মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২৭ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash

নারী জাগরণের অবিস্মরণীয় চরিত্র বিদ্রোহী জমিদার প্যারীসুন্দরী

[আজীবন লড়েছেন মাটি ও মানুষের পক্ষে, দেশমাতৃকার স্বার্থে। অত্যাচারী নীলকরের বিরুদ্ধে গ্রামের সাধারণ মানুষ ও লাঠিয়ালদের নিয়ে তাঁর সংগ্রাম কিংবদন্তিতুল্য। প্রতিপক্ষ ছিল নীলকর টমাস আইভান কেণী, সংক্ষেপে টি আই কেণী। বাংলার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাসে ঐতিহাসিক নীল বিদ্রোহী প্যারীর ভূমিকাকে ‘জোয়ান অব আর্ক’ এর সঙ্গে তুলনা করা যায়। ড. আবুল আহসান চৌধুরী ‘প্যারীসুন্দরী নীলবিদ্রোহের বিস্মৃত নায়িকা’ শিরোনামে এক লেখায় উল্লেখ করেছেন: ‘জমিদার প্যারীসুন্দরী প্রজাদরদি, স্বদেশপ্রাণ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় লালিত এক অসামান্য জননেত্রী।’ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ইতিহাস বিভিন্ন সময়ে লেখা হয়েছে। অত্যাচারী নীলকর, নীলচাষ, নীলবিদ্রোহ এ শব্দগুলো আজও আমাদের মনে বিভীষিকাময় দিনের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। ইতিহাস শুধু অতীতের ফেলে আসা হাসি-কান্না, সুখ-দু:খ, আনন্দ-বেদনার বহি:প্রকাশ ঘটায় না- সাথে সাথে অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যৎ চলার পথের প্রেরণার উৎস ও সঠিক দিশা দিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। কুষ্টিয়ার ইতিহাস যেমন দীর্ঘ তেমনি গৌরবময়।]

 

প্যারীসুন্দরী নীল বিদ্রোহের অবিস্মরণীয় চরিত্র। স্বদেশ প্রেমের অনির্বান শিখাসম এক নাম। জন্ম আনুমানিক ১৮০০ সালে। অবিভক্ত বাংলার নদীয়া জেলার (বর্তমান কুষ্টিয়ার) মিরপুর উপজেলার সদরপুরের জমিদার রামানন্দ সিংহের কনিষ্ঠ কন্যা। মাতা তারা সুন্দরী। অষ্টাদশ শতকের শেষাংশ থেকে ঊনবিংশ শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত এই স্বাধীনচেতা ব্যক্তিত্বসম্পন্ন নারী জীবিত ছিলেন বলে অনুমান করা যায়। পুত্রহীন রামানন্দের দুই কন্যার মধ্যে গোপী বড় (কেউ কেউ বলে থাকেন ব্রজ সুন্দরী) এবং প্যারীসুন্দরী ছোট ও অবিবাহিত। কুমারখালীর রেশম কুঠিতে কাজ করে রামানন্দ সম্পদ করেন এবং নদীয়ার (কুষ্টিয়া) মিরপুর থানার ইসলামপুর ও বেগমাবাদ পরগনা কিনে জমিদার হয়ে বসেন। উত্তরাধিকার সূত্রে গোপী ও প্যারী তাঁরই অধিকার পান। অর্থাৎ মিরপুর উপজেলার সদরপুর এ যে মহিলা জমিদার ছিলেন, তিনিই প্যারীসুন্দরী। তিনিই কুষ্টিয়া অঞ্চলের নীলবিদ্রোহের নেত্রী ছিলেন। প্রতিপক্ষ ছিল নীলকর টমাস আইভান কেণী, সংক্ষেপে টি আই কেণী। ফার্গুসন, শেলি ক্রফোর্ড, স্টিফেনসন, সিম্পসন প্রমুখ অত্যাচারী নীলকরের মধ্যে সর্বাপেক্ষা ভয়ংকর নাম তারই। ১৮৬০ সালে যে নীল বিদ্রোহ দেখা দেয় তা প্রকৃতপক্ষে কুষ্টিয়াতেই শুরু হয়।

 

নীল কমিশনের বারাসাতের ম্যাজিস্ট্রেট অ্যাসলি ইডেন বলেছিলেন, ‘খুন, জখম, দাঙ্গা, ডাকাতি, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ প্রভৃতি এমন কোনো অপরাধ নেই, যা নীলকরেরা করেনি।’ কেণী’র অত্যাচার ছিল এদের চেয়েও মাত্রাতিরিক্ত। যার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান প্যারীসুন্দরী। কেণী’র কাছারি ছিল কুষ্টিয়া শহরের বেকী দালানে, কুঠি ছিল অনতিদূর শালঘর মধুয়ায়। প্যারীসুন্দরীর দেশপ্রেম, প্রজাহিতৈষণার বিপরীতে কেণী’র অন্যায়, অত্যাচার ও নির্যাতনের কাহিনি ঐতিহাসিক গ্রন্থসমূহে দেখা যায়। হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত ‘দ্য হিন্দু পেট্রিয়ট পত্রিকায়’ও এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হয়েছে। সবিশেষ রয়েছে সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেনের ‘উদাসীন পথিকের মনের কথা’ ও রাইচরণ দাসের ‘মনের কথা অনেক কথা’ সবিস্তারে জানার জন্য। প্যারীসুন্দরীর সাহস, বুদ্ধিমত্তা ও দেশপ্রেমের দৃষ্টান্ত গ্রন্থে উদ্ধৃত হয়েছে এভাবে: ‘আমার লাঠিয়াল কুঠি লুট করিয়াছে, দশজনের মুখে এ কথা শুনিয়া আমার সুখবোধ হইতেছে। আমি বাঙালির মেয়ে, সাহেবের কুঠি লুটিয়া আনিয়াছি, ইহা অপেক্ষা সুখের বিষয় আর কি আছে।’ নীলকর কেণী ও জমিদার কন্যা প্যারীসুন্দরীর লড়াই ছিল নাটকীয়তায় পূর্ণ, যা কল্পনার-গল্প-উপন্যাস-নাটকের কাহিনীকেও হার মানায়। ধূর্ততা, শঠতার ফাঁদের বিপরীতে বীরোচিত প্রজ্ঞা ও নৈপুণ্যে মাথা উঁচু করে দেশের জন্য সর্বস্ব দিয়ে নিজেকে উৎসর্গ করার ব্রত বাংলার নীলবিদ্রোহের ইতিহাসে স্বদেশ প্রেমের অনির্বান শিখার মর্যাদা পেয়েছে। প্রজাবান্ধব প্যারীসুন্দরীর জীবন ও কর্ম দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করার মতো, অগ্নিমন্ত্রে দীক্ষিত হওয়ার মতো। যেমন, প্যারী’র দুর্বার বক্তব্য:  ‘যে ব্যক্তি যে কোন কৌশলে কেণীর মাথা আমার নিকট আনিয়া দিবে, এই হাজার টাকার তোড়া আমি তাঁহার জন্য বাঁধিয়া রাখিলাম। ...দুরন্ত নীলকরের হস্ত হইতে প্রজাকে রক্ষা করিতে জীবন যায়, সেও আমার পণ। আমি আমার জীবনের জন্য একটুকুও ভাবি না। দেশের দুর্দ্দশা নিরীহ প্রজার দুরবস্থার কথা শুনিয়া আমার প্রাণ ফাটিয়া যাইতেছে।’ প্যারীসুন্দরীর সঙ্গে সর্বস্ব হারানো জনগণের সর্বাত্মক অংশগ্রহণ ছিল। প্রতি বিঘা জমিতে নীলচাষে খরচ হতো ১০ টাকা, অথচ নীলকরেরা মূল্য দিত সাড়ে তিন টাকা। নদীয়ায় ১৭ হাজার ৬০০ বিঘা জমিতে ৭০০ মণ নীল উৎপন্ন হতো। এর মধ্যে কুষ্টিয়া ছিল প্রথম, যার নেপথ্য ক্রীড়নক ছিল অত্যাচারী নীলকর টি আই কেণী। কেণী ও প্যারীসুন্দরীর বিরোধের সূত্রপাত ‘ভাঁড়ল-পোড়াদহ’ অঞ্চলের ধানের জমিতে জোরপূর্বক নীলচাষ করা নিয়ে। অত্যাচারে অতিষ্ঠ কৃষক, প্রজা, চাষিরা প্যারীসুন্দরীর কাছে দিনের পর দিন প্রতিকারের জন্য নালিশ জানায়। তিনি নায়েব রামলোচনকে লাঠিয়াল বাহিনী নিয়োগ ও আক্রমণের পরামর্শ দেন। কেণীর বাহিনীর কাছে তারা পরাজিত হয়। ভাঁড়ল কুঠি লুণ্ঠিত হয়। কেণীর অত্যাচার বৃদ্ধি পায়। প্যারীসুন্দরী নতুন অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কেণীর কুঠিতে আক্রমণ করেন। কেণী কুঠিতে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। মিসেস কেণী অজস্র কাঁচা টাকা ছড়িয়ে দিয়ে প্যারীসুন্দরীর লাঠিয়ালদের হাত থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করেন। কেণী প্যারীসুন্দরীর বিরুদ্ধে কুঠি লুটের মামলা করেন। ভীত না হয়ে উল্টো গর্ববোধ করেন প্যারীসুন্দরী। কেণীর মাথার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেন এবং মিসেস কেণীকে বালা পরিয়ে বাঙালি বধূ সাজানোর অঙ্গীকার করেন, ক্ষিপ্ত হয়ে কেণী ঘোষণা করেন- যে প্যারীসুন্দরীকে তাঁর কাছে এনে দিতে পারবে তাকে তিনি এক হাজার টাকা পুরস্কার দেবেন এবং প্যারীসুন্দরীকে গাউন পড়িয়ে মেম সাজিয়ে তাঁর কুঠিতে রাখবেন।

শুরু হয় পাল্টাপাল্টি পুরস্কার ঘোষণা ও আক্রমণ। আবারও কেণীর কুঠিতে আক্রমণ করে প্যারী বাহিনী। চতুর কেণী পালিয়ে বাঁচেন। পাহাড়াদার ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশও প্রাণে রক্ষা পায়। দারোগা মোহাম্মদ বক্স খুন হলে তাঁর লাশ প্যারীর লোকেরা খণ্ড-বিখণ্ড করে প্রায় ৫০টি সড়কির মাথায় গেঁথে তা চাঁপাইগাছির বিলে ফেলে দেয়। আবারও প্যারীসুন্দরীর বিরুদ্ধে মামলা হয়। প্রহসনের বিচারে যাবতীয় জমিদারি ইংরেজ সরকার অধিকার করে। গরিব কৃষক, চাষি ও প্রজা নিয়ে অকূলে পড়েন প্যারীসুন্দরী। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে জমিদারি ফেরত পান। কিন্তু ততদিনে তিনি ঋণের ভারে জর্জরিত হয়ে পড়েন, ফলে জমিদারির বিরাট অংশ পত্তনি বন্দোবস্ত করে দেন। গবেষক ড. আবুল আহসান চৌধুরী ‘প্যারীসুন্দরী নীলবিদ্রোহের বিস্মৃত নায়িকা’ শিরোনামে এক লেখায় উল্লেখ করেছেন, ‘প্যারীসুন্দরী প্রজাদরদি, স্বদেশপ্রাণ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় লালিত এক অসামান্য জননেত্রী।’

 

যোগ্যতার বিচারে একসময় অত্যাচারী কেণী নিজেই স্বীকার করেছেন, প্যারীসুন্দরী সব দিক থেকেই তাঁর চেয়ে অগ্রগামী ছিলেন। তাঁর সাহস ও দেশপ্রেমের কাছে তিনি ভীতসন্ত্রস্ত ও শঙ্কিত ছিলেন। তাঁর বক্তব্যে প্রকাশ পেয়েছিল: ‘স্ত্রী লোকের মধ্যে প্যারীসুন্দরীর নাম করিতেও ভয় হয়।’ প্রজাদরদি, মানবহিতৈষী, দেশপ্রেমিক প্যারীসুন্দরী সমকালে বিস্মৃত এক নাম। বিপরীতে টি আই কেণী বর্বর অত্যাচারের প্রতিভূ। কুষ্টিয়া শহরের বেকী দালানের (ক্রিসেন্ট বিল্ডিং) রাস্তাটি লোকমুখে ক্রিসেন্ট রোড এবং কোর্ট স্টেশন মুখী রাস্তাটি এখনও কেণী রোড নামে পরিচিত। প্যারীসুন্দরী নীলবিদ্রোহের ইতিহাসে সংযোজন করেছেন স্বদেশপ্রেমের অনির্বান শিখা। যে ইতিহাসের ব্যপ্তিকাল ১৮৪৯ থেকে ১৮৬০ সাল পর্যন্ত। এই সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ধানের জমিতে জোরপূর্বক নীলচাষে বাধ্য করার নীতি থেকে সরে দাঁড়ায় ইংরেজ সরকার। বিদ্রোহী জমিদার প্যারীসুন্দরী ১৮৭০ সালে মৃত্যুবরণ করেন। নি:সন্তান প্যারীর জমিদারি অংশ চলে যায় তাঁরই জ্ঞাতি তারিণীচরণ সিংহের হাতে। পরের বছর কুষ্টিয়াকে দেয়া হয় মহকুমার মর্যাদা। শুধু নামে নয়, চিরকুমারী প্যারীসুন্দরী জীবন ও কর্মেও ছিলেন দেশপ্রেমের এক অনন্য প্রতীক।

 

বিস্তারিত জানতে: 

ড. মুহম্মদ এমদাদ হাসনায়েন ও ড. সারিয়া সুলতানা, ‘কুষ্টিয়ার ইতিহাস’, দ্বিতীয় সংস্করণ, কণ্ঠধ্বনি প্রকাশনী, কুষ্টিয়া, একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০

 

খুজতে হলে https://www.rokomari.com/search?term=কণ্ঠধ্বনি+প্রকাশনী

লেখক : ইতিহাস গবেষক ও প্রাবন্ধিক ড. মুহম্মদ এমদাদ হাসনায়েন

ই-মেইল: dr.hasnayen@gmail.com

 

Header Ad
Header Ad

অল্প বয়সেই চুল পাকছে? জেনে নিন কার্যকর সমাধান

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে অনেকেই অল্প বয়সেই চুল পাকার সমস্যায় ভুগছেন। এটি শুধুমাত্র বয়স বৃদ্ধির কারণে ঘটে না, বরং খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাত্রা এবং পরিবেশগত কারণও এর জন্য দায়ী হতে পারে। তবে কিছু কার্যকর পদ্ধতি অনুসরণ করলে এ সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

চুল পাকার অন্যতম কারণ হলো মেলানিন উৎপাদন কমে যাওয়া। মেলানোসাইট নামক কোষ চুলের গোড়ায় মেলানিন উৎপন্ন করে এবং চুলের স্বাভাবিক রং ধরে রাখে। কিন্তু এই কোষ নষ্ট হয়ে গেলে বা মেলানিন উৎপাদন কমে গেলে চুল ধূসর বা সাদা হয়ে যেতে পারে। এছাড়া জিনগত প্রভাবও অনেক ক্ষেত্রে দায়ী। যদি পরিবারে কারও অল্প বয়সে চুল পাকার ইতিহাস থাকে, তবে আপনাকেও একই সমস্যার মুখোমুখি হতে হতে পারে।

অপুষ্টি চুল পাকার আরেকটি বড় কারণ। বিশেষ করে, ভিটামিন বি১২, আয়রন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাবে চুল তার স্বাভাবিক রং হারিয়ে ফেলে। মানসিক চাপও চুল পাকার অন্যতম কারণ হিসেবে কাজ করে। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ শরীরের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়, যা চুলের মেলানিন উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

খাদ্যাভ্যাসেরও একটি বড় ভূমিকা রয়েছে চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখার ক্ষেত্রে। প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফাস্ট ফুড ও পুষ্টিহীন খাবার চুলের জন্য ক্ষতিকর। এছাড়া, অতিরিক্ত কেমিক্যালযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার চুলের স্বাভাবিক রং নষ্ট করতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে লিভারের অসুখ, ধূমপান ও মদ্যপানের কারণেও চুল পেকে যেতে পারে।

চুল পাকা প্রতিরোধে কিছু কার্যকর সমাধান গ্রহণ করা যেতে পারে। প্রথমত, লুটিওলিন সমৃদ্ধ ফল ও সবজি খাওয়া দরকার। লুটিওলিন এক বিশেষ অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা চুলের রং ধরে রাখতে সহায়তা করে। গাজর, ব্রকলি, লেটুস, পালংশাক, বিট, বাঁধাকপি, ফুলকপি, আঙুর, আপেল, চেরি, পেয়ারা, স্ট্রবেরি ও পিচ প্রভৃতি ফল ও সবজিতে লুটিওলিন পাওয়া যায়। এটি মেলানোসাইট কোষের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে, প্রদাহ হ্রাস করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

 

ছবি: সংগৃহীত

সঠিক পুষ্টি গ্রহণও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি১২, আয়রন ও অন্যান্য খনিজ উপাদান নিশ্চিত করা প্রয়োজন। প্রাকৃতিক তেলের ব্যবহার যেমন নারিকেল তেল, আমলকি তেল ও মেথি তেল চুল পাকা প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।

মানসিক চাপ কমানোও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত যোগব্যায়াম, মেডিটেশন ও পর্যাপ্ত ঘুম চুল পাকার হার কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া, অতিরিক্ত কেমিক্যালযুক্ত প্রসাধনীর ব্যবহার কমিয়ে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা উচিত।

ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে আমলকি, মেথি বীজ ও কারি পাতার পেস্ট তৈরি করে চুলে লাগালে প্রাকৃতিকভাবে চুল পাকার সমস্যা দূর করা সম্ভব। অল্প বয়সে চুল পাকা অনেকের জন্যই দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে, তবে সঠিক জীবনযাত্রা ও পুষ্টিগুণসম্পন্ন খাবার গ্রহণের মাধ্যমে এটি প্রতিরোধ করা সম্ভব। নিয়মিত যত্ন নিলে আপনার চুলও দীর্ঘদিন কালো ও সুন্দর থাকবে।

Header Ad
Header Ad

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভালো করবে বাংলাদেশ : সিমন্স

ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভালো করার ব্যাপারে আশাবাদী বাংলাদেশ দলের কোচ ফিল সিমন্স। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে শুরু হবে আট দলের এই বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট। সেই লক্ষ্যে মিরপুরে চলছে বাংলাদেশ দলের প্রস্তুতি। অনুশীলনের ফাঁকে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সিমন্স জানান, বাংলাদেশ দলের সামর্থ্য নিয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী এবং ট্রফি জয়ের লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামবে দল।

সিমন্স বলেন, ‘চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের ভালো করার সম্ভাবনা আছে। আমরা সেরা ক্রিকেট খেলতে পারলে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। ট্রফি জেতার ব্যাপারে বিশ্বাস না থাকলে এখানে থাকতাম না।’

তবে তিনি স্বীকার করেন, চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে বাংলাদেশের প্রস্তুতি যথেষ্ট ভালো হয়নি। তার ভাষায়, ‘আমি একমত যে সেরা প্রস্তুতি হচ্ছে না। তবে আমরা সাদা বলের ক্রিকেটের সঙ্গে ছিলাম। এখন আমাদের হাতে ছয় দিনের প্রস্তুতি ক্যাম্প আছে, সেখানে পরিকল্পনা মতো অনুশীলন করব।’

গত অক্টোবরে চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বরখাস্ত হওয়ার পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেন ফিল সিমন্স। আপাতত তার চুক্তি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্তই। এরপর তার ভবিষ্যৎ কী হবে, সেটি এখনো অনিশ্চিত। সিমন্স বলেন, ‘আমি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত আছি। এরপর কী হবে, এখনই বলতে পারছি না।’

Header Ad
Header Ad

সাবেক পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদার আটক

সাবেক পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদার। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদারকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর সোবহানবাগ থেকে তাকে আটক করে ডিবি পুলিশের একটি দল।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, একাধিক মামলার আসামি সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদার। রাজধানীর সোবহানবাগে তার অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর ডিবি পুলিশের একটি দল তাকে আটক করে। তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

অল্প বয়সেই চুল পাকছে? জেনে নিন কার্যকর সমাধান
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভালো করবে বাংলাদেশ : সিমন্স
সাবেক পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদার আটক
এই মুহুর্তে কোন স্থানীয় নির্বাচন নয়, আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন: আহমেদ আযম খান
৪৭ বছরের ইতিহাস ভেঙে অভিষেকেই ব্রিটজকের বিশ্বরেকর্ড
ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার জন্য কাজ করছে সরকার
ডিবি পরিচয়ে ডাকাতি, যুবলীগ নেতাসহ গ্রেফতার ১২
বেনজীরকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ
টাঙ্গাইলে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা ইকবাল গ্রেফতার
ভ্যালেন্টাইনস ডে পালন বিষয়ে যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ
দুদক পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামানকে প্রত্যাহার
স্বামীর টাকায় ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েই ডিভোর্স দিলেন স্ত্রী
গাজীপুরে হামলার ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক, ফাঁকা বাড়িঘর ঝুলছে তালা
রাঘববোয়াল থেকে চুনোপুঁটি কেউ ছাড় পাবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
অবহেলার কারণে কেউ হজে যেতে না পারলে দায় এজেন্সিকেই নিতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
আমরা অফিশিয়ালি কোনো প্রার্থী ঘোষণা করিনি: জামায়াত আমির
আন্দোলনে শহীদদের পরিবার প্রতি মাসে পাবে ভাতা
কুড়িগ্রাম সীমান্তে শূন্যরেখায় বিএসএফের সিসি ক্যামেরা, বিজিবির কড়া প্রতিবাদ
সালমান, আনিসুল, পলক ও শমসের মবিনের ফের রিমান্ড মঞ্জুর
গোবিন্দগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু