রবিবার, ১২ মে ২০২৪ | ২৯ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

অর্থনৈতিক কাঠামোর সাশ্রয় আগামীর ভাবনা

সরকারি প্রকল্পগুলোকে তিন ধাপে ভাগ করা হয়েছে। বেশি গুরুত্বপূর্ণ, মধ্যমমানের গুরুত্বপূর্ণ, কম গুরুত্বপূর্ণ তিন ধাপে বাস্তবায়ন করে প্রকল্পের অর্থায়নকে সীমিত করা জরুরি। যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে, সেসব প্রকল্পের ক্ষেত্রে বৈদেশিক কারেন্সি ব্যবহার করে যেসমস্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে সেসব প্রকল্পগুলির ক্ষেত্রে গুণাগুণ বিচার করা কতটুকু যুক্তিসংগত অথবা কতটুকু প্রয়োজন রয়েছে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করার, সেটিও সরকার এখন বিবেচনা করছে। একই সঙ্গে ডলারের বিপরীতে টাকার মুদ্রামান স্থিতিশীল রাখার অংশ হিসেবে এসময়ের ভেতরে প্রায় ছাব্বিশবারের মতো কারেন্সি ডিভ্যালু করা হয়েছে। টাকাকে বাজারের মানের সঙ্গে কিছুটা উঠানামার ভেতরে রাখার প্রচেষ্টা রয়েছে। যদিও সেটি পুরোপুরি এখনো করা যায়নি। বিদেশ থেকে ফরেন কারেন্সি আমদানিকে উৎসাহিত করার চেষ্টা রয়েছে।

এসমস্ত উদ্যোগগুলো স্বল্পমেয়াদে সুফল বয়ে আনবে এরকমই মনে করা হয়েছিল। এখন এসব উদ্যোগগুলো প্রকৃতপক্ষে কতটুকু কার্যকরী হচ্ছে, সেটি নিয়ে কিন্তু সন্দেহ তৈরি হচ্ছে। এমনকি অনেকগুলি উদ্যোগই হিতে বিপরীত হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। যা কিছু প্রত্যাশা করা হয়েছিল, সেটি না হয়ে ব্যয় বৃদ্ধির ঘটনা ঘটছে কি না। যেমন ডিজেলে সাশ্রয়ী করার উদ্যোগ হিসেবে বিদ্যুৎ কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে কি না। দেখা যাচ্ছে যে ডিজেলচালিত জেনারেটর অন্যান্য যে সমস্ত মোটর আছে সেগুলি ব্যবহার সাম্প্রতিককালে বৃদ্ধি পেয়েছে। সেটিও এখানে একটি বিচার্য বিষয়।

মোট কথা হলো, এসব উদ্যোগগুলো সরকারের উচিত মূল্যায়ন করে দেখা। এই উদ্যোগগুলো কতটুকু কার্যকরী? এই উদ্যোগগুলো যদি কার্যকরী না হয় তাহলে বিকল্প কী ধরনের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে? মোট কথা একটি সাশ্রয়ী অর্থনীতির ব্যাপারটিকে সরকারের সর্বাধিক প্রাধান্য দেওয়া দরকার। এখানে অনেক ক্ষেত্রেই হয়ত ব্যয় সংকোচনের দরকার হবে এবং এ মুহূর্তে উচ্চ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য থেকে সরে এসে মধ্যমমানের একটি প্রবৃদ্ধি সেটিকে মাথায় রেখে ব্যয় সংকোচন করার চেষ্টা সেটিকে মাথায় রাখা দরকার হবে। পাশাপাশি মানুষের ভেতরে খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি নিরাপত্তা এবং দারিদ্র্যের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেই সরকারের কার্যক্রম পরিচালনা করা উচিত। পাশাপাশি রিজার্ভ যেহেতু কমে আসছে ফলে সেই জায়গা থেকে বৈদেশিক মুদ্রার অংশ হিসেবে যে সমস্ত নেগোসিয়েশনগুলো চলছিল। বিশেষ করে আইএমএফের সঙ্গে বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে ঋণের ক্ষেত্রে বিশেষ করে ডলারের সংস্থান বৃদ্ধি করা দরকার। একইসঙ্গে বাজারে বিভিন্ন রকম অনিয়ম রয়েছে। এসময় ডলার কিনে জমিয়ে রাখছেন ফলে বাজারে ডলারের সংকট হচ্ছে। পাচারের সংখ্যা রয়েছে। যারা কিনা হুন্ডি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত অথবা অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত। এ ধরনের ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান যারা রয়েছে তাদের উপর নজরদারি বাড়ানো। এগুলি কিন্তু বর্তমান সময়ে দরকার রয়েছে।

মূল্যস্ফীতি যেহেতু বড় প্রকোপ কাজেই মূল্যস্ফীতিকে সীমিত রাখার স্বার্থে মূল্যস্ফীতি ব্যবস্থাপনার দিকে নজর দেওয়া দরকার। ব্যবস্থাপনা বলতে বোঝাতে হলো, দেশের ভেতরে পণ্যসামগ্রী যথেষ্ট পরিমাণে রাখা। দরিদ্র মানুষ ও সীমিত আয়ের মানুষ যারা রয়েছে তাদের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণে খাদ্য সামগ্রীর ব্যবস্থা করা। এক্ষেত্রে সরকার যে এক কোটি পরিবারকে সহায়তা দান করছে সেটির সম্প্রসারণ করা যায় কি না।

সরকারি ও বেসরকারি খাতে কর্মরত যারা রয়েছেন, তাদের জন্য বিশেষ পরিস্থিতিতে বাড়তি ইনক্রিমেন্টের ব্যবস্থা করা দরকার। সরকার তার নিজস্ব অর্থ থেকে তা বিবেচনা করতে পারেন একটি নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের জন্য। বেসরকারি খাতকে অনুরোধ করতে পারেন, যেন নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের কথা মাথায় রেখে যদি তারা ইনক্রিমেন্ট তারা দিতে পারেন। সে ব্যাপারে অনুরোধ করতে পারেন চলমান মূল্যস্ফীতি অর্থাৎ বাজারের ঊর্ধ্বমূল্যস্ফীতি পরিস্থিতি বিবেচনা করতে। এর পাশাপাশি উচিত হবে রপ্তানি বাজার যেন স্থিতিশীল থাকে। রপ্তানিমুখী কারখানাগুলোতে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সরবরাহ এগুলো যাতে স্থিতিশীল থাকে। এক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ হিসেবে গ্যাসের উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া খুব জরুরি হয়ে পড়েছে।

মোট কথা সরকারের উচিত হবে এই মুহূর্তে চারটি বিষয়কে মাথায় রাখা। সাশ্রয়ী অর্থনৈতিক কাঠামো আগামী দিনের জন্য মাথায় রাখতে হবে। বিশেষ করে যুদ্ধের পরিস্থিতি যেহেতু জটিল হচ্ছে এবং যেহেতু এটি দীর্ঘমেয়াদি হচ্ছে এর প্রভাব সহসা কমে আসবে সেটিও মনে হচ্ছে না। দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের যে অভিঘাতগুলো সেটিকে মাথায় রেখে অর্থনীতিকে সাজানো উচিত।

সেক্ষেত্রে নবায়নযোগ্য গ্যাস উৎপাদনে গুরুত্ব দেওয়া, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতি ব্যবস্থাপনা অর্থাৎ অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়ানো। অভ্যন্তরীণ বাজার ব্যবস্থাপনায় যে সমস্ত ত্রুটি রয়েছে, সেগুলি নিয়ন্ত্রণ করা। ডলারের বাজারকে স্থিতিশীল রাখার ক্ষেত্রে বৈদেশিক উৎস থেকে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ গ্রহণ করা। টাকার মুদ্রামানকে স্থিতিশীল রাখার ক্ষেত্রে যতটুকু সম্ভব বাজারভিত্তিক একচেঞ্জ রেটের কাঠামোর দিকে ধীরে ধীরে অগ্রসর হওয়ার দিকে সরকার তার নীতি কাঠামো বিবেচনা করতে পারে।

লেখক: গবেষণা পরিচালক, সিপিডি।

এসএন

Header Ad

এসএসসিতে ৫১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সবাই ফেল

প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত

এবারের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় সারা দেশে দুই হাজার ৯৬৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শতাভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে। তবে ৫১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী এবার পাস করতে পারেনি।

রবিবার (১২ মে) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, চলতি বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেওয়া মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৯ হাজার ৮৬১টি। এর মধ্যে শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দুই হাজার ৯৬৮টি। ৫১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীই পাস করেনি।

বক্তব্য রাখছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

এর আগে সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ২০২৪ সালের এসএসসির ফলাফলের সারসংক্ষেপ ও পরিসংখ্যান তুলে দেন ১১টি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানরা।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় গত ১২ মার্চ। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ থেকে ২০ মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়।

এবার মোট ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৬ লাখ ৬ হাজার ৮৭৯ জন। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষা দিয়েছেন মোট ২ লাখ ৪২ হাজার ৩১৪ জন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৩ জন।

বাংলাদেশের হোয়াইটওয়াশের স্বপ্ন ভেঙে সান্ত্বনার জয় পেল জিম্বাবুয়ে

সান্ত্বনার জয় পেল জিম্বাবুয়ে। ছবি: সংগৃহীত

এর আগে সম্ভাবনা জাগিয়েও জয়ের দেখা পায়নি জিম্বাবুয়ে। পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে এসে জয়ের স্বাদ পেল দলটি। শুরু থেকে হিসেবি ব্যাটিং করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে রান তাড়া করে জিতেছে সফরকারী দলটি। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের আগের চারটিতে আগের হেরেছে সিকান্দার রাজারা। সান্ত্বনার এই জয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হোয়াইটয়াশ এড়ালো তারা

রবিবার (১২ মে) মিরপুরে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ তুলে বাংলাদেশ। দলের হয়ে ৪৪ বলে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন রিয়াদ। জবাবে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৮ দশমিক ৩ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় জিম্বাবুয়ে।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দেখেশুনেই এগোতে থাকে সফরকারীদের দুই ওপেনার। তবে সাকিবের ওপর চড়াও হতে গিয়ে নিজের উইকেট বিলিয়ে দেন মারুমানি। এতে ৩৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় রোডেশিয়ানরা। সাকিবের আউট সাইট অফের ডেলিভারিতে তার স্টাম্প ভাঙেন জাকের আলী।

একপর্যায়ে সাকিব, মোস্তাফিজ, রিশাদ-ত্রয়ীতে বেশ চাপে পড়েছিল জিম্বাবুয়ে। ৬ ওভার হাত ঘুরিয়ে মোটে ১৩ রান দেন তারা। তবে পানি পানের বিরতির পর রিশাদের ওপর চড়াও হয়ে ১৬ রান তুলে নেয় সফরকারীরা।

টাইগার বোলারদের সামনে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি তুলে নেন বেনেট। ৩৬ বলে এই মাইলফলক পূর্ণ করেন তিনি। তাকে থামান সাইফউদ্দিন। তার শর্ট বলে তুলে মারতে গিয়ে মিডউইকেটে ধরা পড়েন এই ওপেনার। ফেরার আগে খেলেন ৪৯ বলে ৭০ রানের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।

এরপর বাকি কাজটা সারেন দলপতি রাজা। তার ৪৬ বলে ৭২ রানের ইনিংসে ৯ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় সফরকারীরা। এই জয়ে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ালো জিম্বাবুয়ে।

এর আগে, ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনিং জুটিতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। দলীয় ৯ রানেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন দুই ওপেনার সৌম্য (৭) ও তামিম (২)। এরপর ক্রিজে এসে থিতু হতে পারেননি হৃদয়ও। বেনেটের বলে কাট করতে গিয়ে কট বিহাইন্ড হন এই ব্যাটার। এতে ৪ দশমিক ১ ওভারেই ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ৬ ওভারে মাত্র ৩৩ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ।

পরপর তিন উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। তবে শুরুর সেই ধাক্কা সামলে ভিন্ন পথে দলকে এগিয়ে নেন মাহমুদউল্লাহ ও নাজমুল। এই জুটি ইনিংসের অষ্টম ওভারে ৫০ ছাড়ায় বাংলাদেশ।

তবে রিয়াদের সঙ্গে ৬৯ রানের জুটির পর আউট হয়ে যান শান্ত। সুইপ করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে ২৮ বলে ৩৬ রানে ফেরেন টাইগার দলপতি।

শান্ত ফিরলেও সাকিবকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় রানের গতি বাড়ান রিয়াদ। এই জুটিতে ইনিংসের ১৪তম ওভারে এসে দলীয় ১০০ পেরিয়ে যায় বাংলাদেশ।

তবে ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ১ হাজার রান পূর্ণ করার পর বেশিক্ষণ ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেননি সাকিব। মিডউইকেটে দারুণ ডাইভে সাকিবের ক্যাচ নেন ক্যাম্পবেল জুনিয়র। এতে ১৭ বলে ২১ রান করে সাকিবকে ফিরতে হয়।

অন্যদিকে ইনিংসের ১৬তম ওভারে এসে ক্যারিয়ারের অষ্টম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ফিফটি তুলে নেন রিয়াদ। তবে ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। মুজারাবানির বলে রাজার হাতে ক্যাচ দিয়ে ১ ছক্কা ও ৬ চারে ৫৪ রানে ফেরেন মিডল-অর্ডার এই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত জাকের আলীর ১১ বলে ২৪ রানের ক্যামিওতে ১৫৭ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ।

বিয়ে করছেন ‘বিগ বস’ তারকা আবদু রোজিক

বিগ বস তারকা আবদু রোজিক। ছবি: সংগৃহীত

বিয়ের ঘোষণার পর এবার বাগদান সারলেন ইন্টারনেট সেনসেশন ও ‘বিগ বস’ তারকা আবদু রোজিক। সম্প্রতি আবদু নিজেই একটি ভিডিও বার্তা পোস্ট করে এই সুখবর দিয়েছেন। আর এবার বাগদানের ছবি প্রকাশ্যে আনলেন এই তারকা।

শুক্রবার (১০ মে) ইনস্টাগ্রামে বাগদত্তার এক ঝলকও দিয়েছেন ২০ বছর বয়সী বামন আবদু, যা দেখে রীতিমত অবাক নেটপাড়া।

আবদুর শেয়ার করা দুইটি ছবির মাঝখানে একটি ছবিতে দেখা গেছে সংস্কৃতি মেনে ঐতিহ্যবাহী পোশাকে আবদুকে আংটি ধরে থাকতে। অপর ছবিতে আবদু পাশাপাশি তার বাগদত্তা আমিরার দেখা মেলে।

যেখানে সাদা পোশাকে ঝলমলে, বোরখা-হিজাবে দেখা মিলেছে আমিরার। সেই সঙ্গে তার পরের ছবিতে দেখা যায়, আমিরার আঙুলে আংটি পরিয়ে দিচ্ছেন আবদু। ছবিতেই স্পষ্ট বামন বিগ বস প্রতিযোগীর হবু স্ত্রী কিন্তু লম্বা এবং তার গায়ের রং ধবধবে সাদা। যা দেখেই রীতিমত অবাক নেটপাড়া। জানা গেছে, ১৯ বছর বয়সী আমিরা শারজার মেয়ে।

ছবিগুলি শেয়ার করে আবদু লিখেছেন, আলহামদুলিল্লাহ ২৪.০৪.২০২৪, চিরন্তনের যাত্রা শুরু’। জানা গেছে, গত ২৮ এপ্রিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাতে এনগেজমেন্ট সেরেছেন আবদু।

হবু বউকে নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে আবদু বলেন, ‘জীবনের অনিশ্চয়তার মাঝেও আমিরাকে আবিষ্কার করা এক অসাধারণ আশীর্বাদ। বাতাস যেন ভালোবাসায় ঝলমল করছে, আর আমার হৃদয় কৃতজ্ঞতায় উপচে পড়ছে। আমিরার উপস্থিতির উষ্ণতা উপভোগ করা আমার কাছে সর্বশক্তিমানের আর্শীবাদ’।

আবদু তাজিকিস্তানের একজন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী। তিনি ‘বিগ বস ১৬’-তে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ভারতে প্রচুর জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। তবে পূর্ব পেশাগত বাধ্যবাধকতার কারণে স্বেচ্ছায় ‘বিগ বস ১৬’ ত্যাগ করেন আবদু। ছোটবেলা থেকেই দারিদ্রের মধ্যে দিয়ে বড় হওয়া আবদু সেই সময় থেকেই রিকেট রোগে আক্রান্ত। ফলে থেমে যায় তার শারীরিক বৃদ্ধি। সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস

সর্বশেষ সংবাদ

এসএসসিতে ৫১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সবাই ফেল
বাংলাদেশের হোয়াইটওয়াশের স্বপ্ন ভেঙে সান্ত্বনার জয় পেল জিম্বাবুয়ে
বিয়ে করছেন ‘বিগ বস’ তারকা আবদু রোজিক
এসএসসিতে কোন বোর্ডে পাসের হার কত
হোয়াইটওয়াশের মিশনে জিম্বাবুয়েকে ১৫৮ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ
ছাত্রীদের চেয়ে ছাত্ররা পিছিয়ে, কারণ খুঁজতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৮৩.০৪ শতাংশ
সৌদি আরবে এবার হজযাত্রীদের জন্য থাকছে উড়ন্ত ট্যাক্সি
আজ বিশ্ব মা দিবস
বিয়ের ৪ মাসেই সন্তান প্রসব করেলেন নববধূ
রাবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, রাতভর উত্তেজনার পর শান্ত
এসএসসির ফল প্রকাশ আজ, যেভাবে জানবেন
ঈদুল আজহায় সরকারি চাকরিজীবীদের ছুটি মিলবে যে কয়দিন
স্বর্ণের দাম আরও বাড়ল
আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যা, একদিনে দুই শতাধিক মৃত্যু
রংপুর মেডিকেলের আইসিইউ ইউনিটে আগুন
আওয়ামী লীগ নয়, দেশ চালাচ্ছে অদৃশ্য শক্তি: মির্জা ফখরুল
পতঞ্জলি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ভারতের যোগগুরু বাবা রামদেব
রাত ১টার মধ্যে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের ‍পূর্বাভাস, হুঁশিয়ারি সংকেত
বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দল ঘোষণা আগামীকাল