মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫ | ১৭ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান

পুরুষ দুজনকে ঢুকতে দেখে আরব মহিলা চকিতে তাদের দিকে তাকিয়ে একটুখানি হাসি ছড়িয়ে দিল। তারপর আগুনের দিকে ফিরে তাকাল; এখনও তার হাতে এনামেল বেসিনটা। ক্যান্টিনের মালিক মহিলা তাদের দুজনকে দেখে আনন্দের সঙ্গে বলে উঠলেন, আপনার আর দরকার নেই ডাক্তার সাহেব। এমনি এমনিই হয়ে গেছে। মহিলা হাঁটুর ওপর বসে আবার কাজে ফিরে গেলে তারা দুজন দেখতে পায় রোগীর পাশে রক্তে ভেজা আকারহীন কী যেন স্থির অবস্থার মধ্যেই নড়াচড়া করছে আর চাপা চিঁহিচিঁহি স্বরে কানে আসে কি আসে না ধরনের মিহি আওয়াজ করছে অবিরত।

ডাক্তার বললেন, তা-ই তো বলছে সবাই। আশা করি আপনারা নাড়ী এখনো ছুঁয়ে দেখেননি।
মহিলা হাসতে হাসতে বললেন, না, আপনার জন্য কোনো একটা কাজ তো রেখে দিতেই হয়। তাই আমরা আপাতত এই কাজটা রেখে দিয়েছি।

মহিলা উঠে গিয়ে ডাক্তারের জন্য জায়গা করে দিলেন। ডাক্তার যেভাবে বসলেন তাতে দরজায় দাঁড়িয়ে থাকা করমারির দৃষ্টির আড়ালেই রয়ে গেল নবজাতক। করমারির মাথা উদোমই রয়ে গেছে। ডাক্তার মেঝে বসে পড়ে তার ব্যাগ খুললেন। তিনি আরব মহিলার কাছ থেকে বেসিনটা নিলে মহিলা আলোর এলাকা ছেড়ে উনানের পাশে আড়ালে এসে দাঁড়ালেন। ডাক্তার ভালো করে হাত ধুলেন। তার পেছন পাশ এখনও দরজার দিকেই। তার সদ্যো-ধোয়া দুহাতে একটুখানি মাদক ঢাললেন। গন্ধটা কিছুটা আঙুরের রসের মতো। সঙ্গে সঙ্গে গোটা রুম গন্ধে ভরে উঠল। এই মুহূর্তে স্ত্রী মাথা তুলে তাকিয়ে তার স্বামীকে দেখতে পেল। ক্লান্ত সুন্দর মুখটাতে চমৎকার তৃপ্তির একটা হাসি ছড়িয়ে পড়ল।
করমারি জাজিমের কাছে এগিয়ে এল। করমারিকে উদ্দেশ করে নবজাতকের দিকে ইঙ্গিত করে নিঃশ্বাসের মতো হালকা সুরে তার স্ত্রী বলল, এসে গেছে। তারপর শিশুটির দিকে তার হাত বাড়িয়ে দিল।

ডাক্তার বললেন, হ্যাঁ, এসে গেছে। কিন্তু আপনি এখন একটু চুপচাপ থাকুন।
প্রসূতি ডাক্তারের দিকে প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে তাকাল।

করমারি জাজিমের পায়ের দিকটায় দাঁড়িয়ে তার স্ত্রীর দিকে চুপ থাকার ইঙ্গিত করে বলল, চুপ করে শুয়ে থাকো।
সে আবার শুয়ে পড়ল। টালির পুরনো ছাদের ওপর বৃষ্টি আরো বার দুয়েক জোরালো শব্দে বয়ে গেল। ডাক্তার কম্বলের নিচে কাজ করতে এগোলেন। সোজা হয়ে বসে সামনে কী যেন ঝাঁকাতে লাগলেন। মৃদু একটুখানি কান্নার শব্দ হলো।

ডাক্তার বলে উঠলেন, ছেলে হয়েছে! বাহ, চমৎকার স্বাস্থ্যবান ছেলে!
হ্যাঁ, নতুন বাড়িতে উঠে সুন্দর জীবন শুরু হতে যাচ্ছে, বললেন ক্যান্টিনের মালিক মহিলা।
এক কোণে দাঁড়িয়ে থাকা আরব মহিলা হাসতে হাসতে দুবার হাততালি দিয়ে উঠল। করমারি তার দিকে দৃষ্টি ফেরালে মহিলা কিছুটা বিব্রত বোধ করে একটূখানি সরে গেল।

ডাক্তার বললেন, ঠিক আছে, কয়েক মুহূর্তের জন্য আমাদের একটু নিরিবিলি কাজ করতে দিন আপনারা।
করমারি তার স্ত্রীর দিকে তাকাল। তার চাহনি তখনও শিশুটির দিকে কাত হয়ে আছে। মোটা কম্বলের ওপর তার একটা হাত আলগোছে ফেলে রাখা। স্ত্রীর হাত দেখেই করমারির মনে পড়ে গেল, একটু আগে হতভাগা রুমটা আলোয় ভরিয়ে তুলেছিল তার স্বর্গীয় হাসি। মাথায় হেলমেট পরে করমারি দরজার দিকে এগোল।
ক্যান্টিনের মালিক মহিলা করমারির উদ্দেশে বললেন, ছেলের নাম কী রাখবেন?
মহিলার দিকে তাকিয়ে করমারি বলল, জানি না। আমরা এখনও ঠিক করিনি। তবে ওর জন্ম উপলক্ষে আপনি যেহেতু এসেছিলেন তাহলে ওর নাম রাখা যেতে পারে জ্যাক।

মহিলা উচ্চ হাসিতে ফেটে পড়লেন। করমারি বাইরের দিকে পা বাড়াল। আরব গাড়োয়ান তখনও চট মাথায় দিয়ে আঙুর গাছের তলায় অপেক্ষমাণ। সে করমারির দিকে তাকাল। তবে করমারি কিছু বলল না। চটের এক কোণা এগিয়ে দিয়ে গাড়োয়ান বলল, এখানে আসুন; এটার নিচে দাঁড়ান।

করমারি চটের তলায় এসে দাঁড়াল। বৃদ্ধের কাঁধের সঙ্গে তার নিজের কাঁধ লেগে গেছে টের পেল সে। লোকটার গায়ের কাপড় থেকে তামাকের গন্ধ আসছে। তাদের দুজনের মাথা ঢেকে রাখা চটের ওপরে বৃষ্টি পতন টের পেতে থাকে সে। সঙ্গীর দিকে না তাকিয়েই করমারি বলে ওঠে, ছেলে হয়েছে।

বৃদ্ধ খুশিতে বলে ওঠে, সকল প্রশংসা আল্লাহর। আপনি একজন বড় কর্তা। হাজার হাজার কিলোমিটার দূর থেকে আসা পানি তাদের পায়ের কাছে কয়লার কুচির ওপরে পড়তে থাকে; বৃষ্টিতে সৃষ্ট ছোট গর্তের ওপরে, আর দূরের আঙুর ক্ষেতের ওপরে গড়িয়ে পড়তেই থাকে। আঙুর ক্ষেতের মাচাগুলো বৃষ্টির ফোঁটায় মাঝে মাঝে চকচক করে ওঠে। বৃষ্টির এই ধারা পূর্ব দিকের সমুদ্রে যাবে না; গোটা দেশ, নদীর ধারের জলাভূমি, আশপাশের পাহাড় পর্বত আর প্রায় জনবসতিহীন এই বিশাল ভূখণ্ডকে সিক্ত করে দেবে। বিশাল সিক্ত ভূখণ্ড থেকে চমৎকার একটা গন্ধ ভেসে আসছে। একটা চটের নিচে জড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা দুজন মানুষের কাছে তখন তাদের পেছনের দিক থেকে ভেসে আসছে ক্ষীণ কান্নার আওয়াজ।

রাত গভীর। করমারি তার স্ত্রীর জাজিমের পাশে বিছানো আরেকটা জাজিমের ওপর অন্তর্বাস আর গেঞ্জি পরিহিত অবস্থায় হাত পা ছড়িয়ে শুয়ে ঘরের ছাদে উনানের আগুনের নাচ দেখছে। রুমটা এখন মোটামুটি পরিপাটি করে গোছানো মনে হচ্ছে। তার স্ত্রীর আরেক পাশে কাপড়-চোপড় রাখার বড় একটা ঝুড়ির মধ্যে ঘুমিয়ে আছে তাদের শিশু সন্তান। কোনো সাড়া শব্দ নেই। তবে মাঝে মাঝে গলার ভেতর থেকে মৃদু গড়গড় আওয়াজ আসছে। তার স্ত্রীও গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। কিছুটা খোলা মুখটা তার দিকে ফেরানো। বৃষ্টি থেমে গেছে। আগামীকালই কাজে যোগ দিতে হবে। তার খুব কাছেই পড়ে আছে তার স্ত্রীর ক্লান্ত হাত; দেখতে এমনই শুকনো মনে হয় কাঠের তৈরি। হাত দেখেই তার মনে পড়ে যায় এই হাত দিয়ে এযাবৎ কত কাজ করা হয়েছে। নিজের হাত এগিয়ে নিয়ে স্ত্রীর হাতের ওপর আলতো করে রেখে মাথাটা আরেকটু পেছনের দিকে নিয়ে করমারি আরামে চোখ বন্ধ করে।

(চলবে)

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

 

 

Header Ad
Header Ad

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট পাস

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের জন্য ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ইউজিসি থেকে বরাদ্দ পাওয়া যাবে ৬৯ কোটি টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৭ কোটি ১০ লাখ টাকা।

সোমবার (৩০ জুন) প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স রুমে সিন্ডিকেট এর ১০৪তম সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান এই বাজেট উপস্থান করেন। একই সঙ্গে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের সরকারি বরাদ্দের ভিত্তিতে ৭৫ কোটি ৬৯ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকার সংশোধিত বাজেট অনুমোদন করা হয়।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত বাজেট চাহিদা ৯২ কোটি ৭০ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা হলেও প্রায় ১৬ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার বাজেট ঘাটতি নিয়েই পাশ হয়েছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট।

পাশকৃত বাজেটে গবেষণায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে দুই কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা যা মোট বাজেটের ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এই খাতে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে বরাদ্দ ছিল দুই কোটি ৬১ লক্ষ টাকা। এছাড়া মোট বাজেটের ৬২ দশমিক ৭৫ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে বেতন-ভাতা ও পেনশন বাবদ। পণ্য ও সেবা বাবদ সহায়তায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ, গবেষণা অনুদান খাতে ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং ৬ দশমিক ৯১ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে মূলধন খাতে।

বাজেট নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, '২০০৭-২০০৮ অর্থ বছরে বাজেট ছিল এক কোটি ১০ লক্ষ টাকা, সেখান হতে আজকের বাজেট বৃদ্ধি পেয়ে দাড়িয়েছে ৭৬ কোটি ১০ লক্ষ টাকা। আশার কথা হলো গত বছরের তুলনায় নিজস্ব অর্থায়ন হ্রাস করে সরকারি অনুদান বৃদ্ধি করা গেছে। ভবিষ্যৎ-তে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক চাহিদা অনুযায়ী সর্বমোট বাজেট বৃদ্ধি পাবে।'

তিনি আরো বলেন, 'ইউজিসির বরাদ্দ চাহিদার তুলনায় অপর্যাপ্ত। তবে সংশোধিত বাজেটে ইউজিসির সাথে আলোচনা করে বাজেট আরও বৃদ্ধি করা হবে।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: হায়দার আলী বলেন, 'সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় রেখে বাজেট ব্যয় করা হবে।'

Header Ad
Header Ad

সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ২২০টি পদ খালি রয়েছে। সোমবার (৩০ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত ২০২৪ সালের সরকারি কর্মচারীদের পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সরকারি চাকরিতে বর্তমানে ১৯ লাখ ১৯ হাজার ১১১টি অনুমোদিত পদ রয়েছে। এর বিপরীতে ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৮৯১ জন কর্মরত আছেন; খালি আছে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ২২০টি পদ।

সরকারি চাকরিতে ২০১৮ সালে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ২৪৭টি, ২০১৯ সালে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৩৩৮টি, ২০২০ সালে ৩ লাখ ৮০ হাজার ৯৫৫ এবং ২০২১ সালে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ১২৫টি, ২০২২ সালে ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৯৭৬টি এবং ২০২৩ সালে ৪ লাখ ৭৩ হাজার একটি পদ ফাঁকা ছিল।

এখন সরকারি চাকরিতে প্রথম থেকে নবম গ্রেডের (আগের প্রথম শ্রেণি) ২ লাখ ৫৯ হাজার ৬৫৭টি অনুমোদিত পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন এক লাখ ৯০ হাজার ৭৭৩ জন। ফাঁকা আছে ৬৮ হাজার ৮৮৪টি পদ।

১০ থেকে ১২তম গ্রেডে (আগের দ্বিতীয় শ্রেণি) ৩ লাখ ৬২ হাজার ২৮৯টি পদের বিপরীতে কাজ করছেন ২ লাখ ৩৩ হাজার ৭২৬ জন। ফাঁকা রয়েছে এক লাখ ২৯ হাজার ১৬৬টি পদ।

১৩ থেকে ১৬তম গ্রেডে (আগের তৃতীয় শ্রেণি) ৭ লাখ ৬০ হাজার ৬৩৪টি পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৬ লাখ ১৩ হাজার ৮৩৫ জন। ফাঁকা আছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৯টি পদ।

অন্যদিকে ১৭ থেকে ২০তম গ্রেডে (আগের চতুর্থ শ্রেণি) ৫ লাখ ১৯ হাজার ৮১২টি পদ রয়েছে। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৪ লাখ ৪ হাজার ৫৭৭ জন। ফাঁকা রয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ২৩৫টি পদ।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সরকারি দপ্তরে নির্ধারিত ও অন্যান্য কাজের জন্য ১৬ হাজার ১১৬টি পদ থাকলেও এসব পদের বিপরীতে কাজ করছেন ৭ হাজার ৮৯০ জন। ফাঁকা রয়েছে ৮ হাজার ১৩৬টি পদ।

প্রথম থেকে ১২তম গ্রেডের গেজেটেড পদগুলোতে নিয়োগ দেয় সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। আর ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগ দেয় মন্ত্রণালয় ও বিভাগ।

সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে ৬ হাজার ৬৪টি এবং অধিদপ্তর ও পরিদপ্তরে ২ লাখ ৯৬ হাজার ১১২টি পদ ফাঁকা রয়েছে। আর বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ১৫ হাজার ২৯টি এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনে ফাঁকা রয়েছে এক লাখ ৫১ হাজার ১৫টি পদ।

Header Ad
Header Ad

পুলিশ পরিচয়ে ব্যবহার করা যাবে না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম: আরপিএমপি কমিশনার

ছবি: সংগৃহীত

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরপিএমপি) সদস্যদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘পুলিশ পরিচয়ে’ ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন কমিশনার মো. মজিদ আলী। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের আচরণ সর্বক্ষেত্রে পেশাদার ও সংবেদনশীল হতে হবে।

সোমবার (৩০ জুন) আরপিএমপির মাসিক কল্যাণ সভায় পুলিশ কমিশনার এই নির্দেশনা দেন।

কমিশনার বলেন, "পুলিশ সদস্যরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের পেশাগত পরিচয় ব্যবহার করতে পারবেন না। এ ধরনের কর্মকাণ্ড বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে পারে।"

তিনি আরও যোগ করেন, সদস্যদের অনলাইন জিডি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে, যাতে জনগণ আরও দ্রুত ও কার্যকর সেবা পায়।

সভায় কমিশনার মজিদ আলী বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, দায়িত্ব পালনে সতর্কতা ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখা জরুরি। পুলিশ সদস্যদের পেশাগত উৎকর্ষ সাধনের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, "পুলিশের দায়িত্ব শুধু আইন প্রয়োগ নয়, এটি একটি জনসেবামূলক পেশা।"

সভায় আগের মাসের কল্যাণ সভায় উত্থাপিত বিভিন্ন সমস্যা ও সুপারিশের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। অনেক বিষয় সমাধানের নির্দেশও দেন কমিশনার।

এ সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) নরেশ চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) সফিজুল ইসলাম, উপপুলিশ কমিশনার (সদর দপ্তর) হাবিবুর রহমান, উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ) তোফায়েল আহম্মেদ, এবং উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) আব্দুর রশিদ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট পাস
সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি
পুলিশ পরিচয়ে ব্যবহার করা যাবে না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম: আরপিএমপি কমিশনার
ভোলায় চাঁদা না পেয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
টাঙ্গাইলের নির্ধারিত স্থানে মডেল মসজিদ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন (ভিডিও)
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ
চুয়াডাঙ্গায় ট্রেন থেকে ফেলে পাউবো কর্মচারীকে হত্যা, পরিবারের মামলা
দেশে নতুন করে আরও ২১ জনের করোনা শনাক্ত
ঢাকার প্রতিটি ভবনের ছাদে সৌর প্যানেল বসানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
লুঙ্গি পরে রিকশায় প্যাডেল মেরে ঢাকা থেকে বিদায় নিলেন জার্মান রাষ্ট্রদূত
ইসরায়েলের ৩১ হাজারেরও বেশি ভবন গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইরান (ভিডিও)
ইরানের সাথে আলোচনা করছি না, তাদের কিছু দিচ্ছিও না: ট্রাম্প
আসিফ মাহমুদের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে প্রশ্ন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বললেন ‘আইনটা দেখিনি’
নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে চীন: মির্জা ফখরুল
বিপিএলে নোয়াখালীর অভিষেক, আসছে ‘নোয়াখালী রয়্যালস’
হোটেল থেকে সন্তানসহ স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার, ময়নাতদন্তে যা জানা গেল
আমাদের ডিভোর্স হয়নি, হিরো আলম অভিমান করেছিল: রিয়ামনি
সরকারি উদ্যোগেও কমেনি ইলিশের দাম, খালি হাতেই ফিরছেন ক্রেতারা
মঙ্গলবার ব্যাংক হলিডে, বন্ধ থাকবে সব লেনদেন
বিরামপুরে ১৭০তম সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস পালন