রবিবার, ১৯ মে ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

বৈষম্য বিরোধী আইনের ত্রুটি দূর হোক

একজন মানবাধিকার কর্মী হিসেবে বৈষম্য বিরোধী আইন প্রণয়ন আমাদের দীর্ঘকালের দাবি। বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠন, মানবাধিকার কর্মী–সবারই দাবি ছিল এরকম একটি বৈষম্য বিরোধী আইন প্রণয়নের। মানবাধিকার কমিশনের দায়িত্বে থাকার সময় আমরা বাংলাদেশ লিগ্যাল সার্ভিসেস ট্রাস্ট, আইন ও সালিশ কেন্দ্র, নাগরিক উদ্যোগ, আদিবাসী ফোরাম, আইন কমিশনের মতো সংস্থার সঙ্গে মিলে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করে একটি খসড়া করেছিলাম। সবকিছু বিচার বিবেচনা করে পরবর্তী সময়ে আইন কমিশন থেকে সেটিকে চূড়ান্ত রূপ দেওয়া হয়েছিল এবং জাস্টিস এবিএম খায়রুল হক নিজের হাতে আইনটিকে চূড়ান্ত রূপ দিয়েছিলেন।

২০১৪ সালের দিকে আমরা খসড়াটি আইন মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছিলাম। আমরা তখন থেকেই চেয়েছিলাম যে, একটি আইন হোক এবং সেটি জাতীয় সংসদে নিয়ে যাওয়া হোক। দীর্ঘকাল যাবৎ আইনটি ফেলে রাখা হয়েছিল। সন্দেহ দেখা দিয়েছিল, আদৌ আইনটি আলোর মুখ দেখবে কি না। আবার তারা নতুন করে কাজটি শুরু করেছে। যেহেতু আইনটি উত্থাপিত হয়েছে সংসদে, আমরা অবশ্যই পুলকিত, আনন্দিত। সাধুবাদ জানাই। তবে একই সঙ্গে আমাদের একটি উৎকণ্ঠা আছে। যে খসড়াটি আমরা করেছিলাম, সেখানে একটি জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টি হয়েছিল–যে কোনো ধরনের বৈষম্যকে ‘শাস্তিযোগ্য অপরাধ’ হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। তবে যে খসড়াটি এখন উত্থাপিত হয়েছে, সেখানে কিন্তু ‘শাস্তিযোগ্য অপরাধ’ হিসেবে রাখা হয়নি।

আমরা চেয়েছিলাম–আমি যদি বৈষম্যের শিকার হই, একজন নাগরিক হিসেবে এর প্রতিকার পাওয়া আমার মৌলিক অধিকার। আমি যে বৈষম্যের শিকার হয়েছি, এতে আমার মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে। সুতরাং আমি আইনের আশ্রয় গ্রহণ করতে পারব এবং আমি মামলা করতে পারব। বর্তমান খসড়ায় একজন ভুক্তভোগী সরাসরি আইনের আশ্রয় নিতে পারছেন না। মাঝখানে আমলাতান্ত্রিক একটা কূটকৌশল রেখে দেওয়া হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে বৈষম্য দেখভাল কমিটি। আমি যখন বৈষম্যের শিকার, তখন আমার কতটুকু ব্যথা সেটি আমার থেকে বেশি কী করে বুঝবেন ওই কমিটির লোকজন।

অথচ আইনে বলা আছে, বৈষম্যের শিকার হলে আমি তার কাছে যাব, তাকে বলব–আমার সঙ্গে অন্যায় হয়েছে, আমি আইনের আশ্রয় চাই। আমার কতটুকু ব্যথা সেটি আমার চেয়ে বেশি বুঝতে হবে ওই আমলাকে। এখন কমিটি যদি মনে করে, বৈষম্যের শিকার হয়েছে, তখন তাদের উপস্থিতিতে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হবে। এর অর্থ হলো–আইনে থাকছে দীর্ঘসুত্রিতা। সেই সঙ্গে হয়রানির একটি সুযোগ রেখে দেওয়া হয়েছে। এগুলো একটি অধিকারকে সুরক্ষিত না করার কূটকৌশল।

এত বছর পর যে আইনটিকে আনা হলো, সেটিকে আমরা আরও ভালো অবস্থায় দেখতে চেয়েছিলাম। এমন বেশকিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি আছে, সেগুলো আইনটিকে একদমই অকার্যকর করে দিতে পারে। আমরা আশা করি, সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং সরকার যেসব ত্রুটি-বিচ্যুতি আছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করে, ত্রুটিমুক্ত করে, সংশোধন করা হবে। এর মধ্য দিয়ে আমরা আগে যেভাবে অপেক্ষাকৃত ভালো আইন করেছিলাম, আমরা যেভাবে এগিয়ে গিয়েছিলাম, যেখানে সাবেক প্রধান বিচারপতি সন্তুষ্ট হয়েছিলেন, সেরকম একটি পরিশীলিত আইন প্রণয়ন করতে পারি।

আমি আশা করব, সত্যিকার অর্থেই বৈষম্যমূলক আচরণ দূর হয়ে সবাই সমভাবে নাগরিক অধিকার ভোগ করবে। রাষ্ট্রের ইচ্ছা এবং রাজনৈতিক অঙ্গীকার যদি থাকে, তাহলে আইনটি ফলপ্রসূ হবে বলে বিশ্বাস করি। একই সঙ্গে নাগরিক সমাজ, শিক্ষক, মিডিয়া, বিভিন্ন ধরনের সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমাদের সবারই দায়িত্ব আছে। সামাজিক বৈষম্য আমাদের অনেকদিনের সমস্যা। জাতি, ধর্ম, গোত্র, বর্ণ, শ্রেণি নির্বিশেষে বৈষম্য ছিল এবং আছে। কাজেই গণমানুষের সরকার, স্বাধীনতার সপক্ষের সরকার, সাধারণ মানুষের স্বার্থ রক্ষার্থে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে বৈষম্য দূর করবে–এটিই প্রত্যাশা।

লেখক: সাবেক চেয়ারম্যান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও অধ্যাপক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

এসএ/

Header Ad

ভারতে গিয়ে নিখোঁজ ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য

ছবি: সংগৃহীত

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছেন। দু’দিন ধরে তাকে ফোনে বা কোনো মাধ্যমে না পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা। গত ১১ মে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম চিকিৎসার জন্য ভারতের কলকাতায় যান বলে জানিয়েছে তার পরিবার।

এদিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) আব্দুর রউফ। ইত্তেফাককে তিনি জানান, গত ১১ মে চিকিৎসার জন্য গেদে বর্ডার হয়ে ভারতে গিয়েছিলেন তিনি। সবশেষ গত বৃহস্পতিবার (১৬ মে) কথা হয়েছে। এরপর থেকে সব প্রকার যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

তিনি বলেন, তিন দিন পার হলেও পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে পারেননি। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে অবগত করা হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা বিভাগ বিষয়টি তদারকি করছে।

সংসদ সদস্যের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস গণমাধ্যমকে বলেন, গত দুদিন ধরে আমার আব্বুর সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে পারছি না। আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। তবে সব ধরনের চেষ্টা করছি। সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে জানানো হয়েছে। প্রয়োজন হলে আমরা পরিবারের লোকজন কলকাতা যাব।

একটি সূত্রে জানা গেছে, তিনি চিকিৎসার জন্য কলকাতায় গিয়ে কোনো হোটেলে না উঠে মন্ডলপাড়া লেন বড় নগরের তার পূর্ব পরিচিত একটি বাড়িতে উঠেন। তিনি যে বাড়িতে উঠেছিলেন সেই বাড়ির মালিক কলকাতা বড় নগর থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। তার একটি কপি কলকাতার উপ-হাইকমিশন পাঠানো হয়েছে। এরপর কলকাতা পুলিশ নড়েচড়ে বসেছেন এবং তাকে খোঁজার জন্য একটি টিম তৈরি করেছেন।

এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আবু আজিফ জানান, সংসদ সদস্যের নিখোঁজ থাকার খবর লোকমুখে শুনেছি। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ থানায় কোনো অভিযোগ করেনি।

কালীগঞ্জ পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম আশরাফ বলেন, এখন পর্যন্ত তার কোনো সংবাদ আমরা পাইনি। ভারতে লোক পাঠানো হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা কলকাতার বাংলাদেশি দূতাবাসে আছেন। আমরা চেষ্টা করছি তার খোঁজ করার।

উল্লেখ্য, আনোয়ারুল আজীম আনার ঝিনাইদহ-৪ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য। তিনি ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে টানা ৩ বার আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

কালশীতে পুলিশ বক্সে আগুন দিল অটোরিকশাচালকরা

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মিরপুরের কালশীতে এবার ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আগুন দিয়েছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালকরা।

রোববার (১৯ মে) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কালশী মোড়ে অবস্থিত ট্রাফিক পুলিশের বক্সে আগুন দেয় বিক্ষোভকারীরা।

পল্লবী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেসুর রহমান জানান, কালশী মোড়ে অবস্থিত একটি ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আগুন দিয়েছে অটোরিকশাচালকরা। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

এর আগে কালশীতে সড়ক অবরোধ করে অটোরিকশাচালকরা রাস্তা অবরোধ করেন। এতে সড়কের দুই দিকে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এর আগে হাইকোর্টের আদেশের পর মিরপুর এলাকা থেকে অটোরিকশা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদে অটোরিকশাচালকরা মিরপুর-১০, মিরপুর-১ ও আগারগাঁও এলাকার সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভে মিরপুরজুড়ে তীব্র যানজট শুরু হয়েছে। ক্রমেই তা আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে।

‘পৃথিবী থেকে বিদায়,ভালো থাকো সবাই, সব শেষ আমার’ লিখে ফেসবুকে পোষ্ট দিয়ে যুবকের আত্নহত্যা

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর সাপাহারে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে তৌফিক হোসেন (২০) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। রবিবার (১৯ মে) দিবাগত ভোর ৫ টার দিকে যে কোন সময় নিজ বাড়ির মাটির ঘরের তালের তিরে মায়ের ব্যবহৃত ওড়নায় ঝুলিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।

নিহত তৌফিক হোসেন উপজেলা সদর ইউনিয়নের জয়পুর মাষ্টারপাড়া এলাকার মোস্তফার ছেলে। খবর পেয়ে পুলিশ রবিবার সকালের দিকে লাশ উদ্ধার করে।

নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তৌকির পারিবারিক কলহের কারণে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে বলে জানা যায়। আত্মহত্যার আগে তৌকির তার ফেসবুক আইডিতে লিখেন- ‘পৃথিবী থেকে বিদায়,ভালো থাকো সবাই, সব শেষ আমার।’

বিষয়টি নিশ্চিত করে সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পলাশ চন্দ্র দেব ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘ফেসবুকের স্ট্যাটাস দেখে বিষয়টি প্রাথমিকভাবে পারিবারিক কলহের কারণ বলে মনে হয়েছে। হয়তো পরিবারের সদস্যদের সাথে কোন ধরনের মান অভিমান ছিল। যার কারনে অভিমান থেকেই তৌফিক আত্নহত্যা করে থাকতে পারেন।’

ওসি আরও বলেন, ‘নিহত তৌফিক এর পরিবার বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ দাফন করার জন্য আবেদন করেছিল। পরিবার থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় মরদেহ রবিবার দুপুরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

সর্বশেষ সংবাদ

ভারতে গিয়ে নিখোঁজ ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য
কালশীতে পুলিশ বক্সে আগুন দিল অটোরিকশাচালকরা
‘পৃথিবী থেকে বিদায়,ভালো থাকো সবাই, সব শেষ আমার’ লিখে ফেসবুকে পোষ্ট দিয়ে যুবকের আত্নহত্যা
মেট্রোরেলের উত্তরা-টঙ্গী রুটে হবে পাঁচ স্টেশন
টাঙ্গাইলে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে পড়ে প্রাণ হারালো রাজমিস্ত্রী
পৃথিবীতে ধেয়ে আসতে পারে আরও ভয়ানক সৌরঝড়
পাকিস্তানে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ১৪ জন নিহত
স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ঈদের আগেই মসলার বাজার গরম, ডলারের মূল্যবৃদ্ধির অযুহাত ব্যবসায়ীদের
বান্দরবানে সেনাবাহিনীর অভিযানে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত
বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা কংগ্রেসের ভোটব্যাংক : অমিত শাহ
কারও কাছে ভিক্ষা করে দেশের মানুষ চলবে না : প্রধানমন্ত্রী
যশোরে বিনা যৌতুকে ৫০ জোড়া তরুণ-তরুণীর বিয়ে
বাংলাদেশের স্টাইলে ভোট করতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী : অরবিন্দ কেজরিওয়াল
রাজধানীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রলীগ কর্মী নিহত
টাঙ্গাইলে পুলিশকে পিটিয়ে আসামি ছিনতাই
পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয় করলেন চট্টগ্রামের বাবর আলী
সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ২৮ হাজারের বেশি হজযাত্রী
দুই বাংলাদেশিকে অপহরণ করেছে আরসা
কিরগিজস্তানে হামলা, সাহায্য চাইলেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা