শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০
Dhaka Prokash

ট্যুরিজমের পোকা

ইদানিং অনেকেরই মাথায় ট্যুরিজমের পোকাটা ঢুকেছে। সব বয়সের, সব পেশার মানুষ বেশ আক্রান্ত হচ্ছে এর দ্বারা। আলোচনায় মেতে উঠেছেন সবাই। বেশ সমঝদারের মতো একে নিয়ে ভালো ভালো কথা বলছেন, এর ভবিষ্যত নিয়ে বক্তৃতাও করছেন সরকারের নানা কর্তাব্যক্তি, গুণীজন, শিক্ষক, সাধারণ মানুষ এমনকি সাধারণ যাদের আমরা মনে করি তেমন কিছু বুঝেন না, তারাও। কারণ অনেকেই আজকাল ট্যুরিজম বোঝার জন্য চেষ্টা করছেন।

পত্র পত্রিকা, রেডিও টেলিভিশন বা সামাজিক গণমাধ্যমে আজকাল ট্যুরে যাওয়ার বেশ বিজ্ঞাপন লক্ষ্য করা যায়। দেশে-বিদেশে নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত দলীয় গাইডেড ট্যুরের বিজ্ঞাপন। দেশে কত ট্যুর অপারেটর তা কারো জানা নেই। এদের সঙ্গে অনেক মানুষ ট্যুরে যাচ্ছেন। ফলে অনেক মানুষের ট্যুরিজম সম্বন্ধে বেশ একটা ধারণা হচ্ছে। বিদেশে দামি ট্যুর করাটাকে কেউ কেউ স্ট্যাটাস সিমবল বলেও মনে করেন। আরও মজার বিষয় হলো এখন অনেকের ছেলেমেয়ে, আত্মীয়স্বজন এই বিষয়ে পড়ালেখা করছেন।

এমন অনেকে আছেন, যারা পর্যটন বিষয়ে পড়ালেখা না করে কিংবা কিছুটা ট্রেনিং নিয়ে হোটেল, রেস্টুরেন্ট, ট্যুরিস্ট কোচ, ট্যুর অপারেটর, ট্রাভেল এজেন্ট, হজ এজেন্ট ইত্যাদিতে চাকরি করছেন। অনেকে সফলতার সঙ্গে এই বিষয়ক ব্যবসা করেন। অন্যদিকে অনেকে এইসব তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছেন এবং ভাবছেন: কী হচ্ছে এসব! সব মিলিয়ে সমাজ এখন কেমন যেন ট্যুরিজমের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে।

বাংলাদেশের জিডিপিতে ২০১৯ সালে ৭৭ হাজার ৩০০ কোটি টাকার অবদান রাখছে ট্যুরিজম, কর্মসংস্থান দিয়েছে সাড়ে ১৮ লক্ষ মানুষের এবং পর্যটন রপ্তানি করেছে ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকার বেশি। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে হঠাৎ করে ট্যুরিজম এই অবদান রাখবে এটা আমরা অনেকেই ভাবিনি। বাংলাদেশের মানুষ ভ্রমণে টাকা খরচ করবে, এই শিল্পে কাজ করবে এবং বিদেশি পর্যটকরা এদেশে বেড়াতে আসবে - এসব আমাদের চিন্তায় নতুন খোরাক যোগাচ্ছে বৈকি! অর্থনীতির এই নতুন বাঁক আমাদের নতুন মহাসড়কের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। ট্যুরিজমের সঙ্গে সম্পৃক্ত সরকারের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান, তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারী, মন্ত্রী-আমলা এবং অন্যান্য অনেক মানুষ এর সঙ্গে পথ চলছে। এত মানুষ যার সঙ্গে চলে, তার পোকা মাথায় না ঢুকে কি পারে?

ট্যুরিজমের পোকা দুই ধরনের। এক ধরনের পোকা রাইজোবিয়াম ব্যাকটেরিয়ার (যারা বাতাস থেকে ধরে নাইট্রোজেনকে মাটিতে জমা করার) মতো যারা মানুষের মাথায় ইতিবাচক বুদ্ধি যোগায়। আরেক ধরনের পোকা ঘুনপোকার মতো সব বুদ্ধিগুলোতে কেটেকুটে নষ্ট করে দেয়। আমাদের মাথায় এর দুটোই ঢুকেছে। তাই ট্যুরিজম নিয়ে ভিন্ন ও বিপরীত মতের অভাব নেই। যিনি যেভাবে পারছেন, ট্যুরিজমের উপর সওয়ার হচ্ছেন এবং বলছেন, উপদেশ দিচ্ছেন, আদেশও দিচ্ছেন। ফলে বিভ্রান্ত হচ্ছেন অনেক মানুষ, বিশেষত তরুণরা। তারা বুঝতে পারছেন না, কী করা উচিত, কী উচিত নয়। ট্যুরিজমের কোন পথ কার জন্য প্রযোজ্য। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে অহরহ ভুল হচ্ছে। খোদ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যেখানে ট্যুরিজম পড়ানো হচ্ছে, সেখানেও তারা তরুণদের মাথায় ছেড়ে দিচ্ছেন ট্যুরিজমের ঘুনপোকা। অপ্রায়োগিক ও অসম্পূর্ণ কারিকুলাম বানাচ্ছেন, অযত্নে পড়াচ্ছেন এবং ফলে শিক্ষার্থীরা পথের সন্ধান পাচ্ছেন না। উদাহরণ দিলেই পরিষ্কার হবে: আমাদের দেশের অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয় ৭০ শতাশ কোর্স ট্যুরিজম বহির্ভূত বিষয় এবং মাত্র ৩০ শতাংশ কোর্স ট্যুরিজমের সঙ্গে সম্পৃক্ত পড়িয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রি দিচ্ছে। আর প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই ট্যুরিজম বলতে হোটেলকেই বুঝানো হচ্ছে। ভাবটা এরকম যে, হোটেলই ট্যুরিজমের মূল গন্তব্য। এই সকল ভাবনা আমাদের কোথায় নিয়ে যাবে কে জানে!

বিদ্যালয়গুলো স্বাধীন, তবে কী বিষয় নিয়ে পাঠদান করবে সে বিষয়ে স্বাধীনতা না দেখানোই ভালো। মত বিনিময়ের মাধ্যমে আমাদের নিজেদের এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের চাহিদা নিরূপণ করে ট্যুরিজম শিক্ষার বিষয়বস্তু নির্ধারণ করা জরুরি। শিক্ষার মান নির্ধারণের জন্য ইতোমধ্যে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এক্রিডিটেশনের পদক্ষেপ নিয়েছে। তার সঙ্গে ট্যুরিজম কাউন্সিল গঠনের মাধ্যমে ট্যুরিজম বিষয়ে শিক্ষিত এবং প্রশিক্ষিতদের লাইসেন্স প্রদান করে একটি মানসম্মত পেশাজীবী শ্রেণি প্রতিষ্ঠা করা অত্যন্ত দরকারি। কারণ, এটা জাতির জীবন-মরণের সঙ্গে জড়িত।

আমাদের তরুণরা কী ভাবছেন? জাতিসংঘ বিশ্ব পর্যটন সংস্থা ১৬ থেকে ২৯ বছরের তরুণদের যুবা বলছে, যারা পৃথিবীর মোট পর্যটকদের প্রায় ২৩ শতাংশ। বিশ্ব পর্যটনে তাদের একটি শক্তিশালী ভূমিকা রয়েছে। এদের চোখে অফুরান স্বপ্ন, উদ্ভাবন, জয় ছিনিয়ে নেবার আকাঙ্ক্ষা এবং মুখে দীপ্তির হাসি ও বুকে বল নিয়ে এরা দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলে। তাদের জীবনধারায় পর্যটনের মতো জীবনধর্মী কর্মকাণ্ডকে স্বাগত জানানোর কথা। একে বুকে ধারণ করে নতুন পরিবর্তনশীল পৃথিবীতে মর্যাদাশীল মানুষরূপে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার কথা। তা-ই কি হচ্ছে? তারা কি সে পথে এগোচ্ছেন? নাকি ট্যুরিজমকে না জানার জন্য ঘুনপোকার দংশনে নির্বাসনে যাচ্ছেন?

যারা ট্যুরিজম নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে যেমন ডিপ্লোমা, ডিগ্রি ও মাস্টার্স ডিগ্রি ইত্যাদি লেখাপড়া করছেন, তাদের অনেকের সঙ্গে আমার কথা হয়। আমার কেন যেন মনে হয়, এদের অনেকের মাথায়ই ট্যুরিজমের ঘুনপোকার বাস। নিজেদের হতাশার জালে জড়িয়ে নিরাশ করছে। এরা ভাবছে অন্যরা আমাদের চেয়ে ভালো। ট্যুরিজমকে এদের ধারণ করার কথা। কিন্তু ঘটছে তার বিপরীত ঘটনা। ধারণ করছে না এবং অন্যদের ট্যুরিজমের বিশাল জগৎ থেকে দূরে সরে যাওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করছে। লক্ষ্য করেছি, তিনটি কারণ আছে এর পেছনে: প্রথমত যারা পড়াচ্ছেন, তারা একে ধারণ করেন না; দ্বিতীয়ত যে পরিবেশে পড়ানো হচ্ছে, সেখানে এর উপর ধারণা পরিষ্কার না থাকার জন্য এদের ভুল ধারণা দেওয়া হচ্ছে এবং তৃতীয়ত এদের বাড়ির পরিবেশ-প্রতিবেশ থেকে এই বিষয়ে পড়ার জন্য সমাদৃত হচ্ছে না। রাষ্ট্রের উচিত সমাজের এসব জায়গায় অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করা এবং টেকসই সামাজিক সমাধান খোঁজা।

সাধারণের পাশাপাশি রাষ্ট্রের মাথায়ও ট্যুরিজমের পোকা বেশ বাসা বেঁধেছে। তবে কোন ধরনের পোকার পরিমাণ কত, তা নির্ণয় করা কঠিন। আবার এই পোকারা ঠিক কাদের মাথায় বাসা বেঁধেছে, তা-ও নির্ধারণ করা সহজ নয়। তবে আনন্দের বিষয় মন্ত্রী, এমপি, আমলা সবাই বলছেন এর সঙ্গে রাষ্ট্রের সম্পৃক্ততার কথা। কেন যেন মনে হয় বুঝে, দায়িত্ব নিয়ে, ভালোবেসে বলছেন এমন মানুষের সংখ্যা কম। আবার কেউ কেউ নিজের দুর্বল অবস্থানকে সবল করার জন্য বেশি বেশি বলছেন। তাতে যে তিনি ভুল বলছেন এও বুঝছেন না। এ নিয়ে কেউ কেউ হাসাহাসি করছেন, অন্যরা ভুল তথ্য পাচ্ছেন। সব মিলিয়ে খুব ফলপ্রসু কিছু হচ্ছে না। কারণ, গত ২ দশকে ট্যুরিজমের জন্য রাষ্ট্রের কয়েক হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। আমি যদি বলি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে এর শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হোক। কী উত্তর পাবো, জানি না। এরূপ মজার খেলা চলছে ট্যুরিজমের পোকার বদৌলতে।

কিছু কথা নিশ্চিত করে বলা যায়, ট্যুরিজমের পোকা মাথায় না ঢুকলে ২০১১ ও ২০১৬ সরকার পর্যটনবর্ষ (Tourism Year) ঘোষণা করত না; ২০১৩ সালে ট্যুরিস্ট পুলিশের সৃষ্টি করতো না। পর্যটনের মহাপরিকল্পনা গ্রহণ, টেকনাফে সাবরাঙ প্রকল্প গ্রহণ, সোনাদিয়া বিশেষ অর্থনৈতিক ট্যুরিজম জোন তৈরি, সরকারি বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্যুরিজমে উচ্চশিক্ষা চালুসহ উচ্চ মাধ্যমিক ও ডিপ্লোমা স্তরে ট্যুরিজম শিক্ষা বাস্তবায়ন করা ইত্যাদি মোটেও হতো না। কিন্তু সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে যে সকল আমলা-কর্মচারীরা এসবের দায়িত্বে, তারা উদাসীন, নির্বিকার। দীর্ঘসূত্রিতার জন্য ট্যুরিজমের কলেজে বাস্তবায়িত হচ্ছে না, ডিপ্লোমা স্তরে শিক্ষক নিয়োগ না করে এবং পাঠ্যবই ছাড়া গত চার বছরে ছেলেমেয়েদের হেনস্তা করা হলো! এখন দরকার অবিলম্বে এর মানোন্নয়ন ও উৎকর্ষ সাধনের। তা না হলে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে আমাদের ট্যুরিজম মুখ থুবড়ে পড়বে। তা নিয়ে উন্নয়নের সকল যুদ্ধযাত্রা ব্যর্থ হবে।

ট্যুরিজমের রাইজোবিয়াম পোকা বেশি করে উৎপাদন করা দরকার। তা না হলে ঘুনপোকাদের মোকাবিলা করা যাবে না। এ জন্য তরুণদের মুক্তমন নিয়ে, গা ঝাড়া দিয়ে, সৃজনশীলতার ব্রত নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে এবং পর্যটনের সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করতে হবে। শিক্ষা গ্রহণ, দক্ষতা বৃদ্ধি, মানসিক দৃঢ়তা এবং ইতিবাচক সামাজিক পরিবর্তনের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে পথে নামতে হবে। ভুলে গেলে চলবে না যে, এ বিপ্লব সৃষ্টির, আনন্দের ও উন্নয়নের। এটি কোনো পক্ষপাতদুষ্ট বা রাজনৈতিক মতাদর্শের নয় বরং সর্বজনীন।

রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে প্রত্যক্ষভাবে এগিয়ে আসতে হবে। বিদেশে প্রত্যেকটি দূতাবাসে একজন করে ট্যুরিজম অ্যাটাচি দিয়ে বাংলাদেশকে বিশেষভাবে প্রমোশনের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য এটি অত্যন্ত জরুরি। প্রয়োজনে দেশের বিশেষজ্ঞ, গবেষক, ট্যুর অপারেটর, হোটেল মালিক, ট্রাভেল এজেন্টসহ প্রয়োজনীয় যেকোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিতে হবে। যুব ও ক্রীড়া উন্নয়ন মন্ত্রণালয়কে এগিয়ে এসে ক্রীড়া পর্যটন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে স্বাস্থ্য পর্যটন, রেল মন্ত্রণালয়কে রেল পর্যটন, কৃষি মন্ত্রণালয়কে কৃষি পর্যটন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে শিক্ষা পর্যটন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে কমিউনিটিভিত্তিক গ্রাম পর্যটন, নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়কে জলাভূমি পর্যটন, শিশু ও মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে শিশু পর্যটন, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে ভাষা পর্যটন, প্রত্নপর্যটন, উৎসব পর্যটন, জীবনধারা পর্যটন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে মুক্তিযুদ্ধ পর্যটন ইত্যাদিতে প্রণোদনা দিতে হবে। পর্যটন মন্ত্রণালয়কে সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করতে হবে, অর্থ মন্ত্রণালয়কে অর্থের যোগান ও আইন মন্ত্রণালয়কে আইনি সহায়তা দিতে হবে। বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডকে আইনের মাধ্যমে প্রদত্ত ম্যান্ডেটগুলোকে অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে। মনে রাখতে হবে, পর্যটন কোন একটি মন্ত্রণালয়ের কাজ নয়। সকলের কাজের মধ্যে যতটুকু পর্যটন পড়ে, ততটুকুই বাস্তবায়ন করতে হবে।

আমরা চাই দেশে একটি পর্যটন অর্থনীতি গড়ে তুলতে। ট্যুরিজমের কাছে আশ্রয় নেওয়া ছাড়া আগামী দিনে অর্থনীতি, উন্নয়ন কিছুই টেকসই হবে না, টিকবে না। তাই সকলের মাথায় ট্যুরিজমের রাইজোবিয়াম জাতীয় পোকার ব্যাপক প্রবেশ এবং ঘুনপোকাদের ধ্বংস কামনা করছি। রাইজোবিয়াম জাতীয় ট্যুরিজম পোকাকে প্রয়োজনে সকলের মাথায় ইনোকুলেশন অর্থাৎ জোর করে প্রবেশ করানো দরকার। রাষ্ট্র, বুদ্ধিজীবী, গবেষক, মন্ত্রী, আমলা, আর্মি, পুলিশ ও সাধারণ মানুষ সকলের মাথা থেকে ট্যুরিজমের ঘুনপোকাদের মেরে ফেলতে হবে। বুদ্ধির গোড়ায় নাইট্রোজেন সমৃদ্ধ সার সরবরাহ করে সবুজ পর্যটন সৃষ্টির কোনো বিকল্প দেখি না।

মোখলেছুর রহমান: রেক্টর, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্যুরিজম স্টাডিজ, ঢাকা

এসএন

আজকের সেহরির শেষ সময় (ঢাকা)

0

ঘণ্টা

0

মিনিট

0

সেকেন্ড

সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে সন্ত্রাসনির্ভর হয়ে গেছে: রিজভী

নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীনকে দেখতে যান রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

ডামি নির্বাচনের পর সরকার সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিএসএমএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীনকে দেখতে গিয়ে এসব কথা বলেন। এসময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু এবং স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা: রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

রিজভী বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের এমপিদের সন্ত্রাসী বাহিনী দেশে ভয়াবহ নৈরাজ্যকর ও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। ডামি নির্বাচনের পর সরকার সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে। কারণ তাদের সাথে কোনো জনগণ নাই, তাদের জনগণের ভোটের কোনো প্রয়োজন হয় না।’

সন্ত্রাসনির্ভর সরকারের পরিণতি ভালো হবে না বলে এসময় হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেন রিজভী।

রিজভী আরো বলেন, নাটোরের এমপি শিমুলের সন্ত্রাসী বাহিনী ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীনকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেছে, তার উপর গুলি চালিয়েছে। ফরহাদ জেলা ছাত্রদল ও জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ছিল। সরকারবিরোধী আন্দোলন ও সংগ্রামে সে অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে। আর এ কারণেই ক্ষমতাসীন দলের নেতারা তার ওপর ক্ষুদ্ধ। কিন্তু হত্যা করে, নিপীড়ন করে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না।

উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান ওরফে শাহীনকে (৪২) মাইক্রোবাসের ধাক্কায় ফেলে দেয়ার পর পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যাচেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। তারা সবাই এমপি শিমুলের অনুসারি বলে অভিযোগ করে বিএনপি।

ফাঁকা বাড়িতে বয়ফ্রেন্ডকে ডেকে ধরা পড়েছিলেন অনন্যা!

অভিনেত্রী অনন্যা পাণ্ডে। ছবি: সংগৃহীত

বাবা-মায়ের অনুপস্থিতিতে একবার বাড়িতে নিজের প্রেমিককে ডেকেছিলেন অনন্যা পাণ্ডে। সেই বিষয়টি টের পেয়ে যান বাবা চাঙ্কি পাণ্ডে। নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনা নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন এ অভিনেত্রী।

অভিনেত্রী অনন্যা পাণ্ডে। ছবি: সংগৃহীত

 

অনন্যা বলেন, আমার বাবা লিভিংরুমে ক্যামেরা বসিয়েছিলেন। কিন্তু আমি ভেবেছিলাম, আমাকে ভয় দেখানোর জন্য এটা করেছেন। আমি খুব ভীতু প্রকৃতির মেয়ে, কখনো বাবা-মায়ের সঙ্গে মিথ্যা বলি না। আমার যখন বয়স আরও কম ছিল, তখন আমি প্রথম একটি ছেলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়াই। ওই সময়ে মাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, আমি কি তার প্রস্তাবে রাজি হব? আসলে, আমি এমন মেয়ে তখন ছিলাম, এখনো আছি।

অভিনেত্রী বলেন, আমি সেদিন কিছুটা ঝুঁকির মধ্যে ছিলাম। কিন্তু নিজেকে সাহসী মনে হচ্ছিল। তবে খুব শান্ত ছিলাম। সেদিন লিভিংরুমে বসে তার (বয়ফ্রেন্ড) সঙ্গে শুধু কথাই বলেছিলাম। বাবা আমাদের ভিডিও দেখেছিলেন। বাবা আমাকে বলেছিলেন, তুমি আমাকে হতাশ করেছ। এ ঘটনার পর বাবা-মাকে ৫ পৃষ্ঠার চিঠি লিখে ক্ষমা চেয়েছিলাম।

বর্তমানে আদিত্য রায় কাপুরের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন অনন্যা রায়। এ কথা তারা সরাসরি স্বীকার না করলেও তাদের সব জায়গায় একসঙ্গে দেখা যায়। এমনকি বিদেশে একসঙ্গে ছুটি কাটাতেও দেখা যায় এই জুটিকে।

চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে

চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের বায়েজিদে টেক্সটাইল মোড় এলাকায় জুতা তৈরির কারখানায় লাগা আগুন ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেল ৫টা ৫৫ মিনিটে এ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ১২টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুম।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি বলেন, বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে বায়েজিদের একটি জুতার কারখানায় আগুন লেগেছে এমন খবর পাই। এর ১৫ মিনিটের মধ্যে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। শুরুতে চারটি ইউনিট কাজ শুরু করলেও পরে ১২টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে। বিকেল ৫টা ৫৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই আমরা।

প্রাথমিকভাবে আগুনের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে কিছুই জানাতে পারেননি এ ফায়ার কর্মকর্তা। এ বিষয়ে বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় কুমার সিনহা বলেন, কারখানাটি বিদেশি মালিকানাধীন বলে শুনেছি। আমরা খোঁজ নিচ্ছি।

সর্বশেষ সংবাদ

সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে সন্ত্রাসনির্ভর হয়ে গেছে: রিজভী
ফাঁকা বাড়িতে বয়ফ্রেন্ডকে ডেকে ধরা পড়েছিলেন অনন্যা!
চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে
গোলাগুলি-বিস্ফোরণের শব্দে কাঁপছে সেন্ট মার্টিন
রাতেই ঢাকাসহ ৯ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির আশঙ্কা
রাস্তা থেকে ৩০০ ফুট খাদে পড়ল গাড়ি, নিহত ১০
চট্টগ্রামে জুতা কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি যুবক নিহত
বিএনপি ইফতার পার্টি করে মিথ্যাচার চালাচ্ছে: ওবায়দুল কাদের
বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে লরি-কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১
সন্তানের মুখ দেখার আগেই ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল বাবার
আগুনে পুড়লো ‘ভূঞাপুর থানা’ মার্কেটের ৪ দোকান
পছন্দের শীর্ষে ভারতীয় নায়ক-নায়িকাদের নামে দেশে তৈরি পোশাক
‘জিম্মি নাবিকদের মুক্তিপণের বিষয়ে এখনো কথা হয়নি’
প্রাথমিকের শেষ ধাপের পরীক্ষা আজ
সেতু থেকে খাদে পড়ে ৪৫ বাসযাত্রী নিহত, অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল শিশু
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি স্থগিত
ফিলিস্তিনি নারীদের অন্তর্বাস নিয়ে অশ্লীল খেলায় মেতেছে ইসরায়েলি সেনারা
যত জঙ্গি গ্রেপ্তার করেছি, একজনও মাদরাসার ছাত্র নন : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার বিরোধিতা করায় সাংবাদিকের কারাদণ্ড