রবিবার, ৫ মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ভ্যান প্লাজা

হতে পারে পোশাকের ব্র্যান্ড নেম ‘ভ্যান প্লাজা’। পোশাক নয় শুধু বহুবিধ পণ্যের এক ভ্রাম্যমাণ ক্রয়কেন্দ্রের নামও হতে পারে। হতে পারে চা-কফি-রুটি-সবজির ব্র্যান্ড নেম। ঢাকা শহরের সবচেয়ে সহজ কেনাকাটার জায়গা ‘ভ্যান প্লাজা’। রিকশা ভ্যানে দোকান। বেশি চলে পোশাক আশাক। পৃথিবীর সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ডের পোশাক ভ্যান প্লাজায় সবচেয়ে সস্তায় পাওয়া যায়।

যদি বলা হয় ‘ঢাকা দ্য সিটি অব ভ্যান প্লাজা’ তাতে বিন্দুমাত্র ভুল হবে না। অনেক বহুত্বকে ছাপিয়ে ভ্যানের দোকান এখন সবচেয়ে এগিয়ে। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের সঙ্গে মিশে গেছে ভ্যানের দোকান। প্রতিদিন সকালে আমি যার কাছ থেকে সবজি কিনি, তার নাম সাজু। সাজুর বাড়ি পাবনার ঈশ্বরদী। সকালে কারওয়ান বাজার থেকে সবজি এনে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় দাঁড়ান। তার নিয়মিত গ্রাহক গোটা বিশেক পরিবার। নয়টা থেকে এগারোটার মধ্যে সবজি শেষ হয়ে যায়। সাজু এখন শুধু ভ্যান নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন না, গ্রাহকদের বাসায় বাসায় ছেলেকে পাঠিয়ে চাহিদা নিয়ে আসেন। বিকেলে সাজু হয়ে ওঠেন ব্যস্ত এক চটপটিঅলা। তার চটপটির দোকানটিও একটি ভ্যান। সুসজ্জিত। চারদিকে কাঁচে ঘেরা উপরে ছাউনি। সবচেয়ে মজার ব্যাপার, সাজু তার ভ্যান দিয়ে দোকানকে টেক্কা দিয়েছেন। যেখানে চটপটি বিক্রি করেন, তার সামনেই তার দুটি দোকান ভাড়া নেওয়া আছে। দোকানে চেয়ার টেবিল সাজানো আছে। কাস্টমার বসানোর জন্য। সাজুর হিসাব, ভ্যানই তার বাণিজ্যের কেন্দ্র। দোকানে এমন ব্যবসা সম্ভব নয়। দোকান দোকোনদারকে কখনো কখনো ঝিমিয়ে দেয়।

তেজগাঁও এলাকায় নাবিস্কো বিস্কুট ফ্যাক্টরির অপর পাশের বটতলার নীচে অনেকগুলো ভ্যানদোকান। যে দোকানগুলোতে চা-সিগারেট বিক্রি হয়, সেগুলো জড়ো জীবনের মতো হয়ে গেছে। ভ্যানগুলো সে অর্থে আর চলে না। অনেকটা স্থায়ী কাঠামোর মতো। এখানেই চালু এক ভ্যানে পোশাক বিক্রি করতেন রশিদ নামের এক তরুণ। টানা পাঁচ ছয় বছর দেখছি। তেমন বিক্রি হতে দেখতাম না। কিন্তু ওই ভ্যানের উপার্জনে রশিদ ঢাকা শহরে বাসা ভাড়া দিয়ে সংসার যাপন করতেন অনায়াসে। করোনোকালে বিক্রি বাট্টা কমে গেলে রশিদ ফরিদপুরে চলে গেছেন। সেখানে ব্যবসা জমিয়ে নিয়েছেন।

ভ্যানের ব্যবসায়ীরা দাঁড়িয়ে থাকেন। শারীরিক শ্রম থাকে। চাঞ্চল্য থাকে। দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে অভ্যস্থতা তৈরি হয়ে যায়। শ্রমের ভেতর দিয়ে নিষ্ঠা চলে আসে। নাখালপাড়া ব্যাংকার্স রো’র সামনে এক তরুণ বহুদিন ধরে ভ্যানে ডাব বিক্রি করছে। দোকান ভাড়া নেই, কিন্তু কিছু জায়গা সে দখল করছে। যদি কেউ বাঁধা দেয়, সে যখন তখন সরে যেতে পারবে। চালু ভ্যান হলে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় দ্রুত স্থানান্তরের সুযোগ থেকে যায়।

জনবহুল ঢাকা শহরে ভ্যানের ব্যবসায়ীরা একেকটি জায়গায় কিছুটা থিতু হওয়ার অনুমতিও পায়। শোনা যায়, নেতা ও পুলিশে কিছু টাকা দিলে এই সুযোগ চলে আসে। ঢাকা সিটি করপোরেশনেরও ভ্যানের ব্যবসা বিষয়ক একটি কর্মসূচি আছে। যারা সিটি করপোরেশনের অনুমোদিত ভ্যানের ব্যবসায়ী, তারা এক ধরনের স্থায়ী ব্যবসায়ীর শক্তি সংরক্ষণ করেন।

ঢাকা শহরের অনেক বাজারের সামনে ভ্যান প্লাজার এক স্থায়ী অবস্থান দেখা যায়। একসময় চালু ভ্যান দিয়ে শুরু হলেও পরে ভ্যানের অস্তিত্ব থাকে না। একটি টেবিলের মতো বসানো হয়। সেটিই হয়ে ওঠে দোকান। বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের প্রবেশ মুখে ফুটপাতজুড়ে অসংখ্য দোকান। জুতা, শার্ট, প্যান্ট থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় খুঁটিনাটি জিনিসের পসরা বসে এসব দোকানে। ভালো বেচা-কেনা হয়। ভ্যানে তাৎক্ষণিক ডিম পিঠা বানানোর কয়েকটি দোকানও থাকে এখানে। দোকানগুলো বিক্রির অবস্থা বুঝে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরে যায়।

অসাধারণ এক ‘ভ্যান প্লাজা’র শহর এই ঢাকা। ভ্যানে আকর্ষণীয় পণ্য সামগ্রী পাওয়া যায়। মোবাইলের নানা উপকরণ থেকে শুরু করে পোশাক সামগ্রী, জুতা, অফিস স্টেশনারি, সবজি, ফল, মুখরোচক খাদ্য সবই। এলইডি আলোর যুগে সন্ধ্যা নামলে এক স্বপ্নিল আলো জ্বেলে জামা কাপড়ের পসরা সাজান কেউ কেউ। জনসমাগম হলে কয়েকঘন্টায় মাল শেষ হয়ে যায়। মতিঝিল এলাকায় ভ্যানের পোশাক পরেন না কে। ব্যাংক-বীমা প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন থেকে শুরু করে যে কোনো পেশাজীবন অপেক্ষাকৃত সস্তায় শার্ট প্যান্ট পেয়ে যান ভ্যানে। এটি এক আশীর্বাদের মতো ব্যাপার। তৃণমূল জীবন-জীবিকার এক গভীর পর্যবেক্ষক কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ বলেন, ‘মানুষ এখন পোশাক পরে তার রুচি ও পছন্দ বিবেচনা করে। শুধু প্রয়োজন বা চাহিদার ব্যাপার নয় এটি। সবারই প্রয়োজনের অতিরিক্ত পোশাক আছে।’ নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের জন্য এই সত্য মিলে যাওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা রয়েছে ভ্যান প্লাজার।

বাংলাদেশ পোশাক শিল্পের দেশ। এই কারণেই ভ্যানে ভ্যানে পাওয়া যায় পৃথিবীর সেরা ব্র্যান্ডের পোশাক। কেউ বলেন, এগুলো বাতিল শিপমেন্টের মাল। কেউ বলেন, এক্সপোর্টের কপি। তবে বাস্তবতা হলো–পোশাকের মান নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। একটু দেখে-শুনে নিলে নিখুঁত মাল পাওয়া যায়। অনেক বড় বড় মানুষ ভ্যানের পোশাক পরেন। একই মানের পোশাক নিয়ে ঢাকা শহরে অনেকগুলো পোশাক ব্র্যান্ড দাঁড়িয়ে আছে। তারা ভ্যানের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি দামে পোশাক বিক্রি করে। একই পোশাক।

যারা গ্রাম ছেড়ে নানা যৌক্তিক কারণে ঢাকা শহরে পাড়ি জমায়, তাদের সবাই নিশ্চিত কাজের সন্ধান পান না। যারা রিক্ত হাতে আসেন তারা রিক্সা চালান। শ্রমিকের কাজ খুঁজে নেন। যাদের সামান্য টাকা থাকে তারা ব্যবসা খুঁজে বেড়ান। এই জনবহুল শহরে যে কোনো পণ্য নিয়ে যে কোনো জায়গায় বসলেই বিক্রি হয়। ব্যবসা জমে উঠে। যে কোনো ফুটপাত থেকে শুরু করে ফুটওভার ব্রিজ পর্যন্ত সবখানেই ব্যবসায়ীর ভীড় থাকে। এর ভেতরে বহু সফল ব্যবসায়ী রয়েছে। বহু সাফল্যের গল্প রয়েছে। যারা বিন্দু বিন্দু শিশির জমিয়ে অর্থবিত্ত করেছেন। এসব জায়গায় হতাশ চোখে তাকাত অনেকেই; কিন্তু ভেতরের আশার জায়গাটি দেখতে পেলে চোখ জ্বলজ্বল করে উঠবে।

এই ভাসমান ও ভ্যানের ব্যবসায়ী ও তাদের অর্থনীতি নিয়ে অনেক কিছু করা যেতে পারে। সরকার বিষয়টি নিয়ে ভাবতে পারে। প্রতিটি এলাকার সকল ভ্যান ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি ডাটাবেইজ তৈরি করা যেতে পারে। সপ্তাহের একেকটি দিন বড় কোনো খোলা জায়গা দেখে জমানো যেতে পারে ‘ভ্যান প্লাজা’। সেখানে পণ্যের মান নিশ্চিত করা থেকে শুরু করে ক্রেতার জন্য দেওয়া যেতে পারে বিশেষ অফার। পণ্যের মান বজায় রাখার জন্য পুরস্কৃত করা যেতে পারে ব্যবসায়ীকে। তাদের জন্য বিশেষ ঋণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। পৃথিবীর বড় বড় ব্র্যান্ড সম্পর্কে ধারণা তৈরির জন্য তাদের প্রশিক্ষণসহ নানারকম কার্যক্রম গ্রহণ করা যেতে পারে।

জনসংখ্যা, আবাসন আর রাস্তা অবকাঠামোর চাপে দ্রুত জায়গা ফুরিয়ে আসছে এই শহরের। শহরবাসীর সবকিছুর জন্য জায়গা ব্যবস্থাপনা করা কঠিন হয়ে পড়ছে। এ কথা ভাবা অসম্ভব নয় যে, একসময় মানুষের চাপ সামলাতে শপিং মল ছেড়ে দিতে হবে আবাসনে। বন্ধ করে দিতে হবে দোকান। তখন ভ্রাম্যমান দোকান ও মার্কেটই হতে পারে ভরসার জায়গা। অনলাইনের পাশাপাশি ভ্যানের বাজারই তখন সবচেয়ে গুরুত্ব পাবে। রিক্সা ভ্যানের জায়গাতে বড় বড় কার্গো ট্রাকগুলো হয়ে উঠবে একেকটি দোকান। পণ্যে ঠাসা দোকান। টিসিবির ট্রাকের মতো একেকটি পণ্য বোঝাই ট্রাক নির্দিষ্ট সময়ে একেকটি জায়গায় দাঁড়াবে। তারপর চলে যাবে। এমন দোকান চালু করা গেলে বহু ফাঁকা জায়গা বের হবে। জনাকীর্ণ মোড়গুলোতে স্থায়ীভাবে গেড়ে বসা দোকান তুলে দেওয়া যাবে। শহরকে আরও সুন্দর করে সাজানো যাবে। ভ্যানের দোকানকে ঘিরে নগর পরিকল্পনাবিদরা দেখুক অনেক বড় স্বপ্ন। স্বপ্ন দেখুক রাষ্ট্র ও সরকার।

লেখক: সাংবাদিক

এসএ/

Header Ad

মিল্টন সমাদ্দারের মানবিকতার আড়ালে প্রতারণা, যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন

ছবি: সংগৃহীত

হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা অনিয়মের প্রতিবাদ ও মানবিক স্টোরি তুলে ধরে ব্যাপক আলোচনায় আসেন এই সংসদ সদস্য।

বর্তমানে এমপি হলেও আগের মতো নানা ইস্যুতে আওয়াজ তুলেন ব্যারিস্টার সুমন। সেই ধারাবাহিকতায় মানবিকতার আড়ালে ভয়ংকর প্রতারক মিল্টন সমাদ্দারকে নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন তিনি।

মিল্টন সমাদ্দার মানবিক কাজ দিয়ে জনপ্রিয় হয়েছিলেন। বর্তমানে তার মানবিক কাজগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে, এ বিষয়ে কী বলবেন? জবাবে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, একটা বিষয় আমাদের মনে রাখা উচিৎ, যারা মানবিক কাজ করে মুখ দিয়ে নয়, হৃদয় দিয়ে করে। মুখ দিয়ে মানবিক কাজ করলে নানা প্রশ্নবিদ্ধ হবে কিন্তু হৃদয় থেকে করলে তাকে কেউ আটকাতে পারবে না।

মানবিক কাজগুলো প্রশ্নবিদ্ধ হলে সমাজে কী নীতিবাচক প্রভাব ফেলে না? এমন প্রশ্নের জবাবে এই সংসদ সদস্য বলেন, সমাজে নীতিবাচক প্রভাব ফেলতে ফেলতে এই পর্যায়ে আমরা দাঁড়িয়েছি। আর পেছনের যাওয়ার সুযোগ নেই, সামনের দিকে যেতে হবে। আমরা নষ্ট হওয়ার শেষ পেরিয়ে গেছি। এর থেকে বেশি নষ্ট হওয়ার সুযোগ নেই।

প্রসঙ্গত, দুস্থ, অসহায় ব্যক্তিদের আশ্রয় ও সাহায্যের মতো মানবিক কাজের কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচিত পান মিল্টন সমাদ্দার।

সম্প্রতি গণমাধ্যমে এসব কাজের আড়ালে তার নানা অন্যায়-অনিয়মের অভিযোগ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এরপর বুধবার এই মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

তার বিরুদ্ধে ডেথ সার্টিফিকেট জালিয়াতি, মানবপাচার, আশ্রয় দেওয়া অসহায়, দুস্থ ব্যক্তিদের মৃত্যুর পর তাদের কিডনি বিক্রি, জমি দখলসহ নানা অভিযোগ উঠেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে: ইরান

ছবি: সংগৃহীত

চলমান ছাত্র বিক্ষোভে দমন-পীড়ন ও ধরপাকড়ের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের মুখ থেকে ভণ্ডামির মুখোশ সরে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি। শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স বার্তায় এই মন্তব্য করেন তিনি। খবর ইরানি গণমাধ্যম ইরনার

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ দমন প্রসঙ্গে কানানি বলেছেন, বাকস্বাধীনতা ও মানবাধিকারের মিথ্যা রক্ষকদের মুখ থেকে ভণ্ডামির মুখোশ সরে গেছে। তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনপন্থি ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ঠেকাতে দমন-পীড়নকে ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য সত্যকে বিকৃত করে শিক্ষার্থী ও একাডেমিক কর্মীদের প্রকৃত ক্ষোভ ও তাদের প্রতিবাদকে ইহুদিবিদ্বেষ হিসাবে বর্ণনা করছে মার্কিন সরকার।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের হামলার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক ডজন বিশ্ববিদ্যালয় উত্তাল। বিভিন্ন কর্মসূচির পাশাপাশি ক্যাম্পাসে তাঁবু টানিয়ে অবস্থান করছেন শিক্ষার্থীরা। এর জেরে ক্লাস-পরীক্ষা বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। সে সঙ্গে ক্যাম্পাসে পুলিশ ডাকতেও বিন্দুমাত্র পিছপা হননি তারা।

এমনকি পুলিশ এসে শান্তিপূর্ণ শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হয়েছে। গ্রেফতার করেছে দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে। তবে এতকিছু করেও শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমাতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা পুলিশ প্রশাসন। উলটো তা আরও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি মার্কিন শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ছাড়িয়ে এখন বৈশ্বিক রূপ ধারণ করেছে।

নিজের মান ইজ্জত রক্ষা করুন, মন্ত্রী-এমপিদের প্রতি ইসি রাশেদা

ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, যেকোন মূল্যে উপজেলা নির্বাচন হবে প্রভাবমুক্ত। সরকারের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রভাবশালীরা এই নির্বাচনে প্রভাব খাটালে কমিশন প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে বিধিবিধান অন্যুায়ী ব্যবস্থা নিবে।

শনিবার দুপুরে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে রাজশাহীর চার জেলার প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাশেদা সুলতানা একথা বলেন।

রাশেদা সুলতানা বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি পছন্দের প্রার্থী পক্ষে নেক দৃষ্টি দিয়ে সরকারের অতি সুবিধাভোগি কিছু ব্যক্তিরা (মন্ত্রী-এমপি) এ নির্বাচনে প্রভাব খানাটোর চেষ্টা করছেন। ওই সমস্ত পদে যারা আছেন তাদের প্রতি অনুরোধ করবো- দয়া করে আপনারা আপনাদের জায়গায় থাকেন। আপনি এলাকার ভোটার আপনি আসবেন ভোট দিবেন চলে যাবেন। আপনি যে পর্যায়ে আছেন- আপনি আপনার মান ইজ্জত রক্ষা করবেন। আপনার ইজ্জত আপনি যদি রক্ষা না করেন তাহলে কিন্তু যে কোন মুহুর্তে বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে। এর দায় কিন্তু আমরা নিব না। আপনাই সেটা বহন করবেন। আপনারা নিজের মর্যাদায় আসিন থেকে দ্বায়ীত্ব পালন করবেন।

প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে ইসি রাশেদা সুলতানা আরও বলেন, ভোটারবিহীন নির্বাচনের সৌন্দর্য নেই, গ্রহনযোগ্যতা নেই, আনন্দও নেই। ১০ শতাংশ ভোট পেয়ে যেতা আর ৮০ শতাংশ ভোট পেয়ে জেতার মধ্যে প্রার্থক্য আপনারাই বুঝতে পারবেন। তাই আপনার চিন্ত করেন, পরিবেশ নষ্ট করে ১০ শতাংশ ভোটে জিততে চান ভোটার না এনে; ৮০ শতাংশ ভোটে জিততে চান। আপনাদের উপর এই ভারটা ছেড়ে দিলাম সিদ্ধান্ত নেয়ার।

ইসি বলেন, ভোটের দিন কোন রকম উশৃঙখলতা, বিশৃঙখলাতা, সহিংস আচরণ, ভোট কেন্দ্র দখল করার মত কোন দুঃসাহস করবেন না। আপনার অবৈধভাবে যে ব্যালটই রাখেন না কেন আমাদের কাছে তথ্য গেলে প্রমান পেলে সেই ভোট বাতিল করে দিব যেকোন মুহুর্তে। আর অসাধুচারণ করেন, আচরন বিধি ভঙ্গ করেন আমরা কিন্তু নির্বাচনের মুহুর্তেও প্রার্থীতা বাতিল করে দিব। ভোটের দিন যে কোন নৈরাজ্য মূলক আচরণ করলে আমরা কিন্তু নির্বাচন স্থগিত করবো, নির্বাচন বাতিল করবো, প্রার্থীতা বাতিল করবো।

তিনি আরও বলেন, গনতন্ত্রের মূল ভিত্তি হচ্ছে নির্বাচন। তাই নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয় সেজন্য নির্বাচন কমিশন কাজ করে যাচ্ছে। জনগনের মনে যেন গেঁথে থাকে এমন একটি নির্বাচন হবে এবার। তাই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কমিশন চায় না।

নির্বাচনে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের উদেশ্যে রাশেদা সুলতানা বলেন, কোন প্রার্থী জিতল কোন প্রার্থী জিতল না এ নিয়ে ইসির কোন মাথা বেথা নেই। নির্বাচন কমিশনের একটি নির্দেশনা, আপনার সব প্রার্থীকে সমান চোখে দেখবেন, নিরপেক্ষতার সাথে দেখবেন, যে হাঙ্গামা করবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন। তবে কমিশনার নির্দেশনা যিনি প্রতি পালন করবেন না তার দায়দায়িত্বও তিনি নিবেন। আপনাদের কৃতকর্মের দায় কমিশন বহন করবে না।

রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও জয়পুরহাটের উপজেলার প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী ও কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।

সর্বশেষ সংবাদ

মিল্টন সমাদ্দারের মানবিকতার আড়ালে প্রতারণা, যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন
যুক্তরাষ্ট্রের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে: ইরান
নিজের মান ইজ্জত রক্ষা করুন, মন্ত্রী-এমপিদের প্রতি ইসি রাশেদা
উদ্যোক্তারাই দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারী : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
টানা ৬ দিন হতে পারে ঝড়বৃষ্টি জানাল আবহাওয়া অফিস
সেই ভাইরাল নেতা পাকিস্তান জামায়াতের আমির নির্বাচিত
টানা ৮ দফা কমার পর বাড়ল স্বর্ণের দাম
দিয়াবাড়ির লেক থেকে ২ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীবাসীর জন্য সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস
মক্কায় প্রবেশে আজ থেকে কঠোর বিধি-নিষেধ
‘দাদাসাহেব ফালকে’ পুরস্কার জিতলেন মিথিলা
ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো বগুড়ার আলু ঘাঁটি উৎসব
টাঙ্গাইলে পাগলা কুকুরের কামড়ে শিশুসহ ২২ জন আহত
১৭ রোগীকে হত্যার দায়ে মার্কিন নার্সের ৭৬০ বছর কারাদণ্ড
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে ছাত্রলীগের কর্মসূচি ঘোষণা
দুবাইয়ের ‘গোল্ডেন ভিসা’ পেলেন শাকিব খান
সুন্দরবনের গহীনে ভয়াবহ আগুন, ছড়িয়েছে দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে
স্কুলে দেরি করে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ
আইপিএলের প্লে অফের দৌড়ে এগিয়ে কারা?
আবারও বাংলাদেশে প্রবেশ করল মিয়ানমারের ৪০ বিজিপি সদস্য