শনিবার, ১৮ মে ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান

কোমলতা আর করুণার যে তরঙ্গ তাৎক্ষণিকভাবে তার হৃদয় ভরে দিয়েছে সে তরঙ্গ যে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া বাবার স্মৃতির প্রতি ছেলেকে টেনে আনার মতো আত্মার তাড়না, তা বলা যাবে না। এ তরঙ্গ হলো অন্যায়ভাবে নিহত একজন সন্তানের প্রতি বয়সী একজন মানুষের তরফ থেকে সমবেদনা। এখানে কিছু একটা আছে যেটা স্বাভাবিকতার ক্রমকে মানে না। সত্যি বলতে কী, এখানে আসলে বিন্যাসের আদৌ কোনো ক্রমই নেই। বরং এখানে রয়েছে পাগলামি আর বিশৃঙ্খলা: বাবার চেয়ে ছেলের বয়স বেশি। তার চারপাশে সময়ের আবর্তন ভেঙে যাচ্ছে। তবে কবরের ফলকগুলো আর তার বাহ্য দৃষ্টিতে নেই; এগুলোর মাঝখানে দাঁড়িয়ে সে নিজে অনড়। আর যে নদী শেষ প্রান্তের দিকে এগিয়ে চলেছে তার মধ্যে বছরগুলো নিজস্ব স্থানে নেই। বছরগুলো যেন ঢেউ, তট এবং জলাবর্তের বেশি কিছু নয়। এই জলাবর্তের মাঝখানে দাঁড়িয়ে জ্যাক নিদারুণ যাতনা আর করুণার কবলে সংগ্রাম করে যাচ্ছে। আশপাশের আরও কয়েকটা কবর ফলকের দিকে দৃষ্টি ফেলে জ্যাক বুঝতে পারল, এখানে ছড়িয়ে আছে যে বালকেরা তারা বেদনাক্লিষ্ট প্রাপ্তবয়স্কদের বাবা। এই প্রাপ্তবয়স্করা মনে করে, এই বর্তমান সময়ে তারা জীবিত আছে। জ্যাক যেমন নিজেই বিশ্বাস করে, সে এই সময়ে জীবিত আছে; সে নিজেই নিজেকে এই অবস্থায় তৈরি করেছে; নিজের শক্তি এবং ওজস্বিতা সম্পর্কে তার পরিষ্কার ধারণা আছে; নিজের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা তার আছে এবং নিজেকে আয়ত্বের মধ্যে রাখতে সক্ষম সে। কিন্তু এই মুহূর্তের এই অদ্ভূত বিবমিষায় দেখতে, পাচ্ছে প্রত্যেকটা মানুষ একটা করে প্রতিমূর্তি তৈরি করে, বছরগুলোর আগুনের মধ্যে কাঠিন্য তৈরি করে, তার মধ্যে সে নিজেই প্রবেশ করে সেটার পতনের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। এখন সে দেখতে পাচ্ছে, সেই প্রতিমূর্তি ভেঙে যাচ্ছে, ধসে পড়ছে। অবশিষ্ট আছে শুধু এই যাতনাক্লিষ্ট হৃদয়; চল্লিশ বছর ধরে তার নিজের সঙ্গে রয়ে গেছে পৃথিবীর যে ভয়ঙ্কর বিন্যাস তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বেঁচে থাকতে ব্যাকূল এই হৃদয়। সমগ্র জীবনের গোপনীয়তা থেকে তাকে যে দেয়াল আড়াল করে রেখেছে সেই দেয়ালের বিরুদ্ধে চলছে হৃদয়ের সংগ্রাম। আরো দূরে যেতে, সীমানার বাইরে যেতে, আবিষ্কার করতে, মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত শেষ বারের মতো এক সেকেন্ডের জন্য এবং চিরকালের জন্য নিজের অস্তিত্ব আবিষ্কার করতে ব্যাকুল এই হৃদয়।

নিজের জীবনের দিকে দৃষ্টি ফেরায় জ্যাক: তার এই জীবন বোকামিপূর্ণ, সাহসী, কাপুরুষসুলভ এবং স্বেচ্ছাচারী। যে গন্তব্য সম্পর্কে সে কিছুই জানে না সেই গন্তেব্যের দিকেই সব সময় ধাবিত হয়েছে তার জীবন। সে জীবন শেষ-অতীতের জীবন; তাকে ওই জীবন দানকারী সেই মানুষটি তাকে ওই জীবন দান করার পরই চলে গেছেন সমুদ্রের অন্য পারে; বিদেশ বিভূইয়ে তার মৃত্যু হয়েছে-সেই অতীত জীবনে আসলে সে কল্পনায় আনার চেষ্টাই করেনি ওই মানুষটির পরিচয়। উনত্রিশ বছর বয়সে সেই মানূষটিও কি পলকা, পীড়িত, চাপা, একগুঁয়ে, ইন্দ্রিয়-পরবশ, স্বপ্নবাজ, নৈরাশ্যবাদী এবং সাহসী ছিলেন না? হ্যাঁ, অবশ্যই। এরকম সব বৈশিষ্ট্যই তার ছিল। আরও বেশি যা কিছু তার ছিল সেগুলো হলো, তিনি তখন ছিলেন জীবিত, তিনি ছিলেন একজন ব্যক্তি মানুষ। যেখানে তার জন্ম সেখানে ওই মানুষটি জীবিত অবস্থায় ঘুমিয়েছেন; একজন অচেনা মানুষের মতো চলে গেছেন। তার সম্পর্কে জ্যাকের মা তাকে জানিয়েছেন, তিনি দেখতে জ্যাকের মতোই এবং তিনি যুদ্ধের ময়দানে মারা গেছেন। যে রহস্য জ্যাক বইপত্রের মধ্যে, মানুষের মাঝে ব্যাকুল হয়ে অনুসন্ধান করেছে সে রহস্য এখন মনে হচ্ছে খুব নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে এই মৃত মানুষটির সঙ্গে, এই অল্প বয়সী বাবার মধ্যে। তার অস্তিত্বের চারপাশে, তার নিজের বেড়ে ওঠার মধ্যে সেই রহস্যের অবস্থান। আর এখন মনে হচ্ছে, সময়ের মধ্যে এবং রক্তের মধ্যে যে জিনিসটি খুব নিবিড়ভাবেই ছিল সেটাকে খুঁজতে সে বহু বহু দূর ঘুরে ফিরেছে। সত্যি বলতে গেলে, সে আসলে এই অনুসন্ধান প্রক্রিয়ায় কারও সাহায্য তেমন পায়নি। যে পরিবারে তার বেড়ে ওঠা সেখানে সবাই খুব কম কথা বলে। সেখানে কেউ পড়াশোনা জানে না। দুঃখী আর হতোদ্যম মায়ের ওই পরিবারে আর কে আছে? তার মা ছাড়া আর কেউ তাকে চিনতই না। মা ও তার অনেক কিছুই ভুলে গেছেন-এ ব্যাপারে জ্যাক নিশ্চিত। ওই মানুষটি অচেনা থেকেই মারা গেছেন। এই পৃথিবীতে তিনি অচেনা মানুষের মতোই বিচরণ করেছেন একজন ক্ষণস্থায়ী ব্যক্তি হয়ে। জ্যাকের নিজেরই দায়িত্ব ছিল তার সম্পর্কে নিজেকে জ্ঞাত করানো- তাতে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। কিন্তু জ্যাকের মতো ব্যক্তির কিছুই নেই, অথচ সে গোটা পৃথিবীকেই চায়। সে জানে, তার সর্বশক্তি দিয়ে নিজেকে তৈরি করা এবং পৃথিবীকে জয় করা কিংবা বুঝতে পারা তার জন্য যথেষ্ট নয়। মোটের ওপরে খুব দেরি হয়ে গেছে তাও নয়; এখনও অনুসন্ধান করতে পারে; এখনও জানার চেষ্টা করতে পারে এই মানুষটি সম্পর্কে। পৃথিবীতে আর যে কোনো মানুষের চেয়েই বেশি আপন মনে হচ্ছে এই মানুষটিকে। সে চেষ্টা করে যেতে পারে।

বিকেল শেষ হয়ে যাচ্ছে। স্কার্টের খসখস শব্দ, একটি কালো ছায়া তাকে এই কবরস্থান এবং চারপাশ ঘিরে থাকা ওই আকাশের বাস্তবতায় ফিরিয়ে আনে। তাকে এখন চলে যেতে হবে। এখানে আর কিছু করার নেই। কিন্তু এই নামটা থেকে, কবর ফলকে খোদাই করা ওই বছরগুলো থেকে কিছুতেই নড়তে পারে না জ্যাক। ওই বাঁধাই করা কবরের নিচে ছাই আর ধূলি ছাড়া আর কিছু নেই। কিন্তু তার মনে হয় বাবা আবার জীবিত হয়েছেন। বাবার জীবনটা একটা অদ্ভূত নীরবতার জীবন। জ্যাকের মনে হতে থাকে, সে আবারও বাবাকে ত্যাগ করে চলে যাবে বুঝি। বাবাকে পিছে ফেলে সে আগের মতোই আরেকটা রাতের অশেষ নিঃসঙ্গতার কাছে ফিরে যাবে। এই নিঃসঙ্গতার মাঝেই এতকাল তাকে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছে। সেখানেই সে একাকী পড়ে থেকেছে। শূণ্য আকাশে আকস্মিক বিকট প্রতিধ্বনি উঠছে: একটা অদৃশ্য উড়োজাহাজ বোধ হয় শব্দের সীমা অতিক্রম করে গেল। কবরের দিকে পেছন ফিরে জ্যাক করমারি তার বাবাকে ফেলে চলে যাচ্ছে।

(চলবে..)

 

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

 

 

 

Header Ad

মা হারালেন সংগীতশিল্পী মোনালি ঠাকুর

মা মিনতি ঠাকুরের সঙ্গে সংগীতশিল্পী মোনালি ঠাকুর। ছবি: সংগৃহীত

১৮ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মোনালি ঠাকুরের মা মিনতি ঠাকুর। মাতৃবিয়োগে এই মুহূর্তে ভেঙে পড়েছেন গায়িকা।

মোনালি ঠাকুরের মায়ের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তারই বড় বোন মেহুলি গোস্বামী ঠাকুর। শুক্রবার ( ১৭ মে) ফেসবুকে মায়ের একটি ছবি পোস্ট করে জানান চলে যাওয়ার বেদনা।

এদিন মোনালির বড় বোন মেহুলি ফেসবুকে লিখেছেন, “শেকল ছিঁড়ে গেছে… অবশেষে কষ্টের অবসান…। দুপুর ২টো বেজে দশ মিনিটে মা স্থির হয়ে গেছে।”

জানা গেছে, মোনালির মায় কিডনিজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। ডায়ালেসিস চলছিল তার। বৃহস্পতিবার মায়ের সঙ্গে ছোটবেলার ছবি দিয়ে স্মৃতিচারণ করেন তিনি। পাশপাশি, মায়ের যে ‘লাইফ সাপোর্ট’ খুলে নিতে বাধ্য হয়েছেন তা-ও জানান।

মোনালি লেখেন, ‘কঠিন পরিস্থিতিতে কীভাবে লড়াই করব মা... এই একাকিত্ব... এই যন্ত্রণা। বড্ড অসহায় লাগছে। কিন্তু এবার সময় এসে গিয়েছে এবং তাকে লাইফ সাপোর্ট থেকে বের করে নেওয়ার মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমাকে... এবং তৈরি হতে হবে... আমার মাকে শান্তি দাও ঈশ্বর... এবং আমাকে সাহায্য করো... এখন মাকে ছাড়া আমার জীবনটাই বা কীভাবে কল্পনা করব... আর নিজেকে ঠিক রাখতে পারছি না।’

এই পোস্টের চব্বিশ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই মাকে হারালেন মোনালি। ২০১৭ সালে সুইৎজারল্যান্ডের বাসিন্দা মাইক রিকটরকে বিয়ে করেন মোনালি। বিয়ের পর ওই দেশে ছিলেন যদিও। এ দেশে যাতায়াত রয়েছে তার শো, প্লে-ব্যাকের কারণে।

মালয়েশিয়ায় ২ লাখ টাকায় বিক্রি হওয়ার অভিজ্ঞতা জানালেন বাংলাদেশি শ্রমিক

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা থেকে আট মাস আগে মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন মান্নান মিয়া (ছদ্ম নাম)। তার সঙ্গে একই ফ্লাইটে একই কোম্পানির অধীনে দেশটিতে যান আরও ৩৫ জন। যাওয়ার আগে রিক্রুটিং এজেন্সির সঙ্গে তাদের চুক্তি হয়েছিল। যেখানে বেতন এবং চাকরিদাতা কোম্পানির নাম উল্লেখ করা হয়।

কিন্তু মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পর সেই চুক্তি আর কার্যকর হয়নি। বরং মান্নান মিয়ার দাবি, মাথাপিছু প্রায় দুই লাখ টাকা দরে তাদের প্রত্যেককে বিক্রি করে দেওয়া হয় ভিন্ন এক কোম্পানির কাছে। যেখানে কাজ দেওয়া হয় প্রতিশ্রুত বেতনের অর্ধেকেরও কমে। মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিয়ে করা বিবিসির একটি প্রতিবেদনে শ্রমিকদের বিক্রির বিষয়টি এভাবেই উঠে এসেছে।

মান্নান মিয়া বিবিসি বাংলাকে বলেন, আমাদের বেতন ছিল বাংলাদেশি টাকায় ২৫ হাজার টাকা। অথচ বেতন হওয়ার কথা পঞ্চাশ হাজারের বেশি। তিন মাসের মাথায় আমরা কোম্পানির সুপারভাইজারকে বললাম যে, আমাদের ওভারটাইম দেন। তো বেতন-ভাতার কথা তুলতেই সুপারভাইজার রড নিয়ে এসে বেধড়ক মারধর করছে আমাদের সবাইকে। প্রচুর মেরেছে। পরে বলেছে যে, মারধরের কথা বাইরে কেউ জানলে মেরে ফেলবে, দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেবে ইত্যাদি।

মান্নান মিয়াসহ ৭ জন পরে সেই কোম্পানি থেকে পালিয়ে ভিন্ন একটা কোম্পানিতে কাজ নেন। কিন্তু তাদের হাতে এখন কোনো কাজের বৈধ অনুমতিপত্র নেই। ফলে তারা দিন কাটাচ্ছেন পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের আতঙ্ক নিয়ে।

মালয়েশিয়াতে থাকা একজন বাংলাদেশি শ্রমিক কথা বলেছেন বিবিসির সঙ্গে। তিনি বলেন, আসলে এখানে কাজ নেই। কিন্তু সবাই শ্রমিক আনছে। যারা শ্রমিক নিয়ে আসার অনুমোদন পেয়েছে, বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার কোম্পানি, এদের কাছে এটা ব্যবসা। যে ৫০ জনের চাকরি দিতে পারবে সে আনছে সাতশত শ্রমিক। এটা কীভাবে সম্ভব? কীভাবে তারা অনুমোদন পাচ্ছে? কেন যাচাই হচ্ছে না তাদের সক্ষমতা? আসলে এখানে আমরা সবাই জিম্মি।

তিনি নিজেই চুক্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট কোম্পানিতে চাকরি পাননি। তাকে কাজ দেওয়া হয়েছে অন্য কোম্পানিতে। কিন্তু মালয়েশিয়ার আইনে এটি বৈধ না। ফলে তিনি এখন অবৈধ অবস্থাতেই একরকম ‘জিম্মি দশায়’ আছেন।

তিনি আরও বলেন, এখানে আসতে আমার খরচ হয়েছে প্রায় ৬ লাখ টাকা। এখন যেখানে আছি, সেখানে থাকলে টাকা জমানো তো দূরের কথা, পরিবারের খরচ দিয়ে বেঁচে থাকাই সম্ভব না। বাধ্য হয়েই এখান থেকে পালানো ছাড়া উপায় নেই। আর না পালালে শেষ উপায় হচ্ছে দেশে চলে যাওয়া। কিন্তু সেটাও সম্ভব না। কারণ দেশে গিয়ে ঋণের বোঝা কে টানবে?

মসজিদে ভোজের আয়োজন করলেন ডিআইজি বাতেন, ইসিতে অভিযোগ

অভিযুক্ত মো. আব্দুল বাতেনের আয়োজনে মসজিদে ভোজ। ছবি: সংগৃহীত

সুনামগঞ্জে গিয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে রংপুর রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (অ্যাডিশনাল আইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মো. আব্দুল বাতেনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সাইদুর রহমান।

শুক্রবার (১৭ মে) সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার মাধ্যমে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) হোসাইন মুহাম্মদ আল–মুজাহিদের কাছে এই অভিযোগ জমা দেওয়া হয়। চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইদুর রহমানের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ও তার ছেলে আরিফুর রহমান ঝিনুক সশরীরে গিয়ে অভিযোগ জমা দেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধি ২০১৬–এর ধারা ২২ (১) অনুযায়ী সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী নির্বাচন–পূর্ব সময়ে নির্বাচনী প্রচারণা বা নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। এ ছাড়া ধারা ২০ অনুযায়ী কোনো প্রার্থী মসজিদ বা কোনো ধর্মীয় উপাসনালয়ে নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারবেন না। কিন্তু রংপুর রেঞ্জ পুলিশের উপ মহাপরিদর্শক (অ্যাডিশনাল আইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মো. আব্দুল বাতেন এসব বিধি লঙ্ঘন করেছেন। তিনি উপজেলার দাতিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং মধ্যনগর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. আব্দুর রাজ্জাক ভূঁইয়ার ছোট ভাই।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন গ্রামের বাড়িতে এসে পারিবারিক মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন এবং নামাজ শেষে উপজেলা বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত বাসিন্দাদের নিয়ে মসজিদের ভেতরেই মধ্যাহ্নভোজ করেন।

এ সময় আব্দুল বাতেনের বড় ভাই চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক উপস্থিত ছিলেন। বাতেন আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আগত ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে মধ্যনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অতীশ দর্শী চাকমাকে একাধিকবার কল করলেও রিসিভ করেননি।

তবে তার ব্যক্তিগত সহকারী শামসুদ্দোহা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইদুর রহমানের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ও তার ছেলে ঝিনুক একটি অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা রিসিভ করে রেখেছি। স্যার একটু অন্য একটি কাজে ব্যস্ত।

এ বিষয়ে সাইদুর রহমানের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট আরিফুর রহমান ঝিনুক বলেন, আমরা চাই প্রভাবমুক্ত, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। তাই একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পক্ষে সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন অবস্থায় ওনার স্বজনের আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি আমরা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। আমরা আশা করব, রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রভাবমুক্ত শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

এ ব্যাপারে মধ্যনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) হোসাইন মুহাম্মদ আল-মুজাহিদ বলেন, লিখিত বা মৌখিকভাবে বিষয়টি আমাকে এখনও কেউ জানায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে রংপুর রেঞ্জ পুলিশের উপ মহাপরিদর্শক মো. আব্দুল বাতেন বলেন, আমার মায়ের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাড়িতে এসেছি। মিলাদ মাহফিলে অংশগ্রহণ ছাড়া বাড়ির বাইরে যাইনি। মসজিদে মিলাদ শেষে খাবার বিতরণ করা হয়েছে। সেখানে সবার সঙ্গে খেয়েছি। বাড়িতে এলে অনেকেই দেখা করতে আসে। আমি নির্বাচনী কোনো কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করিনি।

সর্বশেষ সংবাদ

মা হারালেন সংগীতশিল্পী মোনালি ঠাকুর
মালয়েশিয়ায় ২ লাখ টাকায় বিক্রি হওয়ার অভিজ্ঞতা জানালেন বাংলাদেশি শ্রমিক
মসজিদে ভোজের আয়োজন করলেন ডিআইজি বাতেন, ইসিতে অভিযোগ
ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের আগুন নিয়ন্ত্রণে
টাঙ্গাইলে ধান কাটতে এসে বজ্রপাতে প্রাণ হারালেন দুই ভাই
মেসি-বার্সা চুক্তির সেই ন্যাপকিন বিক্রি হলো ১১ কোটি টাকায়
এবার রাজধানীর ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন
কারওয়ান বাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে
গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি-বাতাসে রাজধানীতে স্বস্তি
সাতক্ষীরায় ট্রাক উল্টে প্রাণ গেল দুই শ্রমিকের, আহত ১১
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট
ভাঙা হাত নিয়েই ‘কান চলচ্চিত্র উৎসব’ মাতালেন ঐশ্বরিয়া
ঢাকাসহ ৬ বিভাগে ঝড়-শিলাবৃষ্টির আভাস, কমবে তাপপ্রবাহ
আচরণবিধি লঙ্ঘন: আ.লীগ নেতাকে জরিমানা, ৭ ডেগ খিচুড়ি জব্দ
সৌদিতে চলতি বছরে প্রথম বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু
যমজ ২ বোনকে হাতুড়ি দিয়ে পেটালেন ছাত্রলীগ নেতা
যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন ৩০ ব্যাংকের এমডি
গাজায় দীর্ঘমেয়াদে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হামাস
কেএনএফের নারী শাখার সমন্বয়ক আকিম বম গ্রেপ্তার
সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসকের নাম শেখ হাসিনা : ওবায়দুল কাদের