আমাদেরকে বড় ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে ঠেলে দিতে পারে।
আমারও ঠিক এ কথাটাই মনে আসছে মা। কিন্তু ভীষণ একটা ভয় মনের মধ্যে ঢুকেছে। আমরা কি সত্যিই শেষ সময়ের দিকে এসে গেছি! মানে, পৃথিবীর আয়ুস্কাল কি ফুরিয়ে এসেছে?
হতে পারে। নানা ধরনের আলামত দেখা যাচ্ছে। তুই ওঠ মা। আজ অফিসে যাবি না?
আজ ভালো লাগছে না।
আচ্ছা ঠিক আছে। তুই বরং গোসল-টোসল করে আয়। আমরা একসঙ্গে নাশতা করি।
যাচ্ছি মা।
যাচ্ছি না। এখনই ওঠ মা। গোসল করে আয়। দেখবি ফ্রেশ লাগছে।
আমিও তাই ভাবছি। ভালো করে গোসল করে আসি।
তাহলে আর দেরি করিস না মা। অনেক বেলা হয়েছে। ওঠ।
তুমি যাও। আমি উঠছি।
আনোয়ারা বেগম চলে গেলেন। মোহিনী অলস ভঙ্গিতে বিছানা থেকে ওঠেন। একপা দুইপা করে বাথরুমের দিকে এগিয়ে যান। ওঠার সময় তিনি হাত পায়ে ব্যথা অনুভব করেন। শরীরের কোনো কোনো জায়গায় ব্যথা টের পান তিনি। মনে মনে বলেন, রাতে কি জ¦র হয়েছিল নাকি? এমন ব্যথা লাগছে কেন? হাঁটতে গিয়েও হাঁটু কেমন ভেঙে আসছে। মনটা আবার খারাপ হয় তার। তিনি আবার বিছানার কাছে ফিরে যান। সাবধানে বিছানার ওপর বসেন। হাতপা নাড়াচাড়া করেন। মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করেন। এরমধ্যে আনোয়ারা বেগম মোহিনী মোহিনী বলে ডাক দেন। তার ডাক মোহিনীর কানে আসে। কিন্তু তিনি কোনো জবাব দিচ্ছেন না। জবাব দিতে ইচ্ছাই করছে না। এখন তার মাথাটা ঝিমঝিম করছে। শরীরটা আরাম চাচ্ছে। তিনি যে বাথরুম পর্যন্ত যাবেন সেই শক্তিও যেন তার শরীরে নেই। আসলে শরীর সায় না দিলে কোনো কিছুই ভালো লাগে না। মোহিনী এবার আড়াআড়িভাবে বিছানায় শুয়ে পড়লেন। শোয়া মাত্রই তার চোখে রাজ্যের ঘুম চলে এলো।
আনোয়ারা বেগম নাশতা রেডি করে মোহিনীকে ডাকেন। মেয়ের সঙ্গে একত্রে নাশতা করবেন। রহিমাবিবিকে ডেকে বললেন, দেখ তো তোর আপামণির কি হলো?
রহিমাবিবি আবার মোহিনীর কক্ষে এলো। তাকে শুয়ে থাকতে দেখে চিৎকার দিয়ে আনোয়ারা বেগমকে ডাকে। খালামণি, খালামণি!
আনোয়ারা বেগম পায়ে পায়ে ছুটে আসেন মোহিনীর কক্ষের দিকে। কাছাকাছি এসে বিস্ময়ের সঙ্গে বলেন, কি হয়েছে! কি হয়েছে রহিমা!
আপামণি আবার ঘুমাই পড়ছে।
আনোয়ার বেগম থ। তিনি ঠায় দাঁড়িয়ে আছেন। কিছুক্ষণ স্থির দৃষ্টিতে মেয়ের দিকে তাকিয়ে রইলেন। তারপর বললেন, থাক। ঘুমাক। চল আমরা যাই।
আনোয়ারা বেগম খাবার ঘরের দিকে পা বাড়ালেন। তার পেছনে পেছনে এগিয়ে যায় রহিমাবিবি।

টিভির সামনে বসে আছেন মোহিনী। তিনি খবর দেখার জন্য অপেক্ষা করছেন। আনোয়ারা বেগম তার পাশে বসে আছেন। রহিমাবিবি তাদের দুজনের সামনে কফি দিয়েছে। কফির ঘ্রাণটা নাকের ভেতরে এক ধরনের সুড়সুড়ি দিচ্ছে। কফি শপের চেয়েও রহিমার হাতের কফি অনেক বেশি মজার। মোহিনী তাকে এই সার্টিফিকেট দিতে রাজি। তিনি বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে পারলেন না। কফির মগটা হাতে নিয়ে চুমুক দিলেন। রহিমাবিবি মোহিনীর দিকে বিপুল বিস্ময়ে তাকিয়ে রইল। আপমণির একটা মন্তব্য শোনার অপেক্ষা করছেন তিনি। সেই মন্তব্যটুকুই তার কাছে হাজার টাকার পুরস্কার। এরমধ্যে খবর শুরু হয়েছে। মোহিনী, আনোয়ারা বেগম উভয়েরই গভীর মনোযোগ খবরের দিকে। শুরুতেই করোনা ভাইরাসের খবর। দেশে গত চব্বিশ ঘণ্টায় নভেল করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত হয়েছেন তিন হাজার সাতশ’ পঁচাত্তর জন। মারা গেছেন একান্ন জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে দেশের বিভিন্ন স্থানে করোনা ভাইরাসের লক্ষণ নিয়ে মারা গেছে আরো এগারো জন। বিশ্বে প্রতি মিনিটে দশ জন মারা যাচ্ছে করোনায় আক্রান্ত হয়ে। এরমধ্যেই বিশ্বের ২০১ টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে করোনা। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। এক লাখ পঁচাত্তর হাজার ছয়শ’ উনসত্তর জন্য আক্রান্ত হয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইতালি। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ পাঁচ হাজার সাতশ’ বিরানব্বই জন। ইতালির পর স্পেনের অবস্থান। সেখানে আক্রান্ত হয়েছে চৌরানব্বই হাজার চারশ’ সতেরো জন। এশিয়া অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে ইরানে। করোনার উৎপত্তি স্থল চীন আছে দ্বিতীয় অবস্থানে। বাংলাদেশে দ্রুত করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। মাস্ক ব্যবহারের জন্য সরকারি তরফ থেকে বার বার নির্দেশনা জারি করা হলেও অনেকেই তা মানছেন না।
খবর শেষ হওয়ার আগেই রহিমাবিবি বলল, আপামণি আমার কফি কেমন হইচে কইলেন না?
ওহ! সেটা শোনার জন্য তুই বসে আছিস? আমি তো ভাবলাম, তুই খবর শুনছিস!
আনোয়ারা বেগম তাচ্ছিল্যের ভঙ্গিতে বললেন, ও শুনবে খবর! ও ওর কফির প্রশংসা শোনার জন্য বসে আছে।
ওহ! তোর কফি সত্যিই খুব ভালো হয়েছে। কফি শপ তোর কাছে ফেল।
মোহিনীর মুখে প্রশংসা শুনে রহিমাবিবির মুখে হাসি ফোটে। সে আনন্দে লাফিয়ে ওঠে। পারলে সে তার আপামণিকে জড়িয়ে ধরে। এই আনন্দটুকুই হয়তো তার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।

চলবে...

বিষাদ বসুধা: পর্ব ১০

বিষাদ বসুধা: পর্ব ৯

বিষাদ বসুধা: পর্ব ৮

বিষাদ বসুধা: পর্ব ৭

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৬

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৫

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৪

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৩

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২

বিষাদ বসুধা: পর্ব-১

Header Ad

৩ দিনেই স্টার সিনেপ্লেক্স থেকে নামিয়ে দেওয়া হল 'ডেডবডি'

'ডেডবডি’ সিনেমার পোস্টার। ছবি: সংগৃহীত

পরিকল্পনা ছিল পবিত্র ঈদুল ফিতরে মুক্তি দেওয়ার। ‘ডেডবডি’ সিনেমার পরিচালক মোহাম্মদ ইকবাল প্রচারণাও চালাচ্ছিলেন সেভাবে। এর মধ্যে তিনি জানতে পারেন, ঈদে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ১১টি সিনেমা। সিদ্ধান্ত বদলে ফেললেন এ নির্মাতা। মুক্তি দিলেন না ঈদে। কিন্তু শেষমেশ তা পিছিয়ে মুক্তি পায় গেল ৩ মে (শুক্রবার)।

তবে সিনেমাটি দর্শক টানতে পারেনি। দর্শক টানতে ব্যর্থ হওয়ার সিঙ্গেল স্ক্রিনের পাশাপাশি দেশের সর্ববৃহৎ সিনেমা চেইন স্টার সিনেপ্লেক্স থেকেও নামিয়ে ফেলা হয়েছে ‘ডেডবডি’।

শুক্রবার মুক্তি পেলেও দর্শক খরায় স্টার সিনেপ্লেক্স থেকে সিনেমাটির রবিবারের পর আর কোনো শো রাখা হয়নি। যদিও সিনেমাটি নিয়ে আশাবাদী ছিলেন পরিচালক ও প্রযোজক এমডি ইকবাল। মুক্তির আগে প্রচারণায় তাকে বলতে শোনা গেছে, ‘ডেডবডি’ দর্শক না দেখে এবং খারাপ বলে তবে তিনি আর সিনেমা বানাবেন না!

'ডেডবডি’ সিনেমার পোস্টার। ছবি: সংগৃহীত

স্টার সিনেপ্লক্স থেকে নামিয়ে দেওয়ার বিষয় নিশ্চিত করে প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র মার্কেটিং ম্যানেজার মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা সনি স্কয়ারে দুটি শো রেখেছিলাম। কিন্তু কোনোভাবেই দর্শক ছবিটিকে গ্রহণ করেনি। তাই আমরা তিন দিন পর সিনেমাটি নামিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছি।

হরর-অ্যাকশন ধাঁচের 'ডেডবডি' ছবিটিতে অভিনয় করেছেন ওমর সানী, জিয়াউল রোশান, শ্যামল মাওলা ও ভারতীয় মডেল অন্বেষা রায় প্রমুখ।

গরমে আনারস খাওয়ার উপকারিতা

ছবি: সংগৃহীত

গরমে আনারস খেয়েই আপনি পেতে পারেন কয়েক রকম পুষ্টিগুণ। প্রতিদিন যদি ১ কাপ আনারস খান তাহলেই দূরে করা যাবে গরম-ঠান্ডার জ্বর, জ্বর-জ্বর ভাবসহ নানা সমস্যা। জেনে নেয়া যাক- আনারসের কিছু গুণাগুণ।

পুষ্টিগুণ: থিয়ামিন, রাইব্ফ্লোাভিন, ভিটামিন বি-৬, ফোলেট, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও বিটা ক্যারোটিনের মতো পলিফেনল থাকায় আনারস খুবই পুষ্টিকর।

ভিটামিন সি: সাধারণ ভাবে আমরা মনে করি ভিটামিন সি-র সবচেয়ে বড় উৎস কমলালেবু। কিন্তু সেই কাজ অনায়াসে করে ফেলতে পারে আনারস।

বয়সজনিত সমস্যা: প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকার দরুণ আনারস বয়সজনিত সমস্যা দূরে রাখতে সাহায্য করে।

বদহজম: বদহজমের সমস্যা থাকলে রোজ আনারস খেলে রেহাই পেতে পারেন। এর মধ্যে থাকা ব্রোমেলিন উৎেসচক প্রোটিন ভেঙে বদহজম রুখতে ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

অ্যাস্থমা: আনারসে থাকা বিটা ক্যারোটিন অ্যাস্থমার সমস্যা দূরে রাখতে সাহায্য করে।

প্রজনন ক্ষমতা: যদি সন্তান ধারণের পরিকল্পনা থাকে তাহেল ডায়েটে রাখুন আনারস। এর মধ্যে থাকা ভিটামিন সি, বিটা ক্যারোটিন, জিঙ্ক, কপার, ফোলেট পুরুষ ও মহিলা উভয়েরই প্রজনন ক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: আনারসে থাকা ব্রোমেলিন উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। অ্যাসপিরিনের বিকল্প হিসেবেও কাজ করে আনারস।

ত্বক: আনারসের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও ভিটামিন সি রক্তের ফ্রি র‌্যাডিক্যালস কমিয়ে ত্বকের ক্ষয় রুখতে সাহায্য করে। তেমনই ভিটামিন সি ত্বকে কোলাজেন তৈরি করে ইলাসটিসিটি বজায় রাখে।

প্রদাহ: অষ্টদশ শতকে আঘাত ও অস্ত্রপচারের ক্ষত সারাতে আনারস ব্যবহার করা হত। শরীরের প্রদাহ কমানোর গুণ থাকার কারণে আঘাত, মচকে যাওয়া কমাতে সাহায্য করে আনারস।

ওজন: আনারসের মধ্যে থাকা ব্রোমেলিনে প্রচুর পরিমাণ ডায়েটারি ফাইবার থাকে। যা হজমে সাহায্য করে। ওজন কমাতে চাইলে আনরসের স্মুদি বা ফ্রুট স্যালাড, ব্রেকফাস্ট বা ডেজার্ট হিসেবে খেতে পারেন।

দেশে যানবাহনের নতুন স্পিড লিমিট, মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতি ৬০ কিলোমিটার

ছবি: সংগৃহীত

দেশে যানবাহনের নতুন স্পিড লিমিট প্রকাশ করেছে সরকার। এতে মোটরসাইকেলের গতি এক্সপ্রেসওয়েতে ৬০ কিলোমিটার ও মহাসড়কে সর্বোচ্চ ৫০ কিলোমিটার গতিসীমা বেধেঁ দেয়া হয়েছে। আর সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা এলাকায় মোটরসাইকেল চলতে পারবে সর্বোচ্চ ৩০ কিলোমিটারে।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় মোটরযাানের গতিসীমা নির্দেশিকা ২০১৪ -নামে বিভিন্ন যানবাহনের সর্বোচ্চ স্পিড লিমিট নতুন করে প্রকাশ করেছে।

নির্দেশিকা অনুযায়ী, দেশের এক্সপ্রেসওয়ে সড়কে মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতিসীমা আগের ৮০ কিালোমিটার থেকে নামিয়ে ৬০ নির্ধারণ করা হয়েছে। জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে মোটরসাইকেল এখন থেকে সর্বোচ্চ ৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারবে। মিনি ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও মালবাহী গাড়ির গতিসীমা সর্বোচ্চ ৫০ কিলোমিটারে নামিয়ে দেয়া হয়েছে। আর বাস-মিনিবাস, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কার সর্বোচ্চ ৮০ কিালোমিটার গতিতে চলতে পারবে।

গত ৫ মে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো জহিরুল ইসলাম সাক্ষরিত এই ‘মোটরযান গতিসীমা নির্দেশিকা ২০১৪’ প্রকাশ করা হয়।

সর্বশেষ সংবাদ

৩ দিনেই স্টার সিনেপ্লেক্স থেকে নামিয়ে দেওয়া হল 'ডেডবডি'
গরমে আনারস খাওয়ার উপকারিতা
দেশে যানবাহনের নতুন স্পিড লিমিট, মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতি ৬০ কিলোমিটার
১৪১ উপজেলায় বুধবার সাধারণ ছুটি
খাবারের প্যাকেটে সাংবাদিকদের টাকা দিল ন্যাশনাল ব্যাংক
ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ ১০ মে
নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার বড় সমস্যা না : সিইসি
যেভাবে জানা যাবে এসএসসি ও সমমানের ফল
বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে কভার্ডভ্যান-ট্রাক সংঘর্ষে একজন নিহত, যান চলাচল স্বাভাবিক
স্বাভাবিক রুটিনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু
উপজেলা নির্বাচনে ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
৮০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা, দুই নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত
হজ ভিসায় সৌদি আরবের নতুন নিয়ম
অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ভয়ংকর ত্রুটির খোঁজ, নিরাপত্তাঝুঁকিতে শতকোটি ব্যবহারকারী
গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত হামাস
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এবারও বিএনপিকে দাওয়াত করা হবে: ওবায়দুল কাদের
গোবিন্দগঞ্জে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন বিসিক উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ সমাপনী
দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে আরও ৩ জনকে বহিষ্কার করল বিএনপি
আপাতত চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই: জনপ্রশাসনমন্ত্রী
ঝিনাইদহ-১ উপনির্বাচন স্থগিত