মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫ | ১৭ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ১

দ্য ফার্স্ট ম্যান

প্রথম ভাগ: পিতার সন্ধানে

পাথুরে পথে গড়িয়ে চলা ওয়াগনের মাথার উপর দিয়ে বড় বড় ঘন মেঘের পাহাড় গোধূলির গা বিদীর্ণ করে ছুটে চলেছে পূর্বদিকে। আটলান্টিকের উপর মেঘেদের শরীর ভরে উঠেছে প্রায় তিন দিন আগেই। পশ্চিম দিক থেকে বয়ে আসা বাতাসের অপেক্ষায় ছিল অনড়। তারপর আস্তে আস্তে চলা শুরু করে ক্রমেই দ্রুত থেকে দ্রুততর গতি পেয়েছে। শরতের মৃদু আলোকিত পানির উপর দিয়ে উড়ে চলে এসেছে গোটা মহাদেশের ওপর। মরক্কোর পাহাড়চূড়ায় এসে টুকরো টুকরো হয়ে আবার দলবদ্ধভাবে একত্রিত হয়েছে আলজেরিয়ার উঁচু মালভূমিতে। আর এখন তিউনিসিয়া সীমান্তে এসে চেষ্টা করছে তাইরেনীয় সমুদ্রের জলে গলে একাকার হতে।

বিশাল দ্বীপের মতো হাজার হাজার কিলোমিটার দূরত্বের ভ্রমণ শেষে উত্তর দিকে বহমান সমুদ্র জল আর দক্ষিণ দিকে বহমান জমাট বালির উর্মিমালার কোলে আশ্রয় পেয়ে মেঘেদের গতিবেগ হাজার বছরের সাম্রাজ্য আর মানব অধ্যুষিত নামহীন এই দেশটার উপর ক্লান্ত হয়ে পড়ছে। কোনো কোনো টুকরো সবিরাম বৃষ্টির ফোঁটা হয়ে টুপ টুপ ঝরে পড়ছে এই চারজন ভ্রমণকারীর মাথার উপরের মোটা কাপড়ের ছাউনির উপর।

রাস্তাটার সুপরিসর অবয়ব থাকলেও উপরিভাগটা মজবুত নয়। ঘোড়ায় টানা গাড়িটা চলার সময় ক্যাচ ক্যাচ শব্দ হচ্ছে। যখন তখন ছোট ছোট পাথরের টুকরোর সঙ্গে ধাতব চাকার বেষ্টনীতে ঘষা লেগে কিংবা ঘোড়ার খুরের আঘাতে ফুলকি জ্বলে উঠছে; ছিটকে উঠে বাড়ি খাচ্ছে গাড়ির কাঠ-শরীরের সঙ্গে। কখনোবা বোবা শব্দ তুলে ডুবে যাচ্ছে রাস্তার খানাখন্দের নরম মাটিতে। ইতিমধ্যে ছোট ঘোড়া দুটো মাঝে মধ্যে অপারগতায় শ্লথ হলেও সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে ভারী গাড়িটাকে টেনে নিয়ে; দুলকি চালে মিশ্র পদক্ষেপে পথটাকে তারা পিছে ফেলে চলেছে। কোনোটা হয়তো কখনো নাসারন্ধ্র থেকে ফোঁস ফোঁস আওয়াজ তুলে ভারী নিশ্বাস ছাড়তে ছাড়তে পিছিয়ে পড়ছে; ঠিক তখনই আরব গাড়োয়ান তার পিঠের ওপরের লাগামে টান মারছে আর পশুটা চলার ছন্দ ফিরিয়ে আনায় সচেষ্ট হচ্ছে।

চালকের পাশে প্রথম আসনে বসা ত্রিশ বছর বয়সী ফরাসি লোকটা তার সামনের পশু দুটোর ছন্দময় চলমান পেছনের অংশকে ভাসমান নিরিখে দু-এক পলক দেখে নিয়েছে। মাঝারি উচ্চতার এবং গাট্টাগোট্টা চেহারার লোকটার মুখটা লম্বাটে, ললাট চওড়া এবং গোলাকার, চোয়াল শক্ত আর চোখ নীল। মৌসুম আগে আগে শুরু হলেও লোকটার পরনে নিখুঁত করে বোনা তিন বোতামঅলা জ্যাকেট, ওই সময়ের কেতা অনুযায়ী গলা পর্যন্ত তুলে এনে আঁটো করে বাঁধা; তার ছোট করে ছাঁটা চুলের মাথার ওপরে পরেছে উদ্ভিদের শাঁস থেকে তৈরি হেলমেট। মাথার উপরে আচ্ছাদিত মোটা কাপড়ের উপর দিয়ে ঘন বৃষ্টি শুরু হলে গাড়ির পেছনের দিকে তাকিয়ে লোকটা জোর গলায় জিজ্ঞেস করে, ঠিক আছো তো?

পুরনো বাক্স-পেটরা আর আসবাবপত্রের স্তূপের মাঝে সাঁটানো দ্বিতীয় আসনটাতে বসে আছে একজন নারী, অন্য পোশাকাদি মলিন হলেও গায়ে জড়িয়ে আছে একটা পশমী মোটা শাল। ক্ষীণ একটা হাসি ছড়িয়ে দিয়ে সে বলল, হ্যাঁ, ঠিক আছি। বলার সময় তার অঙ্গভঙ্গিতে একটা ক্ষমাপ্রার্থী ভাব প্রকাশ পেল। চার বছর বয়সী একটা ছেলে তার গায়ে হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে আছে। মহিলার স্বাভাবিক সুন্দর অবয়বের চেহারায় ছড়িয়ে আছে কোমলতা, বাদামী চোখে তার উষ্ণ চাহনি, নাকটা তার ছোট তবে খাড়া, স্পেনীয় নারীদের মতো মাথাভর্তি ঢেউ খেলানো কালো চুল; কিন্তু ওই মুখাবয়বে কী একটা অস্বাভাবিক ইঙ্গিত রয়েছে। ক্লান্তির মতো ক্ষণিকের কোনো কালো ছায়া তার মুখের উপর পড়েছে এমন নয়। তার চাহনির উৎস যেন দূরে কোথাও, এ চাহনি যেন মিষ্টি কোনো অমনোযোগের।

এ রকমটি দেখা যায় কোনো নির্বোধের মুখে। তবে এ চাহনি যেন থেকে থেকে তার মুখের সৌন্দর্যের উপর ছড়িয়ে পড়ছে। মাঝে-মাঝেই অকারণ ভয়ের মিশ্রণ ঘটছে তার চিত্তহারী চাহনির ভেতর দিয়ে প্রকাশিত কোমলতার সঙ্গে। তবে সেই ভয়টা নিমিষেই কেটেও যাচ্ছে। তার কাজ করে ক্ষয়ে যাওয়া গ্রন্থিল হাতের মসৃণ অংশ দিয়ে স্বামীর পিঠ স্পর্শ করে মহিলা বলে, ঠিক আছে, ঠিক আছে। অবশ্য সঙ্গে সঙ্গে হাসি থামিয়ে মাথার উপরের মোটা কাপড়ের ছাউনির তলা দিয়ে সামনের দিকে তাকিয়ে দেখতে পায় রাস্তার উপর ইতিমধ্যে জমে উঠা কাদা চিকচিক করে ওঠা শুরু করেছে।

গাড়োয়ানের মাথায় পাগড়ির হলুদ রঙের মোটা রশির কারণে তার চেহারায় প্রসন্ন একটা ভাব ফুটে উঠেছে। পায়ের গুলের ওপরে সাজানো প্রশস্ত আসনে বসা ঢিলা পাজামায় তাকে আরও বেশি গাট্টাগোট্টা দেখাচ্ছে। স্বামী লোকটা আরব গাড়োয়ানের দিকে ফিরে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে, আমাদের কি আরও অনেক দূর যেতে হবে?

বিরাট সাদা গোঁফের আড়ালে হাসি ছড়িয়ে দিয়ে গাড়োয়ান বলে, আর আট কিলোমিটার গেলেই পৌঁছে যাবেন।

মুখে হাসি না থাকলেও মনোযোগী দৃষ্টিতে স্বামী লোকটা তার স্ত্রীর দিকে তাকায়। তার দৃষ্টি এখনো সামনের রাস্তায় নিবদ্ধ। লোকটা গাড়োয়ানকে বলে, লাগাম আমার হাতে দিন।

–আপনার যা ইচ্ছে, বলে বৃদ্ধ গাড়োয়ান তার হাতে লাগাম দিয়ে পাশে ফাঁকা হওয়া জায়গায় একটু সরে বসে। লাগাম হাতে দুটো ঝাঁকি মেরে লোকটা ঘোড়া দুটোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। ঘোড়া দুটো ধীর গতি থেকে আরেকটু দ্রুততায় দুলকি চালে চলা শুরু করে এবং দ্রুতই সোজা চলতে থাকে।

আরব গাড়োয়ান মন্তব্য করে, আপনি ঘোড়া চালানোর কায়দা কানুন বেশ ভালোই জানেন, দেখছি।

লোকটা শুকনো সংক্ষিপ্ততায় উত্তর দেয়, হ্যাঁ।

চারপাশের আলো কমে আসে। হঠাৎই যেন ঝুপ করে রাত নেমে আসে। বাম পাশ থেকে একটা লণ্ঠন তুলে এনে পেছনের দিকে ফিরে গাড়োয়ান কয়েকবার চেষ্টা করে ভেতরের সলতেয় আগুন জ্বালাতে পারে। আবার জায়গামতো রেখে দেয় লণ্ঠনটা। এখন বৃষ্টি পড়ছে মৃদু লয়ে, একটানা। লণ্ঠনের মৃদু আলোয় বৃষ্টি চক চক করে। বাইরে বৃষ্টির মৃদু শব্দে অন্ধকার ভীড় করে। মাঝে মাঝেই গাড়িটা কাঁটাঅলা ঝোপঝাড়ের পাশ ঘেঁষে চলতে থাকে। ছোট ছোট গাছপালা লণ্ঠনের মৃদু আলোয় সেকেন্ডের জন্য ঝিঁকিয়ে উঠে মিলিয়ে যায়। তবে বেশিরভাগ সময় গাড়িটা ফাঁকা জায়গার ভেতর দিয়ে এগিয়ে যায়। চার পশের অন্ধকারের কারণে ফাঁকা জায়গা আরও প্রশস্ত মনে হয়। রোদে পোড়া ঘাসের গন্ধ আর থেকে থেকে ভেসে আসা প্রাকৃতিক সারের গন্ধ মনে করিয়ে দেয় তারা এখন আবাদী জমির ভেতর দিয়ে এগিয়ে চলেছে।

পেছনের দিকে ঝুঁকে বসে লাগাম ধরে আছে স্বামী লোকটা। পেছন থেকে তার স্ত্রী কথা বলে ওঠে, এদিকে মনে হয় জনমানুষ নেই।

–তোমার কি ভয় করছে?

–কী বললে?

স্বামী পুনরায় জিজ্ঞেস করে। তবে এবার তার কথা বলা চিৎকারের মতো শোনায়।

–না, না। ভয় করছে না। তুমি সাথে থাকলে ভয় কিসের? তবে চিন্তিত মনে হয় তাকে।

–তোমার মনে হয় ব্যথা হচ্ছে?

–একটু একটু।

লোকটা ঘোড়া দুটোকে তাড়া দিলে রাস্তার মাঝে উঁচু হয়ে থাকা মাটির ওপরে চাকার আওয়াজ আর রাস্তার ওপরে ঘোড়ার নাল পরা খুরের আওয়াজ চারপাশের অন্ধকারকে ভরিয়ে তোলে।

১৯১৩ সালের এক রাত। ভ্রমণকারীরা দুঘণ্টা আগে বনের রেল স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করেছে। তৃতীয় শ্রেণির ট্রেনের কাঠের বেঞ্চে এক দিন এক রাতের দীর্ঘ ভ্রমণের পর তারা পৌঁছেছিল রেল স্টেশনে। এই আরব গাড়োয়ান তাদেরকে প্রায় বিশ কিলোমিটার ভেতরের দিকে একটা ছোট গ্রামের কাছে অবস্থিত এক খামারে নিয়ে আসার জন্য স্টেশনে অপেক্ষায় ছিল। ওই খামারের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নেওয়ার কথা স্বামী লোকটার। বাক্সপেটরা এবং অন্যান্য কয়েকটা জিনিসপত্র গাড়িতে তুলতে অনেক সময় নষ্ট হয়েছে। তাছাড়া খারাপ রাস্তার কারণে আরও দেরি হয়ে গেছে। সঙ্গীর নীরবতা ভাঙার জন্য গাড়োয়ান বলে ওঠে, ভয় পাাবেন না। এদিকে কোনো চোর ডাকাত নেই।

সবখানেই আছে। তবে আমার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও আছে, বলে স্বামী লোকটা তার আঁটো পকেটের উপর চাপড় মারে।

গাড়োয়ান বলে, ঠিকই বলেছেন, পাগল ছাগল সবখানেই আছে।

ঠিক তখনই পেছন থেকে মহিলা তার স্বামীকে ডাক দেয়, হেনরি, ব্যথা করছে।

লোকটা ঘোড়াগুলোকে আরেকবার তাড়া দিয়ে স্ত্রীর উদ্দেশে বলে, এই তো আমরা পৌঁছে গেলাম বলে। আরেক মুহূর্ত পরে লোকটা পিছু ফিরে স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে, এখনও কি ব্যথা আছে?

স্বামীর দিকে অন্যমনস্কতার দৃষ্টিতে তাকিয়ে একটুখানি হাসে মহিলা। দেখে মনে হয় না তার কষ্ট হচ্ছে। তবু বলে, হ্যাঁ, অনেক।

লোকটা গম্ভীর দৃষ্টিতে স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে থাকে।

মহিলার কণ্ঠে ক্ষমা প্রর্থনার সুর বাজে, তেমন কিছু না। মনে হয়, ট্রেনের কারণে এরকম হচ্ছে।

গাড়োয়ান বলে ওঠে, ওই যে দেখুন গ্রামটা। আসলেই রাস্তা থেকে বেশ খানিক দূরে বাম দিকে সলফেরিনো গ্রামের কয়েকটা আলো দেখা যায়। বৃষ্টির ভেতর দিয়ে আলোগুলো আবছা আবছা দেখায়। গাড়োয়ান আরও বলে, তবে আপনাদের ডান দিক দিয়ে যেতে হবে।

স্বামী লোকটা কিছুটা দ্বিধায় থেকে স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে, আমরা কি গ্রামের ভেতরে যাব, না কি বাড়িটাতে আগে যাব?

–না, না বাড়িটার দিকেই চলো। সেটাই ভালো হবে।

গাড়িটা ডান দিকে মোড় নেয়। সামনে অচেনা বাড়িটা তাদের জন্য অপেক্ষা বরছে। গাড়োয়ান বলে, আর এক কিলোমিটার।

স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে লোকটা বলে, আমরা পৌঁছে গেলাম বলে। হাতের মাঝখানে মুখ ডুবিয়ে মহিলা মাথা গুঁজে পড়ে আছে। লোকটা ডাক দেয়, লুসি।

তবে তার কোনো সাড়া নেই। হাত বড়িয়ে স্ত্রীকে ছুঁয়ে দেয় হেনরি। তার স্ত্রী নীরবে কাঁদছে। কণ্ঠ আরও জোরে চিৎকারের মতো করে প্রত্যেকটা শব্দ আলাদা আলাদা করে উচ্চারণ করে লোকটা বলে, তুমি ওখানে গিয়েই শুয়ে পড়বে। আমি ডাক্তার নিয়ে আসব।

–হ্যাঁ, ডাক্তার নিয়ে এসো। ব্যথাটা আমার কাছে ওই রকম মনে হচ্ছে।

আরব গাড়োয়ান তাদের দিকে বিস্ময়ের দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে বলে হেনরি বলে, তার বাচ্চা হবে।
–গ্রামে কি ডাক্তার আছে?

–হ্যাঁ, আছে। আপনি চাইলে আমিই ডাক্তার ডেকে আনতে পারি।

–না, না যেতে হবে না। বাড়িটাতে খেয়াল রাখলেই হবে। আমিই দ্রুত যেতে পারব। কোনো ছোট গাড়ি কিংবা ঘোড়া পাওয়া যাবে?

–হ্যাঁ, গাড়ি একটা আছে। তারপর সে লুসির দিকে তাকিয়ে বলে, আপনার ছেলে হবে। দোয়া করি ছেলেটা খুব সুন্দর হোক।

লুসি তার কথা কিছু বুঝেছে বলে মনে হয় না। তবে মৃদু হাসতে থাকে।

হেনরি বলেন, ও শুনতে পায় না। বাড়িতে গিয়ে ওর সাথে কথা বলার সময় জোরে বলতে হবে আর ইশারায় বুঝাতে হবে। গাড়িটা হঠাৎ ঘাসের চাপড়ার উপর দিয়ে চলতে থাকলে চাকার নিচে কোনো শব্দ শোনা যায় না। রাস্তাটা এখানে আরও সরু। পাশে কয়েকটা টালি ছাওয়া ঘর দেখতে পাওয়া যায়। ঘরগুলোর পেছনে আঙুরের ক্ষেতের প্রথম সারি। গাঁজানো আঙুরের কড়া গন্ধ এসে নাকে লাগে। উঁচু ছাদঅলা কয়েকটা ভবন পার হয়ে যায় গাড়ি। তারপর গাড়ির চাকা আকর বিছানো একটা উঠোনের উপর চলে আসে। মুখে কিছু না বলেই গাড়োয়ান লাগাম হাতে নিয়ে টেনে ধরে। ঘোড়াগুলো থেমে যায়; একটা বেশ জোরে নিশ্বাস ছাড়ে।

গাড়োয়ান হাতের ইশারায় একটা সাদা রং করা বাড়ি দেখায়। নিচু একটা দরজার পাশ বেয়ে উঠে গেছে একটা লতাগাছ। কপার সালফেট দিয়ে নীল রং করা হয়েছে দরজাটা। গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে নেমে হেনরি বৃষ্টির ভেতরেই দৌড়ে যায় ঘরটার দিকে। দরজা খুলে সামনে দেখতে পায় একটা অন্ধকার কামরা। ফাঁকা অগ্নিকুণ্ড থেকে একটা চাপা গন্ধ নাকে আসে। তার পেছন পেছন আগত গাড়োয়ান অন্ধকার পার হয়ে সরাসরি উনানের কাছে চলে আসে; জ্বলন্ত কয়লা ঘেঁটে কামরার মাঝখানে রাখা টেবিলের ওপরে ঝুলন্ত কোরোসিনের একটা লণ্ঠন জ্বালায়।

তখনই কেবল হেনরির চোখে পড়ে সে সাদা রং করা রান্নাঘরের মাঝে দাঁড়িয়ে আছে। লাল সিরামিক টালির তৈরি বাসনপত্র ধোয়ার জায়গা, একটা পুরনো দেরাজ এবং তাকঅলা টেবিল, আর দেয়ালে একটা ভেজা স্যাঁতসেতে ক্যালেন্ডার। লাল টালির সিঁড়ি শেষ হয়েছে দ্বিতীয় তলার মাথায়। আগুনটা জ্বালিয়ে দাও, বলে সে গাড়ির কাছে ফিরে এলো। তার স্ত্রী গাড়িতেই নীরবে অপেক্ষা করছে। হেনরি স্ত্রীকে দুহাতে জড়িয়ে ধরে নামিয়ে আনার চেষ্টা করে যাতে নিরাপদে মাটিতে তার পা রাখতে পারে। তাকে বুকের সাথে এক মুহূর্ত ধরে রেখে হেনরি জিজ্ঞেস করে, হাঁটতে পারবে?

–হ্যাঁ, পারব, বলে সে স্বামীর বাহুতে আলতো ছোঁয়া রাখে।

ঘর পর্যন্ত ধরে নিয়ে গিয়ে হেনরি বলে, একটু অপেক্ষা করো।

(চলবে)

এসএ/

Header Ad
Header Ad

বছর ঘুরে ফিরল গণঅভ্যুত্থানের জুলাই

ছবি: সংগৃহীত

আজ ১ জুলাই। দিনটি ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছে ‘জুলাই গণ অভ্যুত্থান’-এর সূচনাদিবস হিসেবে। এক বছর আগে এই দিনে দেশের শিক্ষাঙ্গনে শুরু হয়েছিল কোটা সংস্কার আন্দোলনের নতুন ঢেউ, যা পরিণত হয়েছিল ঐতিহাসিক ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে।

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে রাজপথে নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)সহ দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

“কোটা না মেধা, মেধা মেধা” স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে শিক্ষাঙ্গন। আন্দোলনকারীরা সরকারকে তিন দিনের আলটিমেটাম দেন, যা পরবর্তীতে রূপ নেয় ৩৬ দিনের এক বিরল গণআন্দোলনে। ২০১৮ সালে কোটা পদ্ধতি বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হলেও, ২০২৪ সালের ৫ জুন হাইকোর্ট ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের আদেশ দেন। এই আদেশের বিরুদ্ধেই ১ জুলাই ঢাবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

সেদিন শিক্ষার্থীরা কলাভবন, শ্যাডো, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ ও হলগুলো ঘুরে ভিসিচত্বর হয়ে রাজু ভাস্কর্যে সমবেত হন। সেখানে তারা উত্থাপন করেন চার দফা দাবি: ১) ২০১৮ সালের কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন বহাল রাখা, ২) মেধাভিত্তিক নিয়োগ অব্যাহত রাখা, ৩) কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল, এবং ৪) কেবল সংবিধান অনুযায়ী অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্যই সুযোগ রাখার প্রস্তাব।

আন্দোলনকারীরা স্পষ্ট বার্তা দেন, দাবি না মানা হলে আন্দোলন আরও জোরদার করা হবে। ২ জুলাই ঢাবি থেকে গণপদযাত্রা এবং ৪ জুলাই পর্যন্ত ক্লাস ও পরীক্ষাবর্জনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘৪ জুলাইয়ের মধ্যে সরকারের উচিত আমাদের দাবির চূড়ান্ত আইনি সমাধান ঘোষণা করা।’ তিনি জানান, একইসাথে দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজেও গণপদযাত্রা কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও ওইদিন আন্দোলনে সরব ছিলেন। তারা জানিয়ে দেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা বৃষ্টিতে ভিজে বিক্ষোভ-সমাবেশে অংশ নেন। তাদের বক্তব্য ছিল স্পষ্ট—"১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল বৈষম্যের বিরুদ্ধে, অথচ আজও আমাদের সঙ্গে বৈষম্য করা হচ্ছে। চাকরিতে কোটা নয়, নিয়োগ হতে হবে মেধার ভিত্তিতে।"

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে জাবির প্রধান ফটকে গিয়ে প্রতীকী অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন। ১০ মিনিট ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উভয় দিক বন্ধ রেখে সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি দেন তারা—৪ জুলাইয়ের মধ্যে রায় বাতিল না হলে এই মহাসড়ক পুরোপুরি অবরোধ করে রাজধানী অচল করে দেওয়া হবে।

একইসাথে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও বিক্ষোভে অংশ নেন। তারা রায়সাহেব বাজার হয়ে বিক্ষোভ মিছিল শেষে রফিক ভবনের সামনে এসে সমবেত হন। সেখান থেকে তারা ঘোষণা দেন, প্রয়োজনে রক্ত দিয়েও কোটা পদ্ধতির বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তিতে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি ঘোষণা করেছে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ নামের দেশব্যাপী কর্মসূচি। আজ সকালে রংপুরের পীরগঞ্জে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে শুরু হবে এ কর্মসূচি। এরপর গাইবান্ধা ও রংপুর সদরে পথসভায় অংশ নেবেন দলটির নেতারা।

অন্যদিকে বিকাল ৩টায় বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপির উদ্যোগে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে অংশ নেবেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এবং আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের পরিবার।

Header Ad
Header Ad

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট পাস

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের জন্য ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ইউজিসি থেকে বরাদ্দ পাওয়া যাবে ৬৯ কোটি টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৭ কোটি ১০ লাখ টাকা।

সোমবার (৩০ জুন) প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স রুমে সিন্ডিকেট এর ১০৪তম সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান এই বাজেট উপস্থান করেন। একই সঙ্গে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের সরকারি বরাদ্দের ভিত্তিতে ৭৫ কোটি ৬৯ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকার সংশোধিত বাজেট অনুমোদন করা হয়।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত বাজেট চাহিদা ৯২ কোটি ৭০ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা হলেও প্রায় ১৬ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার বাজেট ঘাটতি নিয়েই পাশ হয়েছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট।

পাশকৃত বাজেটে গবেষণায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে দুই কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা যা মোট বাজেটের ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এই খাতে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে বরাদ্দ ছিল দুই কোটি ৬১ লক্ষ টাকা। এছাড়া মোট বাজেটের ৬২ দশমিক ৭৫ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে বেতন-ভাতা ও পেনশন বাবদ। পণ্য ও সেবা বাবদ সহায়তায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ, গবেষণা অনুদান খাতে ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং ৬ দশমিক ৯১ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে মূলধন খাতে।

বাজেট নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, '২০০৭-২০০৮ অর্থ বছরে বাজেট ছিল এক কোটি ১০ লক্ষ টাকা, সেখান হতে আজকের বাজেট বৃদ্ধি পেয়ে দাড়িয়েছে ৭৬ কোটি ১০ লক্ষ টাকা। আশার কথা হলো গত বছরের তুলনায় নিজস্ব অর্থায়ন হ্রাস করে সরকারি অনুদান বৃদ্ধি করা গেছে। ভবিষ্যৎ-তে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক চাহিদা অনুযায়ী সর্বমোট বাজেট বৃদ্ধি পাবে।'

তিনি আরো বলেন, 'ইউজিসির বরাদ্দ চাহিদার তুলনায় অপর্যাপ্ত। তবে সংশোধিত বাজেটে ইউজিসির সাথে আলোচনা করে বাজেট আরও বৃদ্ধি করা হবে।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: হায়দার আলী বলেন, 'সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় রেখে বাজেট ব্যয় করা হবে।'

Header Ad
Header Ad

সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ২২০টি পদ খালি রয়েছে। সোমবার (৩০ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত ২০২৪ সালের সরকারি কর্মচারীদের পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সরকারি চাকরিতে বর্তমানে ১৯ লাখ ১৯ হাজার ১১১টি অনুমোদিত পদ রয়েছে। এর বিপরীতে ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৮৯১ জন কর্মরত আছেন; খালি আছে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ২২০টি পদ।

সরকারি চাকরিতে ২০১৮ সালে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ২৪৭টি, ২০১৯ সালে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৩৩৮টি, ২০২০ সালে ৩ লাখ ৮০ হাজার ৯৫৫ এবং ২০২১ সালে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ১২৫টি, ২০২২ সালে ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৯৭৬টি এবং ২০২৩ সালে ৪ লাখ ৭৩ হাজার একটি পদ ফাঁকা ছিল।

এখন সরকারি চাকরিতে প্রথম থেকে নবম গ্রেডের (আগের প্রথম শ্রেণি) ২ লাখ ৫৯ হাজার ৬৫৭টি অনুমোদিত পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন এক লাখ ৯০ হাজার ৭৭৩ জন। ফাঁকা আছে ৬৮ হাজার ৮৮৪টি পদ।

১০ থেকে ১২তম গ্রেডে (আগের দ্বিতীয় শ্রেণি) ৩ লাখ ৬২ হাজার ২৮৯টি পদের বিপরীতে কাজ করছেন ২ লাখ ৩৩ হাজার ৭২৬ জন। ফাঁকা রয়েছে এক লাখ ২৯ হাজার ১৬৬টি পদ।

১৩ থেকে ১৬তম গ্রেডে (আগের তৃতীয় শ্রেণি) ৭ লাখ ৬০ হাজার ৬৩৪টি পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৬ লাখ ১৩ হাজার ৮৩৫ জন। ফাঁকা আছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৯টি পদ।

অন্যদিকে ১৭ থেকে ২০তম গ্রেডে (আগের চতুর্থ শ্রেণি) ৫ লাখ ১৯ হাজার ৮১২টি পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৪ লাখ ৪ হাজার ৫৭৭ জন। ফাঁকা রয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ২৩৫টি পদ।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সরকারি দপ্তরে নির্ধারিত ও অন্যান্য কাজের জন্য ১৬ হাজার ১১৬টি পদ থাকলেও এসব পদের বিপরীতে কাজ করছেন ৭ হাজার ৮৯০ জন। ফাঁকা রয়েছে ৮ হাজার ১৩৬টি পদ।

প্রথম থেকে ১২তম গ্রেডের গেজেটেড পদগুলোতে নিয়োগ দেয় সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। আর ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগ দেয় মন্ত্রণালয় ও বিভাগ।

সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে ৬ হাজার ৬৪টি এবং অধিদপ্তর ও পরিদপ্তরে ২ লাখ ৯৬ হাজার ১১২টি পদ ফাঁকা রয়েছে। আর বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ১৫ হাজার ২৯টি এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনে ফাঁকা রয়েছে এক লাখ ৫১ হাজার ১৫টি পদ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বছর ঘুরে ফিরল গণঅভ্যুত্থানের জুলাই
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট পাস
সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি
পুলিশ পরিচয়ে ব্যবহার করা যাবে না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম: আরপিএমপি কমিশনার
ভোলায় চাঁদা না পেয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
টাঙ্গাইলের নির্ধারিত স্থানে মডেল মসজিদ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন (ভিডিও)
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ
চুয়াডাঙ্গায় ট্রেন থেকে ফেলে পাউবো কর্মচারীকে হত্যা, পরিবারের মামলা
দেশে নতুন করে আরও ২১ জনের করোনা শনাক্ত
ঢাকার প্রতিটি ভবনের ছাদে সৌর প্যানেল বসানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
লুঙ্গি পরে রিকশায় প্যাডেল মেরে ঢাকা থেকে বিদায় নিলেন জার্মান রাষ্ট্রদূত
ইসরায়েলের ৩১ হাজারেরও বেশি ভবন গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইরান (ভিডিও)
ইরানের সাথে আলোচনা করছি না, তাদের কিছু দিচ্ছিও না: ট্রাম্প
আসিফ মাহমুদের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে প্রশ্ন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বললেন ‘আইনটা দেখিনি’
নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে চীন: মির্জা ফখরুল
বিপিএলে নোয়াখালীর অভিষেক, আসছে ‘নোয়াখালী রয়্যালস’
হোটেল থেকে সন্তানসহ স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার, ময়নাতদন্তে যা জানা গেল
আমাদের ডিভোর্স হয়নি, হিরো আলম অভিমান করেছিল: রিয়ামনি
সরকারি উদ্যোগেও কমেনি ইলিশের দাম, খালি হাতেই ফিরছেন ক্রেতারা
মঙ্গলবার ব্যাংক হলিডে, বন্ধ থাকবে সব লেনদেন