শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঐতিহ্যের সন্ধানে

এসএসসি পাস করার পর ভর্তি হলাম রাজশাহী কলেজে। বাংলাদেশের তৃতীয় প্রাচীনতম কলেজ। এই কলেজ থেকেই এইচএসসি পাস করেছিলাম ১৯৮১ সালে। সাইন্স, আর্টস এবং কমার্স মিলিয়ে আমাদের ব্যাচের আমরা ছিলাম প্রায় ৭৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী। এর বহু বহু বছর পর আমাদের ব্যাচের পুরনো বন্ধুরা একত্রিত হয় গড়ে তুলেছি একটি সংগঠন, যার নাম ৮১’র বন্ধন।

৮১’র বন্ধনের ৪০ বছর পুর্তি এবং ৩য় পুনর্মিলনীর আয়োজন চলছিল অনেকদিন ধরে। কোভিডের কারণে তা পিছিয়ে যায়। অবশেষে সকল বাধার উত্তরণ ঘটিয়ে জাকজমকপূর্ন অনুষ্ঠান আয়োজন হলো এবার জানুয়ারি মাসের শেষ শুক্রবার। সারাদিন বেশ হৈ হুল্লোড় করে কাটল। পরদিন শনিবার ছিল পিকনিকের আয়োজন। আমরা আট বন্ধু পরিকল্পনা করলাম, খুব ভোরে রওয়ানা হয়ে কিছুটা বেরিয়ে এসে পিকনিকে যোগ দেবার। গন্তব্য হলো প্রাচীন গৌড়, সে এক সময়ের বাংলার রাজধানী।
ইতিহাসের নিদর্শন হিসেবে সেখানে এখনো কিছু স্থাপনা আছে, উদ্দেশে হলো সেগুলো ঘুরে দেখা।

গৌড় সম্পর্কে কিছু কথা না বললেই নয়। ভারতবর্ষের মধ্যযুগে সবচাইতে সমৃদ্ধ সময়কালে বঙ্গের রাজধানী ছিল গৌড়। নগরটির নাম কখনো ছিল গৌড়, এর আগে লখনৌতি, আবার পরে কিছু কালের জন্য জান্নাতাবাদ। ১৫০০ খ্রিষ্টাব্দের একটি জরিপ অনুসারে গৌড় নগরীর জনসংখ্যা ছিল ২ লক্ষ, যা ছিল তখন জনসংখ্যার হিসেবে পৃথিবীর ৫ম বৃহত্তম নগর, এবং সবচাইতে ঘনবসতিপূর্ণ নগর এলাকা। ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান দেশ বিভাগের সময় অঞ্চলটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। বড় অঞ্চলটি চলে যায় ভারতের অধীনে, ছোট অংশটি পড়ে পুর্ব পাকিস্তান, বা আজকের বাংলাদেশের অধীনে, বর্তমানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে।

ঐতিহাসিকভাবে ভারতবর্ষ এবং চীনের সমৃদ্ধির ইতিহাস নিয়ে নানা উপাখ্যান আছে। এগুলোর সত্যতা ও যথার্থতা যাচাই করতে গত শতাব্দীর শেষদিকে Organization for Economic Cooperation and Development (OECD) এর পক্ষ থেকে পৃথিবীর অর্থনীতির ইতিহাস নিয়ে একটি গবেষণা চালানো হয়। প্রখ্যাত ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ Angus Maddison-এর নেতৃত্বে পরিচালিত এই গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্যগুলো সিরিজ আকারে প্রকাশিত হতে থাকলে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য বেরিয়ে আসে। ২০০১ সালে প্রকাশিত The World Economy: A Millennial Perspective বইটি ছিল এই সিরিজের অন্যতম।

এই গবেষণার উঠে আসে, খিষ্টাব্দ ১ থেকে ১০০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত অর্থনীতিতে বিশ্বে প্রথম স্থানে ছিল ভারত, ২য় স্থানে ছিল চীন। শুধু তাই নয়, গোটা বিশ্বের জিডিপির প্রায় ৩৪ শতাংশ ছিল ভারতবর্ষের, আর ২৬ শতাংশ ছিল চীনের দখলে। অন্য কোনো দেশের সম্পদ লুটপাট না করেও ১০০০ বছর যাবত বিশ্বের অর্থনীতিতে প্রথম স্থান ধরে রাখা হলো এক নজিরবিহীন ইতিহাস। এই সমৃদ্ধই হয়তো কাল হয়ে দাঁড়ায় ভারতবর্ষের জন্য। ইউরোপ থেকে বানিজ্যের নামে আসা আরম্ভ হয় ক্ষমতাবানদের। বানিজ্য আর শাসনের নামে চলে যথেচ্ছ লুটতরাজ।

১৭৫৭ সালে ব্রিটিশ সরকার যখন ভারতবর্ষের দায়িত্বভার নেয়, তখনও ২৪.৫ শতাংশ জিডিপি নিয়ে ভারতবর্ষ ছিল বিশ্ব অর্থনীতির শিখরে। ১৮০০ সাল আসতে আসতে তা নেমে যায় ২০ শতাংশে, ২৯ শতাংশ নিয়ে প্রথম স্থানে উঠে যায় চীন। ১৯০০ সাল নাগাদ কমে গিয়ে তা দাঁড়ায় মাত্র ১.৭ শতাংশ । এক সময়কার স্বর্ণ ও শিল্প বানিজ্যে সমৃদ্ধ দেশটি লুটপাটের পর সব খুইয়ে কেবল কৃষিনির্ভর হয়ে পড়ে।

গৌড়ের ইতিহাস অবশ্য অনেক পুরনো। গৌড় রাজ্য এবং গৌড় শহর দুটি পৃথক বিষয়। কিছু কিছু ইতিহাসবিদ ৪র্থ শতাব্দিতে গুপ্ত সাম্রাজ্য সৃষ্টির আগেও গৌড় সাম্রাজ্য ছিল বলে অভিমত দেন। তবে সন্দেহাতীতভাবে সম্মিলিত বঙ্গের প্রথম অধিকর্তা হিসেবে যার নাম আসে, তিনি ছিলেন রাজা শশাঙ্ক। ৫৯০-৬২৫ খ্রিষ্টাব্দ সময়কাল তিনি শাসন করেছিলেন। তারই সময় গৌড় শহরকে বঙ্গের (বা তৎকালীন গৌড় সাম্রাজ্যের) রাজধানী হিসেবে স্থাপন করা হয়। তারই সময় প্রথমবার বাংলায় দিনপঞ্জি প্রচলন করা হয়, যা পরবর্তী সময়ে মোঘল সম্রাট আকবর পুনর্বিন্যাশ করে প্রচলন করেন।

এর পর ক্রমান্বয়ে আসে পাল বংশ ও সেন বংশ। মূলত বৌদ্ধ ও হিন্দু ধর্মাবলম্বী বংশোদ্ভূতদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল বঙ্গ তথা ভারতবর্ষের শাসন। দ্বাদশ শতাব্দীর শেষভাগে পার্শ্ববর্তী আফগানিস্তানের শাসক ছিলেন তুর্কি বংশোদ্ভূত মোহাম্মদ ঘুরি। তারই আক্রমণে ১১৯৭ সাল থেকে ভারতবর্ষ ধীরে ধীরে মুসলিম শাসকদের অন্তর্গত হতে থাকে। ১২০৩ সালে বঙ্গ দখলে মোহাম্মদ ঘুরির একজন সেনাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বখতিয়ার খলজী’র ইতিহাস আমরা সকলেই ছোটবেলায় পড়েছি। মাত্র ১৮ জন ঘোড়সওয়ার নিয়ে ঝটিকা আক্রমণ করে লক্ষ্মণ সেনকে পরাভূত করা হলে এর মাধ্যমেই বঙ্গে আরম্ভ হয় মুসলিম শাসকদের ইতিহাস। যা পরবর্তী সময়ে সুলতানী ও মোঘল রাজত্ব পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। ১১৯৭ সাল থেকে আরম্ভ করে ১২০৬ সালে বখতিয়ার খলজীর মৃত্যুকাল পর্যন্ত কত সহস্র বৌদ্ধ সাধু হত্যা করা হয়েছিল তার হিসেব নেই। বিহারে ৪২৭ খ্রীষ্টাব্দে নির্মিত ঐতিহাসিক নালন্দা মহাবিহারটিও ভেঙ্গে ফেলা হয়েছিল তারই নির্দেশে।

১২০৬ সালে মোহাম্মদ ঘুরির মৃত্যু হলে তার মূল সেনাপতি তুর্কি বংশোদ্ভূত কুতুব উদ্দিন আইবক দিল্লীর শাসনভার গ্রহণ করেন। তারই মাধ্যমে ভারতবর্ষ জুড়ে আরম্ভ হয় সুলতানী আমল, যা ১৫২৬ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত প্রচলিত ছিল।

এদিকে বঙ্গে খলজী সাম্রাজ্যে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে (১২০৮-১২১০ এবং ১২১২-১২২৭ খ্রিষ্টাব্দ) গৌড়ের অধিকর্তা ছিলেন ইওয়াজ খলজী, যিনি পরে গিয়াস উদ্দিন ইওয়াজ শাহ নাম ধারণ করেছিলেন। তারই সময়কালে ঐতিহাসিক গ্র্যান্ড ট্রাংক রোডকে রাজশাহী পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হয়েছিল। বঙ্গের প্রথম নৌবহর প্রচলন এবং গৌড় নগরের নিরাপত্তাবলয় নির্মাণও হয়েছিল তারই সময়ে। বঙ্গের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরকে বন্যামুক্ত করার জন্য বাধ নির্মান প্রকল্প গ্রহণ করা হয় তার সময়, যা দক্ষিণ এশিয়ার সর্বপ্রথম বাধ প্রকল্প হিসেবে সুখ্যাত।

নাফিসুর রহমান: ডিস্যাবিলিটি অ্যান্ড ডেভেলপ কনসালটেন্ট

Header Ad

টাঙ্গাইলে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু

নির্মাণাধীন ভবন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে নিরাপত্তা বেষ্টুনীবিহীন একটি ভবনে কাজ গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে বাবুল মিয়া বাবু (৫৫) নামে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার মাইজবাড়ী এলাকার গুটু মিয়ার ছেলে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ভূঞাপুর পৌর শহরের ফসলআন্দি এলাকায় সাংবাদিক আসাদুল ইসলাম বাবুলের তিন তলা ভবনের নিচের একটি ড্রেনে পড়ে গিয়ে তিনি মারা যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা ওয়াহেদুজ্জামান পলাশ জানান, জুয়েল নামে এক ব্যক্তির নির্মাণাধীন বাসায় কাজ করছিলেন ওই নির্মাণ শ্রমিক। কাজ করতে গিয়ে হঠাৎ পা ফসকে ভবনের চার তলা ছাদ থেকে নিচের একটি ড্রেনে পড়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে তার সহকর্মীরা হাসপাতালে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয়রা জানান, নির্মাণাধীন এই ভবনের কোনো নিরাপত্তা বেষ্টনী ছিল না। নির্মাণ শ্রমিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে আসছিলেন। নিরাপত্তা বেষ্টনী না থাকায় এর আগেও অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে।

অভিযোগ উঠেছে, থানা পুলিশকে না জানিয়ে কৌশলে ভবনের মালিক জুয়েল হাসপাতাল থেকে তার লাশ নিয়ে যায়।

ভবন মালিক জুয়েল বলেন, নির্মাণ শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারের সাথে সমঝোতা হয়েছে। পরিবারকে অর্থ সহায়তা প্রদান করা হবেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্ বলেন, এ বিষয়ে কেউ অবগত করেনি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

ফাইল ছবি

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। রাজিবুল ইসলামকে (বাপ্পি) সভাপতি ও সজল কুণ্ডুকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অনুমোদন দিয়ে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান এ কমিটির অনুমোদন দেন।

কমিটি অনুমোদন দিয়ে এতে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার 'স্মার্ট বাংলাদেশ', 'স্মার্ট মহানগর' বিনির্মাণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হলো।

ঘোষিত কমিটিতে সহ-সভাপতি হয়েছেন কাউসার আহমেদ (ইমন), সৈয়দ ইমরান হোসেন, মো. নাজমুল হোসেন, উবায়দুর রহমান লিও, নিবাস মজুমদার, রেহানুল হক রাফি, রাজীব সাহা, আবু তালিম ভূইয়া, আরাফাত হোসেন মারুফ, মো. হাসিবুল আলম পুলক, শাখাওয়াত হোসেন আরেফিন, মো. শাকিল তালুকদার, আহমেদ আলী রেজওয়ান, সালমান রহমান (আশরাফ), আদনান আইয়ুব, মো. রিয়াজ মোল্লা, শাহজালাল শাহীন, ইশতেফাক হক (ইফাজ), সৈয়দ আমিনুল ইসলাম (নিবিড়), কাজী জাহিদুল ইসলাম রাজন, মাশরুফ বিন নেসার শান, মো. শাহরিয়ার শাওন, মো. আক্তার হোসেন, মো. বিপ্লব খান,নাইমুল ইসলাম নোমান, নাজমুল হাসান প্রিন্স তালুকদার, সারোয়ার হোসেন, ফারকিলিত সাফাক-ই-আরফাকসাজ, আনিসুর রহমান আনিস, জুটন চন্দ্র দাস,মাহমুদুল হাসান (ইমন)।

এছাড়াও সহ-সভাপতি হিসেবে আরও আছেন, মাজেদুল মজিদ মাহমুদ (সাদমান), সাদি মোহাম্মদ সৈকত, আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ রাজু, রাকিবুল ইসলাম শাওন, মো. ফজলে রাব্বি, সোহানুর রহমান সোহান, ওহিদুল ইসলাম অপু, মেহেদী হাসান, তানভীর আহমেদ, রুবেল মাহমুদ, সাব্বির বিন ইসলাম, মাসুদ রানা, মো. আবু ইউসুফ হৃদয়, আশিক মাহমুদ, মো. নুরুদ্দিন হাওলাদার, মাহমুদ হাসান জিল্লু, মো. ইনজামুল ইসলাম (আকিব), সোহেল রানা, আব্দুল্লাহ আল-হাসান, আহমেদ সারোয়ার স্বচ্ছ, মো. কামরুজ্জামান ইফতি, আরাফাত হোসেন রনি, মো. ইমরান হোসেন, সিফাত হোসেন, শেখ কোরবান ইসলাম, আব্দুল্লাহ আশিক, এফ এম সাইফুজ্জামান সজিব, মো. শামীম খান, বখতিয়ার শিকদার বাপ্পি, সুজন দাস, মো. তাবারক হোসেন (বিপ্লব), বাবু দাস, মো. ইমরান হোসেন পাভেল, জবিউল্লাহ শান্ত, বিশ্বজিৎ হাওলাদার জিৎ, ফেরদাউস আনসারী, নাইমুর রহমান দুর্জয়, জহিরুল ইসলাম খান তুহিন, মেহেদী হাসান রাজু, জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, আল আমিন।

যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সাগর (সানাফ), সৈয়দ মুক্তাদির সাদ, সৌরভ দেব নয়ন, মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ আবিয়াজ সাজেদ, নয়ন শিকদার, কাজী তানবীর হোসেন, মাহবুব আলম মাহিব, রফিকুল ইসলাম রাসেল, ইয়াসির আরাফাত, আক্তারুজ্জামান মান্না।

সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন, সাকিব হোসাইন, শাকিল হোসেন (জীবন), আরমান মাহমুদ তুষার, রহমান ইকবাল (ইকু), জোবায়েদ সাদাফ সাজিদ, দিপ্ত কুন্ডু, জাহিদুল ইসলাম দিপু, মো. রাকিব হোসেন, নাইমুল ইসলাম, মো. সাইদুল ইসলাম জনি, মো. রাহাত হোসেন রাব্বি।

প্রচার সম্পাদক হয়েছেন হামিম খান কাজল। উপ-প্রচার সম্পাদক করা হয়েছেন আরিফুল ইসলাম, এরশাদ হোসাইন, এম আহসানুর রহমান ইমন, এম এস আর সবুজ, মাহবুব আলম খান তনিম, মুনতাসির রাফি।

দপ্তর সম্পাদক করা হয়েছে মো. সাকিব আল হাসান (রাজিব) কে। উপ-দপ্তর সম্পাদক হয়েছেন নাঈফুজ্জামান কোতোয়াল, শিমুল রায়, জুনাইদ বোগদাদী প্রধান, রাইসুল আলম ইসতিয়াক, শফিক বেপারী, কাজী রাকিব হোসেন।

গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন মীর মোহাম্মদ সাইকুন আলী শান্ত। উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন মোকারোম হোসাইন রুদ্র, মো. জনি ইসলাম, জুয়েল রানা, মো. মারজুক হোসেন ভুবন, মারুফ বিল্লাহ ও জাফরুল ইসলাম (লিটন)।

শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক করা হয়েছে শাহাদাত মাহমুদ সাকিবকে। উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক হয়েছেন মো. জিন্নাত হোসেন, সাব্বির হাওলাদার, প্রতীম বিশ্বাস, রোহান আহমেদ, আহসান হাবিব ইমরান।

সাংস্কৃতিক সম্পাদক হয়েছেন তমাল পাল। উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক করা হয়েছেন এইচ. এম. আমিনুল, নীলপদ্ম রায় প্রান্ত, স্বপন চৌধুরী, রাহুল কুমার ভৌমিক, সোহেল জামান রাকিব।

সমাজসেবা সম্পাদক হয়েছেন শাকিল আহমেদ হৃদয়। উপ-সমাজসেবা সম্পাদক করা হয়েছে শেখ মেহেদী হাসান, মাসুম বিল্লাহ, সাদ্দাম হোসেন সাদমানকে। ক্রীড়া সম্পাদক হয়েছেন মো. আবু হোসাইন। উপ-ক্রীড়া সম্পাদক হয়েছেন নাঈম ইসলাম দুর্জয়, তারিকুল ইসলাম অপু, সজল হাওলাদার, মো. নূর নবী (রাঈদ), সাহাবুদ্দিন চুপ্পু, আব্দুল্লাহ সাবিত আনোয়ার চৌধুরী।

আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন শাহ আলম বিজয়। উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন শাহরিয়া ইসলাম জয়, মোস্তাফিজুর রহমান দিপু, শেখ মুহাম্মদ নাঈম উল ইসলাম, ওয়াহিদুল ইসলাম নিশান, সৈয়দ লামমিম হাসান নিলয়। পাঠাগার সম্পাদক হয়েছেন সাফায়েত খন্দকার সিয়াম। উপ-পাঠাগার সম্পাদক হয়েছেন ইমতিয়াজ আহমেদ ইমরান, ফয়সাল আহম্মেদ তমাল, মাহমুদুল হাসান তুষার।

তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হয়েছেন হাবিবুর রহমান শাকিল। উপ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হয়েছেন ফয়সাল আহমেদ ভুবন, সাবের হোসাইন, মুরসালিন সরকার। অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. সোহাগ রানা। উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন সুরুজ ফরাজী, গোলাম রাব্বি সিকদার শফিউদ্দিন মাহমুদ তুষার, আখিয়ারুল ইসলাম আফিক।

আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মেহেদী হাসান (নাহিদ)। উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন কাজী জার্জিস বিন এরতেজা, মো. মঈন হোসেন (সজীব), মো. জুবায়ের হোসেন শেখ রওনক আহমেদ, আরিফুর রহমান ফাহাদ, নওফেল হামিদ জয়। পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন ইরফান আহমেদ বাধন। উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. রাব্বী হোসেন, সজীব হাওলাদার, জাহিদুল ইসলাম।

স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. আরাফাত উল্লাহ। উপ-স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আহসানুল্লাহ সজীব, নিয়ামাল ওয়াকিল, নিবিড় হাসান, মো. ফয়সাল রাব্বি। বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আবরার খান তাহমিদ। উপ-বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আবু কাওসার, মো. তানভীর আহমেদ বাপ্পি, মো. জিসান হাওলাদার, মো. ওয়ালিউল।

দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু

দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের হাকিমপুরে গরুবোঝাই ভটভটির সঙ্গে মোটরসাইকেল সংঘর্ষে মোটরসাইকেলের থাকা দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। এর আগে, সকালে ঘোড়াঘাট উপজেলায় দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাকের চালক ও সহকারীর মৃত্যু হয়।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে বিরামপুর-হাকিমপুর আঞ্চলিক সড়কের ডাঙ্গাপাড়া বাজারের উত্তর পাশে হাকিমপুর - বিরামপুর উপজেলার জিরো পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে ভোরে ঘোড়াঘাট উপজেলার দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কের টিএন্ডটি মোড় এলাকায় দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহত দুই মোটরসাইকেল আরোহী হলেন- নবাবগঞ্জ উপজেলার কুমারপাড়া গ্রামের ধীরাজ কুমার ছেলে ধীমান কুমার ঘোষ (৩০) ও একই উপজেলার দাউদপুর এলাকার আনারুলের ছেলে আরিফ হোসেন (৩৫)।

হাকিমপুর থানা পুলিশ জানায়, দুপুরের দিকে মোটরসাইকেল যোগে হাকিমপুর থেকে দুই বন্ধু বিরামপুর যাবার পথে হাকিমপুর উপজেলার শেষ সীমানায় গরু বোঝাই ভটভটির সাথে মোটরসাইকেল ধাক্কা খেয়ে পাকা রাস্তায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী ছিটকে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই দুই বন্ধুর মৃত্যু হয়।

নিহত ধীমান কুমার ঘোষ এর মামা হাকিমপুর হিলি পৌরসভার বাসিন্দা স্বপন কুমার বলেন, আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে মোবাইল ফোনে আমাকে ভাগিনা ধীমান কুমার বলেন, মামা আমি জরুরি কাজে হিলি আসছিলাম তাই আপনার সাথে দেখা করতে পারলাম না। এর কিছুক্ষণ পরে দুর্ঘটনার খবর শুনতে পাই এবং হাসপাতালে এসে দেখি আমার ভাগিনা মারা গেছে।

হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. দুলাল হোসেন জানান, দুপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেলের আরোহীর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠিয়ে দেয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গরুবাহী ভটভটি জব্দ করে থানায় এবং নিহতদের হাসপাতালে আনা হয়েছে। পরবর্তীতে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি না থাকায় লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। ভটভটি চালক পলাতক রয়েছে।

এদিকে ঘোড়াঘাট উপজেলায় মালবোঝাই দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে দুজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে ঘোড়াঘাট উপজেলার দিনাজপুর -ঢাকা মহাসড়কের ঘোড়াঘাট টিএনটি মিশন মোড় এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ট্রাকচালক গোলাম রাব্বি (৪৫)। সে জয়পুরহাট জেলা সদরের আমদই এলাকার মমতাজের ছেলে। তার সহযোগী রেজোয়ান ইসলাম (২৮) একই এলাকার চৌমুহনীর বাসিন্দা।

স্থানীয়রা ও পুলিশ জানায়, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা ভুট্টাবোঝাই ট্রাকের (ঢাকা মেট্রো-ট-২০৬৬৪৯) সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা দিনাজপুর শহরমুখী সারবোঝাই ট্রাকের (ঝিনাইদহ-ট-১১১৬৪৬) মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা এসে ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় ২ জনকে উদ্ধার করে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

ঘোড়াঘাট ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, ‘আমরা সকালে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ২ জনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়েছি।’

ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. সা-আদ আস সামস বলেন, ‘সকালে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ২ জন রোগীকে মৃত অবস্থায় আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়েছে।’

ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, উপজেলার টিএনটি মোড় এলাকায় ভুট্টা ও সারবোঝাই দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা ভুট্টাবোঝাই ট্রাকটিকে দিনাজপুর শহরমুখী সারবোঝাই একটি ট্রাক সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ভুট্টাবোঝাই ট্রাকের চালক ও সহকারীর মৃত্যু হয়। ট্রাক দুটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ সংবাদ

টাঙ্গাইলে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু
গাইবান্ধায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে রিকশাচালক নিহত, আটক ১
ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের ভেতরে আগুন
৭৬ বছরের তাপপ্রবাহের রেকর্ড ভাঙল, জানা গেল বৃষ্টির তারিখ
ফিলিস্তিনি মৃত মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া শিশুটি আর বেঁচে নেই
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি শ্রীময়ী, দুশ্চিন্তায় কাঞ্চন মল্লিক
প্রথমবার এশিয়া কাপে আম্পায়ারিং করবেন বাংলাদেশের জেসি
বিয়ে না দেওয়ায় মাকে জবাই করলো ছেলে
রেকর্ড তাপপ্রবাহের জন্য সরকার দায়ী: রিজভী
চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪২.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড, জনজীবনে অস্বস্তি
বিএনপির আরও ৭৫ নেতা বহিষ্কার
প্রেমিকার আত্মহত্যা, শোক সইতে না পেরে প্রেমিকও বেছে নিলেন সে পথ
দুই বিভাগে ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস
অভিষেকেই শূন্য রানে ৭ উইকেট নিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন রোহমালিয়া
ফিলিস্তিন স্বাধীন হলে অস্ত্র ত্যাগ করবে হামাস
দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না: ওবায়দুল কাদের
কয়েক মিনিটের দেরিতে বিসিএসের স্বপ্ন ভঙ্গ ২০ পরীক্ষার্থীর
লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত