রবিবার, ১১ মে ২০২৫ | ২৮ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

নিয়ম মেনে আবেদন করতে বলেছে বিইআরসি

গ্যাসের দাম দ্বিগুণ বাড়ানোর প্রস্তাব

নিয়ম মেনে বিতরণ কোম্পানিগুলোকে আবেদন করতে বলেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। ফলে এখনই বাড়ছে না গ্যাসের দাম।

বুধবার (১৯ জানুয়ারি) বিইআরসির সংশ্লিষ্টরা জানান, গত এক মাস ধরে চলা সংকটের মধ্যেই গত সপ্তাহে দাম দ্বিগুণ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিল বিতরণ কোম্পানিগুলো। প্রবিধান অনুয়ায়ী আবেদন করেনি কোম্পানিগুলো। দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিলেও নিরীক্ষা প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়নি। তাই নিয়ম মেনে আবেদন করতে বলা হয়েছে।

৩ জানুয়ারি পেট্রোবাংলাকে চিঠি দিয়ে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিতে বলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। ভর্তুকির চাপ সামলাতে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানায় তারা।

এর ফলে ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানি অভিন্ন প্রস্তাব তৈরি করে। আবাসিকে দুই চুলায় ৯৭৫ থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার ১০০ টাকা ও এক চুলায় ৯২৫ থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার টাকা প্রস্তাব করে কোম্পানিগুলো।

আবাসিকে প্রিপেইড মিটার, শিল্প, সিএনজি, বিদ্যুৎ, ক্যাপটিভে (শিল্পকারখানায় নিজস্ব উৎপাদিত বিদ্যুৎ) ব্যবহৃত গ্যাসের দামও দ্বিগুণের বেশি করার প্রস্তাব দেয় কোম্পানিগুলো।

সারাদেশে এখন প্রতিদিন গড়ে ৩০০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়। এর মধ্যে ৭৮ শতাংশ অর্থাৎ ২৩০ কোটি ঘনফুট আসে নিজস্ব গ্যাসক্ষেত্র থেকে।

কাতার এবং ওমান থেকে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির আওতায় তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি হয় মোট সরবরাহের ১৭ শতাংশ। বাকি ৫ শতাংশ আন্তর্জাতিক খোলাবাজার থেকে কেনা হয়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই ৫ শতাংশ গ্যাস দুই মাস ধরে কেনা বন্ধ আছে। মাত্র ৫ শতাংশ গ্যাসের বাড়তি দামের নামে দেশে গ্যাসের দাম বাড়ানোর কোনো যৌক্তিকতা নাই।

আরইউ/এসএ/

Header Ad
Header Ad

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে নতি স্বীকার: তোপের মুখে মোদী

ছবি: সংগৃহীত

কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতার দাবিকে কেন্দ্র করে ভারতজুড়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। বিরোধীরা অভিযোগ করছে, এতে ভারতের বহুল প্রচলিত নীতির—“তৃতীয় পক্ষ নয়, কেবল দ্বিপক্ষীয় আলোচনা”—অসঙ্গতি দেখা যাচ্ছে।

শনিবার (১০ মে) বিকেলে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরপরই সীমান্তে গোলাগুলির অভিযোগ তোলে ভারত। জম্মু, শ্রীনগরসহ কয়েকটি এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেলেও, রোববার সকাল থেকে পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল।

এ অবস্থায় মোদী একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছেন বলে জানা গেছে। তবে পরিস্থিতিকে ঘিরে বিরোধীরা কড়া প্রশ্ন তুলেছে—যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতা কি ভারতের পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে?

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে একাধিক পোস্টে দাবি করেন, তার মধ্যস্থতায় ভারত-পাকিস্তান ‘পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে’ সম্মত হয়েছে এবং তিনি কাশ্মীর সংকটের দীর্ঘমেয়াদি সমাধানেও যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা রাখতে চান। একই সঙ্গে তিনি দুই দেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর আগ্রহের কথাও জানান।

তবে ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি পুরোপুরি দুই দেশের সরাসরি আলোচনার ফসল। এতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো মধ্যস্থতা ছিল না।

বিরোধী দলগুলো ইতোমধ্যে মোদীর নেতৃত্বে সর্বদলীয় বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে, যাতে যুদ্ধবিরতির প্রেক্ষাপট ও সরকারের কূটনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করা যায়।

Header Ad
Header Ad

সংগঠন নিষিদ্ধের বিধান যুক্ত করে সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশ অনুমোদন

ছবি: সংগৃহীত

সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে আরও কঠোর আইনি পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯-এ গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী এনে ‘সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ’-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।

রোববার (১১ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠকের সারসংক্ষেপে জানানো হয়, বিদ্যমান সন্ত্রাসবিরোধী আইনে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত কোনো ব্যক্তি বা সত্তার নাম সরকারি গেজেটে প্রকাশ করে ‘তফসিলে তালিকাভুক্ত’ করার সুযোগ থাকলেও, সন্ত্রাসী সংগঠনের কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে কোনো স্পষ্ট বিধান ছিল না। এই আইনি সীমাবদ্ধতা দূর করতে সংশোধিত অধ্যাদেশে সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার বিধান যুক্ত করা হয়েছে।

সংশোধিত অধ্যাদেশ অনুযায়ী, সরকার এখন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যুক্ত কোনো সংগঠন বা সত্তাকে যুক্তিসঙ্গত কারণের ভিত্তিতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে পারবে এবং সেই নিষেধাজ্ঞা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে। শুধু তাই নয়, সংশ্লিষ্ট সংগঠনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং তদন্ত কার্যক্রম আরও গতিশীল করা হবে।

এছাড়া সময়ের পরিবর্তনে সন্ত্রাসী তৎপরতা যেভাবে অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিস্তার লাভ করছে, তা বিবেচনায় এনে এই সংশোধনীতে অনলাইনে সন্ত্রাসে উসকানি, সহায়তা বা প্রচারণা নিষিদ্ধ করার বিষয়টি স্পষ্টভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

সভায় জানানো হয়, দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবিরোধী চুক্তি ও চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই আইনের সংশোধন করা হয়েছে। এটি কার্যকর হলে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ও ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগে নতুন দিক উন্মোচিত হবে এবং জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পথে এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে।

সংশোধিত অধ্যাদেশটি খুব শিগগিরই রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে কার্যকর করা হবে বলে জানা গেছে।

Header Ad
Header Ad

শ্রীলঙ্কায় বাস খাদে পড়ে ২১ তীর্থযাত্রীর মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

শ্রীলঙ্কার মধ্যাঞ্চলে তীর্থযাত্রীবাহী একটি বাস গভীর খাদে পড়ে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২৪ জন। রবিবার (১১ মে) ভোরে দক্ষিণাঞ্চলীয় তীর্থস্থান কাটারাগামা থেকে মধ্যাঞ্চলের কুরুনেগালা শহরের দিকে যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনাটি ঘটে পার্বত্য এলাকা কোটমালার আঁকাবাঁকা সড়কে। দেশটির জ্যেষ্ঠ পরিবহন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাসটি মোড় নেওয়ার সময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে সেটি রাস্তা থেকে ছিটকে গভীর খাদে পড়ে যায়। বাসটিতে ৭০ জনের বেশি যাত্রী ছিলেন, যা তার ধারণক্ষমতার চেয়ে প্রায় ২০ জন বেশি।

ঘটনাস্থলে পাওয়া ছবিতে দেখা যায়, বাসটির ছাদ ছিঁড়ে গেছে, পাশের অংশ থেঁতলে মাটিতে মিশে গেছে এবং বেশির ভাগ সিট ছিটকে পড়েছে। বাসটি গিয়ে পড়ে একটি চা-বাগানে।

পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে যান্ত্রিক ত্রুটি বা চালকের ঘুমিয়ে পড়াকে সম্ভাব্য কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। নিহতদের শনাক্তের কাজ চলছে।

পরিবহন উপমন্ত্রী প্রসন্ন গুনাসেনা বলেন, “আহতদের দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার পরপরই স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার অভিযানে অংশ না নিলে প্রাণহানির সংখ্যা আরও বাড়তে পারত।” তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি সরকার পরিচালিত পরিবহন সংস্থার মালিকানাধীন ছিল।

দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া এক যাত্রী জানান, তিনি সামনের দিকে বসা ছিলেন এবং সামান্য আহত হয়েছেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “বাসটি বাঁ দিকে হেলে যাচ্ছিল। একটি মোড় ঘোরার সময় চালক হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন এবং বাসটি খাদে পড়ে যায়।”

শ্রীলঙ্কায় প্রতি বছর সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় ৩ হাজার মানুষ প্রাণ হারান। দুর্ঘটনাগুলোর বড় একটি অংশ ঘটে দুর্গম ও পাহাড়ি এলাকায়, যেখানে রাস্তাগুলো সরু, ঝুঁকিপূর্ণ ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বিপজ্জনক হয়ে ওঠে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে নতি স্বীকার: তোপের মুখে মোদী
সংগঠন নিষিদ্ধের বিধান যুক্ত করে সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশ অনুমোদন
শ্রীলঙ্কায় বাস খাদে পড়ে ২১ তীর্থযাত্রীর মৃত্যু
আলোচনার টেবিলে ভারত-পাকিস্তান, গুরুত্ব পাচ্ছে সিন্ধু চুক্তি ও কাশ্মির ইস্যু
বাংলাদেশে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের সময় চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ১৪ জন আটক
আ. লীগ নিষিদ্ধ চেয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে বারবার পত্র দিয়েছে বিএনপি : মির্জা ফখরুল
টাঙ্গাইলে গ্রেফতার আতঙ্কে ভাইয়ের জানাজায় অংশ নেননি আ.লীগের দুই নেতা
বিরামপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে বাবার মৃত্যু, ছেলে আহত
নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে অনেক সময় লাগবে: আসিফ নজরুল
রাজধানীতে বিদেশি অস্ত্র-বোমাসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৭ সদস্য গ্রেপ্তার (ভিডিও)
আ.লীগের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে জনগণের কল্যাণে ব্যয়ের দাবি নুরুল হক নুরের
লুঙ্গি-গেঞ্জি-মাস্ক পরে ছদ্মবেশে বিমানবন্দরে যান আবদুল হামিদ
সরকারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে বিএনপির কথা মিলে গেছে: এ্যানি
নিষিদ্ধ কোনো সংগঠনের কর্মকাণ্ড চলবে না: ডিআইজি
টানা চারদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়, নাভিশ্বাস জনজীবনে
ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী, গ্রেপ্তার চাচা
লঞ্চে দুই তরুণীকে বেল্ট দিয়ে মারধর, নেহালসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ভারতে ব্লক পিনাকী, ইলিয়াস, কনক ও জুলকারনাইনের ইউটিউব চ্যানেল
চীন-পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠতায় আফগানিস্তান, ভারতীয় প্রভাব নিয়ে উদ্বেগে নয়াদিল্লি
এলডিসি থেকে উত্তরণে দ্রুত-সমন্বিত পদক্ষেপের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার