মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ | ৩০ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

১৫ লাখ অভিবাসী নেবে কানাডা, আবেদন করবেন যেভাবে

ছবি: সংগৃহীত

অন্যতম অভিবাসন-বান্ধব দেশ কানাডা আগামী তিন বছরে কমপক্ষে ১৫ লাখ অভিবাসী নেবে । স্থানীয় সময় বুধবার (১ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত নতুন একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করে দেশটির সরকার। দেশটির অভিবাসনবিষয়ক মন্ত্রী ম্যাক মিলার জানিয়েছেন করোনাভাইরাস মহামারির প্রকোপ কাটিয়ে ওঠার পর তীব্র কর্মী সঙ্কট মোকাবিলায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) তিনি আগামী তিন বছরে অর্থাৎ ২০২৪ থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে কয় ধাপে এই রেকর্ড সংখ্যক অভিবাসী নেওয়া হবে তা বিস্তারিত জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, লক্ষ্যমাত্রা পূরণে চলতি বছর কানাডা তার বর্তমান অভিবাসন নীতিতে আর কোন পরিবর্তন আনবে না। তবে আগামী তিন বছরকে সামনে রেখে নতুন অভিবাসন নীতি ঘোষণা করা হবে।

বর্তমান অভিবাসন পরিকল্পনা অনুয়াযী, চলতি বছর চার লাখ ৬৫ হাজার অভিবাসী নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে কানাডার। তবে আগামী বছর নতুন করে চার লাখ ৮৫ হাজার অভিবাসী নেবে অটোয়া। আর পরবর্তী দুই বছরে ৫ লাখ করে মোট ১০ লাখ অভিবাসী নেবে কানাডা।

উত্তর আমেরিকার দেশটির অভিবাসনবিষয়ক সরকারি ওয়েবসাইট ‘ইমিগ্রেশন কানাডা’র (ওয়েব সাইট https://www.immigration.ca/canadas-immigration-levels-plan-targets-nearly-1-5-million-newcomers-in-2024-2026/) তথ্য থেকে জানা গেছে, ২০২৪ সালে অর্থনৈতিক শ্রেণির (ইকোনমিক ক্লাস গ্রো) অধীনে দুই লাখ ৮১ হাজার ১৩৫ অভিবাসী নেবে দেশটি। আর পরবর্তী দুই বছর ২০২৫ ও ২০২৬ সালে এই ক্যাটাগরিতে নেওয়া অভিবাসীর সংখ্যা বছরপ্রতি তিন লাখ এক হাজার ২৫০ জনে উন্নীত করা হবে।

আগামী বছর পারিবারিক শ্রেণীতে (ফ্যামিলি ক্লাস) এক লাখ ১৪ হাজার অভিবাসী নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কানাডা, যা বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার ২৪ শতাংশ। ২০২৫ ও ২০২৬ সালে এই সংখ্যা বছরপ্রতি হবে এক লাখ ১৮ হাজার।

শরণার্থী ও সুরক্ষিত ব্যক্তি ক্যাটাগরিতে (রিফিউজি) চলতি বছর ৭৬ হাজার ৩০৫ জন শরণার্থী নিচ্ছে কানাডা। ২০২৪ সালে এই ক্যাটাগরিতে ৭৬ হাজার ১১৫ শরণার্থী নেওয়া হবে। আর ২০২৫ ও ২০২৬ সালে প্রতি বছর ৭২ হাজার ৭৫০ জন শরণার্থী নেবে অটোয়া।

আবার, ২০২৪ সালে মানবিক ক্যাটাগরিতে ১৩ হাজার ৭৫০ জন অভিবাসী নেবে কানাডা। আর ২০২৫ ও ২০২৬ সালে এই ক্যাটাগরিতে অভিবাসন অনুমোদনের সংখ্যা ১৬ লাভ করা হবে (প্রতিবছর ৮ হাজার)।

অভিবাসনবিষয়ক নতুন লেভেল প্ল্যানে এক্সপ্রেস এন্ট্রি ও পিএনপির (প্রভিন্সিয়াল নমিনি প্রোগ্রাম) আওতা বাড়াবে অটোয়া। ২০২৪ সালে এক্সপ্রেস এন্ট্রির মাধ্যমে এক লাখ ১০ হাজার ৭৭০ জনকে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি দেবে দেশটির ফেডারেল সরকার। ২০২৫-২০২৬ সালে এই সংখ্যা বছরপ্রতি ১ লাখ ১৭ হাজার ৫০০ জনে উন্নীত করা হবে।

এদিকে, প্রাদেশিকভাবে (পিএনপি) ২০২৪ সালের জন্য কানাডার লক্ষ্যমাত্রা হলো ১ লাখ ১০ হাজার। তবে ২০২৫-২০২৬ সালে এই ক্যাটাগরিতে প্রতি বছর ১ লাখ ২০ হাজার অভিবাসী কানাডায় স্থায়ী হওয়ার সুযোগ পাবে। অন্যদিকে, ২০২৪ সালে ফ্যামিলি রিইউনিফেকেশন বা ফ্যামিলি ক্লাস স্পন্সরশিপ (স্বামী-স্ত্রী, পার্টনার ও সন্তানের জন্য স্পন্সরশিপ) প্রোগ্রামের আওতায় ৮২ হাজার অভিবাসী নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে কানাডা। আর ২০২৫-২০২৬ সালে এই ক্যাটাগরিতে প্রতি বছর ৮৪ হাজার জন্য অভিবাসন নেবে উত্তর আমেরিকার এ দেশ। আবার বাবা-মা, দাদা-দাদির জন্য পিজিপি প্রোগ্রামের আওতায় ২০২৪ সালের মধ্যে ৩২ হাজার অভিবাসী নেবে কানাডা। পরবর্তী দুই বছরেও এই সংখ্যা অপরিবর্তিত থাকবে।

কানাডার ফেডারেল সিস্টেমের বাইরে থাকা কুইবেক প্রদেশও শনিবার (৪ অক্টোবর) অভিবাসন পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। ফরাসি ভাষা অধ্যুষিত এ প্রদেশ ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে তারা ১ লাখ অভিবাসী নেবে। কুইবেক কানাডার একমাত্র প্রদেশ, যাদের এককভাবে স্থায়ী অভিবাসী নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।

অভিবাসীদের দেশ কানাডায় প্রতিবছর গড়ে তিন থেকে চার লাখ মানুষ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে এসে বসবাস করেন। কেউ আসেন সরাসরি পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি ভিসা নিয়ে, কেউ শিক্ষার্থী হিসেবে পড়তে এসে পড়াশোনা শেষ করে চাকরি নিয়ে একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি নিয়ে এই দেশে থেকে যান। অনেকে নিজ দেশে বিভিন্ন সমস্যার কারণে রিফিউজি হিসেবে কানাডায় নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। কেউ ভিজিট ভিসায় এসে চলে যান। আর অনেকে আসেন ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে। ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে কয়েক বছর কাজ করার পর তারা নাগরিকত্ব লাভ করে।

উন্নত জীবনযাপন, চাকরি বা পড়াশুনার জন্য কানাডা বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় দেশ। জীবন মানের বিবেচনায় কানাডা অবস্থান শীর্ষ তিনে। কানাডা বিশ্বের অভিবাসিদের এক নম্বর পছন্দনীয় দেশ হিসেবে এরই মধ্যে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে। আয়তনের তুলনায় দেশটিতে জনসংখ্যা কম এবং রাজনৈতিক বন্ধুত্বপূর্ণ সংস্কৃতির কারণে সেখানে বসবাসকারীরা নিরাপদ ও সুখী জীবনযাপন করেন। এজন্য পৃথিবীর বহু দেশ থেকে মানুষ কানাডা যাওয়ার চেষ্টা করে। দেশটিতে বর্তমানে ৩ কোটি ৮২ লাখ মানুষ বসবাস করে। যাদের মাথাপিছু আয় ৫২ হাজার ৮০ ডলার। দেশটির মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) হচ্ছে প্রায় ২ হাজার বিলিয়ন ডলার।

উন্নত বিশ্বের দেশ থেকেও অনেক মানুষ কানাডায় অভিবাসী হওয়ার স্বপ্ন দেখে। স্বপ্ন পূরণে অনেক সময় অবৈধ উপায় অবলম্বন করে নানা হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হয়। তবে অবৈধ পথে না গিয়ে বৈধভাবে কানাডা যাওয়ার নানা উপায় রয়েছে। বৈধভাবে বাংলাদেশিদেরও কানাডা যাওয়ার বিভিন্ন সুযোগ রয়েছে। কানাডা যাওয়ার সহজ ১০ উপায়ের অন্যতম হচ্ছে এক্সপ্রেস এন্ট্রি প্রোগ্রাম। নতুন অভিবাসীদের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সব থেকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে স্থায়ীভাবে কানাডায় বসবাসের জন্য একটি পথ হলো এক্সপ্রেস এন্ট্রি প্রোগ্রাম। এটি একটি সহজ প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে আপনি কানাডায় অভিবাসন ও কানাডার স্থায়ী বাসিন্দা হতে পারেন।

কানাডার অভিবাসন নীতিমালায় একটি কার্যকর উপায় হচ্ছে পরিবারের সদস্যের আমন্ত্রণে সেখানে যাওয়া যাকে বলে ফ্যামিলি রিইউনিফেকেশন বা ফ্যামিলি ক্লাস স্পন্সরশিপ। এর মাধ্যমে পরিবারের সদস্যরা স্থায়ীভাবে বসবাসের আমন্ত্রণ জানাতে পারে।

অনেক অভিবাসনপ্রত্যাশী ওয়ার্ক ভিসায় আবেদন করে কানাডায় চাকরির অফার নিয়ে যান। এই ক্ষেত্রে তাকে লেবার মার্কেট ইম্প্যাক্ট এসেসমেন্ট (এলএমআইএ) এর আওতায় আবেদন জমা দিতে হবে। এটি অপেক্ষাকৃত কঠিন প্রক্রিয়া। তবে এর মাধ্যমে কানাডায় স্থায়ী বাসিন্দা হওয়া সহজ হয়।

কানাডায় অভিবাসী হওয়ার ক্ষেত্রে পিএনপি এখন জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কানাডার প্রদেশ যেমন আলবার্টা, অন্টারিও, ব্রিটিশ কলাম্বিয়াসহ অন্যান্য প্রদেশের নিজস্ব অভিবাসন নীতিমালা রয়েছে। ফেডারেল নীতিমালার চেয়ে এই পদ্ধতিতে অনেক দ্রুত অভিবাসী হওয়া যায়। তবে এ ক্ষেত্রে কানাডায় যাওয়ার পর তাকে ওই নির্দিষ্ট প্রদেশেই বসবাস করতে হবে।

১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী যুবকরা ইন্টারন্যাশনাল এক্সপেরিয়েন্স কানাডা (আইইসি) এর আওতায় চাকুরির অফার লেটার ছাড়াই কানাডা যেতে পারে। তবে এই সুবিধা যেকোনো দেশের নাগরিকের জন্য নয়। কানাডায় দক্ষ কর্মী নেয়ার জন্য বিশেষ ভিসার সুবিধা চালু রয়েছে। ৩৪৭টি পেশায় এই জনবল নিয়ে থাকে কানাডা। এর মধ্যে রয়েছে, হেয়ার স্টাইলিস্ট (নরসুন্দর), বিক্রয় কর্মী এবং প্রশাসনিক সহকারী।

কানাডা যাওয়া আরেকটি সহজ প্রক্রিয়া স্ট্যাডি ভিসা। তবে এজন্য আপনাকে কানাডার কোনো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি প্রক্রিয়া আগেই সেরে ফেলতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি সেখানে চাকুরি করতে পারবেন শুধুমাত্র যে স্টেটে আপনি পড়ালেখা করছেন সেই স্টেটে। এই সুযোগ পৃথিবীর সব দেশের জন্য রয়েছে।

ভ্রমণ ভিসায় কানাডা যাওয়া সহজ। তবে ভিসা পাওয়া একটু কঠিন। ছুটি কাটাতে বা ভ্রমণ করতে যারা কানাডা যেতে চান তাদের ভিসা দিয়ে থাকে।

কানাডা সরকার আগামী এক বছরে ইকোনমিক প্রোগ্রাম মোট ১ লাখ ৯১ হাজার ৬০০ অভিবাসী নেবে।

কারো যদি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকে এবং তিনি কানাডায় ব্যবসা শুরু করতে চায় তাহলে কানাডা যাওয়া তার জন্য সহজ। তবে কেউ যদি কানাডায় ব্যবসা করতে না চায় তবে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কানাডার কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের চুক্তি থাকে তবে কানাডায় যেতে পারবেন।

Header Ad
Header Ad

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা: খালেদা জিয়ার আপিলের রায় বুধবার

খালেদা জিয়ার আপিলের রায় বুধবার। ছবি: সংগৃহীত

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রায় ঘোষণা করবেন আপিল বিভাগ।

আজ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ শুনানি শেষে রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত ৭ জানুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিলের শুনানি শুরু হয়।

খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা শুনানিতে বলেন, হাইকোর্ট বিভাগ এ মামলায় খালেদা জিয়াকে যে সাজা দিয়েছেন তাতে আইনের মারাত্মক ব্যত্যয় হয়েছে। শুধু তাই নয় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের যে অর্থ আত্মসাতের কথা বলা হয়েছে সেই অর্থও সুরক্ষিত আছে; সেই অ্যাকাউন্টে তা সুরক্ষিত রয়েছে। একইসঙ্গে খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই এ রায় দেওয়া হয়।

২০২৪ সালের ১১ নভেম্বর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে করা আবেদন) মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে খালেদা জিয়াকে দেওয়া ১০ বছরের সাজা স্থগিত করেন আদালত। পাশাপাশি খালেদা জিয়াকে আপিলের সারসংক্ষেপ দুই সপ্তাহের মধ্যে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।

গত বছরের ৩ নভেম্বর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের শুনানির জন্য ১০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন চেম্বার আদালত।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন বিচারিক আদালত। একইসঙ্গে এ মামলার অন্য পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অরফানেজ ট্রাস্টের নামে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান।

একইসঙ্গে এই মামলায় খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানসহ মামলার অপর পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি ছয় আসামির প্রত্যেককে ২ কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।

বাকি চার আসামি হলেন—সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, সাবেক এমপি ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমান।

এরপর বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া, কাজী সালিমুল হক কামাল এবং ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ। পরে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে লিভ-টু আপিল করেন খালেদা জিয়া।

Header Ad
Header Ad

এবার টিউলিপকে দায়িত্ব ছাড়ার আহ্বান দুর্নীতিবিরোধী জোটের

টিউলিপ সিদ্দিক। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতির অভিযোগের মুখে ক্রমেই বাড়ছে চাপ, যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিকের ওপর। প্রথমে বিরোধী দল এবং এখন দেশটির দুর্নীতিবিরোধী জোটও টিউলিপকে দুর্নীতিবিরোধী দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর অনুরোধ করেছে। এই জোটে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত দুর্নীতিবিরোধী সংগঠনগুলো, যেমন অক্সফাম এবং ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জোটটি এক বিবৃতিতে জানায়, যুক্তরাজ্যের মানি লন্ডারিং নিয়ন্ত্রণ কাঠামো ও অর্থনৈতিক অপরাধ মোকাবিলার দায়িত্বে থাকা টিউলিপের বিরুদ্ধেই অর্থ আত্মসাৎের অভিযোগ উঠেছে। যা তার কাজের সঙ্গে সাংঘার্ষিক। ফলে ব্রিটিশ সরকারের মন্ত্রী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়ার মতো অবস্থানে তিনি আছেন কি না বিষয়টি পরিষ্কার নয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ট্রেজারি মন্ত্রী যুক্তরাজ্যের মানি লন্ডারিং নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনৈতিক অপরাধ মোকাবিলার কাঠামোর দায়িত্বে রয়েছেন, অথচ তার এমন একটি ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সাথে সরাসরি পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে যা সেই কাঠামোর অধীনে তদন্ত করা যেতে পারে।

সম্প্রতি কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে টিউলিপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের মিত্রদের কাছ থেকে লন্ডনে বিনামূল্যে ফ্ল্যাট নেয়ার অভিযোগ উঠে। এছাড়া, বাংলাদেশের ৯টি মেগা প্রকল্পে ৮০ হাজার কোটি টাকা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে টিউলিপ, শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।

এই অভিযোগের মধ্যেই টিউলিপের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠায় তাকে মন্ত্রিত্ব থেকে বরখাস্ত করার দাবি জানান ব্রিটেনের বিরোধীদলীয় নেতা কেমি ব্যাডেনোচ।

টিউলিপ সিদ্দিক বর্তমানে যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনীতিবিষয়ক মিনিস্টার (ইকোনমিক সেক্রেটারি)। দেশটির আর্থিক খাতে দুর্নীতি বন্ধের দায়িত্বে আছেন তিনি। তিনি বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে।

Header Ad
Header Ad

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছবি: সংগৃহীত

সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বাংলা বিভাগের সহযোগী ড. পুরনজিত মহালদার মারা গেছেন। সোমবার দিবাগত রাত ২টা ৩৫ মিনিটের দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

আজ মঙ্গলবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন বলেন,‘ গতকাল দুপুরে রাজশাহী মহানগরীর বার রাস্তার মোড় এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন ড. পুরনজিত মহালদার। পরে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিটে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানেই তিনি মারা যান।’

সহকর্মীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে উপ-উপাচার্য বলেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক মো. আখতার হোসেন মজুমদার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ড. পুরনজিত মহালদারের মরদেহ আজ সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ কলাভবনের সামনে রাখা হবে। তার বন্ধু শুভানুধ্যায়ী, সহকর্মী, শিক্ষার্থীদের সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করা হলো।

ড. পুরনজিত মহালদারের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বাংলা বিভাগ অ্যালামনাই, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি জামিল রায়হান ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ ইকবাল।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা: খালেদা জিয়ার আপিলের রায় বুধবার
এবার টিউলিপকে দায়িত্ব ছাড়ার আহ্বান দুর্নীতিবিরোধী জোটের
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক
ময়মনসিংহে হামলার হুমকিতে ৭৫৫ বছরের ওরস বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রশাসনের  
নারায়ণগঞ্জে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ২ বন্ধুর মৃত্যু  
এলপিজি গ্যাসের সাড়ে ৭ শতাংশ অতিরিক্ত ভ্যাট অব্যাহতি  
অবশেষে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি চূড়ান্তের পথে  
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে ভুল প্রতিবেদন প্রকাশ, ঢাকার কড়া প্রতিবাদ
এ বছরের মাঝামাঝিতে জাতীয় নির্বাচন চায় বিএনপি  
নাইজেরিয়ায় কৃষকদের জড়ো করে গুলি, নিহত অন্তত ৪০
দুর্দান্ত ডেথ বোলিংয়ে ঘুরলো ম্যাচের মোড়, রংপুরের সাতে সাত
বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা
এইচএমপিভি নিয়ে শাহজালাল বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি
স্বচ্ছ ভোটার তালিকা ১৮ কোটি মানুষের আমানত : নির্বাচন কমিশনার
চাঁদাবাজির অভিযোগে যুবদল নেতা বহিষ্কার
ইবিতে পরীক্ষা দিতে এসে তোপের মুখে ছাত্রলীগ নেতা, থানায় সোপর্দ
এবার মাদক অধিদপ্তরের ডিসপ্লেতে ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে’
সাবেক ডিবিপ্রধান হারুনের বিরুদ্ধে এক নারীর গুরুতর অভিযোগ
জাপানে ৬.৮ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা জারি
বাংলাদেশে কিছুই নেই, ওই দেশে দরিদ্র মানুষ বেশি: বিজেপি নেতা