শুক্রবার, ২ মে ২০২৫ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

প্রশাসনের ঢিলেঢালা আচরণে দুষ্কৃতকারীরা আশকারা পাচ্ছে: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রশাসনের শ্লথ ও ঢিলেঢালা আচরণের কারণে সমাজে দুষ্কৃতকারীরা নানা ধরনের আশকারা পাচ্ছে। শুক্রবার (১৪ মার্চ) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

রিজভী বলেন, "বর্তমান শাসনকালে আছিয়া হত্যাকাণ্ডে দেশবাসী স্তম্ভিত। মানুষ আশা করেছিল যে, তৃণমূল পর্যায়ে দ্রুত আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে, কিন্তু প্রশাসনের অপ্রতুল ব্যবস্থা ও ঢিলেঢালা আচরণের কারণে সমাজে দুষ্কৃতকারীরা আশকারা পাচ্ছে।"

তিনি আরও বলেন, "বিগত ১৬ বছর ধরে শাসনকালে শান্তি এবং সামাজিক সংহতি বিনষ্ট করা হয়েছে। দুর্বৃত্তায়ন বাড়িয়ে সমাজকে অস্থির ও অশান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। অন্য people's জমি দখল, লুটপাট, অর্থ পাচার এবং সহিংসতার মাধ্যমে ক্ষমতা ধরে রাখতে সব ধরনের অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে।"

রিজভী এ সময় আছিয়া হত্যার ঘটনায় মর্মাহত হয়ে বলেন, "সম্প্রতি মাগুরায় ৮ বছরের শিশু আছিয়া ধর্ষণের শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে, যা সারা জাতির কাছে মর্মস্পর্শী ও হৃদয়বিদারক ঘটনা। এই হত্যাকাণ্ডে অশ্রুসিক্ত দেশের মানুষ।"

তিনি আরও জানান, "দীর্ঘ আওয়ামী শাসনে মানবিকতা, নৈতিকতা ও ন্যায়বিচার হারিয়ে গেছে এবং অধিকাংশ অপকর্মকারী ছিল শাসক দলের লোক। তারা জনসেবা নয়, নিজস্ব স্বার্থ ও ক্ষমতাকে বড় করে দেখেছে।"

রিজভী বলেন, "আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত না হলে, সমাজে অন্যায় ও অবিচারের ঘটনা বাড়তেই থাকবে। প্রশাসন যদি দক্ষ, ন্যায়পরায়ণ ও মানবিক না হয়, তবে খুন, ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতনের হার বেড়ে যাবে। আমরা আবারও দাবি জানাচ্ছি, আছিয়া হত্যাকারীদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।"

এ সময় তিনি জানান, বিএনপি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা সংগ্রহ করছে এবং "নিপীড়িত নারী ও শিশুদের আইনি এবং স্বাস্থ্য সহায়তা সেল" গঠন করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলামসহ আরও অনেক নেতাকর্মী।

Header Ad
Header Ad

নির্দেশনা মানেননি পাইলট, বিমানের ঢাকার ফ্লাইট বাধ্য হয়ে নামলো সিলেটে

ছবি: সংগৃহীত

বেসামরিক বিমান চলাচলের নিয়মিত সতর্কবার্তা ‘নোটাম’ (নোটিশ টু এয়ারম্যান) উপেক্ষা করায় মদিনা থেকে ঢাকাগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটকে ঢাকার পরিবর্তে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে।

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সূত্র জানায়, সেদিন দুপুর ১১টা ৪৫ মিনিট থেকে ১২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত রানওয়ে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ সময়ের জন্য যথারীতি একটি নোটাম জারি করা হয়েছিল, যা সংশ্লিষ্ট পাইলটের কাছেও পৌঁছানো হয়। তবে নির্দেশনা অমান্য করে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়।

পরিস্থিতির কারণে নির্ধারিত সময়ে ঢাকায় অবতরণ অসম্ভব হয়ে পড়ে। বাধ্য হয়ে ফ্লাইটটি সিলেটের ওসমানী বিমানবন্দরে নামানো হয়। এতে যাত্রীদের ভোগান্তির পাশাপাশি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয় বলে জানিয়েছে সংস্থাটির একাধিক সূত্র।

এ ধরনের ঘটনার জন্য এর আগেও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলটদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেউ কেউ সাময়িক বরখাস্তও হয়েছেন।

ঘটনাটির বিষয়ে এক অভিজ্ঞ কর্মকর্তা বলেন, পাইলট যদি গন্তব্য বিমানবন্দরের নিষেধাজ্ঞার সময় বিবেচনায় রেখে সিদ্ধান্ত নিতেন, তাহলে সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে এই পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব ছিল।

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানের সীমান্তঘেঁষা ভারতীয় ৫ সেনাঘাঁটিতে গোলাগুলি

ছবি: সংগৃহীত

কাশ্মীর সীমান্তে নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে টানা আটদিন ধরে গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটছে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (১ মে) রাতেও দুপক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাশ্মীরের কুপওয়ারা, বারামুলা, পুঞ্চ, নওশেরা এবং আখনুর—এই পাঁচ এলাকায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতীয় চৌকিগুলোর দিকে ছোট অস্ত্র ব্যবহার করে গুলি চালিয়েছে। পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনারাও। সংঘর্ষের কেন্দ্রস্থল ছিল ৭৪০ কিলোমিটারজুড়ে বিস্তৃত এলওসির বিভিন্ন পয়েন্ট।

এনডিটিভির দাবি, পাকিস্তান টানা অষ্টম রাতেও বিনা উসকানিতে গুলি চালিয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার রাতের এই হামলা নিয়ে পাকিস্তানের সরকার বা সংবাদমাধ্যম কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি।

এই টানাপড়েন শুরু হয় ২২ এপ্রিল, যখন কাশ্মীরের পেহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ এক হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এরপর থেকেই দুদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক চরম অবনতির দিকে যায়। ভারত হামলার জন্য সীমান্তপারের সন্ত্রাসীদের দায়ী করে একাধিক প্রতিক্রিয়ামূলক পদক্ষেপ নেয়, যার মধ্যে রয়েছে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত, আতারি সীমান্ত বন্ধ এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস।

ভারতের এসব পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানও পাল্টা কড়াকড়ি আরোপ করে। দেশটি ভারতীয় বিমান চলাচলের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দেয় এবং ভারতের সঙ্গে সব ধরনের দ্বিপাক্ষিক ও তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে বাণিজ্য বন্ধ করে দেয়। পানি চুক্তি স্থগিতের ঘোষণার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ইসলামাবাদ জানায়, এ ধরনের পদক্ষেপ যুদ্ধ ঘোষণার সামিল হতে পারে।

এই পরিস্থিতিতে ভারত ও পাকিস্তানের সামরিক পর্যায়ের হটলাইনেও যোগাযোগ হয়। মঙ্গলবার উভয় দেশের ডিজিএমও (সামরিক অভিযানের মহাপরিচালক) ফোনে কথা বলেন এবং পাকিস্তানকে গুলি চালানো থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করে ভারত, এমনটাই জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম পিটিআই।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য আগামী সাত মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: প্রেস সচিব

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য সামনে থাকা সাত মাসকে ‘নির্ধারণমূলক সময়’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বৃহস্পতিবার (১ মে) তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই সময়টাই বাংলাদেশের অর্থনীতিকে হয় ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ দেবে, নয়তো পিছিয়ে পড়ার শঙ্কা তৈরি করবে।

শফিকুল আলম জানান, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা ছয় গুণ বাড়ানোর উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এতে বন্দরের পণ্য ধারণক্ষমতা বাড়বে ৭.৮৬ মিলিয়ন টিইইউ পর্যন্ত, যা বাস্তবায়িত হলে দেশের রপ্তানি-ভিত্তিক অর্থনীতিতে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে পারে।

তবে তিনি স্পষ্ট করেন, আন্তর্জাতিক বন্দর পরিচালনা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে অংশীদারিত্ব ছাড়া এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। তার ভাষায়, “সফল হলে, এই অংশীদারিত্ব বৈশ্বিক বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পাঠাবে: বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত।”

বিশ্বের রপ্তানিনির্ভর অর্থনৈতিক ইতিহাস প্রসঙ্গে প্রেস সচিব বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী ব্রেটন উডস চুক্তি ও পরবর্তী সময়ে গঠিত ডব্লিউটিও-ভিত্তিক শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ছে। এই শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, চীন, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়ার মতো দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপমুখী রপ্তানিনির্ভর অর্থনীতির মাধ্যমে এগিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়া এ দৌড়ে পিছিয়ে থাকলেও এখন বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ এসেছে। “আমরা কি এই মুহূর্তকে কাজে লাগাতে পারবো?”—এই প্রশ্ন রাখেন তিনি।

শফিকুল আলম মনে করেন, রাজনীতি এখানে একটি মূল ভূমিকা রাখবে। আশাব্যঞ্জক দিক হিসেবে তিনি বলেন, এমনকি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও এখন ব্যবসাবান্ধব মনোভাব গড়ে উঠছে।

তবে এই সম্ভাবনার পথে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে তিনি চিহ্নিত করেন লজিস্টিক বা পরিবহন ব্যবস্থাপনার দুর্বলতাকে। তার মতে, “বৃহৎ পরিমাণ পণ্য দ্রুত ও কার্যকরভাবে পরিবহণের সক্ষমতা শিগগিরই কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়বে। এ ক্ষেত্রে ব্যর্থ হলে, বাংলাদেশ যে একটি উৎপাদনশীল শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চায়—সে স্বপ্ন মুখ থুবড়ে পড়বে।”

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নির্দেশনা মানেননি পাইলট, বিমানের ঢাকার ফ্লাইট বাধ্য হয়ে নামলো সিলেটে
পাকিস্তানের সীমান্তঘেঁষা ভারতীয় ৫ সেনাঘাঁটিতে গোলাগুলি
বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য আগামী সাত মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: প্রেস সচিব
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে এনসিপির বিক্ষোভ সমাবেশ আজ
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে অব্যাহতি দিলেন ট্রাম্প
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর রাতভর হামলা, নিহত আরও ৩১ ফিলিস্তিনি
উত্তরায় হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপ, ৮ নারী ও ৯ পুরুষ আটক
রিয়াজ-ফেরদৌস-চঞ্চল-শাওনসহ ১৪ শিল্পীর বিরুদ্ধে মামলা
দুই সপ্তাহের মধ্যে সোনার দাম সর্বনিম্ন, ভবিষ্যতে বাড়ার ইঙ্গিত বিশ্লেষকদের
সারা দেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় গ্রেফতার ১১৩৭ জন
খুচরা বাজারে কমেছে চালের দাম
পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. নাজমুল করিম, সম্পাদক আনিসুজ্জামান
ঢাকার ২২ মোড়ে ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে বসছে সংকেতবাতি, কতটা কার্যকর হবে?
প্রথম দল হিসেবে আইপিএল থেকে বিদায় নিলো চেন্নাই সুপার কিংস
ইসকন নেতা চিন্ময়ের জামিন নিয়ে সরকারকে কড়া হুঁশিয়ারি দিল হাসনাত আব্দুল্লাহ
করিডোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত আসতে হবে নির্বাচিত সংসদ থেকে: তারেক রহমান
শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৩০ হাজার করার দাবি টিইউসির
‘বাংলাদেশি’ তকমা দিয়ে ভারতে ভাঙা হচ্ছে মুসলমানদের বাড়ি (ভিডিও)
জিআই সনদ পেল কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী ‘খাদি’
জাতীয় স্বার্থবিরোধী চুক্তি থেকে বিরত থাকার আহ্বান মির্জা ফখরুলের