মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

বিশ্বে নারীদের তুলনায় পুরুষের আত্মহত্যার হার দ্বিগুণ

আত্মহত্যা একটি পুরোনো সমস্যা। সুপ্রাচীনকাল থেকেই কিছু মানুষ আত্মহননের মাধ্যমে তাদের জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটিয়ে আসছে। বিশ্বব্যাপী আত্মহত্যাকে একটি গুরুতর জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

আত্মহত্যা প্রতিরোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর সুইসাইড প্রিভেনশন (আইএএসপি) এবং বৈশ্বিক মানসিক স্বাস্থ্য ফেডারেশন একযোগে ২০০৩ সাল থেকে প্রতি বছর ১০ সেপ্টেম্বর ‘বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস’ পালন করে আসছে। দিবসটি বিভিন্ন দেশের সরকার, বিভিন্ন সংস্থা ও জনগণের মধ্যে আত্মহত্যা প্রতিরোধের প্রতি মনোযোগ বাড়ায়, আত্মহত্যাজনিত কলঙ্ক কমায় এবং আত্মহত্যা যে প্রতিরোধ করা যেতে পারে এমন বার্তা দেয়।

২০২১-২০২৩ পর্যন্ত বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবসের ত্রিবার্ষিক থিম হলো- "কর্মের মাধ্যমে আশা তৈরি কর" (Creating hope through action)। এ থিম আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, আত্মহত্যার একটি বিকল্প রয়েছে এবং আমাদের সবার মধ্যে আত্মবিশ্বাস জাগ্রত করার এবং আলোর ধারায় অনুপ্রাণিত করার মতো বিষয় রয়েছে।

ডব্লিউএইচও বলছে, আত্মহত্যাজনিত প্রতিটি মৃত্যুই একটি মারাত্মক জনস্বাস্থ্য উদ্বেগ যা আত্মহত্যাকারী ব্যক্তির পরিবার ও তার আশেপাশের লোকদের উপর গভীর প্রভাব ফেলে। এমতাবস্থায়, জনসচেতনতা বাড়ানোর মাধ্যমে, আত্মহত্যাকেন্দ্রিক কলঙ্ক কমিয়ে, এবং সুচিন্তিত পদক্ষেপকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে, আমরা বিশ্বজুড়ে আত্মহত্যার ঘটনা কমাতে পারি।

আইএএসপি এর এক তথ্যগ্রাফি দেখায় যে, প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী ৭ লাখ ৩ হাজার মানুষ আত্মহত্যা করে। বিশ্বব্যাপী আত্মহত্যার হার নারীদের তুলনায় পুরুষদের মধ্যে দ্বিগুণেরও বেশি। অর্ধেকেরও বেশি (৫৮%) মানুষ ৫০ বছর বয়সের আগে আত্মহত্যা করে থাকে। বিশ্বের সব অঞ্চলেই আত্মহত্যা সংঘঠিত হয়, তবে ২০১৯ সালে বিশ্বব্যাপী আত্মহত্যার তিন চতুর্থাংশ (৭৭%), নিন্ম ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ঘটেছে।

অপরদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতি বছর আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় প্রায় ৮ লাখ মানুষ। দিন প্রতি এ হার ২ হাজার ১৯১ জন। প্রতি লাখে প্রায় ১৬ জন। বিগত ৫০ বছরে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আত্মহত্যার হার বেড়েছে ৬০ শতাংশ। বাংলাদেশে আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধির হার ২ দশমিক ৬ শতাংশ। প্রতি বছরই এ হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন আত্মহত্যা করে। কাজেই আত্মহত্যা যে একটি গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

গত কয়েক বছরের তথ্য থেকে জানা যায় যে, বাংলাদেশে আত্মহত্যা ও আত্মহত্যার প্রবণতা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। ২০১৬ সালে, দেশে ৯ হাজারেরও কম আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছিল। ২০১৭ ও ২০১৮ সালে এ সংখ্যা যথাক্রমে ১০ হাজার ও ১১ হাজারের বেশি ছিল। করোনা মহামারিকালে অর্থাৎ ২০২০ সালে সারা দেশে ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষ আত্মহত্যা করেছে। সুতরাং আত্মহত্যার ঘটনা যে বাড়ছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, আত্মহত্যার প্রবণতার দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বে দশম স্থানে রয়েছে। বাংলাদেশে প্রতিদিন গড়ে ৩০ জন আত্মহত্যা করে। এর মধ্যে রয়েছে নারী, পুরুষ, শিশু ও সব বয়সের মানুষ। বয়স বিবেচনায় ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী নারীদের আত্মহত্যার হার বেশি। এই পরিসংখ্যানের বাইরে, আরও অনেক আত্মহত্যার ঘটনা রয়েছে যা আমাদের অজানা রয়ে গেছে। গত এক দশকে প্রকাশিত বিভিন্ন গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে দেশে আত্মহত্যার হার ক্রমাগত বেড়েই চলেছে।

এ বছর (২০২২) জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে বেসরকারি সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশন এক সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যাতে দেখানো হয়েছে, গত বছর (২০২১) করোনা মহামারিকালে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মাঝে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ১০১টি। সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে যা ৬১.৩৯ শতাংশ বা ৬২ জন।
এ ছাড়াও অতি সম্প্রতি দুই নারী শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনা দেশব্যাপী বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে। এভাবে প্রতিদিনই দেশে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে।

সমাজবিজ্ঞানী, মনোবিজ্ঞানী, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা আত্মহত্যা ও আত্মহত্যার প্রবণতার কারণগুলো বিভিন্নভাবে উদ্ঘাটন করার চেষ্টা করেছেন। মনোবিজ্ঞানীরা আত্মহত্যার কারণ হিসেবে বিষণ্ণতা ও মানসিক অসুস্থতার কথা উল্লেখ করেছেন,
অন্যদিকে, সমাজবিজ্ঞানীরা উল্লেখ করেছেন যে সামাজিক কারণগুলো হতাশা ও মানসিক অসুস্থতার জন্য দায়ী। সুতরাং, সামাজিক কারণগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আত্মহত্যা সংঘটনের জন্য দায়ী।

সমাজবিজ্ঞানী এমিল ডুর্খেইম ১৮৯৭ সালে প্রকাশিত তার ‘সুইসাইড’ গ্রন্থে আত্মহত্যার জৈবিক ও মনস্তাত্ত্বিক কারণগুলোর যৌক্তিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রত্যাখ্যান করে সামাজিক কারণগুলোকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তার মতে আত্মহত্যা একটি সামাজিক ঘটনা। তিনি মূলত সামাজিক সংহতি ও সামাজিক নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে আত্মহত্যাকে সম্পর্কিত করে দেখার চেষ্টা করেছিলেন। এ প্রসঙ্গে ডুর্খেইম বলেন, যারা সমাজের সঙ্গে অতিমাত্রায় সম্পৃক্ত তারা আত্মহত্যা করে। আবার যারা সমাজ থেকে অতিমাত্রায় বিচ্ছিন্ন তারাও আত্মহত্যা করে। এই গ্রন্থে তিনি নিম্নে বর্ণিত মোট চার ধরনের আত্মহত্যা নিয়ে আলোচনা করেছেন। যেমন, আত্মকেন্দ্রিক আত্মহত্যা; পরার্থপর আত্মহত্যা; নৈরাজ্যমূলক আত্মহত্যা ও নিয়তবাদী আত্মহত্যা। তবে অনেক সমাজবিজ্ঞানী ডুর্খেইমের মতবাদকে সমালোচনা করে প্রত্যাখান করেছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, আত্মহত্যার চিন্তা জটিল এবং যেসব কারণ আত্মহত্যার দিকে পরিচালিত করে তা আরও জটিল ও বহুমাত্রিক। কোনো একক কারণ সবার জন্য সমানভাবে কাজ করে না। আমরা যা জানি তা হলো, কিছু নির্দিষ্ট কারণ ও জীবনের ঘটনা আছে যা কাউকে আত্মহত্যার জন্য আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলতে পারে। মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থা যেমন উদ্বেগ ও বিষণ্নতাও এক্ষেত্রে অবদান রাখে।

যারা আত্মহত্যা করে তারা তাদের পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব এবং তাদের আশেপাশের লোকদের সঙ্গে প্রবল সংহতিবোধ করতে পারে। আবার তারা নিজেদের অন্যদের কাছে বোঝাও মনে করতে পারে। সুতরাং উভয় ক্ষেত্রেই কারোর জন্য আত্মহত্যার ক্ষেত্র তৈরি হতে পারে। এইভাবে তারা মনে করে যে আত্মহত্যা ছাড়া তাদের কোনো বিকল্প নেই। কভিড-১৯ মহামারি বিশ্বব্যাপী অনেক মানুষের জন্য বিচ্ছিন্নতা ও দুর্বলতার অনুভূতি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে যা অনেকের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতাকে তীব্র করে তুলেছে।

আত্মহত্যা মহাপাপ। আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ। পৃথিবীর সব ধর্মে ও নৈতিকতায় আত্মহত্যার পক্ষে কোনো যুক্তি নেই। তাহলে মানুষ কেন আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়? আত্মহত্যা নির্মূল বা কমিয়ে আনার জন্য বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ এবং প্রচেষ্টা রয়েছে। আইন, বিধি ও নীতিমালাও রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে। যদি আমরা আত্মহত্যার পেছনের গল্পটি দেখি, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই যে চিত্রটি মনে আসে তা হলো- যৌতুক, বেকারত্ব, পারিবারিক কলহ, প্ররোচনা, চাপ, হতাশা, প্রেমে ব্যর্থতা, চাহিদা এবং আকাঙ্ক্ষার মধ্যে পার্থক্য, নেতিবাচক চিন্তাভাবনা, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যহীনতা, আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি ইত্যাদি।

এসব কারণে অনেকেই আত্মহত্যার মতো জঘন্য পথ বেছে নেয়। এর থেকে পরিত্রাণের উপায় কী? বিশেষজ্ঞদের মতে, এর থেকে পরিত্রাণের জন্য, সাইকোথেরাপি, ইতিবাচক মনোভাব, সহানুভূতি, বন্ধুত্বের হাত প্রসারিত করা, কথা বলার ও আবেগ ভাগাভাগি করার পরিবেশ তৈরি করা এবং আত্ম-সমালোচনা অপরিহার্য। আত্মহত্যার প্রবণতা কমাতে হলে নীতিনির্ধারকদের প্রথমে এগিয়ে আসতে হবে। গণসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে আরও বেশি করে সমন্বিত প্রকল্প ও কর্মসূচি গ্রহণ করা প্রয়োজন। উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য যোগ্যতা অনুয়ায়ী কর্মের সুযোগ সৃষ্টি ও কর্ম নিশ্চয়তা প্রদান। ক্রমবর্ধমান অসমতা দূরীকরণ ও সেইসঙ্গে দরকার সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি।

বাংলাদেশে গত কয়েক বছরের আত্মহত্যার পরিসংখ্যান বিশেষত কভিড-১৯ পরিস্থিতিতে এই বিষয়ের পরিসংখ্যান এবং তার ফলাফল যথেষ্ট ভীতিকর। কভিড-১৯ ভাইরাস নিয়ে আমরা যতখানি আতঙ্কিত, আত্মহত্যায় মৃত্যুবরণ করা অসংখ্য মানুষকে নিয়ে কিন্তু আমরা ততটা চিন্তিত নই।

এমন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা বলেন, আমরা যদি তাদের শেখাতে পারি যে ভালো-মন্দ যাই ঘটুক না কেনো, সেটা জীবনেরই অংশ এবং আত্মবিশ্বাস না হারিয়ে তাদের ধৈর্য্যশীল হতে হবে। ফলশ্রুতিতে এই শিক্ষার্থীরা যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারবে। পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বাস্তবমুখী কিছু জ্ঞান যেমন- আর্থিক ব্যবস্থাপনা, আবেগ নিয়ন্ত্রণ, ক্যারিয়ার কেন্দ্রিক দক্ষতা উন্নয়ন ইত্যাদি আত্মহত্যা হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

আইএএসপি যেমন বলেছে আত্মহত্যা রোধ করা প্রায়শই সম্ভব এবং এর প্রতিরোধে আমি, আপনি সবাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারি। কারো জীবনের কঠিনতম সময়ে আমাদের কর্মের মাধ্যমে―সমাজের সদস্য হিসেবে, শিক্ষক হিসেবে, বাবা-মা হিসেবে, বন্ধু হিসেবে, সহকর্মী হিসেবে বা প্রতিবেশী হিসেবে অবদান রাখতে পারি। যারা আত্মঘাতী হবার মতো সংকটে ভুগছেন বা যারা কারো আত্মহত্যায় শোকাহত তাদের সহায়তায় আমরা সবাই ভূমিকা রাখতে পারি। তাদের পাশে দাঁড়াতে পারি- সুস্থ ও স্বাভাবিক সমাজ জীবনের জন্য যা অপরিহার্য। অন্যথায় এ মৃত্যুর মিছিল থামানো সম্ভব হবেনা বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

লেখক: গবেষক ও উন্নয়নকর্মী

এসএন

গোবিন্দগঞ্জে কোরআন পোড়ানোর অভিযোগে যুবক আটক

আটক সিজু মিয়া। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মসজিদ থেকে পবিত্র কোরআন শরীফ চুরি করে আগুনে পোড়ানোর অভিযোগে এক যুবককে আটক করেছে থানা পুলিশ। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার উদ্দেশ্যে ওই যুবক কোরআন পুড়িয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নাকাইহাট ইউনিয়নের ধানখুনিয়া গ্রামের মৃত দেলোয়ার হোসেন আকন্দের ছেলে মো. সিজু মিয়া গত ১৩ এপ্রিল রাতে স্থানীয় কাজীবাড়ী জামে মসজিদ থেকে কোরআন শরীফ চুরি করে। পরে একই গ্রামের সরোয়ার কাওসার লাভলু এর বাঁশঝাড়ের ভিতর আগুনে পুড়িয়ে দেয়। এসময় স্থানীয়রা ঘটনাটি দেখে ফেলে। তখন এলাকাবাসী সিজু মিয়াকে আটক করার চেষ্টা করলে সিজু মিয়া পালিয়ে যায়। ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে জানাজানি হলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

পরবর্তীতে গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুল আলম শাহ এবং তার ফোর্স অভিযান পরিচালনা করে সোমবার (১৫ এপ্রিল) গভীর রাতে সিজু মিয়াকে আটক করে। আটক সিজু মিয়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কোরআন পোড়ানোর বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

গাইবান্ধার সহকারী পুলিশ সুপার (সি-সার্কেল) উদয় কুমার সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে সিজু মিয়াকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা রুজু হয়েছে। যথার্থ প্রক্রিয়ায় আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

টেস্ট পরীক্ষার নামে অতিরিক্ত ফি নিলে কঠোর ব্যবস্থা: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বোর্ড পরীক্ষার আগে টেস্ট পরীক্ষা নেওয়া হয়। এই টেস্ট পরীক্ষার নামে অতিরিক্ত ফি আদায় করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এমন নির্দেশনার কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে পোস্ট করা এক চিঠির মাধ্যমে এ নির্দেশনার তথ্য জানা যায়।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, টেস্ট পরীক্ষার নামে এবং পরীক্ষার কারণ দেখিয়ে অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া থেকে বঞ্চিত করাসহ শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে বিভিন্নভাবে আর্থিক সুবিধা নিচ্ছে মর্মে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। টেস্ট পরীক্ষার নামে কোন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে বাড়তি ফি আদায় করা যাবে না এবং পরীক্ষার কারণ দেখিয়ে অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া থেকে বঞ্চিত করা যাবে না বলে শিক্ষামন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।

আরও বলা হয়, এই নির্দেশনার প্রতিপালন না করলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

নওগাঁয় পরকীয়ায় আসক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন

পরকীয়ায় আসক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর মান্দায় পরকীয়ায় আসক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন রোকেয়া (২০) নামে এক গৃহবধূ।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে মান্দার প্রসাদপুর এলাকায় গোটগাড়ি বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির কার্যালয়ে বাজার কমিটির সভাপতি খয়বর আলী মণ্ডলের সভাপতিত্বে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য প্রদান করেন, ইনায়েতপুর গ্রামের ভুক্তভোগী গৃহবধূর বাবা গোটগাড়ি বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, মা নার্গিস বেগম এবং জ্যাঠাতো বোন রিমা খাতুন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, গত ১ বছর আগে একই উপজেলার পার-এনায়েতপুর গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে ইউসুফ আলী (২৩) এর সঙ্গে ২ লক্ষ ২০ টাকা দেন মোহরে রোকেয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর চাকুরির সুবাদে তারা স্বামী-স্ত্রী দু’জনে ঢাকার মোহাম্মদপুরে থাকতো। সেখানে থাকাবস্থায় ভুক্তভোগী রোকেয়ার স্বামী ইউসুফ আলী পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে প্রতিনিয়ত রোকেয়াকে যৌতুকের জন্য শারীরিক এবং মানসিকভাবে নির্যাতন করত।

অভিযুক্ত ইউসুফ আলী। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

 

এরই এক পর্যায়ে ইউসুফ আলী তার চাচাতো ভগ্নীপতি আতিকুর রহমান ও বোন মীমের প্ররোচনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ রোকেয়াকে ব্ল্যাকমেইল করে খুন-জখমের ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বকভাবে ১০০ টাকা মূল্যের দু’টি ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেয় এবং ২ লক্ষ টাকা দাবি করে। তার দাবিকৃত টাকা পরিশোধ করতে না পারায় গত ৫ মাস পূর্বে তাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। বর্তমানে এখন সে বাবার বাড়িতেই অবস্থান করছে।

অথচ, বিষয়টি সমাধানের জন্য একাধিকবার বসার জন্য বলা হলেও তারা কোন কর্ণপাত না করায় প্রতিকার চেয়ে ব্র্যাকের আইন সহায়তা কেন্দ্রে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলেও জানান তারা। এছাড়াও স্ট্যাম্পগুলো উদ্ধার করাসহ পরকীয়ায় আসক্ত জামাইয়ের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন বক্তারা।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইউসুফ আলী বলেন, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো মিথ্যা ও বানোয়াট।

সর্বশেষ সংবাদ

গোবিন্দগঞ্জে কোরআন পোড়ানোর অভিযোগে যুবক আটক
টেস্ট পরীক্ষার নামে অতিরিক্ত ফি নিলে কঠোর ব্যবস্থা: শিক্ষামন্ত্রী
নওগাঁয় পরকীয়ায় আসক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন
শিল্পী সমিতির নির্বাচন: দুই প্যানেলে লড়ছেন যারা
তীব্র গরমের পর রাজধানীতে হঠাৎ স্বস্তির বৃষ্টি
টি-২০ বিশ্বকাপ নিয়ে বেশি প্রত্যাশা না রাখার অনুরোধ শান্তর
আরও সোয়া লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি পাচ্ছে ৫০ প্রতিষ্ঠান
পাপ মোচনে যমুনা নদীতে স্নান করতে পুণ্যার্থীদের ঢল
অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টালের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের ঘোষণা তথ্য প্রতিমন্ত্রীর
'ডিগবাজি' এখন ব্র্যান্ড হয়ে গেছে: জায়েদ খান
নেতানিয়াহু এ যুগের হিটলার, তার চেয়েও ভয়ংকর: ওবায়দুল কাদের
ঘুম বঞ্চিত দেশের তালিকায় শীর্ষে জাপান, পরের অবস্থানে ভারত ও সৌদি আরব
সাগরে ভাসমান নৌকায় মিলল ২০ পচা-গলা লাশ
নওগাঁয় প্রকাশ্যে ঠিকাদারকে কুপিয়ে জখম; ভিডিও ভাইরাল
পাকিস্তানে ভারী বৃষ্টি ও বজ্রপাতে ৩৯ জনের মৃত্যু
ফরিদপুরে নিহতদের পরিবার পাচ্ছে ৫ লাখ টাকা, আহতরা ৩
এই গরমে সুস্থ থাকতে কী খাবেন,আর কী খাবেন না
উপজেলা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা বিএনপির
ঈদের পরই লিটারে ১০ টাকা বাড়ল সয়াবিন তেলের দাম
এইচএসসির ফরম পূরণ শুরু, কোন বিভাগে কত ফি?