শনিবার, ৪ মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

নারী জাগরণে এক শুকতারার গল্প

আমার কবিতা দিয়েই লেখাটি শুরু করতে চাই-

তুমি মহীয়সী, তুমি রোকেয়া
তুমি মহীয়সী, তুমি রোকেয়া
জ্ঞানের দিশারী তুমিতো আমাদেরই রোকেয়া
ডেকেছো নারীকে কন্যা, জায়া, জননীর কাÐারী হয়ে আসা।
তুমিতো শুনিয়েছো সমতার বাণী নারীর স্বপ্নগাঁথা।
তুমি মহীয়সী, শিখিয়েছো নারীকে অবরোধ ভাঙার প্রথা
সীমানা ছাড়িয়ে পৌঁছে গেছো নতুন কোন আশা
তুমি মহীয়সী, তুমি রোকেয়া
জীবনের আঙিনাতে কতো নারী সাজিয়েছে তোমার দীপশিখা।
তুমি মহীয়সী প্রত্যয়ী হতে শিখিয়েছো,
তুমি আঁধার ভাঙার গান।
তুমি শিখিয়েছো কতো কী যে!
শেকল ছেড়াঁর গান।
শতবর্ষ আগের চিন্তার ফসল আধুনিকতাকে ছড়িয়েও
তুমি দিয়েছো কতো রক্তিম প্রাণ।
তুমি মহীয়সী, তুমি রোকেয়া তুমি বাঙালি চিন্তাবিদ
তুমি অসামান্য দূরদৃষ্টিসম্পন্ন সমাজ সংস্কারক, আমাদেরই দূরবীন।

এই উপমহাদেশের নারীর অগ্রগতি ও ক্ষমতায়নের অগ্রদূত ছিলেন বেগম রোকেয়া। যাকে আমি শুকতারা বলছি সেই শুকতারার জীবনকাল ৯ ডিসেম্বর ১৮৮০ থেকে ৯ ডিসেম্বর ১৯৩২। তবে তিনি ক্ষণজন্মা, তার জীবনলীলায় জড়িয়ে আছে কত অজানা গল্প। শিশু বয়সে কলকাতায় একবার চিলেকোঠায় তিনদিন দুধ চিড়া খেয়ে থাকতে হয়েছিল নিচে নামলে যদি কোনো বেগানা নারীর সঙ্গে দেখা হয়ে যায় সে ভয়ে। কিন্তু আজকের নারীসমাজ অন্তপুরের অন্ধকার ভেদ করে আলোর নিশানা পেরিয়ে উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় শরীক হয়েছে । বাঙালির আধুনিক যুগের ইতিহাসে বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন অবিস্বরণীয় একটি নাম।

অনেক সময় দেখা যায় শিক্ষিত নারী-পুরুষের অনেকের মন ও মননে পুরুষতান্ত্রিক প্রভাব ও গোঁড়ামি পরিলক্ষিত হয়। মেয়েরা শিক্ষিত হলে চাকরি করতে পারবে না। পর্দার আড়ালে থেকে এসে সমাজ বিনির্মাণে কাজ করায় অসংখ্য বাধা সম্মুখে এসে দাঁড়ায়। খোদ পরিবারই এটা জিইয়ে রাখে অনেক সময়। নারী আজ মুক্ত হয়েছে অশিক্ষার অভিশাপ থেকে। যুক্ত হয়েছে সমাজ ও দেশ বিনির্মাণের প্রতিটি ক্ষেত্রে।

নারীরা শিক্ষিত না হলে তারা যে পরিবার-সমাজ ও রাষ্ট্রের সকল ধারা থেকে পিছিয়ে পড়বে, তা অনুধাবন করতে পেরেছিলেন শতবর্ষ আগেই বেগম রোকেয়া। বেগম রোকেয়ার রচনায় তিনি লিখেছেন-মাদক দ্রব্যের যতই সর্বনাশ হউক না কেন, মাতাল তাহা ছাড়িতে চাহে না সেইরূপ আমরা অঙ্গে দাসত্বের নিদর্শন ধারণ করিয়াও আপনাকে গৌরবান্বিতা মনে করি-গর্বে স্ফীতা হই! এ দেশে আমাদের স্বামী আমাদের নাকে ‘নোলক’ পরাইয়াছেন!! ঐ নোলক হইতেছে ‘স্বামী’র অস্তিত্বের (সধবার) নিদর্শন! অতএব দেখিলেন ভগিনি! আপনাদের ঐ বহুমূল্য অলঙ্কারগুলো দাসত্বের নিদর্শন ব্যতীত আর কী হইতে পারে? আবার মজা দেখুন, যাঁহার শরীরে দাসত্বের নিদর্শন যত অধিক, তিনি সমাজে ততোধিক মান্যা গণ্যা! যদিও জাপানে স্ত্রীকে স্বামীর প্রধান সেবিকা মনে করা হয় কিন্তু সচরাচর তাহাতে গৃহস্থিত অপর সকলে মাননীয়া গৃহিণী বলিয়া ডাকে। সুখের বিষয় এই যে এখন ইউরোপীয় রীতি নীতির সহিত পরিচিত শিক্ষিত সমাজে ক্রমশ রমণীয় অবস্থা উন্নত করিবার আকাঙ্ক্ষা জাগ্রত হইতেছে। জীবনের কর্তব্য অতি গুরুতর, সহজ নহে:
সুকঠিন গার্হস্থ্য ব্যাপার
সুশৃঙ্খলে কে পারে চালাতে?
রাজ্যশাসনের রীতি নীতি
সূ²ভাবে রয়েছে ইহাতে।
বোধ হয় এই গার্হস্থ্য ব্যাপারটাকে মস্তকস্বরূপ কল্পনা করিয়া শাস্ত্রকারগণ পতি ও পত্নীকে তাহার অঙ্গস্বরূপ বলিয়াছেন। তাই বলি আমাদের অবস্থা আমরা চিন্তা না করিলে আর কেহ আমাদের জন্য ভাবিবে না। ভাবিলেও তাহাতে আমাদের ষোলো আনা উপকার হইবে না। অনেকে মনে করেন যে পুরুষের উপার্জিত ধন ভোগ করে বলিয়া নারী তাহার প্রভুত্ব সহ্য করে। কথাটা অনেক পরিমাণে ঠিক। বোধ হয় স্ত্রীজাতি প্রথমে শারীরিক শ্রম অক্ষম হইয়া পরের উপার্জিত ধনভোগে বাধ্য হয়। এবং সেইজন্য তাহাকে মস্তক নত করিতে হয়।

আমরা সমাজেরই অর্ধঅঙ্গ। আমরা পড়িয়া থাকিলে সমাজ উঠিবে কিরূপ? কোনো ব্যক্তির এক পা বাঁধিয়া রাখিলে, সে খোঁড়াইয়া খোঁড়াইয়া কতদূর চলিবে? পুরুষদের স্বার্থ এবং আমাদের স্বার্থ ভিন্ন নহে-একই। কি আধ্যাত্মিক জগতে, কি সাংসারিক জীবনের পথে-সর্বত্র আমরা যাহাতে তাঁহাদের পাশাপাশি চলিতে পারি, আমাদের এরূপ গুণের আবশ্যক। বাস্তবিক অত্যাধিক যত্নে অনেক বস্তু নষ্ট হয়। যে কাপড় বহু যত্নে বন্ধ করিয়া রাখা যায়, তাহা উইএর ভোগ্য হয়। কবি বেশ বলিয়াছেন:
কেন নিভে গেল বাতি?
আমি অধিক যতনে ঢেকেছিনু তারে,
জাগিয়া বাসর রাতি,
তাই নিবে গেল বাতি।
সুতরাং দেখা যায়, তাঁহাদের অধিক যত্নই আমাদের সর্বনাশের কারণ।

“The five worst maladies that afflict the female mind are: indocility, discontent, slander, jealousy and silliness...such is the stupidity of her character, that it is incumbent on her, in every particular, to distrust herself and to obey her husband.” (Japan, the Land of the Rising Sun)
(ভাবার্থ-স্ত্রীজাতির অন্তঃকরণের পাঁচটি দুরারোগ্য ব্যাধি এই- [কোন বিষয় শিক্ষার] অযোগ্যতা, অসন্তোষ, পরনিন্দা, হিংসা এবং মূর্খতা।... নির্বোধ স্ত্রীলোকের কর্তব্য যে প্রত্যেক বিষয়ে নিজেকে অবিশ্বাস করিয়া স্বামীর আদেশ পালন করে)। বঙ্গীয় কোনো কোনো সমাজের স্ত্রীলোক যে স্বাধীনতার দাবি করিয়া থাকেন, তাহা প্রকৃত স্বাধীনতা নহে- ফাঁকা আওয়াজ মাত্র। এখন আর আমাদের হৃদয়ে স্বাধীনতা, ওজস্বিতা বলিয়া কোনো বস্তু নাই-এবং তাহা লাভ করিবার প্রবৃত্তি পর্যন্ত লক্ষিত হয় না! তাই বলিতে চাই:
অতএব জাগ, জাগ গো ভগিনি!

বেগম রোকেয়ার রচনায় তিনি লিখেছেন-বিশ্ব জগতের মনোরম সৌন্দর্য আমি দেখি না। আমি কি দেখি, শুনিবে? যদি হৃদয়ে ফটোগ্রাফ তোলা যাইত, যদি চিত্রকরের তুলিতে হৃদয়ের প্রতিকৃতি অঙ্কিত করিবার শক্তি থাকিত,-তবে দেখাইতে পারিতাম, এ হৃদয় কেমন! কিন্তু সে উপায় নাই। যদি ভারতবর্ষকে ইংরাজি ধরনের একটি অট্টালিকা মনে করেন, তবে বঙ্গদেশ তাহার বৈঠকখানা (drawing room) এবং বাঙালি তাহাতে সাজসজ্জা (drawing room suit)! যদি ভারতবর্ষকে একটি সরোবর মনে করেন, তবে বাঙালি তাহাতে পদ্মিনী! যদি ভারতবর্ষকে একখানা উপন্যাস মনে করেন, তবে বাঙালি তাহার নায়িকা! ভারতের পুরুষসমাজে বাঙালি পুরুষিকা!! আজি কালি অধিকাংশ লোকে শিক্ষাকে কেবল চাকরি লাভের পথ মনে করে। মহিলাগণের চাকরি গ্রহণ অসম্ভব সুতরাং এই সকল লোকের চক্ষে স্ত্রীশিক্ষা সম্পূর্ণ অনাবশ্যক। স্ত্রীলোকদের উচ্চশিক্ষার প্রয়োজন নাই। মেয়েরা চর্ব্য, চোষ্য রাঁধিতে পারে, বিবিধ প্রকার সেলাই করিতে পারে, দুই চারি খানা উপন্যাস পাঠ করিতে পারে, ইহাই যথেষ্ট। ‘Through woman came curse and sin; and through women came blessing and salvation also.’ (ভাবার্থ- নারীর দোষে জগতে অভিশাপ ও পাপ আসিয়াছে এবং নারীর কল্যাণেই আশীর্বাদ এবং মুক্তিও আসিয়াছে)। স্বামী যখন পৃথিবী হইতে সূর্য ও নক্ষত্রের দূরত্ব মাপেন, স্ত্রী তখন একটা বালিশের ওয়াড়ের দৈর্ঘ্য প্রস্থ (সেলাই করিবার জন্য) মাপেন! স্বামী যখন কল্পনার-সাহায্যে সুদূর আকাশে গ্রহনক্ষত্রমালা বেষ্টিত সৌরজগতে বিচরণ করেন, সূর্যমÐলের ঘনফল তুলাদণ্ডে ওজন করেন এবং ধূমকেতুর গতি নির্ণয় করেন, স্ত্রী তখন রন্ধনশালায় বিচরণ করেন চাউল ডাল ওজন করেন এবং রাঁধুনির গতি নির্ণয় করেন।

বেগম রোকেয়া একজন বাঙালি চিন্তাবিদ, প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক, সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারক। তিনি ছিলেন অসামান্য দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ব্যক্তিত্ব। আধুনিক সময়ে এসেও আমরা তাকে আবিষ্কার করেছি একজন নিরেট, আধুনিক হিসেবে। শতবর্ষ আগের চিন্তা বর্তমান আধুনিক সময়কেও ডিঙিয়ে গেছে। তার শিক্ষার গুরুত্ব ছিল প্রখর। সাহসী নারী বেগম রোকেয়া নারী জাতির ঘুম ভাঙিয়েছেন। তিনি নারীদের নিয়ে স্বপ্ন দেখেছেন এভাবে- One evening I was lounging in an easy chair in my bed-room and thinking lazily of the condition of Indian womanhood. I am not sure whether I dozed off or not. But, as far as I remember, I was wide awake. I saw the moonlit sky sparking with thousands of diamond-like stars, very distinctly.- Mrs. R. S. Hossen, Sultana’s Dream

বেগম রোকেয়া নারীর ক্ষমতায়নের ভবিষ্যৎ রুপরেখা এঁকেছিলেন এভাবে-তোমাদের কন্যা শিশুদিগকে শিক্ষিত করিয়া ছাড়িয়া দাও দেখিবে তারা নিজেদের অন্ন-বন্ত্রের ব্যবস্থা নিজেরাই করিয়া নিতে পারিবে। বেগম রোকেয়ার চিন্তা চেতনায় মিশে আছে নারী জাগরণ। তিনি বহু আগেই সমাজ পরিবর্তনের ঝান্ডা তুলে ধরেছেন, তিনি শতবর্ষ আগেই বলে গেছেন-মানব সমাজ একটি দুই চাকার গাড়ির মতো। সমাজ এগিয়ে যায় সেই চাকার উপর ভর করেই। কিন্তু এক চাকাকে দূর্বল রেখে কিংবা অচল রেখে অপর চাকার উপর নির্ভর করে খুব বেশিদূর এগিয়ে যাওয়া যায় না। গৃহের সিলেবাসে বন্ধি নারীরা আজ অনেকটাই শৃঙ্খলমুক্ত আশা জাগানিয়া হয়ে থাকতে ভালোবাসে। তাইতো বর্তমানে নারীদের রুটিন কর্ম থেকে বের হয়ে জাগরণের স্পৃহা নিয়ে দেশের প্রতিটি সেক্টরে প্রতিনিধিত্ব করছে। এটা নারীর ক্ষমতায়নের একটি ইতিবাচক দিক।

বেগম রোকেয়া ছিলেন প্রথম বাঙালি নারীবাদী চিন্তাবিদ, প্রাবন্ধিক, উপন্যাসিক ও বিজ্ঞানমনস্ক লেখক এবং একজন উঁচুমানের সমাজ সংস্কারক। বাংলাদেশের নারীসমাজের ভাগ্যের চাকা পরিবর্তনে বেগম রোকেয়ার দর্শন ছড়িয়ে দিতে হবে।বেগম রোকেয়া নারীবাদী স্বপ্নপালনের মাধ্যমে নারী-পুরুষের প্রচলিত ধ্যান ধারণা বদলে দিয়েছেন। পুরুষ সমাজকে ঘরের কোণে অবরুদ্ধ করে নারীকে তুলে ধরেছেন অর্থনৈতিক কাজের প্রধান চালিকাশক্তি করে। উদ্ভাবনীশক্তি ও যুক্তিবাদিতা সমৃদ্ধ করেছে তার লেখনীর জগত। তিনি তার স্বপ্ন বাস্তব হিসেবে দেখতে চেয়েছেন নারী সমাজের মাঝে। জীবনের অন্তিম বেলায় তাইতো তিনি লিখে রেখে গেছেন- ‘মেয়ে মানুষ নয়, মানুষ হয়ে বাঁচতে হবে, তবেই সার্থক মানবজনমের’। বিট্রিশ ভারতে বেগম রোকেয়া এক বিপ্লবী নাম। পিছিয়ে-পড়া নারীসমাজকে তিনি রাষ্ট্র ও পরিবার-কাঠামোর মূল প্রবাহে জায়গা করে দিতে চেয়েছেন। তাঁর এই চাওয়া শেষ পর্যন্ত একটি বিশেষ সমাজ-দর্শনে পরিণতি লাভ করে। কলকাতা এবং বিশেষভাবে পূর্ববঙ্গের সমাজকে তিনি প্রধান বিবেচ্য রেখে তুলনামূলক পর্যবেক্ষণের প্রয়োজনে সারা দুনিয়ার নারী সমাজকে আমাদের সামনে হাজির করেছেন।

৯ ডিসেম্বর রোকেয়া দিবসকে ঘিরে তার দর্শন ধারণ করে সে অনুযায়ী বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নিতে হবে। সভা সেমিনারে যেখানেই আমরা বেগম রোকেয়ার স্বপ্নকে তুলে ধরি না কেন তার দর্শনের যথার্থ প্রয়োগ ঘটানো ভীষণ জরুরি। তাইতো আমরা দেখতে পাই বেগম রোকেয়ার দর্শনে উদ্বুদ্ধ হয়ে নারী মুক্ত হয়েছে অশিক্ষার অভিশাপ থেকে, যুক্ত হয়েছে দেশ সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মাণে। বুদ্ধি মনন এবং দর্শন চেতনায় তিনি যে সময় থেকে একশ বছর অগ্রসর ছিলেন, মার্ক্সের রচনার সঙ্গে পরিচয় না থাকা সত্তে¡ও নারীসমাজের অর্থনৈতিক মুক্তির ব্যাপারটিকে গভীরভাবে অনুধাবন করেছিলেন। অবরোধ প্রথাকে ভাঙতে হবে বলেই অবরোধ প্রথাকে ভাঙেননি। তাকে মানুষের প্রয়োজনে, সমাজের প্রয়োজনে কাজে লাগান। একজন সুলতানার ভেতরের মুক্তচিন্তার অনুপ্রেবেশ ঘটেছিল বহু আগে। তিনি নারী ও পুরুষের সঙ্গে সমান তালে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে অংশগ্রহণ করার মানসিকতা তৈরিতে এক বিন্দু কুণ্ঠাবোধ করেননি।

একটি অন্ধকারচ্ছন্ন কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজে জন্ম নিয়ে তিনি তার সমস্ত হৃদয় দিয়ে অনুভব করেছিলেন নারীর কষ্ট, যন্ত্রনা, বৈরিতা। মাত্র ৩০ বছর বয়সে বিধবা বেগম রোকেয়া তৎকালীন সমাজের প্রথাগুলো মেনে নিয়ে একটি নীরব সংগ্রাম করে গেছেন যার প্রতিকূলতা আজও প্রবাহমান। স্বামীর প্রথম পক্ষের জামাতা করেছিলেন তাকে লাঙ্চিত শেষমেষ বিতাড়িত হয়ে ১৯১০ সালে কলকাতায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। স্থির বিশ্বাস ও ধীর বুদ্ধি বেগম রোকেয়ার জীবনকে পাল্টে দিল। কলকাতায় বসে তিনি আঁধার ভাঙার প্রচেষ্টায় নিজেকে নিয়োাজিত করলেন। ১৯৩২ সালে ৯ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন এই মহীয়সী নারী আমাদের শুকতারা।

Header Ad

জিম্বাবুয়েকে হেসে-খেলে হারাল টাইগাররা

ছবি: সংগৃহীত

পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সহজ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।

শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১২৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২৮ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ দল।

১২৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৫ রান তুলতেই লিটনের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৩ বলে ১ রান করে সাজঘরে ফিরেন টাইগার ওপেনার লিটন কুমার দাস। এরপর ধীর গতির ব্যাট করেন নাজমুল শান্ত। আউট হওয়ার আগে তিনি ২৪ বলে ২১ রান করেন। এরপর তানজিদ তামিম ও তাওহীদ হৃদয় ঝড়ো ব্যাটিং করে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। অভিষিক্ত তানজিদ তামিম ৪৭ বলে ৬৭ রান করেন ও তাওহীদ হৃদয় ১৮ বলে করেন ৩৩ রান।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। মাহেদী নিজের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই সরাসরি বোল্ড করে ফেরান জিম্বাবুয়ের ওপেনার ক্রেইগ আরভিনকে (০)। এরপর শরিফুল ইসলাম এক ওভারে তিন বাউন্ডারি সহ হজম করেন ১৩ রান। কিন্তু তাসকিন আহমেদ এসে রানের চাকায় লাগাম টানেন। যার ফল তুলে নেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। প্রথমবার বল হাতে নিয়ে দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন সাইফউদ্দিন।

ওভারের শেষ বলে তিনি জিম্বাবুয়ের অভিষিক্ত ব্যাটার জয়লর্ড গাম্বিকে (১৪) বিদায় করেন। উইকেট পতনের মিছিল এরপর চলতেই থাকে। ষষ্ঠ ওভারে ফের বল হাতে নেন মাহেদী। এবার প্রথম বলেই রান আউটের শিকার হন একপ্রান্ত আগলে রাখা ব্রায়ান বেনেট (১৬)।

পরের বলে এসেই ডাক মারেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। মাহেদীর লেন্থ বলে প্যাডেল সুইপ খেলতে গিয়ে ফার্স্ট স্লিপে থাকা লিটন দাসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন রাজা। ১ উইকেটে ৩৬ রান করা জিম্বাবুয়ে আর কোনো রান যোগ করার আগেই হারায় আরও ৩ উইকেট।

এখানেই শেষ নয়। তাসকিন পরের ওভারে তুলে নেন জোড়া উইকেট। ওভারের প্রথম দুই বলেই তিনি বিদায় করেন শন উইলিয়ামস ও রায়ান বার্লকে। দু’জনেই বিদায় নিয়েছেন রানের খাতা খোলার আগেই। এরপর অষ্টম ওভারে লুক জঙওয়ে (২) বিদায় নেন সাইফউদ্দিনের বলে।

৪১ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে সঙ্গে নিয়ে ক্লিভে মাদানদে ইনিংস গড়ার দায়িত্ব নেন। শুরুতে তারা ধীরস্থিরভাবেই খেলছিলেন। কিন্তু শেষদিকে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন তারা।

শরিফুলের করা ১৭তম ওভারে ১১ ও রিশাদ হোসেনের করা পরের ওভারে ১৬ রান নেন মাসাকাদজা ও মাদানদে। এরপর ১৮তম ওভারের প্রথম বলে তাসকিনকেও ছক্কা হাঁকান মাসাকাদজা। এক বল পরই অবশ্য তার সঙ্গী মাদানদেকে বোল্ড করেন তাসকিন।

তার ইয়র্কার মাদানদের দুই পায়ের মাঝখান দিয়ে স্টাম্পে আঘাত করে। অষ্টম উইকেটে জিম্বাবুয়ের রেকর্ড ৬৫ বলে ৭৫ রানের জুটি ভেঙে যায় এতে। ৬ চারে ৩৯ বলে ৪৩ রান করে আউট হন মাদানদে। তার বিদায়ের পর জিম্বাবুয়ের রান হয়নি খুব একটা। শেষ বলে রান আউট হওয়ার আগে ৩৮ বলে ৩৪ রান করেন মাসাকাদজা।

বাংলাদেশের হয়ে ৪ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তাসকিন। সমান ওভারে ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট পান সাইফউদ্দিনও।

চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করল তুরস্ক

ছবি: সংগৃহীত

গত ছয়মাস ধরে দখলদার ইসরাইল অবরুদ্ধ গাজায় নির্বিচারে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৩৮ হাজারের বেশি ফলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। আহত হয়েছেন লাখ লাখ। বাস্তহারা করেছে ২০ লাখের বেশি মানুষকে। এই হত্যার বিরুদ্ধে সারাবিশ্বে চলছে প্রতিবাদ। তুরস্কে লাগাতার বিক্ষোভ মুখে ইসরাইলের সঙ্গে সব ধরণের যোগাযোগ ও বাণিজ্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার তুরস্ক জানিয়ে দিয়েছে, গাজার পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় তারা ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ রাখছে।

বলা হয়েছে, গাজায় যতদিন পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন মানবিক ত্রাণ দিতে না দেয়া হচ্ছে, ততদিন বাণিজ্য বন্ধ রাখবে তুরস্ক।

তুরস্কের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ''ইসরায়েলের সঙ্গে সব পণ্যের আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ থাকছে।''

দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ বাংলাদেশি টাকায় ৭৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি।

এর আগে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান সমঝোতা ভেঙে ইসরায়েলের সঙ্গে আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছেন।

সামাজিক মাধ্যমে তিনি বলেছেন, ''এভাবেই একজন ডিক্টেটর কাজ করেন। তুরস্কের মানুষ, ব্যবসায়ীদের স্বার্থ তিনি দেখলেন না। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তিও অবহেলা করলেন।''

তিনি বলেছেন, ''ইসরায়েল বিকল্প খুঁজে নেবে। অন্য দেশের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাড়াবে।''

তুরস্ক গতমাসে জানিয়েছিল, তারা ইসরায়েল থেকে বাণিজ্যে কাটছাঁট করছে। সেসময় তুরস্কের অভিযোগ ছিল, তাদের বিমান গাজায় মানবিক ত্রাণ দিতে গিয়েছিল। ইসরায়েল তা করতে দেয়নি। তুরস্কে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ হচ্ছে।

গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানকে কঠোর ভাষায় নিন্দা করেছে তুরস্ক। এর্দোয়ান তো ইসরায়েলকে 'সন্ত্রাসী রাষ্ট্র' পর্যন্ত বলেছেন।

অন্যদিকে এক বিবৃতিতে তুরস্ক জানিয়েছে, এই বাণিজ্য স্থগিত করার সিদ্ধান্ত সব ধরনের পণ্যের ক্ষেত্রেই কার্যকর হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘তুরস্ক কঠোরভাবে ও সন্দেহাতীতভাবেই নতুন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে যতদিন পর্যন্ত ইসরাইল সরকার গাজায় বাধাহীন ও পর্যাপ্ত ত্রাণ প্রবাহের অনুমোদন না দেয়।’

১৯৪৯ সালে প্রথম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয় তুরস্ক। তবে সাম্প্রতিক দশকগুলোতে দেশ দু’টির মধ্যকার সম্পর্কের অবনতি হয়েছে।

২০১০ সালে গাজায় তুরস্ক মালিকানাধীন জাহাজ ইসরাইলের সমুদ্রসীমা লঙ্ঘন করার সময় ইসরাইলি কমান্ডোদের সাথে সংঘর্ষে ১০ জন ফিলিস্তিনপন্থী তুর্কি কর্মকর্তা নিহত হওয়ার ঘটনায় তুরস্ক কূটনৈতিক সম্পর্কও ছিন্ন করেছিল।

পরে ২০১৬ সালে আবার দেশ দু’টির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনস্থাপন হয়। কিন্তু এর দু’বছরের মাথায় উভয় দেশ একে অন্যের শীর্ষ কূটনীতিককে বহিষ্কার করে গাজা সীমান্তে ইসরাইল কর্তৃক ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার ঘটনায়।

এরদোগান গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলার পর ইসরাইলের তীব্র সমালোচনা করে আসছেন।

গত জানুয়ারিতে তিনি বলেন, ‘হামাসের হামলার জবাবে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যে সামরিক অভিযান চালিয়েছেন তা হিটলার যা করেছিল তার চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।’

জবাবে নেতানিয়াহু বলেন, ‘এরদোগান, যিনি কুর্দিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা সঙ্ঘটিত করেন এবং যিনি তার শাসনের বিরোধিতা করায় সাংবাদিক বন্দীর ক্ষেত্রে বিশ্বরেকর্ড করেন, তিনিই হলেন শেষ ব্যক্তি যিনি আমাদের নৈতিকতা শেখাচ্ছেন।’

গাজা উপত্যকার পরিস্থিতি নিয়ে ইসরাইলের বিরুদ্ধে সমালোচনা বাড়ছে। জাতিসঙ্ঘ সমর্থিত এক পর্যালোচনায় দেখা গেছে গত মাসে ১১ লাখ মানুষ তীব্র ক্ষুধায় জর্জরিত ছিল এবং এ মাসের মধ্যে গাজার উত্তরাঞ্চলে দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস বলেছে, গাজা উপকূলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী যে বন্দর নির্মাণ করেছে ত্রাণ প্রবাহ বাড়ানোর জন্য সেটি কয়েক দিনের মধ্যেই উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।

ভাসমান ওই বন্দরে নৌযান ও লোকজনের কাজের ছবিও প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তার কাছেই নৌবাহিনীর জাহাজ ছিল।

যদিও জাতিসঙ্ঘ বলেন, সামুদ্রিক করিডোর কখনো স্থলপথে ত্রাণ সরবরাহের বিকল্প হতে পারে না। আর সড়কপথ হলো একমাত্র উপায় যেখানে একসাথে অনেক পরিমাণ ত্রাণ নেয়া যায়।

এর আগে, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর বারবার অনুরোধের প্রেক্ষাপটে চলতি সপ্তাহে গাজার উত্তরাঞ্চলে ত্রাণ সরবরাহের জন্য ইসরাইল ইরেয ক্রসিং আবার খুলে দিয়েছে।

তবে জর্ডান বলেছে, তাদের কিছু ত্রানবাহী লরি ওই ক্রসিং পার হওয়ার সময় ইসরাইলি বাহিনীর হামলার শিকার হয়েছে।

জাতিসঙ্ঘের রিপোর্ট বলছে, গাজার মানবিক বিপর্যয় একটি মানব সৃষ্ট দুর্ভিক্ষে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে।

জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকারবিষয়ক সিনিয়র কর্মকর্তা ভলকার তুর্ক বলেন, এটা এখন ‘বিশ্বাসযোগ্য’ যে ইসরাইল ক্ষুধাকে গাজা যুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।

ইসরাইল ত্রাণ সরবরাহ সীমিত করার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশটি গাজায় যাদের প্রয়োজন তাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণে ব্যর্থতার অভিযোগ এনেছে জাতিসঙ্ঘের বিরুদ্ধে।

৭ অক্টোবরের হামলার প্রতিক্রিয়ায় হামাসকে ধ্বংস করতে গাজায় ইসরাইল যে সামরিক অভিযান চালিয়েছে তাতে ৩৪ হাজার ৫০০ মানুষের মৃত্যুর খবর দিয়েছে হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এর আগে, হামাসের হামলায় ইসরাইলে এক হাজার ২০০ মানুষ নিহত হয়েছিল এবং তারা আরো ২৫৩ জনকে পণবন্দী করেছিল।

মধ্যস্থতাকারীরা এখন যুদ্ধবিরতি নিয়ে সবশেষ আসা প্রস্তাবের বিষয়ে হামাসের প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করছে।

খবর অনুযায়ী, এবারের প্রস্তাবে ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে এবং এর বিনিময়ে ইসরাইলি বন্দী ও ফিলিস্তিনি কিছু বন্দী মুক্তি পাবে। সূত্র : বিবিসি

বাংলাদেশের কোনো ভাষাকেই হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না: প্রধান বিচারপতি

ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছন, বাংলাদেশের কোনো ভাষাকেই হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না, যেকোনো মূল্যে খাড়িয়া সম্প্রদায়ের মাতৃ (পার্সী)-ভাষাকে রক্ষা করতে হবে। এর জন্য তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।

শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে শ্রীমঙ্গলস্থ বাংলাদেশ চা গবেষণা কেন্দ্রের গেস্ট হাউসে খাড়িয়া জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক সাক্ষাতের সময় এ কথা জানান তিনি।

এ সময় খারিয়া জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন প্রধান বিচারপতি। সাক্ষাতে শ্রীমঙ্গল বর্মা ছড়ার খাড়িয়া সম্প্রদায়ের দুই বোন ভেরোনিকা কেরকেটা ও খ্রিস্টিনা কেরকেটা তাদের ভাষায় কথা বলেন এবং তাদের সম্প্রদায়ের জহরলাল ইন্দোয়া নামের একজন তা বাংলায় বর্ণনা করেন।

সাক্ষাতের সময় উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক উর্মি বিনতে সালাম, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আল-মাহমুদ ফায়জুল কবির, জেলা পুলিশ সুপার মো. মঞ্জুর রহমান, শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো আবু তালেব ও শ্রীমঙ্গল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিনয় ভূষণ রায়।

প্রধান বিচারপতি জানান, ভাষা বৈচিত্রের দেশ আমাদের বাংলাদেশ। তিনি গণমাধ্যমের সূত্রে জেনেছেন, খাড়িয়া সম্প্রদায়ের দুজন লোকই বেঁচে আছেন। যারা তাদের মাতৃভাষায় কথা বলতে পারেন। তারা মারা গেলে বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে যাবে এই ভাষা। এই বিষয়টি তাকে ভাবান্বিত করেছে। তাই নিজ উদ্যোগেই এই দুজন মহিলার সঙ্গে তিনি দেখা করতে এসেছেন। তিনি আস্বস্ত হয়েছেন শুধু দুজন নয়, এই ভাষায় কথা বলতে পারেন আরও কয়েকজন আছেন এবং খাড়িয়া জনগোষ্ঠীর প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার মানুষ বাংলাদেশে বসবাস করছেন। তবে এই ভাষাটি রক্ষার জন্য সর্বোচ্চ উদ্যোগ গ্রহণের ওপর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে উদ্যোগ নিতে বলেন।

এর আগে তিনি বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের আবিষ্কৃত চায়ের জাত ও তৈরি চায়ের গুণগত মান যাচাই করেন। এ সময় তিনি বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চায়ের গুণগত মান ধরে রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান করেন।

সর্বশেষ সংবাদ

জিম্বাবুয়েকে হেসে-খেলে হারাল টাইগাররা
চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করল তুরস্ক
বাংলাদেশের কোনো ভাষাকেই হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না: প্রধান বিচারপতি
বৃষ্টি হতে পারে যেসব বিভাগে, যে তথ্য দিল আবহাওয়া অফিস
ভূমধ্যসাগরে নিহত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ হস্তান্তর
কাল থেকে বাড়তি ভাড়ায় চড়তে হবে ট্রেনে, কোন রুটে ভাড়া কত
সবসময় আস্থা রাখায় ধোনিকে ধন্যবাদ জানালেন মোস্তাফিজ
সুষ্ঠু ভোটের আয়োজনে প্রার্থীদেরও ভূমিকা রয়েছে : ইসি রাশেদা
টাঙ্গাইলে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে গণমাধ্যমকর্মীদের সমাবেশ
গণতন্ত্রের জন্য লড়াইকারীদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে : রিজভী
সরকারকে যারা চাপে রাখতে চেয়েছিল তারা নিজেরাই চাপে আছে : ওবায়দুল কাদের
যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ, গ্রেপ্তার ২ হাজার
ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন পুলিশ কর্মকর্তা
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভা শনিবার
যেসব অভিযোগে ১১১০ দিন কারাগারে ছিলেন মামুনুল হক
শনিবার যেসব জেলার স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা বন্ধ থাকবে
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি!
নওগাঁয় আ.লীগ নেতার প্রচারে যাওয়া ছাত্রদলের ২ নেতাকে শোকজ
বলিউডের ছবিতে গাইলেন আসিফ আকবর
যাত্রীবাহী বাস উল্টে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ২০