শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫ | ২৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

সাংবাদিকতায় বস্তুনিষ্ঠতার অনেক বেশি অভাব

সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সবকিছুই পরিবর্তন হয়। আগে যে অবস্থা ছিল এখন নিশ্চয়ই সে অবস্থা নেই। সেটি শিক্ষার ক্ষেত্রেও সত্য, সাংবাদিকতার ক্ষেত্রেও সত্য। সকল ক্ষেত্রেই সত্য। কাজেই পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী। এখন সেটি ভালোর দিকে যাচ্ছে না কি খারাপের দিকে যাচ্ছে সেটিই দেখার বিষয়।

আমরা দেখেছি, আগে সাংবাদিকদের বেতন ভাতা সুযোগ সুবিধা অনেক কম ছিল। কিন্তু সাংবাদিকতার মান অনেক ভাল ছিল। কারণ বস্তুনিষ্ট সংবাদের দিকে সাংবাদিকদের ঝোঁক বেশি ছিল। এখন সাংবাদিকেরা অপেক্ষাকৃত ভালো পরিবেশে কাজ করার সুযোগ পায়। কিন্তু দেখা যায় বস্তুনিষ্ঠতার অনেক বেশি অভাব। আগে সাংবাদিকতার একটা ভিশনারি মিশন ছিল যে, আমরা সমাজকে সেবা করবো। এরকম একটি আদর্শ নিয়েই তারা সাংবাদিকতায় আসতেন। গণমাধ্যম যারা প্রতিষ্ঠা করতেন, তাদের ইচ্ছা ছিল, তথ্য সেবার মাধ্যমে জনগণের সেবা দেয়া, বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করা। পত্র পত্রিকার জৌলুশ তাদের ছিল না। ছোট ছোট পত্রিকা অফিস সেখানে অল্প কিছু লোক কাজ করতেন। এখন সাংবাদিকদের ক্ষেত্র বেড়েছে, বড় বড় প্রতিষ্ঠান হয়েছে, কিন্তু কাজের গুণগত মান বাড়েনি। নৈতিকতার চেয়ে কি করে দ্রুত ধন সম্পদের মালিক হওয়া যায় এরকম একধরনের মানসিকতা দেখা যায়।

আগের দিনে সাংবাদিকরা সত্যের জন্য জেল জুলুম এমনকি মৃত্যুকে পরোয়া করতো না। এখন সেরকম ত্যাগের মহিমা নেই বলেই মনে হয়। আগে সাংবাদিক বড় হলেও ঘর ছিল ছোট, জীবনযাত্রা ছিল অতি সাধারণ। এখন সাংবাদিক ছোট কিন্তু গাড়ি বাড়ি টাকা পয়সার অভাব নেই। এই ট্রেডিশন চালু হয়ে গেছে। শুধু বাংলাদেশে নয় সারা পৃথিবীব্যাপি সংবাদপত্র শিল্পটি অর্থ নির্ভর হয়ে গেছে। তবে আমি বলবো, এখনও অনেক সাংবাদিক আছেন যারা ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠায় আপোষহীন। তবে সাংবাদিকতারও সুদিন আসছে আমি দেখছি। এতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী। আমাদের আশাবাদী হতে হবে।

আমার মনে হয় না কোনো দেশের মানুষই বলতে পারবে যে, বর্তমানে যে অবস্থা বিরাজমান সেটি শিক্ষাক্ষেত্রে হোক, সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে হোক, চিকিৎসা ও অন্যান্য মাধ্যমেই হোক শতভাগ সন্তুষ্ট বলা যাবে না। প্রত্যেকেই তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরও ব্যবস্থা নেওয়া দরকার ছিল। আরও সংশোধন করা দরকার ছিল। আমরা আমাদের দেশে যে গণতন্ত্র চর্চা করছি, সেটি খুব অল্প সময়ের। আমরা ৭১ সালে স্বাধীন দেশ পাবার পর ৭২এ যখন সংবিধান রচিত হয়, তখন এই সংবিধানটি ছিল পৃথিবীর জন্য উন্নত সমৃদ্ধ গণতান্ত্রিক একটি সংবিধান। কিন্তু সেই সংবিধানকে আমরা ধরে রাখতে পারিনি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ৭৫এ হত্যাকাণ্ডের পরে এই সংবিধানকেও একধরনের হত্যা করেছিল। এদেশে সামরিক শাসন, স্বৈরশাসন, অপশাসন দানা বেধেছিল। বহুদিন এভাবেই এইদেশ পরিচালিত হয়েছে। সংবিধানকে কাটা ছ্যাড়া করা হয়েছে। গণতন্ত্র নির্বাসনে পাঠানো হয়েছিল। ১/১১তে আমরা দেখেছিলাম গণতন্ত্রের নির্বাসন। এদেশের গণতন্ত্র হাটি হাটি পা পা করে এগিয়ে যাচ্ছে। গণতন্ত্র এখন যে জায়গায় আছে, তা থেকে আমরা আরও উন্নত জায়গায় যেতে চাই।

আমরা দেখেছি নির্বাচন কমিশন সংসদে আইন পাশ করেছে। ইতিমধ্যে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কাজেই আমরা আশা করবো একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আমরা দেখতে পাবো। নির্বাচনই গণতন্ত্রের মূলকথা নয়। কিন্তু নির্বাচন একটি মৌলিক জায়গা। একটি গুরুত্বপুর্ণ জায়গা। নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার দেশ শাসনের একটি অনুমতি পায়। এই নির্বাচনের মূল জায়গাটিই হচ্ছে জনগণের ভোটের অধিকার। ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা। প্রতিটি প্রার্থী যেন তাদের প্রার্থীতা দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করতে পারেন। এটি একটি উল্লেখযোগ্য এবং যারা নির্বাচিত হয়ে আসবেন, তারা যেন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দেশ শাসন করেন, সুশাসন উপহার দেন সেটিও দেখার দরকার আছে। যে সকল দেশ ৩০০/৪০০ বছর ধরে গণতন্ত্র চর্চা করছে তাদের নিয়েও প্রশ্ন অথবা বিতর্ক আছে। সেখানে আমাদের গণতন্ত্রের অভিজ্ঞতা কম সময়ের। আমরা আশা করবো আমাদের দেশ যত এগিয়ে যাবে, ততই আমরা গণতান্ত্রকে আরও উন্নত, সমৃদ্ধ এবং জনগণের কাছে নিয়ে আসতে সক্ষম হবো।

বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে সাড়ে সাত কোটি মানুষ একসঙ্গে যুদ্ধ করেছে। ত্রিশ লাখ মানুষ রক্ত দিয়েছে। সাড়ে সাত কোটি মানুষের জায়গায় এখন ষোল কোটির উপরে সবাই। একই রাজনীতি করবে, একই মতাদর্শে বিশ্বাসী হবে। এটি ঠিক যে ভিন্ন মত থাকবে, ভিন্ন দল থাকবে, ভিন্ন দর্শন থাকবে। কিন্তু গণতান্ত্রিক একটি দেশে স্বাধীনতার বিরোধী কোনো শক্তি থাকবে না। কিন্তু আমরা দেখেছি যে, স্বাধীনতার সাথে সাথে স্বাধীনতার বিরোধী একটি শক্তি দাঁড়িয়ে গেছে। দেশের প্রতি অশুভ দৃষ্টি পড়েছে। সেখান থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে। এক দেশ এক নেতা এক জাতি সবাই আমরা দেশ ও জনগণের স্বার্থে এক এই নীতিতে বিশ্বাসী হতে হবে।

 

 

লেখক: সাবেক উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

                                                                                

Header Ad
Header Ad

আ.লীগ নিষিদ্ধে গুরুত্বের সাথে সরকার বিবেচনা করছে: সরকারের বিবৃতি

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সাধারণ জনগণের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাস ও স্বৈরশাসনের অভিযোগে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে। এ দাবি সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র।

সরকার জানিয়েছে, এ বিষয়ে দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইতোমধ্যে যোগাযোগ শুরু হয়েছে এবং আলোচনা শেষে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনের উল্লেখও করা হয়েছে, যেখানে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।

এ পর্যন্ত সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছে সরকার। পাশাপাশি জনদাবির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এরই মধ্যে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে জানানো হয়।

মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে।

এছাড়া, ফ্যাসিবাদী সরকারের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বর্তমানে হত্যা মামলার আসামি আবদুল হামিদের বিদেশ গমনের ঘটনায় জনগণের ক্ষোভের বিষয়টিও সরকার পর্যবেক্ষণ করছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছে সরকার।

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলে নাশকতা মামলায় আ.লীগ নেতা রাজ্জাকসহ ২ জন গ্রেফতার

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নাশকতার অভিযোগে ডেভিল হান্টের অভিযানে টাঙ্গাইলের মধুপুরে নাশকতার মামলায় ভূঞাপুরে আওয়ামী লীগ নেতা মো. আব্দুর রাজ্জাকসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে ভূঞাপুর থানা পুলিশ।

শুক্রবার (০৯ মে) সকালে ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাউল করিম এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেফতারকৃত আব্দুর রাজ্জাক উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাতে উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের বাগবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আসাদুজ্জামানের ছেলে খন্দকার মশিউজ্জামান রোমেলের অনুসারী ছিলেন।

অপরদিকে, একই মামলায় গত বুধবার রাতে উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সস্পাদক আলমগীর নামে আরেক নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাকে গত বৃহস্পতিবার মধুপর থানায় সোপর্দ করা হয়।

এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাউল করিম জানান, মধুপুর থানায় নাশকতার মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক ও আলমগীরকে গ্রেফতারের পর মধুপুর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Header Ad
Header Ad

অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত আইপিএল

ছবি: সংগৃহীত

ভারত-পাকিস্তানের চলমান দ্বন্দ্বের প্রভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) আঠারোতম আসর স্থগিত করেছে বিসিসিআই। আজ (শুক্রবার) জরুরি এক বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিল।

এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পরবর্তী সিদ্ধান্ত আসা পর্যন্ত স্থগিত থাকবে আইপিএল। টুর্নামেন্টের বাকি সূচি ও ভেন্যু নতুন করে পর্যালোচনার পর ঘোষণা করা হবে। এখন পর্যন্ত চলতি মৌসুমে ৫৮টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে গ্রুপ পর্বের। প্লে অফের আগে বাকি আছে আরও ১২ ম্যাচ।

ভারত-পাকিস্তানের চলমান এই সঙ্কট, দুই প্রতিবেশি রাষ্ট্রের আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের কারণে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে আছেন আইপিএল খেলতে যাওয়া বিদেশি ক্রিকেটাররাও। বিসিসিআই জানিয়েছে, সব বিদেশি ক্রিকেটারকেই তাদের নিজ নিজ দেশের পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। ইতোমধ্যে ১০ ফ্র্যাঞ্চাইজিকে টুর্নামেন্ট স্থগিতের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে বিসিসিআই।

মূলত গতকাল ধর্মশালায় পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটাল ম্যাচের প্রথম ইনিংসের মাঝপথে হঠাত করেই বন্ধ হয়ে যায় মাঠের তিনটি ফ্লাডলাইট। নিরাপত্তা শংকায় এর মিনিট দশেক পরই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয় ম্যাচ। সীমান্তবর্তী বেশ কয়টি বিমানবন্দরু ঘোষণা করেছে ভারত, এর মধ্যে আছে ধর্মশালার একমাত্র বিমানবন্দরটিও। সে কারণে বিশেষ ট্রেন যোগে খেলোয়াড় ও সাপোর্ট স্টাফদের সরিয়ে নেয়ার কথা জানান, বিসিসিআই সভাপতি রাজিব শুক্লা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আ.লীগ নিষিদ্ধে গুরুত্বের সাথে সরকার বিবেচনা করছে: সরকারের বিবৃতি
টাঙ্গাইলে নাশকতা মামলায় আ.লীগ নেতা রাজ্জাকসহ ২ জন গ্রেফতার
অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত আইপিএল
এবার অপেক্ষা তারেক রহমানের ফেরার, চলছে জোরালো প্রস্তুতি
পদ্মার এক ইলিশের দাম সাড়ে ৮ হাজার টাকা
৫ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে থানায় নেওয়া হলো আইভীকে
জুমার পর যমুনার সামনে বড় জমায়েতের ডাক হাসনাত আব্দুল্লাহর
প্রথম আমেরিকান পোপ হলেন রবার্ট প্রিভোস্ট
একের পর এক ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল ভারত, সীমান্তজুড়ে ব্ল্যাকআউট
নিষিদ্ধ হচ্ছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও যুবলীগ
অবশেষে গ্রেফতার আইভী
ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার জেরে পিএসএলের বিদেশি ক্রিকেটারদের দেশত্যাগ শুরু
সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ বাড়ল দুই মাস
মাহফুজ-আসিফ আ’লীগ নিষিদ্ধ চায়, কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে কারা: হাসনাত
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সিইও পদ ছাড়লেন স্নিগ্ধ
আবদুল হামিদের দেশত্যাগ, ৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
টাঙ্গাইলে ট্রাক-পিকআপের সংঘর্ষে ৩ জন নিহত
ভারতীয় অর্ধশত সৈন্যকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের
নওগাঁর পতিসরে বিশ্বকবির কাছারি বাড়িতে জন্মবার্ষিকী ঘিরে উৎসবের আমেজ
অভিমানে ঘর ছাড়লেন শামীমের স্ত্রী