রবিবার, ৫ মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

‘হিরা ফেলে কাঁচ তুলে’

 

পৃথিবীর কোনোকিছুই ফেলনা নয়। আমাদের ব্যবহৃত প্রতিটি জিনিসের মূল্য থেকেই যায়। আমরা একটি জিনিস ব্যবহার করতে করতে শেষ হয়ে গেলে ফেলে দিই। সমস্ত খাদ্য উপাদানের একটি অংশ উচ্ছিষ্ট গণ্য করে ফেলে দিই। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে খাদ্যের বেশিভাগ অংশই অপচয় করা হয়। একইভাবে আমাদের দেশে একটি গাড়ি ব্যবহার করতে করতে অচল হয়ে গেলে সেটি আমরা কোথাও ফেলে রাখি। বাংলাদেশের সব সরকারি দপ্তরের আনাচে কানাচে পুরোনো গাড়ি পড়ে থাকে। তাতে আবর্জনা ও আগাছা জমতে জমতে এক ভৌতিক ও স্থির বস্তুতে রূপ নেয়। ট্রাফিক পুলিশের দপ্তর ও থানায় অসংখ্য গাড়ি ও মোটরসাইকেল একইরকম স্থির আবর্জনা হয়ে পড়ে থাকে। এগুলো ওই দপ্তরের পরিবেশ যেমন নষ্ট করছে একইভাবে সম্পদের অপব্যবহারের নজির সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা সমস্ত ফেলনা বস্তুকেই সম্পদে রূপ দিতে পারি। প্রতিদিনই আমরা কিছু না কিছু ফেলছি। যেটি মাটির সঙ্গে মিশে যায়, তা একটি প্রক্রিয়ায় পচে গন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশকে বিষময় করে তোলে। আর যেটি মাটিতে মেশে না সেটি শত বছরের অভিশাপ হয়ে এদিক সেদিক পড়ে থাকে। শুধু এভাবেই আমাদের সবুজ শ্যামল সুন্দর দেশটি বসবাসের অনুপযোগী একটি দেশে পরিণত হচ্ছে।

গাড়ি, মোটরসাইকেল থেকে শুরু করে লোহার সব জিনিসই পরিণত হতে পারে অন্য কোনো ধাতব পদার্থে। আমাদের মেটাল ইন্ডাস্ট্রিগুলো বাইরে থেকে বিপুল অংকের টাকার কাঁচামাল আনে, অথচ এসব কাঁচামালের যোগাড় রয়েছে দেশেই। তা ছাড়া যে গাড়ি আমরা ফেলে নষ্ট করছি, তার বিভিন্ন পার্টস অত্যন্ত মূল্যবান বস্তু হিসেবে কাজে লাগতে পারে।

বাংলাদেশের অর্থনীতির এক বড় স্তম্ভ গার্মেন্টস শিল্প। এ শিল্প থেকে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ আবর্জনা বের হচ্ছে। শিল্পের আবর্জনা থাকবেই কিন্তু সেই আবর্জনাকে আরেকটি পণ্যে রূপ না দিতে পারলে তার বোঝা পৃথিবী বইতে পারবে না। শুধু গার্মেন্টস বর্জ্য ও আবর্জনাকে কাজে লাগাতে গিয়ে আমরা নতুন করে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান করতে পারি। একইভাবে পারি বর্জ্য থেকে নানান দরকারি পণ্য তৈরি করতে। এখানেই লুকিয়ে আছে বিশাল অর্থনৈতিক সম্ভাবনা। অথচ আমরা সে সম্ভাবনার দিকে না তাকিয়ে নিজের প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য কত সহজে কোথাও ফেলে দিতে পারি, সেই চেষ্টা করে থাকি। আমরা হয়তো কোনো নদীতে, পুকুরে বা রাস্তার পাশের নর্দমায় ফেলছি। এতে শুধু নিজেদের নির্বুদ্ধিতায় পরিবেশের ভয়ঙ্কর বিপর্যয় ডেকে আনছি। বাংলাদেশের বাস্তবতায় এ বিপর্যয়ের গল্প অনেক পুরোনো। এর যতরকম নেতিবাচক দিক আছে সবগুলোর শিকার হচ্ছে ঢাকা শহরের অধিবাসী তথা সারাদেশের মানুষ। এখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসা ছাড়া সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কোনো উচ্চতর বিজ্ঞান নয়। এটি মানুষের আয়ত্বের মধ্যকার একটি ব্যবস্থাপনা। আমরা সহজ হিসেবে বুঝতে পারি, পায়ের জুতোটি পুরোনো হয়ে গেলে আমরা ফেলে দিই। কিন্তু সেই জুতোটি আমরা কোনো একটি পুরোনো জুতোর দোকানে দিতে পারি। সেটি স্বল্পদামে কেউ কিনে ব্যবহার করছে। তারও ব্যবহার শেষে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় যদি জমা দেয়, তাহলে সেখান থেকে সংগ্রহ করে তা আরেকটি শিল্পপণ্যের কাঁচামাল হিসেবে সরবরাহ করতে পারি।

শুধু মনোযোগের ব্যাপার। একটি পণ্য ব্যবহারের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তার দিকে মনোযোগ রাখাটা অত্যন্ত জরুরি। আপনি আমি হয়তো পণ্য ব্যবহারের দিকে মনোযোগী কিন্তু ব্যবহার শেষে তার অবশিষ্টাংশ বা বর্জ্যের ব্যাপারে মনোযোগী নয়। আমাদের এই উদাসীনতা বড় ধরনের বিপর্যয়ের দিকে যেমন ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে, একইভাবে বিশাল এক অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দিতে দৃষ্টিপাত করতে দিচ্ছে না। তার মানে আমাদের উদাসিনতা প্রতিনিয়ত আমাদের অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে সমাজের ওপর, জনস্বাস্থ্যের ওপর। সবদিক থেকেই পিছিয়ে পড়ছি আমরা।

দেখুন, আমাদের দেশে ডেঙ্গু কেন হচ্ছে? জলবায়ু ও পরিবেশগত সব কারণের ঊর্ধ্বে রয়েছে আমাদের উদাসীনতা। আমাদের ব্যবহৃত বিভিন্ন উপকরণের অবশিষ্টাংশ বা ভাঙড়ি আমরা যত্রতত্র ফেলে দিচ্ছি। তার মধ্যে পানি জমে, সেখানে এডিস মশা বংশ বিস্তার করছে। অথচ আমরা ব্যবহৃত সব উপকরণের অবশিষ্টাংশ গুছিয়ে আপনি আরেকটি পণ্য তৈরির জন্য সচেতনভাবে দিতে পারেন। প্রতিদিনের উচ্ছিষ্ট বর্জ্যের সঙ্গে তা অপসারণের নির্দিষ্ট ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করা গেলে, সেখানে বাছাই করা ও বর্জ্য থেকে শিল্পপণ্যে পরিণত করার ব্যবস্থাটি একটি বিশাল অর্থনৈতিক পরিকাঠামো হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। যা একটি শহরের সৌন্দর্য সৃষ্টির পেছনের সবচেয়ে শক্তিশালী নিয়ামক হিসেবে কাজ করবে।

আমাদের দেশে ব্যবস্থাগুলো অল্পবিস্তর আছে বটে, কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় অতি অপ্রতুল। তাও অব্যস্থাপনা ও অনিয়মে পূর্ণ। আমরা সবকিছুর জন্য সরকারের দিকে চেয়ে থাকি। আমরা সব ব্যাপারে সরকারকেই দায়ী করি। প্রাজ্ঞজনেরা অনেক বিষয়ে সরকারের উদ্দেশ্যে মূল্যবানে উপদেশবাণী দিয়ে থাকেন কিন্তু সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে দেন না। আমি ৩২ বছরের অধ্যবসায় ও প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, সব ব্যাপারে সরকারের দিকে চেয়ে থাকার চেয়ে বড় বোকামি বা অলসতা আর নেই। সরকার সবকিছু করে দেবে না। সরকারের সহায়ক হিসেবে, জনগণের সহায়ক হিসেবে ব্যক্তি পর্যায় থেকে এগিয়ে আসতে হবে। কাউকে না কাউকে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক পরিকল্পনার ভেতরে সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণের দিকটিকে বড় করে দেখতে হবে। দেশ ও জনগণকে বিশাল ক্ষতি থেকে বাঁচানোর পরিকল্পনা করতে হবে। একইসঙ্গে নিশ্চিত করতে হবে বিশাল অর্থনৈতিক সাফল্য। এটি শুধু সত্যিকারের দূরদৃষ্টির ব্যাপার, আর কিছু নয়।

যতদূর জানি বাংলাদেশে বছরে ১৪ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক বর্জ্য বের হচ্ছে। এ প্লাস্টিক বর্জ্যকে জ্বালানিতে রূপ দিতে পারলে কমপক্ষে ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বৈদেশিক মূদ্রা সাশ্রয় করা সম্ভব। আবার বাংলদেশে যেসব প্লাস্টিক পণ্য তৈরি হয়, তার সব কাঁচামালেই বাইরে থেকে আসছে। অথচ আমরা আমাদের পরিত্যক্ত প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার করেই সেই চাহিদা পূরণ করতে পারি।

বাংলাদেশে বড় বড় হোটেল রয়েছে প্রতিদিন প্রচুর খাদ্য অব্যবহৃত থাকে ও উচ্ছিষ্ট হিসেবে ফেলে দেওয়া হয়। খাদ্যগুলো সব সংগ্রহ করে প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে অনায়াসেই বায়োগ্যাস ও কম্পোস্ট সার তৈরি করা সম্ভব। কেউ কেউ খুব ছোট পরিসরে বিচ্ছিন্নভাবে এমন আয়োজন করেন বলে শুনি, কিন্তু সমন্বিতভাবে না করলে তা মোটা দাগে জনগণের কল্যাণে ভূমিকা রাখতে পারবে না। ধরুন ঢাকার কারওয়ান বাজার। এখানে প্রতিদিন কী বিপুল পরিমাণ সবজিপণ্যের বর্জ্য বের হচ্ছে। এগুলোর কার্যকর কোনো ব্যবহার নেই। এগুলো সবই একটি সমন্বিত ব্যবস্থাপনার আওতায় নিয়ে আসা গেলে আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন, জৈব সার উৎপাদন ব্যবস্থাগুলো আমাদের হাতেই ধরা দেবে। সেগুলো আমাদের স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠতে সহায়তা করবে।

আমাদের সামগ্রিক পরিকল্পনার মধ্যে আনতে হবে, কী পরিমাণ বর্জ্য ব্যবহার করে আমরা বায়োগ্যাস ও জৈব সার তৈরি করব। উৎপাদিত বায়োগ্যাস থেকে কী পরিমাণ এলপিজি রপান্তর করব। একই সঙ্গে দেশের কী সংখ্যক কৃষক জৈব সার পাবে। তা কৃষিতে কতখানি অর্থনৈতিক প্রাপ্তি যোগ করবে। উদ্যোগগুলো বেসরকারি খাত থেকেও নেওয়া যেতে পারে। সরকারের সহায়ক প্রকল্প হিসেবে কাজ করতে পারে। এমন বৃহৎ কোনো প্রকল্প গ্রহণ করলে তার জন্য প্রয়োজনীয় তহবিলও পৃথিবীর বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব।

এই যে কোরবানি ঈদে আমাদের বিপুল সংখ্যক গরু ছাগল জবাই হলো। সেগুলো থেকে কী বিপুল পরিমাণ বর্জ্য বের হয়েছে। কিন্তু এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে করতে পারিনি আমরা। আমরা শুধু ভেবেছি কীভাবে নিজেদের মায়লা আবর্জনা কোথায় ফেলে দিয়ে নিশ্চিন্ত হব। কিন্তু কোরবানির সব বর্জ্য যে বিশাল একটি সম্পদ, এটিও যে প্রক্রিয়াজাত হয়ে জৈবসারসহ নানান পণ্যে রূপ নিতে পারে, সেই ভাবনাটি আমরা ভাবতে পারিনি। কোরবানির সঙ্গে যুক্ত কসাই থেকে শুরু করে সবার যেমন এখানে জানা বোঝার বিষয় রয়েছে, একইভাবে রয়েছে সমন্বিত একটি উদ্যোগের মাধ্যমে কোরবানি বর্জ্য ব্যবস্থানায় আরো বহু মানুষের কর্ম সংস্থানের সুযোগ।

দেশের মানুষের ঘরে ঘরে যেসব গৃহপরিচারিকা কাজ করেন, তারা যদি জানতেন রান্নাঘরের বর্জ্য কত দামি সম্পদ তাহলে তাদেরও চোখ খুলে যেত। আমার মনে হয়, এই বোঝাপড়াটা সবারই দরকার, আমরা যা ব্যবহার করছি তা দামি, আর যা ফেলে দিচ্ছি তার দাম যে আরও বেশি এটি বুঝে নেওয়ার সময় এসেছে এখন। কবি কায়কোবাদের সেই কবিতার কথা মনে পড়ছে, ‘‘যে ভুলে তোমারে ভুলে - হীরা ফেলে কাঁচ তুলে, যে ভুল করেছি আমি, আমার সে ভুল প্রভু তুমি ভেঙে দাও”।

লেখক: ড. মঈনউদ্দীন সরকার, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ, চেয়ারম্যান, ওয়েস্ট টেকনোলজিস্ট এলএলসি, ইউএসএ।

এসএন 

Header Ad

টাঙ্গাইলে বজ্রপাতে বাবুর্চির মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে হোটেলের কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে ওয়াজেদ আলী খান (৫০) নামে এক হোটেল বাবুর্চির মৃত্যু হয়েছে। ওয়াজেদ আলী খান উপজেলার ২নং ঘাটাইল ইউনিয়নের খিলপাড়া এলাকার মৃত সোনা খার ছেলে।

রবিবার (০৫ মে) সকালে উপজেলার ঝাইকা রাস্তায় নদীর পাড় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে শনিবার (০৪ মে) রাত ১১টায় উপজেলায় ফতেরপাড়া-খিলপাড়া রোড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. রায়হান খান ও নিহতের পরিবার জানিয়েছেন, শনিবার রাতে হোটেলে কাজ শেষ করে ঘাটাইল থেকে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন।

এ সময় আকাশে ঘনঘন বজ্রপাত হচ্ছিল। রাত ১১ টায় ফতেরপাড়া-খিলপাড়া রোডে একটি বজ্রপাত ওয়াজেদ আলীর ওপর পড়লে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

রবিবার সকালে স্থানীয়রা তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পরিবারকে খবর দেয়। পরে ঝাইকা রাস্তায় নদীর পাড় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওয়াজেদ আলী একজন হোটেল বাবুর্চি ছিলেন।

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঘাটাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া জানান, শনিবার রাতে বজ্রপাতে এক হোটেল শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন অংশ বজ্রপাতে ঝলসে গেছে।

জিম্বাবুয়ে-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজের ফলাফল কোনো কাজে আসবে না : সাকিব

ফাইল ছবি

জিম্বাবুয়ে সিরিজ এবং তার পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজের ফলাফল আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের জন্য কোনো কাজেই আসবে না বলে জানিয়েছেন সাকিব আল হাসান।

গতকাল বিকালে সাবেক জাতীয় দলের সতীর্থ পেসার রুবেল হোসেনের বাইকের শো রুম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে একথা জানান তিনি। সেই সাথে এই গরমে ডিপিএলের সুপার লিগ পর্বের খেলা চালানোকে অমানবিক বলেও আখ্যা দেন সাকিব।

নবম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে টাইগারদের প্রস্তুতির প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সাকিব বলেন, ‘দেখুন জিম্বাবুয়ে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খেলা বিবেচনা করে আমরা যদি বিশ্বকাপ চিন্তা করি, সেটা আমার কাছে মনে হয় ভুল হবে। বিশ্বকাপ সম্পূণ ভিন্ন একটা জায়গা। সেখানে আমরা যতবেশী চাপ নিতে পারব তত বেশি ভালো খেলার সম্ভাবনা থাকবে। সর্বশেষ আমরা যখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছি, আমার কাছে মনে হয় আমরা মোটামুটি একটা পারফরম্যান্স করেছিলাম। সেটা খুব ভালো না হলেও কেউ বলবে না যে খুব একটা খারাপ ছিল। আমি আশা করব সেখান থেকে যদি আমাদের শুরু হয় তাহলে এই বিশ্বকাপটা হবে আমাদের সেটাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার। সেটা যদি করতে হয় তাহলে আমাদের অবশ্যই প্রথম রাউন্ডের (বিশ্বকাপে) তিনটা ম্যাচে জিততে হবে, তা যদি করতে পারি তাহলে সেটা আমাদের জন্য মোটামোটি ভালো একটা অর্জন হবে সেখান থেকে পরবর্তীতে চিন্তা করলে আমার মনে হয় ভালো হবে।’

জিম্বাবুয়ে সিরিজ শেষেই চলতি মাসেই বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে যাবেন টাইগাররা। বিশ্বকাপের আগে এই সিরিজ খেলার প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে আমাদের খেলার বড় কারণ হলো কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো। সেইসঙ্গে সেই জায়গাটা সম্পর্কে জানা। আমাদের খুব বেশি খেলোয়াড় নেই যারা সেখানে খেলেছে। ফ্লোরিডাতে হয়তো আমাদের কয়েক জন খেলোয়াড়ের খেলার অভিজ্ঞতা আছে। আমাদের ঐ জিনিসটা কাজে লাগবে যে আমরা কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারব। তবে অবশ্যই এটা আদর্শ প্রস্তুতি না। আমি আগে যেটা বললাম যে আপনি যখন একটা কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলে যাবেন... যখন নিউজিল্যান্ড এবং পাকিস্তানের মতো দলের সঙ্গে খেলে বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিলাম স্বাভাবিকভাবে আমরা ভালো একটি প্রস্তুতি নিয়ে খেলতে গিয়েছিলাম। সেই দিক দিয়ে চিন্তা করলে অবশ্যই এটা আদর্শ নয় তবে মনে হয় এটাই আমাদের কাছে সেরা সুযোগ ছিল প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য।’

১৫ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

গত ১৫ বছরে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি। তিনি বলেন, ‌‌‌‌‌‌‌ এই অর্জনকে ধরে রাখতে হবে। মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মিত হচ্ছে, চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শীঘ্রই শুরু হবে।

আজ (রবিবার, ০৫ মে) চট্টগ্রামে ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউটে চট্টগ্রামের স্পেশাল ব্যাচ-২০২৩ এর শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক নৌ-সংস্থায় (আইএমও)-তে 'সি' ক্যাটাগরির সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। পায়রা বন্দর নির্মিত হচ্ছে, মংলা বন্দর, চট্টগ্রাম বন্দরের আপগ্রেডেশন হচ্ছে। বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন ছয়টি জাহাজ সংগ্রহ করেছে। আরো জাহাজ সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে। বাংলাদেশে একটি মাত্র মেরিন একাডেমি ছিল। শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে চারটি নতুন মেরিন একাডেমী প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আরো তিনটি মেরিন একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হবে। বিশ্বের অন্যতম মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়' শেখ হাসিনার সরকারের সময় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউটের (এনএমআই) প্রশিক্ষণের গুণগতমান, আন্তর্জাতিক নৌ-সংস্থা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মেরিটাইম সেফটি এজেন্সী কর্তৃক স্বীকৃতি প্রাপ্ত। এ গুণগতমান অব্যাহত রাখতে হবে। চট্টগ্রামের ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউট এর পর মাদারীপুরে ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউট, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, রাজশাহী এবং মেহেরপুর স্থাপনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ডিজিটালাইজেশনের কারণে বিশ্বনৌবহর দ্রুতগতিতে উন্নত থেকে উন্নতর হচ্ছে। সে সাথে তাল মিলিয়ে জাহাজী অফিসার ও নাবিকদেরকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। আমাদের ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউট আন্তর্জাতিক নৌ-সংস্থার এসটিসিডব্লিউ কনভেনশন যথাযথভাবে অনুসরণ করে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে আসছে। দিনবদলের পালায় বর্তমান সরকারের ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার নিমিত্তে দেশের সকল সেক্টর একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। সে প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ নিম্নমধ্য আয়ের দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল (ডেভেলপিং) দেশে এবং উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার পথে এগিয়ে চলছে। আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট দেশে পরিণত হবে। এরই অংশীদার হিসাবে শিপিং সেক্টরও জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সরকারের নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে। শিপিং সেক্টরে দক্ষ মানব সম্পদ সৃষ্টির লক্ষ্যে ট্রেনিং ইন্সটিটিউটসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তোমরা দেশপ্রেমকে বুকে ধারণ করে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে তোমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে যাতে করে আমাদের দেশের ভাবমূর্তি সমুজ্জল থাকে। তোমরা দেশের এম্বাসেডর হিসেবে কাজ করবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ দিয়ে গেছেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। আমরা বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ পরিশোধ করতে পারবোনা। কিন্তু তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারবো। দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারলেই বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে।

এবারের স্পেশাল ব্যাচে ১৭৭ জন প্রশিক্ষণার্থী প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এর মধ্যে ডেক- ৮৮, ইঞ্জিন- ৭৯ এবং স্টুয়ার্ড- ১০। তাদের মধ্যে কেউ কেউ এস.এস.সি পাশ। আবার কেউ বহি:নোঙ্গরে মার্চেন্ট জাহাজে ক্যাজুয়েল বেসিসে কাজ করছেন। কেউ শোর রিপেয়ার টিমের সাথে, কেউ শিপ রিপেয়ার ওয়ার্কশপ/শিপইয়ার্ড/ড্রাইডকে ক্যাজুয়েল অথবা স্থায়ীভাবে কাজ করছেন। কেউ পানামা সিডিসিধারী, কেউ দেশে/বিদেশে নন কনভেনশনাল জাহাজে টাগ বোট/সাপ্লাই বোট/বার্জ ইত্যাদিতে চাকরি করছেন। কারো কারো অভ্যন্তরীণ জাহাজে নাবিক হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা আছে। প্রতিমন্ত্রী প্রশিক্ষণার্থীদের মার্চপাস্ট পরিদর্শন করেন এবং শ্রেষ্ঠ প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের চিফ নটিক্যাল সার্ভিয়ার মোঃ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউট চট্টগ্রামের অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন আতাউর রহমান বক্তব্য রাখেন। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল এসময় উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ সংবাদ

টাঙ্গাইলে বজ্রপাতে বাবুর্চির মৃত্যু
জিম্বাবুয়ে-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজের ফলাফল কোনো কাজে আসবে না : সাকিব
১৫ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সুন্দরবনের আগুন নেভাতে যোগ দিয়েছে নৌ ও বিমান বাহিনী
গাজায় দেড় লাখের বেশি অন্তঃসত্ত্বা নারী পানিশূন্যতায় ভুগছেন
স্বামীর সঙ্গে অভিমানে নববধূর আত্মহত্যা
নারী এমপিকে মাদক খাইয়ে যৌন হেনস্তা
নীলক্ষেতে দুই রেস্টুরেন্টে আগুন
খাগড়াছড়িতে টিনের চালে বজ্রপাত, ঘরসহ পুড়ে ছাই মা-ছেলে
যুদ্ধে বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রকেও পাত্তা দিচ্ছে না দখলদার ইসরায়েল
সুন্দরবনে আগুন নেভানোর কাজ শুরু
ঢাকা সফরে আসছেন আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপ
কেমন থাকবে আজকের আবহাওয়া, যা জানাল আবহাওয়া অফিস
আজ থেকে খুলছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
মিল্টন সমাদ্দারের মানবিকতার আড়ালে প্রতারণা, যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন
যুক্তরাষ্ট্রের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে: ইরান
নিজের মান ইজ্জত রক্ষা করুন, মন্ত্রী-এমপিদের প্রতি ইসি রাশেদা
উদ্যোক্তারাই দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারী : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
টানা ৬ দিন হতে পারে ঝড়বৃষ্টি জানাল আবহাওয়া অফিস
সেই ভাইরাল নেতা পাকিস্তান জামায়াতের আমির নির্বাচিত