শনিবার, ১০ মে ২০২৫ | ২৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

বিশ্বে নারীদের তুলনায় পুরুষের আত্মহত্যার হার দ্বিগুণ

আত্মহত্যা একটি পুরোনো সমস্যা। সুপ্রাচীনকাল থেকেই কিছু মানুষ আত্মহননের মাধ্যমে তাদের জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটিয়ে আসছে। বিশ্বব্যাপী আত্মহত্যাকে একটি গুরুতর জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

আত্মহত্যা প্রতিরোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর সুইসাইড প্রিভেনশন (আইএএসপি) এবং বৈশ্বিক মানসিক স্বাস্থ্য ফেডারেশন একযোগে ২০০৩ সাল থেকে প্রতি বছর ১০ সেপ্টেম্বর ‘বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস’ পালন করে আসছে। দিবসটি বিভিন্ন দেশের সরকার, বিভিন্ন সংস্থা ও জনগণের মধ্যে আত্মহত্যা প্রতিরোধের প্রতি মনোযোগ বাড়ায়, আত্মহত্যাজনিত কলঙ্ক কমায় এবং আত্মহত্যা যে প্রতিরোধ করা যেতে পারে এমন বার্তা দেয়।

২০২১-২০২৩ পর্যন্ত বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবসের ত্রিবার্ষিক থিম হলো- "কর্মের মাধ্যমে আশা তৈরি কর" (Creating hope through action)। এ থিম আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, আত্মহত্যার একটি বিকল্প রয়েছে এবং আমাদের সবার মধ্যে আত্মবিশ্বাস জাগ্রত করার এবং আলোর ধারায় অনুপ্রাণিত করার মতো বিষয় রয়েছে।

ডব্লিউএইচও বলছে, আত্মহত্যাজনিত প্রতিটি মৃত্যুই একটি মারাত্মক জনস্বাস্থ্য উদ্বেগ যা আত্মহত্যাকারী ব্যক্তির পরিবার ও তার আশেপাশের লোকদের উপর গভীর প্রভাব ফেলে। এমতাবস্থায়, জনসচেতনতা বাড়ানোর মাধ্যমে, আত্মহত্যাকেন্দ্রিক কলঙ্ক কমিয়ে, এবং সুচিন্তিত পদক্ষেপকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে, আমরা বিশ্বজুড়ে আত্মহত্যার ঘটনা কমাতে পারি।

আইএএসপি এর এক তথ্যগ্রাফি দেখায় যে, প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী ৭ লাখ ৩ হাজার মানুষ আত্মহত্যা করে। বিশ্বব্যাপী আত্মহত্যার হার নারীদের তুলনায় পুরুষদের মধ্যে দ্বিগুণেরও বেশি। অর্ধেকেরও বেশি (৫৮%) মানুষ ৫০ বছর বয়সের আগে আত্মহত্যা করে থাকে। বিশ্বের সব অঞ্চলেই আত্মহত্যা সংঘঠিত হয়, তবে ২০১৯ সালে বিশ্বব্যাপী আত্মহত্যার তিন চতুর্থাংশ (৭৭%), নিন্ম ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ঘটেছে।

অপরদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতি বছর আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় প্রায় ৮ লাখ মানুষ। দিন প্রতি এ হার ২ হাজার ১৯১ জন। প্রতি লাখে প্রায় ১৬ জন। বিগত ৫০ বছরে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আত্মহত্যার হার বেড়েছে ৬০ শতাংশ। বাংলাদেশে আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধির হার ২ দশমিক ৬ শতাংশ। প্রতি বছরই এ হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন আত্মহত্যা করে। কাজেই আত্মহত্যা যে একটি গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

গত কয়েক বছরের তথ্য থেকে জানা যায় যে, বাংলাদেশে আত্মহত্যা ও আত্মহত্যার প্রবণতা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। ২০১৬ সালে, দেশে ৯ হাজারেরও কম আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছিল। ২০১৭ ও ২০১৮ সালে এ সংখ্যা যথাক্রমে ১০ হাজার ও ১১ হাজারের বেশি ছিল। করোনা মহামারিকালে অর্থাৎ ২০২০ সালে সারা দেশে ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষ আত্মহত্যা করেছে। সুতরাং আত্মহত্যার ঘটনা যে বাড়ছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, আত্মহত্যার প্রবণতার দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বে দশম স্থানে রয়েছে। বাংলাদেশে প্রতিদিন গড়ে ৩০ জন আত্মহত্যা করে। এর মধ্যে রয়েছে নারী, পুরুষ, শিশু ও সব বয়সের মানুষ। বয়স বিবেচনায় ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী নারীদের আত্মহত্যার হার বেশি। এই পরিসংখ্যানের বাইরে, আরও অনেক আত্মহত্যার ঘটনা রয়েছে যা আমাদের অজানা রয়ে গেছে। গত এক দশকে প্রকাশিত বিভিন্ন গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে দেশে আত্মহত্যার হার ক্রমাগত বেড়েই চলেছে।

এ বছর (২০২২) জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে বেসরকারি সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশন এক সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যাতে দেখানো হয়েছে, গত বছর (২০২১) করোনা মহামারিকালে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মাঝে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ১০১টি। সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে যা ৬১.৩৯ শতাংশ বা ৬২ জন।
এ ছাড়াও অতি সম্প্রতি দুই নারী শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনা দেশব্যাপী বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে। এভাবে প্রতিদিনই দেশে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে।

সমাজবিজ্ঞানী, মনোবিজ্ঞানী, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা আত্মহত্যা ও আত্মহত্যার প্রবণতার কারণগুলো বিভিন্নভাবে উদ্ঘাটন করার চেষ্টা করেছেন। মনোবিজ্ঞানীরা আত্মহত্যার কারণ হিসেবে বিষণ্ণতা ও মানসিক অসুস্থতার কথা উল্লেখ করেছেন,
অন্যদিকে, সমাজবিজ্ঞানীরা উল্লেখ করেছেন যে সামাজিক কারণগুলো হতাশা ও মানসিক অসুস্থতার জন্য দায়ী। সুতরাং, সামাজিক কারণগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আত্মহত্যা সংঘটনের জন্য দায়ী।

সমাজবিজ্ঞানী এমিল ডুর্খেইম ১৮৯৭ সালে প্রকাশিত তার ‘সুইসাইড’ গ্রন্থে আত্মহত্যার জৈবিক ও মনস্তাত্ত্বিক কারণগুলোর যৌক্তিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রত্যাখ্যান করে সামাজিক কারণগুলোকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তার মতে আত্মহত্যা একটি সামাজিক ঘটনা। তিনি মূলত সামাজিক সংহতি ও সামাজিক নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে আত্মহত্যাকে সম্পর্কিত করে দেখার চেষ্টা করেছিলেন। এ প্রসঙ্গে ডুর্খেইম বলেন, যারা সমাজের সঙ্গে অতিমাত্রায় সম্পৃক্ত তারা আত্মহত্যা করে। আবার যারা সমাজ থেকে অতিমাত্রায় বিচ্ছিন্ন তারাও আত্মহত্যা করে। এই গ্রন্থে তিনি নিম্নে বর্ণিত মোট চার ধরনের আত্মহত্যা নিয়ে আলোচনা করেছেন। যেমন, আত্মকেন্দ্রিক আত্মহত্যা; পরার্থপর আত্মহত্যা; নৈরাজ্যমূলক আত্মহত্যা ও নিয়তবাদী আত্মহত্যা। তবে অনেক সমাজবিজ্ঞানী ডুর্খেইমের মতবাদকে সমালোচনা করে প্রত্যাখান করেছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, আত্মহত্যার চিন্তা জটিল এবং যেসব কারণ আত্মহত্যার দিকে পরিচালিত করে তা আরও জটিল ও বহুমাত্রিক। কোনো একক কারণ সবার জন্য সমানভাবে কাজ করে না। আমরা যা জানি তা হলো, কিছু নির্দিষ্ট কারণ ও জীবনের ঘটনা আছে যা কাউকে আত্মহত্যার জন্য আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলতে পারে। মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থা যেমন উদ্বেগ ও বিষণ্নতাও এক্ষেত্রে অবদান রাখে।

যারা আত্মহত্যা করে তারা তাদের পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব এবং তাদের আশেপাশের লোকদের সঙ্গে প্রবল সংহতিবোধ করতে পারে। আবার তারা নিজেদের অন্যদের কাছে বোঝাও মনে করতে পারে। সুতরাং উভয় ক্ষেত্রেই কারোর জন্য আত্মহত্যার ক্ষেত্র তৈরি হতে পারে। এইভাবে তারা মনে করে যে আত্মহত্যা ছাড়া তাদের কোনো বিকল্প নেই। কভিড-১৯ মহামারি বিশ্বব্যাপী অনেক মানুষের জন্য বিচ্ছিন্নতা ও দুর্বলতার অনুভূতি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে যা অনেকের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতাকে তীব্র করে তুলেছে।

আত্মহত্যা মহাপাপ। আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ। পৃথিবীর সব ধর্মে ও নৈতিকতায় আত্মহত্যার পক্ষে কোনো যুক্তি নেই। তাহলে মানুষ কেন আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়? আত্মহত্যা নির্মূল বা কমিয়ে আনার জন্য বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ এবং প্রচেষ্টা রয়েছে। আইন, বিধি ও নীতিমালাও রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে। যদি আমরা আত্মহত্যার পেছনের গল্পটি দেখি, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই যে চিত্রটি মনে আসে তা হলো- যৌতুক, বেকারত্ব, পারিবারিক কলহ, প্ররোচনা, চাপ, হতাশা, প্রেমে ব্যর্থতা, চাহিদা এবং আকাঙ্ক্ষার মধ্যে পার্থক্য, নেতিবাচক চিন্তাভাবনা, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যহীনতা, আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি ইত্যাদি।

এসব কারণে অনেকেই আত্মহত্যার মতো জঘন্য পথ বেছে নেয়। এর থেকে পরিত্রাণের উপায় কী? বিশেষজ্ঞদের মতে, এর থেকে পরিত্রাণের জন্য, সাইকোথেরাপি, ইতিবাচক মনোভাব, সহানুভূতি, বন্ধুত্বের হাত প্রসারিত করা, কথা বলার ও আবেগ ভাগাভাগি করার পরিবেশ তৈরি করা এবং আত্ম-সমালোচনা অপরিহার্য। আত্মহত্যার প্রবণতা কমাতে হলে নীতিনির্ধারকদের প্রথমে এগিয়ে আসতে হবে। গণসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে আরও বেশি করে সমন্বিত প্রকল্প ও কর্মসূচি গ্রহণ করা প্রয়োজন। উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য যোগ্যতা অনুয়ায়ী কর্মের সুযোগ সৃষ্টি ও কর্ম নিশ্চয়তা প্রদান। ক্রমবর্ধমান অসমতা দূরীকরণ ও সেইসঙ্গে দরকার সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি।

বাংলাদেশে গত কয়েক বছরের আত্মহত্যার পরিসংখ্যান বিশেষত কভিড-১৯ পরিস্থিতিতে এই বিষয়ের পরিসংখ্যান এবং তার ফলাফল যথেষ্ট ভীতিকর। কভিড-১৯ ভাইরাস নিয়ে আমরা যতখানি আতঙ্কিত, আত্মহত্যায় মৃত্যুবরণ করা অসংখ্য মানুষকে নিয়ে কিন্তু আমরা ততটা চিন্তিত নই।

এমন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা বলেন, আমরা যদি তাদের শেখাতে পারি যে ভালো-মন্দ যাই ঘটুক না কেনো, সেটা জীবনেরই অংশ এবং আত্মবিশ্বাস না হারিয়ে তাদের ধৈর্য্যশীল হতে হবে। ফলশ্রুতিতে এই শিক্ষার্থীরা যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারবে। পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বাস্তবমুখী কিছু জ্ঞান যেমন- আর্থিক ব্যবস্থাপনা, আবেগ নিয়ন্ত্রণ, ক্যারিয়ার কেন্দ্রিক দক্ষতা উন্নয়ন ইত্যাদি আত্মহত্যা হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

আইএএসপি যেমন বলেছে আত্মহত্যা রোধ করা প্রায়শই সম্ভব এবং এর প্রতিরোধে আমি, আপনি সবাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারি। কারো জীবনের কঠিনতম সময়ে আমাদের কর্মের মাধ্যমে―সমাজের সদস্য হিসেবে, শিক্ষক হিসেবে, বাবা-মা হিসেবে, বন্ধু হিসেবে, সহকর্মী হিসেবে বা প্রতিবেশী হিসেবে অবদান রাখতে পারি। যারা আত্মঘাতী হবার মতো সংকটে ভুগছেন বা যারা কারো আত্মহত্যায় শোকাহত তাদের সহায়তায় আমরা সবাই ভূমিকা রাখতে পারি। তাদের পাশে দাঁড়াতে পারি- সুস্থ ও স্বাভাবিক সমাজ জীবনের জন্য যা অপরিহার্য। অন্যথায় এ মৃত্যুর মিছিল থামানো সম্ভব হবেনা বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

লেখক: গবেষক ও উন্নয়নকর্মী

এসএন

Header Ad
Header Ad

শাহবাগে বিক্ষোভে উত্তাল জনতা, খালেদা জিয়ার উপস্থিতি চায় ইনকিলাব মঞ্চ

ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে উত্তাল আন্দোলন চলছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুরু হয়ে শুক্রবার সারা দিনব্যাপী এই আন্দোলনে ছাত্র-জনতা ‘ব্যান করো, আওয়ামী লীগ ব্যান করো’ সহ নানা স্লোগানে মুখরিত করে তোলে শাহবাগ চত্বর।

এই প্রেক্ষাপটে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি এক আবেগঘন আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে শাহবাগে আসার জন্য।

হাদি নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে লেখেন— “বাংলাদেশের বেগম জিয়া, শাহবাগে হাজারো শহিদ পরিবার ও সারা বাংলাদেশ আপনার অপেক্ষায়।”

অন্য একটি পোস্টে তিনি আরও লেখেন— “জুলাই যোদ্ধাদের পক্ষ থেকে আপোষহীন নেত্রী বেগম জিয়ার কাছে যেতে চাই আমরা শাহবাগের দাওয়াত নিয়ে। কাইন্ডলি সংশ্লিষ্ট কেউ হেল্প করুন। উনি আমাদের সার্বভৌম অভিভাবক।”

শুক্রবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে আন্দোলনকারীরা শাহবাগ মোড় অবরোধ করে। এর আগে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে ফোয়ারার পাশে তৈরি করা মঞ্চ থেকে আন্দোলনের নতুন ধাপ হিসেবে মোড় অবরোধের ঘোষণা দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।

ঘোষণার পরপরই আন্দোলনকারীরা মিছিলসহ শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় এবং অবরোধ শুরু করে।

Header Ad
Header Ad

১৭ বছর পর দেশে ফিরে মসজিদে জুমার নামাজ পড়লেন জোবাইদা রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান। ছবি: সংগৃহীত

১৭ বছর পর স্বদেশে ফিরে প্রথমবারের মতো মসজিদে গিয়ে জুমার নামাজ আদায় করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান। আজ (শুক্রবার) তিনি রাজধানীর ধানমন্ডির ৭ নম্বর মসজিদে সশরীরে জুমার নামাজে অংশ নেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম। তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জোবাইদা রহমানের নামাজ আদায়ের কিছু ছবি পোস্ট করে লেখেন— "ধানমন্ডি ৭ নম্বর মসজিদে আজ জুমার নামাজ আদায় করেছেন তারেক রহমানের সহধর্মিণী জোবাইদা রহমান।"

এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার নাসির, তার স্ত্রী ব্যারিস্টার মেহনাজ মান্নানসহ আরও কয়েকজন।

২০০৮ সালে দেশ ছেড়ে লন্ডনে পাড়ি জমানো জোবাইদা রহমান চলতি বছরের ৬ মে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশে ফেরেন। ফিরে আসার পর থেকে তিনি গুলশানের ফিরোজা বাসভবনে অবস্থান করছেন। মাঝে মাঝে তিনি বাবার বাড়ি ধানমন্ডির মাহবুব ভবনেও যাতায়াত করছেন।

জোবাইদা রহমানের এই জুমার নামাজে অংশগ্রহণ ও জনসম্মুখে উপস্থিতি বিএনপির রাজনৈতিক পরিসরে তার সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণের একটি বার্তা হিসেবেও দেখা হচ্ছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

Header Ad
Header Ad

ভারতে ইউটিউবে বন্ধ যমুনা-বাংলাভিশনসহ ৪ বাংলাদেশি টিভি চ্যানেল

ছবি: সংগৃহীত

ভারত সরকার জাতীয় নিরাপত্তা এবং জনশৃঙ্খলার উদ্বেগের কারণ দেখিয়ে ইউটিউবে বাংলাদেশের অন্তত চারটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচার সীমিত করেছে। শুক্রবার (৯ মে) স্থানীয় ডিজিটাল পর্যবেক্ষণ সংস্থা ডিসমিস্ল্যাব বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

বন্ধ হওয়া চ্যানেলগুলো হলো— যমুনা টিভি, একাত্তর টিভি, বাংলাভিশন, এবং মোহনা টেলিভিশন।

ভারতীয় ব্যবহারকারীরা এখন ইউটিউবে এসব চ্যানেলে প্রবেশ করতে গেলে একটি সতর্কবার্তা দেখতে পাচ্ছেন— "এই ভিডিওটি বর্তমানে এই দেশে প্রদর্শনের জন্য অনুমোদিত নয়, কারণ এটি জাতীয় নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলার ভিত্তিতে সরকারি নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত।"

ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি আইন, ২০০০-এর ৬৯(ক) ধারা অনুযায়ী, সরকার জাতীয় নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব, জনশৃঙ্খলা বা রাষ্ট্রের অখণ্ডতা বিঘ্নিত হয়—এমন কনটেন্ট বা চ্যানেল বন্ধ করার নির্দেশ দিতে পারে। সেই ধারার অধীনেই ইউটিউবকে টেকডাউন অনুরোধ পাঠানো হয়েছে বলে জানায় ডিসমিস্ল্যাব।

ভারতের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে এখনো বাংলাদেশ সরকার, টেলিভিশন চ্যানেলগুলো বা ইউটিউব কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনৈতিক উত্তেজনা ও মিডিয়া কনটেন্টের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ থেকেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে গণমাধ্যম কূটনীতি ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়েও আলোচনা তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

শাহবাগে বিক্ষোভে উত্তাল জনতা, খালেদা জিয়ার উপস্থিতি চায় ইনকিলাব মঞ্চ
১৭ বছর পর দেশে ফিরে মসজিদে জুমার নামাজ পড়লেন জোবাইদা রহমান
ভারতে ইউটিউবে বন্ধ যমুনা-বাংলাভিশনসহ ৪ বাংলাদেশি টিভি চ্যানেল
আটকের পরও যে ফোনে ছেড়ে দেওয়া হয় আবদুল হামিদকে
নওগাঁয় দুলাভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে গ্রেপ্তার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা
বাংলাদেশ সফরে আসছে না ভারত, অনিশ্চিত এশিয়া কাপ
আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল শাহবাগ, জনস্রোতে ভরপুর রাজপথ
বিএনপি ছাড়া সব রাজনৈতিক দল এখন শাহবাগে: সারজিস আলম
শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যায় গ্রেপ্তার টিনা ৩ দিনের রিমান্ডে
চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড ৪১.০২ ডিগ্রি সেলসিয়াস; বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ
কাশ্মীরে ফের বিএসএফের গুলি, ৭ পাকিস্তানি নিহত: দিল্লির দাবি বিচ্ছিন্নতাবাদী
নওগাঁয় ককটেল বিস্ফোরণে উড়ে গেল বাড়ির টিন
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ‘আমাদের বিষয় নয়’: যুক্তরাষ্ট্র
দেশের তীব্র তাপপ্রবাহ নিয়ে যা বলল আবহাওয়া অফিস
আ.লীগ নিষিদ্ধে গুরুত্বের সাথে সরকার বিবেচনা করছে: সরকারের বিবৃতি
টাঙ্গাইলে নাশকতা মামলায় আ.লীগ নেতা রাজ্জাকসহ ২ জন গ্রেফতার
অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত আইপিএল
এবার অপেক্ষা তারেক রহমানের ফেরার, চলছে জোরালো প্রস্তুতি
পদ্মার এক ইলিশের দাম সাড়ে ৮ হাজার টাকা
৫ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে থানায় নেওয়া হলো আইভীকে