শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫ | ২৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ঋণখেলাপি এবং আইএমএফের ঋণ

দেশের অভ্যন্তরে ঋণ দেওয়া আর বাইরে থেকে ঋণ নেওয়া এই দুই সংকট মোকাবিলা করছে বাংলাদেশ। টাকা তো খরচ করার জন্যই। টাকা নাকি চাকার মতো। যত ঘোরে তত পথ অতিক্রম করে। কিন্তু যদি আটকে যায় কোথাও তাহলে সংকট তৈরি হয়। তখন কাগজের হিসেবে থাকে কিন্তু বাস্তবে পকেটে থাকে না। ঋণখেলাপিদের কাছে টাকা থাকলেও তেমনি হয়। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুয়ায়ী খেলাপি ঋণ ১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা। যা ব্যাংক খাতে মোট ঋণের ৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এ যাবত কালের এটাই সর্বোচ্চ হারে খেলাপি ঋণ।

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ মইনুল ইসলামের মতে খেলাপি ঋণ ৪ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। তিনি বলেছেন খেলাপি ঋণকে কার্পেটের নিচে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেছেন, খেলাপি ঋণের যে চিত্র বেরিয়ে এসেছে বলতে গেলে এটা কিছুই নয়। প্রকৃত চিত্র আরও ভয়াবহ হবে। কারণ, একদিকে ঋণ আদায় হচ্ছে না অন্যদিকে ঋণ বিতরণ চলছে।

আর বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, যারা ঋণ পরিশোধ করছেন না তাদের বিরুদ্ধে সরাসরি অ্যাকশনে যেতে হবে। এর সঙ্গে কোনো ব্যাংকার, পরিচালক জড়িত আছেন কি না তা দেখে তাদের বিরুদ্ধে আগে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নিতে হবে। এই তিন অর্থনীতিবিদের কথায় সংকটের চিত্র এবং করণীয় ফুটে উঠেছে। এখন দেখতে হবে সরকার কী করে? কারণ, আলোচনা যতই হোক না কেন পদক্ষেপ তো নিতে হবে সরকারকেই। এরই মধ্যে খবর হলো, গত জুন থেকে সেপ্টেম্বর এই তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৯ হাজার ১৩৯ কোটি টাকা।

আমদানি রপ্তানির পার্থক্য বেড়েই চলছে ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছে প্রতি মাসে ১.৩ বিলিয়ন ডলার করে। চলতি বছরে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ কমেছে ১১ বিলিয়ন ডলার। বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান উৎস রপ্তানি আয় ও প্রবাসী আয়ের গতি কমেছে। আর বৈদেশিক মুদ্রা খরচের প্রধান খাত আমদানি ব্যয় বাড়ছে। বৈদেশিক মুদ্রা আয় কম বলে লেনদেনের ঘাটতি বেড়ে যাচ্ছে। আর বাংলাদেশ ব্যাংক কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছে ডলার সংকট নিয়ে।

বাংলাদেশ ব্যাংক টাকার মূল্যমান কৃত্রিমভাবে ধরে রেখে সমস্যা নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করছিল। কিন্তু আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি এবং বৈদেশিক মুদ্রার আয় কমে গেলে অল্প অল্প করে টাকার অবমূল্যায়ন শুরু করতে বাধ্য হয়। এরপর ডলারের দর আর তেমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। বাজারে ডলারের দর ১১২ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। বাজারে সরবরাহ ঠিক রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করা শুরু করে। এতে ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের রিজার্ভ এখন কমে হয়েছে ৩ হাজার ৪৩৩ কোটি ডলারে, যদিও আইএমএফ প্রতিনিধি দলের মতে, হিসাবটি পূর্ণাঙ্গ নয়। কারণ, নানা কারণে ৭২০ কোটি ডলার ব্যবহার করা হয়েছে, সেই হিসাবে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ এখন ২ হাজার ৭০০ ডলারের কিছু বেশি।

বৈদেশিক মুদ্রার উৎস রপ্তানি, প্রবাসী আয় এবং বিদেশী বিনিয়োগ। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সুত্রে জানা যায়, অক্টোবরে রপ্তানি আয় গত বছর একই মাসের তুলনায় কমেছে প্রায় ৮ শতাংশ। গত সেপ্টেম্বর মাসে কমেছিল সোয়া ৬ শতাংশ। অথচ এর আগে টানা ১৩ মাস রপ্তানি আয় বেড়েছিল। সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২২ দশমিক ৬২ শতাংশ। রপ্তানিকারকদের আশঙ্কা, সামনে এই আয় আরও কমবে। আবার গত অক্টোবরে আসা প্রবাসী আয় গত আট মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। সব মিলিয়ে গত চার মাসে প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি সামান্য, মাত্র ২ শতাংশ। আশার কথা এই যে, চলতি অর্থবছরে ৯ লাখের বেশি শ্রমিক দেশের বাইরে গেছেন। তারা আয় পাঠানো শুরু করলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। তবে এ জন্য বাজারদর মেনে বিনিময় হার ঠিক করাটা জরুরি। নইলে হুন্ডি আরও বাড়বে। অর্থ পাচার ঠেকানোর কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ সরকারের নেই বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। আবার ডলারের উচ্চ দর সামলাতে গলদঘর্ম হচ্ছে সরকার। বিদেশি বিনিয়োগ স্বাগত জানাতে সব ধরনের প্রস্তাব দিতে চাইছে।

বিশ্ব অর্থনীতির সংকট সহসাই কি নিরসন হবে? উত্তর হচ্ছে, না। আর বাংলাদেশের সংকট তো বহুমাত্রিক। কারণ, জ্বালানি তেল, কয়লা ও এলএনজি আমদানির উপর নির্ভরশীল দেশে আমদানির জন্য ডলার পাবে কোথায়? এরকম অবস্থায় ঋণ নিয়ে আলোচনার জন্য আইএমএফ প্রতিনিধিদল এসেছিল। তারা ফিরে গিয়ে কী প্রতিবেদন দেবে তার উপরই নির্ভর করছে ঋণের ভবিষ্যৎ। আইএমএফ ঋণ দিলে বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকা এগিয়ে আসবে এই ভরসা করছে সরকার।

ঋণ শোধ দেওয়ার ক্ষমতা আছে বলে সাত মাসে ৪২ কিস্তিতে ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাব আছে আইএমএফ এর। এর পরিমাণ প্রতি কিস্তিতে ৬৪ কোটি ডলার অর্থাৎ মাসে ১১ কোটি ডলারের কম। অন্যদিকে, গড়ে প্রতি মাসে বাংলাদেশের আমদানি খরচ ৭৫০ কোটি ডলার। তারপরও আইএমএফ এর শর্তে সরকার যদি আমদানি শুল্ক কমায় তাহলে দেশীয় শিল্প হুমকির মধ্যে পড়বে।

জ্বালানি তেল, গ্যাস, বিদ্যুতের দাম যদি বাড়ায় তাহলে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়বে, বেশি সুদের হারে (২ দশমিক ২০ শতাংশ) ঋণ নিলে পরিশোধের দায় বাড়বে। পাশাপাশি স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বব্যাংকের কাছে ঋণের আশ্বাস পেয়েছিল ৩৭ বিলিয়ন ডলার আর ঋণ ছাড় হয়েছে ২৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। সুদাসল মিলে বাংলাদেশ শোধ করেছে ৬ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার। দুর্নীতি, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বৃদ্ধি, ডলার পাচার বন্ধ না করে, ঋণখেলাপিদের টাকা উদ্ধার না করে এবং কৃষিতে বরাদ্দ না বাড়িয়ে যদি অনৈতিক ও অসম শর্তে ঋণ নেওয়া হয় তাহলে বর্তমান সংকট সামাল দেওয়া গেলেও ভবিষ্যতের ঋণের ফাঁদ আরও কঠিনভাবে চেপে বসবে।

লেখক: সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)

Header Ad
Header Ad

এবার অপেক্ষা তারেক রহমানের ফেরার, চলছে জোরালো প্রস্তুতি

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার পর এবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন নেতাকর্মীরা। এরইমধ্যে তার রাজনৈতিক কার্যালয় গোছানো ও নিরাপত্তা প্রস্তুতি নেয়া শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।

নানা প্রতিকূলতার পর লন্ডনে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ আর পরিবারের সান্নিধ্যে চার মাস কাটিয়ে গত মঙ্গলবার (৬ মে) দেশে ফিরেছেন বেগম খালেদা জিয়া। হেঁটে ঢুকেছেন গুলশানের বাসা ফিরোজায়। সঙ্গে ফিরেছেন দুই পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান ও সৈয়দা শামিলা রহমানও। এবার অপেক্ষা শুধু তারেক রহমানের দেশে ফেরার।

বিএনপি নেতারা বলছেন, আপসহীন চরিত্রে গণতন্ত্রের প্রতীক বেগম জিয়া। যথাসময়ে উন্নত চিকিৎসা না পাওয়ার আক্ষেপ তাদের। তবে শারীরিক জটিলতায় মাঠের রাজনীতিতে পুরোদমে সক্রিয় না হতে পারলেও চেয়ারপারসনের উপস্থিতি নেতাকর্মীদের উদ্যম বাড়াবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, খালেদা জিয়া জীবনে কোনোদিন রাজনীতিতে আপস করেননি। তাকে হেঁটে জেলে যেতে হয়েছে, হুইলচেয়ারে বের হতে হয়েছে শেখ হাসিনার নির্যাতনে। কিন্তু সেসময় তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হতে পারতেন। উনাকে কোনোদিনই বাংলাদেশ দূরে রাখতে পারেননি।’

দীর্ঘদিন নির্বাসিত তারেক রহমানও দেশে ফেরার জন্য প্রস্তুত জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘তার ফেরার পরে এখানকার অবস্থান, রাজনৈতিক কার্যালয় এবং নিরাপত্তায় কী ব্যবস্থা নেয়া হবে, এর আয়োজন আমরা শুরু করে দিয়েছি। আমরা আশা করি তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন।’

তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জোবাইদা রহমানকে ঘিরে কর্মীদের মাঝে বাড়তি উন্মাদনা দেখা গেলেও নেতারা জানান, এখনই রাজনীতিতে অংশ নিতে আগ্রহী নন তিনি।

Header Ad
Header Ad

পদ্মার এক ইলিশের দাম সাড়ে ৮ হাজার টাকা

ছবি: সংগৃহীত

পদ্মা নদী থেকে ধরা প্রায় দুই কেজি ওজনের একটি ইলিশ বিক্রি হয়েছে সাড়ে আট হাজার টাকায়। আজ শুক্রবার সকালে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া বাজারে ইলিশটি নিলামে বিক্রি হলে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী আট হাজার টাকায় কেনেন। পরে তিনিও যোগাযোগ করে এক প্রবাসীর কাছে সাড়ে আট হাজার টাকায় বিক্রি করেন। আজ সকালে পদ্মা নদীর মোহনায় ফরিদপুরের কবিরপুর চরে জেলেদের জালে ইলিশটি ধরা পড়ে।

স্থানীয় মৎস্যজীবীরা জানান, বর্তমানে পদ্মা নদীতে ইলিশের আকাল চলছে। জেলেদের জালে বিভিন্ন প্রকারের মাছ ধরা পড়লেও ইলিশের তেমন দেখা মিলছে না। আজ ভোরে পদ্মা নদীর মোহনায় রাজবাড়ীর সীমান্তবর্তী এবং ফরিদপুর জেলার শুরু কবিরপুর চরে জেলে ইসমাইল হালদারের জালে একটি বড় ইলিশ ধরা পড়ে। মাছটি বিক্রির জন্য দৌলতদিয়া ঘাট বাজারের হালিম সরদারের আড়ত ঘরে তোলা হয়। এ সময় ওজন দিয়ে দেখা যায়, ইলিশটি প্রায় ১ কেজি ৯৬০ গ্রামের। পরে নিলামে তোলা হলে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে দৌলতদিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ কিনে নেন।

মো. শাহজাহান শেখ বলেন, মাঝেমধ্যে কাতলা, রুই, পাঙাশের দেখা মিললেও ইলিশের দেখা মিলে না বললেই চলে। হঠাৎ মাঝেমধ্যে দু–একটি ইলিশ পাওয়া গেলেও দাম অনেক বেশি হওয়ায় ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যায়। এ সময় শৌখিন টাকাওয়ালা মানুষেরা এসব মাছ কিনে নেন। এ ছাড়া এ বছর এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ধরা পড়েছে। তবে প্রায় দুই কেজি ওজনের এত বড় ইলিশ এই প্রথম ধরা পড়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

Header Ad
Header Ad

৫ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে থানায় নেওয়া হলো আইভীকে

ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. সেলিনা হায়াত আইভীর বিরুদ্ধে দুটি থানায় পাঁচটি মামলা থাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শুক্রবার (৯ মে) ভোর সাড়ে তিনটার দিকে শহরের দেওভোগ এলাকায় অবস্থিত চুনকা কুটির থেকে আইভীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

তবে তিনি দিনের আলো দেখা যাবার পর পুলিশের সঙ্গে যাবেন ঘোষণা দিয়ে সকাল সাড়ে ৫টায় পুলিশের গাড়িতে করে থানার উদ্দেশ্যে বাড়ি ত্যাগ করেন আইভী।

বাড়ি থেকে বের হবার আগে তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ বলায় যদি আমার শাস্তি হয় তাহলে আমি তা মাথা পেত নেব। আমি তো কোনো অন্যায় করিনি, চাঁদাবাজি করিনি, হত্যা করিনি। যখন নারায়ণগঞ্জের একটা মানুষও কথা বলত না প্রতিবাদ করত না তখন ত্বকী হত্যার প্রতিবাদসহ সকল প্রতিবাদ আমি করেছি। আমি আপনাদের সেবা দিয়েছি।

তিনি বলেন, আপনারা বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন, নতুন সরকার এসেছে। আমি তো কোনো অপরাধ করিনি। তাহলে কেন আমাকে গ্রেফতার জানতে চাই সরকারের কাছে। আমার ভাইকে আমরা হারিয়েছি এক মাস হয়নি, তিনটা ছেলে-মেয়ে। এমন অবস্থায় আমি তো বাড়িতেই ছিলাম, পালাইনি, তবে কেন গ্রেফতার?

এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে এগারোটার দিকে পুলিশের একটি দল শহরের দেওভোগ এলাকায় অবস্থিত আইভীর বাড়ি চুনকা কুটিরে প্রবেশ করেন। এ সময় আইভীর গ্রেফতারের খবরে স্থানীয় বাসিন্দারা ও তার নেতাকর্মীরা রাস্তায় নেমে আসলে পুরো এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

এ সময় আইভীর বাড়ির দিকে যাওয়ার চারটি রাস্তায় বাশ, ঠেলাগাড়ি, ভ্যানগাড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও আইভীর সমর্থকেরা। আশেপাশের এলাকার মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সকলকে আইভীর বাড়ির দিকে রওয়ানা দেওয়ার আহ্বান জানান তারা।

নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) তারেক আল মেহেদি জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আইভীর বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় চারটি ও ফতুল্লা থানায় একটি মামলা আছে। তাকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মামলায় গ্রেফতার করে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

এবার অপেক্ষা তারেক রহমানের ফেরার, চলছে জোরালো প্রস্তুতি
পদ্মার এক ইলিশের দাম সাড়ে ৮ হাজার টাকা
৫ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে থানায় নেওয়া হলো আইভীকে
জুমার পর যমুনার সামনে বড় জমায়েতের ডাক হাসনাত আব্দুল্লাহর
প্রথম আমেরিকান পোপ হলেন রবার্ট প্রিভোস্ট
একের পর এক ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল ভারত, সীমান্তজুড়ে ব্ল্যাকআউট
নিষিদ্ধ হচ্ছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও যুবলীগ
অবশেষে গ্রেফতার আইভী
ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার জেরে পিএসএলের বিদেশি ক্রিকেটারদের দেশত্যাগ শুরু
সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ বাড়ল দুই মাস
মাহফুজ-আসিফ আ’লীগ নিষিদ্ধ চায়, কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে কারা: হাসনাত
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সিইও পদ ছাড়লেন স্নিগ্ধ
আবদুল হামিদের দেশত্যাগ, ৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
টাঙ্গাইলে ট্রাক-পিকআপের সংঘর্ষে ৩ জন নিহত
ভারতীয় অর্ধশত সৈন্যকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের
নওগাঁর পতিসরে বিশ্বকবির কাছারি বাড়িতে জন্মবার্ষিকী ঘিরে উৎসবের আমেজ
অভিমানে ঘর ছাড়লেন শামীমের স্ত্রী
পাকিস্তানের পাল্টা হামলার ভয়ে ভারতের ব্ল্যাকআউট ঘোষণা
গরমকালে আম টাটকা রাখার উপায়
দুবাইয়ে বেনজীরের মেয়ে তাহসিনের ফ্ল্যাট জব্দ, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধ