রবিবার, ৫ মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

বাড়ছে বায়ু দূষণজনিত রোগ-ব্যাধি, করণীয় কী?

বিভিন্ন প্রক্রিয়া বায়ু দূষণ ঘটায়। বিভিন্ন ধরনের পরিবহনে ব্যবহৃত জ্বালানি বায়ু দূষণের একটি উল্লেখযোগ্য কারণ। এ ছাড়া শিল্প-কারখানায় ব্যবহৃত জ্বালানি থেকে উৎপন্ন বিভিন্ন বিষাক্ত গ্যাস এবং শহরের আবর্জনা থেকে উৎপন্ন গ্যাস বায়ু দূষণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। বিভিন্ন ধরনের মোটরযান, অ্যারোপ্লেন এবং মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা রকেট বায়ু দূষণের অন্যতম কারণ।

ক্রমবর্ধমান নগরায়নের ফলে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এখন নগরবাসী। নগরে বসবাসরত জনসংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নগরের জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন পরিবহনের সংখ্যাও বাড়ছে। উন্নত বিশ্বসহ আমাদের দেশেও বিভিন্ন পরিবহনের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। বিশেষ করে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মোটর গাড়ি থেকে বাতাসে মিশ্রিত দূষকগুলো হলো— কার্বন মনোক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড, সালফার অক্সাইড, হাইড্রোকার্বন এবং অন্যান্য পদার্থ কণা। এ ছাড়া গ্যাসোলিনের গুণমান উন্নত করার জন্য সীসা যোগ করা হয় বলে বাতাসে সীসা দূষণও বাড়ছে। আবার হাইড্রোকার্বন, নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড এবং কার্বন মনোক্সাইড বিমান ও রকেট থেকে নির্গত ধোঁয়ার সঙ্গে মিশে গিয়ে বায়ু দূষণ বাড়িয়ে দিচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উপরের দূষকগুলো মানুষ, গাছপালা এবং প্রাণীর জন্য খুবই ক্ষতিকারক। নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড বাস্তুতন্ত্রের ক্ষতি করে এবং গাছপালা ধ্বংস করে। হাইড্রোকার্বন সূর্যালোকের সঙ্গে মিলিত হয়ে নাইট্রোজেন-ডাই-অক্সাইড হয়ে কুয়াশা তৈরি করে যা মানুষের চোখের জন্য ক্ষতিকর। চোখ জ্বালা করার পাশাপাশি, এটি ফুসফুসের ক্ষতি, মাথাব্যথা, অম্বল, শ্বাসকষ্ট, বমি বমি ভাব, গলা ব্যথা ইত্যাদির কারণ হয়। কার্বন মনোক্সাইড মানবদেহে লোহিত রক্ত কণিকায় অক্সিজেন শোষণে বাধাগ্রস্ত করে এবং স্নায়বিক ও কার্ডিয়াক সমস্যা সৃষ্টি করে। নাইট্রোজেন এবং সালফার অক্সাইড ফুসফুসের ক্ষমতা হ্রাস করে এবং বিভিন্ন জটিল রোগের সৃষ্টি করে।

বায়ুতে সীসা দূষণ রক্তসঞ্চালন, প্রজনন ও মূত্রতন্ত্রের কার্যকারিতা এবং শিশুদের শেখার ক্ষমতাকে ব্যাহত করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিবহন জ্বালানি থেকে নির্গত কিছু বিষাক্ত গ্যাস অনিরাময়যোগ্য রোগ ক্যান্সার সৃষ্টি করে। জ্বালানি পোড়ানো গাছের সালোকসংশ্লেষণ ক্ষমতা হ্রাস করে এবং হাইড্রোকার্বন গাছের বৃদ্ধিকে বাধা দেয়।

সালফার ডাই-অক্সাইড এবং নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড শিল্প, বাড়ি ইত্যাদিতে ব্যবহৃত জ্বালানির দহন থেকে বাতাসে মিশে থাকে। সালফার ডাই-অক্সাইড মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীর শ্বাসযন্ত্রের ক্ষতি করে। এ ছাড়াও, বিভিন্ন উপসর্গ যেমন মাথাব্যথা, কাশি, চোখের জ্বালা ইত্যাদিও সৃষ্টি করে।

গৃহস্থালীর কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি, যেমন রেফ্রিজারেটর এবং পোকামাকড় মারার জন্য ব্যবহৃত অ্যারোসল, নাইট্রাস অক্সাইড এবং সালফার ডাই-অক্সাইড গ্যাস নির্গত করে, যা বিভিন্ন উপায়ে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে।

শহর জুড়ে আবর্জনার স্তূপ নগর সভ্যতার জন্য এক ক্ষতিকর উপাদান। বিশ্বের প্রধান শহরগুলিতে, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের শহরগুলির একটি উল্লেখযোগ্য সমস্যা হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে নগর বর্জ্য এবং আবর্জনা। এই সমস্ত বর্জ্য, আবর্জনা বেশিরভাগই পোড়ানো হয়। এর ধুলো ও পারদ মানুষের স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি করে।

বায়ু দূষণ নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত বৈশ্বিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দূষিত বায়ুর কারণে একজন বাংলাদেশির গড় আয়ু প্রায় তিন বছর কমে গেছে। প্রতিবেদনে আরও প্রকাশ করা হয়েছে যে ‘বায়ু দূষণ প্রায় তামাক ব্যবহারের মতো আয়ু কমিয়ে দেয়।’ বায়ু দূষণের ক্ষেত্রে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে একটি হওয়ায় বাংলাদেশকে অবশ্যই এই ফলাফলগুলোকে গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে এবং বায়ু দূষণের পেছনের কারণগুলো হ্রাস করার চেষ্টা করতে হবে।

বাংলাদেশ ও এর রাজধানী ঢাকা গত কয়েক বছরের সবচেয়ে খারাপ আবহাওয়ার জন্য বারবার খবরে এসেছে। এই বছরের (২০২২) ফেব্রুয়ারিতে, ঢাকার বায়ু বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক দূষিত হিসাবে পাওয়া গেছে, এর এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI) স্কোর ১৯৪ রেকর্ড করা হয়েছে, যা ‘খারাপ’ বা ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ হিসাবে বিবেচিত হয়। ওয়ার্ল্ড এয়ার কোয়ালিটি রিপোর্ট ২০২০ অনুযায়ী, দেশে গড় বার্ষিক পিএম ২.৫ ঘনত্ব ছিল প্রতি ঘনমিটারে ৭৭.১ মাইক্রোগ্রাম, যা WHO সুপারিশকৃত মাত্রার দ্বিগুণেরও বেশি।

স্বাভাবিকভাবেই, এই দূষিত বায়ু মানব স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করবে কারণ বিপজ্জনক বাতাসের সংস্পর্শে অনেক স্বল্পমেয়াদি থেকে দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, বায়ু দূষণ সরাসরি হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসযন্ত্রের রোগ, ফুসফুসের সংক্রমণ এবং ক্যান্সারের সঙ্গে যুক্ত। এটি বিশ্বব্যাপী মৃত্যু এবং অক্ষমতার জন্য শীর্ষ-ঝুঁকির কারণগুলোর মধ্যে একটি।

বাংলাদেশে বায়ু দূষণের প্রধান কারণগুলো অনেক আগেই চিহ্নিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর এবং বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া এবং নির্মাণস্থলের ধুলা ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস। দুঃখের বিষয়, হাইকোর্টের নির্দেশনা সত্ত্বেও সারাদেশে অবৈধ ইটভাটা চালু রয়েছে, সড়কে অযোগ্য যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে এবং কর্তৃপক্ষ নির্মাণ সাইট থেকে ধুলো দূষণ বন্ধ করার জন্য উল্লেখযোগ্য কিছু করেনি।

অনিয়ন্ত্রিত বায়ু দূষণ আমাদের কষ্টার্জিত অগ্রগতি কেড়ে নেবে তা গ্রহণযোগ্য নয়। বিশেষজ্ঞরা বায়ু দূষণরোধে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পথ ও পদ্ধতির কথা উল্লেখ করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে বায়ু দূষণ রোধে আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ, জ্বালানি পরিশোধন, মোটরগাড়ি চালনায় জনসচেতনতা প্রভৃতি।

যানবাহন থেকে নির্গত বায়ু দূষকগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কার্বন মনোঅক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড, সালফার ডাই-অক্সাইড, অদাহ্য হাইড্রোকার্বন। এগুলো নির্গমন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এক্ষেত্রে ডিজেল বা পেট্রোল চালিত যানের তুলনায় সিএনজি চালিত যানের দূষণক্ষমতা অনেক কম।

বায়ু দূষণ প্রতিরোধের একটি আধুনিক পদ্ধতি দূষণ পদার্থের শোষণ। এই পদ্ধতিতে দূষক পদার্থগুলো মুক্ত বায়ুতে ছড়িয়ে পড়ার পূর্বেই বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দূষক পদার্থ আলাদা করে নেওয়া যায়।

কল-কারখানার ধোঁয়া নির্গমন নল ও চিমনি থেকে নির্গত বস্তুকণা পৃথক করার জন্য ছাকনি বা অন্য কোনো প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। এর ফলে দূষকগুলো বায়ুতে মিশে যাওয়ার পূর্বেই আলাদা হয়ে যাবে।

বিকল্প জ্বালানি অর্থাৎ প্রচলিত জীবাশ্ম জ্বালানির পরিমাণ ক্রমাণ্বয়ে হ্রাস করে অপ্রচলিত শক্তি যেমন- সৌরশক্তি, বায়োগ্যাস ইত্যাদির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে। এর ফলে বায়ু দূষণ অনেক কমে যাবে।

বিভিন্ন পরিত্যক্ত বর্জ্য যেগুলো কোনো কাজে লাগেনা সেগুলো না পুড়িয়ে মাটির নিচে পুঁতে ফেলা যেতে পারে। যথেচ্ছ মাত্রায় কীটনাশক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। পরিমিত পরিমাণে কীটনাশকের পাশাপাশি বিকল্প উপায়ে রোগ-বালাই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

হাটবাজার, দোকানপাট, বসতবাড়ি প্রভৃতি থেকে পচা বা পচনশীল দ্রব্য দ্রুত অপসারণ করতে হবে। এ ছাড়া শহরের ডাস্টবিনের ময়লা দীর্ঘ সময় ধরে না রেখে যতদূর সম্ভব তা দ্রুত শোধনাগারে পাঠাতে হবে অথবা মাটিতে পুতে ফেলে বায়ু দূষণ রোধ করতে হবে।

বড় বড় শহরের আবাসিক, শিল্প, বাণিজ্যিক, অফিস-আদালত প্রভৃতি পরিকল্পিতভাবে স্থাপন করতে হবে। এতে শিল্প-কারখানার দূষিত বাতাস মানব জীবন ও অন্যান্য প্রাণীর ক্ষতি করতে পারবে না।

উদ্ভিদ প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করে। উদ্ভিদ জীবজগতের জন্য অক্সিজেন ত্যাগ করে এবং জীবজগতের ত্যাগকৃত কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে ভারসাম্য বজায় রাখে। তাই প্রচুর পরিমাণে বৃক্ষরোপণ করতে হবে এবং অন্যদেরও উৎসাহিত করতে হবে।

বায়ু দূষণের কুফল সম্পর্কে জনগণকে সচেতন হতে হবে। এক্ষেত্রে জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।

যেহেতু বায়ু দূষণের মূল কারণগুলো ইতোমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে, তাই এই বিপদ মোকাবিলায় কর্তৃপক্ষের একটি সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা তৈরি করার সময় এসেছে। দূষিত বায়ুর সংস্পর্শ থেকে মানুষকে বাঁচাতে জরুরি প্রশমন ব্যবস্থা প্রস্তুত করতে হবে। এভাবে সরকারি-বেসরকারি প্রচেষ্টা ও আমাদের সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বায়ু দূষণ ও দূষণজনিত রোগ-ব্যাধি কমিয়ে আনা সম্ভব বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

লেখক: গবেষক ও উন্নয়নকর্মী

আরএ/

Header Ad

আটকে গেল এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি

ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরোধিতায় বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের বদলি কার্যক্রম আটকে গেছে। কর্মকর্তাদের আপত্তি থাকায় আপাতত বদলি প্রক্রিয়া চালু না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নিজেদের মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক করে প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে সেই প্রক্রিয়া আটকে দিলেন তারা।

রবিবার (৫ মে) বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নীতিমালা চূড়ান্ত করতে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

এর আগে গত সোমবার (২০ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক-১) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আজকের বৈঠকের বিষয়টি জানা যায়।

সভায় অংশ নেওয়া একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শিক্ষামন্ত্রী বদলি নিয়ে উপস্থিত কর্মকর্তাদের মতামত জানতে চান। এ সময় একটি সংস্থার শীর্ষ এক কর্মকর্তা জানান, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম চলছে। ৯৬ হাজারের বেশি শূন্যপদ থাকলেও পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অর্ধেক পদও পূরণ হবে না। এ অবস্থায় বদলি চালু করা হলে গ্রামের সব শিক্ষক শহরে চলে আসবেন। গ্রামের স্কুলগুলোতে খালি হওয়া ওই পদগুলো আর পূরণ করা সম্ভব হবে না। এজন্য আপাতত বদলি চালু না করতে শিক্ষামন্ত্রীকে মত দেন ওই কর্মকর্তা।

তারা আরও জানান, শিক্ষা প্রশাসনের আরেক কর্মকর্তা সরাসরি বদলি চালু করা বা সম্ভব হলে সম পদে এবং সম স্কেলে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের সুযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন। তবে এখানে মামলাসহ আরও কিছু জটিলতা দেখা দেওয়ায় এ প্রস্তাবও আপাতত অনুমোদন না করার সিদ্ধান্ত হয়। বদলির প্রক্রিয়া কবে চালু হবে, সে বিষয়ে নতুন করে কিছু বলা যাচ্ছে না।

জানা গেছে, ২০১৫ সালের আগে কমিটির পরীক্ষার মাধ্যমে উত্তীর্ণ হয়ে নিয়োগ পেতেন শিক্ষকরা। এভাবে একজন শিক্ষক প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের সুযোগ পেতেন। তবে ২০১৫ সালের পর নিয়োগ সুপারিশের ক্ষমতা এনটিআরসিএর হাতে যাওয়ায় সে সুযোগও বন্ধ হয়ে গেছে। নিজ এলাকার বাইরে চাকরি করতে হচ্ছে। এর ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির সভাপতি, সদস্য কিংবা প্রতিষ্ঠান প্রধানের হাতে নানা ধরনের হয়রানির শিকার হতে হয় তাদের।

শিক্ষকদের নানা সমস্যার কথা বিবেচনা করে ২০২৩ সালে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি চালুর উদ্যোগ নেয় সরকার। গত বছরের ২২ অক্টোবর বদলি নিয়ে প্রথম কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সে কর্মশালায় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নিয়ে একাধিক পরামর্শ দেওয়া হয়।

ওই পরামর্শের আলোকে বদলির খসড়া তৈরি করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ঢাকা বিভাগীয় আঞ্চলিক কার্যালয়। খসড়া নিয়ে চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিন কর্মশালায় বদলির খসড়া প্রায় চূড়ান্ত করা হয়। রবিবার (৫ মে) এ নীতিমালা চূড়ান্ত করে পরিপত্র কবে জারি হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা ছিল।

৩০ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে সুন্দরবনের আগুন

ছবি: সংগৃহীত

পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আজ রবিবার (৫ মে) সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিস, বনবিভাগ, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী, আনসার ভিডিপি, গ্রাম পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এছাড়া, আগুন নিয়ন্ত্রণে হেলিকপ্টার দিয়ে উপর থেকে পানি ঢালে বিমানবাহিনী। আগুনের ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি করেছে বন বিভাগ।

বন বিভাগের খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দে গণমাধ্যমকে বলেন, সুন্দরবনের আমুরবুনিয়া জঙ্গলের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। নতুন করে আগুন আর ছড়ায়নি। ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় বন বিভাগের ২ শতাধিক বনকর্মীসহ নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, আনসার-ভিডিপি সদস্যরা আগুন নেভাতে কাজ করে। বিমানবাহিনীও আগুন নির্বাপণে অংশ নেয়।

প্রাথমিকভাবে বনের ৫/৬ একর বনভূমির লতাগুল্ম পুড়ে গেছে বলে সিএফ জানিয়েছেন। রবিবার দুপুরে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালিদ হোসেন ও পুলিশ সুপার মো. আবুল হাসনাত খান অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বন পরিদর্শন করেন।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মো. নুরুল করিম বলেন, অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ও এতে বনের ক্ষতি সম্পর্কে জানতে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিকে ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর প্রস্তাব পেয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। এই তথ্য জানিয়ে তিনি বলেছেন, এটি রাষ্ট্রের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ প্রস্তাব উপস্থাপিত হওয়ার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।

রবিবার (৫ মে) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা সাধারণভাবে ৩৫ ও কোটার ক্ষেত্রে ৩৭ বছর করার সুপারিশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। সম্প্রতি এ সুপারিশ করে জনপ্রশাসনমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পোষ্যসহ বিভিন্ন কোটার ক্ষেত্রে এ বয়স ৩২ বছর। দীর্ঘদিন ধরে চাকরিপ্রার্থীরা বয়সসীমা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছেন।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, যেকোনও বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত একটি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে হয়। আমরা বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবো। তিনি পরামর্শ দেবেন কোন প্রক্রিয়া অনুসরণ করে কোন জায়গায় যাওয়া যায়।

তিনি বলেন, এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সামনে বিষয়গুলো উত্থাপিত হয়েছে। একাদশ সংসদের এমপিরা এ বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। সেই প্রশ্নের উত্তর আমি নিজে দিয়েছি, প্রধানমন্ত্রীও কিন্তু সেসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর হবে। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে দুই বছর বেশি অর্থাৎ ৩২ বছর হবে।

তিনি বলেন, চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রেও বাড়িয়ে ২৭ বছর থেকে ৩০ বছর হয়েছে। আমরা কিন্তু বাড়িয়েছি। এটা (প্রবেশের বয়স) বাড়ালে আবার ওই দিকটার (অবসরের বয়স) একটা ব্যাপার আছে। তখন যে বাস্তবতা ছিল, বাস্তবতা বিভিন্ন সময়ে পরিবর্তন হয়। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সুন্দরভাবে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। বিষয়গুলো পরিষ্কার করেছেন।

মন্ত্রী বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ালে নিয়োগের নীতিমালার পরিবর্তন আনতে হবে। এটার ওপর আমাদের বিশেষ কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করলেই বলা যাবে এটি করা যাবে কি যাবে না বা আমরা এটা কখন করবো।

সর্বশেষ সংবাদ

আটকে গেল এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি
৩০ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে সুন্দরবনের আগুন
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
এবার মানবপাচার মামলায় ৪ দিনের রিমান্ডে মিল্টন সমাদ্দার
দ্বিতীয় বিয়েতে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে তালাকের অভিযোগ
দেশে ফেরা হলো না প্রবাসীর, বিমানে ওঠার আগে মৃত্যু
বজ্রপাত থেকে বাঁচার ‘কৌশল’ জানাল আবহাওয়া অফিস
নওগাঁয় ঔষধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে দুই যুবককে পিটিয়ে হত্যা করল জনতা
সত্য বলায় যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে আঘাত লাগলে কিছু করার নেই: ওবায়দুল কাদের
সেনাবাহিনীকে আরও আধুনিক ও দক্ষ করে তোলা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
উপজেলা নির্বাচন বর্জনে রিজভীর লিফলেট বিতরণ
টাঙ্গাইলে বজ্রপাতে বাবুর্চির মৃত্যু
জিম্বাবুয়ে-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজের ফলাফল কোনো কাজে আসবে না : সাকিব
১৫ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সুন্দরবনের আগুন নেভাতে যোগ দিয়েছে নৌ ও বিমান বাহিনী
গাজায় দেড় লাখের বেশি অন্তঃসত্ত্বা নারী পানিশূন্যতায় ভুগছেন
স্বামীর সঙ্গে অভিমানে নববধূর আত্মহত্যা
নারী এমপিকে মাদক খাইয়ে যৌন হেনস্তা
নীলক্ষেতে দুই রেস্টুরেন্টে আগুন